জামায়াত
সিরাজগঞ্জ জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি গ্রেপ্তার
নাশকতার মামলায় সিরাজগঞ্জ জেলা জামায়াতে সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক জাহিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে সদর থানা পুলিশ।
শহরের সমাজকল্যাণ মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পলাতক ৩ আসামি গ্রেপ্তার
জেলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, একাধিক মামলার আসামি জামায়াত নেতা জাহিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া গত ৮ অক্টোবর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে জাহিদুলের নেতৃত্বে জেলা শহরের নিউ ঢাকা রোডে ঝটিকা মিছিল বের করে দ্রুত পালিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওইদিন রাতেই জামায়াতের দুই নেতা আইনজীবী মাসুদুর রহমান ও মোস্তাফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি জানান, এ ঝটিকা মিছিলের পর পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে জেলা জামায়াতের দুই নেতা আইনজীবী মাসুদুর রহমান ও মোস্তাফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠান।
আরও পড়ুন: বেটিং অ্যাপসের মাধ্যমে ডলার পাচার, খুলনায় গ্রেপ্তার ৮
মৃত সেজে ৬ বছর আত্মগোপনে থাকা স্ত্রী হত্যার আসামি গ্রেপ্তার
কুড়িগ্রামে জামায়াতের ১৯ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
কুড়িগ্রামে জামায়াতে ইসলামীর ১৯ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রবিবার (৮ অক্টোবর) সকালে কুড়িগ্রাম সদর থানা ও উলিপুর থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে সদরের যতিনেরহাট এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার নেতা-কর্মীদের মধ্যে জামায়াতের শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি ও জেলা কর্মপরিষদ সদস্য আইনজীবী ইয়াছিন আলী সরকারও রয়েছেন।
আরও পড়ুন: মিরপুরে রিভলবার ও চাপাতিসহ যুবক গ্রেপ্তার
জেলা জামায়েতের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা, জামায়াতের আমিরসহ রাজনৈতিক নেতা-কর্মী ও আলেম-ওলামাদের মুক্তি এবং ‘মিথ্যা মামলা’ প্রত্যাহারের দাবিতে রবিবার (৮ অক্টোবর) সকালে কুড়িগ্রাম সদরের যতিনেরহাট এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিলের প্রস্তুতি নেন জামায়াতের নেতা-কর্মীরা।
এদিকে মিছিল শুরুর আগেই দলটির শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি ও জেলা কর্মপরিষদ সদস্য আইনজীবী ইয়াছিন আলী সরকারসহ ১৯ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সদর থানা পুলিশ ৯ নেতা-কর্মী এবং উলিপুর থানা পুলিশ ১০ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে।
কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদুর রহমান ও উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মর্তুজা জানান, গ্রেপ্তার নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় হরিণের মাংস জব্দ, পল্লী বিদ্যুতের ২ কর্মী গ্রেপ্তার
চাঁপাইনবাবগঞ্জে হেরোইনসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার: র্যাব
বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতার বিষয়ে সজাগ থাকুন: শিক্ষামন্ত্রী
আসন্ন দূর্গাপূজা ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি বিএনপি-জামায়াত যেন কোনো ধরনের সংকট ও সহিংসতা তৈরি করতে না পারে, সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত মানুষের ওপর অত্যাচার, নির্যাতন যেমন চালানোর চেষ্টা করে, তেমনই তারা দেশের ভাবমূর্তিও নষ্ট করে তারা। এই অপশক্তিকে রুখতে আমাদের সবারই দাঁড়াতে হবে।
আরও পড়ুন: শিক্ষা ব্যবস্থাকে সমৃদ্ধ ও রূপান্তরের আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর
শুক্রবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে চাঁদপুর শহেরর বাবুরহাট এলাকায় বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী চাঁদপুর জেলার সমাবেশ শেষে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীরা হচ্ছে দেশের সবচেয়ে সচেতন ও সজাগ অংশ। তারা যেন সব সময় চোখ কান খোলা রাখে। কারণ এই বাংলাদেশ তাদের, তারা এই দেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ এবং তারা যেন এই অসম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য এই যে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি রয়েছে তাদেরকে রুখে দিতে পারে।
দীপু মনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত যেন কোনোভাবেই দেশকে অস্থীতিশীল করতে না পারে, সেজন্য আমাদের সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। আমি মনে করি আমাদের তরুণরা সবচাইতে সজাগ ও সচেতন শ্রেণি। তারা যেন এই বিষয়ে অনেক বেশি সজাগ থাকে এবং যেকোনো মূল্যে যেন আমরা এই অপশক্তিকে সবাই মিলে প্রতিহত করতে পারি।
আরও পড়ুন: দেশে পাবলিক হেলথ বিশ্ববিদ্যালয় চান শিক্ষামন্ত্রী
ইলিশ বিচরণের পরিবেশ আগের মতো নেই: শিক্ষামন্ত্রী
বিরামপুরে ‘বিক্ষোভ’ মিছিল থেকে জামায়াতের ১৬ কর্মী আটক
দিনাজপুরের বিরামপুরে ‘বিক্ষোভ’ মিছিলের সময় জামায়াতে ইসলামীর ১৬ কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (শুক্রবার) জুমার নামাজ শেষে পূর্বপাড়া জামে মসজিদ এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
এদিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন, দলের আমিরসহ আলেম উলামাসহ দলীয় নেতা-কর্মীদের মুক্তি এবং ‘মিথ্যা মামলা’ প্রত্যাহারের দাবিতে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসুচির অংশ হিসেবে ওই মিছিল বের করেছিলেন তারা।
আরও পড়ুন: টেকনাফ সীমান্তে লক্ষাধিক ইয়াবা জব্দ, আটক ৩
আটকরা হলেন- জামিল হাসেন, আব্দুল মান্নান, মোজাফ্ফর রহমান, জিয়াউর রহমান, নুরুজ্জামান, ওমর ফারুক, হাবিবুর রহমান, আনোয়ার হোসেন, রফিকুল ইসলাম;
আক্কাস আলী, ইসমাঈল হোসেন, সামসুদ্দিন আহম্মেদ, আনোয়ার হোসেন, নাঈম ইসলাম, ছেলে তোতামিয়া।
বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত কুমার সরকার জানান, তারা যে ১৬ জনকে আটক করেছেন, তাদের জামায়াতের মিছিল থেকে আটক করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এসময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা উত্তর কমিটির আমীর অধ্যক্ষ আনিসুর রহমান, জেলা নায়েবে আমীর আফজালুল আনাম, জেলা সেক্রেটারি মাওলানা রবিউল ইসলামসহ অন্যান্যরা। শহরের লিলিমোড় থেকে বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদিক্ষণ করে বাহাদুর বাজারে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের আয়োজন করেছিল তারা।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে উচ্ছেদ অভিযানে হামলায় ইউএনও-ওসিসহ আহত ১০, আটক ৩
মুন্সীগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ শ্রমিকের মৃত্যু, আটক ৩
চট্টগ্রামে নাশকতার মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৪ নেতাকর্মীর বিচার শুরু
চট্টগ্রামে নাশকতার মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৪ নেতাকর্মীর বিচার শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) প্রথম অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ কামাল হোসেন শিকদারের আদালত শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, শহরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার শেরশাহ এলাকায় ২০১৮ সালের ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৪ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আসামিপক্ষের আইনজীবী নাজমুল হাসান সিদ্দিকী বলেন, বায়েজিদ বোস্তামী থানার বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের পৃথক দুই মামলায় ৪৪ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য ছিল আজ। আদালতে শুনানিতে আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আ. লীগ নেতা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ২
আদালত উভয়পক্ষের শুনানি শেষে দুই মামলায় আসামি একই ৪৪ জন বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
মামলায় উল্লেখযোগ্য নেতাকর্মীরা হলেন- মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-দপ্তরসম্পাদক মো. ইদ্রিস আলী, সাবেক সহ-সম্পাদক জিএম আইয়ুব খান, বায়েজীদ বোস্তামী থানার বিএনপির সভাপতি আবদুল্লাহ আল হারুন, সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন, বায়েজীদ বোস্তামী থানার জামায়ায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির ইসমাইল হোসেন সিরাজী, জালালাবাদ ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. বেলাল ও নগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফখরুল ইসলামসহ বিএনপি জামাতের প্রচলনের জন্য নেতা কর্মী রয়েছে।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৪ অক্টোবর নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার শেরশাহ এলাকায় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে মামলা করে পুলিশ বিএনপি-জামায়াতের ৪১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। তদন্ত শেষে পুলিশ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।
আরও পড়ুন: বিশ্বনাথ উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আরও ৩ মামলা
মৌলভীবাজারে জামায়াত আমির-সাধারণ সম্পাদকসহ আটক ৫
মৌলভীবাজারে জামায়াত আমির-সাধারণ সম্পাদকসহ আটক ৫
মৌলভীবাজার সদর উপজেলায় গোপন বৈঠকের সময় জামায়াতে ইসলামীর ৫ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার কনকপুর ইউনিয়নের শাহবন্দর এলাকার জাকির হোসেন নামে এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: মৌলভীবাজারে মিনিবাসচাপায় মায়ের মৃত্যু, মেয়ে গুরুতর আহত
আটক ৫ নেতা-কর্মী হলেন- মৌলভীবাজার জেলা জামায়াতের আমির ইঞ্জিনিয়ার মো. শাহেদ আলী, সাধারণ সম্পাদক ইয়ামির আলী, মৌলভীবাজার সদর উপজেলা শাখার আমির ফখরুল ইসলাম, মৌলভীবাজার পৌর জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ চৌধুরী ও মৌলভীবাজার জেলা জামায়াতের সদস্য শেখ শাহাবুদ্দিন।
মৌলভীবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ চৌধুরী জানান, আটকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: চবিতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫
আসাদগেটে গাড়ির গ্যাস সিলিন্ডারে আগুন লেগে আহত ২
ফেসবুকে সাঈদীর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করায় ৪ ছাত্রলীগ কর্মী বহিষ্কার
মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুর ঘটনায় ফেসবুকে শোকপ্রকাশ করে স্ট্যাটাস দেওয়ায় বুধবার (১৬ আগস্ট) সাতক্ষীরা ও ঠাকুরগাঁওয়ে ছাত্রলীগের চার নেতা-কর্মীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া একজনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
উভয় জেলা ছাত্রলীগের নেতারা জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে সুপারিশ করা হয়েছে। জেলা সংগঠনের আদর্শ পরিপন্থী হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এসএম আশিকুর রহমান ও সম্পাদক মো. সুমন হোসেনের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই বহিষ্কারাদেশ দেওয়া হয়।
সাময়িক বহিষ্কৃতরা হলেন-তালা উপজেলা শাখার সহসভাপতি সাইফুদ্দীন আজাদ সবুজ ও মাহিন ইসলাম মাসুম এবং সীমান্ত আদর্শ কলেজ শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক আশিক কবির।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এসএম আশিকুর রহমান বলেন, ‘জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ছিলেন আদালতের রায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী। তার মৃত্যুর পর অভিযুক্ত নেতা-কর্মীরা ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে আক্ষেপ করেছেন; যা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নীতি ও আদর্শ পরিপন্থী। তাই তাদের ছাত্রলীগ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘একই সঙ্গে তাদের স্থায়ীভাবে সংগঠন থেকে বহিষ্কারের জন্য ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদে সুপারিশ করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: সিলেটে আদালতে এপিপির উপর হামলা: ছাত্রলীগে নেতাসহ ২৫৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
তিনি আরও বলেন, ‘এ রকম আরও কয়েকজনের দেওয়া ফেসবুক পোস্টের স্ক্রিনশট আমাদের কাছে এসেছে। যাচাই-বাছাই করে তাদের ব্যাপারেও দ্রুত সিদ্ধান্ত নেব। প্রথমে আমরা তাদের সাময়িক বহিষ্কার করেছি। পাশাপাশি চূড়ান্ত বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রের কাছে সুপারিশ পাঠিয়েছি।’
অন্যদিকে বুধবার রাতে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর রহমান মিঠু ও সাধারণ সম্পাদক নবাব হোসেনের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মানবতাবিরোধী অপরাধী জামায়াত নেতাকে নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় জেলা ছাত্রলীগের একজনকে সাময়িক বহিষ্কার এবং আরেকজনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
অভিযুক্ত নেতারা হলেন- পীরগঞ্জ উপজেলার ৯ নম্বর সেনগাঁও ইউনিয়নের ছাত্রলীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক ইউসুফ ইসলাম এবং ৫ নম্বর সৈয়দপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান।
এ বিষয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নবাব হোসেন বলেন, ‘ইউসুফ ও মেহেদী মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতাকে নিয়ে তাদের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে আবেগঘন পোস্ট দেন। যা ছাত্রলীগের দলীয় শৃঙ্খলার পরিপন্থী। এ কারণে তিন মাসের জন্য ইউসুফ ইসলামের বর্তমান পদ ও সদস্যপদ স্থগিত এবং মেহেদী হাসানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ ছাড়াও তাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে আবেদন করা হবে।’
আরও পড়ুন: বিভাগীয় সমাবেশে বিশৃঙ্খলা: রংপুরে ছাত্রলীগের ৯ কর্মীকে স্থায়ী বহিষ্কার
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাঙচুরের অভিযোগ ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে
আগস্ট মাস ঘিরে বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বে নাশকতার ছক আঁকা হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাঙালির বেদনাবিধূর আগস্ট মাস ঘিরে বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বে নাশকতার ছক আঁকা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। সেটিকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা হচ্ছে গতরাত (১৪ আগস্ট) থেকে। এটি হচ্ছে বিএনপি-জামায়াত আগস্ট মাস জুড়ে দেশব্যাপী যে নাশকতা-বিশৃঙ্খলার পরিকল্পনা করেছে তারই অংশ।’
আরও পড়ুন: বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যেই প্রমাণ হয় তারা জঙ্গিদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক: তথ্যমন্ত্রী
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) বিকালে রাজধানীর কাকরাইলে তথ্য ভবনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর (ডিএফপি) আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আগস্ট মাস এলেই স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি, জঙ্গিগোষ্ঠী তৎপর হয় উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে, ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা করা হয়েছে। ১৭ আগস্ট দেশের ৬৩ জেলার পাঁচশ’ জায়গায় বোমা ফোটানো হয়েছে।’
আগস্ট মাসকে বাঙালি জীবনের বেদনাবিধূর মাস হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেন, এই আগস্ট মাসেই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়েছে। এই আগস্ট মাসেই মহাপ্রয়াণ ঘটেছে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের, মৃত্যুবরণ করেছেন দ্রোহের কবি, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। এই আগস্ট মাসেই ফাঁসির মঞ্চে নিজে গলায় দড়ি পরিয়েছেন ক্ষুদিরাম বসু।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাঙালি জীবনের বেদনাবিধূর এই মাস এলেই বাঙালিবিরোধী, বাঙালিত্ববিরোধী, আমাদের কৃষ্টি-সংস্কৃতিবিরোধী, দেশবিরোধী অপশক্তি তৎপর হয়। সেজন্য আমাদের সবার সতর্ক দৃষ্টি রাখা প্রয়োজন। আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। আর দেশকে এগিয়ে নিতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।’
আরও পড়ুন: ১৫ আগস্টের পেছনে জিয়া, ২১ আগস্টের পেছনে তারেক: তথ্যমন্ত্রী
খাদের কিনারে বিএনপি, নির্বাচন বর্জন করলেই পতন: তথ্যমন্ত্রী
৪ আগস্ট সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে চায় জামায়াত
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আগামী শুক্রবার (৪ আগস্ট) সমাবেশ করতে চায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
এজন্য সমাবেশের অনুমতি চেয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের কাছে আবেদন করেছে দলটি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের লালদীঘি মাঠে ২২ জুলাই সমাবেশ করতে চায় জামায়াত
মঙ্গলবার (১ আগস্ট) জামায়াতের পক্ষে আইনজীবী আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল অনুমতি চেয়ে ডিএমপিতে একটি আবেদন জমা দেন।
চিঠি জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মঙ্গলবার ১ আগস্ট পূর্বঘোষিত কর্মসূচি পালনের কথা থাকলেও পুলিশের সহযোগিতা না পাওয়ায় আমরা সমাবেশ করতে পারিনি।
তাই শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আমরা শুক্রবার দুপুর আড়াইটায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করছি পুলিশের কাছ থেকে শতাভাগ সহায়তা পাব।
এদিকে আবেদনটি গ্রহণ করেন ডিএমপি সদর দপ্তরের উপপুলিশ কমিশনার সৈয়দ শিমুল মোস্তফা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় ৫০০ জামায়াত-শিবির কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
চুয়াডাঙ্গায় বিএনপি-জামায়াতের ১৯ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় ৫০০ জামায়াত-শিবির কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
চট্টগ্রাম মহানগরীর আগ্রাবাদ চৌমুহনী এলাকায় জামায়াত- শিবিরের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ১৬ জনের নাম উল্লেখ্য করে অজ্ঞাতনামা ৫০০ জনকে আসামি দেখানো হয়েছে।
শনিবার (২৯ জুলাই) বাদী হয়ে সিএমপির ডবলমুরিং থানায় মামলাটি দায়ের করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ধর্ষণ মামলায় এএসপি সোহেলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাখাওয়াত হোসেন বলেন, জামায়াত-শিবিরের মিছিল থেকে পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর ও বেশ কয়েকজন পুলিশকে আহত করে।
ঘটনাস্থল থেকে আটক ২১ জনের মধ্যে সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় ৫ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি ১৬ জনসহ অজ্ঞাতনামা ৪০০ থেকে ৫০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
ওই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার জুমার নামাজের পর আগ্রাবাদ বাদামতলী মোড় থেকে কয়েক হাজার জামায়াত-শিবির কর্মী ঝটিকা মিছিল বের করে।
মিছিলটি চৌমুহনী মোড়ে পৌঁছালে পুলিশ বাধা দিলে নেতা-কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পরে সামনে পেয়ে তারা পুলিশের একটি গাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এসময় গাড়ির ভেতর থেকে পুলিশের ডবলমুরিং জোনের সহকারী কমিশনার মুকুর চাকমা বের হলে তাকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
এতে তিনিসহ তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। ওদিন ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ২১ জনকে আটক করে।
তবে জামায়াতের পক্ষ থেকে দাবী করা হয়, পুলিশ জামায়াতের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সহযোগিতায় হামলা চালিয়েছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে স্ত্রী ও দুই শ্যালকের বিরুদ্ধে স্বামীর যৌতুক দাবির মামলা!
চট্টগ্রামে ইয়াবা জব্দ: মামলায় ট্রাকচালক ও সহকারীর যাবজ্জীবন