অগ্নিকাণ্ড
গাজীপুর টেক্সটাইল কারখানায় আগুন
গাজীপুর সদর উপজেলায় একটি টেক্সটাইল মিলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিটের দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের সালেক টেক্সটাইল মিলসে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
আমানত শাহ্ গ্রুপের ফায়ার অ্যান্ড সেফটি অফিসার আমিনুল ইসলাম জানান, আগুনে কারখানার উইভিং সেকশন পুরোপুরি পুড়ে যায়। এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: আশুলিয়ায় ঝুটের গোডাউনে অগ্নিকাণ্ড
কারখানাটির অ্যাডমিন ম্যানেজার নেকমত হোসেন রুবেল জানান, বিদ্যুতের শটসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা আব্দুল হামিদ মিয়া জানান, ছয়টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত ছাড়া বলা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ আগুনে শিশুসহ ৭ জনের মৃত্যু
এদিকে, সাভারের আশুলিয়ায় ভয়াবহ আগুনে একটি ঝুটের গোডাউন পুড়ে গেছে।
আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের বেরণ এলাকার ব্যবসায়ী আকবর হোসেন মৃধার ঝুটের গোডাউনে শনিবার দিবাগত রাতে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোর রাতে ওই ঝুটের গোডাউনে ভয়াবহ আগুন লাগে। এ সময় আগুনে পুরো ঝুটের গোডাউনটি পুরে যায়। খবর পেয়ে আশুলিয়ার ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে তুলার গোডাউনে আগুন
ফায়ার সার্ভিস জানায়, কীভাবে ওই ঝুটের গোডাউনে আগুন লেগেছে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
আগুনে ১২ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ঝুটের গোডাউনের মালিক আকবর হোসেন মৃধা।
আশুলিয়া থানার ওসি কামরুজ্জামান জানান, বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
আরও পড়ুন:উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ আগুন
ফরিদপুরের করিম জুট মিলে আগুন
আশুলিয়ায় ঝুটের গোডাউনে অগ্নিকাণ্ড
সাভারের আশুলিয়ায় ভয়াবহ আগুনে একটি ঝুটের গোডাউন পুড়ে গেছে।
আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের বেরণ এলাকার ব্যবসায়ী আকবর হোসেন মৃধার ঝুটের গোডাউনে শনিবার দিবাগত রাতে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোর রাতে ওই ঝুটের গোডাউনে ভয়াবহ আগুন লাগে। এ সময় আগুনে পুরো ঝুটের গোডাউনটি পুরে যায়। খবর পেয়ে আশুলিয়ার ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে তুলার গোডাউনে আগুন
ফায়ার সার্ভিস জানায়, কিভাবে ওই ঝুটের গোডাউনে আগুন লেগেছে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
আগুনে ১২ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ঝুটের গোডাউনের মালিক আকবর হোসেন মৃধা।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ আগুনে শিশুসহ ৭ জনের মৃত্যু
আশুলিয়া থানার ওসি কামরুজ্জামান জানান, বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
আরও পড়ুন:উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ আগুন
ফরিদপুরের করিম জুট মিলে আগুন
উখিয়ায় অগ্নিকাণ্ডে ৩ রোহিঙ্গা দোকান কর্মচারী নিহত
কক্সবাজারের উখিয়ায় অগ্নিকাণ্ডে তিনজন রোহিঙ্গা দোকান কর্মচারী নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং বাজারে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
এ সময় উখিয়ার ১০নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের জি-১০ ব্লকের বাসিন্দা সৈয়দ আলমের ছেলে আনছার উল্লাহ (২০), মোস্তফার ছেলে ফরিদুল ইসলাম (২৫) ও রেজাবুলের ছেলে আয়াছ (২২) আগুনে দগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মারা গেছে। অগ্নিকাণ্ডে ৭টি কাপড়ের দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: মাতারবাড়ীতে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে শিশুসহ নিহত ৩
খবর পেয়ে উখিয়ার ফায়ার সার্ভিসের দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
উখিয়ার ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ইনচার্জ মো. ইমদাদুল হক বলেন, ‘উখিয়ার কুতুপালং বাজারে আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় দগ্ধ অবস্থায় তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে তাদের রোহিঙ্গা দোকান কর্মচারী বলে শনাক্ত করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। তবে তদন্ত না করে পুরোপুরি বলা সম্ভব নয়।’
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে শিশুসহ দগ্ধ ৫
উখিয়ার কুতুপালং বাজার কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘ভোররাতে কুতুপালং বাজারে হঠাৎ অগ্নিকাণ্ডের খবরে ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করি। পরে উখিয়ার ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এতে ৭টি কাপড়ের দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে এবং আরও ১০-১২টি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
আরও পড়ুন:ঠাকুরগাঁওয়ে এক বছরে প্রায় ৫০০ অগ্নিকাণ্ড
উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইনচার্জ জামিল আহমদ রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশের বাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উখিয়ার ফায়ার সার্ভিসের দমকল বাহিনী আগুন নিয়ন্ত্রণ শেষে তিনজন রোহিঙ্গার মৃতদেহ উদ্ধার করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ অবস্থান করছে।’
রাজশাহীতে তুলার গোডাউনে আগুন
রাজশাহী মহানগরীতে একটি তুলার গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে নগরের গণকপাড়া এলাকায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
রাজশাহী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক জাকির হোসেন জানান, দুপুর ১২টা ২৩ মিনিটে তুলার গোডাউনে আগুন লাগার খবর পায় দমকল কর্মীরা। সাথে সাথে একটি ইউনিট গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। আধাঘণ্টার মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসায় বড় ধরনের কোন ক্ষতি বা হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
তিনি জানান, ওই গোডাউনে তুলা ছাড়াও প্রচুর পরিমাণ নারিকেলের ছোপড়া ছিল। তবে কীভাবে আগুনের সূত্রপাত বা কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে প্রাথমিকভাবে তা জানা যায়নি। তদন্ত করে সেটি নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে ওই গোডাউনে বিদ্যুতের সংযোগ নেই। ফলে সর্টসার্কিট থেকে আগুন লাগার সুযোগ নেই। সিগারেট বা বিড়ির শেষ অংশ থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জাকির হোসেন বলেন, এ ধরনের ঘনবসতি এলাকায় তুলার গোডাউন ঝুঁকিপূর্ণ। গত ২৪ মার্চ এই এলাকার আরোকটি তুলার গোডাউনে আগুন লাগে। এরপর এখান থেকে এ ধরনের গোডাউন সরানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
আতশবাজির আগুনে সিলেটে পুড়ল ৪ ঘর
শবে বরাতের রাতে সিলেটে আতশবাজি থেকে আগুন লেগে চারটি ঘর পুড়ে গেছে।
সিলেট নগরের দক্ষিণ সুরমার ২৫নং ওয়ার্ডের কায়েস্থরাইল এলাকার আকিল শাহ্ মাজার রোডে সোমবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, কায়েস্থারাইল এলাকার লন্ডন প্রবাসী মাহবুবুর রহমানের বাসায় শবে বরাতের রাতে ফুলঝরি ও আতশবাজি দিয়ে শিশুরা খেলা করছিল। হঠাৎ করে বাসায় আগুন দেখতে পান প্রতিবেশীরা। পরে খবর পেয়ে দক্ষিণ সুরমা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা স্থানীয়দের সহযোগিতায় প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এর আগেই আধাপাকা বাসার চারটি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: দুই ট্রাকের সংঘর্ষে ইঞ্জিনে আগুন: সিরাজগঞ্জে চালক নিহত
ফায়ার সার্ভিস জানায়, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শবে বরাতের আতশবাজি থেকে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটতে পারে। তাৎক্ষণিকভাবে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় হতাহতের কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি।
দক্ষিণ সুরমা থানার সেকেন্ড অফিসার যতন চন্দ্র পাল বলেন, ‘কোনো শিশু তারাবাতি জ্বালিয়ে ওই ঘরের টিনের চালায় ছুড়ে মারে। কিছুক্ষণ পর চালায় জমে থাকা গাছের শুকনো পাতায় আগুন লেগে ওই ঘরে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পরে চারটি কক্ষের সব আসবাবপত্র পুড়ে যায়। খবর পেয়ে সাথে সাথে ফায়ার সার্ভিসকে জানাই ও একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠাই।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ আগুনে শিশুসহ ৭ জনের মৃত্যু
তিনি জানান, শবে বরাতের রাতে আতশবাজি বা তারাবাতি জ্বালানো আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।
আরও পড়ুন:উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ আগুন
ফরিদপুরের করিম জুট মিলে আগুন
নারায়ণগঞ্জে গ্যাস লিকেজ থেকে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ ৫
নারায়ণগঞ্জে বন্দরে গ্যাসের সাহায্যে পানির পাইপ লাইন পরিষ্কার ও মেরামত করার সময় দুই মিস্ত্রীসহ গ্যাসের আগুনে পাঁচজন দগ্ধ হয়েছেন।
শনিবার সকাল ১০টায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২৪ নং ওয়ার্ডের বন্দরের পূর্ব নোয়াদ্দা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এদের মধ্যে চারজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
অগ্নিদগ্ধরা হলেন মহসিন (৪০), মনির হোসেন (৫৫), সোলাইমান (৫০), নাজিমউদ্দিন (৫৫) ও মাহফুজ (১৪)।
আরও পড়ুন: মাতারবাড়ীতে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে শিশুসহ নিহত ৩
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা জানান, বন্দরের পূর্ব নোয়াদ্দা এলাকার আবদুল আজিজের ছেলে সোলাইমানের বাড়ির পানি সরবরাহের পাইপ লাইনে আয়রন জমে সরু হয়ে যায়। সরু পাইপ দিয়ে পানি না আসায় সরবরাহ বাড়ানোর জন্য শনিবার মহসিন ও মনির নামে দুই মিস্ত্রীকে নিয়ে আসেন সোলাইমান। মিস্ত্রীরা পাইপের জ্যাম সারাতে হাওয়ার মেশিন ব্যবহার না করে গ্যাসের প্রেসার ব্যবহারের চেষ্টা করেন। তারা অন্য একটি পাইপের মাধ্যমে রাইজার থেকে গ্যাস সংযোগ নিয়ে পানির পাইপে চাপ প্রয়োগ করে জমে থাকা আবর্জনা পরিষ্কার করতে থাকেন।
ওসি জানান, এ সময় পাইপের লিকেজ দিয়ে নির্গত গ্যাস ঘরে জমতে থাকে। এরপর পাশের গ্যাসের চুলার আগুন ঘরে জমে থাকা গ্যাসের সংস্পর্শে আসতেই আগুনের লেলিহান শিখা ঘরের চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় দুই মিস্ত্রীসহ পাঁচজন দগ্ধ হন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে শিশুসহ দগ্ধ ৫
এলাকাবাসী দগ্ধদের উদ্ধার করে প্রথমে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে চারজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয় বলে দীপক চন্দ্র সাহা জানিয়েছেন।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডে কারো দোষ থাকলে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডে কারো দোষত্রুটি থাকলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
তিনি বলেন, ‘কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কারো দুরভিসন্ধি বা কারো অবহেলা কিংবা দোষত্রুটি থাকলে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’
বুধবার দুপুরে উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
আসাদুজ্জামান বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা তদন্ত করে সরকারের কাছে প্রতিবেদন জমা দিবে। যদি প্রতিবেদনে কারো দুরভিসন্ধি বা অবহেলা পাওয়া যায় তা অবশ্যই সরকার খতিয়ে দেখবে।’
আরও পড়ুন:ভাসানচরে উৎসুক জনতা যেতে পারবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের যারা আগুনে বসতি হারিয়েছেন তাদের ভাসানচরে নেয়ার কোন পরিকল্পনা সরকারের নেই। কোনো রোহিঙ্গাকে জোর করে ভাসানচরে নেয়া হবে না। তবে ভাসান চর এখন অনেক উন্নত জায়গা। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ও নিঃস্ব হয়ে যাওয়া রোহিঙ্গারা যদি স্ব-ইচ্ছায় সেখানে যেতে চায় তাহলে অবশ্যই সরকার তাদের সেখানে নিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, ‘সরকারের প্রথম পদক্ষেপ হচ্ছে রোহিঙ্গাদের তাদের দেশ মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে আমরা সব সময় বলে আসছি। বিশ্ব সম্প্রদায় রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফেরত পাঠাতে ভূমিকা রাখুক তাই বাংলাদেশ আশা করে।’
এর আগে দুপুর দেড়টায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হেলিকপ্টার যোগে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আসেন। পরে বালুখালী ক্যাম্পে ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের সাথে কথা বলেন। এ সময় মন্ত্রী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত সকলকেই সহায়তার আশ্বাস দেন।
আরও পড়ুন: করোনা নিয়ন্ত্রণে কোনো ভুল সিদ্ধান্ত নেয়নি বাংলাদেশ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
গত সোমবার উখিয়া উপজেলার বালুখালীর পাঁচটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে সরকারি হিসেবে ১১ জন রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়। প্রায় ১০ হাজার বসতঘর পুড়ে যায় এবং ৪৫ হাজার রোহিঙ্গা বসতি হারায়।
আরও পড়ুন: হেফাজত নেতাদের মামলার বিষয়ে সরকারের কিছু করার নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ফরিদপুরের করিম জুট মিলে আগুন
ফরিদপুর সদর উপজেলায় জুট মিলের দুইটি গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট কাজ করছে।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার কানাইপুর এলাকায় করিম জুট স্পিনার্সের জুট সেক্টরের অগ্নিকাণ্ডের এই ঘটনা ঘটে।
তবে কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ আগুনে শিশুসহ ৭ জনের মৃত্যু
এদিকে জেলা প্রশাসক অতুল সরকার, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাসুম রেজাসহ পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীর বিজেএমসি ভবনে আগুন
ইউএনও মো. মাসুম রেজা জানান, করিম জুট স্পিনার্সের জুট সেক্টরের দুইটি গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট কাজ করছেন।
রও পড়ুন: গাজীপুরে কেমিকেল কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে নিহত ১, আহত ৩২
সৌদি আরবে অগ্নিকাণ্ডে দুই ভাইসহ বাংলাদেশি ৬ শ্রমিক নিহত
ঢামেকে অগ্নিকাণ্ডের পর ৩ রোগীর মৃত্যু
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডের আইসিইউতে অগ্নিকাণ্ডের পর বুধবার সকালে কমপক্ষে তিন রোগী মারা গেছেন।
চকরিয়ায় আগুনে প্রাণ গেল ৩ ঘুমন্ত শিশুর
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় আগুনে দগ্ধ হয়ে ঘুমন্ত তিন ভাই-বোনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।