প্রযুক্তি
৫০ কোটি মানুষকে ডিজিটাল আর্থিক সেবার আওতায় আনতে কাজ করবে হুয়াওয়ে
২০২৫ সালের মধ্যে ৫০ কোটি মানুষকে ডিজিটাল আর্থিক সেবার আওতায় আনতে নিজের উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে অপারেটরদের সহায়তা করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে হুয়াওয়ে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হুয়াওয়ের সিএসডি ফোরাম ২০২২ -এ আলোচনায় এই বিষয়টি উঠে আসে। হুয়াওয়ে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে একাধিক দেশের মন্ত্রী, নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও বৈশ্বিক সংস্থার প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
এই ফোরামে হুয়াওয়ের চেয়ারম্যান লিয়াং হুয়া মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন। এ সময় হুয়াওয়ে ওয়্যারলেস সল্যুশনের প্রেসিডেন্ট কাও মিং হুয়াওয়ের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও অন্যান্যদের সঙ্গে প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
৫০ কোটি মানুষ যেন ডিজিটাল আর্থিক পরিষেবা উপভোগ করতে পারেন এবং পাঁচ লাখ মানুষ অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা গ্রহণ করতে পারেন, এজন্য ২০২৫ সালের মধ্যে উন্নত আইসিটি অবকাঠামো তৈরির অন্যতম লক্ষ্য অর্জনে হুয়াওয়ে বিভিন্ন অংশীজনদের সঙ্গে কাজ করছে।
লিয়াং হুয়া তার মূল বক্তব্যে এ বিষয়ে আলোচনা করেন।
ডিজিটাল আর্থিক সেবা সাফল্যের ক্ষেত্রে উদাহরণ হিসেবে, বাংলাদেশে একটি মোবাইল ই-ওয়ালেট পরিষেবা চালু করার ক্ষেত্রে বিকাশ এবং হুয়াওয়ের অংশীদারিত্ব এবং কীভাবে এই পরিষেবাটি বাংলাদেশে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি সক্ষম করে তুলবে সে বিষয়টি লিয়াং উপস্থিত সবার সামনে তুলে ধরেন।
আলোচনায় লিয়াং বলেন, ‘মোবাইল ইন্টারনেট যুগ থেকে আমরা ইন্টেলিজেন্ট যুগে ধীরে-ধীরে প্রবেশ করছি। এই যুগে সবকিছু পরস্পরের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে এবং সহজ যোগাযোগের জন্য কানেক্টিভিটি ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। কানেক্টিভিটি শুধুমাত্র ডিজিটাল অর্থনীতির ভিত্তি নয় বরং এটি প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকার।’
আরও পড়ুন: দেশের ক্লাউড খাতের বিকাশে হুয়াওয়ে ও রেডডট ডিজিটাল
অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়গুলোকে বাস্তবে পরিণত করার জন্য আমরা দু’টি ক্ষেত্রে এ খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও অংশীজনদের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করছি। প্রথমত, আমরা ডিজিটাল স্বাক্ষরতা বৃদ্ধিতে কাজ করছি এবং ডিজিটাল বৈষম্য কমিয়ে আনতে ডিজিটাল পরিসরের উপযোগী দক্ষ প্রতিভা বিকাশে কাজ করছি। দ্বিতীয়ত, শক্তিশালী ডিজিটালএবং বাস্তব অর্থনীতির জন্য ডিজিটালাইজেশনকে ত্বরান্বিত করতে আমরা একসঙ্গে কাজ করছি।’
এ লক্ষ্যে, হুয়াওয়ে ২০টি এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশে (চীন ও ভারত ছাড়া) প্রায় ১ দশমিক ১ বিলিয়নমানুষ এবং ২৯৩ মিলিয়ন বাড়িতে কানেক্টিভিটি সেবা প্রদান করেছে। হুয়াওয়ে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সুদৃঢ় ট্র্যাক রেকর্ড বজায় রেখেছে।
২০২১ সালে হুয়াওয়ে এ অঞ্চলে তিন লাখেরও বেশি বেস স্টেশন রক্ষণাবেক্ষণে করেছে, যা ফোরজি নেটওয়ার্ক কভারেজ জনসংখ্যার ৯৭ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছানোর বিষয়টিকে তরান্বিত করেছে। ফিক্সড ব্রডব্যান্ড ডাউনলোডের হার এখন এ অঞ্চলে প্রতি সেকেন্ডে ১১০ মেগাবিট, যা আগের বছরের তুলনায় ১৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাংলাদেশে ইনফো সরকার প্রকল্পের তৃতীয় ধাপের অবকাঠামো নেটওয়ার্ক নির্মাণের দায়িত্বে রয়েছে হুয়াওয়ে। বর্ষাকালে ডেঙ্গুর উচ্চ ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও, হুয়াওয়ের ডেলিভারি কর্মীরা সাবট্রপিক্যাল ফরেস্ট, জলাভূমি, জলাবনসহ সরকারি প্রকল্পের অবকাঠামো নেটওয়ার্ককে ২ হাজার ৬০০ গ্রামীণ জনপদে ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে। যা দেশের মোট ৬০ শতাংশ এলাকায় ছড়িয়ে গেছে। এটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসকারী অনেক বাংলাদেশিকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিশ্বের অন্যান্য অংশের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে। ২০২২ সালের শেষ দিকে হুয়াওয়ে বাংলাদেশের জাতীয় ডিজিটাল সংযোগ প্রকল্পেও অংশগ্রহণ করবে, যেখানে সরকার, শিক্ষা ও আইসিটি অবকাঠামো নির্মাণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
আরও পড়ুন: বই মেলার ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে ক্লাউড সার্ভিস দিচ্ছে হুয়াওয়ে
অনলাইন শিক্ষার প্রসারে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এগিয়ে যাওয়ার আশা হুয়াওয়ের সিইও
ঢাকায় দক্ষিণ কোরিয়ার ড্রোন রোড শো বুধবার
ঢাকায় বাংলাদেশ-কোরিয়া ড্রোন রোড শো আয়োজন করছে কোরিয়ান দূতাবাস। বুধবার দেশটির বাংলাদেশের দূতাবাসের আয়োজিত হোটেল শেরাটনে ইউএভি এবং সফ্টওয়্যার সম্পর্কিত সমাধানের ওপর অর্ধ-দিনের এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-কিউন।
এই ইভেন্টটি কোরিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে বিশেষ করে উদ্ভাবনী প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সহযোগিতার নতুন সুযোগ সৃষ্টিতে কোরিয়াকে চালিত করবে।
ভূমি, অবকাঠামো ও পরিবহন মন্ত্রণালয় (এমওএলআইটি) এবং কোরিয়ান নেতৃস্থানীয় ইউএভি প্রযুক্তি কোম্পানি কোরিয়া ইন্সটিটিউট অফ এভিয়েশন সেফটি টেকনোলজি (কেআইএএসটি) এবং স্থানীয় বেসরকারি ও সরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা এই ইভেন্টে অংশগ্রহন করবে।
আরও পড়ুন: শিশু ধর্ষণকারীকে মুক্তি দেয়ায় দক্ষিণ কোরিয়ায় বিক্ষোভ, ডিম নিক্ষেপ
দূতাবাস বাংলাদেশে এই সুযোগের ব্যাখ্যা করে রাষ্ট্রদূত লি জোর দিয়ে বলেন, ‘ড্রোনগুলো বিভিন্ন উন্নত প্রযুক্তি যেমন এভিয়েশন, আইসিটি, সফ্টওয়্যার এবং সেন্সরগুলোর সঙ্গে একত্রিত হয়, যা বাংলাদেশের উদ্ভাবনী বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।’
তিনি ব্যাখ্যা করেন যে এই ড্রোন শো-এর প্রধান উদ্দেশ্য হলো ড্রোন প্রযুক্তির গুরুত্ব ও বৈচিত্র্যময় ব্যবহারের প্রতি বাংলাদেশ সরকার এবং ব্যবসায়িক খাতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা।
রোডশোর হাইলাইটগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের সরকারি কর্তৃপক্ষের উপস্থাপনা এবং কোরিয়ান কোম্পানিগুলোর পণ্য-নির্দিষ্ট উপস্থাপনাগুলোর একটি সিরিজ অন্তর্ভুক্ত থাকবে। যাতে তারা এই ক্ষেত্রে কীভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছে এবং কোরিয়া যে সমাধানগুলো অফার করতে পারে তার কিছু ব্যাখ্যা করে।
অনুষ্ঠানটি প্রদর্শনী এবং ব্যবসায়িক পরামর্শের মাধ্যমে দুই দেশের ব্যবসায়িক খাতের নেটওয়ার্ক এবং যোগাযোগ স্থাপনের জন্য উপলক্ষও অফার করবে।
আরও পড়ুন:ফের দক্ষিণ কোরিয়ার ভিসার জন্য আবেদন চালু
দেশীয় প্রযুক্তিতে সচল ডেমু ট্রেন চলাচল শুরু
স্বল্প খরচে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে সচল একটি ডেমু ট্রেন যাত্রীসহ পণ্য পরিবহন শুরু হয়েছে। রবিবার দুপুরে দিনাজপুরের পাবর্তীপুর রেলওয়ে স্টেশনে ডেমু ট্রেনের চলাচল উদ্বোধন করেছেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন জানান, অচল অন্য আরও ১৪ টি ডেমু ট্রেন চলতি বছরের মধ্যে সচল করতে ব্যবস্থা নিচ্ছে রেলওয়ে বিভাগ।
শত কোটি নয়, অর্ধশত কোটির চেয়ে কম খরচে ডেমুগুলো সচল করা যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে ডেমু ট্রেনটি পাবর্তীপুরে খোলাহাটি স্টেশন পর্যন্ত চালানোর সময় আরোহী হন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন ও স্থানীয় এমপি মোস্তাফিজুর রহমান ফিজারসহ রেলওয়ের কর্মকর্তারা। এসময় ট্রেনের গতি ছিল ঘন্টায় ৬০ কিলোমিটার। বিকাল ৫ টা ২০ মিনিটে রংপুরের উদ্দেশে যাত্রী নিয়ে স্টেশন ছেড়ে গেছে ডেমু ট্রেনটি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের মহা ব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার।
আরও পড়ুন: পর্যায়ক্রমে সকল রেল ব্যবস্থাকে ব্রডগেজে রূপান্তর করছি: রেলমন্ত্রী
এসময় মোস্তাফিজুর রহমান এমপি, রেলওয়ের অতিরিক্ত মহা ব্যবস্হাপক মঞ্জুর উল আলম চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বারিউল করিম খান, পাবর্তীপুরের উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুল ইসলাম প্রামানিক এবং আওয়ামী লীগ নেতা আমজাদ হোসেনসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।
প্রায় সাড়ে ৬শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১৩ সালে চীন থেকে আমদানি করা হয়েছিল ২০টি ডেমু ট্রেন। কিন্তু ওয়ারেন্টির নির্ধারিত সময়ের আগে ২০২০ সালের মধ্যে একে একে অচল হয়ে পড়ে সবক'টি ডেমু ট্রেন। ডেমু ট্রেনগুলো মেরামতে সচল করতে মোটা অংকের টাকা দাবি করেছিল সরবরাহকারি প্রতিষ্ঠান। ফলে ডেমুগুলো অচল হয়ে পড়ে ছিল বিভিন্ন স্থানে। মেরামতের আমন্ত্রণ পেয়ে চীনা প্রযুক্তি সরিয়ে দেশীয় কাঁচামাল ও যন্ত্রাংশ ব্যবহার করে ডেমু ট্রেনটি পাবর্তীপুরের কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানায় সচল করে তুলেছেন প্রকৌশলী আসাদুজ্জামানসহ অন্যান্য প্রকৌশলীরা। অচল আরও ১৪টি ডেমু ট্রেন সীমিত সময়ের মধ্যে সচল করতে পারবেন বলে আশা করছেন তারা।
অল্প সময়ের মধ্যে কম খরচে অচল সবগুলো ডেমু ট্রেন সচল করতে অপেক্ষা করছেন প্রকৌশলীরা।
এদিকে দীর্ঘদিন পর আবারো ডেমু ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ায় খুশি যাত্রীরা। এতে গন্তব্যে চলাচলে ভোগান্তির অবসানসহ নানানভাবে সুফল পাবার আশা করছেন তারা।
তবে আপাতত সচল হওয়া ডেমু ট্রেনটি দিনাজপুরের পাবর্তীপুর স্টেশন থেকে দৈনিক বিকাল সোয়া ৫ টায় ছেড়ে রংপুর স্টেশন পর্যন্ত যাত্রী পরিবহনে সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে। এবং বিকাল ৬টা ২০ মিনিটে রংপুর থেকে ছেড়ে আবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে পাবর্তীপুর ফিরে আসার সূচি ঠিক করা হয়েছে। অন্যান্য ডেমুগুলো সচল করা সম্ভব হলে দেশের বিভন্ন রুটে যাত্রীসহ মালামাল পরিবহনের কাজে লাগানো হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন: ঢাকা-ভাঙ্গা রেল চলাচল শুরু জুনে: রেলমন্ত্রী
পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-ভাঙ্গা ট্রেন চালু আগামী বছরের জুনে: রেলমন্ত্রী
দেশের প্রথম ‘ক্যাশ লেস’ ক্যাম্পাস হবে হাজী দানেশ: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিশ্ববিদ্যালয়কে দেশের প্রথম ক্যাশলেস ক্যাম্পাসে পরিণত করার ঘোষণা দিয়েছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এজন্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
রবিবার দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) এর যুব প্ল্যাটফর্ম ইয়াং বাংলার ‘ক্যাশলেস ইকোনমি’ লেটস টক শিরোনামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
এতে অর্থ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, আমার দেশ, আমার গ্রামের সহ-প্রতিষ্ঠাতা সাদেকা হাসান সেজুতি, বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সার ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির চেয়ারপারসন তানজিবা রহমান উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ সাহশ মোস্তাফিজ। এছাড়া নীতিনির্ধারক, উদ্যোক্তা ও তরুণদের এ অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫০ জনের বেশি তরুণ শিক্ষার্থী অংশ নেয়।
পড়ুন-প্রথম অপারেটর হিসেবে ফোরজি স্পেকট্রাম চালু করল বাংলালিংক
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের স্বাগত বক্তব্যের পরে অতিথিরা বক্তব্য রাখেন।
পরে জুনইদ আহমেদ পলক তার বক্তব্যে বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবে রূপান্তরিত হয়েছে। বাংলাদেশ এখন স্মার্ট বাংলাদেশ হতে চায়। ক্যাশলেস ইকোনমি হল ভিশন বাস্তবায়িত করার হাতিয়ার।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মাননীয় আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদের নির্দেশনায়, আমরা একটি আন্তঃপরিচালনাযোগ্য ডিজিটাল লেনদেন প্ল্যাটফর্ম ‘বিনিময়’ তৈরি করছি। এটা দেশে নগদবিহীন অর্থনীতিকে ত্বরান্বিত করবে।
সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ বলেন, দেশ জনসংখ্যাগত লভ্যাংশ উপভোগ করছে। এটাকে কাজে লাগাতে তরুণদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, জনগণই নগদবিহীন অর্থনীতি ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির হাতিয়ার।
আরও পড়ুন-বাংলাদেশে অফশোর ক্যাম্পাস স্থাপনের আহ্বান পলকের
দেশের জনশক্তি সম্পর্কে নিজের উচ্চাকাঙ্খী দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করে কাজী নাবিল আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ একটি নগদবিহীন অর্থনীতি ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধিতে দেশের উত্তরণে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। আমরা একটি নতুন সীমান্তের দ্বারপ্রান্তে আছি এবং আমাদের এই নতুন সীমান্তকে আলিঙ্গন করতে হবে।’
উদ্যোক্তা ও ইভেন্টের প্যানেলিস্ট সাদেকা সেজুতি বলেন, ২০০৮/০৯ সালে বাংলাদেশে কোনো পেমেন্ট গেটওয়ে ছিল না ও ই-কমার্সও ছিল না। ডিজিটাল বাংলাদেশের বাস্তবায়িত হওয়ার সাথে সাথে, দেশে এখন জাতীয় পেমেন্ট গেটওয়ে সিস্টেম রয়েছে যা বিকাশমান মোবাইল আর্থিক সেবাগুলোকে অনুঘটক করেছে।
তিনি বলেন, নগদবিহীন অর্থনীতিতে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে, আমাদের গ্রামীণ কৃষকদের নগদহীন লেনদেনের সাথে একীভূত করতে হবে যেখানে একজন কৃষক নগদবিহীন উপায়ে উপার্জন করতে, ব্যয় করতে ও সঞ্চয় করতে সক্ষম হবেন।
ফ্রিল্যান্সার ও প্যানেলিস্ট তানজিবা রহমান বলেন, আমরা ডিজিটাল লেনদেনের মাধ্যমে অনেক সময় ও ঝামেলা বাঁচাতে পারি। বিনিময়ে, সেই সময়ের মধ্যে, আমরা খুব সামান্য পরিমাণ সার্ভিস চার্জ দিতে পারি। যাইহোক, যদি আমরা এখনও চার্জ দিতে না চাই, তাহলে আমাদের ডিজিটাল থেকে ডিজিটাল লেনদেনকে অবলম্বন করতে হবে যাতে, আমাদের মোবাইল ব্যাংকিং-এ ক্যাশ আউট চার্জ দিতে না হয়।
আরও পড়ুন- কোন দেশগুলোতে সবচেয়ে কম দামে আইফোন-১৪ পাওয়া যাবে?
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যুবকদের প্রযুক্তিগত জ্ঞান অর্জনের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিক্ষা ও প্রযুক্তিগত জ্ঞান অর্জন করে দেশের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে যুবসমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘যেকোনো জাতির জন্য যুবসমাজ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমি চাই দেশের তরুণরা শিক্ষা, প্রশিক্ষণ এবং প্রযুক্তিগত জ্ঞান অর্জন করে যোগ্য নাগরিক হবে।’
রবিবার ‘ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড ২০২২’ বিতরণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি যোগ দেন।
আরও পড়ুন: চতুর্থ শিল্প বিপ্লব উদ্ভূত পরিবর্তন মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেয়ার ওপর জোর প্রধানমন্ত্রীর
তিনি বলেন, সরকার দেশের তরুণদের চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য প্রস্তুত করতে পদক্ষেপ নিয়েছে যা বেশিরভাগই হবে প্রযুক্তিনির্ভর।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালের উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার কারিগর হবে যুবসমাজ। তিনি দেশের যুবসমাজকে জাতির মূল্যবান সম্পদ হিসেবেও অভিহিত করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বের অনেক দেশ তাদের জনসংখ্যায় প্রয়োজনীয় যুবক না থাকায় ভুগছে।
যুবসমাজকে দেশের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা সংক্ষেপে বর্ণনা করেন শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্ব প্রদানের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এবং মন্ত্রণালয়ের সচিব মেসবাহ উদ্দিন বক্তব্য দেন।
যুব ও ক্রীড়া সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে পুরস্কারপ্রাপ্তদের পক্ষে মো. মাসুদ আলম ও মেঘনা খাতুন বক্তব্য দেন।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে প্রতিমন্ত্রী পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
অনুষ্ঠানে দেশের উন্নয়নের ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও প্রযুক্তি খাতে সমন্বিতভাবে কাজ করলে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্ব দেয়া সম্ভব
১৫ থেকে ২০ হাজার প্রাইস রেঞ্জে অপোর নতুন স্মার্টফোন এ৫৭
সম্প্রতি, দেশের বাজারে অপো এর নতুন স্মার্টফোন অপো এ৫৭ উন্মোচন করেছে। এ সিরিজের নতুন এই ডিভাইসটি ব্র্যান্ডটির স্মার্টফোন লাইন-আপের সর্বাধুনিক ফোন। নতুন এই ফোনটিতে রয়েছে ৩৩ ওয়াট সুপারভুক ফ্ল্যাশ চার্জিং, ডুয়াল স্টেরিও স্পিকার ও ৮জিবি পর্যন্ত র্যাম এক্সপেনশন প্রযুক্তি সহ উপভোগ্য উপায়ে স্মার্টফোন ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন ধরনের ফিচার। অত্যাধুনিক ফিচার ও প্রযুক্তিসমৃদ্ধ অপো এ৫৭ স্মার্টডিভাইসটির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭ হাজার ৯৯০ টাকা। ব্যবহারকারীদের ফোন ব্যবহারের অনন্য অভিজ্ঞতা দিতে নতুন এ ডিভাইসটিতে উন্নতমানের ফিচার ব্যবহার করা হয়েছে।
অপো এ৫৭ ডিভাইসে রয়েছে আল্ট্রা-লিনিয়ার ডুয়াল স্টেরিও স্পিকার এবং ৩৩ ওয়াট সুপারভুক চার্জিং, যা ব্যবহারকারীকে ফোন ব্যবহারের সেরা বিনোদন অভিজ্ঞতা প্রদান করবে। এ ডিভাইসটি ব্যবহারকারীকে হোম-থিয়েটারের মতো অভিজ্ঞতা প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করবে। এটি বেইজ রেসপন্সকে উন্নত করে এবং মুভি ও গেম খেলার সময় বাড়তি মাত্রা যোগ করতে সর্বোচ্চ ভলিউমের বিষয়টি নিশ্চিত করে। অন্যদিকে, স্টেরিও সাউন্ড ফিল্ড ইমার্সন বৃদ্ধি করে। আল্ট্রা ভলিউম মোড টপ ভলিউমকে ৪৪ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়, যা শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের জন্য বেশ সহায়ক। এ ফিচারগুলো সমন্বিতভাবে ব্যবহারকারীদের দীর্ঘস্থায়ী ও অনন্য বিনোদন অভিজ্ঞতা প্রদান করতে সক্ষম করে তুলবে! ৩৩ ওয়াট সুপারভুক চার্জিং প্রযুক্তির সহায়তায় পাঁচ মিনিট চার্জ দিয়ে ব্যবহারকারীরা তাদের প্রিয়জনদের সাথে ৩ ঘন্টা ১৭ মিনিট কথা বলতে পারবেন।
অন্যদিকে, ১৫ মিনিট চার্জ দিয়ে ব্যবহারকারীরা ৪ ঘন্টা ভিডিও স্ট্রিমিং ও ইউটিউবে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও উপভোগ করতে পারবেন। এ ফোনটি মাত্র ৩০ মিনিটে শূন্য থেকে ৫১ শতাংশ পর্যন্ত চার্জ প্রাপ্ত হয়। ফ্ল্যাশ চার্জিং প্রযুক্তির সহায়তায় এ ডিভাইসটি মাত্র ৭২ মিনিটে পূর্ণ চার্জ প্রাপ্ত হয়!
অপো এ৫৭ ডিভাইসে রয়েছে পাঁচ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার শক্তিশালী ব্যাটারি, যা ৩০ মিনিটের মধ্যে ফোনকে ৫১ শতাংশেরও বেশি চার্জ প্রাপ্ত করে। সম্পূর্ণ চার্জের মাধ্যমে ফোনটি দিয়ে ১৫ ঘণ্টা ইউটিউব স্ট্রিমিং অথবা স্ট্যান্ডবাইতে ১২.৭ দিন পর্যন্ত চার্জ থাকে।
আরও পড়ুন: অপো এফ২১ প্রো: ফ্যাশনপ্রেমীদের জন্য সানসেট অরেঞ্জ রঙের ফ্যান্টাস্টিক ফোন
মানব পাচার মোকাবিলায় প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের সহজ স্থানান্তর চায় ঢাকা
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে যে, মানব পাচার একটি আন্তঃসীমান্ত বা আন্তঃরাষ্ট্রীয় অপরাধ। পাচারকারীরা একটি নির্দিষ্ট দেশে প্রযুক্তির ব্যবহারে ভাল হতে পারে এবং তাদের কাছে উন্নত প্রযুক্তি থাকতে পারে। আমরা আমাদের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করছি যে, জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সনদ ও উদ্যোগের মাধ্যমে মানব পাচার প্রতিরোধ করব।’
তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তির মাধ্যমে মানব পাচারকারীরা আরও বেশি ক্ষতি করে। তবে সরকারি সংস্থা এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে পাচারকারীর প্রচেষ্টাকেও প্রতিহত করতে পারে।’
‘প্রযুক্তির ব্যবহার এবং অপব্যবহার’-এই প্রতিপাদ্য নিয়ে শনিবার বিশ্ব মানব পাচার প্রতিরোধ দিবস ২০২২- উদযাপিত হয়। দিবসটি উপলক্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ইউএন নেটওয়ার্ক অন মাইগ্রেশন-এর ‘কাউন্টার ট্রাফিকিং ইন পার্সনস টেকনিক্যাল ওয়ার্কিং গ্রুপ’ প্রযুক্তির ব্যবহার এবং অপব্যবহারের প্রেক্ষাপটে মানব পাচার প্রতিরোধ বিষয়ে একটি জাতীয় পরামর্শ সভার আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে কোভিড-১৯-এর প্রেক্ষাপটে সাম্প্রতিক মানব পাচারের প্রবণতা, পরবর্তী পরিস্থিতি এবং সাইবার স্পেসে মানব পাচারের বিষয়ে আলোচনা হয়।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা বাংলাদেশ সরকার, আন্তর্জাতিক অংশীদার, বেসরকারি খাত এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও গণমাধ্যমের কর্মকর্তারা অংশ নেন। তারা মানব পাচার প্রতিরোধে সমন্বিত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: আরও ১ বছর ডি-৮ এর সভাপতি থাকবে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশ মানব পাচারের ক্ষেত্রে উৎস, ট্রানজিট ও গন্তব্য দেশ। যদিও বাংলাদেশ মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের ট্রাফিকিং ইন পারসনস প্রতিবেদন ২০২২ অনুয়ায়ী ‘টায়র ২’-এ অবস্থান করছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে মানব পাচার দমন ও প্রতিরোধে অনেক ভাল উদ্যোগ নিয়েছে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘মানুষ পাচার একটি গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং এ বিষয়ে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি রয়েছে। আমরা এই ভয়াবহ অপরাধের বিরুদ্ধে সক্রিয়ভাবে পদক্ষেপ নিচ্ছি। পাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য সব পক্ষের সম্পৃক্ততা প্রয়োজন। মানব পাচার প্রতিরোধে অনলাইনে সচেতনতা বৃদ্ধিতে সরকার কাজ চালিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেনের মতে, ‘পাচারের শিকার ব্যক্তিরা শারীরিক ও মানসিক সহিংসতার শিকার হন। তারা হয়রানি, জোরপূর্বক শ্রম, জোরপূর্বক ও অবৈধ বিয়ে, মৃত্যুর মত পরিস্থিতিতে পরেন। সর্বস্তরে মানব পাচার প্রতিরোধে সরকার কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে।’
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুস সালেহীন উল্লেখ করেন, ‘মানব পাচার রোধে বাংলাদেশ সরকারের যথেষ্ট আইন ও নীতি রয়েছে। এছাড়াও, অভিবাসন সংক্রান্ত গ্লোবাল কমপ্যাক্ট ব্যক্তি পাচার নির্মূল করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের এখন জাতীয়, আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক পর্যায়ে এই আইন ও কমপ্যাক্টের কার্যকর বাস্তবায়ন করে, মানব পাচারের মত জঘন্য অপরাধের অবসান ঘটাতে হবে।’
প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপরাধীরা মানব পাচারের কার্যক্রম জোরদার করছে। অনেক ক্ষেত্রে তাদের সনাক্ত করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। ভুক্তভোগীদের নিয়োগ, শোষণ এবং নিয়ন্ত্রণ করার জন্য পাচারকারীরা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের নানা টুল ব্যবহার করছে। এছাড়া পাচারকারীরা সহজে ভুক্তভোগীদের পরিবহন, বাসস্থান, বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রলোভন দেখানো, অন্য পাচারকারীদের সঙ্গে যোগাযোগেও প্রযুক্তির সহযোগিতা নিচ্ছে। প্রযুক্তি ব্যবহার করে পাচারকারীরা পরিচয় গোপন করছে। দ্রুত গতিতে এবং অল্প খরচে যোগাযোগ করতেও প্রযুক্তিকে কাজে লাগাচ্ছে তারা।
আরও পড়ুন: বন্যা থেকে বাঁচতে নদীগুলো খনন করতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস উল্লেখ করেন, ‘প্রযুক্তি পাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের হাতিয়ার হিসেবেও অনেক সম্ভাবনা তৈরি করেছে। মানব পাচার নির্মূলের প্রচেষ্টায় ভবিষ্যত সাফল্যের জন্য আইন প্রয়োগকারী এবং অপরাধমূলক বিচার ব্যবস্থায় প্রযুক্তির ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
আইওএম বাংলাদেশ-এর মিশন প্রধান এবং বাংলাদেশ ইউএন নেটওয়ার্ক অন মাইগ্রেশনের সমন্বয়কারী আবদুসাত্তর এসয়েভ বলেন, ‘ইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়ার নিরাপদ ব্যবহারের ওপর প্রতিরোধ ও সচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রম করলে মানব পাচারের ঝুঁকি কমবে। মানব পাচার দমন ও প্রতিরোধে সহায়তার জন্য টেকসই প্রযুক্তি-ভিত্তিক সমাধানে বেসরকারি খাতের সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ। যার মাধ্যমে আমরা বেসরকারি খাতের উদ্ভাবন ও দক্ষতা কাজে লাগাতে পারি।’
প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১০ লাখ মানুষ বিদেশ যান। যাদের মধ্যে অনেকেই পাচারকারীদের লক্ষ্যবস্তু হন। কোন কোন অভিবাসী ঋণ, জোরপূর্বক শ্রম, যৌন শোষণ, জোরপূর্বক বিয়ে এবং আধুনিক দাসত্বের শিকার হন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন, বাংলাদেশে সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স জেরেমি ওপ্রিটেসকো, বাংলাদেশে মার্কিন দূতাবাসের ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি চিফ অব মিশন স্কট ব্র্যান্ডন এবং বাংলাদেশের কূটনৈতিক পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বন্যাকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
নারীদের প্রযুক্তি খাতে সম্পৃক্ত করতে না পারলে কাঙ্খিত উন্নয়ন সম্ভব না: পলক
দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারী, তাদের প্রযুক্তি খাতে সম্পৃক্ত করতে না পারলে কাঙ্খিত অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
সোমবার দুপুরে নাটোরের সিংড়ায় উপজেলা ও পৌর যুব মহিলা লীগের ত্রি বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য আগামীর বাংলাদেশকে সম্পূর্ণভাবে প্রযুক্তিনির্ভর করে গড়ে তোলা হবে। আর প্রযুক্তিনির্ভর বাংলাদেশ বিনির্মাণে নারীদের সম্পৃক্ত করতে না পারলে কাঙ্খিত অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। কারণ দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারী। তাদের বাইরে রেখে সেটা সম্ভব না।
উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি মানসি ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে স্থানীয় কোর্ট মাঠে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল, সংসদ সদস্য আবিদা আঞ্জুম মিতা, খোদেজা নাসরীন, কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি কোহেলী কুদ্দুসসহ অন্যান্যরা।
আরও পড়ুন: বর্তমান বিশ্ব প্রতিযোগিতার নয়, সহযোগিতার: পলক
২ বছরের মধ্যে বিচারিক ব্যবস্থা পুরোপুরি ডিজিটাইজড করা হবে: পলক
বাজেট অর্থনীতিকে শক্তিশালী করবে: অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আশা প্রকাশ করে বলেছেন, ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট বাস্তবায়ন অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী ও প্রাণবন্ত করবে।
শুক্রবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেটোত্তর সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আশা করি এই বাজেট বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমাদের অর্থনীতি আরও শক্তিশালী ও প্রাণবন্ত হবে।’
অর্থমন্ত্রী করোনা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট অনিশ্চয়তা থেকে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের ওপর বিশেষ মনোযোগ দিয়ে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের ছয় লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার জাতীয় বাজেট উন্মোচন করেছেন।
আরও পড়ুন: বাজেট ২০২২-২৩: সম্পূর্ণ অডিও-ভিজ্যুয়াল উপস্থাপনা করেছেন অর্থমন্ত্রী
অরিজিনাল ফোন চেনার উপায়: ফোন কেনার আগে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা জরুরি
আসল ফোন চেনার উপায় জানা থাকলে যাবতীয় বিড়ম্বনার অবসান ঘটতে পারে ফোনটি কেনার সময়। সর্বশেষ প্রযুক্তির সর্বোচ্চ কনফিগারেশনের সেটটি বাজেটের মধ্যে পেতে হলে ফোন যাচাই বাছাই আবশ্যক। বাজারে হাজারো ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন থেকে পছন্দের হ্যান্ডসেটটি লুফে নিতে বাজার দরের পাশাপাশি তার কারিগরি জ্ঞানও প্রয়োজন। তবে এর মানে এই নয় যে স্মার্টফোনের ব্যাপারে একদম দক্ষ হতে হবে। এই জ্ঞান মুলত যে ফোনটি কেনা হচ্ছে তা আসল না নকল সে বিষয়ে সাবধানতার দিকে নির্দেশ করছে। অনেক সময় অসকতর্কতার কারণে দুর্ভাগ্যজনক ভাবে সবচেয়ে নামকরা কোম্পানির নকল ফোন কিনে প্রতারিত হতে হয়। তাই সঠিক ফোন চেনার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়েই আজকের এই নিবন্ধ।
অফিসিয়াল ও আনঅফিসিয়াল ফোনের মধ্যে পার্থক্য
অরিজিনাল ফোনগুলো ভ্যাট-ট্যাক্স প্রদান করে আইনগতভাবে দেশের বাজারে প্রবেশ করে। সেই সঙ্গে এগুলোর আইএমইআই (ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি) নাম্বার সরকারি ডাটাবেসে নিবন্ধিত হয়ে যায়। একই ভাবে দেশের ভেতরে প্রস্তুতকৃত ফোনগুলোর আইএমইআই নাম্বারও দেশের মোবাইল ফোন ডাটাবেসে নিবন্ধিত থাকে। স্বভাবতই এই অফিসিয়াল ফোনগুলোর দাম বেশি হয়ে থাকে।
অন্যদিকে, ভ্যাট-ট্যাক্স না দেয়ার কারণে আমদানিকৃত নকল ফোনগুলোর দাম অপেক্ষাকৃত কম হয়। এই ফোনগুলো অবিকল অফিসিয়াল ফোনের মতোই দেখতে এবং প্রথম দিকে একদম অরিজিনাল ফোনের মতই কাজ করে। কিন্তু পরবর্তীতে ফোন ব্যবহারের সময় বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
আরও পড়ুন: মোবাইল ফোন পানিতে পড়ে গেলে করণীয়
আনঅফিসিয়াল ফোন কেনার ঝুঁকি
ম্যালওয়্যার অ্যাটাক
একটি নকল মোবাইল সেট ব্যবহারে সবচেয়ে বেশি যে বিপত্তির সম্মুখীন হতে হয় তা হলো- ম্যালওয়্যারের সংক্রমণ। এই ম্যালওয়্যার ফোনটি যে নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত হয় সেই নেটওয়ার্ক জুড়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে। পাশাপাশি নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য মোবাইল ফোনকেও সংক্রমিত করে ফেলতে পারে।
এই ম্যালওয়্যারগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক হলো কী-লগিং। এর মাধ্যমে কোন হ্যাকার যখন ফোনের অ্যাক্সেস পেয়ে যায়, তখন তারা ফোনটিতে ক্ষতিকারক লিঙ্ক পাঠাতে থাকে। ফোন ব্যবহারকারি সেই লিঙ্কে ক্লিক করা মাত্রই ফোনের প্রয়োজনীয় তথ্য এবং ব্যবহারকারির ব্যক্তিগত তথ্য তার অজান্তেই পাচার হয়ে যায়।
র্যানসমওয়্যারের ঝুঁকি
র্যানসমওয়্যার নকল মোবাইল ফোনে খুব সহজেই গুরুত্বপূর্ণ ফাইলগুলোকে নষ্ট করে ফেলতে পারে। ফলে ফোন ব্যবহারকারি সেই ফাইলগুলো ব্যবহার করতে পারে না। ম্যালওয়্যারের মত এটিও যে কোন নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকটি ফোনকে সংক্রমিত করতে পারে।
আরও পড়ুন: দেশের বাজারে ১০৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা’র রিয়েলমি ৯ ফোরজি ও সি৩৫
অনিরাপদ অপারেটিং সিস্টেম (ওএস)
নকল মোবাইল ফোনগুলো নির্দিষ্ট সময়ের সঙ্গে আপডেট হয় না। এর ফলে ফোনটি পূর্ণ দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে না। ওএস ডিভাইসের মডেল, সিপিইউ কোর, র্যাম, স্টোরেজ ইত্যাদির উপর ভুল রিপোর্ট তৈরি করে। ধীরে ধীরে ফোনটি ব্যবহারের অনুপযুক্ত হয়ে পড়তে থাকে।
স্বাস্থ্য ঝুঁকি
অরিজিনাল ফোনের নির্মাতারা তাদের ডিভাইসগুলো বাজারে বিক্রি করার আগে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করে থাকেন। উদ্দেশ্য একটাই আর তা হচ্ছে- গ্রাহকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। অ্যাপল, অ্যান্ড্রয়েড-এর মতো নিবন্ধিত কোম্পানিগুলো জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা প্রোটোকল এবং সুরক্ষা মান নিশ্চিত করে থাকে। অধিকাংশ ফোন প্রস্তুতকারক কোম্পানি রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি নির্গমনের সংস্পর্শে এড়ানোকে অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে থাকে।
নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানগুলো সুরক্ষার প্রতিটি স্তর পূরণের জন্য মোবাইল ডিভাইস, চার্জার এবং ব্যাটারির মান নিশ্চিত করে। বিশেষ করে ব্যাটারি পরীক্ষার ক্ষেত্রে এই কোম্পানিগুলো আপসহীন ভাবে অত্যাধুনিক পদ্ধতি অনুসরণ করে৷
আরও পড়ুন: ফোন ফ্যাক্টরি রিসেট করার সঠিক পদ্ধতি
অন্যদিকে, নকল মোবাইল, চার্জার এবং ব্যাটারিগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যায় না। ফলশ্রুতিতে এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ বাইরে থেকে যায় গ্রাহকদের নিরাপত্তার বিষয়টি। বিভিন্ন গণযোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাটারি বিস্ফোরণের ঘটনা একদমি নতুন নয়। শরীরের খুব কাছাকাছি থাকায় নিমেষে টাইম বম-এ পরিণত হওয়া এই বস্তুটি গ্রাহকদের ভয়াবহ ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়ায়। নিম্নমানের ব্যাটারি মানেই এর ভেতরে থাকা রাসায়নিক উপাদানগুলোর বিক্রিয়ার ক্ষতিকর প্রভাব, যা চূড়ান্ত পর্যায়ে অঙ্গহানীর দিকে নিয়ে যায়।
ত্রুটিপূর্ণ নেটওয়ার্ক
আনঅফিসিয়াল ফোনের গ্রাহকদের একটি সাধারণ অভিযোগ হচ্ছে- নেটওয়ার্কের ব্যাঘাত ঘটা। যেমন- কল করার সময় ব্যাকগ্রাউন্ডে শব্দ শোনা। নকল ফোনগুলো স্বাভাবিকভাবেই কল গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়। এমনকি কিছু কিছু স্থানে নেটওয়ার্ক বারও দেখা যায় না।
এছাড়া নকল ডিভাইসগুলোর নেটওয়ার্ক-এর গতি কম থাকে, যা গ্রাহকদেরকে চরম হতাশাজনক অভিজ্ঞতা দেয়। বেশিরভাগ লোকেশনে নকল ফোনের সিগন্যাল এবং কল ব্যর্থতার প্রবণতা বেশি থাকে। বাধ্য হয়ে ফোন কেনার অল্প সময়ের মধ্যে তারা ফোনটি প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়। অন্যদিকে, একটি জেনুইন ফোনে কোনো সমস্যা ছাড়াই সহজেই কল করা এবং গ্রহণ করা যায়।
আরও পড়ুন:
পরিবেশগত ঝুঁকি
নকল ডিভাইস, চার্জার এবং ব্যাটারি নিম্নমানের উপাদান দিয়ে তৈরি থাকে। এতে থাকা রাসায়নিক উপাদান শুধু মানুষের জন্যই ক্ষতিকর নয়, বরং পরিবেশেরও ক্ষতি করতে পারে। এই ধরনের ডিভাইস তৈরিতে ব্যবহৃত সস্তা এবং নিম্নমানের ধাতু ও রাসায়নিক উপাদানগুলো ল্যাবে পরীক্ষিত থাকে না। স্বভাবতই, এই ফোনগুলো হয় ত্রুটিযুক্ত এবং এতে ব্যবহারকারীদের সঙ্গে সঙ্গে তাদের আশেপাশের সম্পত্তির ক্ষতি করার সম্ভাবনা থাকে।
আনঅফিসিয়াল ফোনে থাকা পারদ এবং সীসা পরিবেশের ঝুঁকির কারণ হতে পারে। এগুলো থেকে রাসায়নিক পদার্থ যেমন তামা, ক্যাডমিয়াম, লিথিয়াম, জিঙ্ক এবং আর্সেনিক বাস্তুতন্ত্রকে ব্যাহত করতে পারে।
আরও পড়ুন: হোমিকরসিন: বাংলাদেশি বিজ্ঞানীদের আবিষ্কৃত নতুন অ্যান্টিবায়োটিক
কিভাবে অফিসিয়াল ফোন যাচাই করবেন?
বিটিআরসি আইএমইআই নাম্বারের মাধ্যমে অফিসিয়াল ফোন যাচাই
অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ক্ষেত্রে
প্রতিটি অফিসিয়াল স্মার্টফোনে ১৫-সংখ্যার একটি আইএমইআই নাম্বার থাকে। এটি প্রতিটি ফোনের জন্যই আলাদা হয়, যা ডিভাইসের প্যাকেজিং-এও উল্লেখ থাকে। একটি আনঅফিসিয়াল ফোন থেকে একটি অফিসিয়াল ফোন চেনার জন্য এই কোডটিই যথেষ্ট।
অর্থাৎ প্রকৃত ফোন যাচাই করতে সর্বপ্রথম এই ১৫-সংখ্যার আইএমইআই কোডটি খুঁজে বের করতে হবে। এই অনুসন্ধানটি দুটি উপায়ে চালানো যেতে পারে:
প্রথমটি হলো→ *#০৬# ডায়াল করলে সাথে সাথেই ১৫-সংখ্যার আইএমইআই নাম্বারটি মোবাইল স্ক্রিনে ভেসে উঠবে।
আরও পড়ুন: আপনার স্মার্টফোন দিয়ে আয় করার সেরা কিছু উপায়!
আরেকটি অনুসন্ধান পদ্ধতি হলো ফোনের সেটিংস-এর মাধ্যমে। সেটিংস থেকে খুঁজে বের করতে হবে অ্যাবাউট ডিভাইস। এখানে ক্লিক করলে দ্বিতীয় স্ক্রিন থেকে বাছাই করতে হবে স্ট্যাটাস। অতঃপর মোবাইল স্ক্রিনে কাঙ্ক্ষিত আইএমইআই নাম্বারটি প্রদর্শন করবে।
এবার কম্পিউটার বা মোবাইল থেকে যে কোন ব্রাউজার (যেমন গুগল ক্রোম) থেকে imei.info ওয়েবসাইটে যেতে হবে। এরপর দৃশ্যমান ডায়ালগ বক্সে সেই ১৫-সংখ্যার আইএমইআই নাম্বারটি লিখে চেক-এ ক্লিক করতে হবে। সঙ্গে সঙ্গেই ফোনের সমস্ত তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রদর্শিত হবে।
এই অংশে যদি ফোনের স্ক্রিনে ফোনের তথ্য না দেখিয়ে ভিন্ন কিছু দেখায়, তাহলে বুঝতে হবে এটি একটি নকল ফোন।
আরও পড়ুন: অভয় অ্যাপ: কিশোরীদের নিরাপত্তায় নতুন মাত্রা
আইফোনের ক্ষেত্রে
প্রথমে সিম কার্ড স্লটে ফোনের সিরিয়াল নাম্বার পরীক্ষা করতে হবে। অথবা সেটিংস থেকে জেনারেল তারপর অ্যাবাউট-এ যেয়েও পাওয়া যাবে সিরিয়াল নাম্বার।
এবার মোবাইল বা কম্পিউটার থেকে checkcoverage.apple.com ওয়েবসাইটে যেতে হবে। তারপর সেখানে দেখানো ডায়লগ বক্সে সিরিয়াল নাম্বারটি লিখে চেক-এ ক্লিক করতে হবে।
এই অংশে হ্যান্ডসেট নকল হলে স্ক্রিনে ‘অবৈধ সিরিয়াল নম্বর’ বার্তা প্রদর্শন করবে। আর যদি তা না করে তাহলে বুঝতে হবে মোবাইল ফোনটি আসল।
আরও পড়ুন: পুরনো স্মার্টফোনের আয়ু বাড়ানোর ৫টি টিপস
এসএমএস-এর মাধ্যমে অফিসিয়াল ফোন যাচাই
মোবাইলের ম্যাসেজ অপশনে যেয়ে টাইপ করতে হবে KYD, তারপর একটি স্পেস; অতঃপর ১৫-সংখ্যার আইএমইআই নম্বার। অর্থাৎ ম্যাসেজটি এরকম হবে- "KYD 1234567890ABCDE"।
তারপর ম্যাসেজটি পাঠিয়ে দিতে হবে ১৬০০২ নাম্বারে। এর সঙ্গে সঙ্গেই একটি উত্তর আসবে আর এই উত্তরটিই নিশ্চিত করবে যে মোবাইল ফোনটি অফিসিয়াল নাকি আনঅফিসিয়াল।
শেষাংশ
শুধু সঠিক স্মার্টফোনটি কেনাই নয়; অরিজিনাল ফোন চেনার উপায় জানা মানে সেটির দীর্ঘস্থায়ী ও যথাযথ ব্যবহার। ঘন ঘন সেট বদলানোর পাশাপাশি বারবার ফোন মেরামতের ঝামেলা থেকেও রেহাই মিলবে, যদি ফোন নির্বাচনে সুদূরপ্রসারী দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় দেয়া যায়। দৈনন্দিন জীবনের এই অবিচ্ছেদ্য বস্তুটি থেকে কাঙ্ক্ষিত সুবিধা পাওয়ার একমাত্র উপায় হলো এর নিঁখুত নির্বাচন। অন্যথায়, সাময়িক ভুল সিদ্ধান্তে সময় ও অর্থ দুটোই অপচয়ের মাধ্যমে এই দরকারি জিনিসটি উল্টো চরম বিপত্তির কারণ হয়ে দাড়াবে।
আরও পড়ুন: মোবাইলের আনলিমিটেড ডাটা প্যাকেজ চালু