প্রযুক্তি
বিশ্বের দ্রুততম চার্জিং প্রযুক্তি উন্মোচন করবে রিয়েলমি
বার্সেলোনায় হতে যাওয়া এমডব্লিউসি ২০২২ -এ বিশ্বের দ্রুততম স্মার্টফোন চার্জিং উন্মোচন করার ঘোষণা দিয়েছে স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি।
মঙ্গলবার প্রতিষ্ঠানটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ব্যবহারকারীদের দ্রুততম এবং সবচেয়ে কার্যকর চার্জিং অভিজ্ঞতা দেয়ার লক্ষ্যে রিয়েলমি বরাবরই বিনিয়োগ করে আসছে।
এই ক্ষেত্রে ১২৫ ওয়াট ক্ষমতা বিশিষ্ট চার্জিং টেকনোলজি লঞ্চ করার মাধ্যমে নিজেদের শীর্ষস্থানীয় অবস্থান ধরে রেখেছে রিয়েলমি। পরবর্তী পদক্ষেপে বিশ্বের দ্রুততম স্মার্টফোন চার্জিং চালু করতে যাচ্ছে ২০২২ সালের এমডব্লিউসি অনুষ্ঠানে।
আরও পড়ুন: দেশের প্রথম স্ন্যাপড্রাগন প্রসেসর নিয়ে বাজারে এলো রিয়েলমি ৯ আই
একই শ্রেণির অনুরূপ ডিভাইসের সঙ্গে তুলনা করলে রিয়েলমির দ্রুত চার্জিং প্রযুক্তি সবার চেয়ে এগিয়ে। গো প্রিমিয়াম কৌশলের অধীনে, রিয়েলমি উদ্ভাবনের জন্য আর অ্যান্ড ডি সেক্টরে ৭০ শতাংশ বিনিয়োগ করবে এবং চার্জিং প্রযুক্তি হলো অন্যতম প্রধান অংশ।
রিয়েলমি বিশ্বাস করে নতুন এই চার্জিং প্রযুক্তিটি অল্প সময়ের মধ্যে গ্রাহকদের স্মার্টফোনকে সম্পূর্ণরূপে চার্জ করতে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে। এছাড়াও এবারের এমডব্লিউসি-তে একই সময়ে ইউরোপীয় প্রথম স্ন্যাপড্রাগন-৮ জেন ১-যুক্ত স্মার্টফোন রিয়েলমি জিটি ২ প্রো উন্মোচন করার ঘোষণা দিয়েছে রিয়েলমি।
প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষাকে এগিয়ে নিতে কন্টেন্টের মান নিশ্চিত করতে হবে: মোস্তাফা জব্বার
প্রযুক্তিতে ভাষা ব্যবহারের সুবিধার্থে বাংলা কন্টেন্টের গুণগত মান নিশ্চিত করতে হবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
শনিবার রাজধানীতে টেলিকম অপারেটর রবি আয়োজিত ‘প্রযুক্তিতে বাংলার ব্যবহার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই আগামী প্রজন্মের জন্য ভাষার প্রযুক্তিগত উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে। গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তিতে বাংলাকে সমৃদ্ধ করার জন্য ১৬টি টুল তৈরি করা হচ্ছে।’
বিটিআরসির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিম পারভেজ বলেন, ‘ বাংলা বিশ্বের সপ্তম সর্বাধিক জনবহুল ভাষা হলেও এটি এখনো ইন্টারনেটে ব্যবহৃত শীর্ষ ৪০ টি ভাষার মধ্যেও স্থান পায়নি। ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল স্তরের মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য, বাংলা ভাষার ব্যবহার বাড়াতে হবে।’
আরও পড়ুন: মাতৃভাষায় শিক্ষা গ্রহণ কেন জরুরি?
রবির চিফ কমার্শিয়াল অফিসার শিহাব আহমেদ বলেন, আমাদের বিনোদন ভিত্তিক বিষয়বস্তুর ওপর নির্ভরশীলতা থেকে সরে এসে ব্যবহারিক বিষয়বস্তুর বিষয়ে মনোযোগী হতে হবে। এছাড়াও, বাংলা ভাষায় অনুসন্ধানের মাধ্যমে বিভিন্ন কন্টেন্ট খুঁজে পাওয়া যায় কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে।
বাংলাদেশের টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক-এর সভাপতি রাশেদ মেহেদী বলেন, ‘আমাদের ইন্টারনেটে বাংলা পরিভাষার প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে হবে।’
টেকশহর ডটকমের প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক মুহাম্মদ খান বলেন: ‘প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষার ব্যবহারে সন্তুষ্টি ৫০ শতাংশের বেশি নয়। এই ক্ষেত্রে অগ্রগতির জন্য সরকারের আরও পদক্ষেপ প্রয়োজন।’
তিনি আরও বলেন, বাংলা নিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলেও অনেক কাজ করার রয়েছে। পৃথিবীর অনেক দেশেই নাগরিক সেবা প্লাটফর্মে অনেক ভাষায় যোগাযোগ ও সেবা পাওয়া যায়। এতে প্রবাসীরা নিজ নিজ ভাষায় সহজে যোগাযোগ করতে পারে। দেশগুলোর এসব প্লাটফর্মে যেনো বাংলা ভাষাও থাকে সে বিষয়ে দূতাবাসগুলোর মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে।
আরও পড়ুন: গ্রাফিক নভেল ‘মুজিব’ ইতিহাসের এক অসাধারণ দলিল: জাফর ইকবাল
২০২২ সালে একুশে পদক পাবেন ২৪ বিশিষ্ট নাগরিক
ইউক্রেনে হামলা চালালে রাশিয়া বাজার ও প্রযুক্তি পণ্য অবরোধের মুখে পড়বে
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নির্বাহী কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডার লেন বলেছেন, ইউক্রেনে হামলা চালালে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে আর্থিক বাজার এবং উচ্চ প্রযুক্তিগত পণ্যের বাজারে মস্কোর প্রবেশাধিকার সীমিত হয়ে পড়বে।
শনিবার মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যে উরসুলা ভন ডার লেন ইউক্রেন নিয়ে সৃষ্ট সাম্প্রতিক উত্তেজনা ও রাশিয়ার প্রতি দেয়া পশ্চিমা হুমকির পুনরাবৃত্তি করে এসব বলেন।
এর আগে শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, তিনি নিশ্চিত হয়েছেন ‘রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিবেশী দেশটিতে (ইউক্রেন) আক্রমণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’
ভন ডার লেন বলেন, ক্রেমলিন এখনও চাইলে বিপজ্জনক চিন্তাভাবনা থেকে বেরিয়ে এসে, রাশিয়াকে একটি সমৃদ্ধ ভবিষ্যত দিতে পারে।
ভন ডের লেন আরও বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাহী শাখা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডার সঙ্গে মিলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আর্থিক নিষেধাজ্ঞার জন্য একটি ‘শক্তিশালী ও বিস্তৃত প্যাকেজ’ তৈরি করেছে।
তিনি বলেন, যদি রাশিয়া হামলা চালায়, আমরা রুশ অর্থনীতির জন্য আর্থিক বাজারে প্রবেশাধিকার সীমিত করব এবং রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ করব (অবরোধ)। যাতে রাশিয়ার অর্থনীতির আধুনিকীকরণ ও বৈচিত্র্যকরণের সম্ভাবনাকে বন্ধ করে দেবে।
আরও পড়ুন: বাইডেন ‘নিশ্চিত’ পুতিন ইউক্রেনে হামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন
তিনি আরও বলেন, এছাড়া আমাদের প্রচুর উচ্চ প্রযুক্তির পণ্য রয়েছে এবং এ ব্যাপারে আমাদের বিশ্বব্যাপী আধিপত্যও রয়েছে। এটি (প্রযুক্তি পণ্য) রাশিয়ার জন্য খুবই প্রয়োজনীয় এবং সহজে তারা এর বিকল্প পাবে না।
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ বলেছেন, পুতিনের সঙ্গে মঙ্গলবারের বৈঠকে তিনিও ‘স্পষ্ট করেছেন যে ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতার লঙ্ঘন করলে, রাশিয়াকে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং ভূ-কৌশলগতভাবে উচ্চ মূল্য দিতে হবে।’
স্কোলজ আরও বলেন, একই সময়ে, আমি জোর দিয়ে বলেছি, আমাদের যৌথ কূটনীতি ব্যর্থ হবে না।
তবে পশ্চিমা নেতারা এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্টভাবে রাশিয়ার কোন কোন বিষয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করবে তা নির্দিষ্ট করেনি।
এক ফরাসি কর্মকর্তা জানান, শুক্রবার বাইডেন বেশ কয়েকটি মিত্রপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বলেছেন, ইউক্রেনে আক্রমণ করলে ... আমরা যে ব্যাপক নিষেধাজ্ঞার কথা বলছি তা শুরু করা হবে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন সীমান্তে আরও ৭ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া, দাবি যুক্তরাষ্ট্রের
ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি
মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন: জলবায়ু অর্থায়ন ও প্রযুক্তি সহায়তার নিশ্চয়তা চায় ঢাকা
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি বিশ্ব নেতাদের আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব গঠনের মাধ্যমে বাংলাদেশের মতো জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশ সমূহের জন্য আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছেন।
এ সময় তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিভিন্ন দেশের সম্ভাব্য পরিণতির দিকে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
শনিবার ‘মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে’ জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় এক প্যানেল আলোচনায় দেয়া বক্তব্যে ড. মোমেন এসব কথা বলেন।
বিভিন্ন দেশের সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাতের বিশ্ব নেতাদের অংশগ্রহণে দক্ষিণ জার্মানির শহর মিউনিখে শুক্রবার থেকে তিন দিনের মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, মিউনিখ নিরাপত্তা সূচক ২০২২-এর জন্য করা জরিপে মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনকে শীর্ষ নিরাপত্তা ঝুঁকি হিসাবে চিহ্নিত করেছে।
শনিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকের-উজ-জামানও বাংলাদেশ থেকে এ বছর সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর কার্বন নির্গমনের হার খুবই নগণ্য। তবুও জি-২০ দেশসমূহের কর্মকাণ্ডের কারণে বৈশ্বিক জলবায়ু দূষণের কারণে এই দেশগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ড. মোমেন বলেন, প্যারিস জলবায়ু সম্মেলনে জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশসমূহের জন্য বার্ষিক ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দেয়ার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এই বছর কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু অর্থ চুক্তির পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে ভূরাজনীতি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পুরনো স্মার্টফোনের আয়ু বাড়ানোর ৫টি টিপস
প্রযুক্তির ক্রমাগত অগ্রগতিতে যোগাযোগ ব্যবস্থার উত্তরোত্তর উন্নয়নে দৈনন্দিন জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়েছে স্মার্টফোন। একটি দিন স্মার্টফোন ছাড়া চলার কথা এখন কল্পনাও করা যায় না। তাই নিত্য ব্যবহার্য এই বস্তুটি কোন কারণে নষ্ট হয়ে গেলে বেশ ঝামেলায় পড়তে হয়। যতদিন বিকল হয়ে যাওয়া ফোনটি ঠিক না হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত ব্যক্তি জীবন থেকে শুরু করে কর্মজীবনের প্রতিটি কর্মকান্ড প্রায় স্থবির হয়ে পড়ে। তাই চলুন, জেনে নেয়া যাক বেশ পুরনো স্মার্টফোনটি অকেজো হয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে এর আয়ু বাড়ানোর উপায়।
পুরনো স্মার্টফোনের আয়ু বাড়ানোর ৫টি টিপস
১। অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ এবং ফাইল মুছে ফেলা
স্মার্টফোনটির স্টোরেজ এবং র্যাম ক্ষমতার সর্বাধিক ব্যবহারের ফলে প্রত্যেকেই স্মার্টফোন ব্যবহার করতে যেয়ে রীতিমত হতাশার ভেতর পড়ে যান। কারণ এর ফলে ফোনটির কার্যকারিতা প্রথমে ধীর গতি হয়ে যায় এবং পরবর্তীতে তা ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ে। অ্যাপের আধিক্যের কারণে প্রায়শই আপগ্রেড সহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার অবিরাম নোটিফিকেশন ফোনটির সার্বিক প্রতিক্রিয়ার স্বাভাবিক গতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় অ্যাপসহ অন্যান্য অদরকারি ফাইলগুলো মুছে ফেলতে হবে।
ফোনের স্টোরেজ এবং মেমরির কথা মাথায় রেখে অ্যাপের সংখ্যাকে নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। এখানে অ্যাপের প্রয়োজনীয়তার চেয়ে অধিক গুরুত্ব দিতে হবে স্মার্টফোনের কারিগরি দিককে। অদরকারি ফাইলগুলো নিয়মিতই স্মার্টফোনকে জমা হতে থাকে, তাই নিয়মিত; কমপক্ষে তিন দিনে একবার করে হলেও সেগুলো মুছে ফেলার নিয়মটি অনুসরণ করা যেতে পারে। এতে ফোনের স্টোরেজ সাশ্রয় হওয়ার পাশাপাশি ফোনের ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতে থাকা কাজের পরিমাণ কমে যাবে। ফলশ্রুতিতে ফোনটির কার্যকারিতায় গতি আসবে এবং ফোনের আয়ুও বাড়বে।
পড়ুন: ভ্যালেন্টাইন ডে ২০২২: কয়েকটি সেরা ডিজিটাল উপহার
২। অতিরিক্ত কাজ করে ফোনের ব্যাটারি গরম করা এড়িয়ে চলা
স্মার্টফোনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হলো ব্যাটারি। সারাদিনে ফোন ব্যবহারের সাথে ওটা-নামা করে এই ব্যাটারির কার্যকারিতা। প্রথমেই যে ব্যাপারটি আসে সেটি হচ্ছে যে কোন অবস্থাতেই ব্যাটারিটিকে দ্রুত চার্জ দেয়া। এই কাজটি ব্যাটারির কোন ক্ষতি করে না কিন্তু ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী করতে হলে ফোনটিকে একদম শূন্যে নামিয়ে তারপর চার্জ দেয়া উচিত।
দ্বিতীয় বিষয় হচ্ছে গরমের দিনে ফোনকে উন্মুক্ত স্থানে যেখানে সরাসরি সূর্যের আলো পড়ে সেখানে রাখা ব্যাটারির আয়ু কমিয়ে দিতে পারে। এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো ছাড়া অতিরিক্ত কাজগুলো যেমন গেম খেলা, শুধু সময় অতিবাহিত করার জন্য ফোন ব্রাউজিং বাদ দেয়া যেতে পারে। প্রচন্ড গরম হলে অবশ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবেই ফোনটি বন্ধ হয়ে যায়, তাই কোন ভয়ের কারণ না থাকলেও এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি সামগ্রিক ভাবে ব্যাটারির আয়ু কমাতে পারে।
পড়ুন: অনলাইনে গ্যাস বিল পরিশোধ করার নিয়ম
৩। অ্যাপগুলো আপডেটেড রাখা
স্মার্টফোনের ইন্টারফেসটিকে যতটা সম্ভব দ্রুত এবং সমস্যামুক্ত রাখার জন্য অপারেটিং সিস্টেম এবং থার্ড পার্টি অ্যাপগুলো রিলিজের সাথে সাথেই আপডেট করা উচিত। এর সুবিধাগুলোও অনেক উপকারি। যেমন- পূর্বের ভার্সনে থাকা সমস্যাগুলো সমাধান করা এবং আরো শক্তিশালী সুরক্ষা নিশ্চিত থেকে শুরু করে নতুন কিছু বৈশিষ্ট্য নিয়ে আসে, যা ফোনের সামগ্রিক কর্মক্ষমতা উন্নত করে।
এক্ষেত্রে কোন আপডেট মুলতুবি আছে কি না তা নিয়মিত চেক করতে হবে। গুগল প্রতি মাসের প্রথম দিকে অ্যান্ড্রয়েড নিরাপত্তা আপডেট প্রকাশ করে, তাই ফোনের কোন আপডেট আছে কিনা তা দেখতে মাসের মাঝামাঝি সময় চেক করা ভালো।
আইফোনের ক্ষেত্রে আপডেট ডিফল্ট থাকলেও যেকোনো নতুন আপডেট রিলিজ হওয়ার সাথে সাথেই ফোন ডাউনলোড এবং ইনস্টল করবে না। বরঞ্চ ফোনটির সিস্টেম বা সফ্টওয়্যারটির ভার্সন আউটডেট হওয়ার এক বা দুই দিন পরে নতুন আপডেটটি ডাউনলোড করবে এবং তারপরে এটি রাতারাতি চার্জ হওয়ার পরের বার ইনস্টলেশনের সময় নির্ধারণ করবে।
পড়ুন: অনলাইনে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করার নিয়ম
৪। নির্দিষ্ট নিয়মানুসারে ফোনের পাওয়ার ডাউন রাখা
এটি পুরনো ফোনের ক্ষেত্রে বেশ কার্যকর। কিছুদিন পরপর স্মার্টফোনটিকে কিছু সময়ের জন্য বন্ধ রাখা যেতে পারে। আসলে এটি ল্যাপটপ কিংবা ডেস্কটপ কম্পিউটারের মতই একটি বস্তু, যেটির বিশ্রাম প্রয়োজন হয়। সপ্তাহে অন্তত একবার ফোনকে কয়েক মিনিটের জন্য পাওয়ার ডাউন করার নিয়মটি পরবর্তীতে আরও দক্ষতার সাথে ফোনটিকে ব্যবহার করা যাবে। এমনকি, স্মার্টফোনের আয়ু বাড়াতেও এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব রয়েছে।
পড়ুন: কান পেতে রই: দেশের প্রথম মানসিক সহায়তা হেলপলাইন
৫। টেম্পারড গ্লাস স্ক্রীন প্রোটেক্টর ব্যবহার করা
একটি ভাঙা স্ক্রীন যে কোন স্মার্টফোন ব্যবহারের জন্য একটা বিরাট বাধা। শুধু তাই নয়; ভাঙা স্ক্রীনে ফোন ব্যবহার করলে এটিকে আরও ক্ষতির দিকে নিয়ে যেতে পারে। তাই স্ক্রীন বদলে নেয়ার কোন বিকল্প নেই। একটি স্ক্রীন প্রোটেক্টর শুধু স্মার্টফোনকে সুরক্ষাই দেয় না, ফোনের টাচ কার্যকারিতাটিকেও সমুন্নত রাখে। অনেকে পুরনো ফোনটির স্ক্রীন ক্ষতিগ্রস্ত হলে পুরো ফোনটিই বদলে ফেলতে যান। কিন্তু শুধুমাত্র টেম্পারড গ্লাস স্ক্রিন প্রোটেক্টর-এ বিনিয়োগ করা নতুন ফোন কেনা থেকে অপেক্ষাকৃত ভালো। কেননা, স্টোরেজ ও র্যামের ক্ষমতা থেকে যথেষ্ট কম অ্যাপ ও ফাইল স্মার্টফোনে থাকলে আর অতিরিক্ত কাজ করে ফোনটিকে গরম না করলে ফোনটি আরো বহুদিন কাজ করবে। শুধু একটি টেম্পারড গ্লাস স্ক্রিন প্রোটেক্টর লাগিয়ে নিলেই চলবে। সুতরাং একজন সঠিক ব্যবহারকারির নতুন ফোন কেনার পরিবর্তে মেরামতের দিকে নজর দেয়া উচিত৷
পড়ুন: দৌড়ের সময় হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি: কারণ এবং ঝুঁকি কমাতে করণীয়
পরিশেষে
কারিগরি দিক থেকে প্রতিটি ইলেক্ট্রনিক বস্তুর একটি নির্দিষ্ট আয়ুষ্কাল থাকলেও সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে সেগুলোর আয়ু বাড়ানো যায়। উপরোল্লিখিত উপায় শুধু পুরনো নয়, নতুন কেনা স্মার্টফোনের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। পুরনো স্মার্টফোনটির আয়ু বাড়ানোর উপায়গুলো আকস্মিক ভাবে অর্থ ও সময় অপচয়ের সম্মুখীন হওয়া থেকে স্মার্টফোন ব্যবহারকারিদের মুক্তি দিতে পারে।
শিশুদের নিরাপদ ইন্টারনেট নিশ্চিতে সিসিমপুরের নতুন প্রকল্প
শিশু ও তাদের অভিভাবকদের জন্য নিরাপদ ইন্টারনেট ও প্রাকশৈশব বিকাশের লক্ষ্যে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে শিশুদের প্রিয় অনুষ্ঠান সিসিমপুর-এর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশ।
সোমবার এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ‘সেফ ইন্টারনেট ফর আর্লি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্ট’ নামের নতুন এই প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
শিশুদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই উদ্যোগ নেয়ায় সিসিমপুরকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, ভবিষ্যতে সিসিমপুরকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করবে সরকারের ডিজিটাল লিটারেসি সেন্টার।
আরও পড়ুন: কিডস্ক্রিন অ্যাওয়ার্ডসে মনোনয়ন পেলো সিসিমপুর
ইন্টারনেট সোসাইটি ফাউন্ডেশন-এর আর্থিক সহযোগিতায় দুইবছর মেয়াদি এই প্রকল্পের মাধ্যমে ভার্চুয়াল জগতে শিশুদের নিরাপত্তা এবং কী কী ধরনের প্ল্যাটফর্মে তারা শিক্ষাগ্রহণ করতে পারে, সে বিষয়ে গবেষণা করা হবে। পাশাপাশি নিরাপদ ইন্টারনেট নিশ্চিত করতে অভিভাবকদের জন্য তৈরি করা হবে গাইডলাইন।
এছাড়া সায়েন্স, টেকনোলজি, ইঞ্জিনিয়ারিং ও ম্যাথ (স্টেম) কে উপজীব্য করে শিশুদের জন্য একটি মোবাইল গেমও তৈরি করা হবে। তৈরি করা হবে বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল কনটেন্ট ও পাঁচটি গল্পের বই। যে বইগুলো বিতরণ করা হবে দেশের বিভিন্ন স্কুলে।
একইসঙ্গে, দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে সিসিমপুরের প্রিয় বন্ধু টুকটুকি, হালুম, শিকু, ইকরিরা নিরাপদ ইন্টারনেট বিষয়ক প্রচারণায় অংশ নেবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইন্টারনেট সোসাইটি ফাউন্ডেশন-এর গ্রান্ট স্পেশালিস্ট গুইলহার্ম গঞ্জালেস রোকা ই সুজা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি ইন্সটিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. বিএম মাইনুল হোসেন, তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উদ্যোক্তা সাবিলা ইনুন ও সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলম।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থার প্রতিনিধি, আইসিটি এক্সপার্ট. কনটেন্ট ডেভেলপার, আর্লি চাইল্ডহুড স্পেশালিস্ট এবং শিক্ষা বিশষজ্ঞরা অংশ নেন।
আরও পড়ুন: সেন্টমার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বাংলাদেশের প্রশংসা লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও’র
আসছে ’অল অল-ইন-ফাইভজি’ রিয়েলমি ৯ প্রো
বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি ৫-জি স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে শক্তিশালী প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রেখেছে। রিয়েলমি স্মার্টফোনের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রোডাক্ট লাইন রিয়েলমি’র নাম্বার সিরিজ, গত বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে চার কোটি শিপমেন্টে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে এবং এর মধ্য দিয়ে এমন কৃতিত্ব অর্জন করা বিশ্বের অন্যতম দ্রুততম স্মার্টফোন প্রোডাক্ট লাইনে পরিণত হয়েছে।
প্রথম প্রো+ প্রোডাক্ট সহ রিয়েলমি’র নাম্বার সিরিজ শিগগিরই নতুন রিয়েলমি ৯ প্রো সিরিজ বিশ্ববাজারে উন্মোচন করবে। রিয়েলমি আরও ঘোষণা করেছে যে, রিয়েলমি ৯ প্রো সিরিজের সকল পণ্য হবে ৫-জি।
মিডিয়াটেক ডিমেনসিটি ৯২০ ৫জি প্রসেসর যুক্ত বিশ্বের প্রথম স্মার্টফোনগুলোর একটি রিয়েলমি ৯ প্রো+। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং মানসম্পন্ন ডিজাইনের পণ্য বিশ্বব্যাপী তরুণদের পৌঁছে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রিয়েলমি।
আরও পড়ুন: চলতি বছর প্রিমিয়াম সেগমেন্টে আলোড়ন তুলবে রিয়েলমি
প্রতিষ্ঠানটি ২০২০ সাল থেকে সারা বিশ্বের তরুণদের জন্য বাজারে নিয়ে আসছে চমকপ্রদ ৫-জি স্মার্টফোন। মিডিয়াটেক ডিমেনসিটি ৯২০ ৫জি প্রসেসর যুক্ত প্রথম ফোনগুলোর তালিকায় থাকায় রিয়েলমি ৯ প্রো সিরিজ সকল ফাইভজি নেটওয়ার্ক সাপোর্ট করবে।
বাজার বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চ প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, ভারত, চীন এবং ইউরোপে শক্তিশালী প্রবৃদ্ধির সাথে তৃতীয় প্রান্তিকে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল ফাইভজি অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন ব্র্যান্ড ছিলো রিয়েলমি। বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির হার ১২১ শতাংশের তুলনায় বছর প্রতি ৮৩১ শতাংশ ফাইভজি স্মার্টফোন বিক্রির প্রবৃদ্ধির সাথে সংশ্লিষ্ট বাজারের সবাইকে ছাড়িয়ে যেতে সক্ষম হয় রিয়েলমি।
রিয়েলমি আগামী ৩ বছরের মধ্যে তরুণ ব্যবহারকারীদের কাছে ১০ কোটি ৫জি ফোন সরবরাহের লক্ষ্যে, ৫জি পণ্যের এক বিস্তৃত পোর্টফলিও তৈরিতে কাজ করছে। এ স্মার্টফোন ব্র্যান্ডটি তাদের উন্নত ‘১+৫+টি’ কৌশলের সাথে এআইওটি ২.০ বিকাশের পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। এর ফলে সাশ্রয়ী মূল্যের ৫জি ফোন ছাড়াও রিয়েলমি তরুণ প্রজন্মের ক্রেতাদের জন্য আরও অনেক এআইওটি পণ্য বাজারে নিয়ে আসবে।
আরও পড়ুন: বৈশ্বিক বাজারে জিটি ২ সিরিজ নিয়ে আসছে রিয়েলমি, উন্মোচিত হলো ডিজাইন
বিশ্বের প্রথম তিনটি প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন নিয়ে রিয়েলমির জিটি ২ সিরিজে উন্মোচন
ই-কমার্সে আস্থা ফেরাতে ফেব্রুয়ারিতে চালু হচ্ছে ইউবিআইডি: পলক
ই-কমার্স খাতকে বিশ্বস্ত করতে ফেব্রুয়ারিতে ইউনিক বিজনেস আইডি (ইউবিআইডি) চালু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেন, ‘ই-কমার্সে আস্থা ফেরাতে এই খাতে স্থিতিশীলতা আনয়ন এবং অনলাইন কেনা-বেচাকে ত্বরান্বিত্ব করার ক্ষেত্রে সমাধানের পথ হিসেবে উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের ডেটাবেজ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ইউনিক বিজনেস আইডি’র নিবন্ধন এবং ভোক্তাদের অধিকার নিশ্চিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, এটুআই, ভোক্তা অধিকার ও ই-ক্যাব মিলে তৈরি কেন্দ্রীয় অভিযোগ নিষ্পত্তি সিস্টেম আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে চালু করা হবে।’
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের কারিগরি সহায়তায় বুধবার আইসিটি টাওয়ারে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রতিমন্ত্রী এই সব তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আদিয়ান মার্টের সিইওসহ ৪ গ্রেপ্তার
তিনি বলেন, ‘ভোক্তাদের অধিকার নিশ্চিতেও কেন্দ্রীয় অভিযোগ নিষ্পত্তি সিস্টেম (সেন্ট্রাল কমপ্লেইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম-সিসিএমএস) এবং ইন্টার-অপারেবল ডিজিটাল ট্রানজেকশন প্ল্যাটফর্ম ‘বিনিময়’ চালু করা হবে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল বাণিজ্যিক কার্যক্রমকে ঘিরে উৎপাদক, বিক্রেতা, ক্রেতা, উদ্যোক্তা সবকিছু মিলে দেশে একটা ইকোসিস্টেম তৈরি হয়েছে। নতুন উদ্ভাবন ও নতুন প্রযুক্তিকে ব্যবহার করেই ই-কমার্সে বিদ্যমান সমস্যাগুলোর সমাধান করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘২০২১ সালের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে ই-কমার্স খাতে প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলারের বাজার তৈরি হয়েছে। অনলাইনে দেশের আড়াই হাজারের অধিক ই-কমার্স এবং ৫০ হাজারের বেশি এফ-কমার্স প্ল্যাটফর্মে প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের বেচা-কেনা হচ্ছে।’
পলক বলেন, ‘ইন্টার-অপারেবল ডিজিটাল ট্রানজেকশন প্ল্যাটফর্ম ‘বিনিময়’এরই মধ্যে তৈরি হয়ে গেছে। আগামী মার্চে উদ্বোধনের পর বিনিময় প্ল্যাটফর্ম ও অ্যাপের মাধ্যমে ইন্টার-অপারেবল ডিজিটাল ট্রানজেকশন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।’
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ফিজিক্যাল শপকে ডিজিটালে নিয়ে যেতে অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোকে আরও বেশি প্রযুক্তি নির্ভর করতে হবে। কেনা-বেচায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য এসব লেনদেনকে ডিজিটাল মাধ্যমে নিয়ে আসতে হবে। সঠিক পলিসি, টেকনোলজি ও স্ট্রাটেজি নেয়ার মাধ্যমে ই-কর্মাসকে আরও স্বচ্ছ ও নিরাপদ করা সম্ভব। যার সবচেয়ে বড় উদাহরণ হলো ডিজিটাল কোরবানির হাট।’
আরও পড়ুন: ই-কমার্স নিয়ে সরকারের পদক্ষেপ জানতে চায় হাইকোর্ট
প্রেস ব্রিফিংয়ে অন্যান্যদের মধ্যে আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, পিএএ, এটুআই-এর পলিসি অ্যাডভাইজর আনীর চৌধুরী, এটুআই-এর গ্রামীণ ই-কমার্স ও হেড অব কমার্সিলাইজেশন রেজওয়ানুল হক জামি ও ই-ক্যাব পরিচালক ও চালডালের সহ-প্রতিষ্ঠাতা জিয়া আশরাফ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও এর অধীন বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থা, এটুআই এবং আইডিয়া প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকরাসহ, প্ল্যাটফর্মগুলো প্রস্তুতে যুক্ত বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে নিয়মিত আপিল করার নির্দেশ
আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে দায়ের করা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলার তদন্ত কার্যক্রমের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিট খারিজের বিরুদ্ধে নিয়মিত আপিল করার নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে শহিদুল আলমের আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ চার সপ্তাহের মধ্যে নিয়মিত আপিল দায়েরের এই আদেশ দেন।
আদালতে শহিদুল আলমের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
এর আগে গত ১৪ ডিসেম্বর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলার তদন্ত কার্যক্রমের বৈধতা নিয়ে জারি করা রিটের চূড়ান্ত শুনানি করে খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। ফলে শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে এই মামলার তদন্ত চলতে বাধা নেই বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১২ আগস্ট তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। ওই বছরের ৬ আগস্ট রমনা থানায় শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
আরও পড়ুন: যৌন হয়রানি প্রতিরোধে সরকারের পদক্ষেপ জানতে চান হাইকোর্ট
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামি শহিদুল আলম তার ফেসবুক টাইম লাইনের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে কল্পনাপ্রসূত অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এর মাধ্যমে জনসাধারণের বিভিন্ন শ্রেণিকে শ্রুতিনির্ভর (যাচাই-বাছাই ছাড়া কেবল শোনা কথা) মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে উসকানি দিয়েছেন, যা রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর। সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ ও অকার্যকর রূপে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে উপস্থাপন করেছেন। আসামি শহিদুল ইসলাম আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিসহ জনমনে ভীতি ছড়িয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র এবং তা বাস্তবায়নের জন্য ইলেকট্রনিক মাধ্যমে প্রচার করেছেন।
২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলম জামিন হাইকোর্ট থেকে জামিন পান।
পরে শহিদুল আলমের এক আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ১৪ মার্চ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের এ মামলার তদন্ত কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি মামলার তদন্তের বৈধতার প্রশ্নে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। যে রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি করে গত ১৪ ডিসেম্বর রুল খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত ৮৪ জনকে নিয়োগ দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
এসিড সমৃদ্ধ ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের
মার্চে বাণিজ্যিকভাবে ফাইভ-জি চালু হবে: মোস্তাফা জব্বার
আগামী মার্চের মধ্যে দেশে বাণিজ্যিকভাবে ফাইভ-জি চালু হবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তিতে ৩২৪ বছরের পশ্চাদপদতা অতিক্রম করে ফাইভ-জি যুগে বাংলাদেশ প্রবেশ করেছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রযুক্তির ব্যবহারের জন্য ফাইভ-জি অপরিহার্য।’
বুধবার ঢাকায় এক হোটেলে বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্ণেন্স ফোরাম (বিআইজিএফ) আয়োজিতএকসেস টু মিনিংফুল কানেক্টিভিটি অ্যান্ড সোস্যাল ইনক্লিউশন শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এই সব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত হবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২: মোস্তাফা জব্বার
সচেতনতা ও প্রযুক্তি দিয়ে ডিজিটাল নিরপত্তার হুমকি মোকাবিলা করতে হবে উল্লেখ করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘যত বেশি ডিজিটাল তত বেশি নিরাপত্তা ঝুঁকি।’
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ডিজিটাল শিল্প বিপ্লব পৃথিবীতে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উদ্দেশ্য এবং আমাদের উদ্দেশ্য এক নয়।’
দেশে ডিজিটাল ডিভাইড নিরসনে সরকার গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে ইন্টারনেটের একদেশ এক রেট একটি বিপ্লবের নাম। প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাস করা কোন নাগরিককেও ইন্টারনেট অধিকার থেকে যেমন বঞ্চিত করা যাবে না তেমনি প্রত্যন্ত অঞ্চলের জন্য আলাদা কোন রেটও গ্রহণযোগ্য নয়। এই লক্ষ্যে আমরা দেশের প্রায় প্রতিটি মানুষের দোড়গোড়ায় উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছে দিয়েছি। কোভিডকালে দেশের শতকরা ৯৭ ভাগ এলাকায় ৪-জি নেটওয়ার্ক সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: শিক্ষাকে সভ্যতার বিবর্তনের সাথে তাল মেলাতে হবে: মোস্তাফা জব্বার
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং বিআইজিএফ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নির্ধারণ কমিশনের (বিটিআরসি) মহাপরিচালক মো. নাসিম পারভেজ, বিটিসিএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. রফিকুল মতিন, সাউথ এশিয়া আর্টিকেল ১৯’র আঞ্চলিক পরিচালক ফারুক ফয়সাল, বিএনএনআরসি রিসার্স ফেলো এএইচএম বজলুর রহমান, বিআইজিএফ সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল হক অনু, সাংবাদিক রাশেদ মেহেদি প্রমুখ বক্তব্য দেন।