বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশের আকাশ উন্মুক্ত: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমরা কোনো চ্যানেল বন্ধ করিনি, বন্ধ করার জন্যও বলিনি। বাংলাদেশের আকাশ উন্মুক্ত। এখানে যে কোনো চ্যানেল সম্প্রচার করতে পারে, কিন্তু দেশের আইন মেনে করতে হয়।
রবিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আইন অনুযায়ী বাংলাদেশে যে কোনো বিদেশি চ্যানেল বিজ্ঞাপন মুক্তভাবে সম্প্রচার করতে হয়। সব দেশে আইন মেনে চ্যানেলগুলো সম্প্রচার করে। শুধু আমাদের দেশে আইনকে বছরের পর বছর ধরে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করা হচ্ছিল। আমরা আইন বাস্তবায়নের কথা দুই বছর আগে সংশ্লিষ্ট সবাইকে বলেছিলাম। বেশ কয়েকবার তাগাদা দেয়া হয়েছে, নোটিশ করা হয়েছে। গত মাসের শুরুতে তাদের সঙ্গে দ্বিতীয়বারের মত বসে সিদ্ধান্ত হয় ১ অক্টোবর থেকে আইন কার্যকর করা হবে।
আরও পড়ুন: সরকার কোনো বিদেশি চ্যানেল বন্ধ করেনি: তথ্যমন্ত্রী
হাছান মাহমুদ বলেন, কেউ কেউ বলছে ডিজিটালাইড না হওয়া পর্যন্ত আইন শিথিল রাখতে। ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কার পুরোটা ডিজিটালাইড হয়নি। সেখানে আইন কার্যকর আছে। আমাদের দেশে এ ধরনের অজুহাত তোলার কোনো যুক্তি নেই।
মন্ত্রী বলেন, ক্লিন ফিড যেহেতু পায়নি সেজন্য তারা সরকারের নির্দেশনা মেনে বন্ধ রেখেছে সেটাকে আমরা সাধুবাদ জানাই। তাদের আগেই সময় দেয়া হয়েছিল যাতে তারা সংশ্লিষ্ট চ্যানেলগুলোকে বলে ক্লিনফিড পাঠানোর জন্য এবং তারাও প্রস্তুতি নেয়। যথেষ্ট সময় দেয়া হয়েছে, দুই বছর সময় দেয়া হয়েছে। আমি দুই বছর আগ থেকে তাদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছি। এর আগেও এই আইন বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছিলাম।
আরও পড়ুন: বিদেশি চ্যানেলে ক্লিনফিড বাস্তবায়নে মোবাইল কোর্ট: তথ্যমন্ত্রী
হাছান মাহমুদ বলেন, বিবিসি, সিএনএন, আল জাজিরা, ফ্রান্স টিভি, রাশান টিভি, ইউরো টিভি, এনিমেল্ট প্ল্যান্টেটসহ ২৪টি টিভি বাংলাদেশে ক্লিনফিডে আসে। সেগুলোও তারা চালাচ্ছেন না। যেটি কেবল অপারেটর লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ। সুতরাং কেউ শর্ত ভঙ্গ করলে শর্ত ভঙ্গের অপরাধে অভিযুক্ত হবেন। যেসব চ্যানেল ক্লিনফিড পাঠায় না তাদের এজেন্ট আছে। এই দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট চ্যানেল ও এজেন্টের। এটি কেবল অপারেটরদের দায়িত্ব নয়। কিন্তু কোনো কোনো কেবল অপারেটর এজেন্টেদের পাশ কাটিয়ে তারা সরাসরি স্যাটেলাইট থেকে পাইরেসি করে ডাউনলোড করে। সেটি কিন্তু তারা করতে পারেন না। এটি আইন বহির্ভুত।
৪ অক্টোবরের পর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে কোয়াব—এই ধরনের আন্দোলনের কথা বলা অযৌক্তিক বলে মন্তব্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, যেসব চ্যানেল দেশের আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করছে, সংস্কৃতিকে চোখ রাঙাচ্ছে, সেগুলোর পক্ষে ওকালতি করা দেশের স্বার্থ ও আইন বিরোধী। আমি আশা করব দেশের স্বার্থ বিরোধী কার্যক্রমে লিপ্ত হবেন না। সরকার কোনো চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না। সরকার দেশের স্বার্থ ঊর্ধ্বে তুলে ধরার জন্য, আইন বাস্তবায়ন করার জন্য বদ্ধ পরিকর।
আরও পড়ুন: আকাশ থেকে ঢাকা শহর চেনা যায় না: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, তারা যদি আলোচনা করতে চায় আলোচনা হতেই পারে। তারা আমাদের সহযোগী। তবে আলোচনার ভিত্তি হবে আইন মানা, দেশের স্বার্থ সংরক্ষণ।
মন্ত্রী বলেন, এই ব্যাপারে সরকার কয়েকশ কোটি টাকার রাজস্ব হারায়। এই বিনিয়োগ বঞ্চিত হওয়ার কারণে মিডিয়া থেকে অনেকে ছাঁটাই হচ্ছেন। যখন এই বিনিয়োগটা দেশি মিডিয়ার হবে তখন মিডিয়া থেকে ছাঁটাই হওয়াটা বন্ধ হয়ে যাবে বা সেই অজুহাতে ছাঁটাই করা যাবে না। এভাবে পুরো দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমাদের দেশের স্বার্থ রক্ষা করতে হবে।
বিদেশি চ্যানেলে ক্লিনফিড বাস্তবায়নে মোবাইল কোর্ট: তথ্যমন্ত্রী
আইন অনুযায়ী দেশে বিদেশি চ্যানেলগুলোর বিজ্ঞাপনমুক্ত (ক্লিনফিড) সম্প্রচার বাস্তবায়নে পয়লা অক্টোবর থেকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।বৃহস্পতিবার বিকেলে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের এসংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের পূর্বঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আইন প্রয়োগে এ ব্যবস্থার কথা জানান মন্ত্রী।ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘পয়লা অক্টোবর থেকে আমরা সারাদেশে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবো। কোনো বিদেশি চ্যানেলে ক্লিনফিড দেখানো না হলে এবং মন্ত্রণালয়, টেলিভিশন ওনার্স এসোসিয়েশন ও ক্যাবল অপারেটর ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের মাধ্যমে ক্যাবল লাইনে সম্প্রচারের জন্য টেলিভিশনগুলোর নির্ধারিত ক্রমের ব্যত্যয় হলে বা কোনো ক্যাবল অপারেটর আইন ভঙ্গ করে নিজেরা বিজ্ঞাপন, অনুষ্ঠান প্রদর্শন করলে বা আইনের অন্য কোনো ব্যত্যয় ঘটালে সংশ্লিষ্ট চ্যানেল ডাউনলিংকের অনুমতিপ্রাপ্ত ডিস্ট্রিবিউটরদের এবং ক্যাবল অপারেটরদের ওপরই আইন ভঙ্গের দায় বর্তাবে এবং আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আরও পড়ুন: আজ থেকে বন্ধ হচ্ছে অবৈধ মোবাইল ফোনতথ্যমন্ত্রী জানান, ‘যারা বিদেশি চ্যানেল ডাউনলিংকের অনুমতি পেয়েছে ক্লিনফিডের ব্যাপারে তাদের সাথে আগস্ট মাসে বৈঠক করে আমরা জানিয়ে দিয়েছিলাম যে পয়লা অক্টোবর থেকে আমরা আইন প্রয়োগ করবো। দিনের পর দিন তারা সময় নেবে, কালক্ষেপণ করবে, এটি হয় না। ভারত, শ্রীলংকা, পাকিস্তান, নেপালসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে ক্লিনফিড ছাড়া বিদেশি চ্যানেল কেউ দেখাতে পারে না। আর আমাদের দেশে বিদেশি চ্যানেলগুলো ক্লিনফিড পাঠাচ্ছে না, এই অজুহাতে এখানে ক্লিনফিড চালাবে না এটা হয় না।’ পয়লা অক্টোবর থেকে বাংলাদেশে ক্লিনফিড সম্প্রচার কার্যকর করার বিষয়টি সম্প্রতি দিল্লী সফরকালে ভারতের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রীকেও জানিয়েছেন উল্লেখ করেন ড. হাছান মাহমুদ।
আরও পড়ুন: অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে সময় পেল বিটিআরসিতত্ত্বাধায়ক সরকারের অধিনে নির্বাচনের জন্য বিএনপি’র দাবির বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, ‘বাংলাদেশে আর কখনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না। সংবিধান অনুযায়ী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোনো সুযোগ নেই। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, নির্বাচনকালীন সময়ে বর্তমান সরকারই নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে।’মন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন কমিশনের অধিনে। যখন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয় তখন প্রশাসনের ওপর সরকারের আসলে কোনো কার্যকারিতা থাকে না। বিএনপি এ ধরণের কথা গত সাড়ে ১২ বছর ধরে বলে আসছে, গত নির্বাচনের আগেও বলেছিল, পরে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল। নির্বাচনের ব্যাপারে তাদের এটা নতুন কিছু নয়। তবে একটি রাজনৈতিক দলের জন্য নির্বাচন হচ্ছে দলের মধ্যে প্রাণসঞ্চালনের একটি বড় সুযোগ। নিজের শিরা-উপশিরাকে শুকিয়ে বিএনপি ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে চলে যাবে কি না, সে সিদ্ধান্ত বিএনপিই নেবে।’
আরও পড়ুন: বিএনপি যাদের নিয়ে ঐক্য করে তাদের মধ্যেই প্রচন্ড অনৈক্য: তথ্যমন্ত্রীতথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এর আগে কবি ও সাংবাদিক সৌমিত্র দেব সম্পাদিত ‘উন্নয়নে উজ্জীবনে শেখ হাসিনা’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন। এসময় মন্ত্রী গ্রন্থটি সংকলন ও সম্পাদনার জন্য সৌমিত্র দেবকে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বসম্প্রদায়ের কাছে এক বিস্ময়কর নেতৃত্বের উদাহরণ। সেকারণেই বিশ্ব নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে উন্নয়নশীল দেশগুলোর সামনে ‘কেইস স্টাডি’ হিসেবে উপস্থাপন করছেন এবং জাতিসংঘসহ বিশ্বসম্প্রদায় প্রধানমন্ত্রীকে অনেক পুরস্কারে ভূষিত করেছেন।
২১০ পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল করা হবে: তথ্যমন্ত্রী
অনিয়মিত পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ‘ব্রিফকেস বন্দি পত্রিকা, যেগুলো আসলে ছাপায় না। মাঝে মধ্যে হঠাৎ ছাপায়। সেগুলো আমি বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছি। ইতোমধ্যেই ২১০টি পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল করার জন্য জেলা প্রশাসকদের কাছে লেখা হয়েছে, প্রক্রিয়াধীন আছে।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর তোপখানা রোডে জাতীয় প্রেসক্লাবে রাজশাহী বিভাগ সাংবাদিক সমিতি, ঢাকা’র দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা এবং বরেন্দ্র উন্নয়ন ভাবনা আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: শিগগিরই তৈরি হবে আইপি টিভি রেজিস্ট্রেশন নির্দেশিকা: তথ্যমন্ত্রী
গণমাধ্যমের সুষ্ঠু বিকাশ একটি রাষ্ট্রের বিকাশের সাথে সম্পর্কিত এবং বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সেটি বিশ্বাস করেন বিধায় গত সাড়ে ১২ বছরে বাংলাদেশে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিকাশ ঘটেছে উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘গণমাধ্যমের দ্রুত বিকাশের সাথে সাথে কিছু ধান্দাবাজও যুক্ত হয়েছে, এটিই বাস্তবতা। গণমাধ্যমকে কেউ নিজের স্বার্থে, কেউ ব্যবসায়িক ‘প্রোটেকশন’ দেয়ার জন্য ব্যবহারের চেষ্টা করছে আবার কেউ একটি ব্রিফকেস নিয়ে গণমাধ্যমের মালিক হয়ে যাচ্ছে, উনিই মালিক, উনিই সাংবাদিক, উনিই রিপোর্টার। এই দপ্তর থেকে ওই দপ্তরে ঘুরে বেড়ান বিজ্ঞাপন ‘কালেকশন’ করেন এবং সেই বিজ্ঞাপন যেদিন পান সেদিন পত্রিকা ছাপেন। একশ’ পত্রিকা ছাপেন, একশ’ দপ্তরে দেন। এতে ভালো গণমাধ্যমগুলো চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে, অনেক সময় টিকে থাকা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যারা পত্রিকার ডিক্লারেশন নিয়ে চালায় না, বরং বিজ্ঞাপন নেয়ার জন্য আবার সেটার জন্য নিউজপ্রিন্টের যে কোটা আছে, সেই নিউজপ্রিন্ট এনে বাজারে বিক্রি করে দেয়ার জন্য, এটিকেই ব্যবসা হিসেবে নেয়। পত্রিকা চালানো উদ্দেশ্য নয়, মূলত মূলধারার গণমাধ্যমগুলোর ক্ষতি করছে। সেই ক্ষতির প্রাথমিক বোঝাটা সাংবাদিকদের ওপর পড়ছে। সুতরাং এখানে একটি শৃঙ্খলা আনা দরকার। সেই উদ্যোগ আমি গ্রহণ করেছি। আপনাদের ধন্যবাদ যে, আপনারা আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন।’
আরও পড়ুন: কোনো সাংবাদিক অহেতুক হয়রানির শিকার হবেন না: তথ্যমন্ত্রী
সাংবাদিকদের দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির সহায়ক শক্তি হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আজকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে উন্নয়ন, অগ্রগতি হয়েছে, সেই উন্নয়ন, অগ্রগতির সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করছেন সাংবাদিকরা। আমি মনে করি, সাংবাদিকদের সাথে সরকারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ফলে এবং আমরা একযোগে কাজ করতে পারছি বিধায় দেশকেও আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছি।’
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সাংবাদিকরা গণমাধ্যম পরিচালনা করেন আর গণমাধ্যম হচ্ছে সমাজের দর্পণ। সাংবাদিকদের কাছে আমার একটি অনুরোধ, কোথাও কোনো ব্যত্যয় হলে সেটি যেমন প্রচার করতে হবে, তেমনি যখন সাফল্য আসবে, সেটিও ফলাও করে প্রচার করতে হবে। কারণ শুধু ব্যত্যয় হলে সেটিই যদি প্রচার হয় আর সাফল্যের প্রচার না হয়, তাহলে সঠিকভাবে সমাজ ও রাষ্ট্রের চিত্র পরিস্ফুটন হবে না এবং দর্পণটিও সঠিকভাবে কাজ করছে সেটি বলা যাবে না।’
আরও পড়ুন: সাংবাদিক নেতাদের ব্যাংক হিসাব তলবে উদ্বেগের কারণ নেই: তথ্যমন্ত্রী
এসময় গণমাধ্যম মালিকদের প্রতি সাংবাদিক কর্মচারীদের বীমা করার অনুরোধ জানান ড. হাছান। তিনি বলেন, ‘বীমা করলে সাংবাদিক ও কর্মচারীরা উপকৃত হবে এবং একইসাথে মালিকের দায়িত্বও পালন করা হবে। সেই সাথে করোনাকালে অনেক গণমাধ্যমের অসুবিধা হয়েছে। এখন করোনা কেটে গেছে সুতরাং যাদেরকে ছাঁটাই করা হয়েছিল, তাদের সবাইকে আবার কাজে ফিরিয়ে নেয়া হবে, এটিই আমার বিনীত অনুরোধ।’
রাজশাহী বিভাগ সাংবাদিক সমিতি, ঢাকা’র সভাপতি খায়রুজ্জামান কামালের সভাপতিত্বে সভায় বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এমপি, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু বিশেষ অতিথি হিসেবে এবং বিএফইউজের কোষাধ্যক্ষ দীপ আজাদ, সাবেক মহাসচিব ওমর ফারুক, আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান চৌধুরী বক্তব্য দেন।
৩০ সেপ্টেম্বরের পর দেশে ক্লিন ফিড ছাড়া বিদেশি চ্যানেল চলবে না: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশের আইন অনুযায়ী বিদেশি চ্যানেল ক্লিন ফিড (বিজ্ঞাপন ছাড়া অনুষ্ঠান) চালাতে বাধ্য। এজন্য আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের পর দেশে কোনো অবস্থাতেই ক্লিন ফিড ছাড়া বিদেশি চ্যানেল চালাতে দিতে পারি না।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষ কেবল অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন, অ্যাটকো, বিদেশি চ্যানেলের ডিস্ট্রিবিউটর, আকাশ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধির সাথে বৈঠক শেষে তিনি এই তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে সুস্থ ধারার রাজনীতিতে ফিরে আসার আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর
তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে যেসব বিদেশি চ্যানেল আছে আইন অনুযায়ী তারা ক্লিন ফিড চালাতে বাধ্য। কিন্তু তাগাদা দেয়া সত্বেও এসব চ্যানেল ক্লিন ফিড করে পাঠাচ্ছে না। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ৩০ সেপ্টেম্বরের পরে দেশে কোনও অবস্থাতেই ক্লিন ফিড ছাড়া বিদেশি চ্যানেলকে চালাতে দিতে পারি না। এরপর আইন প্রয়োগ করা হবে। আইন অনুযায়ী ক্লিন ফিড ছাড়া বিদেশে চ্যানেল আমাদের এখানে সম্প্রচার করতে পারে না। এছাড়া কেবল অপারেটররা অনেক সময় সিনেমা দেখায়, বিজ্ঞাপন দেখায়, অনুষ্ঠান দেখায়। এগুলো আইনের ব্যত্যয় আমরা সেগুলোর ব্যাপারেও এনফোর্সমেন্টে যাব।
তিনি বলেন, আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরের কেবল নেটওয়ার্কিং সিস্টেম ডিজিটালাইড করা হবে। সেটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গ্রাহকদের অবহিত করতে একটি পরিপত্র জারি করা হবে। ৩০ নভেম্বরের পরে ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরে এনালগ সিস্টেম আর কাজ করবে না। ডিজিটাল সেট টপ বক্সের মাধ্যমেই সম্প্রচারটা হবে। এখন ডিজিটাল প্লার্টফর্ম রেডি, কিন্তু দর্শকদের যদি সেটটপ বক্স দেয়া না হয় এবং তারা যদি না নেন তবে সেটা বাস্তবায়ন করা কঠিন। সেজন্য আমরা পরিপত্র জারি করব। বিভাগীয় ও মেট্রোপলিটন শহর ছাড়াও কুমিল্লা, বগুড়া, দিনাজপুর, কুষ্টিয়া, রাঙ্গামাটি, কক্সবাজারকে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে অপারেটিং সিস্টেম ডিজিটালাইড করতে হবে। পুরো দেশের বিষয়টি নভেম্বরে বসে কীভাবে করা যায় তা ঠিক করব।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুল কি জিয়ার লাশ দেখেছেন: তথ্যমন্ত্রী
হাছান মাহমুদ বলেন, পর পর দুই বছর সনদ নবায়ন না করায় ১২০০ কেবল অপারেটিং ও ফিড লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। এক বছর নবায়ন না করলেই এসব সনদ বাতিল হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তা করিনি। যাদের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে তাদের কেউ কেউ এখনও কাজ করছেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রায়ই এলাকা নিয়ে নানা সময় ঝামেলা হয়, অনেক সময় বড় ঝামেলা হয়, খুন-খারাপির মতো ঘটনাও বিভিন্ন সময় ঘটেছে। সেজন্য স্ট্রিকলি আজকে সভা থেকে বলে দিচ্ছি, একজনের এলাকায় আরেকজন কখনোই যেতে পারবে না এবং সেটার জন্য এনফোর্সমেন্ট করব।
তিনি বলেন, ইন্টারনেট সংযোগ যারা দিচ্ছে, সেসব সার্ভিস প্রোভাইডাররা ইন্টারনেটের মাধ্যমে ভিডিও স্ট্রিমিং করে টেলিভিশনে দেখাচ্ছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে অনুমোদন ছাড়া অনেক চ্যানেল দেখানো হচ্ছে, এটা তারা কোনোভাবেই করতে পারে না। ভিডিও স্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমে আইপি টিভি দেখানো হচ্ছে। এনিয়ে জটিলতা তৈরি হচ্ছে, একজনের ডোমেইনের মধ্যে আরেকজন প্রবেশ করছে। এটি নিয়ে আমরা তথ্য মন্ত্রণালয়, টেলিকম বিভাগ ও আইসিটি বিভাগের সঙ্গে অংশীজনদের নিয়ে বৈঠক করব।
আরও পড়ুন: দেশে গুম খুনের রাজনীতি জিয়ার হাতেই শুরু: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, দুটি ডিটিএইচ লাইসেন্স দেয়া আছে। দুটির মধ্যে একটি আকাশ, আরেকটি বিটিভিকে। বিটিভি এখনও কার্যক্রমে যায়নি, খুব সহসা যাবে। আমরা দেখছি টাটা স্কাইয়ের নামে অনেক জায়গায় ডিটিএইচ সেবা বিভিন্ন জায়গায় দেয়া হচ্ছিল, সেটির বিরুদ্ধে আমরা এনফোর্সমেন্ট করেছিলাম, অনেক কমেছে। ইদানীংকালে চীন থেকে সেটআপ বক্স এনে অন্যদের ডিস লাগিয়ে সেখান থেকে ডিটিএইচ সেবা নেয়া হচ্ছে, এগুলোর বিরুদ্ধে আমরা এনফোর্সমেন্ট করব। এগুলোর কিন্তু কঠিন শাস্তি হবে। আমি আশা করব আজকের পর থেকে সবাই এগুলো বন্ধ করবেন।
বাঁধাধরা নিয়ম ভেঙে নতুন উচ্চতায় তাসনুভা আনান শিশির
আবারও সমাজের বেঁধে দেওয়া নিয়ম ভেঙে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন সুপরিচিত মডেল, শিল্পী ও সমাজকর্মী তাসনুভা আনান শিশির। এবার আন্তর্জাতিক মোটরসাইকেল ব্র্যান্ড ইয়ামাহার হয়ে দেশের মূলধারার বিজ্ঞাপনের মডেল হয়েছেন তিনি।
রূপান্তরিত (ট্রান্সজেন্ডার) নারী হিসেবে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে ইয়ামাহা মোটরসাইকেলের বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপনচিত্রে অভিনয় করেছেন তাসনুভা আনান। জনপ্রিয় ব্র্যান্ড ইয়ামাহার মোটরসাইকেলের বাংলাদেশ প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছে এসিআই মোটর্স।
আরও পড়ুন: তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে সরকার কাজ করছে: সমাজকল্যাণমন্ত্রী
রেটরো পিকচার্সের ব্যানারে পরিচালক সজল আহমেদের নির্মিত এই বিজ্ঞাপনচিত্র ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। বিজ্ঞাপন চিত্রে তাসনুভা এবং অভিনেতা নিলয় কর্মজীবী ভাই-বোনের মধুর সম্পর্কের এক দারুণ গল্প ফুটিয়ে তুলেছে।
বিজ্ঞাপনে কাজ করার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে শিশির ইউএনবিকে জানান, আন্তর্জাতিক একটি ব্র্যান্ডের হয়ে কাজ করতে পেরে তিনি অত্যন্ত আনন্দিত। বিজ্ঞাপনচিত্রে এটি তার দ্বিতীয় কাজ বলে উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: শেরপুরে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর মাঝে জমিসহ ঘর হস্তান্তর
শিশির ইউএনবিকে বলেন, ‘ইয়ামাহার মতো আন্তর্জাতিক একটি ব্র্যান্ডের জন্য কাজ করার ব্যাপারে প্রথমে কিছুটা মানসিক চাপের মধ্যে ছিলাম। কিন্তু সকলের অভূতপূর্ব সাহায্য ও সমর্থনের কারণে খুব দারুণভাবে শ্যুটিং সম্পন্ন হয়।’
বাংলাদেশের প্রথম রূপান্তরিত নারী হিসেবে এ বছর বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বৈশাখী টিভির বার্তা বিভাগে যোগদান করেন শিশির। ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে বৈশাখী টিভি এই পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
বহু গুণের অধিকারী শিশির বর্তমানে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে গণস্বাস্থ্য বিষয়ে আন্তর্জাতিক স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনে পড়ছেন। এছাড়া ২০০৭ সাল থেকেই নাট্যদল বটতলার সাথে মঞ্চনাটক নিয়ে কাজ করছেন।
আরও পড়ুন: যশোরে তৃতীয় লিঙ্গের তরুণীকে ‘ধর্ষণ’, গ্রেপ্তার ১
সম্প্রতি নির্মাতা অনন্য মামুনের সিনেমা ‘কসাইয়’-এ গোয়েন্দা চরিত্রে অভিনয় করেছেন শিশির। আগামীতে নির্মাতা সৈয়দ শাহরিয়ারের চলচ্চিত্র ‘গোল’-এ একজন ফুটবল কোচের চরিতে দেখা যাবে এই অভিনেত্রীকে।
পেশাদার কর্মজীবনে শিশির বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের হয়ে কাজ করেছেন।
খাঁচায় বন্দী পাখি: গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে মামলা
বিজ্ঞাপনে খাঁচাবন্দী দেশীয় টিঁয়া পাখি দেখানোর অপরাধে গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বাংলাদেশ বন বিভাগের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট (ডাব্লিউসিসিইউ)।
বুধবার ঢাকার একটি আদালতে এই মামলা করে ডাব্লিউসিসিইউ।
আরও পড়ুনঃ গ্রামীণফোনের ‘এক্সেলেন্স ইন অটোমেশন’ স্বীকৃতি অর্জন
বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ এর ৩৮(২), ৪১ এবং ৪৬ ধারার আওতায় ডাব্লিউসিসিইউ এর বনপরিদর্শক নার্গিস সুলতানা এই মামনা দায়ের করেন।
উল্লেখ্য, গ্রামীণফোনের সাম্প্রতিক বিজ্ঞাপনে একটি ছোট মেয়েকে খাঁচাবন্দী পাখি উপহার দিতে দেখানো হয়। এরপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়।
আরও পড়ুনঃ গ্রামীণফোনের ৫০০ টাওয়া স্থাপনে ইডটকোর চুক্তি
নার্গিস সুলতানা ইউএনবিকে জানান, বিজ্ঞাপনে খাঁচাবন্দী দেশীয় পাখি দেখানোর মধ্য দিয়ে গ্রামীণফোন বন্যপ্রাণী আইন ২০১২ এর ৩ টি ধারা লঙ্গন করেছে।
বিজ্ঞাপনদাতার নামে সংবাদ শিরোনাম প্রচারে বাধা নেই
বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে বিজ্ঞাপনদাতার নামে বা সৌজন্যে সংবাদ শিরোনাম বা সংবাদের সেগমেন্ট প্রচার করা যাবে না বলে হাইকোর্টের দেয়া রায় স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ।
হোয়াটসঅ্যাপে বিজ্ঞাপন দেয়ার পরিকল্পনা বাতিল করল ফেসবুক
ব্রায়ান অ্যাক্টন ও জান কোমের থেকে ২০১৪ সালে ২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে হোয়াটসঅ্যাপ কিনে নেয় ফেসবুক। এর পরপরই এই মেসেজিং প্ল্যাটফর্মে বিজ্ঞাপন দেখানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করলেও ফেসবুক কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে।
বিদেশি শিল্পীর বিজ্ঞাপনে অতিরিক্ত কর দিতে হবে: তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ১৭ অক্টোবর (ইউএনবি)- বিদেশি শিল্পীর বিজ্ঞাপনে অতিরিক্ত কর দিতে হবে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশে-বিদেশি শিল্পী দিয়ে বিজ্ঞাপন নির্মাণের ক্ষেত্রে একটি নিয়ম প্রবর্তনের উদ্যোগ নেয়া হবে।