হেফাজতে ইসলাম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পদত্যাগ করা হেফাজত নেতা আব্দুর রহিম কাসেমী গ্রেপ্তার
ঢাকা, ০৪ মে ( ইউএনবি)- ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডবের ঘটনায় জড়িত কর্মী-সমর্থকদের বিচার চেয়ে পদত্যাগ করা সংগঠনটির জেলা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুফতি আব্দুর রহিম কাসেমীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার বিকালে জেলা শহরের ভাদুঘর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মুফতি আব্দুর রহিম কাসেমী জামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসার সাবেক শিক্ষক ছিলেন।
জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মো. রইছ উদ্দিন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা পুলিশের একটি দল শহরের ভাদুঘর এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
তিনি আরও জানান, হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকদের চালানো তান্ডবের ঘটনা তদন্ত করে তার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে।
উল্লেখ্য হোফাজতে ইসলামের চালানো তাণ্ডবের ঘটনার প্রতিবাদ এবং জড়িতদের বিচার চেয়ে গত ২৩ এপ্রিল হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে পদত্যাগ করেন আব্দুর রহিম কাসেমী।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা কওমী ছাত্র ঐক্য পরিষদের সাবেক সেক্রেটারিসহ গ্রেপ্তার ৬
ওইদিন সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো এক লিখিত বক্তব্যে আব্দুর রহিম কাসেমী বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী হেফাজতে ইসলামের ডাকে যে চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়, তা নজিরবিহীন ও অমানবিক। দেশ ও জনগণের জানমালের ক্ষতি কোনোভাবেই ইসলাম সম্মত হতে পারে না। সেখানে তিনি যাদের প্ররোচনায় দেশ ও জনগণের জানমালের এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার জন্য সরকারের কাছে দাবি জনিয়েছিলেন।
হেফাজত নেতা হারুন ইজহার ৯ দিনের রিমান্ডে
চট্টগ্রামের লালখান বাজার মাদ্রাসা থেকে গ্রেপ্তার হওয়া হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের বিলুপ্ত হওয়া কেন্দ্রীয় কমিটির শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মুফতি হারুন ইজহারের ৯ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
সোমবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় রফিকুল মাদানী রিমান্ডে
পুলিশ জানায়, গত ২৬ মার্চ হাটহাজারীতে সরকারি বিভিন্ন স্থাপনায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের দুই মামলা ও গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর করা মামলায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
মুফতি হারুন ইজহার বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি ও লালখান বাজার মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মুফতি ইজহারুল ইসলাম চৌধুরীর বড় ছেলে।
আরও পড়ুন: সালথায় সহিংসতা: উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রিমান্ডে
হারুন ইজহারের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নেজাম উদ্দীন নিজা বলেন, মুফতি হারুন ইজহারকে হাটহাজারী থানার এক মামলায় ৭ দিন করে ৩ মামলায় মোট ২১ দিনের রিমান্ডে নিতে পুলিশের পক্ষ থেকে আদালতে আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি শেষে এক মামলায় ৩ দিন করে মোট ৯ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: মামুনুল ৭ দিনের রিমান্ডে
উল্লেখ্য, বুধবার রাতে নগরীর লালখান বাজার জামিয়াতুল উলুম আল ইসলামিয়া মাদ্রাসার বাসা থেকে মুফতি হারুন ইজহারকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৭। বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রাম সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম আঞ্জুমান আরার ভার্চুয়াল আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া হেফাজতের বিরুদ্ধে সাংসদ মোকতাদিরের মামলা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তাণ্ডবের ঘটনায় হেফাজতে ইসলামের জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা সাজিদুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মোবারক উল্লাহসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও দেড়শ জনকে আসামি করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর-৩ আসনের সংসদ সদস্য উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বাদী হয়ে মামলাটি জমা দেন।
আরও পড়ুন: হেফাজতের তাণ্ডব: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭ জন গ্রেপ্তার
উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর পক্ষে তার আইনজীবী ও শহর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট মো. মামুন মামলাটি সদর থানায় দাখিল করেন।
মামলার উল্লেখিত প্রধান দুই আসামি ছাড়াও ১২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তারা হলেন মাওলানা আশরাফুল হোসেন তপু, বোরহান উদ্দিন কাসেমী, মাওলানা আলী আজম, মাওলানা এরশাদ উল্লাহ, মাওলানা জুনায়েদ কাসেমী, মাওলানা নোমান আল হাবিব, মমিনুল হাসান তাজ, সুলেমান মোল্লা, মাওলানা এনামুল হক, মাওলানা আব্দুল হাকিম, মাওলানা মনজুরুল হক ও খালেদ মোশাররফ। এছাড়া আরও অজ্ঞাত এক থেকে দেড়শ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হেফাজতের তাণ্ডব: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৪ ঘণ্টায় ১২ জনসহ গ্রেপ্তার ৩১০
মামলার বিবরণীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশে আগমনকে কেন্দ্র করে গত ২৬ মার্চ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নারকীয় তাণ্ডব চালায় হেফাজতে ইসলামের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার নেতাকর্মীরা। তারা তাণ্ডব চালিয়ে বৈধ সরকারকে উৎখাত করার ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পনা করে। এরই অংশ হিসেবে আগ্নেয়াস্ত্রসহ গান পাউডার ও বিভিন্ন দাহ্য পদার্থ ব্যবহার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভয়াবহ ক্ষতি সাধন করেন। এর আগে হেফাজতে ইসলামের জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা সাজিদুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মোবারক উল্লাহ সহ অন্যান্য আসামিদের নির্দেশে বিভিন্ন ফেসবুক পেজ, আইডি ও নিউজ পোর্টালে সাইবার সন্ত্রাস সংগঠিত করে রাষ্ট্রদ্রোহীতামূলক বিদ্বেষ ও ঘৃনামূলক স্ট্যাটাস প্রদান করে জনসাধারনের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি করে। এর মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আইন শৃঙ্খলার ব্যাপক অবনতি ঘটে।
আরও পড়ুন: হেফাজতের তাণ্ডব: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৪ ঘণ্টায় আরও গ্রেপ্তার ১১
শুধু তাই নয়, মামলার এজাহারনামীয় আসামিসহ অজ্ঞাতনামা আসামিরা উপস্থিত থেকে ইলেকট্রনিক্স বিন্যাসের মাধ্যমে সংবাদ সম্মেলন করে মিথ্যা তথ্য সংগ্রহ করে তাদের বক্তব্য জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়ার নিজস্ব ফেসবুক পেজে প্রচার করে। এরই এক পর্যায়ে গত ৩১ মার্চ আসামিরা তাদের ব্যবহৃত ফেসবুক পেজ জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া এর মাধ্যমে লিখিত বক্তব্য প্রদান করে বাদী উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে ঘটনাকে ভিন্ন দিকে প্রভাবিত করার পাশাপাশি ঘটনার দায়ভার তার উপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন।
আসামিদের এরূপ বক্তব্য তাদের ডিজিটাল বিন্যাসের মাধ্যমে জাতীয় ও স্থানীয় ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া প্রকাশ ও প্রচার করেন তারা। ফলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মুসলিম জনসাধারণের মধ্যে শত্রুতা, ঘৃণা, বিদ্বেষ সৃষ্টি করে। এতে আইনশৃংখলার চরম অবনতি হয়। পাশাপাশি সমগ্র দেশে ও বহির্বিশ্বে আমার সুনাম ক্ষুন্ন করার উদ্দেশ্যে আমি উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও প্রপাগান্ডা চালায়। যাহা ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এর ধারায় অপরাধ সংগঠিত করে। বিষয়টি আমাকে সাক্ষিরা অবগত করলে ঘটনার দ্বিতীয় দিন ২৭ মার্চ ঘটনাস্থলে আমি উক্ত বক্তব্য দেখে স্ক্রিনশট নিয়ে হার্ডকপি সংগ্রহ করি। এসব স্ক্রিনশট মামলায় যুক্ত করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ‘মামলাটি জমা নেয়া হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’
হেফাজতের তাণ্ডব: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আরও ১১ জন গ্রেপ্তার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তাণ্ডবের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নতুন করে ইসলামী আন্দোলনের নেতাসহ আরও ১১ হেফাজত কর্মী সমর্থককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রবিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: হেফাজতের তাণ্ডব: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৪ ঘণ্টায় আরও গ্রেপ্তার ১১
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রইস উদ্দিন জানান, শুক্রবার ও শনিবার দিনগত রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদেরকে রবিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, হেফাজতে ইসলামের আহ্বানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন মাদ্রাসার ছাত্ররা গত ২৭ মার্চ জেলা সদরে রাধিকা বাজারে মিছিল এবং রাস্তায় গাছের গুড়ি ও টায়ারে আগুন জালিয়ে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির ঘটনায় জড়িত ইসলামি আন্দোলন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার মহিলা ও পরিবার কল্যান সম্পাদক, জাতীয় শিক্ষক ফোরামের মাদ্রাসা বিষয়ক সম্পাদক কেন্দ্রীয় কমিটির মাওলানা নিয়াজুল করিমকে গ্রেপ্তার করেছে। এছাড়াও আরও ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: হেফাজতের তাণ্ডব: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৪ ঘণ্টায় ১২ জনসহ গ্রেপ্তার ৩১০
পুলিশ ঘটনার সময় ধারণ করা স্থির চিত্র এবং সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজ যাচাই-বাছাই করে অভিযুক্তদেরকে সনাক্ত করছে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন: হেফাজতের তাণ্ডব: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭ জন গ্রেপ্তার
পুলিশ সূত্র জানায়, হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডবের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় সর্বমোট ৪৯ টি, আশুগঞ্জ থানায় ৪ টি ও সরাইল থানায় ২ টি সহ সর্বমোট ৫৫ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এজাহারনামীয় আসামিসহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ হাজার লোকের নামে মামলা হয়। এসকল মামলায় এ পর্যন্ত ৪০৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সিলেটে হেফাজত নেতা মুফতি মাসউদ গ্রেপ্তার
সিলেটের জকিগঞ্জ থেকে হেফাজতে ইসলামের নেতা মুফতি মাওলানা মাসউদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তিনি জকিগঞ্জ উপজেলা হেফাজতে ইসলামের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও শাহবাগ জামিয়া মাদানিয়া ক্বাসিমুল উলুম মাদ্রাসার নায়েবে মুহতমিম (ভাইস প্রিন্সিপাল) ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের নেতা।
আরও পড়ুন: হেফাজতের তাণ্ডব: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৪ ঘণ্টায় আরও গ্রেপ্তার ১১
শুক্রবার ভোররাত ৩ টায় জকিগঞ্জস্থ বারহাল কচুয়ায় তার নিজ গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কাসেম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ২০ এপ্রিল জকিগঞ্জ থানায় দায়ের করা পুলিশের একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ওই মামলায় এর আগে আরও ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: হেফাজতের তাণ্ডব: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭ জন গ্রেপ্তার
এর আগে গত ১৯ এপ্রিল রাত সাড়ে ১০টায় জকিগঞ্জের বারহাল ইউনিয়নের মাইজগ্রাম জামে মসজিদ থেকে হেফাজতে ইসলামের গ্রেপ্তার নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে একটি মিছিল বের হয়। সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে লকডাউন চলা অবস্থায় বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন করায় তখন ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: হেফাজতের তাণ্ডব: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৪ ঘণ্টায় ১২ জনসহ গ্রেপ্তার ৩১০
এ ঘটনায় পরদিন ২০ এপ্রিল জকিগঞ্জ থানায় ১৯ জনের নাম উল্লেখসহ বিএনপি, জামায়াত, শিবির ও হেফাজতে ইসলামের প্রায় ৩০-৩৫ জন অজ্ঞাত নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পুলিশ। এই মামলায় মাওলানা মুফতি মাসউদকেও গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
হেফাজতের তাণ্ডব: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আরও ৫ জন গ্রেপ্তার
হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ কর্মসূচি ও হরতাল চলাকালে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের তাণ্ডবে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ৫ জন হেফাজত কর্মী ও সমর্থককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উক্ত সহিংস ঘটনাসমূহের প্রাপ্ত স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের শনাক্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: হেফাজতের তাণ্ডব: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৪ ঘণ্টায় আরও গ্রেপ্তার ১১
হেফাজতের তাণ্ডবে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯টি, আশুগঞ্জ থানায় ৪ টি ও সরাইল থানায় দুটি সহ সর্বমোট ৫৫টি মামলা রুজু হয়েছে।
আরও পড়ুন: হেফাজতের তাণ্ডব: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭ জন গ্রেপ্তার
এসকল মামলায় ৪১৪ জন এজাহারনামীয় আসামিসহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ হাজার লোকের নামে মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হেফাজতের তাণ্ডব: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৪ ঘণ্টায় ১২ জনসহ গ্রেপ্তার ৩১০
এসকল মামলায় সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সর্বমোট ৩৯২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জেলা পুলিশের প্রেস রিলিজে জানানো হয়েছে।
হেফাজতের তাণ্ডব: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আরও ৪ জন গ্রেপ্তার
হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ কর্মসূচি ও হরতাল চলাকালে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের তাণ্ডবে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৪ ঘন্টায় আরও চার জন হেফাজত কর্মী ও সমর্থককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উক্ত সহিংস ঘটনাসমূহের প্রাপ্ত স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের শনাক্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: হেফাজতের তাণ্ডব: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৪ ঘণ্টায় আরও গ্রেপ্তার ১১
হেফাজতের তাণ্ডবে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯টি, আশুগঞ্জ থানায় ৪টি ও সরাইল থানায় দুটিসহ সর্বমোট ৫৫টি মামলা রুজু হয়েছে।
আরও পড়ুন: হেফাজতের তাণ্ডব: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৪ ঘণ্টায় ১২ জনসহ গ্রেপ্তার ৩১০
এসকল মামলায় ৪১৪ জন এজাহারনামীয় আসামিসহ অজ্ঞাতনামা ৩০-৩৫ হাজার লোকের নামে মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হেফাজতের তাণ্ডব: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭ জন গ্রেপ্তার
এসকল মামলায় সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সর্বমোট ৩৮৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জেলা পুলিশের প্রেস রিলিজে জানানো হয়েছে।
হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতা মুফতি হারুন ইজহার গ্রেপ্তার
চট্টগ্রাম মহানগরীর লালখান বাজার মাদরাসা থেকে হেফাজত নেতা মুফতি হারুন ইজহারকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
তিনি হেফাজতে ইসলামের সদ্য বিলুপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পাদক ছিলেন এবং হেফাজতের আরেক আলোচিত নেতা মুফতি ইজহারের ছেলে।
বুধবার রাত ১২টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে হেফজতের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হলেও রাতে এ ব্যাপারে র্যাবের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে হেফাজতের আহ্বায়কের প্রেস সচিব ইনামুল হাসান ফারুকী জানান, রাত ১২টার দিকে মুফতি হারুন ইজহারকে ওই মাদরাসা থেকে র্যাবের একটি টিম গ্রেপ্তার করে।
হারুন ইজহারের ব্যক্তিগত সহকারী মো. ওসমান বলেন, ‘রাত সাড়ে ১১ টার দিকে র্যাবের কয়েককটি গাড়ি এসে মাদরাসা (জমিয়াতুল-উলুম-আল-ইসলামিয়া মাদ্রাসা, লালখান বাজার) ঘেরাও করে শায়খকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেছে।’
আরও পড়ুন: হেফাজতের অর্থাদাতাদের শনাক্তে তৎপর গোয়েন্দা সংস্থা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
হেফাজতের তাণ্ডব: ৩ মামলায় বাবু নগরী ও মীর হেলালসহ আসামি ৩ হাজার
জানা গেছে, হারুন ইজহারের বিরুদ্ধে সম্প্রতি হেফাজতের তাণ্ডবের ঘটনায় সংশ্লিষ্টাতাসহ পূর্বের কয়েকটি নাশকতার ঘটনার ইন্দনের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে মাদরাসায় গ্রেনেড বিস্ফোরণ, শাপলা চত্বরে তাণ্ডবের ঘটনাসহ সর্বমোট ১১টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
লালখান বাজার মাদরাসায় গ্রেনেড বিস্ফোরণ এবং দুই মাদরাসাছাত্র নিহত হওয়ার ঘটনায় তিনি দীর্ঘদিন কারাভোগও করেন।
২০১৩ সালের ৭ অক্টোবর ২০ দলীয় জোটভুক্ত ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশের সভাপতি মুফতি ইজহারের (হারুন ইজহারের বাবা) পরিচালিত লালখান বাজার মাদরাসায় গ্রেনেড বিস্ফোরণের ঘটনায় কমপক্ষে পাঁচ জন আহত হন। তাদের মধ্যে দুজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পুলিশ ওই মাদরাসায় অভিযান চালিয়ে চারটি তাজা গ্রেনেড এবং ১৮ বোতেল এসিড উদ্ধার করেছিল। ওই ঘটনায় তিনি (হারুন ইজহার) গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘদিন কারাগারে ছিলেন। এ ঘটনায় তিনটি ও হেফাজতের নাশকতার ৮ মামলাসহ মোট ১১টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এছাড়া রাজধানীর শাপলা চত্বরে হেফাজতের লংমার্চের সময় সংঘর্ষ ও নাশকতার ঘটনায় দায়ের হওয়া তিনটি মামলায়ও তিনি আসামি।
হেফাজতের অর্থাদাতাদের শনাক্তে তৎপর গোয়েন্দা সংস্থা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের অর্থদাতাদের শনাক্তে কাজ করছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।
বুধবার রাজধানীর ধানমন্ডির নিজ বাসভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই তথ্য জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘গোয়েন্দারা হেফাজতের অর্থের উৎস এবং কারা এই সংগঠের অর্থায়ন করছে তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। ইতোমধ্যেই বেশকিছু তথ্য আমাদের হাতে এসেছে। তবে সম্পূর্ণ তদন্ত শেষে সব তথ্য জনগণকে জানানো হবে।’
এসময় মন্ত্রী বলেন, কোন উৎস থেকে, কীভাবে এবং কার অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে এসব অর্থ আসছে তা খুঁজে বের করা হবে।
২০১৩ সালের শাপলা চত্বরের ঘটনার মতো এবারও স্বাধীনতার দিবসে সহিংসতার মাধ্যমে তারা সরকার পতনের চেষ্টা চালিয়েছিল বলে দাবি করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
এসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান হেফাজতের গঠনতন্ত্রের কথ উল্লেখ করে বলেন, ‘হেফাজত একটি অরাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে নিজেদের দাবি করলেও, বর্তমানে তাদের কার্যক্রমে রাজনৈতিক দূরভিসন্ধি লক্ষ করা যাচ্ছে। এছাড়াও তাদের কার্যক্রমে জঙ্গী তৎপরতার মাধ্যমে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টাও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরে এসেছে।’
আরও পড়ুন: বিলুপ্ত ঘোষণার ২ ঘণ্টার মাথায় হেফাজতের ৫ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন
হেফাজতের তাণ্ডব: ৩ মামলায় বাবু নগরী ও মীর হেলালসহ আসামি ৩ হাজার
হেফাজতের আমি জুনায়েদ বাবুনগরীর গ্রেপ্তারের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে মন্ত্রী জানান, বাবুনগরী ২০১৩ এর মামলা আটক হয়েছিলেন। এরপর তিনি জামিনে মুক্তি পান। মামলার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জেনে পরবর্তীতে তার ব্যাপারে জানানো হবে বলে আশ্বস্ত করে তিনি।
তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কঠোর হুঁশিয়ারি জানিয়ে বলেন, যারাই অপরাধ করবে, তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
হেফাজতের তাণ্ডব: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আরও ৮ জন গ্রেপ্তার
হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ কর্মসূচি ও হরতাল চলাকালে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের তাণ্ডবে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮ জন হেফাজত কর্মী ও সমর্থককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উক্ত সহিংস ঘটনাসমূহের প্রাপ্ত স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের সনাক্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: হেফাজতের তাণ্ডব: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৪ ঘণ্টায় ১২ জনসহ গ্রেপ্তার ৩১০
তারমধ্যে গত ২৬ মার্চ হেফাজতের কর্মসূচিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ছবি সম্বলিত ব্যানারে অগ্নি সংযোগকারী মো. মাহমুদুল হাসান শান্ত এবং ২৮ মার্চ হেফাজতের ডাকা হরতাল চলাকালে ঘাটুরা হতে পুলিশ লাইন পর্যন্ত রাস্তায় ব্যারিকেড জ্বালাও পোড়াও করে তাণ্ডব ও পুলিশ লাইনে আক্রমনে জড়িত ঘাটুরা হরিনাদী জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ আব্দুর রাকিবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হেফাজতের তাণ্ডব: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭ জন গ্রেপ্তার
হেফাজতের তাণ্ডবে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯টি, আশুগঞ্জ থানায় ৪টি ও সরাইল থানায় ২টি সহ সর্বমোট ৫৫টি মামলা রুজু হয়েছে।
এসকল মামলায় ৪১৪ জন এজাহারনামীয় আসামিসহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ হাজার লোকের নামে মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হেফাজতের তাণ্ডব: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৪ ঘণ্টায় আরও গ্রেপ্তার ১১
এসকল মামলায় সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সর্বমোট ৩৮৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জেলা পুলিশের প্রেস রিলিজে জানানো হয়েছে।