হেফাজতে ইসলাম
লকডাউনে বিরোধীদের বিরুদ্ধে ‘কঠোর ব্যবস্থা’ নিয়েছে সরকার, অভিযোগ ফখরুলের
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে দেশব্যাপী লকডাউনে সরকার বিরোধীদের বিরুদ্ধে ‘কঠোর ব্যবস্থা’ নিয়েছে বলে বৃহস্পতিবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন।
'তারা (সরকার) আমাদের দলের, সহযোগী সংগঠন এবং অন্যান্য সংগঠনের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি করছে এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করায় তারা লকডাউনকে কেন্দ্র করে একটি কঠোর ব্যবস্থা নেয়া শুরু করেছে।'
আরও পড়ুন: মূল্য বৃদ্ধির জন্য দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেটকে দায়ী করছে বিএনপি
ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিতে গিয়ে বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, সরকার লকডাউনের সুযোগ নিয়ে বিরোধী নেতা-কর্মীদের বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে। 'চলমান ক্র্যাকডাউনের কারণে এখন সারা দেশে আমাদের দলের নেতা-কর্মীরা ঘরে বসে থাকতে পারবেন না।'
তিনি গ্রেপ্তার হওয়া বিএনপির নেতা-কর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি এবং তাদের বিরুদ্ধে আনা ‘মিথ্যা’ অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
ফখরুল বিরোধী দলগুলোর জন্য গণতান্ত্রিক স্থান নিশ্চিত করে দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছেন। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, 'অন্যথায়, আপনাকে অবশ্যই এটির জন্য চড়া মূল্য দিতে হবে, এবং আপনাকে কোনো একদিন জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে।'
আরও পড়ুন: উপসর্গ ছাড়াই খালেদার করোনা শনাক্ত: বিএনপি
এই বিএনপি নেতা অভিযোগ করেছেন, পুলিশ ও অন্যান্য রাষ্ট্রব্যবস্থা ব্যবহার করে বিএনপি নেতা-কর্মীদের দমন করার চেষ্টা করছে।
'হেফাজতের নেতা-কর্মীদের সহিংসতা ও পুলিশেরসাথে সংঘাতকে কেন্দ্র করে ঢাকা, চাটগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে অনেক মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এসব মামলায় আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।'
তিনি বলেন, পুলিশ গত কয়েকদিন ধরে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের কমপক্ষে ১৬৪ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। 'তাদের মধ্যে একজন পাবনায় গ্রেপ্তারের পরে মারা যান।'
এছাড়া, ফখরুল বলেন, জামিনে তাদের মুক্তির পথে বাধা তৈরি করতে পুলিশ নিপুণ রায় চৌধুরী ও রফিকুল আলম মজনুসহ বিএনপির নেতাদেরগ্রেপ্তার করে নতুন মামলায় জড়িত করছে।
তিনি বলেছিলেন, বিরোধীদের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর ব্যবস্থা হালকাভাবে নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। 'আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ধরে দমনমূলক আচরণের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করছে কেননা তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তারা এই পবিত্র রমজান মাসেও এই জাতীয় জঘন্য কর্মকাণ্ডে জড়িত।'
আরও পড়ুন: হেফাজতকে উসকে দিচ্ছে বিএনপি: হানিফ
ফখরুল বলেছিলেন, সরকারের লক্ষ্য হলো সম্পূর্ণভাবে একটি স্বৈরতান্ত্রিক একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করা। 'এ কারণেই তারা কেবল বিএনপি ও বাম জোটকেই দমন করছে না, হেফাজত ও ইসলামিক দলগুলোসহ অন্যান্য দলগুলোকেও দমন করে যাচ্ছে। তারা সকলের উপর অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে যাতে বিরুদ্ধ মতের কণ্ঠস্বর শোনা না যায়।
শফী হত্যা মামলা: বাবুনগরীসহ ৪৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে পিবিআই’র প্রতিবেদন
হেফাজতে ইসলামের প্রয়াত আমীর আল্লামা আহমদ শফীর মৃত্যুর ঘটনায় দায়েরকৃত হত্যা মামলায় হেফাজতে ইসলামের বর্তমান আমির জুনায়েদ বাবুনগরীসহ ৪৩ নেতার বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছে তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
সোমবার বিকালে এ সংক্রান্ত তদন্তের প্রতিবেদন চট্টগ্রাম জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জমা দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: আল্লামা শফী ‘হত্যা’ মামলা: হাটহাজারী মাদরাসায় পিবিআই তদন্ত দল
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার নাজমুল হোসেন বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: বাবুনগরী, মামুনুলকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি আ’লীগ ও সহযোগীদের
উল্লেখ্য, হেফাজতে ইসলামের সাবেক আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী গত বছরের সেপ্টেম্বরে রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আল্লামা শফীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগে গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর হেফাজতের বর্তমান কমিটির আমির জুনায়েদ বাবুনগরীসহ ৩৬ জনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এ হত্যা মামলা দায়ের করেন আল্লামা আহমদ শফীর শ্যালক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন।
আরও পড়ুন:হেফাজত আমির আহমদ শফী মারা গেছেন
আদালত সে মামলা আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন।
হেফাজত নেতা ইসলামাবাদী গ্রেপ্তার, ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
সোমবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) যুগ্ম-কমিশনার মো. মাহবুব আলম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: রূপগঞ্জে হেফাজত নেতা লোকমান হোসেন আমিনী আটক
রবিবার রাতে চট্টগ্রামের হাটহাজারী থেকে আটকের পর তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।
পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) যুগ্ম-কমিশনার জানান, ২০১৩ সালে ৫ মে রাজধানীর মতিঝিল শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশ থেকে জ্বালাও-পোড়াও এবং ভাঙচুরের ঘটনায় দাযের হওয়া মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। দুপুরে তাকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাইলে আদালত ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনায় হেফাজতের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ ছাত্রলীগের
এদিকে, গতকাল রাত থেকে মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদীর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান জেফাজত নেতারা ও তার পরিবার। তাদের দাবী রবিবার হাটহাজারীস্থ হেফাজতে ইসলামে সভায় যোগদান শেষে চট্টগ্রাম শহরের উদ্দ্যেশে রওনা হওয়ার পর থেকে তার কোনো খোঁজ মিলছে না।
হেফাজতে ইসলামের আমীর আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেছেন, হাটহাজারী থেকে গত রাতে গুম হওয়া হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদীকে সুস্থ অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে হবে। নিরপরাধ মানুষকে এভাবে গ্রেপ্তার ও হামলা মামলা বরদাশত করা হবে না।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে ‘গোপন বৈঠকের’ সময় জামায়াত ও হেফাজতের ৯ নেতা গ্রেপ্তার
সোমবার সংবাদমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, 'মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় আমরা গভীরভাবে উদ্বীগ্ন ও চিন্তিত। এবং নারায়ণগঞ্জের মদনপুর থেকে হেফাজতের সহ-অর্থ সম্পাদক মুফতী ইলিয়াস হামিদিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকেও মুক্তি দিতে হবে। হেফাজতে ইসলাম দেশে শান্তি ও শৃঙ্খলা চায়। তবে জুলুমবাজদের জুলুমে পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেলে দেশবাসীকে সাথে নিয়ে সমুচিত জবাব দেয়া হবে।'
মামুনুল হকের দ্বিতীয় স্ত্রী নিখোঁজ; পল্টন থানায় জিডি
হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের দ্বিতীয় স্ত্রী নিখোঁজের ঘটনায় পল্টন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ বি সিদ্দিক জানান, মামুনুলের দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে শনিবার রাতে পল্টন থানায় জিডি করেছেন।
জিডিতে দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে জানায়, শনিবার সে তার মায়ের ধানমন্ডির বাসায় গিয়েছিল এবং কিন্তু সেখানে তার মাকে খুঁজে পায়নি।
আরও পড়ুন: সিলেটেও মামুনুল হককে মাহফিলের মঞ্চে উঠতে দেয়া হয়নি
যে বাসায় তার মা ভাড়া থাকতেন, সেখানে গিয়ে জানতে পারে, ৩ এপ্রিল থেকে মা বাসায় ফেরেননি।
তবে বাসায় তার মায়ের ডায়েরি ও ব্যাংকের চেক বই পায়। বিপদের আশঙ্কায় সেগুলো থানায় জমা দেন।
আরও পড়ুন: বিয়ানীবাজারেও হেফাজত নেতা মামুনুল হকের মাহফিল বাতিল
হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক তার দ্বিতীয় স্ত্রীসহ ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের একটি রিসোর্টে যান। সেখানে কিছু লোক তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে এবং অশ্লীলভাষায় গালমন্দ করে তার সাথে থাকা নারীর পরিচয় জানতে চায়।
আরও পড়ুন:সোনারগাঁয়ে মামুনুল হকসহ ৬০০ জনের বিরুদ্ধে ৩ মামলা
মহানগর হেফাজতের সেক্রেটারি জানান, মামুনুল তার দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে রিসোর্টে গিয়েছিলেন যেখানে স্থানীয়রা তাকে আটকে রাখে এবং পুলিশে ফোন না দিয়ে হয়রানি করে ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনায় হেফাজতের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ ছাত্রলীগের
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গত ২৬, ২৭, ২৮ মার্চে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় হেফাজত মিথ্যাচার করছে বলে অভিযোগ করেছে ছাত্রলীগ।
শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন লিখিত বক্তব্যে এ অভিযোগ করেন।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৯টি থানা ও বিভিন্ন পুলিশ ফাঁড়িতে নিরাপত্তা জোরদার
তিনি জানান, হেফাজত নেতারা এখন মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। গত ৫ এপ্রিল হেফাজত নেতারা সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তান্ডবের ঘটনায় হেফাজতের কেউ জড়িত নন। তাদের এই ধরণের বক্তব্যকে নিছক মিথ্যাচার ও অপরাজনীতি বলেই ছাত্রলীগ মনে করেন।
এছাড়াও স্থানীয় সংসদ সদস্য র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর নির্দেশে জামিয়া ইউনুছিয়া ইসলামিয়া মাদরাসায় হামলা ও মানুষ হত্যার অভিযোগকে মিথ্যা ও তথ্যসন্ত্রাস বলে উল্লেখ করেন। সেই সাথে পুরো ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেন এবং ভিডিও ফুটেজ দেখে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনা পরিদর্শন করলেন পুলিশের আইজিপি
সংবাদ সম্মেলনে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেলসহ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৯টি থানা ও বিভিন্ন পুলিশ ফাঁড়িতে নিরাপত্তা জোরদার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের সাম্প্রতিক বিভিন্ন সহিংস ও ধ্বংসাত্মক কর্মসূচীর প্রেক্ষাপটে জেলার ৯টি থানাসহ বিভিন্ন পুলিশ ফাঁড়ি ও তদন্ত কেন্দ্রের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
এসব থানা, পুলিশ ফাঁড়ি ও তদন্ত কেন্দ্রের সামনে বালির বস্তা ফেলে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদারসহ জনবল বৃদ্ধি ও এলএমজি চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। থানাগুলো ছাড়াও জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে একই ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
থানাগুলো হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা, বিজয়নগর থানা, নবীনগর থানা, আশুগঞ্জ থানা, সরাইল থানা, নাসিরনগর থানা, কসবা থানা, আখাউড়া থানা ও বাঞ্চারামপুর থানা।
পুলিশ ফাঁড়িগুলো হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের ১ নং শহর পুলিশ ফাঁড়ি, ২ নং শহর পুলিশ ফাঁড়ি, বিজয়নগর উপজেলার ইসলামপুর পুলিশ ফাঁড়ি ও আখাউড়া উপজেলার ধরখার পুলিশ ফাঁড়ি।
আরও পড়ুন: সিলেটের সকল থানা ও পুলিশ ফাঁড়িতে নিরাপত্তা জোরদার
তদন্ত কেন্দ্রগুলো হচ্ছে নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় তদন্ত কেন্দ্র ও বিজয়নগর উপজেলার আউলিয়া বাজার তদন্ত কেন্দ্র।
পুলিশ ক্যাম্পগুলো হচ্ছে আশুগঞ্জ সার কারখানা পুলিশ ক্যাম্প, আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেড (পিডিবি) পুলিশ ক্যাম্প, আশুগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোলপ্লাজা পুলিশ ক্যাম্প, নবীনগর উপজেলার শিবপুর পুলিশ ক্যাম্প ও ছলিমগঞ্জ পুলিশ ক্যাম্প, বিজয়নগর উপজেলার চম্পনগর পুলিশ ক্যাম্প, জেলা পুলিশ লাইন্সে ৪টি এবং পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে একটিসহ মোট ২৭টি এলএমজি চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে।
এসব নিরাপত্তা পোস্টে আধুনিক ও ভারি অস্ত্রসহ প্রশিক্ষিত পুলিশ সদস্যসের নিয়োগ করা হয়েছে। এছাড়াও প্রতিটি থানা, পুলিশ ফাঁড়ি, তদন্ত কেন্দ্র ও পুলিশ ক্যাম্পে ইতোমধ্যেই জনবল বৃদ্ধিসহ পর্যাপ্ত অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করা হয়েছে। দুষ্কৃতিকারীরা যেন কোন পুলিশ স্থাপনায় হামলা বা সহিংস ঘটনা ঘটাতে না পারে সেজন্য ঊর্ধ্বতন অফিসাররা নিয়মিত মনিটরিং করছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মো. রইছ উদ্দিন বলেন, পরবর্তী নির্দেশ দেয়া না পর্যন্ত থানা, পুলিশ ফাঁড়ি, তদন্ত কেন্দ্র ও পুলিশ ক্যাম্পগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা বহাল থাকবে। এসব পুলিশি স্থাপনাগুলোতে বালির বস্তা ফেলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। প্রশিক্ষিত পুলিশ অফিসার নিয়োগসহ লোকবল বৃদ্ধি করা হয়েছে ও তাদেরকে আধুনিক ও ভারি অস্ত্র সরবরাহ করা হয়েছে।
সোনারগাঁয়ে মামুনুল হকসহ ৬০০ জনের বিরুদ্ধে ৩ মামলা
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে পুলিশের ওপর হামলা ও রয়েল রিসোর্টে ভাঙচুরের অভিযোগে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকসহ ৮৩ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। একই সাথে মামলায় ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
বুধবার বিকালে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ জায়েদুল আলম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গত মঙ্গলবার রাতে তিনটি মামলা হয়। পুলিশ বাদী হয়ে দুটি মামলা করেছে। আর সাংবাদিক বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে।
সোনারগাঁয়ের ওই রিসোর্ট থেকে তাকে ছাড়িয়ে গত ৩ এপ্রিল সন্ধ্যায় স্থানীয় একটি মসজিদে নিয়ে যান হেফাজতের নেতা-কর্মীরা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ‘হেফাজতের’ হামলায় আহত আ’লীগ নেতার মৃত্যু
এর আগে বিকালে রয়েল রিসোর্টে মামুনুল হককে স্থানীয় কয়েকজন অবরুদ্ধ করে রাখেন। সেদিন এ ঘটনায় ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে বলতে শোনা যায়, মামুনুল এক নারীসহ আটক হয়েছেন। যদিও ওই নারীকে নিজের স্ত্রী বলে দাবি করেছেন তিনি।
এ সময় পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের লোকজনও সেখানে উপস্থিত হন। এ ঘটনা ফেসবুকে লাইভ করেন কয়েকজন ব্যক্তি। ওই লাইভ দেখে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সন্ধ্যার পর স্থানীয় লোকজন ও মাদরাসার শত শত ছাত্র ওই রিসোর্টে গিয়ে মামুনুল হককে নিয়ে আসেন। বের হয়ে এসে মামুনুল হক নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন।
তিনি বলেন, ‘কিছু বাইরের লোক খারাপ আচরণ করেছে। আমি আমার দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে এখানে ঘুরতে এসেছিলাম। আপনারা শান্ত থাকুন।’
সূত্র মতে, ঘটনার দিন দুপুরের পর মামুনুল হক তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে রয়েল রিসোর্টের ৫০১ নাম্বার রুমে উঠেন। খবর পেয়ে সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি সোহাগ রনির নেতৃত্বে একটি গ্রুপ রিসোর্টে যায় এবং সরাসরি ৫০১ নাম্বার রুমে ঢুকে। ভিডিওতে দেখা যায় মামুনুল হককে তারা শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে এবং অশ্লীলভাষায় গালমন্দ করে তার সাথে থাকা নারীর পরিচয় জানতে চায়।
এ সময় মামুনুল হক তাদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, তিনি তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে রিসোর্টে আসেন। স্ত্রীর নাম আমেনা তৈয়ব। শরিয়ত অনুযায়ী তিনি দুই বছর আগে আমেনাকে বিয়ে করেন। এ বিষয়ে তার কাছে প্রমাণও রয়েছে। কিন্তু পরিচয় দেয়ার পরও তারা মামুনুল হককে অবরুন্ধ করে রাখে। এই খবর ছড়িয়ে পড়ছে শত শত হেফাজতের লোকজন রয়েল রিসোর্টে ছুটে আসে এবং ঘেরাও করে। এক পর্যায়ে প্রধান ফটক ভেঙে ভেতরে ঢুকে মামুনুল হক ও তার সাথে থাকা নারীকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। হেফাজতের লোকজন ভ্যাপক ভাঙচুর চালায় রিসোর্টের ভেতর।
রয়েল রিসোর্টে হেফাজতের কর্মীদের ভাঙচুরের সময় ভেতরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছিলেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) টিএম মোশাররফ হোসেন, সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতিকুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) গোলাম মোস্তফা মুন্নাসহ সরকারি পর্যায়ের বিভিন্ন কর্মকর্তা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মামুনুল হককে ছিনিয়ে নেয়ার সময় হেফাজতের উত্তেজিত কর্মী-সমর্থকরা লাঠিসোটা হাতে রিসোর্টে ভাঙচুরের পর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন এবং মুগড়াপাড়ায় যুবলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম নান্নু ও ছাত্রলীগ নেতা সোহাগ রনির বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এ সময় হেফাজত কর্মীরা রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে সড়কে অবস্থান নেন এবং বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করেন। পরে পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
আরও পড়ুন: সন্ত্রাসবাদে উস্কানিদাতাদের তালিকা তৈরি করুন: কাদের
‘উস্কানিমূলক বক্তব্য’ দেয়ার অভিযোগে নেত্রকোণায় ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল আটক
এর আগে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ জায়েদুল আলম বলেছিলেন, হেফাজত নেতা মামুনুল হককে আটক কিংবা গ্রেপ্তার কোনোটিই করা হয়নি। স্থানীয়রা তাকে ঘিরে ফেলায় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক করে আনতে সক্ষম হয়। তবে পুলিশ তাকে নিরাপত্তা দিয়ে রেখেছে।
এদিকে এ ঘটনায় জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোশারফ হোসেন ও সোনার গাঁ থানার ওসি রফিকুল ইসলামকে বদলি করা হয়।
মামুনুলের পক্ষে ফেসবুক পোস্ট: সীতাকুণ্ডে দুই ছাত্রলীগ নেতাকে অব্যাহতি
হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের পক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়া সীতাকুণ্ড উপজেলায় দুজন ছাত্রলীগ নেতাকে সংগঠনের পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
তারা হলেন- উপজেলার ৯নং ভাটিয়ারী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগ সভাপতি মো. গিয়াস উদ্দিন এবং ৮নং সোনাইছড়ি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক মো. আজিজুল হক আজিজ।
আরও পড়ুন: বায়তুল মোকাররমে সহিংসতা: মামুনুলসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা
ভাটিয়ারী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মো. শাহিন আহমেদ ও সোনাইছড়ি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি নাজিম উদ্দিনের স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
দুই ছাত্রলীগ নেতার অব্যাহতি বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মো. শিহাব উদ্দিন বলেন, 'দুজনই হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের পক্ষে স্ট্যাটাস দিয়েছে যা সংগঠনের নীতি আদর্শ ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ। এ কারণে সংগঠন থেকে দুজনকে অব্যাহতি দেয়া হয়।'
আরও পড়ুন: মামুনুলের পক্ষে ফেসবুক লাইভ: কুষ্টিয়ার সেই পুলিশ কর্মকর্তা প্রত্যাহার
ছাত্রলীগ নেতারা জানান, সংসদে হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া বক্তব্যের বিরোধিতা করে এক ব্যক্তি ফেসবুক স্ট্যাটাস দেয়। আর সেটি শেয়ার করে ভাটিয়ারী ইউনিয়ন ২নং ওয়ার্ড সভাপতি গিয়াস উদ্দিন।
ভাটিয়ারী ছাত্রলীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন বলেন, 'আমার ব্যবহৃত মোবাইল সেটটি চুরি হয়ে যায়। যারা চুরি করেছে তারাই পোস্টটি শেয়ার করেছে। মোবাইল চুরির বিষয়টি আমি থানাকেও অবহিত করেছি।'
অপরদিকে, মাওলানা মামুনুল হকের ঘটনা নিয়ে তার পক্ষে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয় সোনাইছড়ি ইউনিয়ন ছাত্রলীগ প্রচার সম্পাদক আজিজ।
আরও পড়ুন: ওই নারী মামুনুলের স্ত্রী নন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সোনাইছড়ি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক মো. আজিজুল হক আজিজ বলেন, 'আমি দীর্ঘদিনের মুজিব আদর্শের একজন সৈনিক। জ্ঞান হওয়ার পর থেকেই আমি এ আদর্শ লালন করছি। আমার ফেসবুক আইডি হ্যাক হওয়ার কারণে কে বা কারা আমার আইডি থেকে মামুনুল হকের পক্ষে স্ট্যাটাস দেয়। আইডি উদ্ধার হওয়ার পর আমি পোস্টটি ডিলিট করে দিই। দল থেকে অব্যাহতির বিষয়টি দুঃখজনক।'
দুজনের বিষয়টি দলের দৃষ্টিগোচর হলে সংগঠনের নীতি আদর্শ ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাদেরকে সংগঠনের পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
সন্ত্রাসবাদে উস্কানিদাতাদের তালিকা তৈরি করুন: কাদের
সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও সাম্প্রদায়িক কর্মকাণ্ডে উস্কানিদাতাদের তালিকা প্রস্তুত করতে দলীয় নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, হেফাজতে ইসলামকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে হবে।
বুধবার সকালে ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবনে আওয়ামী লীগের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ নির্দেশনা দেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ‘হেফাজতের’ হামলায় আহত আ’লীগ নেতার মৃত্যু
তিনি বলেন, 'আক্রমণ করলে তাদের কীভাবে পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানাতে হয় তা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জানে।
কাদের বলেন, একটি উগ্র সাম্প্রদায়িক অপশক্তি হেফাজত ইসলাম বিদ্যমান স্বস্তি ও শান্তি বিনষ্টে দেশের বিভিন্ন স্থানে যে অব্যাহত তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে তা সহনশীলতার সকল মাত্রা অতিক্রম করেছে।
জনগণের জানমালের সুরক্ষা দিতে শেখ হাসিনা সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তা নিশ্চিত করে ওবায়দুল কাদের হুঁশিয়ার করে বলেন, যারা দেশব্যাপী সহিংসতা চালিয়েছে বা এখনও চালিয়ে যাচ্ছে তাদের ভয়াবহ পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে বাংলাদেশের হারানো গণতন্ত্রকে পুনরুজ্জীবিত করেছেন।
আরও পড়ুন: হেফাজতের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি শেখ সেলিমের
সেতুমন্ত্রী বলেন, সরকার পরিচালনার দায়িত্বে আছে বলেই প্রতিক্রিয়াশীল চক্রের ধ্বংসাত্মক রাজনীতির বিপরীতে আওয়ামী লীগ এখনও দায়িত্বশীল আচরণ করছে।
আওয়ামী লীগ নেতা সতর্ক করে দিয়ে বলেন, 'বাংলাদেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ। তারা ধর্ম পালন করে কিন্তু কোনো ধর্মান্ধতার সমর্থন করে না। আগুন নিয়ে খেলবেন না। আগুন নিয়ে খেলতে গেলে সে আগুনে আপনাদের হাত পুড়ে যাবে।'
দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ওপর হামলা, ভূমি অফিসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা উল্লেখ করে কাদের বলেন, ‘যারা এসবের সাথে জড়িত তাদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।’
তিনি বলেন, 'মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং বঙ্গবন্ধুর অবমাননা জাতি আর সহ্য করবে না।'
আরও পড়ুন: হেফাজতের কাঁধে ভর করে বিএনপি জামায়াত দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে: হানিফ
‘বঙ্গবন্ধুর ছবি ও ভাস্কর্যগুলোতে যারা হামলা করেছেন তাদের এই নৈরাজ্যের জবাব দেবে আওয়ামী লীগ কর্মীরা,’ বলেন কাদের।
আগুন সন্ত্রাস ও অশুভ শক্তিকে প্রতিহত ও পরাজিত করতে হবে বলে ওবায়দুল কাদের সারা বাংলাদেশে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে দেশপ্রেমিক জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।
দুই-একদিনের মধ্যে দূরপাল্লার বাস সার্ভিস চালু করার তথ্যটি সত্য নয় জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, কিছু লোক অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং এ ব্যাপারে বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করছে।
বায়তুল মোকাররমে সহিংসতা: মামুনুলসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা
রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ এলাকায় ২৬ মার্চের সংঘর্ষের ঘটনায় হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
পল্টন মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক জানান, সোমবার রাতে পল্টন মডেল থানায় ওয়ারি এলাকার একজন ব্যবসায়ী খন্দকার আরিফুজ্জামান মামলাটি করেন।
২৬ মার্চ বায়তুল মোকাররম এলাকায় হেফাজতের বিক্ষোভ চলাকালীন দোকান ও যানবাহন ভাঙচুর, যানবাহনে আগুন দেয়া এবং লোকজনের উপর হামলা করার অভিযোগে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে।
‘মামলার এজাহার অনুযায়ী’ বাদী দাবি করেছেন, হেফাজতের নেতা-কর্মীরা সংঘর্ষের সময় তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছিল।
আরও পড়ুন: মোদিবিরোধী বিক্ষোভ: বায়তুল মোকাররম এলাকায় পুলিশের সাথে মুসল্লিদের সংঘর্ষ
এছাড়াও মামলায় ২ থেকে ৩ হাজার অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তিদেরও এই মামলায় আসামি করা হয়েছে।
২৬ মার্চ বায়তুল মোকাররম এলাকায় মুসল্লি ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন সাংবাদিকসহ কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়েছেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের বিরোধীতা করে জুমার নামাজ শেষে মুসল্লিদের মিছিল বের করলে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ শুরু হয়।
আরও পড়ুন: নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের লাল কার্ড
এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে আগেই কয়েকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।