শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার আহ্বান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘আগামী ২১ ফেব্রুয়ারির পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন। এতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কোন আপত্তি নেই। তবে আমাদের পরামর্শ থাকবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হয়। আর স্কুল-কলেজের যে সমস্ত ছেলে-মেয়েরা এখনও টিকা নেয়নি তারা যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে করোনার টিকা নিয়ে নেয়।’
শনিবার দুপুরে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার শুভ্র সেন্টারে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ওমিক্রন ছড়ালে অনলাইন ক্লাস হবে’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন , আমাদের লক্ষ্যমাত্রার ৮৫ ভাগ মানুষকে টিকা দেয়া সম্পন্ন হয়েছে। কাজেই সংক্রমণ ও মৃত্যুর ঝুঁকি এখন অনেকটাই কমে গেছে। এরপরও আমাদেরকে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং বাইরে গেলেই মাস্ক পরতে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করতে হবে। সামাজিক আচার-অনুষ্ঠান সীমিতভাবে করার জন্য যেসব নির্দেশনা দেয়া হয়েছে তা মেনে চলতে হবে।
অনুষ্ঠানে জেলা সিভিল সার্জন মোয়াজ্জেম হোসেন খান চৌধুরী, মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে তত্বাবধায়ক ডা. আরশাদ উল্লাহ, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. লুতফর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: লক্ষ্যমাত্রার ৭৫ শতাংশ মানুষ টিকার আওতায়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ওমিক্রন ছড়ালে অনলাইন ক্লাস হবে’
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়লে অনলাইন ক্লাস হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেছেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। সে কারণে এখনই শিক্ষার্থীদের সশরীরে পাঠদান বন্ধ করা হচ্ছে না ।’
মঙ্গলবার ডিসি সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন ।
তিনি বলেন, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়লে বন্ধ করে দেয়া হবে । সে ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা বাসায় বসে অনলাইনে ক্লাস করবে । এর আগ পর্যন্ত সরাসরি পাঠদান বন্ধ করে দেয়ার কোনো চিন্তা-ভাবনা নেই।’
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীরা পরিচয়পত্র ব্যবহার করেই টিকা নিতে পারবে: শিক্ষামন্ত্রী
কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে আইসোলেশনে আছে। তারা কেউ গুরুতর অসুস্থ না জানিয়ে দীপু মনি বলেন, ‘ আমরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের সঙ্গে বৈঠক করেছি, তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।’
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘১২-১৭ বছরের শিক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রমকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। গতকাল পর্যন্ত ৮৬ লাখ শিক্ষার্থীর টিকার আওতায় এসেছে। আমরা নিয়মিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো মনিটর করছি। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আগামী দু-একদিনের মধ্যে জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটির সঙ্গে বৈঠক করা হবে।’
আরও পড়ুন: প্রতিটি উপজেলায় কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করা হচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী
৮৪ শতাংশ নারী যৌন হয়রানির শিকার: বিএনডব্লিউএলএ
দেশে চলতি বছরে জানুয়ারি থেকে অক্টোবর ১০ মাসে প্রায় এক হাজার ১৮২ ধর্ষণ সংক্রান্ত ঘটনা ঘটেছে। তার মধ্যে ৯৫৫ ধর্ষণ, ২০০ সংঘবদ্ধ ধর্ষণ এবং ধর্ষণ চেষ্টা ছিল ২৫৯। এক কথায় দিনে চারটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।
একই সময়ে ৮৪ শতাংশ নারী রাস্তাঘাট, যানবাহন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,কর্মক্ষেত্রে এমনকি বাড়িতেও যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন।
বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির (বিএনডব্লিউএলএ) উদ্যোগে আয়োজিত 'বাংলাদেশে যৌন হয়রানি: বর্তমান প্রেক্ষাপট ও প্রতিরোধে করণীয়' শীর্ষক এক বৈঠকে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
আরও পড়ুন: যৌন হয়রানির অপমান সইতে না পেরে জয়পুরহাটে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত জাতীয় দৈনিক ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে এ পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়।
বিএনডব্লিউএলএ এর সভাপতি আইনজীবী সালমা আলী বৈঠকে এ পরিসংখ্যান তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, বর্তমানে দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীদের প্রতি সহিংসতা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। এখনি সময় নারীদের রুখে দাড়ানোর।
আরও পড়ুন: যৌন হয়রানি রোধে হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়ন চেয়ে রিট আসকের
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মানায় অনিয়ম দেখলে কঠোর ব্যবস্থা: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মানায় অনিয়ম দেখলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, কোথাও যদি কোনো নিয়মের ব্যত্যয় দেখি, তাহলে সংশ্লিষ্ট যারা থাকবেন শিক্ষক কর্মকর্তা বা শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা হোন যাদের এটি দেখভাল করার কথা ছিল কিংবা যারা এটা দেখছেন তাদের বিরুদ্ধে সাথে সাথে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রবিবার রাজধানীর আজিমপুর গভর্নমেন্ট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে পরিদর্শনে গিয়ে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: শিগগিরই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে: শিক্ষামন্ত্রী
ডা. দীপু মনি বলেন, এক সপ্তাহে সংক্রমণ সাতে নেমে এসেছে। আমরা গত ২৬ আগস্ট যখন বৈঠক করেছি, তখনই সংক্রমণের হারে যে নিম্নগামী ট্রেন্ড দেখেছিলাম, তার উপর ভিত্তি করে আমরা ধরে নিয়েছিলাম ১১ সেপ্টেম্বরে মধ্যে সংক্রমণের হারটি পাঁচ না হোক কাছাকাছি নেমে আসবে। তার ভিত্তিতেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নেই। এটাও ঠিক যে করোনার সাথে আমাদের অনেক দিন বসবাস করতে হবে। সেই কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার জন্য আমরা এই সময়টাকে যথার্থ সময় মনে করেছি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যদি কোনও আশঙ্কা দেখা যায় সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার। সে ক্ষেত্রে আমাদের তো সুযোগ রয়েছে শ্রেণি কক্ষে না রাখার।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এখন শুধু করোনা নয়, এখন ডেঙ্গুর সিজন চলছে। শিক্ষার্থীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সকাল থেকেই থাকবে। এই সময় ডেঙ্গু মশার কামড় ভয়াবহ। সে কারণে বিশেষজ্ঞরা বলছে পুরো হাতা জামা, ফুল প্যান্ট বা পায়জামা পরলে ভালো। অভিভাবকদের সেটা বলবো। যতদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলে, ততদনি ডেঙ্গু থেকেও শিক্ষার্থীদের বাঁচিয়ে রাখাটাও আমাদের দায়িত্ব।
আরও পড়ুন: বছরের শেষ ২ মাসে হতে পারে এসএসসি, এইচএসসি পরীক্ষা: শিক্ষামন্ত্রী
তিনি বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষগুলো শিক্ষার্থীদের ওপর এই সময় কড়াকড়ি না করাই ভালো। আবার অনেক শিক্ষার্থী আছে যারা গত দেড় বছরে অনেক বড় হয়ে গেছে। এই মুহূর্তে সব অভিভাবকের পক্ষে স্কুল ইউনিফর্ম হয়ত এখনই তৈরি করে দেয়া নাও হতে পারে। সে কারণে আমাদের প্রথমে কিছুটা ছাড় দিতেই হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা প্রতিদিনের চেকলিস্ট করে দিয়েছি। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান চেকলিস্ট করে প্রতিবেদন বাধ্যতামূলকভাবে আমাদের কাছে পাঠাবে। এটি বাধ্যতামূলক। আমাদের জন প্রতিনিধিরা আছেন, সুশীল সমাজের লোকজন, গণ্যমান্য লোকজন আছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমের বিঘ্ন না করে সবাই মিলে যদি তদারকি করেন, অভিভাবকরা যাতে ভিড় না করেন। এছাড়া প্রত্যেক জেলায় আমাদের একটি কন্টোল রুম আছে। এগুলো প্রচারও করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালযয়ের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যলয়ের সিন্ডিকেট ও অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল সিদ্ধান্ত নেবে। মধ্য অক্টোবরে খোলার কথা হয়েছিল। আমরা বলেছিলাম এক সপ্তাহের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে বৈঠক করবো। আমরা করতে পারিনি। এই সপ্তাহের মধ্যে করে ফেলবো।
আরও পড়ুন: এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত শিগগিরই : শিক্ষামন্ত্রী
টিউশন ফি আদায়ের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘মাসিক বেতন তারা নিতে পারবে। সুনির্দিষ্টভাবে বলে দেয়া আছে কী কী নেয়া যাবে। তারা নিতে পারবে। যদি কোনও শিক্ষার্থীর পারিবারিকভাবে অর্থনৈতিক বিপর্যয় ঘটে গেছে, সে ক্ষেত্রে তাদের কিস্তিতে পরিশোধের ব্যবস্থা বা অন্যকোনোভাবে ছাড় দেয়া যায়। যেসব শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিষ্ঠানে পড়ছে তাদের ওপর তো প্রতিষ্ঠান অবমানবিক হতে পারে না। একই সাথে শিক্ষার্থীদের বেতনের ওপর নির্ভর করে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও প্রতিষ্ঠান চলে। কাজেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কিছুটা হলেও আদায় করতে হবে।
প্রায় দেড় বছর পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরল শিক্ষার্থীরা
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যেই রবিবার সারাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো পুনরায় চালু হয়েছে। দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর (১৮ মাস) বিরতির পর বিভিন্ন প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে ফিরেছে।
ইউনিফর্ম পরিহিত স্কুল শিক্ষার্থীদের সকালে তাদের নিজ নিজ স্কুলে যেতে দেখা গেছে।
স্কুলগুলো যথাযথ স্বাস্থ্য বিধি মেনে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ স্কুলে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে।
আরও পড়ুন:সংক্রমণ বাড়লে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আবার বন্ধ: দীপু মনি
অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে, কিছু স্কুল কর্তৃপক্ষ সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে শিক্ষার্থীদের রোল নম্বর অনুযায়ী ক্লাস করার অনুমতি দিয়েছে। উল্লেখ্য, পিএসি, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রতিদিন ক্লাস হবে। তবে, অন্যান্য শ্রেণির সপ্তাহে একদিন ক্লাস হবে।
আরও পড়ুন:রবিবার থেকে খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
রাজধানীর ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজ মিরপুর ক্যাম্পাসের অ্যাডমিন অফিসার আরিফুর রহমান বলেন, ‘আমরা স্কুলে প্রবেশের সময় হাত ধোয়া, স্যানিটাইজেশন ও তাপমাত্রা পরিমাপসহ কিছু ব্যবস্থা রেখেছি। সকল শিক্ষার্থীকে মুখে মাস্ক ব্যবহারের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ক্লাসে যোগ দেয়ার আগে স্কুলে কোভিড সতর্কতা নিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।’
তিনি জানান, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য ক্লাসরুমের এক বেঞ্চে একজন শিক্ষার্থীকে বসার জন্য বলা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের প্রতিকারমূলক পাঠদান করা হবে: মন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন যে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় যেসব শিক্ষার্থী ক্লাস থেকে বঞ্চিত হয়েছে, তাদেরকে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনায় রিমিডিয়াল ক্লাসেস (প্রতিকারমূলক পাঠদান) ব্যবস্থা করা হবে।
শনিবার দুপুরে চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘করোনাকালীন সময়ে যখনই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়, তখন আমরা বিকল্প হিসেবে টেলিভিশন এবং অনলাইনে পাঠদান অব্যাহত রেখেছিলাম। যখন দেখেছি তার মধ্যেও একটি নদির্ষ্টি সংখ্যক শিক্ষার্থী অনলাইন বা টেলিভিশন দেখার সুযোগ ছিলনা, তারা এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল, তখন আমরা অ্যাসাইনমেন্ট এর ব্যবস্থা করেছি।'
আরও পড়ুন: সপ্তাহে একদিন ক্লাস করতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসতে হবে!
অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সংখ্যক শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘তারপরেও শ্রেণি কক্ষের মত এই ব্যবস্থা একেবারে ষোলআনা বিকল্প করে তুলতে পারিনি। কোথাও কোথাও ঘাটতি রয়েছে। তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পরে আমাদের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে।’
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ। বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. নাছিম আখতার, পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ, নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের এসপি কামরুজ্জামান, সিভিল সার্জন ডা. মো. সাখাওয়াত উল্যাহ, প্রধান মৎস্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আনিছুর রহমানসহ আরো অনেকে।
আরও পড়ুন: সশরীরে পরীক্ষা নেবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
সভায় সকলস্তরের সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহে একদিন ক্লাস করতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসতে হবে!
শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল জানিয়েছেন, শিক্ষামন্ত্রী ঘোষিত সুনির্দিষ্ট তারিখে স্কুল-কলেজ খোলা হবে। তবে প্রাথমিকভাবে সপ্তাহে একদিন ক্লাসে শারীরিক উপস্থিতির কথা ভাবছে মন্ত্রণালয়।শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি কেয়ার উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সব মেডিকেল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত
শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের ওপর মানসিক চাপের সৃষ্টি হয়েছে। প্রাথমিক, নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষাসহ সব পর্যায়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু এটা যথেষ্ট নয়।তিনি বলেন, আমরা আশা করছি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী যে সুনির্দিষ্ট তারিখ দিয়েছেন তারপর থেকে শারীরিক উপস্থিতির মাধ্যমে ক্লাস শুরু করতে পারব। প্রাথমিকভাবে একদিন করে ক্লাস নেয়ার চিন্তা ভাবনা করছি। আপাতত এটাই আমাদের পরিকল্পনা। তবে সেটা পরিবর্তন হতে পারে।
আরও পড়ুন: ১২ সেপ্টেম্বর স্কুল কলেজ খুলবেতিনি বলেন, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে শারীরিক উপস্থিতির মধ্যে নেয়ার যে প্রচেষ্টা আছে সেটা অব্যাহত থাকবে। এটাই আমাদের আপাতত লক্ষ্য। অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবেই চলবে।
১২ সেপ্টেম্বর স্কুল-কলেজ খুলবে
প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। করোনার বিস্তার রোধে প্রায় ১৭ মাস বন্ধ থাকার পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ফের খোলার এই সিদ্ধান্ত নেয়া হলো।
শুক্রবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় প্রযুক্তিগত উপদেষ্টা কমিটির যৌথ বৈঠকে বৃহস্পতিবার রাতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সরকার শিগগিরই সারাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ফের চালু করার ব্যবস্থা নিচ্ছে।’
দেশে ২০২০ সালের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী সনাক্ত হওয়ার পর সরকার ১৭ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়। এর পর দফায় দফায় অনেকবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ানো হয়। সর্বশেষ দফায় আগামী ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়।
পুনরায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বৃহস্পতিবার (২ আগস্ট) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, করোনা মহামারির কারণে গত বছরের মার্চ থেকে বন্ধ থাকা স্কুলগুলো সরকারের সর্বোচ্চ স্তরের নির্দেশনা পেয়ে পুনরায় চালু করা হবে। আমরা হঠাৎ করেই স্কুল পুনরায় খুলে দিতে পারি না। আমরা সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছি। যদি প্রধানমন্ত্রী আজ আমাদের নির্দেশ দেন আমরা আগামীকাল থেকে স্কুল পুনরায় খোলার জন্য প্রস্তুত রয়েছি।
আরও পড়ুন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি
জাকির বলেন, গত দেড় বছর ধরে শিক্ষার্থীরা ক্লাসের বাইরে থাকায় বিশেষজ্ঞরা স্কুল খোলার পক্ষে।
এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পুনরায় চালু করার প্রস্তুতির অংশ হিসেবে শিক্ষা বিভাগ একই দিন কিছু নির্দেশিকা জারি করেছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মঙ্গলবার থেকে তাদের কর্মস্থলে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের এক সপ্তাহের মধ্যে তাদের এখতিয়ারভুক্ত বিদ্যালয় পরিদর্শন করতে বলেছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এছাড়া মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (ডিএসএইচই) আঞ্চলিক পরিচালকদের স্কুল-কলেজ পুনরায় চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে বলেছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ শিক্ষক ও কর্মচারীদের টিকা দেয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সূত্র দাবি করেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থী করোনা টিকা নিয়েছে।
আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয় খোলার দাবিতে জাবিতে শুরু হচ্ছে প্রতীকী প্রতিবাদী ক্লাস
শিগগিরই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুনরায় চালুর পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে: হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার বলেছেন, শিগগিরই সারা দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুনরায় চালু করার ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার।
তিনি বলেন, ‘আমরা করোনাভাইরাসকে অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছি। টিকা নিয়ে আর কোনো সমস্যা নেই… আমি ইতোমধ্যে (সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে) নির্দেশ দিয়েছি। শিগগিরই স্কুল-কলেজ পুনরায় চালু করতে।’
আরও পড়ুন: মাসে এক কোটির বেশি টিকার ব্যবস্থা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের সাংসদ হাসিবুর রহমান স্বপনের (সিরাজগঞ্জ-৬) মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে সংসদে রাখা শোক প্রস্তাবের আলোচনায় যোগদানকালে প্রধানমন্ত্রী এ সব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, শিক্ষকদের ইতোমধ্যে টিকা দেয়া হয়েছে এবং এখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য কর্মীদের টিকা দেয়ার পদক্ষেপ চলছে।
তিনি বলেন, ‘যেহেতু স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কিছু নির্দেশিকা আছে, তাই আমরা নির্দেশিকা অনুসরণ করে শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়ার ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
আরও পড়ুন: টাইগারদের জয়ে প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন
তাই হাসিনা বলেন, সরকার কিছু ফাইজার টিকা সংগ্রহ করছে এবং মডার্নার টিকা সংগ্রহের চেষ্টা করছে। ‘অন্যান্য টিকাও আসছে। আমরা ইতোমধ্যে ছয়টি ব্রান্ডের টিকার জন্য অর্থ প্রদান করেছি’, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে এ কথা বলেন।
সব মেডিকেল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত
সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল, ডেন্টাল ও নার্সিং কলেজসহ সকল মেডিকেল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তবে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধাপে ধাপে খুলে দেয়া হবে। এ মাসের ১৩ তারিখ থেকে ক্লাস শুরু হতে পারে।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক বৈঠক শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এই তথ্য জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ‘বঙ্গবন্ধুর' নামে নামকরণ
অনিয়ম-দুর্নীতিতে মুখ থুবড়ে পড়েছে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ নির্মাণ প্রকল্প
কিট সংকটে নোয়াখালী আব্দুল মালেক মেডিকেল কলেজে নমুনা পরীক্ষা বন্ধ