শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
শিগগিরই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, দেশের করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ হার কমছে। যদি এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকে তাহলে খুব শিগগিরই দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে। তবে ধাপে ধাপে খোলা হবে ।
মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক উপ-কমিটির উদ্যোগে শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ‘স্মরণে শ্রদ্ধায় ৭৫’ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী ।
তিনি বলেন, বর্তমানে যেভাবে সংক্রমণ হার কমে নিচে নেমে আসছে এটা আমাদের জন্য সুখবর । নিম্নগতি থাকলে, কমে আসলে খুব শিগগিরই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে পারবো। তবে ধাপে ধাপে খুলবো। কারণ আমাদের শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীর সংখ্যা পৃথিবীর যেকোনো দেশের তুলনায় বেশি। করোনা প্রতিরোধ সামাজিক দূরত্ব গুরুত্বপূর্ণ, তাই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে যেন শিক্ষা কার্যক্রম চালানো যায় সেই বিষয়ে আমরা বিবেচনার একই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবো ।
তিনি আরও বলেন, এখন সবাই সপ্তাহের সব দিন হয়তো ক্লাস করার সুযোগ পাবে না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার জন্য আমাদের সার্বিক প্রস্তুতি আছে। শুধু অপেক্ষা করছি, দেখছি সংক্রমণের হার কতটা নিচে নেমে আসে।
আরও পড়ুন: বছরের শেষ ২ মাসে হতে পারে এসএসসি, এইচএসসি পরীক্ষা: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি আরও বাড়বে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি
করোনায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর ধীরে ধীরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দ্বার উন্মুক্ত হচ্ছে। ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
এরই অংশ হিসেবে মঙ্গলবার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শতভাগ শিক্ষকদের উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
অপরদিকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক খোলার উপযুক্ত রাখতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে আঞ্চলিক পরিচালকদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একই সাথে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখারও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে সহকারী উপজেলা/থানা শিক্ষা কর্মকর্তাদের এক সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ বিদ্যালয় পরিদর্শন করতে হবে। ওয়ার্কশিট বিতরণ শতভাগ নিশ্চিতকরণ ও যাচাই করতে হবে। শিখন ঘাটতির অবস্থা ও ফিডব্যাক নিতে হবে। বিদ্যালয়ের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে হবে।
আরও পড়ুন: বিদেশগামী শিক্ষার্থীদের টিকার আবেদনের সময় বাড়ল
শিক্ষকদের নিয়মিত বিদ্যালয়ে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। হোম ভিজিট যাচাই করা। শিক্ষার্থী প্রোফাইল শতভাগ হয়েছে কিনা তা দেখা। দুর্বল শিক্ষার্থীদের জন্য করণীয় নির্ধারণ করা। স্যাম্পল হিসেবে শিক্ষার্থীর বাড়ি যাওয়া এবং শিক্ষার্থী যোগাযোগ রেজিস্ট্রার যাচাই করা।
এ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার প্রস্তুতির অংশ হিসেবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওয়াশ ব্লক ঠিক করার জন্য দ্রুত নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার চূড়ান্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছে মাউশি। এজন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখাসহ ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকারের আদেশ যথাযথ পালন করতে বিশেষ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন সূত্র বলছে,শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের টিকা দেয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের আওতায় এসেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৮০ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী থেকে নেয়া হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে। সেজন্যই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার ব্যাপারে সরকার ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে সংক্রমণ ৫ শতাংশের নিচে নেমে আসা পর্যন্ত স্কুল পর্যায়ের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে না। শেষ হবে স্কুলে ছুটি আরেক দফা বাড়ছে।
সার্বিক বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম বলেন, ‘শিক্ষকদের প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সহকারী উপজেলা ও থানা শিক্ষা কর্মকর্তাদের এক সপ্তাহের মধ্যে সমস্ত বিদ্যালয় পরিদর্শন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কোন কর্মকর্তারা যদি নির্দিষ্ট এলাকার সমস্ত বিদ্যালয় পরিদর্শন না করেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ছাড়া ডেঙ্গু প্রতিরোধে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবিতে সিলেটে সমাবেশ
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও কলেজ) অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেন,‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে এবং বিদ্যালয় খোলার সার্বিক প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে আঞ্চলিক পরিচালকদের নির্দেশ দিয়েছি। সরকারের ঊর্ধ্বতন পর্যায় থেকে নির্দেশনা পাওয়ার সাথে সাথেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুরোপুরি খোলা যাবে। তাছাড়া আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলাই রয়েছে। নিয়মিত অ্যাসাইনমেন্ট দেয়া এবং তা নেয়ার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষকরা।’
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবিতে সিলেটে সমাবেশ
বিকল্প ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের টিকা দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবিতে সিলেটে সমাবেশ করেছে প্রগতিশীল ছাত্রজোট সিলেট জেলা।
রবিবার বিকালে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, গত দেড় বছর ধরে করোনার কারণে দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এতে করে শিক্ষার্থীদের জীবন থমকে আছে। অনেক শিক্ষার্থী ঝরে পড়ছে। তবে এখন পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার কোনও রোডম্যাপ সরকারের নেই। শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায়ও আনতে পারেনি সরকার। এই অবস্থায় বিকল্প ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের টিকা দিয়ে অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি জানাচ্ছি আমরা।
আরও পড়ুন: যাত্রীবাহী লঞ্চ চালুর দাবিতে নৌযান শ্রমিক ইউনিয়নের বিক্ষোভ সমাবেশ
তারা বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও শিক্ষার্থীদের কাছে বেতন-ফি আদায় করা হচ্ছে। যা অযৌক্তিক ও অমানবিক। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। অবিলম্বে তা বন্ধ করতে হবে।
করোনা প্রতিরোধে, দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সুবিধা নিশ্চিতে এবং টিকা সংগ্রহ, উৎপাদন ও প্রদানে সরকার চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে দাবি করে বক্তারা দেশের সব নাগরিককে দ্রুত টিকা দেওয়ার আহবান জানান।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিক্ষোভ সমাবেশ
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট সিলেট নগর শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদিয়া নওশীন তাসনিমের সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন সিলেট মহানগরের শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক নাহিদ হাসান প্রান্তিকের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক মো. নাবিল এইচ, ছাত্র ফ্রন্ট নেতা নিশাত সানি প্রমুখ।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়লো ৩১ জুলাই পর্যন্ত
করোনা পরিস্থিতির অবনতির কারণে দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং এবতেদায়ি ও কওমি মাদ্রাসাসমূহের চলমান ছুটি আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত বাড়িয়েছে সরকার।
মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত শিগগিরই : শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এম এ খায়ের বলেন, সারাদেশে করোনা পরিস্থিতির আরও অবনতি কারণে এবং কঠোর লকডাউনের মধ্যে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারী ও অভিভাবকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সার্বিক নিরাপত্তার বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। গত ২৬ মে সরকার ১৩ জুন থেকে দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বিশেষ করে প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু দেশে বিশেষ করে সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে করোনা পরিস্থিতির অবনতির কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
দেশে কোভিড -১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির নির্দেশনা অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটি ইবতেদায়ি ও কওমী মাদ্রাসার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য থাকবে।
আরও পড়ুন: ‘ব্লেন্ডেড এডুকেশন সিস্টেম’ চালু করার কথা ভাবছে সরকার: শিক্ষামন্ত্রী
গত বছরের ১৬ মার্চ করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রোধে সরকার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়। এরপর কোনও ক্লাস অনুষ্ঠিত হয়নি। বেশ কয়েকবার ছুটি বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ ছুটি ছিল ৩০ জুন পর্যন্ত।
স্কুল, কলেজ খুলছে ১৩ জুন: শিক্ষামন্ত্রী
আগামী জুন মাসের ১৩ তারিখ থেকে স্কুল-কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। করোনা পরিস্থিতির যদি অবনতি না হয়, সেক্ষেত্রে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শাখার কার্যক্রম শুরু করবে সরকার।
বুধবার এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি এ তথ্য জানিয়ে বলেন, ‘অবস্থার উন্নতি হলে সরকার ১৩ জুন থেকে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের কার্যক্রম শুরু করবে। আমরা আশা করছি, এই সময়ের মধ্যে করোন পরিস্থিতির উন্নতি হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রী জানান, ইউনিভার্সিটি গ্যান্টস্ কমিশন (ইউজিসি) এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
প্রাথমিকভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সপ্তাহে ছয়দিন ক্লাস হবে পঞ্চম শ্রেণী এবং ২০২১ ও ২০২২ সালের এসএসসি-এইচএসসি পরিক্ষার্থীদের জন্য। এছাড়া অন্যান্য শ্রেণীর সপ্তাহে একদিন ক্লাস হবে। তবে ধীরে ধীরে ক্লাসের সংখ্যা বাড়ানো হবে।
আরও পড়ুন: ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ রোধে জরুরি পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সকলকে স্বাস্থ্যসচেতন হবার অনুরোধ জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, ‘একদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা দাবি জানাচ্ছেন, আরেক দিকে আপনারা স্বাস্থ্যবিধি না মেনে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি করছেন। দুটো বিষয় এক সাথে চলতে পারে না।’
মন্ত্রী জানান, করোনা মোকাবিলায় জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির সাথে আলোচনা সাপেক্ষে ও করোনা আক্রান্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকায় সরকার স্কুল-কলেজ খোলার কথা বিবেচনা করছে। তবে পরবর্তী পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্কুল-কলেজ খোলা হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হাসান এবং শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী উক্ত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।
উল্লেখ্য, ঈদ পরবর্তী করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায়, সরকার আবারও সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বন্ধের মেয়াদ বাড়িয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ১২ জনু পর্যন্ত বন্ধ থাকবে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হবার পর ১৭ মার্চ স্কুল, কলেজসহ সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। তবে অনলাইনে ক্লাস চলছে।
সর্বশেষ চলমান ছুটি ২৯ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছিল।
করোনা পরিস্থিতি
বুধবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনায় সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৭ জন মারা গেছেন। এনিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃত্যু সংখ্যা ১২ হাজার ৪৫৮ জনে দাঁড়াল।
আরও পড়ুন: দেশে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের উপসর্গ নিয়ে একজনের মৃত্যু
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৪৯৭ জনের শরীরে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে মোট শনাক্ত ৭ লাখ ৯৩ হাজার ৬৯৩ জনে পৌঁছেছে।
এর আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মঙ্গলবার জানায়, ২৪ ঘণ্টায় ৪০ জন মারা গেছেন এবং ১হাজার ৬৭৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬ হাজার ৪৩৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। শনাক্তের হার ৯.১১ শতাংশ। নতুন করে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ২৭৯ জন। সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৪৬ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১.৫৭ শতাংশ।
ব্ল্যাক ফাঙ্গাস
এদিকে, ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোধে জরুরি পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ‘ভারতের নতুন ভ্যারিয়েন্টের পাশাপাশি ব্ল্যাক ফাঙ্গাসও দেশে চলে এসেছে বলে জানা গেছে। করোনায় ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট প্রতিরোধের পাশাপাশি এখন ব্ল্যাক ফাঙ্গাসও আমাদেরকে মোকাবিলা করতে হবে।’
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবীতে সিলেটে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গতবছর মার্চ মাস থেকে বন্ধ রয়েছে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। দীর্ঘ এ বন্ধে নিজেদের শিক্ষাজীবন নিয়ে উদ্বিগ্ন শিক্ষার্থীরা। অবিলম্বে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সিলেটের সর্বস্থরের সাধারণ শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম পুনরায় চালু, হল ও ক্যাম্পাস খোলার দাবীতে মানববন্ধন করেছেন সিলেটের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
সোমবার সকাল ১১ টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রাঙ্গনে শিক্ষার্থীদের এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: রোজিনার মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে পিরোজপুরে মানববন্ধন
মানববন্ধনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা সরকারের প্রতি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, দীর্ঘ ১৪ মাস যাবত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় আমরা আমাদের ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কিত। দেশের অন্যান্য সবকিছু খোলা থাকলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে রাখা হয়েছে। যার ফলে আমরা এই দীর্ঘ বিরতিতে নিজেদের পড়াশুনা থেকে অনেক পিছিয়ে পড়েছি এবং হতাশায় ভুগছি।
শিক্ষার্থীরা বলেন, সারাদেশে প্রত্যেকটা অফিস, আদালত, দোকান পাট, শিল্প প্রতিষ্ঠান, উৎসব পার্বণ, সভা সেমিনার সব চালু রেখে কিভাবে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা সম্ভব। আবার সারাদেশে শিক্ষার্থীরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে অবস্থান না করে যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করা হয়, স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা হয়, হলগুলোর টাকা লুটপাট না করে যদি মানুষ বসবাসের উপযোগী করা হয় তাহলে কি ঐ শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি হ্রাস করা সম্ভব। তাহলে এই সময়ে কোনটা প্রয়োজন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা নাকি স্বাস্থ্য বিধি মেনে শিক্ষা কর্যক্রম চালু করা।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক রোজিনার মুক্তির দাবিতে সাংবাদিকদের মানবন্ধন মনিষা ওয়াহিদের সঞ্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য দেন এমসি কলেজের মাস্টার্স শিক্ষার্থী আব্দুর রহিম, সাদিয়া নওশিন, শাবিপ্রবি শিক্ষার্থী সাত্তিক বন্দোপাধ্যায়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এস এম বোরহান উদ্দিন, ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সৌরভ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বাবুল আজাদ, এমসি কলেজ শিক্ষার্থী নিন্টু মালাকার, রিংকু মালাকার, নূপুর রায়, এমসি কলেজ শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান, সরকারি কলেজ শিক্ষার্থী নাজিম উদ্দিন পলাশ, জুমায়েল বক্স, মেহেদী হাসান মারুফ, অলিদ আহমদ, এমসি কলেজ শিক্ষার্থী সালমান, মুকুল রায়, লিডিং ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী বুশরা সোহাইল, মদন মোহন কলেজের শিক্ষার্থী সাকিব রানা, সুরাইয়া পারভিন প্রমুখ।
সমাপনী বক্তব্য দেন সিলেটের শ্লোগান কন্যা সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী তানজিনা বেগম।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে ২৩ মে
করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বগতি থাকায় সকল পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামী ২৩ মে খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় সংযোগ কর্মকর্তা মো. আবুল খায়ের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে অতি সম্প্রতি চলমান কোভিড-১৯ অতিমারিতে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি পরিলক্ষিত হওয়ায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারী ও অভিভাবকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সার্বিক নিরাপত্তার বিবেচনায় এবং কোভিড ১৯ সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির সাথে পরামর্শক্রমে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান আগামী ঈদ উল ফিতরের পর ২৩ মে শুরু করার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৩১ মার্চ পর্যন্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে: দীপু মনি
এ সময়ে অনলাইন শিক্ষাকার্যক্রম অব্যাহত থাকবে এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন।
এর আগে করোনা ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত থাকলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি ঈদ পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
আরও পড়ুন: করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলবে না: প্রধানমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে ‘গণহত্যা দিবস’ উপলক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের আয়োজনে আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এই কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘করোনার সংক্রমনের হার ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত থাকলে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ছুটির সাথে সমন্বয় করে ঈদের পর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হতে পারে।’
আরও পড়ুন: শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে দ্বিধা বিভক্ত অভিভাবকরা
করোনা ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত থাকলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি ঈদ পর্যন্ত বাড়তে পারে: মন্ত্রী
করোনা ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত থাকলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি ঈদ পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
বৃহস্পতিবার ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে ‘গণহত্যা দিবস’ উপলক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের আয়োজনে আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এই কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘করোনার সংক্রমনের হার ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত থাকলে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ছুটির সাথে সমন্বয় করে ঈদের পর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হতে পারে।’
আরও পড়ুন: এ বছর জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষাও হচ্ছে না: মন্ত্রী
দীপু মনি বলেন, ‘আজ করোনা বিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটির সাথে বৈঠকের পরে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আগামীকালের (শুক্রবার) মধ্যে জানিয়ে দেয়া হবে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে রাজশাহীতে মানববন্ধন
অবিলম্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে রাজশাহীতে মানববন্ধন করেছে ‘ছাত্র-শিক্ষক-নাগরিক সমাজ, রাজশাহী জেলা’।
গোয়ালন্দের অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার
ভাষা আন্দোলনের ৬৯ বছরেও রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোনো শহীদ মিনার নির্মিত হয়নি।