ফাঁসি
অধ্যাপক তাহের হত্যা: মহিউদ্দিনের ফাঁসি কার্যকর স্থগিত
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এস তাহের আহমেদ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের ফাঁসি কার্যকরের প্রক্রিয়া স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালত।
মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে আপিল বিভাগের দেয়া রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে মহিউদ্দিনের করা এক আবেদনের (রিভিউ) পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার অবকাশকালীন চেম্বার আদালতের বিচারপতি বোরহান উদ্দিন ৪ অক্টোবর এই আদেশ দেন। একই সঙ্গে রিভিউ আবেদনটি আগামী ১৭ নভেম্বর আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করেছেন।
এর আগে ৫ এপ্রিল রায় দেন আপিল বিভাগ তাহের হত্যা মামলায় দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড ও দুই জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে হাইকোর্টের দেয়া রায় বহাল রাখেন।
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিলের শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগ এই রায় দেন।
রায়ে তাহেরের একসময়ের ছাত্র,পরে বিভাগীয় সহকর্মী মহিউদ্দিন ও তাহেরের বাসভবনের তত্ত্বাবধায়ক জাহাঙ্গীরের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়।
জাহাঙ্গীরের ভাই শিবিরকর্মী আবদুস সালাম ও তার আত্মীয় নাজমুলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রাখা হয়।
আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায়টি ১৫ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে স্কুলছাত্র হত্যায় ৪ জনের ফাঁসি, ২ জনের যাবজ্জীবন
এরপর রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) পাশাপাশি সাজা কার্যকরের প্রক্রিয়া স্থগিত চেয়ে মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীর আপিল বিভাগে আবেদন করেন। মহিউদ্দিনের আবেদনটি ৪ অক্টোবর চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে। শুনানি নিয়ে চেম্বার আদালত মহিউদ্দিনের ফাঁসি কার্যকরের প্রক্রিয়া স্থগিত করেন।
আদালতে মহিউদ্দিনের পক্ষে আইনজীবী এস এম শাহজাহান শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম সাইফুল আলম।
বৃহস্পতিবার মহিউদ্দিনের আইনজীবী এস এম শাহজাহান বলেন, আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে করা আবেদনের সঙ্গে মহিউদ্দিনের সাজা কার্যকর স্থগিতের আবেদনও ছিল। চেম্বার আদালত সাজা কার্যকর প্রক্রিয়া স্থগিত করে পুনর্বিবেচনার আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য ১৭ নভেম্বর দিন নির্ধারণ করেছেন।
ফলে এই সময় পর্যন্ত মহিউদ্দিনের সাজা কার্যকর স্থগিত থাকবে।
অন্যদিকে জাহাঙ্গীরের আইনজীবী মো. তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, মৃত্যুদণ্ড বহালের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে জাহাঙ্গীর ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহালের রায়ের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরের ভাই আবদুস সালাম পৃথক আবেদন (রিভিউ) করেছেন। আবেদন দুইটি শিগগিরই চেম্বার আদালতে উপস্থাপন করা হবে।
২০০৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কোয়ার্টারের বাসার বাইরের ম্যানহোলে তাহেরের লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় সেদিন তাঁর ছেলে সানজিদ আলভী আহমেদ মতিহার থানায় মামলা করেন।
মামলায় ২০০৮ সালের ২২ মে রায় দেন বিচারিক আদালত। রায়ে চারজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়। দুই জনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়।
বিচারিক আদালতের রায়ের পর আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। এ ছাড়া দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আসামিরা ২০০৮ ও ২০০৯ সালে আপিল করেন। আপিলের ওপর ২০১৩ সালের ২১ এপ্রিল রায় দেন হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের রায়ে মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীরের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। অপর দুই আসামি সালাম ও নাজমুলকে মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়।
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা পৃথক আপিল ও জেল আপিল করেন। অন্যদিকে হাইকোর্টে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের সাজা বৃদ্ধি চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করে।
এসবের ওপর শুনানি শেষে ৫ এপ্রিল আপিল বিভাগ রায় দেন। এই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে তিন দণ্ডিত পৃথক আবেদন (রিভিউ) করেছেন।
আরও পড়ুন: ফেনীতে মায়ের সামনে মেয়েকে ধর্ষণ, ৩ জনের ফাঁসি
কাশিমপুর কারাগারে ফাঁসির আসামির ‘আত্মহত্যা’
মাগুরায় হত্যা মামলায় ১ জনের ফাঁসি, ৬ জনের যাবজ্জীবন
মাগুরায় মেহেদী হাসান পাভেল হত্যা মামলার রায়ে এক আসামিকে ফাঁসি এবং ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মাগুরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ফারজানা ইয়াসমিন বুধবার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: মাগুরায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫
সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা সেলিম আজাদকে মৃত্যুদণ্ড, রুমানা পারভীন, আবির হোসেন, মোমেনা খাতুন, জাকির হোসেন, সাইদুর রহমান ও খালিদ হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে।
মামলার আসামি পক্ষে আইনজীবী ছিলেন এডভোকেট রোকনুজ্জামান ও বাদী পক্ষে ছিলেন এডভোকেট আবু বক্কর।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার জোকা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা রেজাউর রহমান রিজুর ছেলে মেহেদী হাসান পাভেল (২২) এর সঙ্গে আসামি সেলিম আজাদের কন্যা লিমা পাবভীনের প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে ২০১২ সালের ২৬ আগস্ট মুক্তিযোদ্ধা রেজাউর রহমানের ছেলে মেহেদী হাসান পাভেল খুন হয়।
এ ঘটনায় একই সালের ২৭ আগস্ট মুক্তিযোদ্ধা রেজাউর রহমান রিজু বাদী হয়ে আটজনকে আসামি করে মামলা করেন। দীর্ঘ শুনানি সাক্ষ্য প্রমাণাদি গ্রহণের পর এ রায় ঘোষণা করেন আদালত।
আরও পড়ুন: মাগুরায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
মাগুরায় আ.লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০
ফেনীতে মায়ের সামনে মেয়েকে ধর্ষণ, ৩ জনের ফাঁসি
ফেনীর সোনাগাজীতে ধর্ষণ মামলার ১৯ বছর পর তিনজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসাথে প্রত্যেককে ২ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ওসমান হায়দার এই রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন-সোনাগাজী উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের ফকির আহমদের ছেলে আবুল কাশেম, আবদুর রশিদের ছেলে মো. লাতু ও আবুল কালামের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম। অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় একই এলাকার রসুল আহম্মদের ছেলে মোহাম্মদ ফারুককে বিচারক এ মামলা থেকে খালাস দিয়েছেন
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (এপিপি) ফরিদ আহমদ হাজারী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তদের দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন বিচারক। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডিত সব আসামি পলাতক ছিলেন। শুধু খালাস পাওয়া ফারুক উপস্থিত ছিলেন।
মামলান বিবরণে জানা যায়, নবাবপুর ইউনিয়ন থেকে ২০০৩ সালের ১৩ মে রাতে মা-মেয়েকে তুলে নিয়ে যান আবুল কাশেম, লাতু, জাহাঙ্গীর আলম ও মোহাম্মদ ফারুক। পরে মাকে বেঁধে রেখে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণ করেন দণ্ডিতরা।
এ ঘটনার পরের দিন মেয়ের মা বাদী হয়ে সোনাগাজী থানায় মামলা করেন। ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে আদালত এই রায় দেয়।
আইনজীবী ফরিদ আহমদ বলেন, রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে অনুপস্থিত থাকায় তাদের গ্রেপ্তার হওয়ার দিন থেকে এ রায় কার্যকর হবে বলে আদেশে জানানো হয়েছে।
পড়ুন: খুলনায় স্ত্রী ও কন্যা হত্যায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
মানবতাবিরোধী অপরাধ: রাজধানী থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
শফিউদ্দিন হত্যা: কুমিল্লা কারাগারে ২ আসামির ফাঁসি কার্যকর
চট্টগ্রামের চাঞ্চল্যকর শফিউদ্দিন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শিপন হাওলাদার এবং নাইমুল ইসলাম ইমনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টায় কুমিল্লা কারাগারে তাদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শাহজাহান আহমেদ।
তিনি জানান, সকল আইনি প্রক্রিয়া শেষে শিপন হাওলাদার এবং নাইমুল ইসলাম ইমনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। আরও কিছু আইনি প্রক্রিয়া শেষ করার পর তাদের মরদেহ পরিবারে কাছে হস্তান্তর করা হবে।
পড়ুন: চাচা হত্যার দায়ে ৩ ভাতিজার মৃত্যুদণ্ড, ১ জনের যাবজ্জীবন
প্রসঙ্গত, শফিউদ্দিন বাংলাদেশ রেলওয়ের সহকারী প্রকৌশলী-১ চট্টগ্রাম কার্যালয়ের উচ্চমান সহকারী ছিলেন । এছাড়া তিনি স্থানীয় রেলওয়ে আমবাগান এলাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির আহ্বায়কও ছিলেন। এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, মদ, জুয়া ও রেলওয়ের অবৈধ সম্পদ দখলের প্রতিবাদে শফিউদ্দিন সোচ্চার থাকার কারণে রেলওয়ের জায়গা থেকে চার দফায় অবৈধ বস্তি ও কলোনি উচ্ছেদ করতে বাধ্য হয় প্রশাসন। এসব ঘটনার জেরে সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০০৩ সালের ১৪ জুন সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা তার সরকারি বাসায় ঢুকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে। পরে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে বোমা ফাটিয়ে এলাকা ত্যাগ করে সন্ত্রাসীরা।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মাহমুদা বেগম বাদী হয়ে খুলশী থানায় হত্যা মামলা করেন। ২০০৪ সালের ২৫ নভেম্বর চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ২৩ জনের সাক্ষ্য নিয়ে এ হত্যা মামলায় দুই ঘাতক শিপন ও ঈমনকে ফাঁসি ও অপর সাত আসামিকে যাবজ্জীবন এবং চারজনকে খালাস দেন।
কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্র জানায়, উচ্চ আদালতে ফাঁসির সাজা বহাল রাখা এবং রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ায় ২১ থেকে ২৮ দিনের মধ্যে কারাবিধি অনুসারে ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়েছে।
পড়ুন: গাইবান্ধায় মাদক মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
লক্ষ্মীপুরে কৃষক হত্যা: ৫ জনের ফাঁসি, ৩ জনের যাবজ্জীবন
লক্ষ্মীপুরে কৃষক আকবর হোসেন হত্যা মামলায় পাঁচ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও তিন জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লক্ষ্মীপুর জজ কোর্টের সরকারি (পিপি) জসীম উদ্দিন।
এ মামলায় আরও তিন আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-জসিম উদ্দিন, নুর মিয়া, সফিকুর রহমান, মো. তৌহির হোসেন ও মো. রুবেল হোসেন।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- জুয়েল, রাহেলা বেগম ও মোক্তার হোসেন। এর মধ্যে জুয়েল ও মোক্তার আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
খালাস পাওয়া তিনজন হলেন ওসমান কবিরাজ, উম্মে হাবিবা সুমাইয়া ও মোশারফ হোসেন মশু।
আরও পড়ুন: জিল্লুর হত্যা মামলায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৬ জনের যাবজ্জীবন
আদালত সূত্রে জানা যায়, জমি সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জের ধরে ২০১৮ সালের ৭ সেপ্টেম্বর রায়পুর উপজেলার চরবংশী ইউনিয়নে কৃষক আকবর হোসেনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় পর নিহতের ছেলে মো. তহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ ২০১৯ সালের ১ এপ্রিল ১১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। আদালত ৩১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষগ্রহণ ও দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ রায় দেন।
এদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবী মঞ্চুর জিলানী এ রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন।
পড়ুন: ২০ বছর চালকের ছদ্মবেশে থাকা ফাঁসির আসামি গ্রেপ্তার
কুষ্টিয়ায় স্ত্রী হত্যার অভিযোগে স্বামী আটক
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে যৌতুক না পেয়ে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। শনিবার ভোরে উপজেলার নন্দলালপুর ইউনিয়নের সুন্দাগ্রামে এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী শফিকুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত সোনালী খাতুন (২২) উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের নগরসাওতা গ্রামের পূর্বপাড়ার আনিস উদ্দিনের মেয়ে। আর সোনালীর স্বামী শফিকুল ইসলাম কুমারখালী উপজেলার নন্দলালপুর ইউনিয়নের সুন্দাগ্রামের সিরাজ আলীর ছেলে।
নিহতের ভাই উজ্জ্বল বলেন, যৌতুকের দাবিতে আমার বোন সোনালীকে বিয়ের পর থেকেই নির্মমভাবে নির্যাতন করতো শফিকুল। শুধু সোনালীর মুখের দিকে তাকিয়ে অভাবের পরও বহুবার যৌতুকের দাবি পূরণ করা হয়েছে। সর্বশেষ দাবি করা যৌতুক না পেয়ে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে সোনালীকে হত্যা করা হয়েছে। আমার বোনকে হত্যার জন্য শফিকুলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। ওর ফাঁসি চাই।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে মেয়েকে হত্যার অভিযোগে বাবা গ্রেপ্তার
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আশরাফুল আলম বলেন, ভোরের দিকে হাসপাতালে আনার আগেই সোনালীর মৃত্যু হয়েছে। তার লাশ মর্গে রাখা হয়েছে।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। অভিযুক্ত শফিকুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে।
মাদারীপুরে হত্যা মামলায় ৫ জনের ফাঁসি
মাদারীপুরে একটি হত্যা মামলায় আদালত পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড ( ফাঁসি) দিয়েছেন। সোমবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেল তিনটার দিকে মাদারীপুরের অতিরিক্তি জেলা ও দায়রা জজ লায়লাতুল ফেরদৌস এ রায় দেন। এ সময় ফাঁসির আদেশ প্রাপ্ত পাঁচ আসামির মধ্যে চারজন আদালতে উপস্থিত ছিল। একজন আসামি পলাতক রয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, রাজৈর উপজেলার আমগ্রাম এলাকার মৃত চৈতন্য বৈদ্যর ছেলে অশোক বৈদ্য, তরনী বৈদ্য ও গৌরঙ্গ বৈদ্যর সঙ্গে একই এলাকার গুরুপদ বৈদ্যের ছেলে বিষ্ণু পদ বৈদ্যের মধ্য জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল দীর্ঘদিন ধরে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা, একজনের ফাঁসির আদেশ
২০০২ সালের ১৪ অক্টোবর পূজার অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফেরার পথে গুরুপদ বৈদ্যর স্ত্রী ও বিষ্ণু পদ বৈদ্যের মা রাধা রানী বৈদ্যকে অপহরণ করে নিয়ে যায় একই অশোক বৈদ্য, তরনী বৈদ্য, গৌরঙ্গ বৈদ্য, কালু বিশ্বাস, নরেন বৈরাগী ও বিজয় বেপারী। এ ঘটনায় অপহরণের পরের দিন রাজৈর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন নিহতের ছেলে বিষ্ণু পদ বৈদ্য। মামলার দায়েরের ১০ দিন পর থানা পুলিশ পার্শ্ববর্তী পাখুল্লার বিলের মধ্যে কচুরিপানার নিচ থেকে নিহত রাধা রানী বৈদ্যের দ্বিখন্ডিত লাশ উদ্ধার করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মোখলেসুর রহমান ঘটনার তদন্ত শেষে ছয়জনকে অভিযুক্ত করে ২০০৩ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলা চলাকালীন সময় গৌরঙ্গ বৈদ্য মারা যায়। দীর্ঘদিন সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত রায় দিয়েছেন। ফাঁসির আদেশ প্রাপ্তরা হলেন আমগ্রাম এলাকার অশোক বৈদ্য, নরেন বৈরাগী, কালু বিশ্বাস, তরনী বৈদ্য। প্রত্যেককে পঞ্চাশ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
আরও পড়ুন: রায়ে সন্তুষ্ট পরিবার, বাকি ৫ আসামিরও ফাঁসি চান আবরারের মা
চট্টগ্রামে নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা, একজনের ফাঁসির আদেশ
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের পাহাড়ে শারমিন আক্তার নামে এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় অভিযুক্ত জসীম উদ্দীন বাপ্পির (৫০) ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক জামিউল হায়দার এ আদেশ দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. জসীম উদ্দিন বাপ্পী (৩৫) সীতাকুণ্ড উপজেলার কুমিরা এলাকার মৃত ইদ্রিস মিয়ার ছেলে।
বাকি আসামিরা হলেন- একই এলাকার বাসিন্দা আইয়ূব খান (৩৬) ও শরীফ আহম্মদ (৫০) সরওয়ার আলম সেরু (৫৫) ও আব্দুল মোতালেব লিটন (৪২)।
এদের মধ্য প্রথম দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। বাকি দুই আসামি কারাগারে জেলহাজতে থাকা অবস্থায় মারা যাওয়ায় তাদের মামলার বিচার কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর সরকারি কৌঁসুলি নিখিল কুমার নাথ বলেন, ২০১৭ সালের ২৯ মার্চ সীতাকুণ্ড উপজেলার কুমিরা এলাকায় পাহাড়ে কাঠ সংগ্রহ করতে যায় শারমিন আক্তার (৪০)। সেখানে আসামিরা শারমিন আক্তারকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর শারমিন আক্তারকে আসামি বাপ্পি ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। এর একদিন পর শারমিনের ক্ষতবিক্ষত লাশ পাওয়া যায়। ওই দিন (৩০ মার্চ) শারমিনের মেয়ে ইয়াসমিন বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে সীতাকুণ্ড থানায় মামলা করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
পরে পুলিশ সন্দেহজনকভাবে আসামি জসীম উদ্দীন বাপ্পিকে গ্রেপ্তার করলে তিনি ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন এবং অন্য আসামিদের নাম জানায়।
তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৪ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মোট ১৯ জন সাক্ষীর মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ ১৭ জনকে আদালতে উপস্থাপন করে সাক্ষ্যগ্রহণ করে। সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা শেষে আসামি জসীম উদ্দীন বাপ্পির বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে ফাঁসির আদেশ দেন।
রায় ঘোষণাকালে আদালতে উপস্থিত থাকা শারমিনের মেয়ে ও মামলার বাদী ইয়াসমিন বলেন, আমরা অত্যন্ত গরীব। আমার মা পাহাড়ে বাগানে কাজ করত। লাকড়ি খুঁজে এনে বিক্রি করত। আসামিরা আমার মাকে অসহায় পেয়ে এমন নির্যাতন করে খুন করেছে, যারা খালাস পেয়েছে শরীফ ও আইয়ূব, এরাই মূল খুনি। এদের খালাস দেয়া আমি মানি না, আমি উচ্চ আদালতে যাব।
আরও পড়ুন: ভাড়া না বাড়ালে সরকারি নির্দেশনা মানবে না চট্টগ্রামের বাস মালিকরা
চট্টগ্রামে পোশাক কারখানায় আগুন
রাজশাহীতে শাহিন হত্যায় ৯ জনের ফাঁসি, ২২ জনের যাবজ্জীবন
রাজশাহী নগরীতে ছাত্রলীগ নেতা শাহিন আলম ওরফে শাহিন শাহ হত্যা মামলায় ৯ জনের ফাঁসি ও ২২ জনের যাবজ্জীবন এবং ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালতে এ মামলার রায় ঘোষণা করেন বিচারক ওএইচএম ইলিয়াস হোসেন।
আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মুসাব্বিরুল ইসলাম জানান,শাহীন শাহ হত্যা মামলায় ৯ জনের ফাঁসির রায় দিয়েছেন আদালত।
আলোচিত এ মামলার এক নম্বর আসামি ছিলেন রাসিকের এক নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপিপন্থী সাবেক কাউন্সিলর মুনসুর রহমান। রায়ে তাঁর মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আটজন হলেন- হাসানুজ্জামান হিমেল (৩৮), তৌফিকুল ইসলাম চাঁদ (৪৫), মো. মহাসীন (৫০), মো. সাইরুল (২৬), রজব (৩২), বিপ্লব (৩৫), গুড়িপাড়া এলাকার মো. মমিন (৩০) এবং আরিফুল ইসলাম (২৬)। এরমধ্যে মমিন ও আরিফুল পলাতক।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে বাসচাপায় শিশু নিহত
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- নগরীর বুলনপুর জিয়ানগর এলাকার লাল মোহাম্মদ ওরফে লালু (৩৮), মাহাবুল হোসেন (৪২), সাত্তার (৪৫), সাজ্জাদ হোসেন (৩৮), বখতিয়ার আলম রানা ওরফে রংলাল (৩৫), হাসান আলী (৩২), মাসুদ (৩৫), রাসেল (৩২), রাজা (৩২), মর্তুজা (৩০), সুমন (৩০), গুড়িপাড়া এলাকার আসাদুল (২২), আখতারুল (২৫), জইদুর রহমান (৪৮), ফরমান আলী (৪০), জয়নাল আবেদিন (২৫), রাজু আহমেদ (২৮), আকবর আলী (৪৫), সম্রাট হোসেন (১৯), টিয়া আলম (৩০), আজাদ হোসেন (৩৫) ও মো. মাসুম (২৬)। এদের মধ্যে আজাদ ও মাসুম পলাতক রয়েছে।
মামলায় সাক্ষী ছিলেন ২৪ জন। আদালত ১৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
প্রসঙ্গত, নিহত শাহিন শাহ রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্যানেল মেয়র-২ ও এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রজব আলীর ছোট ভাই। ২০১৩ সালের ২৮ আগস্ট দুপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হন তিনি। শাহেন শাহ রাজশাহী কোর্ট কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তাকে হত্যার ঘটনায় তার ভাই যুবলীগ নেতা নাহিদ আক্তার নাহান বাদী হয়ে পরদিন নগরীর রাজপাড়া থানায় মামলা করেন।
এ মামলায় সিটি করপোরেশনের তৎকালীন ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মুনসুর রহমানসহ ৩১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল হয়। গত বছরের ১১ নভেম্বর আদালতে এ মামলায় উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। এরপর ১০ ডিসেম্বর মামলার রায় ঘোষণার দিন ঠিক করা হয়।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে স্ত্রীর নগ্ন ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ায় স্বামীর কারাদণ্ড
রাজশাহীতে ট্রেনে কাটা পড়ে গ্রামীণ ব্যাংকের নারী কর্মীর মৃত্যু
রায়ে সন্তুষ্ট পরিবার, বাকি ৫ আসামিরও ফাঁসি চান আবরারের মা
আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ জনের ফাঁসি এবং পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে তার পরিবার। তবে আবরারের মা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ পাওয়া পাঁচ আসামিরও ফাঁসি চেয়েছেন।
বুধবার রায় ঘোষণার পর কুষ্টিয়ার পিটিআই রোডের বাসায় আবরারের মা রোকেয়া খাতুন কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘২০ জনের ফাঁসির রায় হয়েছে আমি সন্তুষ্ট। তবে, অমিত সাহা; যে সবসময় নির্দেশ দিয়েছে আরও পিটাও। তার কেন ফাঁসি হলো না? রায় যেন দ্রুত কার্যকর হয়। যেদিন কার্যকর হবে সেদিনই মনে করব, আমার ছেলের বিচার হলো। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, অমিত সাহারও ফাঁসি চাই।’
আবরারের মা বলেন, ‘আবরার আমাকে ছাড়া কিছুই বুঝত না। আমার সেই ছেলেকে ওরা কীভাবে পিটিয়ে মারল। ওরা এত ব্যথা দিয়ে কষ্ট দিয়ে মারল ছেলেটাকে। বেটার মৃত্যুর পর আমি শুধু আল্লাহর কাছে বলেছি, তুমি এই হত্যার বিচার কর।’
আরও পড়ুন: আবরার হত্যা: ২০ আসামির মৃত্যুদণ্ড, ৫ জনের যাবজ্জীবন
তিনি আরও বলেন, ‘করোনাসহ নানা কারণে রায় অনেক পিছিয়ে গেছে। এখন যেন অল্প সময়ে কার্যকর হয়।’
কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়া আবরারের ভাই আবরায় ফায়াজ বলেন, ‘অমিত সাহা ফোনে বলেছিল আরও দুই ঘণ্টা পেটানো যাবে। সে উপস্থিত না থাকলেও নির্দেশদাতা ছিল। আমরা তারও ফাঁসি হবে- এমনটি চেয়েছিলাম। তবে, ২০ জনের যে ফাঁসি হয়েছে আমরা সন্তুষ্ট। পুরো রায় দেখে পর্যালোচনা করে আমরা আমাদের বক্তব্য জানাব।’
রায় ঘোষণার আগে থেকে বাসায় উদ্বিগ্ন ছিলেন আবরারের মা-ভাই। এসেছেন অন্য আত্মীয়-স্বজনরাও। ছিলেন অনেক সংবাদকর্মীও।
প্রসঙ্গত, বুধবার বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ জনের ফাঁসি এবং পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: আবরার হত্যা মামলার রায় পিছিয়ে ৮ ডিসেম্বর
আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায় আজ