ক্ষতি
পরিবেশের ক্ষতি করে উন্নয়ন করা যাবে না: মেয়র আতিক
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ঢাকা শহরে ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে। উন্নয়নের ফলে রাস্তা নির্মাণ হচ্ছে, ভবন নির্মাণ হচ্ছে। কিন্তু পরিবেশের ক্ষতি করে উন্নয়ন করা যাবে না।
তিনি বলেছেন, আমরা সিটি করপোরেশন থেকে বৃক্ষরোপণ করছি। দুই বছরে দুই লাখ গাছ লাগানোর কার্যক্রম শুরু করেছি। পাশাপাশি শহরের পরিবেশ রক্ষায় প্রতিটি বাড়িতে অন্তত ২টি করে গাছ লাগানোর আহ্বান করছি। এ বিষয়ে রাজউক একটি নীতিমালা প্রনয়ণ করলে বাস্তবায়ন সহজ হবে।
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন কলেজে পরিবেশের উন্নয়নে কাজ করা সংগঠন ওয়েস আয়োজিত টেকসই নগর ও জনপদের জন্য সবুজায়ন শীর্ষক আলোচনা সভা ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মেয়র আতিক এসব বলেন।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসি’র সব মার্কেট ও বস্তিতে ফায়ার হাইড্রেন্ট বসানো হবে: মেয়র আতিকুল
মেয়র আতিক বলেন, ঢাকা শহরকে অক্সিজেন হাবে পরিণত করতে হবে। পরিবেশ বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। পরিবেশের ক্ষতি করায় আজ পরিবেশ তার প্রতিশোধ নিচ্ছে। কোথাও কোনো গাছ কাটতে দেওয়া যাবে না। বিশেষ করে নতুন প্রজন্মকে এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে। যেখানেই সুযোগ আছে গাছ লাগাতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা ডিএনসিসি থেকে ছাদবাগানের জন্য ১০ শতাংশ কর ছাড়ের আবেদন করেছিলাম। আমাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সারা দেশের সব সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় ছাদ বাগান করলে ১০ শতাংশ কর ছাড়ের অনুমোদন দিয়েছে। ডিএনসিসিতে শিশুদের জন্ম নিবন্ধনের সময় একটি করে চারা বিতরণ করা হচ্ছে।
মেয়র বলেন, শহরটাকে আপন করে নিতে হবে। আমরা এই শহরের উপর নির্ভরশীল। এখান থেকেই আমরা উপার্জন করি, এখানেই আমরা বসবাস করি। অতএব এই শহরকে আপন করে নিতে না পারলে শহর রক্ষা করা কঠিন হবে। সবাই সচেতন হলে শহরের অনেক সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। প্রতিজ্ঞা করতে হবে কোথাও গাছ কাটা যাবে না। শহরের সবুজায়ন বাড়াতে গাছ লাগাতে হবে, গাছের পরিচর্যা করতে হবে।
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ডিএনসিসি’র কার্যক্রম সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে আতিক বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে উত্তর সিটি করপোরেশনের ব্যর্থতা ও সফলতা বিচারের ভার জনগণের হাতে। জনগণ দেখছে ডিএনসিসি সক্রিয় অবস্থানে আছে। কোথাও অবহেলা পেলে অভিযোগ করুন। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ডিএনসিসি নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করছে। আমরা বসে নেই।
তিনি আরও বলেন, ডিএনসিসি’র ওয়েবসাইটে, সবার ঢাকা অ্যাপসে ও ফেসবুক পেজে এলাকাভিত্তিক মশক কর্মীদের তালিকা দেওয়া আছে। সবাই সরাসরি মশক কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন।
তিনি বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সিটি করপোরেশনের পাশাপাশি জনগণের সচেতনতা অত্যন্ত জরুরি। সবাই সচেতন হলে, পানি জমিয়ে না রাখলে ডেঙ্গু প্রতিরোধ সম্ভব। অভিযানের বা জেল জরিমানার ভয়ে নয় বরং শহরটাকে ভালোবেসে পরিষ্কার রাখুন। সবাই যার যার আঙিনা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন। কোথাও পানি জমতে দিবেন না। তাহলেই আমরা ডেঙ্গু থেকে রেহাই পাব।
আরও পড়ুন: মহাখালীর সাততলা বস্তিতে আগুন: ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার ঘোষণা মেয়র আতিকের
পরিবেশ রক্ষায় প্লাস্টিক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকেই দায়িত্ব নিতে হবে: মেয়র আতিক
বন্যায় চট্টগ্রামের ১৩ উপজেলায় মৎস্যখাতে ক্ষতি ৭০ কোটি টাকা
চট্টগ্রামে কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় জেলার ১৩ উপজেলা ও মহানগরীসহ মাছ চাষের ১৩ হাজার ৩৭৯টি পুকুর এবং ১২৬টি মাছের ঘের প্লাবিত হয়েছে। অবকাঠামোসহ সব মিলিয়ে বন্যায় মৎস্য খাতে ক্ষতি হয়েছে ৭০ কোটি টাকা।
বন্যার পানি নেমে যাবার পর ক্ষয়ক্ষতি অনুসন্ধান করে এ তথ্য জানায় জেলা মৎস্য অধিদপ্তর।
চট্টগ্রাম জেলা মৎস্য অফিসের জরিপ কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘বন্যায় প্লাবিত চট্টগ্রামের ১৩ হাজার ৩৭৯টি পুকুরের আয়তন ৩ হাজার ৭৪৬ হেক্টর। আর ভেসে যাওয়া ১২৬টি মাছের ঘেরের আয়তন ১৮৯ হেক্টর। এসব পুকুর ও ঘের থেকে মাছ ভেসে গেছে ৪ হাজার ১৫৪ টন। সেই হিসাবে এই বন্যায় শুধু মৎস্য খাতেই ৬৯ কোটি ৩৮ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’
গত ১ আগস্ট থেকে চট্টগ্রামে বৃষ্টিপাত শুরু হয়। ৪ আগস্ট নগরী ও জেলায় বন্যা দেখা দেয়। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি অবনতি হতে থাকে। এরমধ্যে ৭ আগস্ট পর্যন্ত চার দিন টানা জলাবদ্ধতা ছিল নগরীতে।
অপরদিকে, জেলার ১৫ উপজেলার মধ্যে ১৪টি উপজেলায় এখনও কিছু কিছু এলাকায় বন্যায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে মানুষকে।
বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দক্ষিণ চট্টগ্রামের ৪ উপজেলা। সেগুলো হলো- সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, পটিয়া ও চন্দনাইশ।
চার উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে মৎস্য চাষ হয় প্রায় ১০ হাজার পুকুরে। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩৫ কোটি টাকা।
সাতকানিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. হাসান আহসানুল কবির বলেন, সাম্প্রতিক বন্যায় চন্দনাইশ, সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া উপজেলায় প্রায় ৬ হাজার মৎস্য প্রজেক্ট ও পুকুর ভেসে গেছে। এতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ২৫ কোটি টাকা। বন্যার পানি নামতে শুরু করলেও এ ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সময় লাগবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বন্যায় নিহত ১৬, ক্ষয়ক্ষতি ১৩৫ কোটি টাকার বেশি
কালবৈশাখীর কারণে ব্যাপক ক্ষতির মুখে শার্শার আম চাষীরা
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) কালবৈশাখীর আঘাতে যশোরের শার্শা উপজেলার আম চাষীরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।
ঝড়ের কারণে ওই এলাকার আমের বাগান সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যায়। ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ আম মাটিতে পড়ে যায়।
জানা গেছে, উপজেলায় ৯ হাজার হেক্টর আমের বাগানের মধ্যে প্রায় ৩ হাজার ১৪০টি ছোট-বড় আম বাগান রয়েছে এবং প্রায় সব বাগানই ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আম চাষিরা এখন এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে হিমশিম খাচ্ছেন, কেউ কেউ ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ক্ষতির কথা জানিয়েছেন।
আম চাষি জাফর শেখ কালবৈশাখীর কারণে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা ক্ষতির কথা জানিয়েছেন।
অন্যদিকে বাগুড়ি গ্রামের দিলবার জানান, এ বছর আমের ভালো দাম পাওয়ার স্বপ্ন ভেঙ্গে গেছে।
আরও পড়ুন: ভুরুঙ্গামারীতে কালবৈশাখীর তান্ডবে দুই শতাধিক বসতবাড়ি লন্ডভন্ড
শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ কুমার মন্ডল এলাকার আম চাষিদের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, চাষিদের বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে।
ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও নির্ণয় করা যায়নি বলে জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ওই এলাকায় কালবৈশাখী আঘাত হানে। ঝরে পড়া আম বাগানগুলোকে কার্পেটের মতো ঢেকে দিয়েছে।
ফলে বেশিরভাগ বাগানই উল্লেখযোগ্য ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে কালবৈশাখী ঝড়ে গাছচাপায় কিশোর নিহত
নড়াইলে ৯ দোকান পুড়ে ছাই, কোটি টাকার ক্ষতি
নড়াইলের সীমান্তবর্তী যশোর অভয়নগরের সিদ্দিপাশা ইউনিয়নের চন্দ্রপুর বাজারে অগ্নিকাণ্ডে ৯টি দোকান পুড়ে গেছে। অগ্নিকাণ্ডে কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে।
জানা গেছে, বুধবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে কালিয়া উপজেলার পিরোলী ইউনিয়নের শীতলবাটি গ্রামের রায়হান ফকিরের ডিজেলের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটলে কিছুক্ষণের মধ্যে একই গ্রামের রোশান মীনার দুইটি, ইকবাল ফকিরের তিনটি, কিফায়েত হোসেনের তিনটি দোকান এবং কামরুল মোল্যার মুদি দোকান পুড়ে যায়।
আরও পড়ুন: নলডাঙ্গায় অগ্নিকাণ্ড: ৩০টি বাড়ি ভস্মিভূত
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী রায়হান ফকির জানান, তার দোকানে বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। আগুনে তার অর্ধ কোটি টাকাসহ সবার মিলে কোটি টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
তিনি বলেন, দুর্গম এলাকা বিধায় নড়াইলের কালিয়া থেকে ফায়ার সার্ভিস রওনা হলেও তিনটি নদী পার হয়ে ঘটনাস্থলে আসার আগেই এলাকাবাসী আগুন নিভিয়ে ফেলে।
এদিকে পিরোলি পুলিশ ফাঁড়ি ও যশোরের অভয়নগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
কালিয়া ফায়ার সার্ভিস এ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ডিউটিম্যান ইয়াসিন আলী জানান, অগ্নিকাণ্ডের খবর শোনার পর ঘটনাস্থলে যাবার পথে জানতে পারি স্থানীয়রা আগুন নিভিয়ে ফেলেছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে অগ্নিকাণ্ডে ৮ বসতঘর পুড়ে ছাই
সীতাকুণ্ডে ১১ দোকান ও ৬ গোডাউন আগুনে পুড়ে ছাই
কুড়িগ্রামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে আনুমানিক ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। সোমবার ভোর রাতে উপজেলার ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নের রাবাইতারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোর রাতের দিকে ওই গ্রামের ছালে মাহমুদের ছেলে নাদের আলীর ঘরে হঠাৎ দাউদাউ করে আগুন জ্বলতে শুরু করে। ঘুমন্ত মানুষ জেগে ওঠার আগেই আগুনের লেলিহান শিখায় মুহুর্তের মধ্যে নাদের আলীর চারটি টিনসেড ঘর, গোয়াল ঘর, রান্না ঘর এবং গোয়ালে রাখা তিনটি গাভী পুড়ে যায়। পরে আগুন পাশ্ববর্তী আব্দুল কাদের ও মজিদুলের ঘরে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা ফুলবাড়ী ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়।
ধারণা করা হচ্ছে, সবমিলিয়ে প্রায় ১০ লাখ টাকার মত ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: ক্ষতিকর প্লাস্টিকের ব্যবহার ৯০ শতাংশ কমানো হবে: পরিবেশমন্ত্রী
কিন্তু ফায়ার সার্ভিস আসার আগেই আব্দুল কাদেরের দু’টি, মজিদুলের একটি ঘর, আসবাবপত্র, ধানচাল, নগদ টাকাসহ সবকিছু পুড়ে প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধিত হয়। পরে ফুলবাড়ী ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ক্ষতিগ্রস্ত নাদের আলী বলেন, আমার বাড়ি ঘর, গরু বাছুর সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আমার এখন কি হবে আল্লাহ পাক ছাড়া কেউ জানে না। খুব টেনশনে আছি কথা বলতে পারবো না। তবে আগুন কিভাবে লাগছে বলতে পারছি না।
ফুলবাড়ী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আহসান হাবীব জানান, গভীর রাতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। তবে আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি।
ফুলবাড়ী উপজেলার ভাঙ্গামোড় চেয়ারম্যান পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী শেখ জানান, সর্বনাশী আগুন পরিবার তিনটির সবকিছু শেষ করে দিয়েছে। সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে প্রাথমিক সহায়তা দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: লাশ হয়ে ফেরা ৭১৪ নারী অভিবাসী শ্রমিকের জন্য ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট
পাঠ্যবইয়ের কাগজ বেশি ব্রাইট হলে চোখের জন্য ক্ষতি হতে পারে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, পাঠ্যবইয়ের কাগজ বেশি ব্রাইট হলে, তা চোখের জন্য ক্ষতি হতে পারে।
তিনি বলেন, এ বছর ছাপানো পাঠ্যবইয়ের কাগজের মান খারাপ নয়, ব্রাইটনেস কম, কিন্তু মান ভালো।
এছাড়া কাগজের রং কিছুটা ভিন্ন হলেও, তা নিউজপ্রিন্ট নয়।
আরও পড়ুন: নতুন কারিকুলামে শিক্ষকের দায়িত্বশীলতা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী যা বললেন
বুধবার (৪ জানুয়ারি) সকালে চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পে নিবন্ধিত জেলেদের মধ্যে বকনা বাছুর বিতরণ করেন শিক্ষামন্ত্রী।
এরপর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ছাপানো কাগজ অনেক বেশি সাদা বা ব্রাইট হলে, তা চোখের জন্য ততো ভালো না, চোখের ক্ষতি হতে পারে। আমাদের দেশে সবাই মনে করে, বই যত বেশি সাদা হবে তত বেশি ভালো, কিন্তু তা নয়।
দীপু মনি বলেন, করোনা মহামারির ও বৈশ্বিক মন্দার পর নানা প্রতিবন্ধকতা পার করে এবার বছরের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেয়া হয়েছে। যে সব শিক্ষার্থী কিছু বই পাননি, এসব বইগুলো আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে তাদের হাতে পৌঁছে যাবে, ইনশাল্লাহ।
তিনি আরেক প্রশ্নের জবাবে বলেন, মেট্রোরেলের ভাড়া কম হওয়ায় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভাড়া কম নেয়ার কোন পরিকল্পনা এখনো নেয়া হয়নি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা শাহনাজ, জেলা মৎস্য অফিসার গোলাম মেহেদী হাসান, আওয়ামী লীগ নেতা তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটোয়ারী, আলী আরশাদ মিয়াজিসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে কলেজ অধ্যক্ষ লাঞ্ছিতের ঘটনায় শিক্ষামন্ত্রী বিব্রত
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ফের করোনায় আক্রান্ত
বিপিডিবি’র আর্থিক ক্ষতি দুই-তৃতীয়াংশ বেড়ে ৪৮ হাজার কোটি টাকা
রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) আর্থিক ক্ষতি এক বছরে ১৮ হাজার ৯৪ কোটি টাকা বাড়তে পারে। এতে মোট ক্ষতি ৪৮ হাজার কোটি টাকা অতিক্রম করবে।
বিপিডিবি’র সর্বশেষ নিজস্ব হিসাব অনুযায়ী, আর্থিক ক্ষতি ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ২৯ হাজার ৯১৫ কোটি টাকা থেকে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ৪৮ হাজার কোটি টাকা অতিক্রম করবে, যা শতকরা হিসাবে ৬৭ শতাংশ।
প্রতিষ্ঠানটির সূত্র থেকে জানা যায় যে নিরীক্ষিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিপিডিবির অর্থ বিভাগ এই হিসাব তৈরি করেছে।
বিপিডিবির অর্থ বিভাগের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, সম্প্রতি পাইকারি বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ফলে আনুমানিক আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ মাত্র পাঁচ হাজার কোটি টাকা কমে যেতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা শুধুমাত্র সাত মাসের জন্য কিছু অতিরিক্ত রাজস্ব পেয়েছি। কারণ নতুন পাইকারি মূল্য ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা এই বছরের ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে।’ প্রতিটি অর্থবছর ১ জুলাই থেকে পরবর্তী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত হিসাব করা হয়।
পিডিবি বর্তমানে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ৫ দশমিক ২১ টাকা ধার্য করেছে, যা ইউনিট প্রতি ১ দশমিক ০৩ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
হিসাব অনুযায়ী, আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ অত্যধিক বেড়েছে মূলত দুটি কারণে—প্রাথমিক জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি এবং স্থানীয় মুদ্রার অবমূল্যায়ন।
বিপিডিবির একজন শীর্ষ কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, ‘এই দুই কারণের মধ্যে স্থানীয় মুদ্রার অবমূল্যায়ন প্রধান কারণ হিসেবে দেখা দিয়েছে।’
তিনি জানান, শুধুমাত্র মার্কিন ডলারের উচ্চমূল্যের কারণে বিপিডিবি প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার লোকসান গুনতে যাচ্ছে।
সংবেদনশীলতার কারণে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি সূত্র জানিয়েছে যে বেসরকারি পাওয়ার প্ল্যান্ট অপারেটরদের অর্থ পরিশোধ ও যন্ত্রপাতি আমদানিতে ব্যাংকে লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) বা প্রত্যয়পত্র খোলার ক্ষেত্রে বর্তমানে ১০৭ টাকায় মার্কিন ডলারের বিনিময় হার গণনা করতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাল্ক বিদ্যুতের শুল্ক বাড়াতে বিপিডিবি’র রিভিউ আপিল
উক্ত কর্মকর্তা জানান যে কিছুদিন আগেও বিপিডিবি মার্কিন ডলারের বিনিময় হার ৮৫ টাকায় হিসাব করেছে। এখন ১০৭ টাকার বিনিময় হার মানে প্রতি ডলার দিতে ২২ টাকা অতিরিক্ত।
বিপিডিবির বিপুল সংখ্যক বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন কোম্পানির সঙ্গে তাদের বিদ্যুৎ কেনার জন্য বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি (পিপিএ) রয়েছে।
পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, বর্তমানে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৫ হাজার ৫০০ মেগাওয়াটের বেশি এবং ৫০ শতাংশের বেশি বিদ্যুৎ বেসরকারি খাতে স্বাধীন বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী (আইপিপি), ভাড়া ও দ্রুত ভাড়ার পাওয়ার প্ল্যান্টের মাধ্যমে উৎপাদিত হয়।
ভারত থেকে বিদ্যুতের আমদানিও বেসরকারি খাতের উৎপাদন হিসেবে গণনা করা হয়।
বেসরকারি খাতের অপারেটররা মূলত ফার্নেস অয়েল, প্রাকৃতিক গ্যাস ও ডিজেল ব্যবহার করে। এর মধ্যে ফার্নেস অয়েল ব্যবহার করে চার হাজার ৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়।
টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (স্রেডা) অনুসারে, মোট ২৫ হাজার ৫৮৫ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রের প্ল্যান্ট রয়েছে এক হাজার ৭৬৮ মেগাওয়াট (৬ দশমিক ৯১ শতাংশ) কয়লাভিত্তিক, ১১ হাজার ৩৩০ মেগাওয়াট (৪৪ দশমিক ২৮ শতাংশ) গ্যাসভিত্তিক, ছয় হাজার ২৩৮ মেগাওয়াট (২৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ) ফার্নেস অয়েলভিত্তিক, এক হাজার ৩৪১ মেগাওয়াট (৫ দশমিক ২৪ শতাংশ) ডিজেলভিত্তিক, আমদানি এক হাজার ১৬০ মেগাওয়াট (৪ দশমিক ৫৩ শতাংশ), নবায়নযোগ্য ৯৪৮ দশমিক ১২ মেগাওয়াট (৩ দশমিক ৭১ শতাংশ) ও ক্যাপটিভ দুই হাজার ৮০০ মেগাওয়াট (১০ দশমিক ৯৪ শতাংশ)।
বিপিডিবির কর্মকর্তারা জানান, প্রতিষ্ঠানটিকে ২০২১-২০২২ সালে ৪ দশমিক ৮ মিলিয়ন মেট্রিক টন তরল জ্বালানি আমদানির জন্য ৩১ হাজার ২৪৫ কোটি টাকা ব্যয় করতে হয়, প্রধানত ফার্নেস অয়েল।
চলতি অর্থবছরে, বিপিডিবি ৩ দশমিক ৬ মেট্রিক টন ফার্নেস অয়েল আমদানি করবে বলে নির্ধারণ করেছে, যা এক দশমিক ২ মিলিয়ন মেট্রিক টন কম, কারণ অত্যধিক দামের কারণে সরকার ইতোমধ্যে ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কার্যক্রম স্থগিত করেছে।
বিপিডিবির কর্মকর্তা বলেন, কম পরিমাণ ফার্নেস অয়েল আমদানি করতে সরকারকে ২০২২-২০২৩ সালের চলতি অর্থবছরে ২৮ হাজার ৪৪১ কোটি টাকা ব্যয় করতে হবে।
যদিও ফার্নেস অয়েলের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে এক দশমিক ২ মিলিয়ন মেট্রিক টন কমে যাচ্ছে, বিপিডিবিকে আগের বছরের তুলনায় অনেক বেশি দামে তরল জ্বালানি আমদানি করতে হবে বলে খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে কমেনি।
আগের অর্থবছরে প্রতি লিটার ফার্নেস অয়েলের মূল্য ছিল ৬৫ টাকা। দাম নির্ধারণের কাজে জড়িত বিপিডিবির আরেক কর্মকর্তা জানান, চলতি বছরে এর দাম বেড়েছে হয়েছে ৮৫ টাকা প্রতি লিটারে।
তিনি বলেন, ফার্নেস অয়েলের দাম ২০ টাকা বাড়লে শেষ পর্যন্ত প্রায় দুই হাজার ৫০০ কোটি টাকার অতিরিক্ত বোঝা তৈরি হবে। স্থানীয় বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লার উচ্চমূল্য ও বিদ্যুতের আমদানিও বিপিডিবির সামগ্রিক ব্যয় বৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলবে।
আরও পড়ুন: প্রতি ইউনিট খুচরা বিদ্যুৎ ৯.০৩ টাকা করার প্রস্তাব বিপিডিবি’র
চার বিতরণ অঞ্চলে ডিজিটাল কল সেন্টার স্থাপন করবে বিপিডিবি
খুলনায় মার্কেটে আগুন, ১৬টি দোকান পুড়ে গেছে
খুলনা সদর উপজেলার বড়ো বাজারে বুধবার দুপুরে আগুনে কমক্ষে ১৬টি দোকান পুড়ে গেছে।
স্থানীয়রা জানান, দুপুর ১টার দিকে ভৈরব বাসস্ট্যান্ডের পাশের বাজারের একটি দোকানে আগুন লাগে এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই তা পাশের দোকানগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে।
খুলনা ফায়ার সার্ভিসের বিভাগীয় উপ-পরিচালক মো. সালাহ উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি দমকল কাজে লাগানো হয় এবং আগুন নেভাতে তাদের প্রায় এক ঘণ্টা সময় লেগে যায়।
আরও পড়ুন: খুলনার রূপসা ইউসেপ স্কুলের আগুন নিয়ন্ত্রণে
দুর্গাপূজার ছুটির কারণে আজ বুধবার বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ থাকায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
তিনি বলেন, আগুনের সঠিক উৎস ও ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: রাজধানীর এরশাদ মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে
খুলনায় পাটকলের আগুন নিয়ন্ত্রণে
চা শিল্প বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে, এটির ক্ষতি করা উচিত নয়: প্রধানমন্ত্রী
দেশের চা শিল্প যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সবাইকে এ বিষয়ে সজাগ থাকতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, ‘চা শিল্প আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এটি একটি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী ফসল। তাই এই শিল্পের ক্ষতি করা উচিত নয়; এটাকে অবশ্যই আরও সমৃদ্ধ করতে হবে।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক: চা-শ্রমিকদের মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণ
শনিবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সিলেট ও চট্টগ্রাম এলাকার চা শ্রমিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সব সময় চা শ্রমিকদের উন্নয়ন ও চা বাগান সম্প্রসারণে কাজ করেছে।
তিনি আরও বলেন, চা শ্রমিকদের কাজের ধরন ও পরিবেশ অন্যান্য শ্রমিকদের তুলনায় ভিন্ন।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চা শ্রমিকদের দেশের নাগরিকত্ব ছিল না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৪ সালে শিল্পমন্ত্রী থাকাকালে তাদের নাগরিকত্ব দিয়েছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ কারণে আমি মনে করি আপনাদের প্রতি আমাদের কিছু অতিরিক্ত দায়িত্ব রয়েছে। আমরা সবসময় আপনাদের সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করেছি।’
আরও পড়ুন: হামলা হলে পুলিশের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে: সংসদে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কয়েকদিন আগে চা শ্রমিকেরা তাদের মজুরি বাড়ানোর দাবি উত্থাপন করলে তিনি চা বাগানের মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নির্ধারণ করেন।
তিনি বলেন, মালিকরা যাতে চা শ্রমিকদের মর্যাদা নিশ্চিত করতে পারে এবং তাদের সুযোগ-সুবিধার প্রতি খেয়াল রাখে সেজন্য সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী সংক্ষিপ্তভাবে দেশের সার্বিক উন্নয়নের উদ্যোগের বর্ণনা দিয়ে বলেন, সরকার দেশের প্রতিটি মানুষের জন্য বাড়ি নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নিয়েছে।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাস মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
আরও পড়ুন: চতুর্থ শিল্প বিপ্লব উদ্ভূত পরিবর্তন মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেয়ার ওপর জোর প্রধানমন্ত্রীর
তিনি বলেন, ‘সেই আঘাতের ঢেউয়ের প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে, তাই আমরা সাধারণ মানুষের জন্য ন্যায্য মূল্যে খাদ্য সরবরাহ করার চেষ্টা করছি। যাতে তারা তাদের আয় দিয়েই নিজেদের পরিবার নিয়ে টিকে থাকতে পারে।’
পরে তিনি চার জেলার চা শ্রমিকদের কথা মনোযোগ সহকারে শোনেন।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চা শ্রমিকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে চা বাগান মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করে চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে ১৭০ টাকায় উন্নীত করার নির্দেশ দেন।
এছাড়া, প্লাকিং বোনাস (অতিরিক্ত চা পাতা তোলার সুবিধা), উৎসব বোনাস, অর্জিত ছুটি, অসুস্থতার সময় পাওয়া ছুটি ভাতা, প্রভিডেন্ট ফান্ড, রেশন কার্ড এবং অবসর সুবিধাসহ শ্রমিকদের অন্যান্য সুবিধাগুলিও আনুপাতিকভাবে বৃদ্ধি করা হবে।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার মতো সংকট বাংলাদেশে হবে না: প্রধানমন্ত্রী
বন্যা: নেত্রকোণায় মাছ চাষিদের সাড়ে ১১ কোটি টাকার ক্ষতি
সাম্প্রতিক বন্যায় নেত্রকোণায় ২৬ হাজার ৪১৭টি পুকুর ও খামারের ১১ কোটি ৫৭ লাখ টাকার মাছ ও পোনা ভেসে গেছে।
অধিকাংশ মাছ চাষিই বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে মাছ চাষ করেছেন যা এখন তাদের কাছে বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মাছ চাষে যা বিনিয়োগ করেছিলেন তা হারিয়ে তাদের স্বপ্নও ভেসে গেছে।
নিপা এগ্রো ফিশারিজের মালিক মো. রোকনুজ্জামান খান খোকন জানান, তিনি ১০০ শতাংশ জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করেছেন। ‘সব মাছ বিক্রির জন্য প্রস্তুত ছিল। এসব মাছ বিক্রি করে ৩০ লাখ টাকা পাবো বলে আশা করেছিলাম। কিন্তু আকস্মিক বন্যা আমার আশাকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দিয়েছে।’
আরও পড়ুন: সিলেটে বন্যা: ক্ষতিগ্রস্ত ৫ হাজার পরিবারকে ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ
তিনি বলেন, ‘আমি একটি ব্যাংক থেকে ১২ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলাম। আমি জানি না কিভাবে এ ঋণ শোধ করব।’
আরিফুর রহমান ও মুখলেসুর রহমান নামে অপর দুই মৎস্য খামারি জানান, ৩৪ একর জমিতে তারা দুই কোটি টাকার মাছ চাষ করেছেন।
তারাও ব্যাংক থেকে এক কোটি ৯ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। কিন্তু বন্যায় তাদের সব মাছ ভেসে গেছে।
নেত্রকোণার বাউশি ইউনিয়নের মাছ চাষি মো. ইলিয়াস তালুকদার বলেন, ‘বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক থেকে আমি ১১ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলাম। আমার পরিচিত কয়েকজনের কাছ থেকেও টাকা নিয়েছি। মাছ চাষে ৩০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছি। কিন্তু আমার সব স্বপ্ন ভেস্তে গেল। ঋণ শোধ করতে করতেই আমার বাকি জীবন পার করতে হবে।’
আরও পড়ুন: বন্যা মোকাবিলায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান পরিকল্পনামন্ত্রীর
নেত্রকোণা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহজাহান কবির জানান, ভয়াবহ বন্যায় মোট ১৫ হাজার ৮২৬ জন মাছ চাষি ও মৎস্য খামারি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘বন্যায় মাছের খামার হিসেবে ব্যবহৃত প্রায় সাড়ে তিন হাজার হেক্টর এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কৃষকদের ১১ কোটি ৫৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।’