হজ
দেশবাসীর জন্য দোয়া করুন, হজযাত্রীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
শান্তির ধর্ম ইসলামের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে সবাইকে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘ইসলাম একটি অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ ও পবিত্র ধর্ম। সুতরাং এর মর্যাদা বজায় রাখা আমাদের সকলের কর্তব্য।’
শুক্রবার নিজের সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে রাজধানীর আশকোনায় হজ কর্মসূচি-২০২২ উদ্বোধন কালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। এসময় প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও মহামারি থেকে দেশের জনগণ যাতে সুরক্ষিত থাকতে পারে এবং সম্মানজনক জীবন পেতে পারে সেজন্য প্রার্থনা করতে হজযাত্রীদের প্রতি তিনিআহ্বান জানান । পরে হজযাত্রীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ অর্থনৈতিক উন্নতি করছে। তাই দোয়া করবেন যাতে আমরা উন্নয়নের যাত্রায় এগিয়ে যেতে পারি এবং দেশের প্রতিটি মানুষ তাদের খাবার, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ও শিক্ষার সুযোগ পেতে পারে এবং এভাবে একটি উন্নত ও শালীন জীবন পেতে পারে।’
আরও পড়ুন: হজের খরচ বাড়ল আরও ৫৯ হাজার টাকা
প্রধানমন্ত্রী হজযাত্রীদের সৌদি আরবের নিয়ম-কানুন মেনে সেখানে হজের আনুষ্ঠানিকতা পালন করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘দেশের মর্যাদা সমুন্নত রাখা আমাদের সকলের কর্তব্য। এটা মনে রাখবেন।’
বাংলাদেশ থেকে ৪১৯ জন হজযাত্রী নিয়ে প্রথম হজ ফ্লাইট আগামী রবিবার সৌদি আরবের উদ্দেশে যাত্রা করবে। করোনা পরিস্থিতি কিছুটা ভালো হওয়ায় এ বছর সারা বিশ্ব থেকে ১০ লাখ হজযাত্রী নিয়ে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে (চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে ৮ জুলাই)। এর মধ্যে বাংলাদেশের ৫৭ হাজার ৫৮৫ জন হজযাত্রী থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, করোনা শুরুর আগে ২০১৯ সালে বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ পালন করেছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রটোকল বজায় রেখে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিক পাঠানোর আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর
হজের খরচ বাড়ল আরও ৫৯ হাজার টাকা
বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের খরচ আরও ৫৯ হাজার টাকা বেড়েছে। সৌদি আরবে খরচ বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের হজযাত্রীদের জন্য এ খরচ বাড়ানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ মে) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আগের ঘোষিত সরকারি ও বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় হজ প্যাকেজ এর সাথে ৫৯ হাজার টাকা যোগ হবে।
এর আগে গত ১১ মে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান জানিয়েছিলেন, এ বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাওয়ার সর্বোচ্চ প্যাকেজ প্রস্তাব করা হয়েছে ৫ লাখ ২৭ হাজার ৩৪০ টাকা। আর সর্বনিম্ন প্যাকেজ প্রস্তাব করা হয়েছে ৪ লাখ ৬২ হাজার ১৫০ টাকা।
তিনি বলেন, ‘বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রস্তাব করা হয়েছে ৪ লাখ ৫৬ হাজার ৫৩০ টাকা। তারা সরকারি প্যাকেজের সাথে সামঞ্জস্য রেখে একাধিক প্যাকেজ ঘোষণা করতে পারবে।’
পড়ুন: হজের সর্বনিম্ন প্যাকেজ ৪ লাখ ৬২ হাজার
হজ ফ্লাইট ৩১ মে’র পরিবর্তে ৫ জুন শুরু
৩১ মে হজ ফ্লাইট শুরুর প্রস্তুতি আছে: বিমান প্রতিমন্ত্রী
৩১ মে হজ ফ্লাইট শুরুর প্রস্তুতি আছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।
তিনি বলেছেন, ৩১ মে যাতে হজ ফ্লাইট শুরু করা যায় সেজন্য প্রস্তুতি আছে। কিন্তু হজে যারা যাবেন, তাদের জন্য বাড়ি ভাড়া এবং মোয়াল্লেম নির্ধারণসহ আনুষঙ্গিক কাজগুলো করতে পারেনি সৌদি কর্তৃপক্ষ। এই বিষয়গুলো এখনও ক্লিয়ার হয়নি। তবে আমাদের বিশ্বাস নির্দিষ্ট সময়ে কাজগুলো সম্পন্ন করবে সৌদি কর্তৃপক্ষ। ধর্ম মন্ত্রণালয় এ বিষয়গুলো দেখছে। আমাদের বিশ্বাস এই সময়ের মধ্যে সব হয়ে যাবে।সোমবার বিমানবন্দরের সার্বিক কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি জানান, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে থাকা নিজস্ব বোয়িং-৭৭৭ উড়োজাহাজ দিয়েই হজ ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিমানের বহরের ২১টি উড়োজাহাজের মধ্যে চারটি বোয়িং-৭৭৭। ২০১৯ সালে এই চারটি দিয়েই হজ ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়েছিল। এ বছরও সেটি করা হবে। এতে বিমানের কম গুরুত্বপূর্ণ ও কম লাভজনক রুটের ফ্রিকোয়েন্সি কমানো হবে। এটা দুই মাসের বিষয়। শিডিউল ফ্লাইটে কোনো ব্যাঘাত সৃষ্টি হবে না।
আরও পড়ুন: অভ্যন্তরীণ রুটে বিমানের ওয়েব চেক-ইন শুরু জুন থেকে
মাহবুব আলী বলেন, আমরা আজকে এয়ারপোর্টে এসেছি, এখানকার ব্যবস্থাপনা, যাত্রী সেবাসহ সবকিছু ঠিক রাখতে সবাই যথাযথভাবে কাজ করে কিনা দেখতে। আমরা সার্বক্ষণিক এগুলো মনিটরিং করছি। মন্ত্রণালয়ে একটা টিম করেছি। সপ্তাহে তিন দিন মন্ত্রণালয়ের লোকজন এখানে থাকে। কোনও ধরনের অব্যবস্থাপনা হয় কিনা তারা দেখেন। সামনে হজ। হজের সকল ফ্লাইট যাতে নির্বিঘ্নে পরিচালিত হয় সেই বিষয়ে কাজ করছি। হজ ফ্লাইট কার্যক্রমের বিষয়গুলো প্রতিনিয়ত মনিটরিং করছি।বিমান প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের ট্রলি সংকট ছিল, সেটা এখন আর নেই। লাগেজ বেল্টে যেন কোনও সমস্যা না হয়, এ জন্য অনেকগুলো ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসিয়েছি। আমরা চাই, বিমানবন্দর সুন্দরভাবে চলুক, এখানে কোনও প্রকার যাত্রী হয়রানি যাতে না হয়। অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতার কারণে এখন হয়তো অনেক ক্ষেত্রেই কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে পারি না, তবে থার্ড টার্মিনাল হয়ে গেলে এসব সমস্যা থাকবে না। আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে থার্ড টার্মিনাল উদ্বোধন হলে সেখানে যাত্রীরা সকল ধরনের আন্তর্জাতিক সেবা পাবেন।
বিমানবন্দরের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, ‘বিমানবন্দরে যার যা দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে হবে। যারা ডিউটি করে তাদের নির্দিষ্ট সময়ের আধাঘণ্টা আগে এয়ারপোর্টে ঢুকতে হবে। ডিউটি শেষে আধা ঘন্টা পর বের হতে হবে। যাতে আমরা যাত্রী সেবা নিশ্চিত করতে পারি।
আরও পড়ুন: মাঙ্কিপক্স: স্থলবন্দর ও বিমানবন্দরে সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ সরকারেরমাহবুব আলী বলেন, কাস্টমসের সঙ্গে কথা হয়েছে, যাতে ঢালাওভাবে সব যাত্রীর ব্যাগ চেক করা না হয়। কাস্টমস এর আইন অনুযায়ী নির্দিষ্ট হারে এবং তথ্যের ভিত্তিতে যাকে সন্দেহ হবে তাকে চেক করা হবে। চেক করতে গিয়ে যাত্রীদের আসা যাওয়ায় যাতে কোনো হয়রানি না হয় সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনে কর্মকর্তারা হয়রানি ও অপ্রয়োজনীয় প্রশ্ন করে- সাংবাদিকদের এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে বিমান প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি যাতে প্রত্যেক যাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ না করা হয়। যাতে হয়রানি না করা হয়। যাদেরকে তারা প্রয়োজন মনে করবে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে। প্রয়োজনে তাদেরকে আলাদা করে জিজ্ঞাসা করা হবে। দেশের বিমানবন্দরে প্রতিদিন ২১ হাজার যাত্রী আসা-যাওয়া করে। এত সংখ্যক যাত্রীকে প্রশ্ন করা একদিনে সম্ভব নয়। যাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন কেবল তাদেরকেই করা হচ্ছে। বাকিরা যাত্রী কি না এই বিষয়টি ইমিগ্রেশন পুলিশ নিশ্চিত করবে।বিমান বন্দর পরিদর্শনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান সাজ্জাদুল হাসান, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মোহাম্মদ মফিদুর রহমান এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামাল।
আরও পড়ুন: ওয়েবসাইটে বিমানের টিকিট ক্রয়ে ১০ শতাংশ ছাড়
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যাবেন না মুশফিক
বাংলাদেশ জাতীয় দলের আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যাচ্ছেন না উইকেটরক্ষক-ব্যাটার মুশফিকুর রহিম।
মুশফিক হজ পালনের জন্য ছুটি নিয়েছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
বিসিবির ক্রিকেট অপারেশনের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মুশফিক এক মাস আগে হজ করতে ছুটি চেয়েছিলেন। আমরা এটা মঞ্জুর করেছি।’
আরও পড়ুন: তামিমের সেঞ্চুরির পর মুশফিক-লিটনের ফিফটিতে চাপে শ্রীলঙ্কা
এর ফলে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্টও আরও সমস্যায় পড়লো। কেননা তাদের এখন ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে পুনরায় চিন্তা করতে হবে।
এর আগে আঙুলের চোটের কারণে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চলমান সিরিজ থেকে ছিটকে যান অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। এছাড়া ডানহাতি পেসার তাসকিন আহমেদও চোটের কারণে দলের বাইরে রয়েছেন। দুজনেরই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর অনিশ্চিত।
চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলাম ও ডানহাতি স্পিনার নাঈম হাসানও চোট পেয়েছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্টে শরিফুলকে নিয়ে সন্দেহ থাকলেও নাঈম ইতিমধ্যেই এই সিরিজ থেকে বাদ পড়েছেন।
আগামী ২৩ মে ঢাকায় শুরু হবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচ।
আরও পড়ুন: প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে টেস্টে ৫ হাজার রান মুশফিকের
৫ জুন ওয়েস্ট ইন্ডিজের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা বাংলাদেশ দলের। সেখানে স্বাগতিকদের বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট, তিন ম্যাচ করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ।
হজের নিবন্ধন শুরু ১৬ মে
এই বছরের হজের নিবন্ধনের কার্যক্রম ১৬ মে থেকে শুরু হবে বলে জানিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
করোনার কারণে গত দুই বছর বন্ধ থাকার পর সৌদি আরবে পবিত্র হজ পালন করতে ইচ্ছুক এমন হজযাত্রীদের ১৮ মে’র মধ্যে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে এবং টাকা জমা দেয়ার সময়সীমাও এটি।
আরও পড়ুন: হাবের হজ প্যাকেজ ঘোষণা
মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, হজযাত্রী হিসেবে নিবন্ধনের জন্য প্রার্থীর কমপক্ষে সাত মাসের মেয়াদের (৪ জানুয়ারি ২০২৩ পর্যন্ত) একটি পাসপোর্ট থাকতে হবে। নিবন্ধনের পর কোনো প্রার্থী যদি হজে যেতে না পারেন তাহলে কেবল বিমানভাড়া ও খাবার বাবদ গ্রহণ করা টাকা ফেরত দেয়া হবে। তবে কোনো প্রার্থী যদি বিমানের টিকিট নিশ্চিত হওয়ার পর হজযাত্রা বাতিল করেন তাহলে তিনি সেই টিকিটের টাকা ফেরত পাবেন না।
আরও পড়ুন: হজ ফ্লাইট শুরু ৩১ মে
এছাড়া কোরবানির উদ্দেশে প্রত্যেক হজযাত্রীকে অতিরিক্ত ৮১০ সৌদি রিয়াল সঙ্গে নিতেও বলা হয়েছে।
হাবের হজ প্যাকেজ ঘোষণা
বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যারা হজ পালন করবেন, তাদের জন্য হজ প্যাকেজ ঘোষণা করেছে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম এই প্যাকেজ ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: এ বছর হজ ফ্লাইটে যাত্রীপ্রতি ভাড়া ১ লাখ ৪০ হাজার
তিনি জানান, বেসকারিভাবে হজে যেতে খরচ পড়বে চার লাখ ৬৩ হাজার ৭৪৪ টাকার। তবে যে প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে তাতে হজের আবশ্যিক পশু কোরবানির খরচ ধরা হয়নি। এতে করে খরচের পরিমাণ বেড়ে যাবে।
তিনি জানান, এজেন্সিগুলো আবারও স্পেশাল প্যাকেজ ঘোষণা করতে পারবে, তবে তা হাব ঘোষিত প্যাকেজ মূল্যের কম হওয়া যাবে না।
আরও পড়ুন: হজ ফ্লাইট শুরু ৩১ মে
সরকারি ঘোষণার একদিন পর বেসরকারিভাবেও হজ প্যাকেজের ঘোষণা এলো।
হজের সর্বনিম্ন প্যাকেজ ৪ লাখ ৬২ হাজার
এ বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাওয়ার সর্বোচ্চ প্যাকেজ প্রস্তাব করা হয়েছে ৫ লাখ ২৭ হাজার ৩৪০ টাকা। আর সর্বনিম্ন প্যাকেজ প্রস্তাব করা হয়েছে ৪ লাখ ৬২ হাজার ১৫০ টাকা।
বুধবার সচিবালয়ে হজ সংক্রান্ত এক সভা শেষে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান এ তথ্য জানান ।
তিনি বলেন, ‘বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রস্তাব করা হয়েছে ৪ লাখ ৫৬ হাজার ৫৩০ টাকা। তারা সরকারি প্যাকেজের সাথে সামঞ্জস্য রেখে একাধিক প্যাকেজ ঘোষণা করতে পারবে।’
২০২০ সালের তুলনায় সরকারি ব্যবস্থাপনার প্যাকেজ-১ এর দাম বেড়েছে ১ লাখ ২ হাজার ৩৪০ টাকা এবং প্যাকেজ-২ এর দাম বেড়েছে ১ লাখ ২ হাজার ১৫০ টাকা।
এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০২০ সালে সৌদি রিয়ালের বিনিময় হার ছিল ২৩ টাকা। আজকে এ হারের পরিমাণ ২৪ টাকা ৩০ পয়সা। এটিও প্যাকেজ মূল্য বাড়ার অন্যতম কারণ। এছাড়া সৌদি আরবে সব খাতের উপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট, সার্ভিস চার্জ, কর অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মোয়াচ্ছাছা এর খরচ দ্বিগুণ হয়েছে, বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি পেয়েছে।
পড়ুন: স্বল্প সময়ে সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনা বড় চ্যালেঞ্জ: হাব সভাপতি
এ বছর হজ ফ্লাইটে যাত্রীপ্রতি ভাড়া ১ লাখ ৪০ হাজার
হজ ফ্লাইট শুরু ৩১ মে
তিনি বলেন, এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রথম প্যাকেজে খরচ হবে সর্বমোট পাঁচ লাখ ২৭ হাজার ৩৪০ টাকা, এটি ২০২০ সালের তুলনায় এক লাখ দুই হাজার ৩৪০ টাকা বেশি। আর দ্বিতীয় প্যাকেজে খরচ হবে চার লাখ ৬২ হাজার ১৫০ টাকা। এটি ২০২০ সালের তুলনায় এক লাখ দুই হাজার ১৫০ টাকা বেশি।
‘২০২০ সালে সরকারি ব্যবস্থাপনায় তৃতীয় প্যাকেজ ছিলো তিন লাখ ১৫ হাজার টাকার। এ বছর এই প্যাকেজটি রাখা হয়নি। ২০২০ সালে ঘোষিত ৩টি প্যাকেজে নিবন্ধিত হজযাত্রীরা ২০২২ সালে ঘোষিত দু’টি প্যাকেজের যে কোনো একটিতে স্থানান্তর করে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে পারবেন।’
এছাড়া বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ যাত্রীদের জন্য একটি প্যাকেজ প্রস্তাব করা হয়েছে। এই প্যাকেজে যেতে ইচ্ছুকদের খরচ হবে চার লাখ ৫৬ হাজার ৫৩০ টাকা।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ এজেন্সিগুলো সরকারি ব্যবস্থাপনার দুটি প্যাকেজের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে একাধিক প্যাকেজ ঘোষণা করতে পারবেন।’
তিনি আরও জানান,‘২০২০ সালে যে সকল নিবন্ধিত হজযাত্রী প্যাকেজ স্থানান্তরের মাধ্যমে ২০২২ সনে নিবন্ধন চূড়ান্ত করবেন না অথবা হজে যেতে পারবেন না তাদের নিবন্ধন বাতিল হবে এবং তারা বিধি মোতাবেক প্রদত্ত অর্থ ফেরত পাবেন।’
ফরিদুল হক খান বলেন, ‘সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রথম প্যাকেজের হজযাত্রীরা মসজিদুল হারাম চত্বরের সীমানা থেকে সর্বোচ্চ এক হাজার মিটারের মধ্যে এবং দ্বিতীয় প্যাকেজের হজযাত্রীরা সর্বোচ্চ এক হাজার ৫শ মিটারের মধ্যে অবস্থান করবেন।
তিনি জানান, প্রত্যেক হজ এজেন্সি কমপক্ষে ১শ জন এবং সর্বোচ্চ ৩শ জন হজযাত্রী প্রেরণ করতে পারবেন। হজ এজেন্সি ছাড়া অন্য কোনো এজেন্সির কাছে বিমানের টিকিট কেনার অনুমতি দেয়া হবে না। কোনো এজেন্সিকে কোন অবস্থাতেই ৩শর বেশি টিকিট প্রদান করা যাবে না।’
এ বছর যারা হজ করতে যাবেন তাদের পাসপোর্টের মেয়ার ২০২৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত থাকতে হবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
৬৫ বছরের বেশি বয়সীরা এবার হজে যেতে পারবেন না: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
আগে নিবন্ধিত হলেও ৬৫ বছরের বেশি বয়সীরা এবার হজে যেতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।
তিনি বলেন, ‘যারা আগে নিবন্ধন করেছেন কিন্তু বয়স ৬৫ বছরের বেশি তারা যেতে পারবেন না। ইন্টারন্যাশনালি সারা বিশ্বের সঙ্গে একই সিস্টেমে চলছে। ৬৫ বছরের বেশি যাদের বয়স হয়েছে, তারা যেতে পারবেন না।’
সোমবার সচিবালয়ে বাংলদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’ এর ‘ইসলামিক অর্থ ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাল লেনদেন শীর্ষক আলোচনা’ অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।
তিনি বলেন, বিগত দুটি বছর পবিত্র হজ পালন করা সম্ভব হয়নি। আল্লাহর অশেষ রহমতে এ বছর আমরা হজ পালন করতে যাচ্ছি। সৌদি আরবের সঙ্গে যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সেটাও হয়ে যাবে।’
আরও পড়ুন: এ বছর ৫৭ হাজার ৮৫৬ জন হজে যেতে পারবেন: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী বলেন, অন্যান্য বছর হজের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ছয় মাস সময় পাওয়া যায়। এবার সময় মাত্র ৩৪ দিন। এই সময়ের মধ্যে এই কর্মযজ্ঞ আল্লাহ তায়ালা যদি পরিত্রাণ দেয়ার ব্যবস্থা করেন, এছাড়া করার কোনো উপায় নেই। আমরা শুক্র ও শনিবারও অফিস খোলা রেখে কাজ শুরু করেছি।
নগদ ইসলামিক সেবার বিষয়ে ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১৯ সালের ২৬ মার্চ প্রধানমন্ত্রী নগদের উদ্বোধন করার সময় থেকেই নগদ এই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সুদবিহীন লেনদেনের সুবিধা দিয়ে আসছে। যা দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্য ইসলামিক জীবন-বিধান মেনে ডিজিটাল লেনদেন করতে সহায়তা করছে। সুদবিহীন লেনদেন ছাড়াও গ্রাহকরা বিভিন্ন ইসলামিক ইস্যুরেন্সের প্রিমিয়াম দেয়া, বিভিন্ন ইসলামিক প্রতিষ্ঠানে সহজে দান করা, হজ ও ওমরাহ সংক্রান্ত সকল পেমেন্টসহ অন্যান্য সুবিধা খুব সহজে উপভোগ করতে পারবেন।
ফরিদুল হক বলেন, নগদ ইসলামিক অ্যাপ থেকে যাকাত ক্যালকুলেটরের মাধ্যমে যাকাতের হিসাব খুব সহজে করা যায়। এতে আরও আছে সম্পূর্ণ কোরআন শোনার ব্যবস্থা, নামাজের সময়সূচি ও বিভিন্ন হাদিস ও দোয়ার সংকলন। গ্রাহকের লেনদেন থেকে নগদ ইসলামিকের আয়ের একটি অংশ মসজিদ ও মাদ্রাসার উন্নয়ন কাজে দান করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: এ বছর হজ করতে পারবেন ১০ লাখ মানুষ
বিএসআরএফের সভাপতি তপন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে ও বিএসআরএফের সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে নগদের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আমিনুল হক, সাধারণ নগদ ইসলামিকের শরিয়াহ সুপারভাইজরি কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক এইচ এম শহীদুল ইসলাম বারাকাতি, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমির পরিচালক মো. আনিসুজ্জামান সিকদার উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৯ জুলাই সৌদি আরবে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে ৫৭ হাজার ৮৫৬ জন হজে যেতে পারবেন বলে ইতোমধ্যে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে। করোনা মহামারিতে সৌদি আরবের নিষেধাজ্ঞার কারণে গত দু-বছর বাংলাদেশ থেকে কেউ হজে যেতে পারেননি।
সুন্দর, নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন হজ ব্যবস্থাপনার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত হজ ব্যবস্থাপনার ধারাবাহিকতায় এ বছর আরও সুন্দর, নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন হজ ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে পূর্ব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়, দপ্তর, সংস্থাকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী সোমবার বিকেল ৫টার দিকে রাজধানীর রমনায় পুলিশ কনভেশন হলে হজ্জ এজেন্সীস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) আয়োজিত আলোচনা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনা উত্তর পরিস্থিতিতে সৌদি আরবের সিদ্ধান্ত অনুসারে বাংলাদেশ থেকে এ বছর ৫৭ হাজার ৮৫৬ জন হজযাত্রী হজে গমন করতে পারবেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সৌদি-বাংলাদেশ হজ চুক্তি সম্পাদনের পর মন্ত্রিপরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত হজ প্যাকেজ ঘোষণা করা হবে। সেখানে হজযাত্রী, হজ এজেন্সি, সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়, দপ্তর, সংস্থার করণীয় বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: এ বছর ৫৭ হাজার ৮৫৬ জন হজে যেতে পারবেন: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, হজ ব্যবস্থাপনাকে আরও সুন্দর, সুশৃঙ্খল ও উন্নত করতে ইতোমধ্যে হজ আইন প্রণয়ন করা হয়েছে, যেখানে হজযাত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের স্বার্থ সংরক্ষণ করা হয়েছে। হজ ব্যবস্থাপনায় অনিয়মকারীদের উপযুক্ত শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। হজের আইনের অধীনে বিধিমালা চূড়ান্ত করা হচ্ছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট মাহবুব আলী বলেন, হজযাত্রীদের নিরাপদ, নির্বিঘ্ন যাতায়াত নিশ্চিত করতে তার মন্ত্রণালয়ের পূর্ণ প্রস্তুতি রয়েছে। তিনি বলেন, এ বছর সৌদি আরব অংশের শতভাগ হজযাত্রীর ইমিগ্রেশন বাংলাদেশে সম্পন্ন করা হবে।
হজ্জ এজেন্সীস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) এর সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও বক্তব্য দেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী এনামুল হাসান এনডিসি, বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মুফিদুর রহমান এনডিসি প্রমুখ।
আরও পড়ুন: এ বছর হজ করতে পারবেন ১০ লাখ মানুষ
এ বছর ৫৭ হাজার ৮৫৬ জন হজে যেতে পারবেন: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
করোনা মহামারির কারণে টানা দুই বছর বাতিলের পর বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৫৭ হাজার ৮৫৬ জন হজযাত্রীকে এ বছর হজ করার অনুমতি দেয়া হবে।
বুধবার এক ভিডিও বার্তায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান এ তথ্য জানান।
এর আগে সৌদি আরবের হজ কর্তৃপক্ষ ৯ এপ্রিল এক বিবৃতিতে, ২০২২ সালে দেশের ভেতর ও বাইরে থেকে আসা হজযাত্রীর সংখ্যা বাড়িয়ে ১০ লাখে উন্নীত করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হজ পালনের জন্য হজযাত্রীদের ৬৫ বছরের কম বয়সী হতে হবে এবং তাদের বাধ্যতামূলক সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত করোনার টিকা নেয়া থাকা লাগবে।
আরও পড়ুন: এ বছর হজ করতে পারবেন ১০ লাখ মানুষ
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, বিদেশ থেকে যাওয়া সব হজযাত্রীর বিমান ছাড়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করোনার পিসিআর পরীক্ষার নেগেটিভ সনদ থাকতে হবে।
মন্ত্রণালয় বলছে, করোনা মোকাবিলায় সৌদি আরব যে সফলতা অর্জন করেছে তা বজায় রেখে সর্বোচ্চ সংখ্যক হজযাত্রীকে হজে অংশ নেয়ার অনুমতি দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বর্ধিত হজযাত্রীর এই সংখ্যা কোটা অনুযায়ী দেশগুলোর মধ্যে ভাগ করে দেয়া হবে।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত বছর ৫৮ হাজার ৭৪৫ জন হজ পালন করেছিলেন।
করোনা মহামারির আগে প্রতিবছর প্রায় ২৫ লাখ মানুষ সৌদি আরবে হজ করতে যেতেন।
আরও পড়ুন: এবার হজ ব্যবস্থাপনা আরও উন্নত হবে: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি হজযাত্রী নিহত