হজ
এ বছর হজ করতে পারবেন ১০ লাখ মানুষ
এ বছর ১০ লাখ হজযাত্রীকে হজ পালনের অনুমতি দেয়া হবে বলে জানিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।
আরব নিউজের খবরে বলা হয়, করোনভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় গত দুই বছর বার্ষিক এই অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া মানুষের সংখ্যা অনেকটা হ্রাস পায়।
হজ পালনের জন্য হজযাত্রীদের ৬৫ বছরের কম বয়সী হতে হবে এবং তাদের বাধ্যতামূলক সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত করোনার টিকা নেয়া থাকা লাগবে।
আরও পড়ুন: এবার হজ ব্যবস্থাপনা আরও উন্নত হবে: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
এছাড়া সব হজযাত্রীর বিমান ছাড়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করোনার পিসিআর পরীক্ষার নেগেটিভ সনদ থাকতে হবে।
মন্ত্রণালয় বলছে, করোনা মোকাবিলায় সৌদি আরব যে সফলতা অর্জন করেছে তা বজায় রেখে সর্বোচ্চ সংখ্যক হজযাত্রীকে হজে অংশ নেয়ার অনুমতি দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বর্ধিত হজযাত্রীর এই সংখ্যা কোটা অনুযায়ী দেশগুলোর মধ্যে ভাগ করে দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: ২০২২ সালে হজের জন্য নিবন্ধন করবেন যেভাবে
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত বছর ৫৮ হাজার ৭৪৫ জন হজ পালন করেছিলেন।
করোনা মহামারির আগে হজযাত্রীর সংখ্যা প্রায় সময়ই ২০ লাখ ছাড়িয়ে যেত।
এবার হজ ব্যবস্থাপনা আরও উন্নত হবে: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
এই বছর বাংলাদেশি হজযাত্রীদের জন্য ব্যবস্থাপনা আরও ভালো হবে বলে জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান।
তিনি বলেন, বৈশ্বিক কোভিড পরিস্থিতির উন্নতিসহ সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে সৌদি সরকার বাংলাদেশ থেকেও হজযাত্রীদের অনুমতি দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সৌদি সরকার বলেছে যে তারা এই বিষয়ে একটি ডিক্রি জারি করবে।
আরও পড়ুন: সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি হজযাত্রী নিহত
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ থেকে যাওয়ার সুযোগ হলে হজযাত্রীরা যাতে সুষ্ঠুভাবে হজ পালন করতে পারেন সেজন্য আমরা ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়েছি।
ফরিদুল হক খান বলেন, কতজন হজযাত্রী হজে যেতে পারবেন তা সৌদি-বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় হজ চুক্তির মাধ্যমে ঠিক করা হবে।
তিনি আরও বলেন, যারা ইতোমধ্যে হজের জন্য নিবন্ধন করেছেন তারা অগ্রাধিকার পাবেন। তাছাড়া হজের পুরো ব্যবস্থাপনা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
আরও পড়ুন: হজযাত্রীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেয়া হবে: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ হজ অফিস আশকোনা ঢাকার সভাকক্ষে ২০২২ সালের হজ সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে হজ কার্যক্রমে সম্পৃক্ত মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংস্থা ও সংগঠনের অংশীজনদের সঙ্গে সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী এনামুল হাসান।
২০২২ সালে হজের জন্য নিবন্ধন করবেন যেভাবে
মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় বৈশ্বিক সম্মেলন এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান হজ। প্রতি বছর পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সৌদি আরবের মক্কা গমনকারীদের বৃহৎ মিলনায়তনে শামিল হন বাংলাদেশের মুসলমানরাও। করোনার প্রকোপে ২০২০ থেকে এই আন্তর্জাতিক ধর্মীয় সম্মেলনটি শুধুমাত্র সৌদির হজপালনকারীদের জন্য সীমাবদ্ধ করায় বিশ্বের অন্যান্য তীর্থযাত্রীদের ন্যায় বাংলাদেশিরাও বঞ্চিত হয়েছেন হজে অংশগ্রহণ থেকে। এ বছর যথাযথ সতর্কতা মেনে সৌদি হজ কর্তৃপক্ষের প্রণীত নীতিমালা অনুসরণের মাধ্যমে হজের জন্য প্রস্তুতি নেয়া যাবে। চলুন জেনে নিই ২০২২ সালে কিভাবে হজের জন্য নিবন্ধন করবেন।
হজের নিবন্ধন পদ্ধতি
বাংলাদেশে প্রতি বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজের নিবন্ধন নেয়া হয়। তবে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাওয়া হজ যাত্রীর সংখ্যা মোট হজ যাত্রীর মাত্র ৫ শতাংশ। সরকারি-বেসকারি উভয় ক্ষেত্রেই যে বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তা হলো প্রাক-নিবন্ধন।
হজের জন্য সৌদি আরবের হজ ও উমরাহ কর্তৃপক্ষ প্রতি বছর পৃথিবীর সকল দেশের একটি নির্দিষ্ট কোটা নির্ধারণ করেন দেয়। মক্কা-মদীনায় থাকা-খাওয়া সংক্রান্ত জরুরি সেবা প্রদানের জন্য ধারণ ক্ষমতার উপর ভিত্তি করে এই কোটা বরাদ্দ হয়ে থাকে।
এরপরেও প্রতি বছর এই কোটার বাইরেও বহু সংখ্যক আবেদন জমা পড়ে। আর এই জন্যই বাংলাদেশের হজ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সৌদি ই-হজ সিস্টেমের সাথে সামঞ্জস্য রেখে প্রাক-নিবন্ধন পদ্ধতির অবতারণা। প্রাক-নিবন্ধিত লোকদের ভেতর থেকে প্রতি বছর কোটা অনুসারে হজে পাঠানো হয়। এক্ষেত্রে অপেক্ষমান যাত্রীদের পরের বছরে হজে যেতে হয়।
আরও পড়ুন: স্মার্ট আইডি কার্ড: জাতীয় পরিচয়পত্রে ভুল থাকলে যেভাবে সংশোধন করবেন
হজের প্রাক-নিবন্ধন পদ্ধতি
প্রার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের অন্তর্গত হজ যাত্রীদের প্রাক-নিবন্ধন সিস্টেম থেকে প্রাক-নিবন্ধন করতে পারবেন। এর জন্য প্রয়োজনীয় ধাপগুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলো:
→ সরকারি তত্ত্বাবধানে হজ যাত্রায় প্রাক-নিবন্ধনের জন্য নিম্নলিখিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে আবেদন করা যাবে।
১। ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্র (ইউডিসি)
২। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়
৩। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কার্যালয়
৪। পরিচালক, হজ অফিস, আশকোনা, ঢাকা
আরও পড়ুন: স্মার্ট আইডি কার্ড: জাতীয় পরিচয়পত্রে ভুল থাকলে যেভাবে সংশোধন করবেন
বেসরকারি ভাবে প্রাক-নিবন্ধনের জন্য যেতে হবে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত বৈধ হজ এজেন্সিগুলোতে।
→ আবেদন করার জন্য প্রথমে জিমেইল আইডি দিয়ে লগ-ইন করতে হবে।
→ লগ-ইন করার পর প্রার্থীর তথ্য প্রদানের পালা। একাধিক আবেদনের ক্ষেত্রে ‘নতুন আবেদন’ বাটনে ক্লিক করতে হবে । তথ্যগুলো অবশ্যই জাতীয় পরিচয় পত্রের অনুরূপ হতে হবে। অনূর্ধ্ব ১৮ বছর বয়সের ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন সনদের তথ্যানুসারে ফরম পূরণ করতে হবে।
→ এবার ‘পেমেন্ট আবেদন’ বাটনে ক্লিক করে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত ব্যাংক-এর তথ্য প্রদান করতে হবে।
→ অতঃপর ‘ভাউচারের জন্য আবেদন করুন’ অপশনে যেতে হবে।
→ ভাউচার তৈরি হয়ে গেলে প্রার্থীর জিমেইলে একটি মেইল যাবে এবং প্রদানকৃত মোবাইল নাম্বারে একটি এসএমএস যাবে। ভাউচার ডাউনলোড করার জন্য জিমেইল থেকে অথবা প্রাক-নিবন্ধন সিস্টেমে লগ-ইন করে পেমেন্ট আবেদন লিস্ট থেকে ‘পেমেন্ট ভাউচার ডাউনলোড করুন’ বাটনে ক্লিক করতে হবে।
→ অবশেষে ভাউচারটি প্রিন্ট করে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে প্রাক-নিবন্ধন ফি জমা দিতে হবে। টাকা জমা হওয়ার পর ব্যাংক থেকে সিরিয়াল নাম্বার সহ প্রাক-নিবন্ধন সনদ প্রদান করা হবে। সেই সাথে মোবাইল নাম্বারে একটি পেমেন্ট নিশ্চিতকরণ ম্যাসেজ যাবে। এমনকি জাতীয় হজ নীতিমালা অনুযায়ী প্রার্থীর প্রাক-নিবন্ধন নম্বর চলতি বছর হজ গমনের জন্য নির্বাচিত হলে তা জানিয়ে প্রার্থীর মোবাইল এবং জিমেইলে ম্যাসেজ দেয়া হবে।
→ হজ গমনের জন্য নির্বাচিত হলে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হজ প্যাকেজের অবশিষ্ট টাকা পরিশোধ করতে হবে।
→ তারপর হজ অফিস বা সংশ্লিষ্ট হজ এজেন্সি পরিশোধ নিশ্চিত করলে হজ্জযাত্রীর জন্য একটি অপরিবর্তনযোগ্য পিলগ্রিম আইডি (পিআইডি) তৈরি হবে, যা হজযাত্রীর মোবাইল নম্বরে এসএমএসের মাধ্যমে জানানো হবে। এই পিআইডি প্রাপ্তির মাধ্যমেই হজ নিবন্ধন চূড়ান্তভাবে সম্পন্ন হয়। প্রাক-নিবন্ধনে প্রাপ্ত তথ্যাবলি পুলিশের বিশেষ শাখার মাধ্যমে যাচাই করা হয়ে থাকে।
এছাড়া প্রাক-নিবন্ধন সম্বন্ধে আরও তথ্য জানার জন্য যোগাযোগের ঠিকানা: হজ তথ্য সেবা কেন্দ্রে, ফোন নাম্বার- +৮৮০৯৬০২৬৬৬৭০৭, স্কাইপে- hajjcallcenter, ই-মেইল- [email protected]।
আরও পড়ুন: হিমাচল, জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ ভ্রমণ: দর্শনীয় স্থান ও খরচ
হজযাত্রীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেয়া হবে: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
প্রযুক্তি নির্ভর হজ ব্যবস্থাপনায় অংশগ্রহণের জন্য হজযাত্রী ও সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।
মঙ্গলবার সকালে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পবিত্র হজ ২০২২ সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালনার অংশ হিসেবে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও হজ কার্যক্রমে সম্পৃক্ত সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতিতে বিভিন্ন অ্যাপস ব্যবহার করে হজযাত্রীদের হজ পালন করতে হতে পারে। বর্তমানে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় অ্যাপস ব্যবহারের মাধ্যমে পবিত্র ওমরাহ কার্যক্রম পরিচালনা করছে।'
আরও পড়ুন: হজ্জ ব্যবস্থাপনায় নতুন আইন করতে সংসদে বিল উত্থাপন
তিনি বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নতিতে আগামী ২০২২ সালে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে বলে সৌদি আরব সরকারের পক্ষ হতে দৃঢ় প্রত্যাশা ব্যক্ত করা হয়েছে। হজ ব্যবস্থাপনায় সম্ভাব্য নতুন প্রযুক্তি প্রয়োগের প্রেক্ষিতে হজ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/কর্মচারী, হজ গাইড, হজ এজেন্সির প্রতিনিধি ও হজযাত্রীদের আগে থেকেই সচেতন করা হবে এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি অবকাঠামো এবং দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনবল প্রস্তুত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে বলে জানান ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। এছাড়া আগামী হজের সার্বিক দিক নির্দেশনার জন্য পরবর্তী বাংলাদেশ-সৌদি হজ চুক্তি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বলেও জানান তিনি।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. আবদুল আওয়াল হাওলাদারের সভাতিত্বে অতিরিক্ত সচিব (হজ) মো. মতিউল ইসলাম,ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মো. মুশফিকুর রহমান, হজ অফিস ঢাকার পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম, হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম, বিজনেস অটোমেশন লিমিটেডের পরিচালক মো. বজলুল হক বিশ্বাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: এবছরও বিদেশিদের হজে যেতে নিষেধাজ্ঞা
সৌদি হজ্জ বিষয়ক মন্ত্রীর সাথে রাষ্ট্রদূত জাবেদ পাটোয়ারীর বৈঠক
এবছরও বিদেশিদের হজে যেতে নিষেধাজ্ঞা
কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে টানা দ্বিতীয় বছরের মতো নাগরিক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে হজ সীমিত রাখার ঘোষণা দিয়েছে সৌদি সরকার।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় শনিবার এক বিবৃতিতে জানায়, জুলাইয়ের শেষের দিকে হতে যাওয়া এ বছরের হজে সর্বোচ্চ ৬০ হাজার সৌদি নাগরিক ও দেশটিতে বসবাসরতরা হজ পালনের সুযোগ পাবেন।
আজ শনিবার সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেনের সাথে টেলিফোনে আলাপচারিতায়ও এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: হজ্জ ব্যবস্থাপনায় নতুন আইন করতে সংসদে বিল উত্থাপন
সৌদি মন্ত্রণালয় জানায়, ‘করোনাভাইরাসে মধ্যে হজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে৷ কোভিডে আক্রান্তের সংখ্যা এখনও মারাত্মক৷ সেই সাথে ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্টের কারণে নতুন ঝুঁকি তৈরি হয়েছে৷ যে কারণে এবছরও হজ সীমাবদ্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে৷’
এছাড়া হজ পালনে ইচ্ছুকদের ১৮ থেকে ৬৫ বছর বয়সী এবং করোনার টিকাপ্রাপ্ত হতে হবে বলে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: সৌদি হজ্জ বিষয়ক মন্ত্রীর সাথে রাষ্ট্রদূত জাবেদ পাটোয়ারীর বৈঠক
গত বছরও দেশটিতে বসবাসকারী ১ হাজার লোককে নির্দিষ্ট শর্ত পূরণের পর হজ পালনের জন্য মনোনীত করা হয়েছিল।
হজ পালনে মিনায় ১০০০ হাজি
করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেই এ বছরের হজে অংশ নিতে প্রায় ১ হাজার হাজি বুধবার মক্কার মিনায় পৌঁছেছেন।
বাংলাসহ ১০ ভাষায় হজের খুতবা: মক্কার ও মসজিদ নববীর ইমাম
চলতি বছরে হজের খুতবা বাংলাসহ বিশ্বের ১০টি ভাষায় শোনানো হবে বলে জানিয়েছেন মক্কার ও মসজিদ নববীর ইমাম ড. আব্দুর রহমান সুদাইস।
হজ: নিবন্ধনের টাকা ফেরতে ১২ জুলাইয়ের পর আবেদন
করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে এ বছর হজে যাওয়ার সুযোগ না থাকায় নিবন্ধনকারীরা চাইলে টাকা ফেরতের জন্য ১২ জুলাইয়ের পর আবেদন করতে পারবেন।
হজের জন্য নিবন্ধনকারীরা টাকা ফেরত পাবেন: ধর্ম মন্ত্রণালয়
করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশ থেকে সৌদিআরবে হজে যাওয়া না গেলেও হজে যাওয়ার জন্য যারা নিবন্ধন করেছেন, তারা টাকা ফেরত পাবেন বলে জানিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
অন্য দেশের কেউ এবার হজ পালন করতে সৌদি যেতে পারবে না
সৌদি সরকার মঙ্গলবার ঘোষণা করেছে যে, চলতি বছরে (১৪৪১ হিজরি মোতাবেক ২০২০) হজ অনুষ্ঠিত হবে।