আপিল বিভাগ
হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত: নিপুণ-জায়েদের বিষয়ে শুনানি ১৩ ফেব্রুয়ারি
চিত্রনায়ক জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে নিপুণ আক্তারকে সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী ঘোষণা করে নির্বাচনী আপিল ট্রাইবুনালের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।
নিপুণের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে বুধবার আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান হাইকোর্টের আদেশ ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করে ওই দিন বিষয়টি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করেছেন। এই সময় পর্যন্ত এই পদের (স্ট্যাটাসকো) কেউই দায়িত্ব পালন করতে পারবে না।
আদালতে নিপুণের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান। জায়েদ খানের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ন, আহসানুল করিম ও নাহিদ সুলতানা যুথি।
আরও পড়ুন: পদ হারালেন জায়েদ খান, সাধারণ সম্পাদক নিপুণ
এর আগে চিত্রনায়ক জায়েদ খানের করা রিটের শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ নির্বাচনী আপিল বোর্ড কর্তৃক জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন।
এছাড়া নিপুণের অভিযোগের বিষয়ে নির্বাচনী আপিল বোর্ডকে সিদ্ধান্ত নিতে সমাজসেবা অধিদপ্তর যে চিঠি দেয় তার কার্যকারিতা স্থগিত করেন হাইকোর্ট। এই আদেশের পর জায়েদ খানের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, ‘শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খান কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবেন এবং তার কাজে কেউ বাধা সৃষ্টি করতে পারবে না।’
আরও পড়ুন: জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত হাইকোর্টে স্থগিত
সার্চ কমিটি একটি অর্থহীন চর্চা: বিএনপি
নির্বাচনকালীন সময়ে নিরপেক্ষ সরকার না রেখে আগামী নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের জন্য ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন হবে 'অর্থহীন চর্চা’- এমনটাই মন্তব্য করেছে বিএনপি।
শনিবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই সার্চ কমিটির কোনো মূল্য নেই। এটা একটি অর্থহীন চর্চা মাত্র।
ইউএনবির সঙ্গে ফোনালাপকালে বিএনপির এই নেতা বলেন, সার্চ কমিটি নিয়ে তাদের দলের কোনো আগ্রহ নেই।
আরও পড়ুন: বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন
ফখরুল বলেন, ‘এ বিষয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। আমরা মনে করি, জনগণকে আবারও প্রতারিত করতে সরকার অপকৌশলের অংশ হিসেবে এই কমিটি গঠন করেছে।’
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে সার্চ কমিটি কিংবা নির্বাচন কমিশন কোনোটি নিয়েই জনগণ আগ্রহী নয়।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন নয় নির্বাচনকালীন সরকার জনগণের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। এটি বারবার প্রমাণিত হয়েছে যে বর্তমান সরকারের অধীনে একটি নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়। জনগণ মনে করে আগে একটি নির্বাচনকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। অতএব নির্বাচন কমিশন এখন কোনো ইস্যু নয়।’
ফখরুল বলেন, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠিত হলে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সেই প্রশাসনের মাধ্যমে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: সার্চ কমিটির মাধ্যমেই গঠিত হবে ইসি: আইনমন্ত্রী
এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্য নির্বাচন কমিশনারদের নাম সুপারিশ করে আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি সার্চ কমিটি গঠন করা হয়।
এদিকে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, সার্চ কমিটি তাদের দলের কথা বলার বিষয় নয়। তারা এ বিষয়ে আগ্রহী নয়।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি আরও বলেন, তাদের দলের মূল ফোকাস হচ্ছে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার।
এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এই নেতা বলেন, তিনি মনে করেন সার্চ কমিটি নিরপেক্ষ নয়।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দলের অবস্থান খুবই পরিষ্কার। আমরা মনে করি, এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠ হতে পারে না। ভোটের সময় বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকলে আমরা নির্বাচনে যাব না। ’
বিচারপতি নাজমুল আহাসানের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার এক শোক বার্তায়, প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান শুক্রবার সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিচারপতি নাজমুল আহাসান আর নেই
সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র মুহাম্মদ সাইফুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সম্প্রতি করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান। চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
বেলা ১১টার দিকে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
রাষ্ট্রপতি গত ৮ জানুয়ারি বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসানকে আপিল বিভাগে নিয়োগ দেন। ৯ জানুয়ারি তার সঙ্গে নিয়োগ পাওয়া অপর তিন বিচারপতি শপথ নিলেও করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন থাকার কারণে তিনি শপথ নিতে পারেননি।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীও তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: ‘মাসুদ রানা’র লেখক-প্রকাশক কাজী আনোয়ার হোসেন আর নেই
বিচারপতি নাজমুল আহাসান আর নেই
আপিল বিভাগে নিয়োগ পাওয়া হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান মারা গেছেন। শুক্রবার সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র মুহাম্মদ সাইফুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সম্প্রতি করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান। চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। বেলা ১১টার দিকে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: ‘মাসুদ রানা’র লেখক-প্রকাশক কাজী আনোয়ার হোসেন আর নেই
বিচারপতি নাজমুল আহাসানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
এর আগে রাষ্ট্রপতি গত ৮ জানুয়ারি হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসানকে আপিল বিভাগে নিয়োগ দেন। ৯ জানুয়ারি তার সঙ্গে নিয়োগ পাওয়া অপর তিন বিচারপতি শপথ নিলেও করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন থাকার কারণে তিনি শপথ নিতে পারেননি।
আরও পড়ুন: বাঙালি কার্টুনিস্ট নারায়ণ দেবনাথ আর নেই
বুধবার থেকে ভার্চুয়ালি চলবে সুপ্রিম কোর্ট
দেশে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে আগামীকাল বুধবার থেকে ফের সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে শুরু হচ্ছে।
মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নির্দেশক্রমে এ বিষয়ে পৃথক বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের জন্য জারিকৃত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উপর্যুক্ত বিষয়ে নির্দেশিত হয়ে জানানো যাচ্ছে যে, করোনা সংক্রমণজনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আগামী বুধবার থেকে ‘আদালত কর্তৃক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার আইন, ২০২০’ এবং এতদসংক্রান্তে জারিকৃত প্র্যাকটিস ডাইরেকশন অনুসরণ করত: তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে শুধু ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে আপিল বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
হাইকোর্ট বিভাগের জন্য জারিকৃত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উপর্যুক্ত বিষয়ে নির্দেশিত হয়ে জানানো যাচ্ছে যে, করোনা সংক্রমণজনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আগামী বুধবার থেকে ‘আদালত কর্তৃক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার আইন, ২০২০’ এবং এতদসংক্রান্তে জারিকৃত প্র্যাকটিস ডাইরেকশন অনুসরণ করত: তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে হাইকোর্ট বিভাগের সব বেঞ্চে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে আপিল বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হলে প্রধান বিচারপতি বলেন,‘চারদিকে করোনার সংক্রমণের যে অবস্থা, তাতে মনে হচ্ছে আবারও হয়ত ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনায় যেতে হবে। ভার্চুয়ালি মামলা যে কম নিষ্পত্তি হয় তা কিন্তু নয়, ভার্চুয়ালি বেশিই নিষ্পত্তি হয়।’
এসময় আদালতে উপস্থিত রাষ্ট্রপক্ষের আইন কর্মকর্তা ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ বলেন,‘আমাদের অ্যাটর্নি জেনারেল মহোদয় এবং একজন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলসহ কয়েকজন আইন কর্মকর্তা আক্রান্ত হয়েছেন।’
আরও পড়ুন: বিএসএমএমইউ চিকিৎসকের মানহানিকর ভিডিও সরানোর নির্দেশ হাইকোর্টের
তখন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন,‘আমাদের হাইকোর্টের ১৩ জন বিচারপতি, স্টাফ এবং নিম্ন আদালতের বেশ কিছু বিচারকও আক্রান্ত হয়েছেন।’
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হলে আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তবে বিচার বিভাগকে সচল রাখার প্রয়োজনীয়তায় একপর্যায়ে ২০২০ সালের ৭ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘আদালত কর্তৃক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ- ২০২০’ এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়।
এরপরে ৯ মে ভার্চুয়াল উপস্থিতিকে স্বশরীরে উপস্থিতি হিসেবে গণ্য করে অধ্যাদেশটি জারি করেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ। এরপর একই বছরের ১০ মে ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনা সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে ১১ মে থেকে সীমিত পরিসরে বিচারিক কার্যক্রম শুরুর মাধ্যমে দেশে ভার্চুয়াল আদালত চালু হয়েছিল। করোনা সংক্রমণ কমে আসায় গত বছরের ১ ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের উভয় (আপীল ও হাইকোর্ট) বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম ফের শারীরিক উপস্থিতিতে চালু করে কোর্ট প্রশাসন।
তবে ধীরে ধীরে করোনা সংক্রমণ আবারও বাড়ছে। দেশে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির ধারাবাহিকতায় দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা সাড়ে ছয় হাজার ছাড়িয়ে গেছে। শনাক্তের হার বেড়ে হয়েছে ২০ শতাংশের ওপরে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় (রবিবার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) দেশে করোনা সংক্রমিত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ছয় হাজার ৬৭৬ জন। এরই মধ্যে গত ১৬ জানুয়ারি থেকে ফের আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত ভার্চুয়ালি শুরু হয়েছে। এরপর বুধবার থেকে সুপ্রিমকোর্টের উভয় বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম ভার্চুয়ালি শুরু হচ্ছে।
আরও পড়ুন: যৌন হয়রানি প্রতিরোধে সরকারের পদক্ষেপ জানতে চান হাইকোর্ট
অর্থপাচার মামলায় হাইকোর্টে জামিন পেলেন বগুড়ার তুফান
শপথ নিলেন আপিল বিভাগের তিন বিচারপতি
নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত আপিল বিভাগের চার বিচারপতির মধ্যে তিন বিচারপতি শপথ নিয়েছেন। রবিবার (৯ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী তাদের শপথবাক্য পাঠ করান। সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর।
শপথ নেয়া তিন বিচারপতি হলেন-বিচারপতি বোরহান উদ্দিন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ। এর আগে আজ সকালে হাইকোর্ট বিভাগের চার বিচারপতিকে আপিল বিভাগে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব (দায়িত্বপ্রাপ্ত) মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগে কর্মরত চারজন বিচারককে তাদের শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগের বিচারক নিয়োগ করেছেন। চার বিচারপতি হলেন- বিচারপতি বোরহান উদ্দিন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ।
আরও পড়ুন: আপিল বিভাগে ৪ বিচারপতি নিয়োগ
শপথ গ্রহণের পর আপিল বিভাগের এক নম্বর আদালত কক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে এই তিন বিচারপতিকে সংবর্ধনা দেয়া হয়।
আদালত কক্ষে বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসানের অনুপস্থিতির বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, ‘বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান করোনায় আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আমি তার সাথে কথা বলেছি। তিনি সুস্থ হয়ে পরে শপথ নেবেন বলে জানিয়েছেন।’
আরও পড়ুন: দুর্নীতির বিষয়ে ‘নো কম্প্রোমাইজ’: প্রধান বিচারপতি
আপিল বিভাগে ৪ বিচারপতি নিয়োগ
হাইকোর্টের চার জন বিচারপতিকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
রবিবার (৯ জানিয়ারি) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব (দায়িত্বপ্রাপ্ত) মো. গোলাম সারওয়ার কর্তৃক স্বাক্ষরিত জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানা গেছে।
আপিল বিভাগে নিয়োগ পাওয়া বিচারপতিরা হলেন-বিচারপতি বোরহান উদ্দিন, বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি এফ.আর. এম নাজমুল আহাসান, বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ।
আরও পড়ুন: দুর্নীতির বিষয়ে ‘নো কম্প্রোমাইজ’: প্রধান বিচারপতি
শপথ নিলেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেডে উন্নীতের রায় বহাল
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের (প্রশিক্ষিত ও অপ্রশিক্ষিত) দশম গ্রেডে উন্নীত করতে নির্দেশ দিয়ে হাইকোর্টের দেয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) খারিজ করে বৃহস্পতিবার প্র্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
প্রধান শিক্ষকের পদটি দ্বিতীয় শ্রেণীর। বর্তমানে তাদের মধ্যে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা ১১তম গ্রেডে ও অপ্রশিক্ষিতরা ১২তম গ্রেডে বেতন পেয়ে থাকেন। তবে এর মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি রিয়াজ পারভেজসহ ৪৫ জন শিক্ষকের করা এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে ২০১৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রায় দেন।
আরও পড়ুন: সিইসির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি
হাইকোর্টের রায়ে ৪৫ জন রিট আবেদনকারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে (প্রশিক্ষিত ও অপ্রশিক্ষিত) দশম গ্রেডে উন্নীত করতে এবং দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা হিসেবে অফিসিয়াল গেজেটে অন্তর্ভুক্ত করতে নির্দেশ দেয়া হয়। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ লিভ টু আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। এর শুনানি নিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন খারিজ করে দেয়া হয়।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস। রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন।
আদেশের বিষয়টি জানিয়ে আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন বলেন, বর্তমানে প্রধান শিক্ষক পদটি দ্বিতীয় শ্রেণির হলেও তারা বেতন পান ১১ ও ১২তম গ্রেডে। অথচ দ্বিতীয় শ্রেণির অন্য সব সরকারি চাকরিজীবী দশম গ্রেডে বেতন পান। ফলে সরকারি প্রধান শিক্ষকদের মর্যাদা দিলেও তাদের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল। এ নিয়ে ৪৫ জন শিক্ষক রিটটি করেছিলেন। হাইকোর্ট তাদের দশম গ্রেডে উন্নীত করতে ও দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা হিসেবে গেজেটভুক্ত করতে নির্দেশ দিয়ে রায় দিয়েছিলেন। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করে, যা খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। ফলে হাইকোর্টের দেয়া রায় বহাল রইল।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করার ঘোষণা দেন। সেদিনই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করলেও পরে মন্ত্রণালয় প্রশিক্ষিত প্রধান শিক্ষকদের জন্য ১১ ও অপ্রশিক্ষিত প্রধান শিক্ষকদের জন্য ১২তম গ্রেড নির্ধারণ করে, যা বৈষম্যমূলক দাবি করে ওই রিটটি করা হয়।
আরও পড়ুন: উচ্চ আদালতে বিচারপতির নিয়োগ সংক্রান্ত আইন অপরিহার্য: প্রধান বিচারপতি
শপথ নিলেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী
দেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ্য বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। শুক্রবার বিকাল ৪টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তাকে শপথবাক্য পাঠ করান।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন জানান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, রাষ্ট্রপতির স্ত্রী বেগম রাশিদা খানম, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ, সাবেক প্রধান বিচারপতিগণ, আপিল ও হাইকোর্ট উভয় বিভাগের বিচারপতিগণ, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, অ্যাটর্নি জেনারেল এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
দুই শিশুকে আগামী ২ দিন জাপানি মায়ের জিম্মায় দিতে নির্দেশ
জাপান থেকে আসা দুই শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনাকে আগামী ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর তাদের জাপানি মায়ের জিম্মায় রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে ১৫ ডিসেম্বর দুই শিশুকে আদালতে নিয়ে আসতে বলা হয়েছে। ওই দিন পরবর্তী আদেশ দিবেন আদালত।
রবিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।
আদালতে জাপানি নারী এরিকো নাকানোর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম, এবং তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির ও ব্যারিস্টার আব্দুল কাইয়ুম। অন্যদিকে বাংলাদেশি বাবা ইমরান শরীফের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ফাওজিয়া করিম, তাকে সহযোগিতা করেন ব্যারিস্টার কাজী মারুফুল আলম।
এর আগে গত ২১ নভেম্বর জাপানি দুই শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনা বাংলাদেশে তাদের বাবা ইমরান শরীফের কাছে থাকবে বলে রায় দেন হাইকোর্ট। তবে জাপান থেকে এসে শিশুদের মা বছরে তিনবার ১০ দিন করে দুই সন্তানের সঙ্গে একান্তে সময় কাটাতে পারবেন। জাপানি মায়ের আসা-যাওয়া ও থাকা-খাওয়ার সব খরচ বাবা ইমরান শরীফকে বহন করতে হবে। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: তিতাস নদী দখলদারদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট
রায়ে আদালত বলেন, রিটটি চলমান থাকবে। দুই মেয়ে বাবা ইমরান শরীফের হেফাজতে থাকবে। মা দেখা-সাক্ষাৎ এবং একান্তে সময় কাটানোর সুযোগ পাবেন। যেহেতু মা জাপানি নাগরিক, সেখানে থাকেন এবং কাজ করেন, তাই তিনি নিজের সুবিধামতো সময়ে বাংলাদেশে এসে সন্তানদের সঙ্গে প্রতিবার কমপক্ষে ১০ দিন করে সময় কাটাতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে বছরে তিনবার বাংলাদেশে যাওয়া-আসাসহ ১০ দিন অবস্থানের যাবতীয় খরচ বাবা ইমরান শরীফকে বহন করতে হবে। এর বাইরে আসা-যাওয়ার খরচ মা বহন করবেন। ছুটির দিনে অন্তত দুইবার বাবা সন্তানদের মায়ের সঙ্গে কথা বলিয়ে দেবেন।
এছাড়া আদালত নির্দেশনা দেন, গত কয়েকমাস বাংলাদেশে অবস্থান ও যাতায়াত খরচ বাবদ শিশুদের মা নাকানো এরিকোকে ১০ লাখ টাকা দেবেন বাবা ইমরান শরীফ। আগামী সাত দিনের মধ্যে তাকে এ অর্থ দিতে হবে। রিটটির চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আদেশ প্রতিপালিত না হলে বা অন্য কোনো আদেশের জন্য আদালতে উভয়পক্ষ আসতে পারবে। সংশ্লিষ্ট সমাজসেবা কর্মকর্তা শিশুদের দেখভাল অব্যাহত রাখবেন। প্রতি তিন মাস অন্তর শিশুদের বিষয়ে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারের কাছে প্রতিবেদন দিতে হবে।
এদিকে, জাপানে থাকা ছোট মেয়ে হেনাকে হাইকোর্টে হাজির করানোর নির্দেশনা চেয়ে বাবা ইমরান শরীফের করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: মুরাদের আপত্তিকর অডিও সরাতে হাইকোর্টের নির্দেশ
পরে গত ৫ ডিসেম্বর দুই শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনাকে নিজের জিম্মায় নিতে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন জাপানি মা নাকানো এরিকো। রবিবার ওই আবেদনের ওপর শুনানি হয়।
উল্লেখ্য, চিকিৎসক এরিকো ও প্রকৌশলী ইমরান শরীফ (৫৮) ২০০৮ সালের ১১ জুলাই টোকিওতে বিয়ে করেন। এক যুগের দাম্পত্য জীবনে তারা তিন কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। এ দম্পতির ১১, ১০ ও ৭ বছর বয়সী তিন মেয়ে টোকিওর একটি স্কুলে পড়ত। তবে বিভিন্ন কারণে দাম্পত্য বিবাদের জেরে চলতি বছরের গত ১৮ জানুয়ারি বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করেন শিশুদের মা এরিকো। সন্তানদের জিম্মায় চেয়ে টোকিওর পারিবারিক আদালতে গত ২৮ জানুয়ারি মামলা করেন এরিকো। এর মধ্যেই গত ২১ ফেব্রুয়ারি দুই মেয়েকে নিয়ে দুবাই হয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন ইমরান শরীফ। এরপর জাপানের আদালত এরিকোর জিম্মায় সন্তানদের ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ দেন। এরপর গত ১৮ জুলাই শ্রীলঙ্কা হয়ে বাংলাদেশে আসেন নাকানো এরিকো।
পরে দুই মেয়েকে নিজের জিম্মায় পেতে ঢাকায় এসে গত ১৯ আগস্ট জাপানি নারী রিট করেন।
আরও পড়ুন: কেরোসিন-ডিজেলের মূল্য নির্ধারণের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না: হাইকোর্ট