আওয়ামী লীগ
বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে জাতিকে পঙ্গু করা যায়নি: হাছান মাহমুদ
বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে জাতিকে পঙ্গু করা যায়নি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা যখন আসন্ন, পাকিস্তানি হানাদারবাহিনী তখন উপলব্ধি করতে পেরেছিল বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করতে যাচ্ছে। তাই জাতিকে পঙ্গু করার উদ্দেশ্যেই ১৪ ডিসেম্বর জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করা হয়েছিল। তবে তাদের হত্যা করেও বাঙালি জাতিকে পঙ্গু করা যায়নি।’
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের সকালে রায়েরবাজার বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় হাছান মাহমুদ বলেন, ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে যাদেরকে হত্যা করা হয়েছিল, বাঙালি জাতির স্বাধীনতার লক্ষ্যে মনন তৈরি করতে বঙ্গবন্ধুর সহযোগী হিসেবে তারা তাদের লেখনী, বক্তব্যের মাধ্যমে ও নানাভাবে কাজ করেছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘গত ৫২ বছরের বেশি সময়ের এই পথ চলায় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বহুদূর এগিয়ে গেছে।’
আরও পড়ুন: বিএনপি আন্ডারগ্রাউন্ড সংগঠনে রূপান্তরিত হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে যদি বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বে অপরাজনীতি, সাম্প্রদায়িকতা আশ্রয়ী রাজনীতি, জ্বালাও-পোড়াও ও ধংসাত্মক রাজনীতি না থাকত আমরা বঙ্গবন্ধুর সব স্বপ্ন এতদিনে বাস্তবায়ন করতে পারতাম।’
তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে যারা স্বাধীনতা চায়নি, স্বাধীনতাকামী মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে যারা পাকিস্তানিদের হয়ে যুদ্ধ করেছে; সেই জামায়াতে ইসলামীকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি অপরাজনীতি করছে। এই অপরাজনীতি যদি দেশে না থাকত, দেশ আজ বহুদূর এগিয়ে যেতে পারত।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আজ বাংলাদেশ পৃথিবীর কাছে একটি গর্বিত জাতি এবং সারাবিশ্ব এই দেশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। অথচ দুঃখের বিষয় এখনও বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি হয়।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনাই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছেন। আমরা যখন বিচারের ঘোষণা দিলাম তখন অনেকেই ভেবেছে এই বিচার হবে না। বিচার কার্যক্রম শুরুর পরও অনেকেই ভেবেছে কার্যক্রম শুরু হলেও শেষ হবে না। আবার রায় হওয়ার পরেও অনেকে ভেবেছিল রায় হলেও বাস্তবায়ন হবে না। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে পৃথিবীর অনেক বড় রাষ্ট্রের রক্তচক্ষু এবং অনেক চাপকে উপেক্ষা করে শেখ হাসিনা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছেন এবং বিচারের রায় বাস্তবায়ন করেছেন। শেখ হাসিনা দেশ পরিচালনার দায়িত্বে থাকলে সব মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার হবে এবং বিচারের রায়ও কার্যকর হবে।’
আরও পড়ুন: মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীরাই মানবাধিকারের কথা বলে, প্রেসক্রিপশন দেয়: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি বিশৃঙ্খলা করলে দাঁতভাঙা জবাব দেবে মানুষ: তথ্যমন্ত্রী
অর্থনৈতিকভাবে আমরা অসামান্য সাফল্য অর্জন করেছি: শিক্ষামন্ত্রী
বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে অসামান্য সাফল্য অর্জন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেছেন, আগামীতে আমাদের অনেক স্বপ্ন ও সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু এখন যে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা চলছে অর্থাৎ সারা বিশ্ব এখন যে অর্থনৈতিক চাপের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, সেটি আমাদের মধ্যেও পড়েছে।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) বিকালে চাঁদপুর আউটার স্টেডিয়ামে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, সারা বিশ্বের অর্থনৈতিক এ চাপের মধ্যে অন্যান্য দেশ, এমনকি অনেক ধনী দেশের তুলনায় আমরা অনেক স্বস্তিতে আছি। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি তিনি আমাদের সঠিক নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং শেখ হাসিনাকে আমাদের নেতা হিসেবে পেয়েছি বলে আমরা আজকে স্বস্তিতে আছি। আশা করি আগামী দিনেও শেখ হাসিনাকে সুযোগ দেবেন জনগণ।
আরও পড়ুন: নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে ভয়ঙ্কর মিথ্যাচার করা হচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী
দীপু মনি বলেন, বৈশ্বিক এই চাপ এবং অর্থনৈতিক মন্দা কেটে গেলে আমরা আমাদের সব সম্ভাবনাকে বিকশিত করে আমাদের যে লক্ষ্য আছে সেগুলো অর্জন করতে সক্ষম হব।
মন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য তরুণদের উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে সরকার কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে ঘোষণা দিয়েছিলেন ২০২১ সালে বাংলাদেশ হবে মধ্যম আয়ের দেশ।
তিনি আরও বলেন, এখন তিনি ঘোষণা দিয়েছেন ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। আর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কারিগর আজকের তরুণ প্রজন্ম।
তিনি বলেন, আজকে যারা প্রাথমিকে ও মাধ্যমিকে পড়াশোনা করছে সেই শিক্ষার্থীদের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কারিগর হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: সময়মতো বই দিতে পারব বলে আমরা আশাবাদী: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষায় বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে: শিক্ষামন্ত্রী
জাতীয় নির্বাচন: মোমেন, ইমরানের সম্পদ বেড়েছে, কমেছে নাহিদের
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে সিলেটের ছয়টি আসনে হলফনামা জমা দিয়েছেন প্রার্থীরা।
তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান দুই মন্ত্রী ও সাবেক এক মন্ত্রীও হলফনামায় সম্পদের বিবরণ দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনে (ইসি)।
হলফনামা ঘেঁটে দেখা গেছে, একাদশ জাতীয় সংসদের তুলনায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রভাবশালী এ তিন প্রার্থীর সম্পদ বিবরণীতে এসেছে বড় পরিবর্তন।
বর্তমান দুই মন্ত্রীর সম্পদ বাড়লেও কমেছে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের।
সিলেট-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের বাৎসরিক আয় কমেছে ৯ লাখ ৭০ হাজার ১৯৫ টাকা।
তবে অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ৩ কোটি ৯৩ লাখ ৫৪ হাজার ৫০৬ টাকার। তার স্থাবর সম্পদও বেড়েছে ৫৭ লাখ ৫১ হাজার ৭১০ টাকার। আর স্ত্রীর নামে আগে ১৩ লাখ টাকার অস্থাবর সম্পদ ছিল, এখনও ততটুকুই আছে।
স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী ড. এ কে আব্দুল মোমেন হলফনামায় পেশা হিসেবে দেখিয়েছেন রাজনীতি ও অন্যান্য। আয়ের উৎস বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট, দোকান বা অন্যান্য ভাড়া বাবদ ৩ লাখ ৯৮ হাজার ৪২৪ টাকা দেখিয়েছেন। পেশা থেকে বছরে আয় ১২ লাখ ৬০ হাজার টাকা, ব্যাংকের মুনাফা বাবদ ৯ লাখ ৬০ হাজার ৫৫২ টাকা আয়।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: ৪৭ জন ইউএনও বদলির অনুমোদন ইসির
অস্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে নগদ ৩৪ লাখ ২৩ হাজার ২৪১ টাকা, আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নিজ নামে জমা ৩ কোটি ৯৬ লাখ ১০ হাজার ৬৯৫ টাকা, শেয়ার ৮ লাখ টাকার, সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ ১০ লাখ টাকা, যানবাহন দেখিয়েছেন ২০ লাখ টাকার, স্বর্ণালংকার স্ত্রীর নামে ৫ লাখ টাকা, ইলেকট্রনিক সামগ্রী ৫ লাখ, স্ত্রীর নামে আসবাবপত্র ৩ লাখ টাকার এবং নিজ নামে অন্যান্য আয় ৫ লাখ ৭৭ হাজার ৯১ টাকা দেখিয়েছেন।
স্থাবর সম্পদের মধ্যে অকৃষি জমি অর্জনকালীন মূল্য দেখিয়েছেন ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, দালান-কোঠা অর্জনকালীন মূল্য ১৯ লাখ ৭৫ হাজার ৮৮৫ টাকা, বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্টের অর্জনকালীন দাম ৪ কোটি ১৯ লাখ ৩১ হাজার ৮২৫ টাকা।
ব্যাংকে দায়দেনা ও মামলা নেই তার। আর গত ৫ বছরে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির মধ্যে দেখিয়েছেন ঢাকা-সিলেট ৬ লেন রাস্তার কাজ চলমান, সিলেট-কুমারগাঁও ও বাধাঘাট-এয়ারপোর্ট ৪ লেন রাস্তার কাজ চলমান, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের কাজ প্রায় শেষের পথে।
সিলেট-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য সরকারের প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদের বাৎসরিক আয় বেড়েছে ১৪ লাখ ৮৮ হাজার ৮২৮ টাকা। সেই সঙ্গে অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে ৪ কোটি ৫২ লাখ ৮৫ হাজার ৮৭১ টাকার।
স্ত্রীর নামে অস্থাবর সম্পদ ৫ কোটি ৭৬ লাখ ৯৫ হাজার ৭৩ টাকা দেখিয়েছেন হলফনামায়। একাদশ সংসদ নির্বাচনকালীন হলফনামায় স্ত্রীর নামে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল ২ কোটি ৭৪ লাখ ৩৭ হাজার ৩৬৪ টাকা। সে হিসেবে মন্ত্রীর স্ত্রীর সম্পদ বেড়েছে ৩ কোটি ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৭০৯ টাকার।
ইমরান আহমদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএ অনার্স। পেশায় চা ব্যবসায়ী ও পরামর্শক। হলফনামায় বছরে আয় দেখিয়েছেন ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৩৮০ টাকা। শেয়ার-সঞ্চয়পত্রে আমানত ৩ লাখ ৩১ হাজার ২০০ টাকা, চাকরি থেকে আয় ৩২ লাখ ৮৪ হাজার ১৯৬ টাকা, ব্যাংক সুদ থেকে প্রাপ্ত ১ লাখ ৬১ হাজার ৪৭৫ টাকা।
অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নগদ আছে ৩১ লাখ ৫৫ হাজার ১৯ টাকা। আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমার পরিমাণ ১ কোটি ৫৭ লাখ ৫৭ হাজার ৪০৭ টাকা, স্ত্রীর নামে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ৩ কোটি ৫৭ লাখ ৮৩ হাজার ৯ টাকা, ২ লাখ ৬২ হাজার ও ৭ লাখ টাকা শেয়ারে বিনিয়োগ আছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিরপেক্ষ করতে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ইসির নির্দেশ
যানবাহন আছে ৪৭ লাখ ৭০ হাজার ৫৩৫ টাকা মূল্যের প্রাডো জিপ নিজ নামে, স্ত্রীর নামে আছে দুইটি গাড়ি ১৬ লাখ ২২ হাজার ও ২৬ লাখ ১৫ হাজার টাকা মূল্যের। স্বর্ণালংকার আছে স্ত্রীর নামে ৫০ হাজার টাকার। ইলেকট্রনিক সামগ্রী ও আসবাবপত্র নিজ নামে ৯০ হাজার টাকার এবং অন্যান্য ব্যবসায় বিনিয়োগ ১ কোটি ২৯ লাখ ২৫৮ টাকা।
স্থাবর সম্পদ রয়েছে কৃষি জমি ৪ দশমিক ৪৭ একর পৈত্রিক সূত্রে এবং স্ত্রীর নামে ৭৫ লাখ ১৮ হাজার ৫৬০ টাকা মূল্যের ১০৫ শতক, অকৃষিজ জমি নিজ নামে ৪ দশমিক ৫ একর, যার ক্রয়কালীন মূল্য ৫৫ হাজার টাকা, স্ত্রীর নামে ৫ কাটা জমি ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার। ২৫ শতক জায়গাতে স্ত্রীর নামে ৬ তলা বাড়ি ১ কোটি ১ লাখ ৫৬ হাজার ৫০৪ টাকা মূল্যের, রয়েছে চা ও রাবার বাগান এবং মৎস্য খামার। তবে ব্যাংকে দেনা ও মামলা নেই তার।
সিলেট-৬ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএ। পেশা দেখিয়েছেন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে সংসদ সদস্য, সভাপতি, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটি।
তিনি বছরে আয় দেখিয়েছেন ৫০ লাখ ৩০ হাজার ১১৩ টাকা, যা গত নির্বাচনে দেখিয়েছিলেন ৩২ লাখ ১০ হাজার ৪১০ টাকা। অস্থাবর সম্পদ দেখিয়েছেন ১ কোটি ৯ লাখ ৯৩ হাজার ১৩২ টাকার। একাদশ সংসদ নির্বাচনে অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল ২ কোটি ১৬ লাখ ৩৩ হাজার ৩৯ টাকা।
এবার স্থাবর সম্পদ দেখিয়েছেন ২২ লাখ ২৮ হাজার ৪৪০ টাকার। গত নির্বাচনে স্থাবর সম্পদ দেখান ৬৬ লাখ ৪৮ হাজার ৪৪০ টাকার।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহের ডিসিকে প্রত্যাহার, সুনামগঞ্জের ডিসিকে বদলির নির্দেশ ইসির
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার বড় ছেলে সাজেদুলের মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোকপ্রকাশ
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার বড় ছেলে সাজেদুল হোসেন চৌধুরীর (দীপু) মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) এক শোকবার্তায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
উল্লেখ্য, সাজেদুল হোসেন চৌধুরী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর।
আরও পড়ন: ড. সালিমুল হকের মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেনের মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
সীতাকুণ্ডে আ. লীগ নেতার বাড়ির সামনে ককটেল বিস্ফোরণ
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতির বাড়ির দরজার সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের গোলাবাড়িয়াস্থ বাকের ভূঁইয়ার বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
আব্দুল্লাহ আল বাকের ভূঁইয়া বলেন, সীতাকুণ্ড আসনে যিনি নৌকা প্রতীক পেয়েছেন তার সমর্থনে সীতাকুণ্ডে আনন্দ মিছিল হয়েছে। মিছিল শেষে বাড়ি যাওয়ার পথে তার কর্মী-সমর্থকরা শ্লোগান দিয়ে কোনো কারণ ছাড়াই আমার বাড়ির গেইটের সামনে ১০/১২টি ককটেল হামলা চালায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আবু সাঈদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সভাপতির বাড়ির সামনে কে বা কারা ককটেল ছুঁড়ে মারলে সেগুলো বিস্ফোরিত হয়। তবে কেউ হতাহত হয়নি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।’
আরও পড়ুন: বেনাপোল থেকে ২১টি ককটেল উদ্ধার
রাজধানীর মৌচাকে ইউএনবি কার্যালয়ের কাছে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ
নির্বাচনকে সামনে রেখে নাশকতা ও অপপ্রচার প্রতিহত করাই আ. লীগের মূল লক্ষ্য: কাদের
নির্বাচনকে সামনে রেখে নাশকতা ও অপপ্রচার প্রতিহত করাই আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, এই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার কোনো চেষ্টাই সফল হবে না।
বুধবার (২২ নভেম্বর) বিকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনার উপ-কমিটিসমূহের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসক কথা জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন এসে গেছে। ফুল কিছু ফুটতে শুরু করেছে। আরও অনেক ফুল ফুটবে। নির্বাচনের মনোনয়নপত্র সরকারিভাবে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা দেওয়া পর্যন্ত শতফুল ফুটবে। কাজেই এ নিয়ে চিন্তা করার কোন কারণ নেই।
আরও পড়ুন: বিএনপির মতো ‘সন্ত্রাসী দলের’ সঙ্গে কোনো সংলাপ হবে না: কাদের
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার চূড়ান্ত হয়েছে। বিদেশ নিয়ে এখন আর মাথা ঘামানোর প্রয়োজন নেই। তারা হামাস-ইসরায়েল, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ব্যস্ত। লেবানন এর মধ্যে জড়িয়ে গেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার শক্তি বাংলাদেশের জনগণ। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর এটি আরও পরিষ্কার হয়ে গেছে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পেয়েছে। আর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আরেকটি মুক্তিযুদ্ধের বিজয় নিশ্চিত হবে ইনশাআল্লাহ। আবারও সারা বাংলায় নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হবে।
নির্বাচন পরিচালনা উপ-কমিটিসমূহের সভায় সভাপতিত্ব করেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো চেয়ারম্যান কাজী জাফরুল্লাহ।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতৃত্বাধীন শক্তিকে প্রতিহত ও পরাজিত করতে হবে: কাদের
এখন সংলাপের আর সুযোগ নেই: কাদের
খুলনায় প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যাওয়ার জন্য নতুন ফেরি চালু
আওয়ামী লীগের খুলনা বিভাগীয় মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে আজ।
সমাবেশকে ঘিরে খুলনা জুড়ে উৎসবের আমেজ বইছে। মহাসমাবেশের জন্য নৌকার আদলে মঞ্চ তৈরিসহ ওপরে প্রতীকী পদ্মা সেতু তৈরি করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে রূপসা ঘাটে পাঁচটি ফেরি চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: একদিন পর কুড়িগ্রামের চিলমারী নৌবন্দরে ফেরি চলাচল শুরু
শুধু রূপসা ঘাটেই নয়, জেলখানা ঘাটে তিনটি ও নগরঘাটে দুটি ফেরি চলাচল করবে। সবমিলিয়ে খুলনার তিনটি ঘাটে ১০টি ফেরি চলাচল করবে আজ।
খুলনা সড়ক ও জনপদ বিভাগ সওজ (ফেরি বিভাগ)’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আজম শেখ জানান, প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় নির্বিঘ্নে দলীয় নেতা-কর্মী এবং সাধারণ মানুষের আসা-যাওয়ার জন্য আমরা নদীপথে আগের চারটি ফেরির সঙ্গে আরও ছয়টি নতুন ফেরি যুক্ত করেছি।
আরও পড়ুন: চিলমারী-রৌমারী রুটে ফেরি চলাচল শুরু
একতরফা নির্বাচনের লক্ষ্যেই বিরোধী দলের ওপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে আওয়ামী লীগ: রিজভী
অতীতের ন্যায় আরেকটি ভুয়া ও একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সরকার বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর দমন-পীড়ন চালিয়ে দেশে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে বলে অভেযোগ করেছে বিএনপি।
শনিবার (১১ নভেম্বর) ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই অভিযোগ করেন।
তিনি দাবি করেন, বিএনপির আন্দোলনকে কলঙ্কিত করতে সরকারি গাড়িতে আগুন দিচ্ছে ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডাররা।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার অতীতের মতো একতরফা প্রহসনের নির্বাচন করতে কৌশলহীন ও বিপজ্জনকভাবে মরিয়া হয়ে উঠেছে। শেখ হাসিনা এখন ৫৭ সেকেন্ডে নৌকার জন্য ৪৩টি সিল মেরে নির্বাচন করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন।’
মিথ্যা মামলায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারে সরকারের কঠোর সমালোচনা করে রিজভী বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা জনগণের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে।
তিনি আরও বলেন, 'সাধারণ মানুষ এখন যুদ্ধকালীন সময়ের মতো নীরব ভীতিকর পরিবেশে বসবাস করছে। ক্ষমতা হারানোর ভয়ে সরকার প্রধান হিংস্র খুনি হয়ে উঠেছেন... তার (প্রধানমন্ত্রীর) নির্দেশে দেশকে শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে চীনের রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যে জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন নেই: বিএনপি
প্রবীণ এই নেতা আরও বলেন, সরকারের অধীনস্থ পুলিশ কর্মকর্তারা এখন আওয়ামী লীগ লিমিটেড কোম্পানির কর্মচারী হয়েছেন।
তিনি বলেন, রাত হলেই পুলিশি অভিযানের কারণে দেশে আতঙ্ক নেমে আসে, কারণ গণতন্ত্রপন্থী শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিদিন অসংখ্য মামলা দায়ের করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, থানাগুলো এখন প্রতিটি বাড়িতে আতঙ্ক ছড়িয়ে গ্রেপ্তার ব্যাপক বাণিজ্যে লিপ্ত হচ্ছে। ‘শেখ হাসিনা জনগণের সকল সুখ-শান্তি বিনষ্ট করে দানবের শাসন কায়েম করেছেন।’
তিনি দাবি করেন, শনিবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় বিএনপির ৩১৫ জনের বেশি নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার ও বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ১২টি নতুন মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ এবং হরতাল ও অবরোধ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ১০ হাজার ৪০৫ জন বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের একতরফা নির্বাচনের উদ্যোগ জনগণই বানচাল করবে: রিজভী
তিনি আরও দাবি করেন, গত ২৮ অক্টোবর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের হাতে তাদের দলের ১১ জন নেতা-কর্মী ও একজন সাংবাদিক নিহত ও তিন হাজার ৯০৬ জন আহত হয়েছেন।
রিজভী বলেন, গত ২৮ জুলাই থেকে এ পর্যন্ত বিএনপির ১৩ হাজার ৩৮৬ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং ৪৮ হাজার ৪৪৩ জন বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ৬১৩টি মামলা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, রবিবার সকাল ৬টা থেকে শান্তিপূর্ণভাবে আরও ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কার্যকর করতে যাচ্ছে তাদের দল। কিন্তু আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বিরোধী দলের আন্দোলন নিয়ে প্রশ্ন তোলার জন্য যানবাহনে আগুন দিচ্ছে এবং তাণ্ডব চালাচ্ছে। আমাদের হাতে এর অসংখ্য প্রমাণ, ভিডিও এবং ছবি রয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির নেতৃত্বাধীন বিরোধী দলের তৃতীয় সপ্তাহের অবরোধ শুরু রবিবার
বিএনপি এখন গর্তে ঢুকে গেছে: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি এখন গর্তে ঢুকে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, 'বিএনপি এখন গর্তে ঢুকে গেছে। গর্তের ভেতর থেকেই তারা আন্দোলনের ডাক দেয়, অবরোধের ডাক দেয়। আর তাদের অবরোধ মানে জ্বালাও-পোড়াও; মানুষকে পুড়িয়ে মারা। এদের প্রতিহত করতে হবে।'
শনিবার (১১ নভেম্বর) কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ীতে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় দেওয়া বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
কক্সবাজার পর্যন্ত রেলপথ, রেলস্টেশন, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরসহ দেশব্যাপী উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, 'বাংলাদেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন বিএনপির মাথা খারাপ হয়ে গেছে। ২৮ অক্টোবর বিএনপি পুলিশের ওপর হামলা করেছে। শতাধিক পুলিশ আহত হয়েছে। এক পুলিশকে পিটিয়ে মেরেছে। পরে ২০ মিনিটে রাস্তা খালি করে পালিয়েছে। এখন তারা গর্তে ঢুকেছে।'
আরও পড়ুন: ‘বাইডেনের উপদেষ্টা’ পরিচয় দেওয়া ব্যক্তি ইসরাইলের এজেন্ট: তথ্যমন্ত্রী
হাছান বলেন, 'বিএনপি কর্মসূচির নামে গাড়ি পোড়ায়, মানুষের উপর বোমা নিক্ষেপ করে। এরা দেশের শত্রু, জাতির শত্রু, সমাজের শত্রু। এরা হিংস্র হায়েনার চেয়েও হিংস্র। সুতরাং এদের প্রতিহত করতে হবে।'
'শেখ হাসিনা শুধু কথা দেন না, কথা রাখেন' -উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আজ থেকে প্রায় ১৪০ বছর আগে ব্রিটিশ আমলে কক্সবাজার রুটে রেললাইন করার সমীক্ষা হয়েছিল। তবে রেললাইন করার কথা থাকলেও এত বছর তা এ পথে হয়নি। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা করে দেখালেন। এতে প্রমাণিত হয় শেখ হাসিনা শুধু কথা দেন না, কথা রাখেনও।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার আমলে সারাদেশে পরিবর্তন হয়েছে। কক্সবাজারবাসী কখনো ভাবেনি এখানে এমন একটি সুন্দর রেলস্টেশন হবে এবং ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজারে যাবে। এটি কক্সবাজারের মানুষ স্বপ্নে দেখেছে বাস্তবে রূপান্তরিত হবে তা ভাবেনি।
মন্ত্রী বলেন, 'মহেশখালীতে গভীর সমুদ্র বন্দর হবে এটি কেউ ভাবে নাই। এখানে এত উন্নয়ন হয়েছে অতীতে কোনো সরকার চিন্তা করে নাই। সুতরাং উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে মানুষ আবার ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসাবে।'
আরও পড়ুন: দেশে গণতন্ত্রের অভিযাত্রাকে নস্যাৎ করতে দেওয়া হবে না: তথ্যমন্ত্রী
যমুনা-বুড়িগঙ্গায় ডুবে যাওয়ার জন্য বিএনপির রোড মার্চ: তথ্যমন্ত্রী
পাড়া-মহল্লায় আগুনসন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে জনপ্রতিরোধ গড়ে তুলুন: তথ্যমন্ত্রী
আগুনসন্ত্রাস রোধে পাড়া-মহল্লায় প্রতিরোধ গড় তোলার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেছেন, ‘সরকার তাদেরই গ্রেপ্তার করছে যারা আগুনসন্ত্রাসের সঙ্গে যুক্ত, হুমুকদাতা-অর্থদাতা-নির্দেশদাতা আয়োজনকারী। এ নিয়ে বিভ্রান্তির কোনো সুযোগ নেই। একাত্তরে পাকিস্তানি বাহিনী মানুষকে হত্যা করেছে কিন্তু জীবন্ত পোড়ায়নি, এরা পাকিস্তানি বাহিনীর চেয়েও জঘন্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। সুতরাং পাকহানাদারদের বিরুদ্ধে যেমন পাড়ায়-মহল্লায় প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয়েছিল, আজকে এদের বিরুদ্ধে পাড়া-মহল্লায় প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’
বুধবার দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে আইডিইবি ভবনে গণপ্রকৌশল দিবস ও ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (আইডিইবি) ৫৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: আইএস-তালেবানের কায়দায় বিএনপির কর্মসূচি ঘোষণা: তথ্যমন্ত্রী
‘উন্নয়নের জন্য উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা নীতি’ প্রতিপাদ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আইডিইবি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি এ কে এম এ হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, আইডিইবি’র সাধারণ সম্পাদক মো. শামসুর রহমান।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘আগুনসন্ত্রাসীরা আসলে রাষ্ট্রের ওপর হামলা চালাচ্ছে। রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গের একটির প্রধান হচ্ছেন প্রধান বিচারপতি। তার বাড়িতে হামলার অর্থ বিচার বিভাগের ওপর হামলা। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন আওয়ামী লীগও না, বিএনপিও না। এখানে কেন হামলা চালাল এটি আমার বোধগম্য নয়।’
হাছান বলেন, আমাদের বন্ধু রাষ্ট্ররা পরামর্শ দিতে পারে কিন্তু এমন পরামর্শ না যেটি আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ হতে পারে বলে প্রতীয়মান হয়। আমাদের সঙ্গে সবার সম্পর্ক ভালো।
বিএনপির সঙ্গে বিদেশিদের সম্পর্ক নিয়ে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘যারা সাউন্ড গ্রেনেডের আওয়াজেই পালিয়ে যায় তাদের কেউ আর বাতাস দেবে না।’
আরও পড়ুন: শেষ সন্ত্রাসী নির্মূল হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে: তথ্যমন্ত্রী
হাছান মাহমুদ বলেন, ইসরাইলি বাহিনী যখন পাখি শিকার করার মতো করে মানুষ শিকার করছে, শিশু হত্যা করছে, গতকালও ৬০০ জনকে হত্যা করেছে, এর বিরুদ্ধে সারা পৃথিবীতে প্রতিবাদ হচ্ছে। শুধু বিএনপি-জামাত একটি শব্দও উচ্চারণ করেনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া তারেক রহমানের সঙ্গে মির্জা ফখরুল সাহেবের কথোপকথনে ফখরুল সাহেব বলছেন, ‘গাজায় যেভাবে হত্যাযজ্ঞ হচ্ছে তাতে কিছু বলার দরকার।’ আর তারেক রহমান পরামর্শ দিচ্ছে ‘গাজা অনেক দূরে আমরা আমাদের সমস্যা নিয়ে আছি, এটা নিয়ে বলার দরকার নেই, কারণ কেউ নাখোশ হবে।’
ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘আজকে আমাদের সেতু এবং মেগাপ্রকল্পগুলোসহ অবকাঠামোগত যে অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে, সেখানে যারা মাঠে কাজ করেন তারা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার। প্রধানমন্ত্রী তৃতীয় দফা সরকার গঠনের পর আজ পর্যন্ত ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের পাশে থেকেছে। দেশের উন্নয়নে অনন্য ভূমিকার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ জানাই।’
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতারা নেতা-কর্মীদের পয়সা দিয়ে চোরাগোপ্তা হামলা করাচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী