আওয়ামী লীগ
মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে কারো পুলকিত হওয়ার কারণ নেই: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, 'যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সহযোগিতা ও বহুমাত্রিক সম্পর্ক দিন দিন দৃঢ়তর হচ্ছে। সুতরাং কোনো একটা ভিসানীতি বা কিছু নিয়ে কারো পুলকিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। এই নীতি তাদের বিরুদ্ধেই প্রযোজ্য হবে, যারা নির্বাচনে বাধা দেবে।'
তিনি বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো। সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ সেটিই প্রমাণ করে।'
রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর তোপখানা রোডে জাতীয় প্রেসক্লাবে উপমহাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অকুতোভয় বিপ্লবী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের ৯১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সমসাময়িক প্রসঙ্গে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, 'আজকে বিএনপি নানা ধরণের কথা বলে। ভিসানীতি ঘোষণার পর এক কথা বলে, আবার পত্রিকায় গত পরশু দিন খবর আসার পর আরেক ধরণের কথা বলে। এগুলো বলে কোনো লাভ নেই।'
আরও পড়ুন: বিদেশি পর্যবেক্ষক আসুক আর না আসুক, নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, 'মুক্তিযুদ্ধের সময় বহু পরাশক্তি আমাদের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিলো। কিন্তু সেইসব রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে আমাদের পূর্বসূরী মুক্তিযোদ্ধারা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিলো। আজকেও অনেকেই চোখ রাঙ্গায়, অনেক দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র হয়। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনার ধমনীতে, শিরায় বঙ্গবন্ধুর রক্তস্রোত প্রবাহমান, যে রক্ত পরাভব মানে না, আপোষ জানে না। সমস্ত ষড়যন্ত্রের বেড়াজাল ছিন্ন করে দেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাবে।'
হাছান বলেন, '১৯৭১ সালে যারা দেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, তাদেরই নতুন সংস্করণ হচ্ছে বিএনপি। এবং তাদের সহযোগী হচ্ছে জামায়াতে ইসলামী, যারা দেশের স্বাধীনতার শুধু বিরোধিতাই করেনি, স্বাধীনতা সংগ্রামে এদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের পক্ষ হয়ে অস্ত্রধারণ করেছিল। তাই এই বিএনপি-জামাত চক্র আজকে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছে, আগামী নির্বাচনকে ভন্ডুল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।'
'কিন্তু, সমস্ত ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে আগামী নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে এবং সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হবে'-এই প্রত্যয় ব্যক্ত করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান বলেন, 'সেই নির্বাচনে যদি বিদেশি পর্যবেক্ষকরা আসে আমরা স্বাগত জানাই। তবে কেউ না আসলেও কোনো অসুবিধা নাই। এই নির্বাচন আমাদের, এই দেশ আমাদের, এখানে নির্বাচন কিভাবে হবে সেটি আমরা ঠিক করবো। আমাদেরকে কারো গণতন্ত্র শেখাতে হবে না। গণতান্ত্রিক রীতিনীতির চর্চা আমরা জানি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা অবশ্যই অব্যাহত থাকবে।'
আরও পড়ুন: শুধু শমসের-তৈমুর নয় আরও অনেকেই বিএনপি থেকে চলে যাবে: তথ্যমন্ত্রী
যত অপপ্রচারই হোক, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে আ. লীগ ক্ষমতায় আসবে: কানাডায় তথ্যমন্ত্রী
বিদেশি পর্যবেক্ষক আসুক আর না আসুক, নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে: তথ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিদেশি পর্যবেক্ষক আসুক আর না আসুক, আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচনটা হচ্ছে আমাদের। তাই এরই মধ্যে স্থানীয় সরকারসহ যে সমস্ত নির্বাচন হয়েছে সেগুলো অত্যন্ত সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়েছে।
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজী পুকুর লেনস্থ ওয়াইএনটি সেন্টারে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আমরা নির্বাচনের মাঠে সবার সঙ্গে খেলে জিততে চাই, আর বিএনপি চায় পালাতে: তথ্যমন্ত্রী
এসময় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন উপস্থিত ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের নির্বাচন কেউ পর্যবেক্ষণ করল, কী করল না- এতে কিছুই আসে যায় না। এটি নিয়ে বিএনপিকেও আর দেশ অস্থিতিশীল করার সুযোগ দেওয়া হবে না।
ভারতে যখন নির্বাচন হয় তখন বিদেশি পর্যবেক্ষকরা সেখানে যান কি না- এমন প্রশ্ন রেখে হাছান মাহমুদ বলেন, সেখানে এটি নিয়ে এত কথাবার্তা হয়? কিংবা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যখন নির্বাচন হয় সেখানে কি আমাদের দেশ থেকে কিংবা অন্য কোনো দেশ থেকে পর্যবেক্ষক যায়? যায় না।
তিনি বলেন, আমাদের দেশেই নির্বাচন এলে কে পর্যবেক্ষণ করল, কে করল না- এগুলো নিয়ে নানা মাতামাতি হয়। যদি বিদেশি পর্যবেক্ষকরা আসেন, তাহলে তাদের স্বাগত জানাই, না এলেও কোনো অসুবিধা নেই।
মন্ত্রী বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ছোট আকারের পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে বলেছে। তাদের বাজেট স্বল্পতার কথাও তারা চিঠিতে উল্লেখ করেছে। ইইউর পর্যবেক্ষক যে আকারেই আসুক বা না আসুক আমাদের দেশে ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম আছে, সার্কভুক্ত বিভিন্ন দেশের পর্যবেক্ষকরা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে আসবে।
বিএনপি লংমার্চ কর্মসূচিতে হরতাল-অবরোধের মতো কঠিন কর্মসূচির জন্য নেতা-কর্মীদের প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দিয়েছে, এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ এবং সরকারের প্রস্তুতি আছে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, খালেদা জিয়া অবরোধের ডাক দিয়ে দেশের মানুষকে একশ দিন অবরুদ্ধ করে রেখেছিল।
তিনি আরও বলেন, পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে শত শত মানুষ পুড়িয়েছিল, হাজার হাজার মানুষকে ঝলসে দিয়েছিল আগুনে। দেশে এ ধরনের নৃশংস ঘটনা বিএনপি আর করতে পারবে না, দেশের মানুষ করতে দেবে না। সেই অপচেষ্টা করলে দেশের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করা হবে।
আরও পড়ুন: শুধু শমসের-তৈমুর নয় আরও অনেকেই বিএনপি থেকে চলে যাবে: তথ্যমন্ত্রী
যত অপপ্রচারই হোক, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে আ. লীগ ক্ষমতায় আসবে: কানাডায় তথ্যমন্ত্রী
দেশের কূটনৈতিক অর্জন নিয়ে মিথ্যাচার করছে বিএনপি: কাদের
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর বাংলাদেশ সফর এবং সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ব্রিকস ও জি-টোয়েন্টি সম্মেলনে দেশের কূটনৈতিক অর্জন নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতাদের ‘মিথ্যাচারের’ নিন্দা করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বুধবার এক সংবাদ বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘বিএনপি কোটি কোটি ডলারের জন্য লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করে দেশের বিরুদ্ধে ক্রমাগত অপবাদ ও মিথ্যাচারের মাধ্যমে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে বিচ্ছিন্ন করার গভীর ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।’
আরও পড়ুন:ষড়যন্ত্রকারীরা প্রস্তুত হচ্ছে, আমরাও প্রস্তুত আছি : ওবায়দুল কাদের
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক অগ্রগতির কথাও তুলে ধরেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের ।
তিনি বলেন. ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী দক্ষিণ আফ্রিকায় সাম্প্রতিক ব্রিকস সম্মেলনে এবং ভারতে জি২০ সম্মেলনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে আমাদের জাতির জন্য অতুলনীয় মর্যাদা ও সম্মান এনেছেন।’
এসব আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতি বিশ্ব নেতাদের উল্লেখযোগ্য দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এসব আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ বিশ্ব দরবারে একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে শেখ হাসিনার অবস্থানকে তুলে ধরেছে এবং এসব তার দক্ষ নেতৃত্বের স্বীকৃতি।
তিনি বলেন, 'বিশ্ব নেতারা যখন বাংলাদেশের সঙ্গে উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদার করছেন, তখন বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী সক্রিয়ভাবে দেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য তারই প্রমাণ।’
তিনি প্রশ্ন তোলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে যেসব উন্নয়ন প্রকল্প মানুষের জীবনযাত্রার উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে, সেগুলোর প্রতি ঈর্ষা পোষণ করে একটি রাজনৈতিক দল কতটা দেউলিয়া হতে পারে।
আরও পড়ুন: বিএনপি উন্নয়নের সুবিধা নেয় কিন্তু প্রশংসা করতে পারে না: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'বিএনপি একদিকে তাদের ব্যাপক ব্যর্থতার সঙ্গে লড়াই করছে, অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন উদ্যোগ এবং তার বৈশ্বিক নেতৃত্বের প্রশংসা অব্যাহত থাকায় তারা হতাশার সমুদ্রে ডুবে যাচ্ছে।’
বিএনপির বিরুদ্ধে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে উন্নয়ন প্রকল্প সম্পর্কে ভুল, বানোয়াট ও বিকৃত তথ্য প্রচারের অভিযোগ করেন কাদের।
আমরা নির্বাচনের মাঠে সবার সঙ্গে খেলে জিততে চাই, আর বিএনপি চায় পালাতে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আমরা নির্বাচনের মাঠে সবার সঙ্গে খেলে জিততে চাই। আর বিএনপি শুধু পালিয়ে যেতে চায়। তাদেরকে বলব মাঠ থেকে পালিয়ে না যাওয়ার জন্য।’
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব গতদিন বলেছেন, আওয়ামী লীগ ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চায়। প্রকৃতপক্ষে আমরা কখনো ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চাই না। আমরা চাই আগামী নির্বাচনে বিএনপি পূর্ণশক্তি নিয়ে অংশগ্রহণ করুক। কিন্তু বিএনপির কথাবার্তায় মনে হচ্ছে, নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয়ে তারা মাঠ ছেড়েই চলে যেতে চাচ্ছে।
তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেবকে বলব মাঠে আসার জন্য এবং আমাদের সঙ্গে খেলার জন্য। আমরা খেলেই জিততে চাই। আমরা চাই সকল রাজনৈতিক দল আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক এবং সেই নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের মানুষ আগামী দিনের সরকার নির্বাচিত করুক।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে লাল পতাকা দেখিয়েছে জনগণ: তথ্যমন্ত্রী
জনগণের ওপর আমাদের আস্থা আছে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, আজকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের আমূল পরিবর্তন ঘটেছে, প্রতি শহর-গ্রামের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে। মানুষের মুখে আগের ডাল-ভাতের পরিবর্তে এখন মাংসের দাম বাড়লে সেটি নিয়ে কথা শোনা যায়।
তিনি বলেন, আগে মানুষ ইট বিছানো রাস্তার দাবি দিতো, এখন কার্পেটিং করা রাস্তার দাবি দেয়। এখন মানুষ ভাত-কাপড়ের কথা বলে না, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের কথা বলে এবং আমাদের সরকার সেটি মোটামুটিভাবে নিশ্চিত করেছে, দেশের শতভাগ এলাকা বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে।
তিনি আরও বলেন, মানুষের জীবনমানের এই উত্তরণ ও পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে জনগণের ওপর আমাদের আস্থা আছে বিধায় আমরা সবার সঙ্গে নির্বাচনের মাঠে খেলে জিততে চাই আর বিএনপি শুধু পালিয়ে যেতে চায়।
সরকার বিএনপিকে নির্বাচনে আনার জন্য সংলাপের ডাক দেবে কি না-এ প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন আয়োজক প্রতিষ্ঠান হচ্ছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনের মাঠে আমরা একটা পক্ষ। আমরা তো আয়োজক পক্ষ নই। সুতরাং নির্বাচন নিয়ে তাদের যদি কোনো অভাব-অভিযোগ কিছু থাকে তারা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কথা বলতে পারে। আর নির্বাচন কমিশন যদি আমাদের ডাকে তাহলে আমরা সেখানে যাবো।
হাছান মাহমুদ বলেন, আমি মনে করি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব। ২০১৮ সালে নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করেছিল, পরে সেটিকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা চালিয়েছিল; এখনও চালিয়ে যাচ্ছে। আশা করবো এ নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করবে।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন প্রতিহত করার ক্ষমতা বিএনপির নাই। ২০১৪ সালে আমরা তাদেরকে মোকাবিলা করেছি, ২০১৪ সালের পরিস্থিতি বিএনপি আর কখনো সৃষ্টি করতে পারবে না। নির্বাচনে অবশ্যই সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করুক আমরা সেটিই চাই। কিন্তু গণতন্ত্রে জনগণের অংশগ্রহণটাই হচ্ছে মুখ্য।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ১৯৭০ সালে নির্বাচনের সময় মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে শ্লোগান দেওয়া হয়েছিল ‘ভোটের বাক্সে লাথি মারো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো। অথচ ১৯৭০ সালে সেই নির্বাচন না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। তখন অনেক রাজনৈতিক দল সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে নাই, কিন্তু জনগণ ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করেছে এবং দেশ স্বাধীন হয়েছে। গত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি ও তাদের মিত্ররা অংশগ্রহণ করেনি, তবুও ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। আমরা চাই বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। কিন্তু সেখানে জনগণের অংশগ্রহণটাই হচ্ছে মুখ্য। জনগণের অংশগ্রহণ থাকলে সেই ভোট নিশ্চয়ই গণতন্ত্রের বিচারে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের ট্রেন কারো জন্য অপেক্ষা করবে না, যথাসময়ে নির্বাচন হবে: তথ্যমন্ত্রী
বুদ্ধিজীবীদের বিবৃতি কি বুদ্ধি খাটিয়ে শ্রমিকদের বঞ্চিত করতে- প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রীর
আন্দোলনের নামে যা খুশি তাই করলে সমুচিত শিক্ষা দেওয়া হবে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বিএনপি নির্বাচন বানচালের পায়তারা করছে, আন্দোলন করছে নির্বাচন করতে দেবে না বলে।
তিনি বলেন, বিএনপি ২০১৩-১৪ সালে আগুন সন্ত্রাস ও হরতাল দিয়ে তাণ্ডব সৃষ্টি করেছিল। এবারও আন্দোলনের নামে আগুন সন্ত্রাস, হরতাল ও যা খুশি তাই করতে চাইলে, তাদের সমুচিত শিক্ষা দেওয়া হবে।
শনিবার (২৬ আগস্ট) বিকালে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে দুঃস্থ, অসহায় ও যুব মহিলাদের মাঝে ঢেউটিন, নগদ অর্থ ও সেলাই মেশিন বিতরণ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: দেশে ১৫ লাখ বেল তুলা উৎপাদন সম্ভব: কৃষিমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, সংবিধানের আলোকে নির্বাচন হবে। বিএনপিকে নির্বাচনের মাধ্যমেই ক্ষমতায় আসতে হবে।
তিনি বলেন, একসময় এদেশে ছনের-খড়ের-পাটকাঠির ঘরই বেশি ছিল, আবার এসব ঘর নির্মাণেও অনেকের সামর্থ্য ছিল না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের অভাবনীয় উন্নয়নের ফলে ছন-খড়-পাটকাঠির ঘর আজ প্রায় দেখাই যায় না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কল্যাণে দেশের একটি মানুষও ঘরহীন থাকবে না উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, দেশের ১০ ভাগ মানুষের ঘর-বাড়ি নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে কেউ ঘরহীন, ভূমিহীন থাকবে না। তিনি গৃহহীনদের পর্যায়ক্রমে জমিসহ পাকা ঘর করে দিচ্ছেন। আগামী ২ বছরের মধ্যে কেউ ঘরহীন থাকবে না।
আরও পড়ুন: অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্য বিএনপি অস্থির হয়ে পড়েছে: কৃষিমন্ত্রী
বছরে চার ফসলের সম্ভাবনা জাগাচ্ছে ব্রি৯৮ আউশ ধান: কৃষিমন্ত্রী
হবিগঞ্জে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে আহত ২ শতাধিক
হবিগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ২ শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। এ সময় বিএনপির জেলা কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়।
রবিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার বিকালে হবিগঞ্জ বিএনপি আয়োজিত পদযাত্রা শেষে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের সংঘর্ষ হয়। এতে পুলিশসহ দেড় শতাধিক মানুষ আহত হন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে জেলা আওয়ামী লীগ রবিবার বিকালে শায়েস্তানগর এলাকায় সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে। এতে আওযামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।
স্থানীয়রা জানান, হবিগঞ্জ শহরের শায়েস্তানগর এলাকায় উভয় পক্ষের মধ্যে প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষ শুরুর জন্য উভয় পক্ষই একে অপরকে দোষারোপ করেছে।
তবে সন্ধ্যা ৭টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাবার বুলেট ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে।
সূত্র জানায়, রবিবার বিকালে নগরীতে মিছিল বের করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
মিছিলটি শায়েস্তানগর এলাকায় বিএনপির আঞ্চলিক কার্যালয়ের সামনে পৌঁছালে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সাঈদীর জানাজাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, ২৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আইনজীবী লুৎফুর রহমান এ সংঘর্ষের জন্য বিএনপিকে দায়ি করেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা হামলা করেছে। আমাদের নেতা-কর্মীরা তা প্রতিহত করতে গিয়ে সংঘর্ষের রূপ নেয়।’
শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
এদিকে, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সৈয়দ মুশফিক আহমেদ ও জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহ রাজিব আহমেদ রিংগন বলেন, ‘লগি, বৈঠা নিয়ে আওয়ামী লীগের মিছিল থেকেই জেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর ও বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক মেয়র জিকে গউছের বাসায় হামলা চালানো হয়েছে।’
তিনি জানান, সংঘর্ষে প্রায় একশ’ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে দেড় শতাধিক আহত
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সংঘর্ষ: ক্লাস বর্জন খুমেক শিক্ষার্থীদের
আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল ৩ দিনের ভারত সফরে যাচ্ছে
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে রবিবার (৬ আগস্ট) তিন দিনের সফরে ভারতের নয়াদিল্লি যাচ্ছে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল।
শনিবার (৫ আগস্ট) আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী জানান, ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির আমন্ত্রণে দেশটিতে সফরে যাচ্ছে প্রতিনিধি দলটি।
প্রতিনিধি দলে আরও রয়েছেন- আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, নির্বাহী কমিটির সদস্য মেরিনা জাহান ও সংসদ সদস্য আরমা দত্ত।
আরও পড়ুন: জি-২০ উন্নয়ন মন্ত্রীদের বৈঠকে যোগ দিতে ভারত সফরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এই সফরে প্রতিনিধি দলটি ভারতের সরকার ও বিজেপির প্রতিনিধিদের সঙ্গে একাধিক বৈঠকে মিলিত হবে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
এছাড়া বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডাসহ রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক হবে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলটির।
আরও পড়ুন: ৩ দিনের ভারত সফর শেষে দেশে ফিরেছেন সেনাপ্রধান
৪ দিনের ভারত সফর শেষে দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী
দেশের রাজনীতিতে বিএনপি ভয়ঙ্কর বিষফোঁড়া: কাদের
দেশের রাজনীতিতে বিএনপি ‘ভয়ঙ্কর বিষফোঁড়া’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘দেশের রাজনীতিতে বিএনপি হচ্ছে ভয়ঙ্কর বিষফোঁড়া। এই বিষফোঁড়া যতদিন আছে ততদিন হত্যা, ষড়যন্ত্র, সন্ত্রাস, যত প্রকার অশান্তি, অস্থিরতা, সবকিছু থাকবে। কারণ এসবের মূলহোতা বিএনপি।’
শনিবার রাজধানীর বনানীতে জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকীতে তাকে শ্রদ্ধার জানানোর পর তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিদেশি বন্ধুদের সমর্থন চেয়ে ব্যর্থ হয়েছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের
ওবায়দুল কাদের বলেন, এদেশে জাতীয় যত রক্তাক্ত ট্রাজেডি তার মূলে রয়েছে জিয়া পরিবার। পঁচাত্তর তাদেরই সৃষ্টি। এর মাস্টার মাইন্ড জিয়াউর রহমান। ৩ নভেম্বরের হোতাও তিনি। একুশে আগস্টের মাস্টার মাইন্ড তার ছেলে তারেক রহমান। মূলত এই পরিবার বাংলাদেশের রাজনীতিতে হত্যা, ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছে।
বিএনপি দেশে আবারও সন্ত্রাস ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছে। তারা নির্বাচন নয়, পেছনের দরজা দিয়ে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে চোরাগলি পথে ক্ষমতায় যেতে চক্রান্ত শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: খেলা হবে তারেক ও হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে: ওবায়দুল কাদের
ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল বলছেন আওয়ামী লীগকে গুগলি মেরে বোল্ড আউট করে ফেলেছে। গুগলি তো করেছেন, বলতো নো বল। নো বলে গুগলিও হবে না, বোল্ড আউটও হবে না।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজ শহীদ শেখ কামালে জন্মদিন। মানুষের জন্মদিন কতই আনন্দের, কিন্তু আমাদের জীবনে আজ শোকের বার্তা বয়ে যাচ্ছে।
আ. লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপকমিটি অনুমোদন
আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপকমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৩১ জুলাই) রাতে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশক্রমে এই কমিটির অনুমোদন দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদকে। সদস্য সচিব হিসেবে আছেন আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. সিদ্দিকুর রহমান।
উপকমিটিতে ৮৬ জন সদস্য রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ১৭ বছর পর চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন
চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের গণসমাবেশ: পোলো গ্রাউন্ডে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
কুমিল্লা সিটি নির্বাচন: আওয়ামী লীগের রিফাত মেয়র নির্বাচিত
আ. লীগ ক্ষমতায় না থাকলে সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দেবে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি যেমন মাথাচাড়া দেবে, জঙ্গিবাদও মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে কলকাতা প্রেসক্লাবে 'সাংবাদিকদের মুখোমুখি' অনুষ্ঠানে ভারতীয় সাংবাদিকদের উন্মুক্ত প্রশ্নের জবাব দেন ভারত সফররত মন্ত্রী হাছান।
বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না এলে এখানে সাম্প্রদায়িকতা ফণা তুলবে কি না -এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, 'বেগম খালেদা জিয়া যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন একসঙ্গে বাংলাদেশে ৬৩ জেলায় বোমা হামলা হয়েছিল। শায়খ আব্দুর রহমান, বাংলা ভাই, আফগানিস্তানের ট্রেনিং প্রাপ্তরা প্রকাশ্যে মহড়া দিতো। এই হচ্ছে বিএনপি সরকারের আমল।'
তিনি বলেন, 'যখন আমরা জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করি তখন বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া প্রকাশ্যে বলছেন, 'কিছু লোককে ধরে এনে আটকিয়ে রাখা হয়, চুল-দাড়ি লম্বা হলে তাদের জঙ্গি আখ্যা দেওয়া হয়'। বাংলাদেশে যদি আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকে তাহলে সেই সাম্প্রদায়িকতা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা আবার অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়বে।'
নিজদলের আদর্শ তুলে ধরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে দেশ হিসেবে সংগ্রাম করেছে এবং অসাম্প্রদায়িক দল হিসেবে যে দলটি প্রতিষ্ঠিত, সেটি হচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ডাক দিয়েছিলেন। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবার মিলিত রক্তস্রোতের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে।
তিনি বলেন, '১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার পর সেই সাম্প্রদায়িকতাকে আবার ফিরিয়ে এনেছেন। আমাদের দেশে স্বাধীনতার পর ধর্মীয় রাজনীতিটা বন্ধ করা হয়েছিলো, সেটি '৭৫ সালে আবার চালু করা হয়েছে। দুঃখজনক হলেও সত্য, বিএনপির বহুদলীয় জোটের মধ্যেই সাম্প্রদায়িক অপশক্তি আছে। সেখানে অনেক দল আছে যে দলের নেতারা তালেবানের সঙ্গে যুদ্ধ করেছে। এ সমস্ত অনেক নেতা প্রকাশ্যে 'বাংলা হবে তালেবান' স্লোগান দিয়েছিল।
আরও পড়ুন: বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলে দলের মধ্যে বড় বিস্ফোরণ হওয়ার সম্ভাবনা আছে: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি নির্বাচনে আসবে কি না -এ প্রশ্নে ড. হাছান বলেন, 'বিএনপি গণমানুষের দল বলে তারা দাবি করে। কিন্তু সিটি করপোরেশন এমন কি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও তাদের দলের সবাইকে অংশ নিতে বারণ করেছে। এ সত্ত্বেও তাদের অনেকেই কাউন্সিলর, মেম্বার এমন কি চেয়ারম্যান পদেও নির্বাচনে অংশ নিয়েছে।'
তিনি বলেন, 'বিএনপি নেতাদের বেশিরভাগই নির্বাচন করতে চায়। কিন্তু তাদের নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত দিতে পারে না বিধায় তারা পারে না। যারা নিজেদের জনগণের দল হিসেবে দাবি করে বা গণমানুষের দল হিসেবে টিকে থাকতে চায় তাদের জন্য ক্রমাগতভাবে নির্বাচন বর্জন করা অত্যন্ত ক্ষতির কারণ। আগামী নির্বাচনও যদি তারা বর্জন করে তাহলে সেই ক্ষতি তারা আরও টের পাবে।'
রোহিঙ্গা শরণার্থী বিষয়ে প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমি চট্টগ্রামের মানুষ, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বহুবার গিয়েছি, আমার হিসেবে এখন প্রায় ১৫ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশ। আমাদের দেশ পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ, কোনো রকমে আমরা আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি। বিশাল রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী আমাদের জন্য একটা চাপ, অর্থনীতির চাপ। তাদের খাওয়াতে হচ্ছে, পরাতে হচ্ছে, চিকিৎসাসহ সবকিছু দিতে হচ্ছে। এ জন্য ভারত সরকারের সঙ্গে আমরা সবসময় আলাপ আলোচনা করছি।'
বাংলাদেশ-ভারত সহযোগিতার প্রশ্নে বাংলাদেশের সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, আমাদের সঙ্গে ভারতের এবং অন্যান্য দেশের আন্তরিক সহযোগিতা আছে। আমাদের শুধু বাণিজ্যে সহযোগিতা নয়, নিরাপত্তা থেকে শুরু করে নানাবিধ সহযোগিতা আছে। আমরা মনে করি আমাদের অঞ্চলকে নিরাপদ রাখা, এখানে শান্তি, স্থিতি বজায় রাখা আমাদের আন্তরিক দায়িত্ব। একইসঙ্গে ভারতেরও দায়িত্ব। অর্থাৎ এসব ক্ষেত্রে প্রয়োজন আমাদের দু’দেশের সহযোগিতা।
ইদানিং মাঝেমধ্যেই বাংলাদেশে কূটনীতিকদের বিবৃতি দিতে দেখা যাচ্ছে -মন্তব্যের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ভারতে কিংবা পশ্চিমা দেশেও কথায় কথায় কেউ বিবৃতি দেয় না। কারণ তাতে কূটনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘন হয়। আমাদের এখানে এ ধরনের বিবৃতির কড়া ভাষায় প্রতিবাদ করা হয়েছে।
কলকাতা প্রেসক্লাবের সভাপতি স্নেহাশিস সুর, সম্পাদক কিংশুক প্রামাণিক ও স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ এ আয়োজনে অংশ নেন। কলকাতায় বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক অপরাধ থেকে সমাজ রক্ষায় কাজ করুন: তথ্যমন্ত্রী
সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন, ইইউ-মার্কিন সফর ইতিবাচক: তথ্যমন্ত্রী