খুলনা
প্রধানমন্ত্রীকে আগামীকাল স্বাগত জানাতে প্রস্তুত খুলনা
আগামীকাল (১৩ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে খুলনা শহরের সড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো ব্যানার, ফেস্টুন ও ডিজিটাল ডিসপ্লে দিয়ে সাজানো হয়েছে। সেখানে তিনি জনসভায় ভাষণ দেবেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল খুলনাসার্কিট হাউজ মাঠে ২২টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন।
এ উপলক্ষে নগরী উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে এবং আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ অধীর আগ্রহে প্রধানমন্ত্রীর আগমনের অপেক্ষায় রয়েছেন।
অনুষ্ঠানের জন্য ৯০ মিটার দীর্ঘ এবং ৪০ মিটার চওড়া মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে, যেখান থেকে প্রধানমন্ত্রী একটি জনসভায় ভাষণ দেবেন।
অনুষ্ঠানস্থলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নগরীর বিভিন্ন সড়কে স্বাগত জানাতে দুই শতাধিক তোরণ স্থাপন করা হয়েছে।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে, আগামীকালের অনুষ্ঠান সফল করতে তারা বেশ কয়েকটি সভা করেছেন এবং কেন্দ্রীয় নেতারা বেশ কয়েকবার প্রস্তুতি রক্ষণাবেক্ষণ করেছেন।
দলীয় নেতা-কর্মীরা অনলাইন ও অফলাইন প্রচারণার মাধ্যমে জনগণকে জনসভায় যোগ দিতে উদ্বুদ্ধ করতে ব্যস্ত।
আওয়ামী লীগের সমর্থকরা এরই মধ্যে খুলনা বিভাগ জুড়ে জনসভার পক্ষে মিছিল বের করেছে।
খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ইউএনবিকে বলেন, সার্কিট হাউজে আওয়ামী লীগের নারী কর্মীরা অবস্থান করবেন এবং পুরুষরা মাঠের চারপাশে রাস্তায় থাকবেন।
তিনি বলেন, এছাড়া নগরীর কাস্টমস ঘাট থেকে শিববাড়ী, জেলখানা ঘাট, সদর থানা মোড়, হাদিস পার্ক ও হাজী মহসিন রোডে সাউন্ড সিস্টেম চালু থাকবে।
মেয়র বলেন, শিববাড়ী মোড়সহ বেশ কয়েকটি স্পটে এলইডি মনিটরে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ প্রদর্শিত হবে।
মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল রানা বলেন, খুলনা বিভাগের ১০টি জেলার ১০ লাখ মানুষের অবস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) কমিশনার মোজাম্মেল হক বলেন, অনুষ্ঠানস্থলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন থাকবে।
কমিশনার আরও বলেন, সার্কিট হাউস মাঠ ও তার আশেপাশে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে এবং পুরো শহরকে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থার আওতায় আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: স্থানীয়ভাবে কুষ্ঠ রোগের ওষুধ উৎপাদন করুন: ওষুধ কোম্পানিগুলোকে প্রধানমন্ত্রী
খুলনায় জুট মিলের আগুন নিয়ন্ত্রণে
খুলনার জুট মিলের গোডাউনে লাগা আগুন আড়াই ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এনেছে ফায়ার সার্ভিস।
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) বিকাল পৌনে ৫টার দিকে উপজেলার রাজাপুর পপুলার জুট মিলের গোডাউনে আগুন লাগে। এরপর ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট চেষ্টা চালিয়ে সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: পুরান ঢাকার জুতার গুদামে আগুন নিয়ন্ত্রণে
খুলনা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মো. ফারুক হোসেন সিকদার বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আমাদের আটটি ইউনিট কাজ করেছে। এখন ড্যাম্পিং ডাউনের কাজ চলছে।
খুলনা বিভাগীয় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের উপপরিচালক মামুন মাহমুদ বলেন, বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আগুন লাগার কারণ এবং ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ করা সম্ভব হয়নি।
তিনি আরও বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে পরে জানানো সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: নরসিংদীর বাবুরহাট-শেখেরচর মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে
নাটোরের বড়াইগ্রামে তেলের দোকানের আগুন নিয়ন্ত্রণে
খুলনার রূপসায় বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় বিএনপির ৮৫ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
খুলনার রূপসা উপজেলায় বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা বিরোধী দলের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ চলাকালে বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আজিজুল বারী হেলাল, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পীসহ ৮৫ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
রূপসা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শেখ ফরিদ আহমেদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন বলে নিশ্চিত করেছেন ওই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন।
ওসি জানান, এ মামলায় বিএনপির অন্তত ২৫ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং ৬০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়নি।
অগ্নিসংযোগের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, রবিবার রাতে খুলনার রূপসা উপজেলায় 'মায়ের আঁচল পরিবহনের' একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা।
আরও পড়ুন: নাটোরে হত্যা ও ধর্ষণের পৃথক মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
জামায়াতের অর্থের ‘জোগানদাতা’ ডা. ফাতেমাকে বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার
খুলনায় অবরোধের প্রথম দিনে দূরপাল্লার বাস ছাড়েনি, নগরীতে স্বাভাবিক
বিএনপি-জামায়াতের ডাকা দ্বিতীয় দফা অবরোধের প্রথম দিন খুলনায় যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
রবিবার (৫ নভেম্বর) সকালে খুলনা থেকে বিভিন্ন রুটের বাস ছাড়তে শুরু করেছে। তবে দূরপাল্লার রুটের বিলাশবহুল বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। নগরীতে থ্রি-হুইলার, ইজিবাইক চলাচল অন্যান্য দিনের মতো স্বাভাবিক রয়েছে।
ইউএনবির খুলনা সংবাদদাতা এ চিত্র দেখতে পান।
এদিকে সড়ক পথে নিরাপত্তায় খুলনা মহানগরীতে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। সকাল থেকে নগরীর সড়কগুলোতে বিজিবি সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে।
রবিবার সকালে নগরীর সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের অবরোধের তুলনায় সড়কে বাস চলাচল বেড়েছে। বেড়েছে যাত্রী সংখ্যাও। সোনাডাঙ্গা থানার সামনে দাড়িয়ে ছিল ঢাকা-খুলনা রুটের পরিবহন সেতু ডিলাক্স।
আরও পড়ুন: দেশব্যাপী অবরোধের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের উপনির্বাচন চলছে
বাসের টিকেট বিক্রেতা সোহান জানান, ৪৫ আসনের বাসের ২০টি পূর্ণ হয়েছে। ১৫ মিনিটের মধ্যে তারা বাস ছাড়বেন। সকাল ৮টায় বাসটি ছাড়ার সময় ৭০ ভাগ আসনই পরিপূর্ণ দেখা গেছে। বরিশাল, পিরোজপুর, সাতক্ষীরাসহ বিভিন্ন রুটের বাসও একই সময় ছেড়ে গেছে।
কাউন্টারগুলোতে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, সোহাগ, ঈগল, গ্রীনলাইন, সৌদিয়া পরিবহনের এসি বাসগুলোর যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। ঢাকা রুটের টুঙ্গিপাড়া, ইমাদ, ফাল্গুনী পরিবহনের নন এসি বাস ভোর থেকে চলছে। তবে যাত্রী কম থাকায় বাসের সংখ্যা কমেছে।
আন্তঃ জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সোনা জানান, সকাল থেকেই বিভিন্ন রুটের বাস ছেড়ে যাচ্ছে। সব রুটের বাসই চলার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
খুলনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মীর আলিফ রেজা বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করতে নগরীতে বিজিবি সদস্যরা টহল দিচ্ছেন। আপাতত এক প্লাটুন বিজিবি রয়েছে, প্রয়োজন পড়লে এই সংখ্যা বাড়ানো হতে পারে।
আরও পড়ুন: ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ: ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী জেলায় বিজিবির ২৭ প্লাটুন মোতায়েন
খুলনায় বিএনপির ২০০০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা, আটক ১৫০
ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশকে (২৮ অক্টোবর) কেন্দ্র করে এক সপ্তাহে খুলনায় নেতা-কর্মীদের নামে ১৫টি মামলা এবং দেড় শতাধিক নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে দলের পক্ষ থেকে। এ ছাড়া এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে প্রায় দুই হাজার নেতা-কর্মীকে।
এর মধ্যে খুলনা মেট্রোপলিটনে (কেএমপি) নতুন ৩টি ও জেলার ৯টি থানায় নতুন ১২টি মামলা করেছে পুলিশ।
দলটির খুলনা মিডিয়া সেলের সদস্য মিজানুর রহমান মিলটন অভিযোগ করে বলেন, এজাহার নামীয় আসামি না হলেও নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করে অজ্ঞাত আসামি হিসেবে বিভিন্ন থানায় দায়ের করা মামলায় আদালতে পাঠাচ্ছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা মুজিবুর রহমান সারোয়ারকে আটক করেছে পুলিশ: রিজভী
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মাহমুদ আলী, দাকোপ উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুল মান্নান, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল মান্নান মিস্ত্রিসহ দেড় শতাধিক নেতা-কর্মীকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমীর এজাজ খানকে পুলিশ গ্রেপ্তার দেখিয়েছে বটিয়াঘাটা উপজেলার জলমা এলাকা থেকে।
বটিয়াঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শওকত কবির গণমাধ্যমকে জানান, বুধবার বটিয়াঘাটা থানায় হওয়া বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার জলমা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
খুলনা মহানগরীর তিন থানায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশের দায়ের করা ৩টি মামলায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা, সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, জেলা সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পিসহ মোট আসামি করা হয়েছে ১ হাজার ২৮৭ জনকে।
আরও পড়ুন:মির্জা ফখরুলের মুক্তির দাবি ৬৮ জন বিশিষ্ট নাগরিকের
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) তেরখাদা থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
তেরখাদা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফখরুল ইসলাম বাবু বলেন, মামলায় আমার বাবাকে আসামি করা হয়েছে, তিনি ১১ বছর আগে মারা গেছেন। আমাকে ১০ নম্বর আসামি করা হয়েছে। ২ নভেম্বর তেরখাদা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) চঞ্চল কুমার হালদার বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
তেরখাদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরদার মোশাররফ হোসেন বিশেষ ক্ষমতা আইন ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলাটি গ্রহণ করেন। মামলায় মোট ৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও অজ্ঞাতনামা দেড়শ’ থেকে ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
খুলনা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল মান্নান মিস্ত্রিকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে গেছে পুলিশ। মান্নানের ভাগ্নি মুন্নি খাতুন জানান, বুধবার (১ নভেম্বর) বিকালে সাদা পোশাকের ৮ জন নিরালা এলাকায় মান্নানের ভাড়া বাসায় প্রবেশ করে।
আরও পড়ুন: বিজয় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে: রিজভী
এ ছাড়া গত মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) খুলনা সদর থানায় এসআই খালিদ উদ্দিন বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলায় মোট ৪৭ জনকে আসামি করা হয়েছে।
খুলনা সদর থানার ওসি হাসান আল মামুন জানান, সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে।
অপরদিকে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমির এজাজ খান, সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী, নগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম জহিরসহ বিএনপির দুই শতাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে পৃথক মামলা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার(৩১ অক্টোবর) রাতে সোনাডাঙ্গা থানার এসআই নিয়াজ মোর্শেদ বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
আরও পড়ুন: আমীর খসরুকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে চট্টগ্রামে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক বিএনপির
আটকের ৪৮ ঘণ্টায়ও খুলনা ছাত্রদল সভাপতির সন্ধান মেলেনি: পরিবার
খুলনা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল মান্নানকে তার বাসা থেকে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার ৪৮ ঘণ্টা পরও নিখোঁজ রয়েছেন বলে শুক্রবার অভিযোগ করেন তার পরিবার।
তার ভাগ্নি মুন্নি খাতুন জানান, বুধবার দুপুরে নগরীর নিরালা আবাসিক এলাকার ভাড়া বাসা থেকে সাদা পোশাকে কয়েকজন লোক তাকে তুলে নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, ‘বুধবার দুপুরে নিরালা ভাড়া বাসায় সাদা পোশাকে ৮ জন ব্যক্তি প্রবেশ করেন। তাদের সবার কাছেই অস্ত্র ছিল। তারা তাকে তুলে নিয়ে যান। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানান। এরপর থেকে মামার কোনো খোঁজখবর পাচ্ছি না।’
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা মুজিবুর রহমান সারোয়ারকে আটক করেছে পুলিশ: রিজভী
খুলনা জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী শহিদুল ইসলাম বলেন, এদিকে মান্নানের পরিবারের সদস্য ও ছাত্রদল নেতারা তার খোঁজে খুলনার বিভিন্ন থানা ও ডিবি কার্যালয়ে যান।
তিনি বলেন, ‘অবরোধের আগে ও পরে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের ৭-৮ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু ৪৮ ঘণ্টায়ও জেলা সভাপতিকে আদালতে না পাঠানোয় আমরা উদ্বিগ্ন।’
খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন জানান, আব্দুল মান্নান নামে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
খুলনার উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) বিএম নুরুজ্জামানও একই তথ্য জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা আমীর খসরু আটক
গুলশানের একটি হোটেল থেকে বিএনপির ১০ নেতা-কর্মী আটক
পদ্মা সেতু দিয়ে বাণিজ্যিক ট্রেন চলাচল শুরু
খুলনা থেকে প্রথমবার যাত্রী নিয়ে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকায় গেল সুন্দরবন এক্সপ্রেস। এটি ছিল সেতুতে প্রথম বাণিজ্যিক ট্রেন চলাচল।
বুধবার (১ নভেম্বর) রাত ৯ টা ৪৫ মিনিটে খুলনা রেল স্টেশনের এক নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনটি ছেড়ে যায়। ঢাকায় পৌঁছায় ভোর ৫টা ১০ মিনিটে।
নতুন এই রুটে ট্রেন চলাচলে অন্তত ২ ঘণ্টা সময় কমবে।
খুলনা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে প্রথম যাত্রায় অংশ নিতে পেরে উচ্ছ্বসিত যাত্রীরা।
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্টের সহকারী অধ্যাপক হারুন অর রশিদ বলেন, সুন্দরবন ট্রেনে করে ঢাকায় অনেকবার গিয়েছি। আগে সময় অনেক বেশি লাগতো। পদ্মা সেতু হওয়াতে ঢাকায় যেতে আমাদের কম সময় লাগবে। এখন ট্রেনযাত্রা আমাদের জন্য অনেক সহজ হয়ে গেছে। আজকে প্রথম যাত্রায় যাত্রী হতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত।
খুলনা টিঅ্যান্ডটি জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা দেলোয়ার হোসেন বলেন, পদ্মা সেতু হয়ে ট্রেনে করে ঢাকায় যাব কখনো কল্পনাও করিনি। অনেক ভালো লাগছে। নিজের দেশের টাকা দিয়ে পদ্মা সেতু তৈরি করা হয়েছে। সেতুর উপর দিয়ে পরিবহন এবং নিচ দিয়ে ট্রেন যাচ্ছে। আর এত সুন্দর কোচ কখনো দেখিনি। এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
খুলনার নাগরিক নেতা আইনজীবী বাবুল হাওলাদার বলেন, পদ্মা সেতু হয়ে খুলনা টু ঢাকা ট্রেন যোগাযোগের যে মেলবন্ধন শুরু হলো সেটি নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য সুখের খবর। তবে খুলনার মানুষ হিসেবে আমাদের দাবি- এই রুটটা যেন আরও শর্ট করা, ট্রেনের বগির সংখ্যা বাড়ানো ও ভাড়া কমানোর বিষয়ে কর্তৃপক্ষ যেন সিদ্ধান্ত নেয় সেই প্রত্যাশা করছি।
খুলনা রেল স্টেশনের মাস্টার মাসুদ রানা বলেন, খুলনা থেকে ঢাকাগামী আন্ত:নগর সুন্দরবন এক্সপ্রেস রুট পরিবর্তন করে পোড়াদাহ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, ভাঙা হয়ে পদ্মাসেতু দিয়ে ঢাকা যাচ্ছে। নতুন এই রুট পরিবর্তনের ফলে পূর্বের তুলনায় যাত্রী সংখ্যা বাড়বে। একইসঙ্গে সময় কমবে অন্তত ২ ঘণ্টা। বুধবার ২২৫ জন যাত্রী নিয়ে খুলনা ছেড়েছে ট্রেনটি।
তিনি জানান, খুলনা থেকে রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে সুন্দরবন ট্রেনটি ছেড়ে যাবে। আর ঢাকায় পৌঁছাবে ভোর ৫টা ১০ মিনিটে। অপরদিকে ঢাকা থেকে সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে ৩টা ৫০ মিনিটে খুলনায় এসে পৌঁছাবে। নতুন এই রুটে ট্রেন চলাচলের খবরে যাত্রীদের আগ্রহ বেড়েছে।
তার দেওয়া তথ্যমতে, সুন্দরবন ট্রেনটি ১৩টি কোচ নিয়ে যাতায়াত করবে। রাতে খুলনা থেকে ঢাকাগামী সুন্দরবন ট্রেনের মোট আসন সংখ্যা ৮৬০টি। এর মধ্যে শোভন চেয়ার ৪৯২টি, এসি বার্থ ৪৮টি ও স্নিগ্ধা ৩২০টি। আর ঢাকা থেকে খুলনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা ট্রেনের আসন সংখ্যা ৯০৮টি। এরমধ্যে শোভন চেয়ার ৪৯২টি, এসি সিট ৯৬টি ও স্নিগ্ধা ৩২০টি।
এদিকে খুলনা থেকে ঢাকা পর্যন্ত সুন্দরবন আন্ত:নগর ট্রেনের ভাড়া (ভ্যাট ছাড়া) ধরা হয়েছে- শোভন চেয়ার শ্রেণীর ভাড়া ৫০০ টাকা, প্রথম সিট শ্রেণীর ভাড়া ৬৬৫ টাকা, প্রথম বার্থ শ্রেণীর ভাড়া ৯৯৫ টাকা, স্নিগ্ধা শ্রেণীর ৮৩০ টাকা, এসি সিট শ্রেণীর ভাড়া ৯৯৫ টাকা ও এসি বার্থ শ্রেণির ভাড়া ১ হাজার ৪৯৫ টাকা।
খুলনায় নিখোঁজের ২ দিন পর যুবকের লাশ উদ্ধার
খুলনায় নিখোঁজ হওয়ার দুই দিন পর সুমন নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকাল পৌনে দশটার দিকে জেলার দৌলতপুর থানার মহেশ্বরপাশা উত্তর বনিক পাড়া এলাকার একটি পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: নাটোরের বাগাতিপাড়ায় রেললাইনের পাশ থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
জানা যায়, পারিবারিক কলহের কারণে শনিবার বাড়ি থেকে বের হয় সুমন। দুই দিন অতিবাহিত হলেও সে আর ঘরে ফেরেনি। সোমবার ছেলেকে পাওয়া যাচ্ছে না মর্মে সুমনের মা দৌলতপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। সাধারণ ডায়েরি করার একদিন পরেই মঙ্গলবার সকালে তার লাশ উদ্ধার করে।
অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) সোনালী সেন, দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তঅ (ওসি) কামাল হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, নিহতের কারণ সম্পর্কে এখনও কিছু বলা যাচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে ব্যবসায়ী যুবকের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার
ময়মনসিংহের ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
দেশব্যাপী অবরোধ: খুলনা থেকে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ
বিএনপি, জামায়াত ও সমমনা দলগুলোর ডাকা অবরোধের প্রথম দিন খুলনা থেকে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দূর পাল্লার রুটের বিলাশবহুল বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
তবে আন্তঃজেলা রুটগুলোতে বাস চালানোর চেষ্টা করছেন মালিক-শ্রমিকরা। যাত্রী কম থাকায় সেগুলোও সময়মতো ছেড়ে যাচ্ছে না।
খুলনা থেকে ঢাকাসহ অন্যান্য রুটের ট্রেনগুলো সময়মতো ছেড়ে গেছে। বাস টার্মিনালসহ নগরীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের অবস্থান করতে পান ইউএনবির প্রতিনিধি।
আরও পড়ুন: দেশব্যাপী বিরোধী দলগুলোর ৩ দিনের অবরোধ চলছে
মঙ্গলবার সকালে নগরীর সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনালে দেখা গেছে, প্রতিদিনের স্বাভাবিক সেই কোলাহল নেই। টার্মিনাল মোড় অনেকটা ফাঁকা। আন্তঃজেলা রুটের কয়েকটি বাস মোড়ে দাঁড়িয়ে যাত্রী ডাকছে। কিন্তু যাত্রী স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক কম।
কাউন্টারগুলোতে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, সোহাগ, ঈগল, গ্রীনলাইন, সৌদিয়াসহ বিশালবহুল বাসগুলোর যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। ঢাকা রুটের টুঙ্গিপাড়া, ইমাদ, ফাল্গুনী পরিবহনের এসি বাসের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। ভোরে পরিবহনগুলোর নন-এসি কয়েকটি বাস ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। দিনের অন্যান্য সময়ের বাসেরও টিকিট বিক্রি করছেন তারা।
আন্তঃজেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সোনা জানান, বাস চালানোর জন্য মালিকদের নির্দেশনা রয়েছে। তবে যাত্রী কম থাকায় বাস কিছুটা কম চলছে।
আরও পড়ুন: ৩ দিনের অবরোধে যানবাহন চালানোর সিদ্ধান্ত মালিক সমিতির
খুলনায় বাসের ধাক্কায় পুলিশ সদস্যের মৃত্যু
খুলনার ডুমুরিয়ায় পরিবহনের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী খুলনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সদস্য শাহ আলম নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় চালক জুয়েল মিয়া গুরুতর আহত হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের ডুমুরিয়া থানাধীন বরাতিয়া বিশ্বাস বাড়ি মোড়ে টার্নিংয়ে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে অটোরিকশা চালকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, চুকনগর থেকে মোটরসাইকেলে করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সদস্য শাহ আলম ও বটিয়াঘাটা এলাকার জুয়েল মিয়া খুলনার দিকে যাচ্ছিলেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা বেপরোয়া গতির (ঢাকা মেট্রো-ব-১৫-৩৮৫৫) যাত্রীবাহী ইমাদ পরিবহন মোটরসাইকেলটিকে সাজোরে ধাক্কা দেয়। প্রচণ্ড আঘাতে মোটরসাইকেলটি ভেঙে চুরে দুমড়ে-মুচড়ে রাস্তার পাশে খাদে ছিটকে পড়ে। এ সময় মোটরসাইকেল আরোহী শাহ আলম ও চালক জুয়েল মিয়ার মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ ভেঙে ফেটে রক্তাক্ত জখম হয়।
পরে খবর পেয়ে ডুমুরিয়া ফায়ার সার্ভিসের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক পুলিশ সদস্যকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
হাইওয়ে থানায় উপপরিদর্শক (এসআই) পারভেজ মুন্সী জানান, খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে বাসটির পিছু নিয়ে আটক করতে সক্ষম হই। ক্ষতিগ্রস্ত মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
খুলনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসির উদ্দিন জানান, মুর্মূর্ষ অবস্থায় আহতদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার কিছুক্ষণ পর পুলিশ সদস্য শাহ আলমের মৃত্যু হয়। আহত জুয়েল মিয়ার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে ব্যবসায়ী যুবকের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার
বোনের বাড়ির উঠান থেকে যুবকের হাত-পা ভাঙা লাশ উদ্ধার