খুলনা
খুলনায় আওয়ামী লীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা
খুলনার দিঘলিয়ায় এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে। রবিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার চন্দনীমহল গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত ইয়াসিন শেখ (৪৫) ওই গ্রামের মোল্লাপাড়ার নিজাম শেখের ছেলে।
এলাকাবাসী সূত্র জানায়, রাতের কোনও একসময়ে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দিঘলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় যুবককে কুপিয়ে হত্যা
নিহতের পরিবারের দাবি, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় তিনি নিহত হয়েছেন। রাতে কে বা কারা তাকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। নিহত ইয়াসিন স্থানীয় নৌকা প্রার্থীর সমর্থক ছিলেন।
দিঘলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিপন কুমার সরদার জানান, দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান শুরু হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যুবককে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২
করোনায় খুলনা জেলায় ১১ মৃত্যু
খুলনার চারটি হাসপাতালে করোনায় শনিবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে রবিবার সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
খুলনা করোনা হাসপাতালে পাঁচ জন, শহীদ শেখ আবু নাসের হাসপাতালে দুই, খুলনা জেনারেল হাসপাতালে এক ও গাজী মেডিকেল হাসপাতালে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে।
খুলনা ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজশাহী মেডিকেলে করোনায় আরও ১১ মৃত্যু
হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১১০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি ও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন আট জন করে।
খুলনার শহীদ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. প্রকাশ দেবনাথ জানান, হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন ৪১ জন। গত ২৪ ঘন্টায় ভর্তি হয়েছেন পাঁচ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন চার জন।
খুলনা জেনারেল হাসপাতালের ৮০ শয্যার করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. কাজী আবু রাশেদ জানান, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৩৫ জন, তার মধ্যে ২০ জন পুরুষ ও ১৫ জন নারী। গত ২৪ ঘন্টায় ভর্তি হয়েছেন ৯ জন, আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭ জন।
আরও পড়ুন: করোনা ও উপসর্গে কুষ্টিয়ায় আরও ১৯ মৃত্যু
গাজী মেডিকেল হাসপাতালের স্বত্তাধিকারী ডা. গাজী মিজানুর রহমান জানান, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও ৭৬ জন। গত ২৪ ঘন্টায় ভর্তি হয়েছেন ১১ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন সাত জন।
খুলনায় কঠোরভাবে পালিত হচ্ছে লকডাউন
করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে শুরু হওয়া লকডাউনের দ্বিতীয় দিন খুলনায় বেশ কঠোরভাবে পালিত হচ্ছে। গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে।
সর্বাত্মকভাবে লকডাউন পালনের জন্য জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি মেট্রোপলিটন ও জেলা পুলিশ ব্যাপক তৎপর রয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনা: কুমিল্লায় আরও ১০ মৃত্যু, শনাক্ত ২০৯
শহর ঘুরে সরেজমিনে দেখা যায়, লকডাউন সর্বাত্মকভাবে পালনে বাধ্য করতে পাড়া-মহল্লা থেকে শুরু করে প্রধান সড়ক ও মোড়ে মোড়ে পুলিশ টহল দিচ্ছে। রাস্তায় পুলিশের টহল গাড়ি, পণ্যবাহী ট্রাক, রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহৃত সীমিত সংখ্যক যানবাহন ছাড়া তেমন যানবাহন চোখে পড়ছে না। পথে পথে ব্যারিকেড দেয়া হয়েছে। জরুরি কাজে কেউ বের হলেও পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
খুলনা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দেবাশীষ বসাক জানান, লকডাউনের নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তিনটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। যাদের সাথে রয়েছে বিজিবি ও এপিবিএন।
আরও পড়ুন: রামেকে করোনা কেড়ে নিলো আরও ২২ প্রাণ
খুলনা জেলা পুলিশ সুপার মো. মাহবুব হাসান বলেন, জেলাব্যাপী লকডাউন কার্যকর করতে জেলা পুলিশ, জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ সমন্বিতভাবে কাজ করছি। আমাদের সাথে সব সময় জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ জনগণ রয়েছেন। লকডাউন সফল করতে জেলার ৯ থানায় ২৯টি চেক পোস্ট বসানো রয়েছে। ৪১টি টহল গাড়ির টিম সমগ্র জেলায় কাজ করছে।
তিনি জানান, করোনা সংক্রমণ রোধে শুরু হওয়া দুই সপ্তাহব্যাপী লকডাউনের শেষ পর্যন্ত কঠোর অবস্থানে থাকবে খুলনা জেলা পুলিশ।
খুলনা বিভাগে করোনায় ৩০ মৃত্যু
খুলনা বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে শনাক্ত হয়েছে ৩৬১ জনের। এর আগে বৃহস্পতিবার বিভাগে ৪০ জনের মৃত্যু ও ২১৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
শুক্রবার বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
আরও পড়ুন: রামেকে করোনা কেড়ে নিলো আরও ২২ প্রাণ
স্বাস্থ্য পরিচালকের দপ্তর সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে কুষ্টিয়া জেলায়। বাকিরা খুলনায় ও যশোরে পাঁচ জন করে; মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গায় তিন জন করে; মাগুরায় ২ জন ও ঝিনাইদহে একজন মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে করোনা ও উপসর্গে আরও ১০ মৃত্যু
খুলনা বিভাগের মধ্যে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় চুয়াডাঙ্গায় গত বছরের ১৯ মার্চ। করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বিভাগের ১০ জেলায় মোট শনাক্ত হয়েছে ৮৫ হাজার ৫৩৫ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২ হাজার ৯৩ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫৯ হাজার ১১৫ জন।
করোনা: খুলনায় আরও ৭ জনের মৃত্যু
খুলনার পাঁচটি হাসপাতালে গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
খুলনা ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালে দুজন, শহীদ শেখ আবু নাসের হাসপাতালে একজন, খুলনা জেনারেল হাসপাতালে একজন, বেসরকারি সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজন এবং গাজী মেডিকেল হাসপাতালের দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: রামেকে করোনায় মৃত্যুর মিছিলে আরও ২২ প্রাণহানি
খুলনা ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ডাঃ সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, হাসপাতালে গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১২১ জন। গত ২৪ ঘন্টায় ভর্তি হয়েছেন ৫ জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ী ফিরেছেন ৪ জন।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় মোট আক্রান্ত প্রায় ১৯ কোটি ২৫ লাখ
খুলনার শহীদ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের মুখপাত্র ডা. প্রকাশ দেবনাথ জানান, হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন ৪৫ জন। তার মধ্যে আইসিইউতে রয়েছে ১০ জন।
খুলনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. কাজী আবু রাশেদ জানান, চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৩৮ জন, তার মধ্যে ২২ জন পুরুষ ও ১৬ জন মহিলা। গত ২৪ ঘন্টায় ভর্তি হয়েছেন ৫ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১০ জন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় করোনা জটিলতায় আরও ১৭ মৃত্যু
সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে বর্তমানে ৫৮জন ভর্তি রয়েছেন। গত ২৪ ঘন্টায় ভর্তি হয়েছেন আটজন আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ছয়জন।
গাজী মেডিকেল হাসপাতালের স্বত্তাধিকারী ডাঃ গাজী মিজানুর রহমান জানান, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৬৫ জন। গত ২৪ ঘন্টায় ভর্তি হয়েছেন ১৪ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১০ জন।
খুলনা বিভাগে করোনায় ৪০ জনের মৃত্যু
খুলনা বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে শনাক্ত হয়েছে ২১৩ জনের। এর আগে বুধবার (২১ জুলাই) বিভাগে ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্বাস্থ্য পরিচালকের দফতর সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে কুষ্টিয়া জেলায়। বাকিদের মধ্যে খুলনায় ১০ জন, মেহেরপুরে ৮ জন, মাগুরায় ৪ জন, ঝিনাইদহ ও যশোরে ৩ করে মারা গেছেন।
পড়ুন: কাল থেকে শুরু কঠোর বিধিনিষেধ, বন্ধ থাকছে পোশাক কারখানা
বিশ্বে করোনা আক্রান্ত ১৯ কোটি ১৯ লাখ ছাড়াল
খুলনা বিভাগের মধ্যে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় চুয়াডাঙ্গায় গত বছরের ১৯ মার্চ। করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে আজ সকাল পর্যন্ত বিভাগের ১০ জেলায় মোট শনাক্ত হয়েছে ৮৫ হাজার ১৭৪ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২ হাজার ৬৩ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫৮ হাজার ১৩৫ জন।
খুলনার চার হাসপাতালে ১০ জনের মৃত্যু
খুলনার চারটি হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২১ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) সকাল ৮টা পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
খুলনা করোনা হাসপাতালে তিনজন, শহীদ শেখ আবু নাসের হাসপাতালের করোনা ইউনিটে একজন, বেসরকারি সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুজন এবং গাজী মেডিকেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
খুলনা ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
পড়ুন: কিশোরগঞ্জে করোনা ও উপসর্গে ১৫ জনের মৃত্যু
মৃত ব্যক্তিরা হলেন- খুলনার সোনাডাঙ্গা এলাকার হাসিনা বেগম (৭৫), ডুমুরিয়ার ফাতিমা খাতুন (৬৫) ও নড়াইল লোহাগড়ার হোসনেয়ারা বেগম (৪০)।
হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১১৬ জন। যার মধ্যে রেড জোনে ৪১ জন, ইয়েলো জোনে ৪২ জন, আইসিইউতে ২০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন একজন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৮ জন।
খুলনার আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. প্রকাশ দেবনাথ জানান, হাসপাতালে খালিশপুরের ১৮নং লাল হাসপাতাল রোডের শিরিন আক্তার (৬০) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন ৪৫ জন। তার মধ্যে আইসিইউতে রয়েছে ১০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৪ জন আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩ জন।
খুলনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. কাজী আবু রাশেদ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৪৪ জন। এর মধ্যে ২৩ জন পুরুষ ও ২১ জন মহিলা। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৪ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭ জন।
খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় দুজন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। মৃতরা হলেন- খুলনার রূপসা রাজাপুরের বাদশা মিয়া (৬৫) এবং খুলনা মহানগরীর টুটপাড়ার অনিমা রানী ঘোষ (৬৫)। হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ৫৭জন ভর্তি রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৪ জন আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭ জন।
পড়ুন: কুষ্টিয়ায় একদিনে আরও ১৪ মৃত্যু
বিশ্বে করোনা আক্রান্ত ১৯ কোটি ১৯ লাখ ছাড়াল
গাজী মেডিকেল হাসপাতালের স্বত্তাধিকারী ডা. গাজী মিজানুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
মৃতরা হলেন- খুলনার নিরালা ১৬নং রোডের মো. আব্দুস সালাম (৬৬), নগরীর ৪৮-৬ আহসান আহম্মেদ রোডের মো. বদরুদ্দীন (৭৮), ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর তালশা এলাকার মো. মুনসুর (৭০)। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৬৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৫ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬ জন।
খুলনার পাঁচ হাসপাতালে আরও ১৩ জনের মৃত্যু
খুলনার পাঁচ হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৯ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার (২০ জুলাই) সকাল ৮টা পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১২ জন এবং উপসর্গ নিয়ে এক জনের মৃত্যু হয়েছে।
খুলনা ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালে পাঁচজন, শহীদ শেখ আবু নাসের হাসপাতালের করোনা ইউনিটে তিনজন, জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে একজন, খুলনা সিটি মেডিকেল হাসপাতালে তিনজন এবং গাজী মেডিকেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
খুলনা ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় চারজন ও উপসর্গ নিয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
পড়ুন: কোভিড-১৯: বিশ্বব্যাপী মৃত্যু প্রায় ৪১ লাখ
করোনায় মৃতরা হলেন খুলনার নগরীর ধর্মসভা এলাকার আব্দুর রশিদ (৬৭), খালিশপুর মুজগুন্নির মুক্তার শেখ (৯০), মিয়া পড়া এলাকার এটিএম আনিসুজ্জামান (৫৬) ও গিলাতলা এলাকার সুশান্ত দত্ত (৫৫)। এ ছাড়া উপসর্গে একজনের মৃত্যু হয়।
হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৩৬ জন। যার মধ্যে রেড জোনে ৫৪ জন, ইয়েলো জোনে ৪৫ জন, আইসিইউতে ২০ জন এবং এইচডিইউতে ১৭ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৩৪ জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫৮ জন।
খুলনার শহীদ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. প্রকাশ দেবনাথ জানান, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
মৃতরা হলেন খুলনার রূপসার আইচগাতি এলাকার জাহানারা (৬০), খুলনার অলক রায় (৫৪) ও নড়াইলের কালিয়ার কামাল মোস্তফা (৭২)।
পড়ুন: বাংলাদেশে করোনায় একদিনে নতুন মৃত্যুর রেকর্ড ২৩১
রামেকে করোনায় আরও ১৭ মৃত্যু
হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন ৪২ জন। তার মধ্যে আইসিইউতে রয়েছে ১০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৭ জন আর সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন পাঁচ জন।
খুলনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. কাজী আবু রাশেদ জানান, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাগেরহাটের কচুয়ার ফারজানা (৪৮) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৫২ জন। এর মধ্যে ২৫ জন পুরুষ ও ২৭ জন মহিলা। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ছয়জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৫ জন।
বেসরকারি গাজী মেডিকেল হাসপাতালের স্বত্বাধিকারী ডা. গাজী মিজানুর রহমান জানান, হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দৌলতপুরের রাজন কুমার সাহা (৬০) নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে।
হাসপাতালের চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৭৮ জন। এর মধ্যে আইসিইউতে ৭ জন এবং এইচডিইউতে ৮ জন রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৭ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৭ জন। হাসপাতালের আরটিপিসিআর ল্যাবে ৩৭টি নমুনা পরীক্ষায় ২১ জনের করোনা শনাক্ত হয়।
এছাড়া খুলনা সিটি মেডিকেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন খুলনার বটিয়াঘাটার বিন্দু প্রকাশ গোলদার (৭০), রূপসার শাহজান ফকির (৬২) ও পিরোজপুরের প্রিয়াংকা(২৫)।
হাসপাতালের চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৬৮ জন। এর মধ্যে আইসিইউতে রয়েছেন ৭ জন এবং এইচডিইউতে ৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ১৭ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭ জন।
করোনা: খুলনায় আরও ৫২ মৃত্যু, শনাক্ত ১১৬৫
খুলনা বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ১৬৫ জন। এর আগে রবিবার বিভাগে ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে কুষ্টিয়া জেলায়। বাকিদের মধ্যে খুলনায় ১২, যশোরে ১১, মেহেরপুরে পাঁচ, ঝিনাইদহে তিন, বাগেরহাট, মাগুরা ও নড়াইলে দুই জন করে ও সাতক্ষীরায় একজন মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে করোনা ও উপসর্গে ৩ মৃত্যু
সোমবার সকাল পর্যন্ত বিভাগের ১০ জেলায় এনিয়ে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৮২ হাজার ৫৮৬ জন। মারা গেছেন ১ হাজার ৯৪৭ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫৪ হাজার ৪০৫ জন।
এদিকে, সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত খুলনার সরকারি-বেসরকারি চারটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে আরও ১৩ জন মারা গেছে। এর মধ্যে ১২ জন করোনায় মারা যান।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, হাসপাতালে ১৬৩ জন করোনা ও উপসর্গে ভর্তি রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ২৩ জন। আর ছাড়পত্র নিয়েছেন ৩১ জন। এ সময়ের মধ্যে মারা গেছেন সাত জন।
শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. প্রকাশ চন্দ্র দেবনাথ জানান, সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত হাসপাতালে ৪৩ জন করোনা রোগী ভর্তি ছিলেন। আর গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন চার জন। আর ছাড়পত্র নিয়েছেন দুই জন। মারা গেছেন দুই জন।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে করোনায় ২৪ ঘণ্টায় ৩ মৃত্যু
খুলনা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিট মুখপাত্র ডা. কাজী আবু রাশেদ জানান, হাসপাতালে ৬২ জন করোনা রোগী ভর্তি রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ১২ জন। আর ছাড়পত্র নিয়েছেন ১৫ জন। মারা গেছেন একজন।
বেসরকারি গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কোভিড ইউনিটের মুখপাত্র ডা. গাজী মিজানুর রহমান জানান, সকাল ৯টা পর্যন্ত ৮৯ জন করোনা রোগী ভর্তি রয়েছেন। ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ১৫ জন, সুস্থ হয়েছেন ১৭ জন। আর মারা গেছেন তিন জন।
খুলনায় সিআইডি ইন্সপেক্টরের করোনায় মৃত্যু
করোনা আক্রান্ত হয়ে খুলনা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ইন্সপেক্টর মো. শহিদুল ইসলাম শাহিন মারা গেছেন।
সোমবার ভোর ৪টার দিকে ঢাকার সেন্ট্রাল পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
মৃত মো. শহিদুল ইসলাম শাহিন (৫৭) পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার মাটিভাঙ্গা ইউনিয়নের বাসিন্দা ও নাজিরপুর উপজেলা পরিষদের প্রথম উপজেলা চেয়ারম্যান মরহুম আব্দুস সত্তারের ছেলে ও চার সন্তানের বাবা। তিনি খুলনা জেলা সিআইডি পুলিশের ইন্সপেক্টর হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
আরও পড়ুন: করোনায় মারা গেলেন বিএনপি নেতা রুহুল আমিন চৌধুরী
তার মেঝো ভাই নাজিরপুর উপজেলার মাটিভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাহিদুল ইসলাম বিলু জানান, শাহিন গত ২২ জুন থেকে করোনা উপসর্গ নিয়ে অসুস্থ ছিলেন। পরে তার নমুনা পরীক্ষা করালে করোনা ধরা পড়ে। প্রথমে তাকে খুলনা গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার সেন্ট্রাল পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তার মৃত্যুতে পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী শ.ম. রেজাউল করিম গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: করোনায় মারা গেলেন আ’ লীগের সংসদ সদস্য সামাদ