খুলনা
খুলনায় বিএনপি কার্যালয়ে আগুন
বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর ডাকা দেশব্যাপী হরতাল চলাকালে খুলনা মহানগরীর বৈকালীতে বিএনপি কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসকে আগুন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে দেশব্যাপী হরতাল চলাকালে বাসে আগুন
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ৫০-৬০ জনের একটি দল ১৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।
আগুনে অফিসের আসবাবপত্র ও কাগজপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
খুলনায় ৪৮ ঘণ্টায় ২৫ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার: বিএনপি
বিএনপি বলেছে, ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে সামনে রেখে আজ সকাল পর্যন্ত ৪৮ ঘণ্টায় খুলনা জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে দল ও সহযোগী সংগঠনের ২৫ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
খুলনা বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য এহতেশামুল হক শাওন বলেন, মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে এ পর্যন্ত ২৫ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার সাইদুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে কাউকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা বিভিন্ন মামলার আসামি।
আরও পড়ুন: নয়াপল্টনেই বিএনপির সমাবেশ করতে হবে: রিজভী
১৮ অক্টোবর সরকারের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনের চূড়ান্ত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশের ঘোষণা দেয় বিএনপি।
নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: কোনো কিছুই ২৮ অক্টোবরের বিএনপির সমাবেশ বন্ধ করতে পারবে না: ফখরুল
গ্রেপ্তার-তল্লাশির ক্ষমতা আনসারদের দেওয়ার সরকারের উদ্যোগ প্রত্যাখান বিএনপির
ঘূর্ণিঝড় হামুন: খুলনায় ৬০৪টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত
ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ মোকাবিলায় খুলনায় প্রস্তুত রয়েছে ৬০৪টি সাইক্লোন শেল্টার। এসব সাইক্লোন শেল্টারে ৩ লাখ ১৫ হাজার ১৮০ জন মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন। এছাড়া প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে প্রায় ৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে।
কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে নিজ নিজ কর্মস্থলে থাকার জন্য বলা হয়েছে। প্রস্তত রাখা হয়েছে শুকনো খাবার ও ওষুধ। প্রস্তত রয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ড।
খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন বলেন, মঙ্গলবার সকালে অনলাইনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার জন্য ৬০৪টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যাতে পরিস্থিতি অনুযায়ী ঝুঁকিপূর্ণ লোকজন সেখানে আশ্রয় নিতে পারে। এসব সাইক্লোন শেল্টারে মোট ৩ লাখ ১৫ হাজার ১৮০ জন মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন। এছাড়া ৩টি মুজিব কিল্লায় ৪৩০ জন মানুষ আশ্রয় ও ৫৬০টি গবাদি পশু রাখা যাবে।
আরও পড়ুন: ঝুঁকিপূর্ণ ১০ জেলার মানুষকে রাত ৮টার মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বলা হয়েছে: প্রতিমন্ত্রী
তিনি জানান, কয়রা, দাকোপ ও পাইকগাছা উপজেলায় ৫ হাজার ২৮০ জন স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে। এছাড়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে নিজ নিজ কর্মস্থলে থাকার জন্য বলা হয়েছে।
খুলনা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ আমিরুল আজাদ জানান, বর্তমানে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের যে গতিপথ আছে তা পরিবর্তন না হলে আপাতত ঘূর্ণিঝড় খুলনা উপকূলে আঘাত হানার আশঙ্কা নেই। তবে ঝড়ের প্রভাবে দমকা বাতাস, ভারী বৃষ্টি ও নদীতে পানির উচ্চতা বাড়তে পারে।
তিনি আরও বলেন, সকাল থেকে খুলনার উপকূলীয় এলাকায় আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। কখনো রোদ, কখনো মেঘাচ্ছন্ন।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় হামুন: বাগেরহাটে ৪৪৬টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত
ঘূর্ণিঝড় হামুন: বরিশাল থেকে সব ধরনের লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা
রূপসায় জুটমিলে অগ্নিকাণ্ড, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কা
খুলনার রূপসায় আলাইপুর এলাকায় ভিশন এশিয়া জুটমিলে ভয়াবহ আগুন লাগে।
শনিবার (২১ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টায় জুটমিলের পূর্ব-উত্তর কোণা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো না জানা গেলেও বড় অংকের ক্ষতি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে গ্যাস লিকেজ থেকে অগ্নিকাণ্ডে শিশুসহ দম্পতি দগ্ধ
ভিশন এশিয়া জুটমিল খুলনা অঞ্চলের একটি বড় পাটজাত পণ্য প্রক্রিয়া করার কারখানা। এখানে পাট থেকে সুতা ও চটজাত মালামাল উৎপাদন করা হয়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর সাড়ে ১২টায় জুটমিলের পূর্ব-উত্তর কোণায় বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে পাট প্রক্রিয়া করার প্রথম শেডে আগুনের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস এবং আশপাশের লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।
খুলনা ফায়ার সার্ভিসের সহাকরী পরিচালক মো. ফারুক শিকদার জানান, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে খুলনা সদর, রূপসা ও তেরখাদার ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় অগ্নিকাণ্ডে ২ জনের মৃত্যু
খুলনায় ইজিবাইক চাপায় প্রাণ গেল শিশুর
খুলনার পাইকগাছার কপিলমুনিতে মামার বিয়েতে বেড়াতে এসে ইজিবাইকের চাকায় পিষ্ট হয়ে সামিম ইসলাম (৬) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (২১ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার কপিলমুনির ভৈরবঘাটায় এ ঘটনা ঘটে। শিশু সামিম পাশ্ববর্তী ডুমুরিয়া উপজেলার নরনিয়া গ্রামের মো. ইসলামের ছেলে।
আরও পড়ুন: চালককে হত্যার পর ইজিবাইক ছিনতাইয়ের চেষ্টা, খুলনায় আটক ২
ঘটনার পর স্থানীয়রা ইজিবাইকটি জব্দ করলেও চালক পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, শিশু সামিম তার মামার বিয়ে উপলক্ষে ভৈরবঘাটায় আসে। শনিবার সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে রাস্তা পার হওয়ার সময় দ্রুত গতির একটি ইজিবাইক তাকে ধাক্কা দিলে রাস্তার ওপর ছিটকে পড়ে। এ সময় ইজিবাইকের চাকা শিশু সামিমের মাথার ওপর দিয়ে চলে যায়। তাৎক্ষণিক স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য কপিলমুনি হাসপাতালে নিলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সামিমকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কওছার আলী জোয়াদ্দার জানান, খবর পেয়ে তিনিসহ স্থানীয় ইউপি সদস্য ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
পাইকগাছা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বিশ্বজিত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে চালককে হত্যা করে ইজিবাইক ছিনতাইয়ের অভিযোগ
চুয়াডাঙ্গায় ইজিবাইকের ধাক্কায় আইনজীবীর মৃত্যু
খুলনায় সড়ক দুর্ঘটনায় চা বিক্রেতা নিহত
খুলনায় সড়ক দুর্ঘটনায় এক চা বিক্রেতা নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে মহানগরীর খানজাহান আলীর থানার শিরোমনিতে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত তুহিন মুন্সী (৩৩) শিরোমনি বাজারের একজন চা বিক্রেতা ছিলেন।
আরও পড়ুন: মাগুরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, অহত ৬
খুলনা মহানগরীর খানজাহান আলীর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বাবুল মিয়া জানান, তুহিন মুন্সীর নিজস্ব ব্যবসায়ী কর্মস্থল চায়ের দোকান থেকে সাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিলেন। ইউনিয়ন পরিষদের সামনে পৌঁছালে হানিফ পরিবহনের একটি বাস পেছন থেকে সাইকেলে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরও জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ট্রেনে কাটা পড়ে একজন নিহত
ফরিদপুরের ভুবনেশ্বর নদ থেকে বিলুপ্তপ্রায় কুমির উদ্ধার
ফরিদপুরের ভুবনেশ্বর নদ থেকে মিঠাপানির বিলুপ্ত প্রায় একটি কুমির উদ্ধার করেছে বন বিভাগের প্রাণী সম্প্রসারণ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের খুলনা অঞ্চলের উদ্ধারকারী দল।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে ফরিদপুর সদরের আলিয়াবাদ ইউনিয়নের গজারিয়ায় ভুবনেশ্বর নদ থেকে কুমিরটি উদ্ধার করা হয়। কুমিরটি প্রায় ৭ ফুট লম্বা।
উদ্ধারকারী দলটি মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) বিকালেই কুমিরটি নিয়ে সড়কপথে সুন্দরবনের করমজল বণ্যপ্রাণী উদ্ধার কেন্দ্রের উদ্দেশে রওনা হয়।
জানা গেছে, গত বুধবার (১১ অক্টোবর) বিকালে চরভদ্রাসন উপজেলার গাজীরটেক ইউনিয়নের শিকদারডাঙ্গী গ্রামের ভুবনেশ্বর নদে প্রথম কুমিরটি দেখা যায়। বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টার মধ্যে কুমিরটি কয়েকবার ভেসে ওঠে। এতে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: একদিন পর কুড়িগ্রামের চিলমারী নৌবন্দরে ফেরি চলাচল শুরু
আলিয়াবাদ ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. বকলুকার রহমান বলেন, কুমির দেখার খবর পেয়ে আমরা থানা ও বন বিভাগকে বিষয়টি জানাই। স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকার মানুষকে সতর্ক করে। এলাকার মসজিদ থেকে মাইকিং করেও সতর্ক করা হয়।
খুলনা প্রাণী সম্প্রসারণ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের প্রাণী বিশেষজ্ঞ মফিদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, কুমিরটি উদ্ধারে রবিবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে ফরিদপুরের সদর উপজেলার পাটপাশা এলাকায় পরিদর্শনে যায় উদ্ধারকারী দল। তবে সেখানে কুমিরের কোন সন্ধান মেলেনি। পরে মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে গজারিয়ায় ব্রিজের নিকট ভুবনেশ্বর নদে কুমিরটি দেখতে পেয়ে উদ্ধার করা হয়।
মফিদুল ইসলাম আরও জানান, উদ্ধার করা কুমিরটি মিঠাপানির বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির কুমির। কুমিরটি প্রথমে সুন্দরবনের করমজল বণ্যপ্রাণী উদ্ধার কেন্দ্রে নেওয়া হবে। পরে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরামর্শ করে এ ব্যাপারে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০২১ সালের ৯ আগস্ট ফরিদপুর সদরের নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নে পদ্মা নদীর সঙ্গে সংযুক্ত একটি খাল থেকে আরও একটি মিঠাপানির কুমির উদ্ধার করা হয়। পরে কুমিরটিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে পাঠায় প্রাণী সম্প্রসারণ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ।
২০০০ সালে পরিবেশ সংরক্ষণ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনসারভেশন অব নেচার’- বাংলাদেশে স্থানীয়ভাবে মিঠা পানির কুমির বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে।
আরও পড়ুন: পশুর নদীতে সিমেন্টের ক্লিংকারবোঝাই লাইটার জাহাজডুবি
ভোলায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরায় ৩৪ জেলে গ্রেপ্তার
খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০ম দিনের মতো শিক্ষকদের কর্মবিরতি
খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) দশম দিনের মতো কর্মবিরতিতে আছেন।
অবিলম্বে ৭৩ জন শিক্ষকের নিয়োগ সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৯ জন শিক্ষকের প্রমোশন নিশ্চিত করা এবং তাদের অর্থনৈতিক ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করার জন্য শিক্ষকরা গত ৭ অক্টোবর এক মানববন্ধন থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ঘোষণা দেন। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত স্থগিত আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ক্লাস ও পরীক্ষা।
এছাড়া, ১৫ অক্টোবর শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় ১৬ অক্টোবর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাসের ডিন ও বিভাগীয় অফিসের কাজ বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: নিয়োগে অনিয়ম: খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসির বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত শুরু
গত ৩ আগস্ট ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৩ জন শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলের ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। যা পরে একটি বিশেষ কমিটির মাধ্যমে পুণর্মূল্যায়ন করা হয়।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মো. আশিকুল আলম বলেন, ‘পুণর্মূল্যায়ন কমিটি ৭৩ জনের ফাইল ও নিয়োগের বৈধতা যাচাই করেছে। দুই মাস ধরে প্রতিবেদনটি মন্ত্রণালয়ে পড়ে আছে। ফলে আমরা প্রতিনিয়ত সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হচ্ছি এবং হতাশায় ভুগছি। অবিলম্বে শিক্ষকদের এই সমস্যা নিরসনের জন্য আকুল আবেদন জানাচ্ছি।’
এদিকে এই সমস্যার প্রেক্ষিতে দীর্ঘ ১১ মাস স্থগিত আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৯ জন প্রভাষকের পদয়োন্নয়ন।
খুকৃবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. আসাদুজ্জামান জানান, ‘আসলে কয়েকজন ব্যক্তি এই জটিলতা সৃষ্টির জন্য দায়ী। আমাদের ৩৯ জন শিক্ষকের পর্যায়োন্নয়ন হচ্ছে না এই জটিলতার জন্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন থেকে শুরু করে মন্ত্রণালয়ের কর্তাব্যক্তিরা আমাদের এই সমস্যাটাকে খুব একটা আমলে নিচ্ছেন না।’
শিক্ষকেরা জানান, তারা শিক্ষা কার্যক্রমে বিঘ্ন করতে চান না এবং এজন্যই তারা নানা সমস্যার মধ্যেও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস বা পরীক্ষা চলমান রেখে চলেছেন। কিন্তু তারা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সমস্যা নিরসনের জন্য কোন দৃশ্যমান পদক্ষেপ লক্ষ্য করছেন না, যা শিক্ষকদের মধ্যে চরম হতাশা সৃষ্টি করেছে। তাই অবিলম্বে এর সমাধান ও শিক্ষকদের পর্যায়োন্নয়ন না দিলে তারা ক্লাসে ফিরবেন না।
এ পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক একযোগে কর্মবিরতিতে যাওয়ায় স্থবির হয়ে আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম। এই পরিস্থিতি দীর্ঘ হলে সেশনজটের সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: দুদকের চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়া ৪৭৩ নথি আদালতে দাখিলের নির্দেশ
তাকসিমের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে দুদককে পদক্ষেপ জানাতে বলেছেন হাইকোর্ট
পশুর নদীতে সিমেন্টের ক্লিংকারবোঝাই লাইটার জাহাজডুবি
বাগেরহাটের মোংলার কাইনমারী এলাকায় পশুর নদীতে ৮০০ মেট্রিক টন সিমেন্টের ক্লিংকারবোঝাই (কাঁচামাল) একটি লাইটার জাহাজ ডুবে গেছে।
রবিবার (১৫ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টায় খুলনার রূপসা নদীর পাড়ে সেভেন রিংস সিমেন্ট কারখানার উদ্দেশে যাওয়ার সময় পশুর নদীর কাইনমারী পয়েন্টে ১০ জন নাবিকসহ ‘এমভি আনমোনা-২’ নামের জাহাজটি ডুবে যায়।
এ সময় জাহাজের সব নাবিক সাঁতার কেটে তীরে উঠতে সক্ষম হয়।
আরও পড়ুন: যশোরে ট্রাকচাপায় এনজিও কর্মকর্তা নিহত
লাইটারেজ জাহাজ শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি মাইনুল ইসলাম মিন্টু জানান, নদীতে প্রবল স্রোতের কারণে নোঙর ছিঁড়ে জাহাজটি ডুবে যায়।
ডুবে যাওয়া জাহাজটি উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলে একটি উদ্ধারকারী জাহাজ পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে সমুদ্রে ডুবে দুই বন্ধুর মৃত্যু
খুলনা-মোংলা রেলপথের উদ্বোধন ৯ নভেম্বর: রেলপথমন্ত্রী
খুলনা-মোংলা রেলপথের উদ্বোধন আগামী ৯ নভেম্বর হবে বলে জানিয়েছেন রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
তিনি বলেন, খুলনা-মোংলা রেলপথের উদ্বোধন আগামী ৯ নভেম্বর। এ ছাড়া রেলপথ বাংলাদেশের জাতীয় সম্পদ। যোগাযোগের অন্যতম সহজ ও নিরাপদ মাধ্যম হলো রেলপথ।
তিনি বলেন, সারাদেশকে রেলের আওতায় নিয়ে আসার জন্য রেলপথ সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়নের দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে সরকার। এই রেলপথ চালু হলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামবাসী না চাইলে সিআরবিতে হাসপাতাল হবে না: রেলপথমন্ত্রী
শনিবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে খুলনার ফুলতলা রেলওয়ে স্টেশন থেকে খুলনা-মোংলা রেলওয়ে প্রকল্পের অ্যালাইনমেন্ট (সেতু নম্বর-১০) পর্যন্ত এবং মোহাম্মদ নগর রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
রেলপথমন্ত্রী বলেন, ফুলতলা-মোংলা পর্যন্ত রেলপথ চালু হলে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত, নেপাল ও ভুটানের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে এবং মোংলা বন্দর ব্যবহার করে কম খরচে পণ্য আমদানি ও রপ্তানি করার সুযোগ হবে।
তিনি বলেন, এতে করে সরকারের রাজস্ব বাড়বে, নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং বিকাশ ঘটবে পর্যটন শিল্পের। রূপসা নদীর ওপর ৫ দশমিক ১৩ কিলোমিটার দৈর্ঘে্যর রেলসেতুর কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে। ফুলতলা-মোংলা রেলপথ এর ৯৮ দশমিক ০৫ শতাংশের কাজ শেষ হয়েছে, বাকি কাজ আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে শেষ হবে এবং আগামী ৯ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর উদ্বোধন করবেন।
এসময় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর, প্রকল্প পরিচালক মো. আরিফুজ্জামান, খুলনার ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মুকুল কুমার মৈত্র, উপপ্রকল্প পরিচালক (চিফ ইঞ্জিনিয়ার) আহমেদ হোসেন মাসুম, খুলনার অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (প্রকল্প) মো. আরিফুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ধর্ম নিয়ে অপপ্রচার চালিয়ে সরকারকে বিপদে ফেলার চেষ্টা: রেলপথমন্ত্রী
আধুনিক রেলওয়ে ব্যবস্থা করতে চান প্রধানমন্ত্রী: কুড়িগ্রামে রেলপথমন্ত্রী