খুলনা
খুলনা-মোংলা রেলপথের উদ্বোধন ৯ নভেম্বর: রেলপথমন্ত্রী
খুলনা-মোংলা রেলপথের উদ্বোধন আগামী ৯ নভেম্বর হবে বলে জানিয়েছেন রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
তিনি বলেন, খুলনা-মোংলা রেলপথের উদ্বোধন আগামী ৯ নভেম্বর। এ ছাড়া রেলপথ বাংলাদেশের জাতীয় সম্পদ। যোগাযোগের অন্যতম সহজ ও নিরাপদ মাধ্যম হলো রেলপথ।
তিনি বলেন, সারাদেশকে রেলের আওতায় নিয়ে আসার জন্য রেলপথ সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়নের দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে সরকার। এই রেলপথ চালু হলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামবাসী না চাইলে সিআরবিতে হাসপাতাল হবে না: রেলপথমন্ত্রী
শনিবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে খুলনার ফুলতলা রেলওয়ে স্টেশন থেকে খুলনা-মোংলা রেলওয়ে প্রকল্পের অ্যালাইনমেন্ট (সেতু নম্বর-১০) পর্যন্ত এবং মোহাম্মদ নগর রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
রেলপথমন্ত্রী বলেন, ফুলতলা-মোংলা পর্যন্ত রেলপথ চালু হলে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত, নেপাল ও ভুটানের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে এবং মোংলা বন্দর ব্যবহার করে কম খরচে পণ্য আমদানি ও রপ্তানি করার সুযোগ হবে।
তিনি বলেন, এতে করে সরকারের রাজস্ব বাড়বে, নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং বিকাশ ঘটবে পর্যটন শিল্পের। রূপসা নদীর ওপর ৫ দশমিক ১৩ কিলোমিটার দৈর্ঘে্যর রেলসেতুর কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে। ফুলতলা-মোংলা রেলপথ এর ৯৮ দশমিক ০৫ শতাংশের কাজ শেষ হয়েছে, বাকি কাজ আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে শেষ হবে এবং আগামী ৯ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর উদ্বোধন করবেন।
এসময় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর, প্রকল্প পরিচালক মো. আরিফুজ্জামান, খুলনার ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মুকুল কুমার মৈত্র, উপপ্রকল্প পরিচালক (চিফ ইঞ্জিনিয়ার) আহমেদ হোসেন মাসুম, খুলনার অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (প্রকল্প) মো. আরিফুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ধর্ম নিয়ে অপপ্রচার চালিয়ে সরকারকে বিপদে ফেলার চেষ্টা: রেলপথমন্ত্রী
আধুনিক রেলওয়ে ব্যবস্থা করতে চান প্রধানমন্ত্রী: কুড়িগ্রামে রেলপথমন্ত্রী
খুলনার ময়ূর নদে হাতিরঝিলের আদলে হবে সেতু
খুলনা মহানগরীর অন্যতম প্রবেশদ্বার গল্লামারীতে নির্মিত হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন সেতু। বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) ময়ূর নদের উপর রাজধানীর হাতিরঝিলের আদলে দৃষ্টিনন্দন এই সেতুর নির্মাণকাজের উদ্বোধন করা হয়েছে।
সেতুর নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ সিটির ৯ স্থাপনাকে লাখ টাকা জরিমানা
খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. হেলাল মাহামুদ শরীফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন- সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ), খুলনার অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ আসলাম আলী।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন খুলনা জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফিন, খুলনা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
সড়ক ও জনপথ সূত্রে জানা যায়, যানবাহনের চাপ বাড়ায় খুলনা মহানগরীর প্রবেশদ্বার ময়ূর নদের ওপর থাকা ব্রিটিশ আমলের একটি সেতুর পাশে ২০১৬ সালে আরেকটি নতুন সেতু নির্মাণ করা হয়।
দ্বিতীয় সেতুটি নির্মাণের পর থেকেই পানির স্তর থেকে সেতুটির উচ্চতা নিয়ে শঙ্কা দেখা দেয়। পাশাপাশি খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার কাজ শুরু হলে দুটি সেতুই ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ময়ূর নদে পাশাপাশি নতুন ও পুরোনো দুটি সেতু রয়েছে। এ দুটি সেতু ভেঙে রাজধানীর হাতিরঝিলের আদলে দৃষ্টিনন্দন দুটি নতুন সেতু নির্মাণ করা হবে। প্রথমে পুরোনো সেতুটি ভেঙে সেখানে নতুন নির্মাণ কাজ শুরু হবে।
এটির কাজ শেষ হলে পাশাপাশি থাকা অপর সেতুটি ভেঙে নতুন আরেকটি সেতু নির্মাণ করা হবে। দৃষ্টিনন্দন স্টিল আর্চ ডিজাইনের সেতু দুটির প্রতিটির দৈর্ঘ্য হবে ৬৮ দশমিক ৭০ মিটার ও প্রস্থ ১৩ দশমিক ৭০ মিটার। সেতু দুটি নির্মাণে ব্যয় হবে প্রায় ৬৮ কোটি টাকা। নদীর পানির সীমা থেকে সেতুর উচ্চতা হবে পাঁচ মিটার।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসির মশকবিরোধী অভিযান: দ্বিতীয় দিনে ৬ লাখ টাকার বেশি জরিমানা আদায়
ডিএসসিসির মশকনিধন অভিযানে ৩ লাখ ৭৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায়
খুলনা-মোংলা রেল প্রকল্পের ৯৯% কাজ শেষ
খুলনা-মোংলা রেল প্রকল্পের কাজের ৯৯ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি কাজ দ্রুত শেষ করতে চলছে তোড়জোড়। আর এ কাজ শেষে চলতি অক্টোবরেই এই রেললাইনে ট্রেন ট্রায়াল দেওয়া হবে।
আর এ লাইনের উদ্বোধন হবে আগামী ৯ নভেম্বর। ওই দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থেকে এই রেলপথ উদ্বোধন করবেন। প্রধানমন্ত্রী খুলনার সার্কিট হাউজ ময়দানে নির্বাচনী জনসভায় ভাষণও দেবেন।
খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা বলেন, ৯ নভেম্বর খুলনা-মোংলা রেললাইন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আগামী নির্বাচন উপলক্ষে খুলনার সার্কিট হাউজ মাঠে নির্বাচনী জনসভায় ভাষণও দেবেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামসহ অন্যান্য শহরগুলোর জন্যও মেট্রো-রেল প্রকল্প বিবেচনা করবে সরকার
খুলনা-মোংলা বন্দর রেললাইন প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী আহমেদ হোসেন মাসুম বলেন, ৯ নভেম্বর এই রেললাইন উদ্বোধন করার ঘোষণা দিয়েছেন মন্ত্রী। প্রকল্পের কাজ এখন শেষের দিকে। ৯৯ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। মোট ৯১ কিলোমিটার রেলপথের মধ্যে ৮৮ কিলোমিটার রেলপথ বসানো শেষ। আগামী ১০ দিনের মধ্যেই এ প্রকল্পের শতভাগ কাজ সম্পন্ন হবে।
তিনি বলেন, দ্রুততার সঙ্গে শতভাগ কাজ সম্পন্ন করে অক্টোবরেই ট্রেন ট্রায়াল দেবে। একাধিক ট্রায়াল হতে পারে।
এর আগে ২০২৩ সালের ৬ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যক্তিগত সফরে খুলনা সফরে এসেছিলেন। ওই সময় তিনি দিঘলিয়ার নগরঘাট এলাকায় তার মা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের নামে কেনা পাট গোডাউন পরিদর্শন করেন। এরও আগে প্রধানমন্ত্রী ২০১৮ সালের ৩ মার্চ খুলনায় এসেছেন। সে সময় খুলনার সার্কিট হাউজে জনসভায় ভাষণ দিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালে খুলনা-মোংলা রেললাইন প্রকল্প অনুমোদনের পর বিভিন্ন জটিলতায় নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে। ২০১৭ সালের ১৫ অক্টোবর রূপসা রেলসেতুর পাইলিংয়ের কাজ শুরু হয়। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিন ২৫ জুন সপ্তম ও শেষ স্প্যানটি বসে রূপসা রেলসেতুতে। সেতুর ভায়াডাক্টের ৮৫৬টি পাইল বসানো হয়েছে। মূল সেতুর পাইল ৭২টি, পাইল ক্যাপ ৮টি, বিয়ারিং ৩২টির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সেতুটির উপরিভাগ তৈরি করা হয়েছে স্টিলের গার্ডার এবং আরসিসি ডেকের সমন্বয়ে। রেলসেতুটি নির্মাণ করে লার্সেন এন্ড টার্বো এবং রেল লাইন নির্মাণের কাজ করে ইরকন ইন্টারন্যাশনাল।
নানান জটিলতায় পাঁচ দফায় মেয়াদ বাড়ে প্রকল্পটির। এখন কাজ একেবারেই শেষ পর্যায়ে। রূপসা নদীর ওপর ৫ দশমিক ১৩ কিলোমিটার রেলসেতুর পুরোটাই দৃশ্যমান। ৯১ কিলোমিটার রেললাইনের মধ্যে বসানো হয়েছে ৮৬ কিলোমিটার। ১১টি প্ল্যাটফর্মের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে।
এ ছাড়া শেষ হয়েছে ১০৭টি ছোট ব্রিজ ও ৯টি আন্ডারপাস। শেষ পর্যায়ে বিভিন্ন স্থানে রেলপথের ফিনিশিং, সিগনালিং ও টেলিকমিউনিকেশনের কাজ চলছে।
এদিকে প্রকল্পের খুলনার ফুলতলা থেকে লতার মোড় পর্যন্ত এবং অপর প্রান্তে মোংলা থেকে মোস্তফার মোড় পর্যন্ত ৮৬ কিলোমিটার রেলপথ বসানো সম্পন্ন হয়েছে। ৯১ কিলোমিটার রেললাইনের মধ্যে লতার মোড় থেকে মোস্তফার মোড় পর্যন্ত তিন কিলোমিটার রেলপথ বসানো বাকি আছে।
ভারতের ঋণ সহায়তা চুক্তির আওতায় খুলনা-মোংলা প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে দেশটির প্রতিষ্ঠান লার্সেন এন্ড টার্বো এবং ইরকন ইন্টারন্যাশনাল।
প্রকল্পে খরচ হচ্ছে চার হাজার ২৬০ কোটি টাকা। এ প্রকল্পে ভারতীয় লোন ২৯৪৮ কোটি টাকা। আর বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়ন রয়েছে ১ হাজার ৩১২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: পদ্মাসেতুর রেল প্রকল্প: আড়াই ঘণ্টায় যাতায়াত ঢাকা থেকে যশোর
মঙ্গলবার ঢাকা-টঙ্গী-জয়দেবপুর অংশে রেল প্রকল্প উদ্বোধন করবেন হাসিনা-মোদি
খুলনায় হরিণের মাংস জব্দ, পল্লী বিদ্যুতের ২ কর্মী গ্রেপ্তার
খুলনার কয়রায় বনবিভাগ ও কোস্ট গার্ডের যৌথ অভিযানে হরিণের গোশতসহ পল্লী বিদ্যুতের দুই কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শনিবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের ঘড়িলাল বাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের সামনে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারেরা হলেন- বাগেরহাট সদর উপজেলার ক্ষুদ্রচাকশ্রী গ্রামের পলাশ কুমার দাস এবং পিরোজপুর নাজিরপুরে মো. মিলন।
আরও পড়ুন: ঢাকা চিড়িয়াখানা থেকে বগুড়ায় নিয়ে যাওয়ার সময় ৪টি হরিণের মৃত্যু
এ সময় তাদের কাছ থেকে আট কেজি হরিণের গোশতসহ পল্লী বিদ্যুতের অফিসিয়াল কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
কোবাদক ফরেস্ট স্টেশনের স্টেশন কর্মকর্তা মো. মোবারক হোসেন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বনবিভাগ ও কোস্টগার্ডের যৌথ অভিযানে আট কেজি হরিণের গোশতসহ পল্লী বিদ্যুতের দুই কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ ব্যাপারে বন আইনে মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভোলায় ১৫ কেজি হরিণের মাংস জব্দ, গ্রেপ্তার ১
খুলনায় ১২০ কেজি হরিণের মাংস জব্দ, আটক ১
খুলনায় রং মিস্ত্রিকে হত্যার অভিযোগ, গ্রেপ্তার ৫
খুলনার সোনাডাঙ্গায় ইমন শেখ নামে এক রং মিস্ত্রিকে হত্যার ঘটনায় অস্ত্র ও গুলি জব্দসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) দিবাগত রাতভর নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে কবি রাধাপদ রায়ের ওপর হামলা, প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তাররা হলেন, নাজমুস সাকিব জাকারিয়া, রিয়াজ, বুলু পাটোয়ারী, আকাশ হাওলাদার ও আপন খাঁ।
এদিকে ইমন হত্যার ঘটনায় তার বাবা সানোয়ার হোসেন বৃহস্পতিবার রাতেই ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ চার-পাঁচজন অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে সোনাডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের পর পুলিশ তাদের গ্রেপ্তারে অভিযানে নেমে পাঁচজনকে আটক করে। এসময় তাদের একজনের কাছ থেকে একটি কালো রঙের ওয়ান শুটার গান ও এক রাউন্ড পিস্তলের গুলি জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: নাটোরে শিশু ধর্ষণ মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ১৭ বছর পর গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার
খুলনায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে রং মিস্ত্রি নিহত
খুলনা নগরীর গোবরচাকা এলাকায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে ইমন শেখ (২২) নামের এক রং মিস্ত্রি নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে নগরীর সোনাডাঙ্গা থানার গোবরচাকা গাবতলার মোড়ের তালুকদার লেনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ইমন পেশায় একজন রং মিস্ত্রী। তার বাবার নাম সানোয়ার হোসেন। তারা গোবরচাকা নবীনগর এলাকায় ভাড়া থাকতেন।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ গেল কাঠমিস্ত্রির
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তালুকদার লেনে দাঁড়িয়ে ছিলেন ইমন। এ সময় ৫/৬টি মোটরসাইকেলে ১০/১২ জন এলোপাতাড়ি গুলি করে। গুলিবিদ্ধ ইমনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। রাত সাড়ে ৮টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নগরীর সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে বজ্রপাতে কাঠমিস্ত্রির মৃত্যু
রাজধানীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ইলেকট্রিক মিস্ত্রির মৃত্যু
খুলনায় ৫ নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে
পূর্ণিমার প্রভাবে খুলনা অঞ্চলের নদ-নদীতে জোয়ারের চাপ বেড়েছে। এর ফলে বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো), খুলনার তথ্যানুযায়ী, জেলার ৫টি নদীর ৮টি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) দুপুরের জোয়ারে করমজল পর্যটন কেন্দ্র ৩ ফুট জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে এ বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের কুমির, হরিণ, কচ্ছপ ও বানরসহ অন্যান্য প্রাণীর তেমন কোন ক্ষতির আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে বনবিভাগ।
আরও পড়ুন: বরগুনায় নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে
পাউবো জানায় যে বেতনা খোলপেটুয়া, রূপসা, পশুর, শিবসা, ইছামতি নদীর আটটি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এ কারণে কপোতাক্ষ, শিবসা ও পশুরসহ বিভিন্ন নদীর তীরে ভাঙন, তীরবর্তী এলাকার বসতবাড়ি ও ফসলি জমি নিমজ্জিত হচ্ছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, কয়েক দিনে ভারি বৃষ্টিতে ও এলাকায় বিভিন্ন নদ-নদীতে জোয়ারে পানিবৃদ্ধির কারণে ভদ্রা নদীর তীরে তিলডাংগা ইউনিয়নের বটবুনিয়া বাজার সংলগ্নে ওয়াবদা রাস্তায় ভাঙন দেখা যায়। এলাকার মানুষের মাঝে ভাঙন আতঙ্ক বিরাজ করছে। যেকোনো সময় ওয়াবদা রাস্তা ভেঙে ভিতরে পানি প্রবেশ করতে পারে।
দাকোপ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়দেব চক্রবর্তী বলেন, আমি খবর পেয়েছি। অফিসিয়াল কাজে বাইরে থাকার কারণে এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে সংশ্লিষ্ট পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীসহ ডিজি মহোদয়কে বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে জানানো হয়েছে। আশাকরি উনারা তাড়াতাড়ি এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
স্থানীয় বাসিন্দা কার্তিক চক্রবর্তী, মিঠুন চক্রবর্তী, উৎপল রায়, সাধন রায়, ঠাকুর দাস হালদার জানান, চুনকুড়ি নদীতে পানিবৃদ্ধির কারণে ঘরের মধ্যেও পানি উঠে গেছে। ছাগল ও গবাদি পশু নিয়ে তারা বিপদে পড়েছে। এছাড়া ঘরে পানি ওঠায় রান্না-বান্না বন্ধ রয়েছে তাদের।
স্থানীয় বাসিন্দা প্রভাষ দাস ও নারায়ণ দাস বলেন, আষাঢ়-শ্রাবণ মাস আসলে খুবই কষ্টে থাকতে হয়। মাঝে মাঝেই পানি উঠে যায়। নদীর তীরে উঠা নামার এ রাস্তাটা যদি একটু উঁচু করে বাঁধ দেওয়া থাকতো, তাহলে আমরা কিছুটা শান্তিতে পার হতে পারতাম।
আরও পড়ুন: দক্ষিণাঞ্চলের ৮টি নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে
অন্যদিকে জানা যায়, সুন্দরবনের করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রসহ অন্যান্য স্পট ও বনের অভ্যন্তরে ২/৩ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। গত দুই দিন যাবত বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপ ও চলতি পূর্ণিমার গোনের প্রভাবে স্বাভাবিক জোয়ারের তুলনায় কয়েক ফুট অধিক উচ্চতার জ্বলোচ্ছাসে প্লাবিত হয়েছে সুন্দরবন ও বনের বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্র।
মঙ্গলবার দুপুরের জোয়ারে করমজল পর্যটন কেন্দ্র ৩ ফুট জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে এ বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের কুমির, হরিণ, কচ্ছপ ও বানরসহ অন্যান্য প্রাণীর তেমন কোনো ক্ষতির আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে বনবিভাগ।
এদিকে, সুন্দরবনের কটকা ও কচিকালী এলাকা বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন হওয়ায় সেখানেও ৩/৪ ফুট পানিতে তলিয়েছে। পানি বেড়ে প্লাবিত হয়েছে সাগর পাড়ের সুন্দরবনের দুবলার চরও।
অপরদিকে, অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে সুন্দরবন উপকূলের বাড়িঘর, রাস্তাঘাট ও চিংড়ি ঘের।
সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজাদ কবির বলেন, লঘুচাপ ও চলতি পূর্ণিমার গোনের প্রভাবে করমজলে স্বাভাবিকের তুলনায় ২/৩ ফুট জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এ পানিতে ভিজে ছুটির দিনে আগত দর্শনার্থীরা বাড়তি আনন্দ উপভোগ করেন। তবে এ জলোচ্ছ্বাসে বনের এ কেন্দ্রের কোথাও কোনো ধরনের ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কা নেই।
তিনি আরও বলেন, বনের অভ্যন্তরে পানি আরও বেশি হলেও তাতে তেমন কোনো ক্ষতি হবেনা বন্যপ্রাণীর। কারণ ঝড়-জ্বলোচ্ছাসে বন্যপ্রাণীর আশ্রয়ের জন্য বনের ভিতরের বিভিন্ন জায়গায় উঁচু টিলা তৈরি করে রাখা হয়েছে। পানি বাড়ায় বন্যপ্রাণী সেসব টিলায় আশ্রয় নিয়ে থাকে।
পাউবোর সহকারী প্রকৌশলী মধুসূদন মল্লিক বলেন, খুলনার নদ-নদীতে পানির চাপ বেশি রয়েছে। জেলার চারটি পয়েন্টে নিয়মিত পানির চাপ মাপা হয়। গত তিন দিন প্রতিটি পয়েন্টেই বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
পাউব, খুলনা ২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলম বলেন, পূর্ণিমার প্রভাবে গত তিন দিন ধরে নদ-নদীতে বিপদসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। সোমবার কিছু নদীতে পানির চাপ সামান্য কমেছে।
আরও পড়ুন: তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপরে
খুলনায় পৌনে ৩ লাখ টাকার জাল নোট জব্দ, গ্রেপ্তার ২
নগরীর মোহাম্মদ নগরে ২ লাখ ৭৪ হাজার টাকার জাল জব্দ করা হয়েছে। এ সময় দুইজনকে গ্রেপ্তারের দাবি করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান র্যাব- ৬।
গ্রেপ্তারেরা হলেন- ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর থানার আলী খানের ছেলে আব্দুর রহিম খান (৪৭) এবং বরিশাল জেলার উজিরপুর থানার আনোয়ার হোসেনের ছেলে রানা মজুমদার (৪৮)।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ২
সোমবার (২ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানিয়েছে, লবনচরা থানার মোহাম্মদ নগর এলাকার মেইন রোড সংলগ্ন একটি বাড়ির সামনে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
তারা জানায়, একটি সংঘবদ্ধ চক্র দীর্ঘদিন যাবত দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ও বিভিন্ন পেশার মানুষের মধ্যে জাল টাকা ছড়িয়ে দিয়ে সাধারণ মানুষকে ঠকিয়ে বিপুল টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একটি আভিযান চালিয়ে সংঘবদ্ধ চক্রটিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে জাল টাকা, তিনটি মোবাইল ও সিম কার্ড জব্দ করা হয়েছে।
জব্দকৃত মালামালসহ আসামিদের লবনচরা থানায় হস্তান্তর করে মামলা রুজু করা হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে ছিনতাইকারীর হামলায় আহত কলেজছাত্রের মৃত্যু, গ্রেপ্তার ১
কলেজছাত্র হৃদয় হত্যা: আরও ২ আদিবাসী যুবক গ্রেপ্তার
খুলনার দাকোপে বেড়িবাঁধ ভাঙন আতঙ্কে এলাকাবাসী
খুলনার দাকোপ উপজেলার তিলডাঙ্গা ইউনিয়নের বটবুনিয়া বাজার সংলগ্ন সড়কসহ কয়েকটি স্থানে নদীর তীরবর্তী এলাকায় নদী ভাঙনের কারণে বেড়িবাঁধ ভাঙন আতঙ্কে রয়েছেন এলাকাবাসীরা।
এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা যায়, কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টি এবং এলাকায় বিভিন্ন নদ-নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধির কারণে সোমবার (২ অক্টোবর) রাতে ভদ্রা নদীর তীরে তিলডাঙ্গা ইউনিয়নের বটবুনিয়া বাজার সংলগ্নে ওয়াবদা রাস্তায় ভাঙন দেখা দিয়েছে।
এলাকার মানুষের মাঝে ভাঙন আতঙ্ক বিরাজ করছে। যে কোনো সময় ওয়াবদা রাস্তা ভেঙ্গে ভেতরে পানি প্রবেশ করে এলকার হাজার হাজার বিঘা জমির চলতি মৌসুমের আমন ধানের বীজতলা তলিয়ে যাওয়াসহ পুকুরের মাছ ভেসে যেতে পারে এবং এলাকার মানুষের ঘরবাড়িতে পানি উঠতে পারে বলে তিলডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান গাজী জালাল উদ্দীন জানান।
আরও পড়ুন: ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙন ঝুঁকিতে গুরুত্বপূর্ণ পাগলার বাজার
তিনি আরও বলেন, বিষয়টি তৎক্ষণাৎ দাকোপ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুনসুর আলী খানসহ নির্বাহী অফিসার জয়দেব চক্রবর্তীকে মুঠোফোনে জনানো হয়েছে।
নির্বাহী অফিসার অফিসিয়াল কাজে বাইরে যাওয়ার কারণে ভাঙন এলাকা আজ পরিদর্শন করবেন উপজেলা চেয়ারম্যান, এমনটাই জানা গেছে।
এ ব্যাপারে দাকোপ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়দেব চক্রবর্তীর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আমি খবর পেয়েছি, অফিসিয়াল কাজে ঢাকার উদ্দেশে যাওয়ার কারণে এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে সংশ্লিষ্ট পানি উন্নয়ন বোডের প্রকৌশলীসহ ডিজি মহোদয়কে বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে জানানো হয়েছে। আশাকরি উনারা তাড়াতাড়ি এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
আরও পড়ুন: আবারও ভাঙন ঝুঁকিতে চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধ
খুলনা থেকে ১৫ জেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য জ্বালানি তেল পরিবহন বন্ধ
বিক্রিতে কমিশন বৃদ্ধি বাস্তবায়নের দাবিতে খুলনার ৩ ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও পরিবহণ বন্ধ রেখে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট পালন করছেন খুলনার জ্বালানি তেল ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা।
রবিবার (১ অক্টোবর) সকাল ৮টা থেকে এই ধর্মঘট শুরু করেছেন তারা।
জানা গেছে, তেল বিক্রিতে কমিশন বৃদ্ধির দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে ধর্মঘটে খুলনার পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েল ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও ১৫ জেলায় জ্বালানি তেল পরিবহন বন্ধ রয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের তিন দফা দাবিতে ডাকা ধর্মঘট প্রত্যাহার
খুলনা বিভাগীয় জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ মুরাদ হোসেন বলেন, জ্বালানি তেল বিক্রিতে কমিশন বৃদ্ধির দাবিতে নানা কর্মসূচি পালন করেছি। দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন বৃদ্ধি সংক্রান্ত একটি গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু এখনও বাস্তবায়ন হয়নি।
তিনি এটিকে ফরমূলা গেজেট উল্লেখ করে বলেন, গেজেটটি ভুলে ভরা। শুধু গেজেট প্রকাশ নয়, দাবির বাস্তবায়ন করতে হবে। দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি চলবে।
ব্যবসায়ীদের দাবি ছিল, ডিজেলের দুই ভাগ, পেট্রোলের তিন ভাগ এবং অকটেনের চার ভাগ কমিশন বাড়িয়ে সাড়ে সাত ভাগ করতে হবে। একই সঙ্গে তাদের শিল্প থেকে বাদ দিয়ে কমিশন এজেন্ট ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করতে হবে। এ ছাড়া পুরাতন ট্যাংক লরি অবসরের সময় ২৫ বছর থেকে বৃদ্ধি করে ৩০ বছর করতে হবে।
আরও পড়ুন: খুলনায় জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের ৩ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু