মানিকগঞ্জ
জুনে ৫-১২ বছরের শিশুদের টিকা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
আগামী জুনের মধ্যে ৫ থেকে ১২ বছরের শিশুদের টিকা দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ‘জুনের মধ্যে ৫ থেকে ১২ বছরের শিশুদের টিকা দেয়ার ব্যবস্থা নিয়েছি আমরা। এই টিকার আওতায় আসবে প্রায় দুই কোটি শিশু। এই বিশেষ ধরণের (ফাইজার) টিকা শিশুদের জন্য তৈরি করা হয়েছে। দুই কোটি টিকার চাহিদা আমরা পাঠিয়েছি। আমরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পেয়েছি। আমাদের ৩০ লাখ টিকা ইতোমধ্যে এসেছে।’
শুক্রবার সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা গড়পাড়া শুভ্রসেন্টারে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত উদ্যোগে ইফতার মাহফিলের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা শিশুদের মা-বাবাদের বলবো ৫ থেকে ১২ বছরের শিশুদের জন্ম নিবন্ধন করে নেবেন। জন্ম নিবন্ধন দিয়ে টিকার রেজিষ্ট্রেশন করে ফেলবেন। যাতে টিকা নিতে কোন সমস্যা না হয়।
পড়ুন: ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের টিকা ব্যবহারের অনুমতি চেয়েছে ফাইজার
তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের এমন একটি দেশে যেখানে প্রায় ৭৫ ভাগ জনগনকে টিকা দেয়া হয়েছে। টার্গের নির্দিষ্ট জনগণের ৯৫ ভাগ লোককে টিকা দেয়া হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে প্রায় ২৫ কোটি ডোজ টিকা দিয়ে ফেলেছি। এখন বুস্টার ডোজ দিচ্ছি। যারা বুস্টার ডোজ নেননি তারা দ্রুত বুস্টার ডোজ নেবেন।
মন্ত্রী বলেন, টিকা দেয়ার সফলতার জন্য প্রধানমন্ত্রী ভ্যাকসিন হিরো হয়েছেন, এবার ভ্যাকসিন চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়েছে।
করোনার চর্তুথ ঢেউ প্রসঙ্গে মালেক বলেন, আমাদের দেশে অধিকাংশ মানুষ টিকা নিয়েছেন, তাই চতুর্থ ঢেউ দেশে সেইভাবে আসবে না।
এসময় জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মহীউদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: বিশ্বে সবচেয়ে কম দামে টিকা দিয়েছে বাংলাদেশ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
শিমুলিয়ার পরিবর্তে পাটুরিয়া দিয়ে যান চলাচলের অনুরোধ নৌপ্রতিমন্ত্রীর
যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ থেকে রক্ষা পেতে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়ার পরিবর্তে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া রুট ব্যবহার করে পদ্মা নদী পার হওয়ার অনুরোধ করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
শুক্রবার মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া (মাওয়া) লঞ্চ ও ফেরিঘাট পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যানবাহন পারাপারের জন্য মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়ায় ১০টি এবং মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ায় ২১টি ও আরিচায় চারটি ফেরি রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সকালে শিমুলিয়ায় অতিরিক্ত যাত্রী ও যানবাহনের চাপ রয়েছে। চাপের কারণে কিছুটা অসুবিধা হচ্ছে, তবে ঘাটে শৃঙ্খলা আছে।’
খালিদ মাহমুদ আরও বলেন, ‘পূর্ব নির্দেশনা অনুযায়ী শিমুলিয়ায় ফেরিতে বড় ধরনের যানবাহন পার করা হচ্ছে না। ছোট গাড়ি পার করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া লঞ্চের টিকিট পাওয়া যাবে না: নৌপ্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘শিমুলিয়ায় যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ থেকে রক্ষা পেতে পাটুরিয়া রুট ব্যবহার করতে পুনরায় অনুরোধ করছি।’
খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘ঘাটে মানুষের অতিরিক্ত চাপ থাকলেও শৃঙ্খলা ধরে রাখতে পেরেছি।’
তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতুর সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি চিন্তা করে শিমুলিয়ায় ১০টি ভালোমানের ফেরি রাখা হয়েছে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ করছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী কয়েক মাসের মধ্যে পদ্মা সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেবেন। তখন শিমুলিয়াঘাটে সমস্যা থাকবে না। ঘাটে গাড়ির জন্য ফেরি অপেক্ষা করবে।’
তিনি বলেন, ‘লঞ্চে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়ার সুযোগ নেই। ঘাটে ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছে, তারা বিষয়টি দেখছেন।’
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান শামীম আল রাজী এবং বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক উপস্থিত ছিলেন।
বিআইডব্লিউটিএ, বিআইডব্লিউটিসি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা মানুষের সেবায় সচেষ্ট রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: লঞ্চে ধূমপান না করতে সতর্কীকরণ পদক্ষেপ নেয়া হবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
দক্ষিণাঞ্চলে আরেক পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র হবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
পাটুরিয়ায় যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে
বড় দুটি ফেরি নষ্ট হওয়ায় মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাটে ঈদে ঘরমুখো দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে। পাশাপাশি ৫০০ এর বেশি পণ্যবাহী ট্রাক ঘাটে পারের অপেক্ষায় আটকে আছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, গত দুদিন ধরে এই নৌরুটে চলাচলকারী ১৯টি ফেরির মধ্যে বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন ও এনায়েতপুরী নামে দুটি বড় ফেরি নষ্ট হওয়ায় সেগুলো মেরামতে রয়েছে। এছাড়াও হাসনাহেনা, রজনীগন্ধা ও মাধবীলতা ফেরি তিনটি বিকল হলেও সেগুলোকে সাময়িক মেরামত করে পুনরায় চালানো হচ্ছে। ফেরি কমে যাওয়ায় এবং একসঙ্গে বাস-ট্রাক ও ব্যক্তিগত গাড়ি পারাপার করতে গিয়ে হিমশিমে পড়েছে ঘাট কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: ঈদের ১০ দিন আগেই পাটুরিয়ায় যানবাহনের চাপ, অপেক্ষায় ৭ শতাধিক যান
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা সেক্টরের উপ মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) শাহ নেওয়াজ বলেন, ঈদযাত্রার ঘরমুখো দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়ে গেছে। পাশাপাশি পণ্যবাহী ট্রাকও আসছে অনেক বেশি। সব মিলিয়ে মঙ্গলবার সকালেই ঘাটে পারের অপেক্ষায় রয়েছে ৫০০ ট্রাকসহ দুই শতাধিক যাত্রীবাহী বাস ও ছোট গাড়ি। একসঙ্গে এতো গাড়ি পারাপারে বেগ পেতে হচ্ছে।
তিনি জানান, বিরতিহীনভাবে ফেরিগুলো চলাচল করায় কয়েকটি ফেরি বিকল হয়েছে। সেগুলোকে স্থানীয়ভাবে মেরামত করা হচ্ছে। ঈদে আগামী দুইদিনের মধ্যে এই বহরে নতুন দুটি ফেরি যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঈদে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় ঘরমুখো যাত্রীদের ভোগান্তির শঙ্কা
এদিকে ঘাট পরিদর্শনকালে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি জিহাদুল কবির জানান, ফেরিঘাটকে যানজট মুক্ত রাখাসহ ঈদের নিরাপদে যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালন করবে।
ঢাকা-পাটুরিয়া রুটে ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি
মানিকগঞ্জের ঢাকা-পাটুরিয়া রুটে মহাসড়কের কিছু অংশের সংস্কার কাজ এখনো শেষ না হওয়ায় তীব্র যানজটের কারণে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
পরিবহন শ্রমিকেরা জানান, ঈদে দেশের দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার কয়েক হাজার মানুষ এই মহাসড়ক দিয়ে যাতায়াত করে।
দেশে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় গত দুই বছরের তুলনায় এ বছর ঈদের ছুটিতে ঢাকার বাইরে যাওয়া মানুষের সংখ্যা কয়েকগুণ বেশি হবে বলেও জানিয়েছেন তারা।
রাস্তা মেরামত ও সংস্কার কাজ চলমান থাকায় ঢাকা-পাটুরিয়া মহাসড়ক চলাচলকারী যাত্রীদের ভোগান্তির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এবিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (আরএইচডি) জানায়, মহাসড়কের কমপক্ষে ১০টি পয়েন্টে রাস্তা প্রশস্তকরণ ও সংস্কার কাজ চলছে; যা এই রুটে স্বাভাবিক যান চলাচলকে বাধাগ্রস্ত করছে। ঈদে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ চার-পাঁচ গুণ বেড়ে গেলে যাত্রীদের দুর্ভোগ আরও বেড়ে যাবে।
আরও পড়ুন: ঈদের ১০ দিন আগেই পাটুরিয়ায় যানবাহনের চাপ, অপেক্ষায় ৭ শতাধিক যান
তাই মহাসড়কের সংস্কার কাজ দ্রুত শেষ করার দাবি জানিয়েছেন চালক ও পরিবহন শ্রমিকেরা।
এদিকে আরএইচডি সূত্র জানিয়েছে, মহাসড়কের সব ধরনের সংস্কার কাজ আগামী ২৪ এপ্রিলের মধ্যে শেষ হবে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের (মানিকগঞ্জ) নির্বাহী প্রকৌশলী মো.গাউস-উল-হাসান মারুফ বলেন, নবীনগর থেকে নয়ারহাট ও পাটুরিয়া ঘাট পর্যন্ত রাস্তা প্রশস্তকরণ, পৃথক বাস লেন নির্মাণ ও সংস্কার কাজ ২০২১ সালে শুরু হয়েছে; যা এখন শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
মারুফ বলেন, আমরা আশা করছি ঈদের এক সপ্তাহ আগে ঢাকা-পাটুরিয়া মহাসড়কের সব পয়েন্ট জনসাধারণের জন্য খুলে দেয়া হবে।
মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. গোলাম আজাদ খান জানান, ঈদের ছুটিতে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মহাসড়কে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে।
আরও পড়ুন: ঈদে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় ঘরমুখো যাত্রীদের ভোগান্তির শঙ্কা
তিনি আরও জানান, মানিকগঞ্জের বারবাড়িয়া পয়েন্ট থেকে পাটুরিয়া ফেরি ঘাট (টার্মিনাল) পর্যন্ত ৩৬ কিলোমিটার দীর্ঘ মহাসড়কে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে। যাতে নির্বিঘ্নে যান চলাচল ও যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।
ঈদের আগে তিনদিন পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকবে। এছাড়া প্রতিটি বাসস্ট্যান্ডে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ে টহল দল মোতায়েন করা হবে বলেও জানান তিনি।
ঈদের ১০ দিন আগেই পাটুরিয়ায় যানবাহনের চাপ, অপেক্ষায় ৭ শতাধিক যান
মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাটে ঈদে ঘরমুখো মানুষ ও যাত্রীবহনকারী যানবাহনের চাপ বেড়েছে। শুক্রবার ভোর থেকেই অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে দীর্ঘ লাইনের সৃষ্টি হয়েছে। বাস, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস মিলে দুই শতাধিক গাড়িসহ আরও ৫০০ পণ্যবোঝাই ট্রাক পারের অপেক্ষায় রয়েছে।
ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রতি শুক্রবার যানবাহনের চাপ বেশি থাকে। এর ওপর ঈদযাত্রা। তাই যানবাহনও সংখ্যা বেড়েছে। এর মধ্যে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাসসহ ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যাই বেশি। যাত্রীবাহী যানবাহনের পাশাপাশি পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার করায় ঘাটে পারের শতাধিক বাস, দুই শতাধিক ব্যক্তিগত ছোট গাড়ি ও ৫’শ পণ্যবাহী ট্রাক অপেক্ষায় রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঈদে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় ঘরমুখো যাত্রীদের ভোগান্তির শঙ্কা
বাস ও ট্রাকচালকরা জানান, এখনও ঈদের ১০ দিন বাকি। এখনই ঘাটে এসে আটকে থাকতে হচ্ছে। ঈদের সময় আরও ভোগান্তি বাড়বে।
বাস চালকদের অভিযোগ, পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার বেশি করায় যাত্রীবাহী যানবাহনকে বেশি সময় ধরে আটকে থাকতে হচ্ছে।
এদিকে ট্রাকচালকরা জানান, তাদের প্রায় তিনদিন পর্যন্ত ঘাটে আটকে থাকতে হচ্ছে। আর ঈদের সময় ট্রাক পারাপার বন্ধ থাকবে। এখন পার না হতে পারলে পরে আর পার হওয়া সম্ভব হবে না।
আরও পড়ুন: পাটুরিয়ায় পারের অপেক্ষায় ৬ শতাধিক যানবাহন
এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিসি আরিচা সেক্টরের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) শাহ নেওয়াজ বলেন, এই নৌরুটে চলাচলকরা ১৯টি ফেরির মধ্যে বনলতা ও রজনীগন্ধা নামে দুটি ফেরি বিকল হয়ে পড়েছে। বাকি ১৭টি ফেরি দিয়ে পারাপার করা হচ্ছে। ৫’শর ওপরে ট্রাক পারের অপেক্ষায় রয়েছে। যেহেতু ঈদের তিনদিন আগ থেকে সাধারণ পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার বন্ধ থাকবে, এখনই সেগুলো পারাপার করা হচ্ছে।
মানিকগঞ্জে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সন্দেহভাজন ডাকাত নিহত
মানিকগঞ্জের সিংগাইরে বুধবার দিবাগত রাতে র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে এক সন্দেহভাজন ডাকাত নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন র্যাবের দুই সদস্য।
নিহত কায়সার জয়পুর হাটের পাঁচবিবি উপজেলার জয়হার এলাকার লোকমান হোসেনের ছেলে।
র্যাবের মুখপাত্র লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, রাতে একটি মাইক্রোবাসে র্যাবের টহল দল সিংগাইর মহাসড়কের দিকে যাচ্ছিল। এসময় বেশ কয়েকজন সশস্ত্র সন্ত্রাসী র্যাবের গাড়ি লক্ষ্যে করে গুলি ছুঁড়ে। পরে আত্মরক্ষায় র্যাবও পাল্টা গুলি ছুঁড়ে। এসময় ডাকাত দলের সদস্য কাওসার আহমেদ নিহত হন। এ ঘটনায় র্যাক-৪ এর দুই সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের ঢাকার সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে দুটি পিস্তল, দুটি রামদা, একটি চাপাতি, দুটি চাকু, একটি মানিব্যাগ, দুটি টর্চ লাইট ও দুই জোড়া স্যান্ডেল উদ্ধার করেছে র্যাব।
পড়ুন: কুমিল্লায় সাংবাদিক হত্যা মামলার প্রধান আসামি র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত
বাঘাইছড়িতে দুই গ্রুপের বন্দুকযুদ্ধে নিহত ২
দৌলতপুরে বজ্রপাতে গৃহবধূর মৃত্যু
মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে বজ্রপাতে ফিরোজা বেগম নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকালে উপজেলার খলসী ইউনিয়নের রৌহা গ্রামে ভুট্টা খেতে কাজ করার সময় বজ্রপাতের ঘটনায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত ফিরোজা বেগম (৫৫ ) ওই গ্রামের আবুল হোসেনের স্ত্রী। তিনি তিন সন্তানের জননী ছিলেন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে খলসী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. জিয়াউল হক বলেন, বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরে নিজেদের ভুট্টা খেতে কাজ করতে যান ফিরোজা। হঠাৎ ঝড়, বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হয়। এতে তার শরীরের বেশকিছু অংশ ঝলসে যায়। আশপাশের লোকজন উদ্ধার করে বাড়ি নেয়ার পথে তিনি মারা যান।
দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইমরুল হাসান বজ্রপাতের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: বজ্রপাতের সময় করণীয়
কিশোরগঞ্জে বজ্রপাতে মা ও মেয়ের মৃত্যু
ডায়রিয়া: শয্যা সংকট, মানিকগঞ্জে মেঝেতে চলছে চিকিৎসা
মানিকগঞ্জে জেলা হাসপাতালে প্রতিদিনই বাড়ছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে জায়গা না পেয়ে অনেক রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন মেঝেতে। অতিরিক্ত রোগীর চাপে হাসপাতালের চিকিৎসা সেবাও ব্যাহত হচ্ছে।
চিকিৎসকরা বলছেন, রোগী বেশি হওয়ার কারণে চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিমে খাচ্ছেন তারা। আবার জায়গা না পেয়ে অনেক রোগী অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। বাড়তি চাপ সামলাতে অন্য ওয়ার্ডে ডায়রিয়া রোগী সরানোর পরিকল্পনার কথা বলছেন হাসপাতাল তত্ত্বাবাধয়ক।
জেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. একেএম রাসেল জানান, মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যার জেলা হাসপাতালের আলাদা ডায়রিয়া ইউনিটে বিছানা রয়েছে ১০ টি। কিন্তু প্রতিদিন ডায়রিয়া রোগীর ভর্তি থাকছে ২৫ থেকে ৩০জন। এতে ডায়রিয়ার ইউনিট ছাপিয়ে রোগীদের চিকিৎসা দিতে হচ্ছে সাধারন ওয়ার্ডের মেঝেতে। অতিরিক্ত রোগীর চাপে ডায়রিয়া ওয়ার্ডের পরিবেশও নোংরা হয়ে পড়ছে। একটি মাত্র টয়লেট ব্যবহার করতে হয় এতগুলো রোগীকে।
আরও পড়ুন: ডায়রিয়া ও কলেরার প্রকোপ: সচেতন থাকার পরামর্শ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
এদিকে ডায়রিয়ার চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও রোগীর স্বজনরা অভিযোগ করছেন, ডায়রিয়া ইউনিটে নোংরা ও অস্বাস্থ্য পরিবেশ। তাছাড়া পুরো ইউনিটে রয়েছে মাত্র একটি টয়লেট। তাও নোংরা, অপরিচ্ছন্ন। এতে করে রোগীর সঙ্গে আসা স্বজনরাও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এছাড়া প্রয়োজনীয় সকল ঔষধও মিলছে না। বাধ্য হয়ে বাইরে থেকে ঔষধ কিনতে হচ্ছে।
তবে ডায়রিয়া ইউনিটে কর্তব্যরত নার্স ও চিকিৎসকরা জানায়, তারা সাধ্যমত চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। ডায়রিয়া রোগীদের জন্য খাবার স্যালাইন, প্যারাসিটামল ঔষধ পর্যাপ্ত রয়েছে। তবে কলেরা স্যালাইনসহ সিপ্রোসিন জাতের ঔষধের সাপ্লাই না থাকায় রোগীদের সেগুলো বাইরে থেকে কিনে আনতে হচ্ছে।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আরশাদ উল্লাহ জানালেন, গত শনিবার স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়ন কমিটির সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ৫০ শয্যার আলাদা ডায়রিয়া ওয়ার্ড স্থাপনের পরিকল্পনার কথা বলেছেন। আগামী অর্থবছরে সেটি স্থাপনের কাজ শুরু হবে। তবে এখন জায়গা স্বল্পতার কারণে অতিরিক্ত রোগীদের মেঝেতে চিকিৎসা সেবা দিতে হচ্ছে। এছাড়া বর্তমানে রোগীর চাপ সামলাতে অন্য ওয়ার্ডে ডায়রিয়ার রোগী স্থানান্তর করার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত এক সপ্তাহে মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালে দু’শোর ওপরে ডায়রিয়া রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় শিশুরোগ ও ডায়রিয়া বেড়েছে
দেশের ৭৫ ভাগ মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন বলেছেন, সফলতার সঙ্গে টিকা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। দেশে এ পর্যন্ত ২৫ কোটি টিকা দেয়া হয়েছে; যা টার্গেট পপুলেশনের ৯৫ ভাগ। দেশের জনসংখ্যা অনুযায়ী ৭৫ ভাগের বেশি লোক টিকে পেয়ে গেছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশ আয়োজিত ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে থাকায় আমাদের ধর্ম-কর্ম করতে পারছি। কল কারখানা চলছে। দেশে-বিদেশের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য চলছে, যাওয়া-আসা চলছে। সর্বোপরি সরকার করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডায়রিয়া ও কলেরার প্রকোপ: সচেতন থাকার পরামর্শ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা কমে আসছে। সারাদেশে প্রতিদিন ৪০-৫০ থেকে ৬০ জন এর বেশি আক্রান্ত হচ্ছে না। আজকে একজনও মারা যায়নি। আজকের এই কোভিড নিয়ন্ত্রণে আছে বিধায় অর্থনীতি সচল আছে।’
যারা এখনো বুস্টার ডোজ নেয়নি সুরক্ষিত থাকার জন্য তাদের বুস্টার ডোজ নেয়ার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
করোনাকালীন সময়ে পুলিশের ভূমিকা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, করোনাকালীন সময় এবং টিকা কার্যক্রমে পুলিশ সহায়তা করেছে যার কারণে আমাদের এই কার্যক্রম সফল হয়েছে।
এসময় মানিকগঞ্জ-১ আসনের সাংসদ নাঈমুর রহমান দুর্জয়, জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মহিউদ্দিন, কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ জাকির হোসেন, ডায়াবেটিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল, মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি গোলাম সারোয়ার ছানু, সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব চক্রবর্তী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: করোনার গণটিকাদান কর্মসূচি ৩ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
দ্বিতীয় ডোজের ৪ মাস পর বুস্টার ডোজ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মানিকগঞ্জে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
মানিকগঞ্জে যাত্রীবাহী বাসচাপায় অজ্ঞাতনামা (৩৮) এক মোটরসাইকেল আরোহীর নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা আড়াইটার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সদর উপজেলার মূলজান এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতের পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ।
মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ সরকার জানান, দুপুরে ঢাকাগামী সেলফি পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস পাটুরিয়াগামী মোটরসাইকেল আরোহীকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনার পর বাস রেখে চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে। বাসটি জব্দ করা হয়েছে। নিহতের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।
এ ঘটনায় গোলড়া হাইওয়ে থানায় মামলার প্রস্তুটি চলছে বলেও তিনি জানান।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
মার্চে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৮৯ জনের প্রাণহানি