হত্যা
পাওনা টাকা চাওয়ায় চোখ উপড়ে ফারুককে হত্যা: র্যাব
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের এশিয়ান হাইওয়ের পাশ থেকে ফারুক নামে এক ব্যক্তির চোখ উপড়ানো লাশ উদ্ধারের ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর উত্তরা, গাজীপুরের টঙ্গী, লক্ষীপুরের রায়পুর এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারীসহ জড়িত পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সারা দেশে ১৪৮ প্লাটুন বিজিবি ও র্যাবের ৪২২ টহল দল মোতায়েন
আটকরা হলেন- মো. নিজাম উদ্দিন (৩৬), মো. সোহাগ (৩৮), জহিরুল ইসলাম (৪৮), রনি হোসেন (২৩) ও বাদশা (২৩)।
শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানানো হয়।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, নিজাম ঢাকা এক্সপ্রেস পরিবহন নামের একটি প্রতিষ্ঠানের কাউন্টার ম্যানেজার, আর ফারুক কাউন্টারম্যান।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন ২০২৪: সারা দেশে র্যাবের ৭০০ টহল দল মোতায়েন
তাদের দুজনের কর্মস্থল টঙ্গী এলাকায়। নিজামের কাছে ফারুক টাকা পেতেন। ফারুক পাওনা টাকা চাইলে দুজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এই বিরোধের জের ধরে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন নিজাম।
র্যাবের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী গত সোমবার পাওনা টাকা দেওয়ার কথা বলে ফারুককে কাউন্টারে ডেকে আনেন নিজাম। এরপর নিজাম ও তার চার সহযোগী ফারুককে মারধর করেন। মারধরের পর ফারুককে ঢাকা এক্সপ্রেস পরিবহনের একটি খালি বাসে উঠিয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আবারও এলোপাতাড়ি আঘাত করা হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ৩০টি ককটেল ও ২৮টি পেট্রোলবোমা জব্দ, আটক ৩: র্যাব
তিনি বলেন, একপর্যায়ে সোহাগ ও রনি ফারুকের হাত-পা চেপে ধরেন। বাদশা ফারুকের বাম চোখ উপড়ে ফেলেন। পরে ফারুকের লাশ বাসে করে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের এশিয়ান হাইওয়ের পাশে রঘুরামপুর এলাকার নির্জন স্থানে ফেলা হয়।
জড়িতরা গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে চলে যান বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে পরিত্যক্ত ঘর থেকে ৪১টি ককটেল উদ্ধার করেছে র্যাব
রূপগঞ্জে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পারিবারিক কলহের জেরে হাফসা আক্তার কাকলী নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী সাইফুল ইসলাম শাকিল মোল্লার বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার রাতে গোলাকান্দাইল শিংলাবো এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ‘চোর’ সন্দেহে শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
নিহত হাফসা আক্তার কাকলী (২৭) রূপগঞ্জের ভুলতা ইউনিয়নের লাভড়াপাড়া গ্রামের ইসমাঈল মিয়া মামুনের মেয়ে এবং স্বামী সাইফুল ইসলাম শাকিল মোল্লা শিংলাবো গ্রামের আব্দুস ছালাম মিয়ার ছেলে। তাদের সংসারে সাইফা আক্তার (৫) ও আবদুল্লাহ (২) নামে দুইটি সন্তান রয়েছে।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দ্বীপক চন্দ্র জানায়, ছয় বছর আগে সাইফুল ইসলামের সঙ্গে বিয়ে হয় হাফসা আক্তার কাকলীর। এদিকে গত এক বছর ধরে সাইফুল ইসলাম বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।
আরও পড়ুন: কেরাণীগঞ্জে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় স্ত্রী কাকলী ও স্বামী সাইফুল ইসলামের মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকত। এই নিয়ে গত বৃহস্পতিবার বিকালে কাকলী তার ছেলে-মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে বাবার বাসায় চলে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ সময় সাইফুল ইসলাম ও কাকলীর মধ্যে ঝগড়া হয়।
ওসি বলেন, একপর্যায়ে সাইফুল ইসলাম ও তার পরিবারের সদস্যরা কাকলীকে পিটিয়ে জখম করে। কাকলীর ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে রূপগঞ্জের ইউএস বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাতে চিকিৎসকরা কাকলীকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে বাড়িতে প্রবেশের পথ নিয়ে বিরোধের জেরে নারীকে পিটিয়ে হত্যা, আহত ৫
তিনি বলেন, খবর পেয়ে কাকলীর স্বামী ও পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে যায়। কাকলীর হাত, মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন রয়েছে।
এ ব্যাপারে কাকলীর বাবা ইসমাঈল মিয়া মামুন বাদী হয়ে স্বামী সাইফুল ইসলাম শাকিল মোল্লা, শ্বশুর আব্দুল গণি মোল্লা, শাশুড়ি শাহিদা বেগম, ননদ সিমা বেগম ও মামা শ্বশুর মোক্তার হোসেনকে আসামি করে রূপগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: মনপুরায় মানসিক প্রতিবন্ধী নারীর লাশ উদ্ধার
রূপগঞ্জ থানা ওসি দীপক চন্দ্র সাহা আরও বলেন, এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা রুজু করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
গাজীপুরে নারীকে হত্যা, লাশ পড়ে ছিল রাস্তায়
গাজীপুরের কোনাবাড়ী থেকে ৩৪ বছর বয়সী এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। দুর্বৃত্তরা তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ রাস্তায় ফেলে গেছে বলে ধারণা পুলিশের।
মঙ্গলবার(৯ জানুয়ারি) সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ী থানার আমবাগ পশ্চিমপাড়া এলাকায় বোর্ড মিলের পাশ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় নৌকা প্রার্থীর সমর্থকের লাশ উদ্ধার
নিহত আছিয়া বেগম টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার চাকুরিয়া হাওল ভাঙ্গা এলাকার আমির হোসেনের মেয়ে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ী থানার আমবাগ পশ্চিমপাড়া এলাকায় বোর্ড মিলের পাশে স্থানীয় লোকজন এক নারীর লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। পুলিশকে খবর দিলে নিহতের লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায় কোনাবাড়ী থানা পুলিশ।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ধানখেত থেকে অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধার
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল ইসলাম জানান, এটি হত্যাজনিত ঘটনা। কীভাবে ঘটনাটি ঘটেছে, কারা ঘটিয়েছে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, নিহত ওই নারীর মাথা ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন আছে। এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার বা আটক করা হয়নি।
আরও পড়ুন: চিরিরবন্দরে রাজমিস্ত্রির ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার
নোয়াখালীতে তরুণকে গলা কেটে হত্যা
পূর্ববিরোধের জের ধরে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় ইসমাইল হোসেন নামে এক তরুণকে ছুরিকাঘাতে করেছে দুর্বৃত্তরা।
সোমবার উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের পূর্ব একলাশপুর গ্রামের হাজী ইসমাইল মিস্ত্রির বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, একলাশপুর ইউনিয়নের হাজী ইসলাম মিস্ত্রি বাড়ির একটি ঘরে প্রায় সময় বসে চার বন্ধুসহ আড্ডা দিতেন আসিফ। এখানে বসে তারা নেশা করতেন বলেও অভিযোগ স্থানীয়দের।
অন্যদিনের মতো সোমবার সকালেও তারা একসঙ্গে ওই ঘরে আসেন। এর কিছুক্ষণ পর ওই ঘর থেকে চিৎকার দিয়ে বের হয়ে ঘরের সামনে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েন আসিফ।
আরও পড়ুন: নাটোরে স্বাস্থ্যকর্মীকে গলা কেটে হত্যা
ওই সময় ঘরের ভেতরে থাকা তার চার বন্ধু বের হয়ে দ্রুত পালিয়ে যান। পরে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, যে নিহত হয়েছে এবং ওই ঘরটিতে যারা থাকত তারা সবাই পূর্বপরিচিত বলে আমরা প্রাথমিকভাবে জেনেছি।
তিনি আরও জানান, ধারালো ছুরি দিয়ে হত্যাকারীরা আসিফের ঘাড় কেটে দিয়েছে এবং রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যার অভিাযোগ
ভোটকেন্দ্রে পাহারায় থাকা গ্রাম পুলিশকে শ্বাসরোধে হত্যা
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার চর আড়কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র রাতে পাহারার দায়িত্বে থাকা রনজিৎ কুমার দে নামে এক গ্রাম পুলিশ সদস্যর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার সকাল সাড়ে ৮ টায় পুলিশ বালিয়াকান্দি উপজেলার চর আরকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রের পাশের মেহগনি বাগান থেকে রনজিতের লাশ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: এনজিওর ঋণের চাপে রাবি কর্মচারীর আত্মহত্যার অভিযোগ
রনজিৎ উপজেলার চরআড়কান্দি গ্রামের মৃত শিবেন্দ্রনাথ দের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চর আড়কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র। রঞ্জিত ওই কেন্দ্রের পাহারাদার ছিলেন। রাতে তিনি পাহারা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রে আসেন। রঞ্জিতের সঙ্গে রাতে পাহারাদার হিসেবে ছিলেন বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী ইউসুফ হোসেন। দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে রঞ্জিত প্রকৃতির ডাকে সারা দেওয়ার জন্য বিদ্যালয়ের বাইরে যান। কিন্তু এরপর তিনি আর ফিরে আসেননি। আধা ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পর ইউসুফ তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। বিষয়টি তিনি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও স্থানীয় ইউপি সদস্যকে ফোন করে জানান। এর মধ্যে ভোর পাঁচটার দিকে বিদ্যালয়ের টয়লেটের পাশে বাগানের ঝোপের মধ্যে রঞ্জিতের লাশ পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে কামরাঙ্গীরচর হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন, ধারণা করা হচ্ছে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা গ্রাম পুলিশ রনজিৎ কুমার দেকে গলায় মাফলার পেঁচিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে। লাশ পুলিশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী মর্গে পাঠিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় গরু চুরির অভিযোগে যুবককে পিটিয়ে হত্যা
সাতক্ষীরায় সন্তানকে হত্যার পর জ্বালিয়ে দিল বাবা!
সাতক্ষীরায় আট বছর বয়সী শিশু আরিফ বিল্লাহকে হত্যার পর আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বাবার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত বাবা ইয়াসিন আলীকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ধলাবাড়িয়া মাঠপাড়ার আশ্রয়ণ প্রকল্পে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আরিফ বিল্লাহ ধলবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিএনপি নেতাকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ
আরিফের মা রোকেয়া খাতুন জানান, সদর উপজেলার চুপড়িয়া গ্রামের নূর ইসলামের ছেলে ইয়াছিন আলীর সঙ্গে তার ১০ বছর আগে বিয়ে হয়। তিন বছর আগে ধলবাড়িয়া মাঠপাড়ায় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পান তিনি। এরপর থেকে একমাত্র সন্তান আরিফ বিল্লাহসহ স্বামীকে নিয়ে তারা সেখানে বসবাস করতেন।
রোকেয়া বলেন, ‘আমার স্বামী মাদকাসক্ত ও অস্ত্র মামলার আসামি। এ নিয়ে স্বামীর সঙ্গে আমার বিরোধ লেগেই থাকে। মঙ্গলবার স্বামী আমাকে মারধর করলে আরিফকে নিয়ে আমি আমার নানা ধুলিহর গ্রামের ইজ্জত আলীর বাড়িতে আশ্রয় নিই।’
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে বাড়িতে প্রবেশের পথ নিয়ে বিরোধের জেরে নারীকে পিটিয়ে হত্যা, আহত ৫
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার নানার বাড়ি থেকে আরিফকে নিয়ে আসেন। রাতে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ঘরে আগুন জ্বালিয়ে দিয়ে স্বজনদের ঘটনাটি জানায় ইয়াসিন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘরে আগুন জ্বলছে দেখতে পায় গ্রামবাসী। ততক্ষণে পুড়ে অঙ্গার হয়ে গেছে শিশু আরিফ।
আরিফ বিল্লাহর দাদী মলুদা খাতুন জানান, ইয়াছিন তার ছেলেকে হত্যা করে ঘরে আগুন লাগিয়ে তার মামার বাড়ি আগরদাড়িতে চলে যায়। সেখানে সে সামনে যাকে পেয়েছে তাকে পিটিয়েছে। পরে ইয়াছিনকে শিকল দিয়ে বেঁধে রেখে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক নজরুল ইসলাম জানান, শিশুটির বাবাকে আটক করা হয়েছে। সম্ভবত, তিনি মাদকাসক্ত। থানায় তিনি অসংলগ্ন আচরণ করছেন।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে আ. লীগ প্রার্থীর সমর্থককে গুলি করে হত্যা
তিনি আরও জানান, ছেলেটির দেহ পুড়ে গেছে। চেনা যাচ্ছে না এমন অবস্থা। ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে কামরাঙ্গীরচর হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
মানুষ পুড়িয়ে হত্যা সহ্য করা হবে না: শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে মানুষ পুড়িয়ে ও নির্বাচন বানচাল করে কাউকে ফায়দা লুটতে দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, ‘মানুষ জ্বালিয়ে, নির্বাচন বন্ধ করে তারা যে ফায়দা হাসিল করে, তা বাংলার মাটিতে হতে দেওয়া হবে না।’
রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন উদযাপন উপলক্ষে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এ সময় বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানাও উপস্থিত ছিলেন।
শেখ হাসিনা অগ্নিসংযোগকারীদের এবং তাদের নির্দেশ দাতাদের নিন্দা জানিয়ে বলেন, মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা মহাপাপ, কোনো ধর্মই এটা মেনে নেয় না।
তিনি বলেন, যদি কারো জনসমর্থন পেতে হয়, তাহলে তারা জনগণের কল্যাণ ও উন্নয়নে তাদের অঙ্গীকার তুলে ধরতে পারে।
যিশু খ্রিস্টের জন্মস্থান ফিলিস্তিন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে জায়গাটি এখন রক্তক্ষয়ী হামলার শিকার। এমনকি হাসপাতালগুলোতেও হামলা চালানো হচ্ছে। এমনকি অল্পবয়সী শিশু ও নারীরাও হামলা থেকে রেহাই পায়নি।
আরও পড়ুন: অগ্নিসংযোগ করে বিএনপি মানুষের মন জয় করতে পারবে না: শেখ হাসিনা
বাংলাদেশের প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, এটা আমাদের জন্যও দুর্ভাগ্যজনক যে আমরা আমাদের দেশেও কিছু লোককে দেখছি রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে মানুষকে হত্যা করছে তারা।
তিনি বলেন, মানুষ হত্যার জন্য এই লোকেরা রেললাইন উপড়ে ফেলে এবং ট্রেনের বগিতে আগুন দেয়। ‘আমি জানি না এটা কী ধরনের রাজনীতি যে মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। কেন এই আগুনের খেলা? কারো যদি আদর্শ ও রাজনৈতিক কর্মসূচি থাকে, তারা জনগণের কাছে গিয়ে তাদের সামনে তুলে ধরতে পারেন।
সম্প্রতি ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডে মা ও তার কোলে থাকা একটি শিশু জীবন্ত দগ্ধ হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এমন করুণ দৃশ্য দেখতে চাই না। তাদের রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য মানুষের ক্ষতি করে পুড়িয়ে হত্যা করে তাদের কী লাভ হচ্ছে? এটা আমার প্রশ্ন। আমরা চাই এই ধরনের সহিংসতা বন্ধ হোক।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানবতা সব ধর্মের শিক্ষা। তাই তার সরকার এই শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে দেশ চালাচ্ছে।
তিনি ববলেন, ‘এই মাটিতে শ্রেণি, বর্ণ, ধর্ম নির্বিশেষে সবাই স্বাধীনভাবে বসবাস করবে। আমরা সব মানুষের কল্যাণ ও উন্নয়ন কামনা করি।’
তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করে বলেন, তিনি বাংলাদেশকে একটি অসাম্প্রদায়িক দেশে পরিণত করেছিলেন। কারণ তিনি চেয়েছিলেন সব ধর্মের মানুষ স্বাধীনভাবে তাদের নিজ নিজ ধর্ম পালন করবে।
আরও পড়ুন: অগ্নিসংযোগ ও নাশকতাকারীদের রাজনীতি করার অধিকার নেই: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ হিসেবে আখ্যায়িত করে শেখ হাসিনা বলেন, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার।
তিনি বলেন, ‘যেখানে সব ধর্মের মানুষ নির্বিঘ্নে নিজ নিজ ধর্ম পালন করতে পারে এবং আমরা সবাই মিলে (ধর্মীয়) উৎসবের আনন্দ ভাগাভাগি করি। আমি মনে করি বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে বিশ্বের কাছে একটি উদাহরণ।’
শেখ হাসিনা ২০২৩ সালের বড়দিন উপলক্ষে খ্রিস্টান সম্প্রদায়কে তার পক্ষ থেকে বড়দিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সদস্যরা বড়দিনের ক্যারোল ও দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করেন।
ঢাকার আর্চবিশপ বিজয় নাইসেফরাস ডি'ক্রুজ এবং বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্মল রোজারিও যৌথভাবে প্রধানমন্ত্রীর হাতে বড়দিনের শুভেচ্ছা কার্ড তুলে দেন।
নির্মল রোজারিওর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বড়দিনের কেক কাটেন প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান, বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি জুয়েল আড়ং, এমপি, অ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, এমপি, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মো. এ হামিদ জমাদ্দার, বাংলাদেশ খ্রিস্টান লীগের সভাপতি ড্যানিয়েল নির্মল ডি'কস্তা এবং বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হেমন্ত আই কোরায়া প্রমুখ।
আরও পড়ুন: মানুষ হত্যা করে সরকারকে উৎখাত করা যাবে না: প্রধানমন্ত্রী
মাদারীপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থককে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ
মাদারীপুরের কালকিনির লক্ষ্মীপুরে শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) মাদারীপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীর এক সমর্থককে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
নিহত এস্কান্দার খান (৪০) স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা সিদ্দিকীর সমর্থক।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হাসান জানান, সকালে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবদুস সোবহান গোলাপের সমর্থকরা এস্কান্দারকে বাসা থেকে ডেকে এনে ছুরিকাঘাত করে আহত করে।
তাকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে রাত সাড়ে ১২টার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা, আহত ৫
সাতকানিয়ায় নৌকা-স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ
সিরাজগঞ্জে স্বতন্ত্র প্রার্থীকে কটুক্তি করায় সাবেক বিএনপি নেতা আতাউরকে শোকজ
রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় যুবদল নেতা নিহত, পরিবারের দাবি হত্যা
রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় রনি হোসেন নামে এক যুবদল নেতা নিহত হয়েছেন।তবে পরিবারের দাবি এটি পরিকল্পিত হত্যা।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) বিকালে নগরীর উপকণ্ঠ খড়খড়ি বাইপাস এলাকার বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত রনি রাজশাহী জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। তিনি নগরীর টিকাপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: বগুড়ার শিবগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় কাভার্ডভ্যান চালক নিহত
রনিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করছে তার পরিবার। রনির ছোট ভাই মনা ইসলাম জানান, এলাকার প্রভাবশালী কিছু লোকজনের সঙ্গে আমাদের বিরোধ ছিল। কিছুদিন আগে ঝামেলাও হয়। আমার ভাই দুপুরে বাড়ি থেকে বের হয়। বিকালে তার লাশ পাই। আমরা ধারণা করছি, আমার ভাইকে তুলে নিয়ে গিয়ে পরিকল্পিতভাবে ট্রাকচাপা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় আমরা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করব।
নগরীর চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব আলম বলেন, যুবদল নেতা রনি নগরীর আমচত্বর থেকে মোটরসাইকেলে খড়খড়ি এলাকার দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক তার মোটরসাইকেলে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই রনির মৃত্যু হয়।
ওসি আরও বলেন, রনির লাশ উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ট্রাকের চালককে আটক করার চেষ্টা করা হচ্ছে। নিহতের পরিবার অভিযোগ তুলছে যে এটি হত্যাকাণ্ড। আমরা তদন্ত করছি। এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে পরিবার চাইলে মামলা করতে পারবে।
আরও পড়ুন: জামালপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ জন নিহত
চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ যুবক নিহত
বিএনপি-জামায়াতের আমলে হত্যা করলেও কোনো বিচার হতো না: আইনমন্ত্রী
বিএনপি-জামায়াতের আমলে হত্যা করলেও কোনো বিচার হতো না বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, হত্যা করলে কোনো বিচার হবে না- দেশে এমন একটি সংস্কৃতির জন্ম দিয়েছিল বিএনপি-জামায়াত। ওই সময় তারা হত্যা করলেও কোনো বিচার হতো না।
আরও পড়ুন: সরকার নীতি-নির্ধারণী সিদ্ধান্ত নেবে না, রুটিন কাজ করবে: আইনমন্ত্রী
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় তার নিজের নির্বাচনী এলাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনের কসবার বাদৈর ঈদগাহ মাঠে এক সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এসময় মন্ত্রী বলেন, আমরা ভয় পেতাম, আমি-আপনি হত্যার শিকার হলে আমাদের ছেলে-মেয়েরা বিচার পাবে না। আমাদের পিতাকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে। তার বিচার আমরা পাইনি।
তিনি বলেন, বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ দেওয়া উচিৎ। কারণ তিনি সরকারে এসে প্রথম যে কাজটি করেছেন, এই বিচারগুলো তিনি শেষ করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি তার মা-বাবা, ভাই বা পরিজনের হত্যা বিচার পেয়েছেন তা শুধু নয়, সারা বাংলাদেশের মানুষকে আশস্ত করেছেন তাদের প্রতি অন্যায় হলেও বিচার পাবেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতাদের মুক্তি নিয়ে কৃষিমন্ত্রীর বক্তব্য ব্যক্তিগত: আইনমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, আজকে বাংলাদেশের যে কোনো নাগরিকের প্রতি অন্যায় হলে সেই বিচার হয়।
আনিসুল হক বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা হোক বিএনপি ও জামায়াত ইসলাম তা চায় না। তারা বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র করতে চায়। নির্বাচনে জনগণের আগ্রহ দেখে বিএনপি ভীত হয়ে সন্ত্রাস করছে। সন্ত্রাস করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
আরও পড়ুন: টাইপিংয়ে ভুলের জন্য সংসদে পাস হওয়া শ্রম আইন ফেরত দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি: আইনমন্ত্রী