হত্যা
বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে জাতিকে পঙ্গু করা যায়নি: হাছান মাহমুদ
বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে জাতিকে পঙ্গু করা যায়নি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা যখন আসন্ন, পাকিস্তানি হানাদারবাহিনী তখন উপলব্ধি করতে পেরেছিল বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করতে যাচ্ছে। তাই জাতিকে পঙ্গু করার উদ্দেশ্যেই ১৪ ডিসেম্বর জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করা হয়েছিল। তবে তাদের হত্যা করেও বাঙালি জাতিকে পঙ্গু করা যায়নি।’
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের সকালে রায়েরবাজার বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় হাছান মাহমুদ বলেন, ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে যাদেরকে হত্যা করা হয়েছিল, বাঙালি জাতির স্বাধীনতার লক্ষ্যে মনন তৈরি করতে বঙ্গবন্ধুর সহযোগী হিসেবে তারা তাদের লেখনী, বক্তব্যের মাধ্যমে ও নানাভাবে কাজ করেছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘গত ৫২ বছরের বেশি সময়ের এই পথ চলায় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বহুদূর এগিয়ে গেছে।’
আরও পড়ুন: বিএনপি আন্ডারগ্রাউন্ড সংগঠনে রূপান্তরিত হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে যদি বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বে অপরাজনীতি, সাম্প্রদায়িকতা আশ্রয়ী রাজনীতি, জ্বালাও-পোড়াও ও ধংসাত্মক রাজনীতি না থাকত আমরা বঙ্গবন্ধুর সব স্বপ্ন এতদিনে বাস্তবায়ন করতে পারতাম।’
তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে যারা স্বাধীনতা চায়নি, স্বাধীনতাকামী মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে যারা পাকিস্তানিদের হয়ে যুদ্ধ করেছে; সেই জামায়াতে ইসলামীকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি অপরাজনীতি করছে। এই অপরাজনীতি যদি দেশে না থাকত, দেশ আজ বহুদূর এগিয়ে যেতে পারত।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আজ বাংলাদেশ পৃথিবীর কাছে একটি গর্বিত জাতি এবং সারাবিশ্ব এই দেশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। অথচ দুঃখের বিষয় এখনও বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি হয়।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনাই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছেন। আমরা যখন বিচারের ঘোষণা দিলাম তখন অনেকেই ভেবেছে এই বিচার হবে না। বিচার কার্যক্রম শুরুর পরও অনেকেই ভেবেছে কার্যক্রম শুরু হলেও শেষ হবে না। আবার রায় হওয়ার পরেও অনেকে ভেবেছিল রায় হলেও বাস্তবায়ন হবে না। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে পৃথিবীর অনেক বড় রাষ্ট্রের রক্তচক্ষু এবং অনেক চাপকে উপেক্ষা করে শেখ হাসিনা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছেন এবং বিচারের রায় বাস্তবায়ন করেছেন। শেখ হাসিনা দেশ পরিচালনার দায়িত্বে থাকলে সব মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার হবে এবং বিচারের রায়ও কার্যকর হবে।’
আরও পড়ুন: মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীরাই মানবাধিকারের কথা বলে, প্রেসক্রিপশন দেয়: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি বিশৃঙ্খলা করলে দাঁতভাঙা জবাব দেবে মানুষ: তথ্যমন্ত্রী
উখিয়ায় রোহিঙ্গা যুবককে গুলি করে হত্যা
কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ইমাম হোসেন (৩০) নামক এক রোহিঙ্গা যুবককে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় উখিয়া ৪নং ক্যাম্পে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত ইমাম হোসেন উখিয়ার ক্যাম্প- ৪ নং ক্যাম্পের মনির উল্লাহর ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হোসাইন।
ওসি জানান, দুপুরের দিকে ক্যাম্পে অস্ত্রধারী কয়েকজন অজ্ঞাত সন্ত্রাসী ইমাম হোসেনকে গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ওসি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিজেদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপ এ ঘটনা ঘটিয়েছে। ঘটনার পর ঘটনাস্থলে টহল বাড়ানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় আরসা-আরএসও 'বন্দুকযুদ্ধে' রোহিঙ্গা নিহত
সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই রোহিঙ্গা নিহত
উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরসা ও আরএসও'র দুই সদস্য নিহত
নরসিংদীতে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
নরসিংদীতে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে। রবিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে শহরের বানিয়াছল বিলপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবক চান্দু আল-আমীন বানিয়াছল এলাকার ইব্রাহিম মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ছাত্রলীগকর্মীকে কুপিয়ে হত্যা
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে একই এলাকার কাউসারের সঙ্গে মাদক ব্যবসা নিয়ে আল-আমিনের বিরোধ চলছিল। এর জেরে রবিবার রাতে বানিয়াছল বিলপাড় এলাকায় চান্দু আল-আমীনের রাড়িতে কাউসার হামলা চালিয়ে তাকে কুপিয়ে গুরুতর যখম করে চলে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নরসিংদী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়া জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ করতে আসেনি। পুলিশ নিজ উদ্যোগে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে স্ত্রী ও ২ সন্তানকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড
নওগাঁয় বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
জয়পুরহাটে গলাকেটে বৃদ্ধকে হত্যার অভিযোগ, ২ ছেলে ও তাদের স্ত্রী আটক
জয়পুরহাটের কালাইয়ে এক ব্যক্তিকে গলাকেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের দুই ছেলে ও দুই পুত্রবধূকে আটক করা হয়েছে।
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) উপজেলার শিকটা গ্রামে নিজের ঘর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: বাবুগঞ্জে বিএনপি নেতার স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যা!
নিহত সৈয়দ আলী আকন্দ (৭১) কালাই উপজেলার পুনট ইউনিয়নের শিকটা উত্তর পাড়া গ্রামের মৃত মোতারাজ আলীর ছেলে৷
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন সৈয়দ আলী। শুক্রবার সকালে ছেলের বউ শ্বশুরকে ডাকতে গিয়ে গলাকাটা অবস্থায় দেখতে পান। এ সময় তার চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে আসেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতলের মর্গে পাঠায়।
কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াসিম আল বারি জানান, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের ছেলে তৈয়ব আলী, নাজমুল ও তাদের স্ত্রী এজিনা ও রাহিমাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
আরও পড়ুন: ফতুল্লায় মেহমান হয়ে এসে কবিরাজকে গলাকেটে হত্যার অভিযোগ
নোয়াখালীতে অটোরিকশা চালককে গলাকেটে হত্যা
বগুড়ায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও জরিমানা
বগুড়ায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত ৩-এর বিচারক মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন এই রায় দেন।
আরও পড়ুন: সাকিবকে নিয়ে সমালোচনা: ধারাভাষ্য থেকে ওয়াকারের নাম প্রত্যাহারে হাইকোর্টের রুল
দণ্ডিত ব্যক্তি সবুজ মিয়া বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার জালশুকা দহপাড়া এলাকার হাকিম উদ্দিনের ছেলে।
এই মামলায় সবুজের বাবা-মাসহ অপর চার আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি এপিপি আইনজীবী বিনয় কুমার দাস বিশু।
তিনি জানান, ২০১২ সালের ২৩ আগস্ট সবুজ মিয়া তার স্ত্রী কোহিনুর বেগমকে মারপিট করে বালিশ চাপায় গুরুতর আহত করে। পরে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় কোহিনুরের বড় ভাই লিটন বাবু মামলা করলে ১১ বছর পর আদালত এই হত্যা মামলায় রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে তারেকের বক্তব্য মুছে ফেলতে বিটিআরসিকে হাইকোর্টের নির্দেশ
বিচারপতিকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য: বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমানকে হাইকোর্টে তলব
সাভারে আটোরিকশাচালক হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৫
সাভারে আটোরিকশা চালককে হত্যার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে ক্যাম্পে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন র্যাব- ৪ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট রাকিব মাহমুদ।
গ্রেপ্তাররা হলেন- রাজু, মহসিন, নুর আলম, ইসমাইল ও আক্তার।
কোম্পানি কমান্ডার জানান, গত ৮ অক্টোবর সাভারের ভাকুর্তা ইউনিয়নে রমজান আলীর অটোরিকশা ভাড়া নেন যাত্রীবেশী দুর্বৃত্তরা।
আরও পড়ুন: নাশকতার অভিযোগ: ২৮ অক্টোবর থেকে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার ৭২১
পরে তাদের নিয়ে অটোরিকশাটি কাইশারচর এলাকায় পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা চালককে হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায়।
নিহতের পরিবার সাভার মডেল থানায় একটি অজ্ঞাত আসামিদের নামে হত্যা মামলা করে। মামলায় পুলিশের পাশাপাশি র্যাবও ছায়া তদন্ত শুরু করে। এক পর্যায়ে আজ সোমবার রাজধানী ও সাভারের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকারী, রাজু, মহসিন, নুর আলম, ইসমাইল ও আক্তার গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে খেলনা পিস্তল, নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। আসামিদের সাভার মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক কুমার সাহা জানান, আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জালিয়াতির অভিযোগে ঢাকায় চীনা নাগরিকসহ গ্রেপ্তার ১৫
চাঁদপুরে শাশুড়ি ও স্ত্রী হত্যার দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড
চাঁদপুরে স্ত্রী ও শাশুড়িকে হত্যার দায়ে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের গৃদকালিন্দিয়ায় একজনের মো. আল মামুন মোহন নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ১ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রবিবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে এ মামলার রায় দেন আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (২) শাহেদুল করিম।
রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মামুন লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার শায়েস্তানগর গ্রামের মৃত মনতাজ মাস্টারের ছেলে।
হত্যার শিকার স্ত্রী তানজিনা আক্তার রিতু ও শ্বাশুড়ি পারভীন বেগম চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার গৃদকালিন্দিয়া এলাকার প্রবাসী মো. সেলিম খানের মেয়ে ও স্ত্রী।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ১৩ ডিসেম্বর মামুন ও রিতুর বিয়ে হয়। শ্বশুর বাড়িতে ঘর না থাকায় রিতু বাবার বাড়িতে থাকতেন। এরইমধ্যে দেশের বাইরে চলে যান মামুন।
সেখানে কাজ না পেয়ে দেড় বছর পরে দেশে ফিরে আসেন। নানা কারণে রিতুকে সন্দেহ করতে থাকেন।
এরপর ২০২০ সালের ১৩ মে সন্ধ্যায় শ্বশুরবাড়িতে ইফতারের সময় স্ত্রী ও শাশুড়িকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন মামুন। ঘটনার পর পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন তাকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে।
ছুরিকাঘাত করার পর রিতু ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং তার মা পারভীন বেগম ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়।
এই ঘটনায় রিতুর চাচা মো. লিয়াকত খান ফরিদগঞ্জ থানায় মামুনকে আসামি করে মামলা করেন।
মামলাটি তদন্ত করেন তৎকালীন ফরিদগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ শহীদ হোসেন। তদন্ত শেষে ওই বছরের ২৯ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
মামলাটির রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি আইনজীবী মজিবুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, মামলায় আদালত ২৮ জনের সাক্ষীর সাক্ষ্য নিয়েছেন। সাক্ষ্য-প্রমাণ, মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা ও আসামি তার অপরাধ স্বীকার করায় আদালত এই রায় দেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে স্ত্রী ও ২ সন্তানকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড
যশোরে সোনা চোরাচালান মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
যশোরে যমজ সন্তানকে ডোবায় ফেলে হত্যার অভিযোগ মায়ের বিরুদ্ধে
যশোরের কেশবপুরে সুলতানা ইয়াসমিন নামে এক নারীর বিরুদ্ধে ১২ দিন বয়সী জমজ দুই সন্তানকে ডোবার পানিতে ফেলে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) রাতে উপজেলার সাহাপাড়া এলাকার নতুন মসজিদের পাশে এ ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে ২২ বছরের যুবককে পিটিয়ে হত্যা
এদিকে, বুধবার সকালে পুলিশ ডোবার পানি থেকে জমজ শিশু দুটির লাশ উদ্ধার ও ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে তাদের মা সুলতানা ইয়াসমিনকে আটক করে।
অভিযুক্ত সুলতানা ইয়াসমিন স্বামী আবু বক্কর সিদ্দিককে নিয়ে পৌর শহরের সাহাপাড়ায় তার বাবা আব্দুল লতিফের বাড়িতে বসবাস করতেন।
পুলিশ জানায়, ২০২১ সালের ২৪ এপ্রিল সুলতানা ইয়াসমিনের সঙ্গে আবু বক্করের বিবাহ হয়। দুইজনই এর আগে বিবাহিত ছিলেন। সুলতানার প্রথম পক্ষের সংসারে অহনা ইয়াসমিন নামে একটি মেয়ে রয়েছে। আবু বক্কর সিদ্দিকের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার পর সুলতানা বুঝতে পারেন তার স্বামী অন্য নারীতে আসক্ত। এ কারণে তাদের মধ্যে কলহ লেগে ছিল। সুলতানা স্বামীকে সুপথে ফেরাতে বাচ্চা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
গত ১০ নভেম্বর রাতে কেশবপুর শহরের মাতৃমঙ্গল ক্লিনিকে সিজারের মাধ্যমে সুলতানা ইয়াসমিনের জমজ সন্তান হয়। এর মধ্যে একটি ছেলে ও একটি মেয়ে।
পারিবারিক কলহের জেরে সুলতানা ইয়াসমিন গত ২১ নভেম্বর (মঙ্গলবার) রাত দেড়টার দিকে প্রথমে আরাফ নামে ছেলে সন্তানকে বাড়ির সামনের একটি ডোবার পানিতে নিক্ষেপ করে।
পরে ঘরে ফিরে তাসনীম নামে মেয়ে সন্তানকেও ওই রাতেই একই ডোবায় ফেলে দেয়। এরপর ঘরে ফিরে বাচ্চাদের পাওয়া যাচ্ছে না বলে মিথ্যা কাহিনী তৈরি করে পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে পুলিশকে খবর দেয়।
পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে বুধবার (২২ নভেম্বর) সকাল সাতটার দিকে ওই ডোবা থেকে জমজ বাচ্চা দুইটিকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন।
বুধবার সকালে সুলতানা ইয়াসমিনসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সুলতানা ইয়াসমিন তার জমজ বাচ্চা দুটিকে ডোবার পানিতে নিক্ষেপের কথা স্বীকার করেন।
এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জহিরুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিক তদন্তে সুলতানা ইয়াসমিন স্বামীর সঙ্গে পারিবারিক কলহের জের ধরে মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত হয়ে নিজ সন্তানদের ডোবার পানিতে নিক্ষেপ করে হত্যা করার কথা স্বীকার করেন।
তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে কেশবপুর থানায় মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় মাকে হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন
লক্ষ্মীপুরে স্বামীকে হত্যা: ২ আসামির যাবজ্জীবন
চুয়াডাঙ্গায় মাকে হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন
চুয়াডাঙ্গায় মা জবেদা খাতুনকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে ছেলে মুকুল হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. জিয়া হায়দার এ রায় দেন।
আসামি মুকুল হোসেনের উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: নাটোরে হত্যা মামলায় স্বামী-স্ত্রীর যাবজ্জীবন
চুয়াডাঙ্গার পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. বেলাল হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহারে জানা যায়, ২০২১ সালের ১৩ নভেম্বর বিকাল সাড়ে ৪টায় নিজেদের বাড়িতে জবেদা খাতুনকে ধারালো হাসুয়া দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করেন ছেলে মুকুল হোসেন। জমিজমা নিয়ে বিরোধের কারণে এ হত্যাকাণ্ড হয়।
এ ঘটনায় নিহত জবেদা খাতুনের ভাই মো. আলাউদ্দিন ঘটনার দিন রাতে মুকুল হোসেনকে আসামি করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলায় তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) হাসানুজ্জামান ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর মামলার একমাত্র আসামি মুকুল হোসেনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলায় ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণে ছেলে মুকুল হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে স্বামীকে হত্যা: ২ আসামির যাবজ্জীবন
নাটোরে হত্যার দায়ে স্বামী-স্ত্রীর যাবজ্জীবন
লক্ষ্মীপুরে স্বামীকে হত্যা: ২ আসামির যাবজ্জীবন
লক্ষ্মীপুর সদরে জুলফিকার আলী মামুন নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে দুইজনকে যাবজ্জীবন দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বুধবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে হত্যা মামলায় স্বামী-স্ত্রীর যাবজ্জীবন
নিহত জুলফিকার লক্ষ্মীপুরের বশিকপুর ইউনিয়নের বিরাহিমপুর গ্রামের মৃত সফি উল্যাহ পাটওয়ারীর ছেলে। তিনি ঢাকা শহরে পান বিক্রি করতেন।
যাবজ্জীবনপ্রাপ্তরা হলেন-নিহতের স্ত্রী শাহিনুর বেগম ও জামাতা রাকিব হোসেন। রায়ের সময় দণ্ডপ্রাপ্ত দুইজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার এজাহার ও আদালত সূত্র জানায়, ২০২২ সালের ৯ অক্টোবর দিবাগত গভীর রাতে দুই আসামি জুলফিকারকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। ২২ অক্টোবর থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের মা ফাতেমা বেগম। মামলায় নিহতের স্ত্রী শাহিনুর ও জামাতা রাকিব এবং সহযোগী হিসেবে শাহ আহাম্মদসহ দুই-তিনজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
হত্যা মামলার তদন্ত করেন লক্ষ্মীপুর সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. বেলায়েত উল্যাহ।
তিনি শাহিনুর ও রাকিবকে অভিযুক্ত করে ৩০ নভেম্বর আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দেন এবং ৩ নম্বর আসামি শাহ আহাম্মদকে মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন।
মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে হত্যার দায়ে স্বামী-স্ত্রীর যাবজ্জীবন
জয়পুরহাটে ছেলের কুড়ালের আঘাতে বাবার মৃত্যু !