হত্যা
সাভারে আটোরিকশাচালক হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৫
সাভারে আটোরিকশা চালককে হত্যার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে ক্যাম্পে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন র্যাব- ৪ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট রাকিব মাহমুদ।
গ্রেপ্তাররা হলেন- রাজু, মহসিন, নুর আলম, ইসমাইল ও আক্তার।
কোম্পানি কমান্ডার জানান, গত ৮ অক্টোবর সাভারের ভাকুর্তা ইউনিয়নে রমজান আলীর অটোরিকশা ভাড়া নেন যাত্রীবেশী দুর্বৃত্তরা।
আরও পড়ুন: নাশকতার অভিযোগ: ২৮ অক্টোবর থেকে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার ৭২১
পরে তাদের নিয়ে অটোরিকশাটি কাইশারচর এলাকায় পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা চালককে হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায়।
নিহতের পরিবার সাভার মডেল থানায় একটি অজ্ঞাত আসামিদের নামে হত্যা মামলা করে। মামলায় পুলিশের পাশাপাশি র্যাবও ছায়া তদন্ত শুরু করে। এক পর্যায়ে আজ সোমবার রাজধানী ও সাভারের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকারী, রাজু, মহসিন, নুর আলম, ইসমাইল ও আক্তার গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে খেলনা পিস্তল, নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। আসামিদের সাভার মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক কুমার সাহা জানান, আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জালিয়াতির অভিযোগে ঢাকায় চীনা নাগরিকসহ গ্রেপ্তার ১৫
চাঁদপুরে শাশুড়ি ও স্ত্রী হত্যার দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড
চাঁদপুরে স্ত্রী ও শাশুড়িকে হত্যার দায়ে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের গৃদকালিন্দিয়ায় একজনের মো. আল মামুন মোহন নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ১ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রবিবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে এ মামলার রায় দেন আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (২) শাহেদুল করিম।
রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মামুন লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার শায়েস্তানগর গ্রামের মৃত মনতাজ মাস্টারের ছেলে।
হত্যার শিকার স্ত্রী তানজিনা আক্তার রিতু ও শ্বাশুড়ি পারভীন বেগম চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার গৃদকালিন্দিয়া এলাকার প্রবাসী মো. সেলিম খানের মেয়ে ও স্ত্রী।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ১৩ ডিসেম্বর মামুন ও রিতুর বিয়ে হয়। শ্বশুর বাড়িতে ঘর না থাকায় রিতু বাবার বাড়িতে থাকতেন। এরইমধ্যে দেশের বাইরে চলে যান মামুন।
সেখানে কাজ না পেয়ে দেড় বছর পরে দেশে ফিরে আসেন। নানা কারণে রিতুকে সন্দেহ করতে থাকেন।
এরপর ২০২০ সালের ১৩ মে সন্ধ্যায় শ্বশুরবাড়িতে ইফতারের সময় স্ত্রী ও শাশুড়িকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন মামুন। ঘটনার পর পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন তাকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে।
ছুরিকাঘাত করার পর রিতু ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং তার মা পারভীন বেগম ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়।
এই ঘটনায় রিতুর চাচা মো. লিয়াকত খান ফরিদগঞ্জ থানায় মামুনকে আসামি করে মামলা করেন।
মামলাটি তদন্ত করেন তৎকালীন ফরিদগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ শহীদ হোসেন। তদন্ত শেষে ওই বছরের ২৯ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
মামলাটির রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি আইনজীবী মজিবুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, মামলায় আদালত ২৮ জনের সাক্ষীর সাক্ষ্য নিয়েছেন। সাক্ষ্য-প্রমাণ, মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা ও আসামি তার অপরাধ স্বীকার করায় আদালত এই রায় দেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে স্ত্রী ও ২ সন্তানকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড
যশোরে সোনা চোরাচালান মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
যশোরে যমজ সন্তানকে ডোবায় ফেলে হত্যার অভিযোগ মায়ের বিরুদ্ধে
যশোরের কেশবপুরে সুলতানা ইয়াসমিন নামে এক নারীর বিরুদ্ধে ১২ দিন বয়সী জমজ দুই সন্তানকে ডোবার পানিতে ফেলে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) রাতে উপজেলার সাহাপাড়া এলাকার নতুন মসজিদের পাশে এ ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে ২২ বছরের যুবককে পিটিয়ে হত্যা
এদিকে, বুধবার সকালে পুলিশ ডোবার পানি থেকে জমজ শিশু দুটির লাশ উদ্ধার ও ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে তাদের মা সুলতানা ইয়াসমিনকে আটক করে।
অভিযুক্ত সুলতানা ইয়াসমিন স্বামী আবু বক্কর সিদ্দিককে নিয়ে পৌর শহরের সাহাপাড়ায় তার বাবা আব্দুল লতিফের বাড়িতে বসবাস করতেন।
পুলিশ জানায়, ২০২১ সালের ২৪ এপ্রিল সুলতানা ইয়াসমিনের সঙ্গে আবু বক্করের বিবাহ হয়। দুইজনই এর আগে বিবাহিত ছিলেন। সুলতানার প্রথম পক্ষের সংসারে অহনা ইয়াসমিন নামে একটি মেয়ে রয়েছে। আবু বক্কর সিদ্দিকের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার পর সুলতানা বুঝতে পারেন তার স্বামী অন্য নারীতে আসক্ত। এ কারণে তাদের মধ্যে কলহ লেগে ছিল। সুলতানা স্বামীকে সুপথে ফেরাতে বাচ্চা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
গত ১০ নভেম্বর রাতে কেশবপুর শহরের মাতৃমঙ্গল ক্লিনিকে সিজারের মাধ্যমে সুলতানা ইয়াসমিনের জমজ সন্তান হয়। এর মধ্যে একটি ছেলে ও একটি মেয়ে।
পারিবারিক কলহের জেরে সুলতানা ইয়াসমিন গত ২১ নভেম্বর (মঙ্গলবার) রাত দেড়টার দিকে প্রথমে আরাফ নামে ছেলে সন্তানকে বাড়ির সামনের একটি ডোবার পানিতে নিক্ষেপ করে।
পরে ঘরে ফিরে তাসনীম নামে মেয়ে সন্তানকেও ওই রাতেই একই ডোবায় ফেলে দেয়। এরপর ঘরে ফিরে বাচ্চাদের পাওয়া যাচ্ছে না বলে মিথ্যা কাহিনী তৈরি করে পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে পুলিশকে খবর দেয়।
পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে বুধবার (২২ নভেম্বর) সকাল সাতটার দিকে ওই ডোবা থেকে জমজ বাচ্চা দুইটিকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন।
বুধবার সকালে সুলতানা ইয়াসমিনসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সুলতানা ইয়াসমিন তার জমজ বাচ্চা দুটিকে ডোবার পানিতে নিক্ষেপের কথা স্বীকার করেন।
এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জহিরুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিক তদন্তে সুলতানা ইয়াসমিন স্বামীর সঙ্গে পারিবারিক কলহের জের ধরে মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত হয়ে নিজ সন্তানদের ডোবার পানিতে নিক্ষেপ করে হত্যা করার কথা স্বীকার করেন।
তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে কেশবপুর থানায় মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় মাকে হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন
লক্ষ্মীপুরে স্বামীকে হত্যা: ২ আসামির যাবজ্জীবন
চুয়াডাঙ্গায় মাকে হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন
চুয়াডাঙ্গায় মা জবেদা খাতুনকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে ছেলে মুকুল হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. জিয়া হায়দার এ রায় দেন।
আসামি মুকুল হোসেনের উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: নাটোরে হত্যা মামলায় স্বামী-স্ত্রীর যাবজ্জীবন
চুয়াডাঙ্গার পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. বেলাল হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহারে জানা যায়, ২০২১ সালের ১৩ নভেম্বর বিকাল সাড়ে ৪টায় নিজেদের বাড়িতে জবেদা খাতুনকে ধারালো হাসুয়া দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করেন ছেলে মুকুল হোসেন। জমিজমা নিয়ে বিরোধের কারণে এ হত্যাকাণ্ড হয়।
এ ঘটনায় নিহত জবেদা খাতুনের ভাই মো. আলাউদ্দিন ঘটনার দিন রাতে মুকুল হোসেনকে আসামি করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলায় তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) হাসানুজ্জামান ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর মামলার একমাত্র আসামি মুকুল হোসেনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলায় ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণে ছেলে মুকুল হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে স্বামীকে হত্যা: ২ আসামির যাবজ্জীবন
নাটোরে হত্যার দায়ে স্বামী-স্ত্রীর যাবজ্জীবন
লক্ষ্মীপুরে স্বামীকে হত্যা: ২ আসামির যাবজ্জীবন
লক্ষ্মীপুর সদরে জুলফিকার আলী মামুন নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে দুইজনকে যাবজ্জীবন দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বুধবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে হত্যা মামলায় স্বামী-স্ত্রীর যাবজ্জীবন
নিহত জুলফিকার লক্ষ্মীপুরের বশিকপুর ইউনিয়নের বিরাহিমপুর গ্রামের মৃত সফি উল্যাহ পাটওয়ারীর ছেলে। তিনি ঢাকা শহরে পান বিক্রি করতেন।
যাবজ্জীবনপ্রাপ্তরা হলেন-নিহতের স্ত্রী শাহিনুর বেগম ও জামাতা রাকিব হোসেন। রায়ের সময় দণ্ডপ্রাপ্ত দুইজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার এজাহার ও আদালত সূত্র জানায়, ২০২২ সালের ৯ অক্টোবর দিবাগত গভীর রাতে দুই আসামি জুলফিকারকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। ২২ অক্টোবর থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের মা ফাতেমা বেগম। মামলায় নিহতের স্ত্রী শাহিনুর ও জামাতা রাকিব এবং সহযোগী হিসেবে শাহ আহাম্মদসহ দুই-তিনজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
হত্যা মামলার তদন্ত করেন লক্ষ্মীপুর সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. বেলায়েত উল্যাহ।
তিনি শাহিনুর ও রাকিবকে অভিযুক্ত করে ৩০ নভেম্বর আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দেন এবং ৩ নম্বর আসামি শাহ আহাম্মদকে মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন।
মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে হত্যার দায়ে স্বামী-স্ত্রীর যাবজ্জীবন
জয়পুরহাটে ছেলের কুড়ালের আঘাতে বাবার মৃত্যু !
সিলেটে ছাত্রলীগকর্মীকে কুপিয়ে হত্যা
সিলেট নগরীর বালুচরে ছাত্রলীগের এক কর্মীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (২০ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে নগরের বালুচরের টিভি গেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ছাত্রলীগকর্মী আরিফ নগরীর টিবি গেইট এলাকার ফটিক মিয়ার ছেলে এবং ছাত্রলীগ সিলেট জেলা কমিটির সভাপতি নাজমুল ইসলাম গ্রুপের সক্রিয় কর্মী।
আরও পড়ুন: নাটোরের লালপুরে আ. লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নগরীর বালুচরে ছাত্রলীগের দুইটি গ্রুপের মধ্যে কয়েকদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এর জেরে সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আরিফকে ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা।
পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত দেড়টার দিকে তিনি মারা যান।
এদিকে নিহত আরিফকে দেখতে রাতেই হাসপাতালে ছুটে যান জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি কিশওয়ার জাহান সৌরভ ও সাধারণ সম্পাদক নাঈম আহমদ।
ছাত্রলীগ সভাপতি নাজমুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, নিহত আরিফ সিলেট সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় কর্মী। চার-পাঁচ দিন আগে আরিফের উপর হামলা করেছিল এলাকার কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসী। সোমবার বিকালে আরিফ হামলার ঘটনায় নগরীর শাহপরান থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। সেখান থেকে ফেরার সময় তার উপর হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগ কর্মসূচি দেবে বলে জানান নাজমুল ইসলাম।
সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী মাহমুদ বলেন, নগরের বালুচর এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় আহত একজন রাত দেড়টার দিকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
মা ও দুই সন্তানকে কুপিয়ে হত্যা: প্রধান আসামি জহিরুল গ্রেপ্তার
বগুড়ায় চোর সন্দেহে কিশোরকে পিটিয়ে হত্যা
বগুড়ার সদরে চোর সন্দেহে জয় (১৭) নামে এক কিশোরকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (১৯ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে বগুড়া সদরের লাহিড়ীপাড়া ইউনিয়নের কাজী নুরইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জয় শাখারিয়া ইউনিয়নের বাড়ইপাড়া গ্রামের স্বাধীন মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: যানজট সৃষ্টির প্রতিবাদ করায় সিএনজিচালককে পিটিয়ে হত্যা
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাত সাড়ে ৯টার দিকে কাজী নুরইল গ্রামের মৃত মকবুল মাস্টারের ছেলে মন্টুর বাড়িতে ঢোকে জয়। এ সময় চোর ঢুকেছে সন্দেহে মন্টু চিৎকার করলে তার বড় ভাই আশরাফুল ঘর থেকে বের হয়ে আসেন। লোকজন দেখে ভয় পেয়ে জয় প্রাণ বাঁচাতে ওই বাড়ির কাঁঠাল গাছে উঠে পড়ে। পরে গাছ থেকে জয়কে নামিয়ে তাকে দুই ভাই মিলে মারধর করেন।
এরই মধ্যে চোর ধরা পড়ার খবরে গ্রামের আরও লোকজন সেখানে জড়ো হয়ে ওই কিশোরকে মারধর করে। এতে রাত ১০টার দিকে মন্টুর বাড়িতেই ওই কিশোরের মৃত্যু হয়।
এদিকে তার মৃত্যুর বিষয়টি বুঝতে পেরে এর আগেই পালিয়ে গেছেন মন্টু ও আশরাফুল। পরে খবর পেয়ে পুলিশ লাশ নিয়ে যায়।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইহান ওলিউল্লাহ বলেন, ‘চোর সন্দেহে জয় নামের ওই কিশোরকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
আরও পড়ুন: নওগাঁয় ব্যবসায়ীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, আটক ২
লক্ষ্মীপুরে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে একজনকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
নওগাঁয় ব্যবসায়ীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, আটক ২
নওগাঁর মহাদেবপুরে মামুন হোসেন নামে এক ব্যবসায়ীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার দিবাগত রাতে নওগাঁ-রাজশাহী সড়ক ভীমপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে এবং রবিবার দুপুরে ওই এলাকা থেকে মামুন হোসেনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত ব্যবসায়ী মামুন হোসেন উল্লাসপুর গ্রামের আলেফ আলীর ছেলে এবং তিনি স্যানিটারি ও সিমেন্টের তৈরি খুঁটির ব্যবসা করতেন।
আরও পড়ুন: মাদকাসক্ত ছেলের হাতুড়ির আঘাতে মায়ের মৃত্যু
আটক দুইজন হলেন- একই গ্রামের ট্রাক চালক দুলালের পুত্র সুমন হোসেন ও উল্লাশপুর গ্রামের সজিব হোসেন।
মহাদেবপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাফ্ফর হোসেন জানান, মামুন বৈদ্যুতিক খুঁটি তৈরি করে বিক্রি করতেন। তিনি ট্রাকে খুঁটি নিয়ে বিক্রির জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জে যান। এসময় তার সঙ্গে ট্রাকচালক সুমন ও তার সহযোগী সজিব ছিলেন।
তিনি আরও জানান, রাতে ট্রাকচালক সুমন ও তার সহযোগী সজীব বাড়ি ফিরলেও মামুন বাড়ি ফেরেননি। পরে রবিবার সকালে মামুনের বিধবা মা তার সন্ধানে সুমন ও সজীবের উপর চাপ সৃষ্টি করেন।
বিষয়টি প্রতিবেশীদের মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি করে। স্থানীয় ইউপি সদস্য রুবেল হোসেন ওই দু’জনকে ডেকে জানতে চান। কিন্তু কথাবার্তা অসংলগ্ন হওয়ায় তিনি নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়সাল বিন আহসানকে জানান।
এরপর সদর থানার পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসা করলে তারা স্বীকার করেন, মামুনকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পরে পুলিশ তাদের সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারে ঘটনাস্থল মহাদেবপুর থানার অন্তর্গত।
বিষয়টি মহাদেবপুর থানাকে জানানো হয়।
মহাদেবপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়ব্রত পাল, মহাদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফ্ফর হোসেন ঘটনাস্থলে এসে লাশের সুরতহালসহ যাবতীয় আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঠান।
লাশ উদ্ধারের পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে ট্রাকের চালক সুমন ও চালকের সহযোগী সজিব হোসেনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা পুলিশের কাছে হত্যার কথা স্বীকার করে। আটকদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মহাদেবপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গৃহবধূকে হাতুড়ি দিয়ে হত্যার অভিযোগ চাচাতো ভাইয়ের বিরুদ্ধে
জমি লিখে না দেয়ায় কুড়িগ্রামে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে বাবাকে হত্যা
মানুষ হত্যা ও অগ্নিসংযোগের জন্য জনসমক্ষে ক্ষমা চান: বিএনপি-জামায়াতকে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) বিএনপি ও জামায়াতকে মানুষ হত্যা ও অগ্নিসংযোগ করার জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে বলেছেন।
ভোটের দরজা সবার জন্য উন্মুক্ত জানিয়ে তিনি ৭ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে সব দলকে আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘জামায়াত-বিএনপি অগ্নিসংযোগ করে মানুষ হত্যা করেছে এবং জানমালের ক্ষতি করেছে। তাই আমরা চাই তারা জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে তারপর নির্বাচনে আসুক। নির্বাচনের দরজা সবার জন্য উন্মুক্ত।’
রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় আওয়ামী লীগের ঢাকা জেলা কার্যালয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রথম সভায় সূচনা বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে।
সবার দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘আসুন নির্বাচনে অংশ নিন। জনগণের কাছে যান এবং জনগণের কাছে আপনাদের ভোট দিতে বলুন।’
অগ্নিসংযোগের ভয় না পেয়ে নিয়ম মেনে যথাসময়ে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করায় তিনি নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) ধন্যবাদ জানান।
সময়মতো নির্বাচন যাতে সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয় সেজন্য প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন।
আরও পড়ুন: মুণ্ডুহীন বিএনপি অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে নির্বাচন বানচাল করতে চায়: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে এবং তাদের পছন্দের সরকার গঠনের জন্যই এই নির্বাচন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব- এই স্লোগান দিতে দিতে আপনারা (নির্বাচনে) ভোট দিতে যাবেন।’
যুব সমাজের প্রতি ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করেছে এবং এখন সবাই এর সুফল পাচ্ছে। এখন তার সরকার আগামীতে দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলার প্রচেষ্টায় রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি আমরা তাদের (তরুণদের) সহযোগিতা (এটি করতে) পাব।’
তিনি প্রশ্ন করেন, যারা খুন করেছে এবং সাধারণ মানুষকে হত্যার পরিকল্পনা করেছে; জনগণ কেন তাদের ভোট দিতে যাবে এবং জনগণ কেন তাদের ওপর আস্থা রাখবে?
তিনি আরও বলেন, জনগণ তাদের বিশ্বাস করে না, কারণ তারা খুনি ও ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে চিহ্নিত।
নির্বাচন জনগণের সাংবিধানিক অধিকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় এসেছে এবং জনগণ ভোট দেবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কারো সাহস থাকলে তারা নির্বাচনে অংশ নেবে। জনসমর্থন থাকলে তারা তা পাবে।’
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভোটে যে দল জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবে তারাই সরকার গঠন করবে।
তিনি বলেন, তারা (বিএনপি-জামায়াত) জনগণের ওপর আস্থা রাখতে ব্যর্থ হয়ে হামলা চালাচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ অবশ্যই অগ্নিসংযোগ সহিংসতা কাটিয়ে উঠবে: প্রধানমন্ত্রী
অগ্নিসংযোগকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন: দলীয় সদস্যদের প্রতি শেখ হাসিনা
মানুষ হত্যা করে ক্ষমতায় আসা যাবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, মানুষ হত্যা করে, পুড়িয়ে কখনও ক্ষমতায় আসা যাবে না। ক্ষমতায় আসতে হলে ভোটের মাধ্যমে আসতে হবে।
তিনি বলেন, আপনারা ( বিএনপি ) অগ্নিসন্ত্রাস করছেন। মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছেন। প্রতিষ্ঠান পুড়িয়েছেন। মানুষকে কষ্ট দিচ্ছেন, অবরোধ করছেন, জ্বালাও-পোড়াও করছেন। বাস-গাড়ি পুড়াচ্ছেন, পুলিশ হত্যা করছেন।
শনিবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় খেলা মাঠে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুর টিকা আপাতত কোনো কাজে আসছে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে জাহিদ মালেক বলেন, আপনারা পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চান। আপনারা স্বাধীনতার সময় বিরোধীতা করেছেন, রাজাকার-আলবদর সৃষ্টি করেছেন। দেশকে মুক্তি লাভ করতে দেন নাই। দুই লাখ মা-বোন তাদের সম্ভ্রম হারিয়েছেন। আপনারাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছেন। সিরিজ বোমা, গ্রেনেড হামলা আপনারাই (বিএনপি) করেছেন। বিদ্যুতে, সারে চুরি করেছেন।
মন্ত্রী বলেন, মানিকগঞ্জবাসী আওয়ামী লীগ, নৌকা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আছেন। আপনাদের ভোটে তিনবার এমপি হয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর আস্থা অর্জন করে দুইবার মন্ত্রী হয়েছি। বিগত পাঁচটি বছর আমরা আপনাদের নিয়ে কাটিয়েছি। আপনারা জানেন, করোনার সেই মৃত্যুর কষ্ট, যন্ত্রণা নিয়ে আমরা কাজ করেছি, অনেক সুখের দিকও ছিলও তবে দিনগুলো সবসময় সুখকর ছিল না।
আরও পড়ুন: জনবল সংকটকে চিকিৎসা খাতে বড় চ্যালেঞ্জ দেখছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সারাদেশের সকল সরকারি হাসপাতালে ৪০ হাজার বেড ছিল, যা ৭০ হাজার বেডে উন্নতি করা হয়েছে। দেশে দশটি নতুন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং চারটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে। এ ছাড়া ক্যান্সার, কিডনি ও হার্টের জন্যে দেশের আটটি বিভাগে আটটি হাসপাতাল হয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মহীউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনু্ষ্ঠানে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম, সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ ফটো, যুগ্ম সম্পাদক সুলতানু আজম খান সহ জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিকলীগ, ছাত্রলীগ ও অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: এডিস মশা থাকলে ডেঙ্গু রোগীও থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী