হত্যা
বাঁশখালীতে গৃহ পরিচারিকার লাশ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগ
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় রাফিয়া বেগম নামে এক পরিচারিকার রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৪ অক্টোবর) ছনুয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মনুমিয়াজীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত রাফিয়া ছনুয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের হাঁসপাড়া এলাকার আবুল হাশেমের স্ত্রী। এদিকে পুলিশ ও পরিবারের ধারণা রাফিয়া বেগমকে হত্যা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কলেজছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা : ওসি মিজানের ১০ বছর কারাদণ্ড
নিহতের বড় ছেলে মামুনুর রশীদ বলেন, ‘আমার মা ৬ মাস ধরে ওই বাড়িতে কাজ করছেন। মা শারীরিক প্রতিবন্ধী। কেউ আমার মাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে। আমরা খুনিদের বিচার চাই।’
বাঁশখালী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাজিব পোদ্দার বলেন, ছনুয়া কাদেরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক মৃত আরেফুল কাদের চৌধুরীর বাড়িতে গৃহপরিচারিকা হিসেবে থাকতেন রাফিয়া বেগম। ভোরে বাড়িসংলগ্ন পুকুরের ঘাটে রাফিয়া বেগমের রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠায়।
তিনি আরও বলেন, লাশের কপালে, মুখে, মাথায় ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে কেউ রাফিয়াকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে। হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করে আসামি ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মারা গেল চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার সিংহী ‘নোভা’
চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
রাজধানীতে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ
রাজধানীর দক্ষিণখানে টাকা-পয়সা লেনদেন নিয়ে বিরোধ মেটাতে গিয়ে এক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার দক্ষিণখান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুমন মিয়া জানান, নিহত মোসাব্বির হোসেন (২৭) ওই এলাকার মো. মোতালেব হোসেনের ছেলে।
এসআই জানান, দক্ষিণখান কসাইবাড়ী রেলগেট সংলগ্ন বটতলা এলাকায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ক্রিসেন্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীর মালিবাগে ট্রেনে কাটা পড়ে একজনের মৃত্যু
বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের ভাষ্যমতে, মোসাব্বিরের ছোট ভাই জাভেদের সঙ্গে টাকা নিয়ে ঝগড়া হয় কয়েকজনের। পরে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে দুর্বৃত্তরা মোসাব্বিরকে ছুরিকাঘাত করে।
দক্ষিণখান থানার এসআই আনান-উল-আলম জানান, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ট্রাকের ধাক্কায় বৃদ্ধের মৃত্যু
লক্ষ্মীপুরে চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের অভিযোগ
লক্ষ্মীপুরে শাহ আলম স্বপন নামে এক চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) সকালে রায়পুর উপজেলার বামনী ইউনিয়নের একটি সুপারি বাগান থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় স্ত্রীকে রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
নিহত স্বপন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা আবিরনগর গ্রামের মৃত শাহজাহানের ছেলে।
নিহতের স্ত্রী শাহিনুর ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পরে নিজের অটোরিকশা নিয়ে বের হন স্বপন। এরপর থেকে অটোরিকশাসহ তিনি নিখোঁজ হন। ওই দিন রাতে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো সন্ধান পায়নি পরিবারের সদস্যরা।
সকালে এলাকাবাসীর মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ রায়পুর উপজেলার বামনী এলাকার সুপারি বাগান থেকে অজ্ঞাত লাশটি উদ্ধার করে। পুলিশ। পরে শাহ আলম স্বপনের লাশ শনাক্ত করেন তার স্বজনরা।
ধারণা করা হচ্ছে, রাতে স্বপনকে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। পরে তার লাশ সুপারি বাগানে ফেলে রেখে অটোরিকশাটি নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিপন বড়ুয়া জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: লক্ষীপুরে নির্বাচনী সহিংসতায় ছাত্রলীগ নেতা নিহত
লক্ষীপুরে জ্বর, সর্দি নিয়ে দুই মাসে ৪০ জনের মৃত্যু
পিরোজপুরে চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই, ঘাতক গ্রেপ্তার
পিরোজপুরের সদর উপজেলায় অটোরিকশা চালক অনিক হত্যার ঘটনায় জড়িত ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোর্পদ করেছে পুলিশ।
শুক্রবার সকালে পিরোজপুর জেলা পুলিশ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ সব তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: বেটিং অ্যাপসের মাধ্যমে ডলার পাচার, খুলনায় গ্রেপ্তার ৮
গ্রেপ্তাররা হলো- পিরোজপুর শহরের তালুকদার পাড়া এলাকার জামাল মোল্লার ছেলে হাফিজ মোল্লা ওরফে মারুফ মোল্লা, পিরোজপুর শহরের মধ্যরাস্তা এলাকার কালাম মোল্লার ছেলে আবিদ মোল্লা, একই এলাকার হানিফ শেখের পুত্র শাহিন শেখ এবং বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ উপজেলার হোগলাপাশা ইউনিয়নের মহিষপুড়া এলাকার আবুল কালাম হাওলাদারের ছেলে মেহের চাঁন হাওলাদার।
গত মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নের ঝনঝনিয়া এলাকা থেকে অটোরিকশা চালক ফেরদৌস শেখ অনিকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় ঐ দিনই নিহতের মা লাকি বেগম বাদি হয়ে পিরোজপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পিরোজপুর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শফিউর রহমান জানান, সোমবার(১০ অক্টোবর) সন্ধ্যার কিছু সময় পরে সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নের ঝনঝনিয়া এলাকায় পিরোজপুর-নাজিরপু-ঢাকা সড়কের পাশ্ববর্তী একটি সড়কে নিয়ে অনিনকে গলা চেপে হত্যা করে অটোরিকশাটি নিয়ে পালিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা।
অনিকের লাশ উদ্ধারের পর ডিবি পুলিশ তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে হত্যাকারীদের শনাক্ত করে।
পরে পিরোজপুর, বাগেরহাট ও ঢাকায় অভিযান চালিয়ে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ছিনতাই হওয়া রিকশাটিও উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। আসামিরা তাদের অপরাধ স্বীকার করে জবানবন্দী দিয়েছেন বলেও জানান পুলিশ সুপার।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে প্রবাসীকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় যুবক গ্রেপ্তার
সিরাজগঞ্জ জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি গ্রেপ্তার
খুলনায় রং মিস্ত্রিকে হত্যার অভিযোগ, গ্রেপ্তার ৫
খুলনার সোনাডাঙ্গায় ইমন শেখ নামে এক রং মিস্ত্রিকে হত্যার ঘটনায় অস্ত্র ও গুলি জব্দসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) দিবাগত রাতভর নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে কবি রাধাপদ রায়ের ওপর হামলা, প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তাররা হলেন, নাজমুস সাকিব জাকারিয়া, রিয়াজ, বুলু পাটোয়ারী, আকাশ হাওলাদার ও আপন খাঁ।
এদিকে ইমন হত্যার ঘটনায় তার বাবা সানোয়ার হোসেন বৃহস্পতিবার রাতেই ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ চার-পাঁচজন অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে সোনাডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের পর পুলিশ তাদের গ্রেপ্তারে অভিযানে নেমে পাঁচজনকে আটক করে। এসময় তাদের একজনের কাছ থেকে একটি কালো রঙের ওয়ান শুটার গান ও এক রাউন্ড পিস্তলের গুলি জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: নাটোরে শিশু ধর্ষণ মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ১৭ বছর পর গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে প্রতিবেশীর কোদালের কোপে নারী নিহত!
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশী ভাড়াটিয়ার কোদালের কোপে সাবিনা আক্তার পান্না(২৮) নামে এক নারী নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার (৪ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বন্দরের নবীগঞ্জ শান্তিরবাগ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার নবীগঞ্জ শান্তিরবাগ টি হোসেন গার্ডেন সংলগ্ন বাসিন্দা মো. রাজিব মিয়ার মেয়ে রোজা মনি অন্য শিশুদের সঙ্গে মোশারফ মিয়ার বাড়িতে খেলছিল। এতে বাড়ির ভাড়াটিয়া আব্দুর রহমান উত্তেজিত হয়ে শিশুদের গালি দেয়। ফলে তার সঙ্গে রোজা মনির মা পান্নার কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আব্দুর রহমান কোদাল দিয়ে পান্নার মাথায় আঘাত করলে সেখানেই তিনি মারা যান।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে জোড়া খুনের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
এবিষয়ে পান্নার স্বামী রাজিব জানান, আমি বাইরে কাজ করছিলাম। স্ত্রীর খুনের খবর শুনে দ্রত বাড়িতে এসে জানতে পারি আমার মেয়ে বাড়ির পাশে অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলছিল। শিশুদের খেলার শব্দে আব্দুর রহমান বিরক্ত হয়ে গালাগালি করে। এ সময় আমার স্ত্রী প্রতিবাদ করলে আব্দুর রহমান ঘর থেকে মাটি কাটার কোদাল এনে আমার স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
রাজিব আরও বলেন, আমি এই হত্যার বিচার চাই।
বন্দর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সামাদ মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খুনের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। নিহতের সুরতহাল প্রস্তুত করে লাশ মর্গে পাঠিয়েছি। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত আব্দুর রহমান পলাতক। থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
হত্যায় ব্যবহৃত কোদাল জব্দ করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভাইয়ের হাতে ভাই খুনের অভিযোগ
কলেজছাত্র হৃদয় হত্যা: আরও ২ আদিবাসী যুবক গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামের রাউজানের কলেজছাত্র শিবলী সাদিক হৃদয়কে অপহরণ ও খুনের পরিকল্পনায় জড়িত আরও দুই আদিবাসী যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৭।
রবিবার (১ অক্টোবর) দুপুরে র্যাব-৭ এর সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাহবুব আলম এ তথ্য জানান।
গ্রেপ্তারেরা হলেন- উচিংথোয়াই মারমা (২৩) ও ক্যাসাই অং চৌধুরী (৩৬)।
সংবাদ সম্মেলনে মো. মাহবুব আলম বলেন, পোল্ট্রি ফার্মের মুরগির খাবার চুরি করার প্রতিবাদ করায় হৃদয়কে খুন করা হয়। খুনের পর যাতে লাশ শনাক্ত করতে না পারে, তাই লাশ টুকরো টুকরো করে ফেলে অভিযুক্তরা।
আরও পড়ুন: বিশ্বের ৪০ ভাগ আদিবাসী নিজ ভাষায় শিক্ষার সুযোগ পান না: ইউনেস্কো
তিনি বলেন, অভিযুক্তরা মুরগিকে পর্যাপ্ত খাবার না দিয়ে বিক্রি করে দিতে। এ নিয়ে পোল্ট্রি ফার্মের ম্যানেজার হৃদয় তাদের ভৎর্সনা করে। এ কারণে খামারে কর্মরত শ্রমিকদের সঙ্গে কয়েক দফা কথা কাটাকাটি হয়। তখন হৃদয়কে শিক্ষা দিতে অপহরণের পরিকল্পনা করে তারা।
তিনি আরও বলেন, অপহরণের একদিন পর ২৯ আগস্ট বিকালে রঙিন পাহাড়ের চূড়ায় নিয়ে তাকে হত্যা করা হয়। উচিংথোয়াই মারমা নিজেই ছুরি দিয়ে হৃদয়ের গলা কাটে। তার সহযোগী ক্যাসাই অং চৌধুরীসহ আরও চারজন হৃদয়ের হাত-পা এবং মুখ চেপে ধরে। হত্যার পর মাথা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়। লাশ যাতে চিহ্নিত করতে না পারে এ জন্য টুকরো টুকরো করা হয়।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকালে অভিযান চালিয়ে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত থেকে উচিংথোয়াই মারমাকে গ্রেপ্তারের পর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিকাল ৫টার দিকে আসামি ক্যাসাই অং চৌধুরীকে নতুন ব্রিজ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
গ্রেপ্তারকৃতরা খুনের বর্ণনা দিয়ে জবানবন্দি দিয়েছে বলে দাবি করেছে র্যাব।
র্যাবের অধিনায়ক জানান, হৃদয়কে হত্যার পর মাংস খেয়ে ফেলেছে- এমন একটি খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হয়। এ বিষয়টি নিয়ে আমরা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তারা বলেছে, এ ব্যাপারে তারা জানে না। তবে শরীরের মাংস আলাদা করে ফেলে দেওয়া হয়েছিল এটি সত্য। মাংস খাওয়ার বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, গত ১১ সেপ্টেম্বর রাউজানের গহীন অরণ্য থেকে হৃদয়ের খন্ড-বিখন্ড লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশ উদ্ধার করে ফেরার সময় গণপিটুনিতে নিহত হন অভিযুক্ত উমংচিং মারমা নামে এক যুবক। লাশ উদ্ধারের ১৪ দিন আগে অপহৃত হন হৃদয়।
আরও পড়ুন: হিলিতে মোটরসাইকেলচাপায় আদিবাসী নারী নিহত, চালক আটক
দিনাজপুরে আদিবাসী নৈশ প্রহরীর লাশ উদ্ধার
চুয়াডাঙ্গায় স্ত্রীকে রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
চুয়াডাঙ্গার পৌর এলাকায় নয়নতারা নামে এক গৃহবধূকে রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে।
এ সময় মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস টুনি মাকে রক্ষা করতে এলে তাকেও রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করা হয়।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে সুমিরদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত নয়নতারা মেহেরপুর সদর উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের আনছার আলীর মেয়ে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় বৈদ্যুতিক পিলারে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় চালক নিহত, আহত ২
স্থানীয়রা জানান, ১৮ বছর আগে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার সুমিরদিয়া গ্রামের মৃত আনছার মন্ডলের ছেলে আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রী নয়নতারাকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করছিলেন স্বামী আনোয়ার হোসেন। সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ নয়নতারার লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে নেয়। স্বামী আনোয়ার হোসেন ঘটনার পরপরই গা ঢাকা দিয়েছেন।
প্রতিবেশীরা জানান, বিছানা ও ঘরের মেঝে রক্তাক্ত অবস্থায় ছিল। মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌসকে উদ্ধার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সোহরাব হোসেন বলেন, জান্নাতুলের মাথায় আঘাতের চিহ্ন আছে। মাথায় ১২-১৫টা সেলাই লেগেছে। সে শঙ্কামুক্ত নয়। তাকে সদর হাসপাতালে নারী সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি রেখেছি। তার চিকিৎসা চলমান।
আহত জান্নাতুল বলেন, বাবা ৯ মাস ধরে আমাদের কোনো খরচ দেন না। আমরা নানিবাড়িতে ছিলাম। আমার নানার আর্থিক অবস্থা অতটা ভালো না। মা আমাদের খুব কষ্ট করে চালান।
জান্নাতুল আরও বলেন, আমার আর ছোট ভাইয়ের পড়াশোনাও চালান মা। মায়ের শখ তার ছেলে হুজুর হবে এবং আমাকেও এসএসসি পর্যন্ত পড়াবেন। আমার পড়াশোনা গ্যাপ যাচ্ছে তাই আজ বাড়িতে এসেছি।
তিনি বলেন, মা বলছিলেন আজকে যেতে হবে না কালকে যাই।
এ সময় কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, আমরা যদি কালকে আসতাম তাহলে আমার মা বেঁচে থাকতো।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান জানান, পরকীয়া সন্দেহে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বনাবনি ছিল না। স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামী আনোয়ার হোসেন গা ঢাকা দিয়েছেন। আমরা তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি।
আরও পড়ুন: নড়াইলে কৃষককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
তাহিরপুরে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
চট্টগ্রামে মিতু হত্যা: আরও ৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন
চট্টগ্রামে সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় আরও চারজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালতে এই সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
চারজনের মধ্যে জব্দ তালিকার দু’জন এবং সিআইডি’র ব্যালাস্টিক এক্সপার্টও রয়েছে। এর আগে এই মামলায় ১৪ সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছিলেন।
মহানগর পিপি অ্যাডভোকেট আবদুর রশিদ বলেন, মিতু হত্যা মামলায় চার জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। এনিয়ে মোট ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে।
আজকে কোনো সাক্ষীর জেরা হয়নি। এর মধ্যে সেসময় সিআইডি চট্টগ্রামে কর্মরত পুলিশ পরিদর্শক (ব্যালাস্টিক এক্সপার্ট), ফলের দোকানদার, পুলিশ কনস্টেবল ও মিতুর একই ভবনের বাসিন্দা আছেন। আগামী ১৬ অক্টোবর মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে।
আদালতে দেওয়া সাক্ষ্যে জিইসি মোড়ের একটি ফল দোকানের কর্মচারি আবদুর রহিম জানান, ঘটনার দিন সকালে দোকান খুলতে গেলে সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও জড়ো হওয়া লোকজন দেখতে পান তিনি। তারা জানায়, এখানে একজনকে সন্ত্রাসীরা মেরে চলে গেছে। সেখান থেকে পুলিশ তিনটি গুলি, একটি গুলির খোসা ও এক জোড়া স্যান্ডেল উদ্ধার করে জব্দ তালিকা করে। আমাকে স্বাক্ষর করতে বলায় আমি স্বাক্ষর করি।
আরও পড়ুন: মিতু হত্যাকাণ্ড: ৭ বছর পর আসামি গ্রেপ্তার
মিতুর একই ভবনের বাসিন্দা উম্মে ফরহাদ আহমেদ সুরমা আদালতে দেওয়া সাক্ষ্যে জানান, আমার দুই ছেলেও ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলে পড়ে।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে আমার স্বামী ফোন করে আমাকে জানায়, মিতু ভাবি মারা গেছে। আমি লিফট থেকে নেমে দেখি মাহির। ও আমাকে বলে, আমার আম্মু মারা গেছে। সে তখন কান্না করছিল। তাকে ভবনের ভিতরে পাঠিয়ে আমি ওয়েল ফুডের সামনে যাই। দেখি মিতু ভাবি রাস্তায় পড়ে ছিলেন রক্তাক্ত অবস্থায়। গুলির চিহ্ন দেখি। এরপর পুলিশ সুরতহাল করে। আমি স্বাক্ষর করি।
সে সময়ের পাঁচলাইশ থানার কনস্টেবল রনিতা বড়ুয়া আদালতে দেওয়া সাক্ষ্যে জানান, ঘটনার দিন সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে এসআই ত্রিরতন বড়ুয়া ফোন করে বলে যে জিইসি মোড়ে একটা লাশ আছে। ওখানে যেতে। আরও দুজন পুলিশ সদস্যসহ সেখানে যাই। ওখানে গিয়ে দেখি ওয়েল ফুডের সামে কালো বোরকা পরা একটি লাশ পড়ে আছে। এসআই ত্রিরতন বড়ুয়া সুরতহাল করেন। তাকে সহযোগিতা করি। তিনি জব্দ তালিকাও করেন।
আদালতে দেওয়া সাক্ষ্যে সেসময় সিআইডি চট্টগ্রামে কর্মরত পুলিশ পরিদর্শক ব্যালাস্টিক এক্সপার্ট আবদুর রহিম জানান, ২০১৬ সালের ৩০ জুন সিএমপি ডিবি’র সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. কামরুজ্জামানের কাছ থেকে পাওয়া স্মারক মূলে সাদা কাপড়ে মোড়ানো একটি কাগজের বাক্সের ভিতর সিলগালা অবস্থায় আলামত পাই। আলামত হিসেবে ৭ পয়েন্ট ৬৫ এমএম পিস্তলের দুটি অব্যবহৃত, একটি ব্যবহৃত ও একটি মিস ফায়ার হওয়া কাতুর্জ, স্থানীয়ভাবে তৈরি একটি পয়েন্ট ৩২ ক্যালিবারের রিভলবার, স্থানীয়ভাবে তৈরি একটি রিভলবার পাওয়ার কথা আদালতে জানা। এসব আলামতের বিষয়ে মতামত, ব্যালাস্টিক রিপোর্ট ও রাসায়নিক প্রতিবেদন তিনি পরীক্ষা শেষে জমা দেন বলে আদালতে দেওয়া সাক্ষ্যে জানান।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে খুন হন বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু। এ ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। ঘটনার সময় মিতুর স্বামী তৎকালীন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার অবস্থান করছিলেন ঢাকায়। চট্টগ্রামে ফিরে তিনি অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে একটি মামলা করেন।
পিবিআই’র তদন্তে বেরিয়ে আসে, মিতু হত্যাকাণ্ডে বাবুলের সম্পৃক্ততা রয়েছে। এ অভিযোগে ২০১২ সালের ১২ মে বাবুলের দায়ের করা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে চট্টগ্রাম নগরের পাঁচ থানায় মামলা দায়ের করেন মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন। ওইদিনই এ মামলায় বাবুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
আরও পড়ুন: মিতু হত্যা মামলায় বাদী মোশাররফ হোসেনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন
মিতু হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
সিলেটে স্ত্রী ও দুই সন্তান হত্যায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
সিলেটে শ্বাসরুদ্ধ করে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে হত্যার দায়ে হাসান মুন্সি নামে একজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত মহানগর আদালতের বিচারক নুরে আলম ভুঁইয়া এ রায় দেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আদালতের অ্যাডিশনাল পিপি জুবায়ের বখত।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে হত্যা ও মাদক মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, ৩ জনের যাবজ্জীবন
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- হাসান মুন্সি ওরফে কামরুল হাসান। তিনি গোপালগঞ্জ জেলার মাকসুদপুর খালপার কমলাপুরের নজরুল মুন্সির ছেলে। তিনি হত্যাকাণ্ডের আগে স্ত্রী সন্তান নিয়ে সিলেট নগরীর দক্ষিণ সুরমার ঝালোপাড়া খেয়াঘাট গলির প্রবাসী কামালের কলোনির ৫ নম্বর বাসায় ভাড়া থাকতেন।
মামলার বরাত দিয়ে আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই সকালে নগরীর দক্ষিণ সুরমার ঝালোপাড়া খেয়াঘাট গলির প্রবাসী কামালের মালিকানাধীন সেমিপাকা ঘরের বাথরুম থেকে গৃহবধূ জনি আক্তার জয়নব ওরফে শিউলি (৩৫), তার সন্তান মিম (১৫) ও তাহসিনের (১৩) গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় নিহত শিউলির চাচাতো ভাই নগরীর কালিবাড়ি এলাকার বাসিন্দা বাদশা মিয়া বাদী হয়ে হাসান মুন্সিসহ অজ্ঞাত পাঁচজনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, শিউলি ও হাসান মুন্সির ১৬ বছরের দুই সন্তান হয়। একটি পোশাক কারখানায় চাকরি নিয়ে ২০১৮ সালের জুলাইয়ে ঢাকায় আসেন হাসান। আর পরিবারের লোকজনকে রেখে আসেন সিলেটের সুরমার ঝালোপাড়ায় ভাড়া বাসায়।
২০১৮ সালের ৩০ জুলাই সন্ধ্যার পর বাদী জানতে পারেন হাসান মুন্সি তার চাচাতো বোন ও ভাগ্নিদের ওই বছরের ২৬-২৮ জুলাইয়ের কোনো একদিন হত্যা করেন এবং বাসায় বাইরে থেকে তালা মেরে পালিয়ে যান।
৩০ জুলাই সকালে দুর্গন্ধ ছড়ালে ঘরের দরজা ভেঙে বাথরুম থেকে গলিত অবস্থায় তাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
মামলাটি প্রথমে তদন্ত করেন সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) লোকমান আহমদ।
পিবিআইয়ের পরিদর্শক কামরুজ্জামান তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি একমাত্র হাসান মুন্সিকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলাটি বিচারের জন্য অত্র আদালতে পাঠানো হলে আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের পর ১২ জন সাক্ষী সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত হাসান মুন্সিকে মৃত্যুদণ্ড দেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় জজ মিয়া হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
মুন্সীগঞ্জে কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড