উদ্বোধন
বার কাউন্সিলের ১৫ তলা ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার ঢাকায় বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নবনির্মিত ১৫ তলা ভবন উদ্বোধন করেছেন।
১৩৮ কোটি টাকা ব্যয়ে অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত ভবনটিতে পর্যাপ্ত অফিস স্পেস, মিটিং রুম, দু’টি কনফারেন্স রুম, রেকর্ড রুম, স্টোর রুম, ওয়েটিং এরিয়া, ক্যাফেটেরিয়া, ডে-কেয়ার সেন্টার, প্রদর্শনী স্থানসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।
অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
আইন ও বিচার বিভাগের তত্ত্বাবধানে নির্মিত এবং স্থাপত্য অধিদপ্তরের নকশায় বার কাউন্সিল ভবনে ৫টি ট্রাইব্যুনাল কক্ষ, মাল্টিপারপাস হল এবং পৃথক প্রার্থনা কক্ষ রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নতুন ভবনের উদ্বোধন শনিবার
এছাড়া, এখানে টিভি লাউঞ্জ, কিচেন ও ডাইনিং হলসহ শতাধিক আইনজীবীর থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ভবন উদ্বোধনের পর তিনি ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আইনজীবীদের সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন।
আনিসুল হকের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সমাবেশে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এবং সারা দেশের বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণকারী আইনজীবীরা অংশ নেন।
আরও পড়ুন: একদিনে ৩৯ জেলায় ১৫০টি সেতুর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
ফের পেছাল আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের মেট্রোরেলের উদ্বোধন
ফের পেছাল আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের মেট্রোরেলের উদ্বোধন
আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের মেট্রোরেল উদ্বোধনের তারিখ ফের পিছিয়েছে। আগামী ৪ নভেম্বর উদ্বোধন করা হবে এ অংশের।
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) সড়ক পরিবহন ও মহাসড়কের সচিব এ.বি.এম আমিন উল্লাহ নুরী ইউএনবিকে এ তথ্য জানান।
মেট্রোরেল আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধনের তারিখ দ্বিতীয় দফায় পেছনোর কারণ জানতে চাইলে সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রীর শিডিউলজনিত কারণে উদ্বোধনের তারিখ পেছানো হয়েছে। এ ছাড়া কোনো কারণ নেই।
উল্লেখ্য, এর আগে আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের মেট্রোরেল উদ্বোধনের তারিখ ছিল ২০ অক্টোবর। পরবর্তীতে তা ২৯ অক্টোবর নির্ধারিত হয়।
আরও পড়ুন: ২ ঘণ্টা পর আবার মেট্রোরেল চলাচল শুরু
আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের পরীক্ষামূলক যাত্রা
অক্টোবরে ঢাকা মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী: কাদের
ধানমন্ডিতে জয়িতা টাওয়ার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
রাজধানীর ধানমন্ডিতে নবনির্মিত ১২ তলা জয়িতা টাওয়ার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি ধানমন্ডিতে জয়িতা টাওয়ার, জামদানি গ্যালারি ও জয়িতা টাওয়ারে স্থাপিত জয়িতা মার্কেটপ্লেসের উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করেন।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত জয়িতা টাওয়ারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছলে শিশু ও মহিলা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা তাকে অভ্যর্থনা জানান।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন তার ছোট বোন শেখ রেহানা।
বাংলাদেশ শিশু একাডেমির শিল্পীরা সঙ্গীত ও নৃত্যের মাধ্যমে তাদের স্বাগত জানান। তাদের সঙ্গে ছবিও তোলেন প্রধানমন্ত্রী।
পরে প্রধানমন্ত্রী টাওয়ারের বিভিন্ন অংশ পরিদর্শন করেন।
তিনি 'নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান' শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, জয়িতা টাওয়ারটি অত্যাধুনিক ভৌত অবকাঠামো সুবিধা দিয়ে নির্মিত হয়েছে।
এটি জয়িতা ব্র্যান্ডের অধীনে দেশের নারী উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন ব্যবসায়িক উদ্যোগে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচনে আ. লীগ ক্ষমতায় এলে ঢামেক হাসপাতালকে অত্যাধুনিক করা হবে: প্রধানমন্ত্রী
জয়িতা টাওয়ারে দেশের নারী উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত বিভিন্ন ধরনের প্রক্রিয়াজাত পণ্য, সাপ্লাই চেইন ও সেবা সার্বজনীন প্রবেশাধিকারসহ বাজারজাত করার সুবিধা রয়েছে।
এই ভবনে জ্ঞান, দক্ষতা, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন কৌশলের ভিত্তিতে নারী উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণের জন্য ভৌত অবকাঠামোগত সুবিধা প্রদান করা হয়েছে।
এখানে যথেষ্ট গাড়ি পার্কিং সুবিধা এবং একটি প্রশস্ত লবি রয়েছে।
এছাড়া এতে জয়িতা ফাউন্ডেশনের সদর দপ্তর থাকবে।
জয়িতা আইকনিক টাওয়ারে রয়েছে চাইল্ড ডেকেয়ার সেন্টার, ডিজাইন সেন্টার, বিউটি পার্লার, জিমনেসিয়াম ফর উইমেন, সুইমিং পুল ফর উইমেন অ্যান্ড চিলড্রেন, মাল্টিপারপাস হল, সেমিনার হল, ব্যাংক, ফুড-কোর্ট ও ক্যাফে। চালু হয়েছে ই-জয়িতা অনলাইন মার্কেটপ্লেস।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২১ সালের ১ ডিসেম্বর ১২ তলা জয়িতা টাওয়ার নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ নিয়ে ডাকটিকিট প্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর
রাজধানীর ধানমন্ডির ২৭ (পুরাতন) রোডে এক বিঘা জমির ওপর ১৬৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে এটি নির্মাণ করা হয়েছে।
তিনি বাংলাদেশে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে ২০১১ সালের ১৬ নভেম্বর জয়িতা ফাউন্ডেশন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
ইতিমধ্যে, সরকার ফাউন্ডেশনের জন্য টোকেন মূল্যে দেশের প্রতিটি বিভাগে এক বিঘা জমি বরাদ্দ করেছে।
জয়িতা প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় কার্যক্রম চালু করে সারা দেশে নারীবান্ধব পৃথক বিপণন নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে চায়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে স্ট্যান্ডার্ড এভিয়েশন নেভিগেশন সার্ভিসের জন্য আইসিএওর সহায়তা কামনা প্রধানমন্ত্রীর
খুলনা-মোংলা রেলপথের উদ্বোধন ৯ নভেম্বর: রেলপথমন্ত্রী
খুলনা-মোংলা রেলপথের উদ্বোধন আগামী ৯ নভেম্বর হবে বলে জানিয়েছেন রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
তিনি বলেন, খুলনা-মোংলা রেলপথের উদ্বোধন আগামী ৯ নভেম্বর। এ ছাড়া রেলপথ বাংলাদেশের জাতীয় সম্পদ। যোগাযোগের অন্যতম সহজ ও নিরাপদ মাধ্যম হলো রেলপথ।
তিনি বলেন, সারাদেশকে রেলের আওতায় নিয়ে আসার জন্য রেলপথ সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়নের দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে সরকার। এই রেলপথ চালু হলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামবাসী না চাইলে সিআরবিতে হাসপাতাল হবে না: রেলপথমন্ত্রী
শনিবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে খুলনার ফুলতলা রেলওয়ে স্টেশন থেকে খুলনা-মোংলা রেলওয়ে প্রকল্পের অ্যালাইনমেন্ট (সেতু নম্বর-১০) পর্যন্ত এবং মোহাম্মদ নগর রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
রেলপথমন্ত্রী বলেন, ফুলতলা-মোংলা পর্যন্ত রেলপথ চালু হলে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত, নেপাল ও ভুটানের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে এবং মোংলা বন্দর ব্যবহার করে কম খরচে পণ্য আমদানি ও রপ্তানি করার সুযোগ হবে।
তিনি বলেন, এতে করে সরকারের রাজস্ব বাড়বে, নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং বিকাশ ঘটবে পর্যটন শিল্পের। রূপসা নদীর ওপর ৫ দশমিক ১৩ কিলোমিটার দৈর্ঘে্যর রেলসেতুর কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে। ফুলতলা-মোংলা রেলপথ এর ৯৮ দশমিক ০৫ শতাংশের কাজ শেষ হয়েছে, বাকি কাজ আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে শেষ হবে এবং আগামী ৯ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর উদ্বোধন করবেন।
এসময় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর, প্রকল্প পরিচালক মো. আরিফুজ্জামান, খুলনার ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মুকুল কুমার মৈত্র, উপপ্রকল্প পরিচালক (চিফ ইঞ্জিনিয়ার) আহমেদ হোসেন মাসুম, খুলনার অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (প্রকল্প) মো. আরিফুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ধর্ম নিয়ে অপপ্রচার চালিয়ে সরকারকে বিপদে ফেলার চেষ্টা: রেলপথমন্ত্রী
আধুনিক রেলওয়ে ব্যবস্থা করতে চান প্রধানমন্ত্রী: কুড়িগ্রামে রেলপথমন্ত্রী
পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকা-ভাঙ্গা রেল সংযোগের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে আরেকটি মাইলফলক স্থাপনে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে ঢাকা-ভাঙ্গা রেললাইনের উদ্বোধন করেছেন।
'পদ্মা সেতু রেল সংযোগ নির্মাণ প্রকল্পের' আওতায় ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা পর্যন্ত ৮২ কিলোমিটার রেলপথ উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর মানুষের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।
রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজনের সভাপতিত্বে জমকালো অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা।
সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য (মুন্সীগঞ্জ-২) সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন রেলওয়ে সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবির।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু হয়ে মাওয়া-ভাঙ্গা রেলপথে চলল পরীক্ষামূলক পণ্যবাহী ট্রেন
গত বছরের ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী রেললাইন নির্মাণের কাজ উদ্বোধন করেন।
রেললাইনটি তিন ধাপে নির্মিত হচ্ছে (পাশাপাশি ঢাকা ও গেন্ডারিয়ার মধ্যে ৩ কিলোমিটার সংযোগ নির্মাণ করা হচ্ছে): ৩৭ কিলোমিটার গেন্ডারিয়া-মাওয়া সেকশন, ৪২ কিলোমিটার মাওয়া-ভাঙ্গা সেকশন এবং ৮৭ কিলোমিটার ভাঙ্গা জংশন-যশোর সেকশন। প্রায় ৪৩ দশমিক ২ কিলোমিটার লুপ, সাইডিং ও ওয়াই-সংযোগসহ মোট পথের দৈর্ঘ্য ২১৫ দশমিক ২ কিলোমিটার।
ঢাকা-যশোর রেলপথের পুরো প্রকল্পটি ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ২০টি স্টেশন থাকবে, যার মধ্যে ১৪টি নতুন ও ৬টি ইতোমধ্যে রয়েছে। পূর্ববর্তী স্টেশনগুলোরও আধুনিকীকরণ করা হচ্ছে। কাজ শেষ হলে ১২০ থেকে ১৩০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চালানো যাবে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু বাংলাদেশের জীবন-জীবিকার উন্নয়ন ঘটিয়েছে
ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত প্রতিটি লেভেল ক্রসিংয়ে আন্ডারপাস নির্মাণ করা হচ্ছে বলে ঢাকা-যশোর রেললাইনের কোথাও কোনো রেলক্রসিং থাকবে না।
ঢাকা থেকে ভাঙ্গার দূরত্ব প্রায় ৮২ কিলোমিটার। ঢাকার গেন্ডারিয়া থেকে কেরাণীগঞ্জ হয়ে পদ্মা সেতুতে যুক্ত হয়েছে নতুন রেললাইন।
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রেলপথ দিয়ে কমলাপুর থেকে গেন্ডারিয়া হয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত ট্রেন চলাচল করতে পারবে।
প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে ১০০টি আধুনিক যাত্রীবাহী কোচ কেনা হয়েছে। এগুলোর সঙ্গে রেক সাজিয়ে নতুন ট্রেন চালু করা হবে।
২০১৬ সালের ৩ মে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। সে সময় এর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছিল প্রায় ৩৪ হাজার ৯৮৯ কোটি টাকা। ২০১৮ সালের ২২ মে প্রকল্প প্রস্তাব সংশোধন করা হলে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৩৯ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা। এতে ব্যয় আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জিটুজি (সরকার থেকে সরকার) ভিত্তিতে চীনের অর্থায়নে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প নির্মাণ করা হচ্ছে। চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ (সিআরইসি) এই প্রকল্পের কাজ করছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে চীনের এক্সিম ব্যাংক ২৬৬ কোটি ৭৯ লাখ ডলার ঋণ দিচ্ছে। বাকি খরচ বাংলাদেশ সরকার বহন করছে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেনে পাড়ি দিতে উদগ্রীব দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলবাসী
গেমসআওয়ার কর্পোরেট প্রিমিয়ার লিগ টি২০’র ২য় মৌসুমের উদ্বোধন
এনরুট ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান গেমসআওয়ার ‘গেমস আওয়ার কর্পোরেট প্রিমিয়ার লীগ টি-২০’ এর দ্বিতীয় মৌসুমের উদ্বোধন করেছে।
সম্প্রতি পূর্বাচলের ক্যাডেট কলেজ ক্লাব লিমিটেডে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
কর্পোরেট প্রিমিয়ার লিগে প্রথম মৌসুমের ব্যাপক সফলতার পর দ্বিতীয় মৌসুমের পর্দা উঠতে যাচ্ছে অক্টোবরের ৬ তারিখ থেকে।
অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিল নতুন মৌসুমের জার্সি উন্মোচন, দল ও ম্যাচ ফিক্সচার ঘোষণা।
এছাড়াও টুর্নামেন্ট বিষয়ক আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন অংশগ্রহণকারী দলের ক্যাপ্টেন এবং অফিশিয়ালরা।
এই মৌসুমে মোট ৭টি সুপরিচিত কর্পোরেট দল লড়াই করবে চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য।
দলগুলোর মধ্যে রয়েছে- সিটি ব্যাংক, দারাজ, ইস্টার্ন ব্যাংক, মিউচুয়্যাল ট্রাস্ট ব্যাংক, স্টারগেজ ইন্টারন্যাশনাল, লায়লা গ্রুপ ও আমিন উইকেন্ড ক্রিকেট ক্লাব।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সূচনা বক্তব্যে দেন গেমসআওয়ার এর ডিরেক্টর শওকত আলী মিঞা এবং বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক ক্রিকেটার শাহরিয়ার নাফিস।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- আগামী লিমিটেডের হেড অব ক্যাটাগরি ফয়সাল জামান, র্যাংগস লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হামদুর রহমান ছাড়াও অংশগ্রহণকারী দলের অনেকেই।
অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে ২৪টি ম্যাচে ৭টি কর্পোরেট দল একে অপরের মুখোমুখি হবে এবং শীর্ষ ২টি দলের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে কাপ ফাইনাল; তৃতীয় ও চতুর্থ দলের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে প্লেট ফাইনাল এবং পঞ্চম ও ষষ্ঠ দলের মধ্যে লড়াই হবে বোল ফাইনালে।
খেলার ভেন্যু হিসেবে থাকছে মাসকো-সাকিব ক্রিকেট একাডেমি এবং পুলিশ স্টাফ কলেজ ক্রিকেট গ্রাউন্ড মাঠ।
টাইটেল স্পন্সর হিসেবে ২য় মৌসুমে থাকছে রিচার্জ ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংক, গোল্ড স্পন্সর হিসেবে থাকছে যমুনা গ্রুপ ও মিৎসুবিশি মোটোর্স্. এছাড়াও পৃষ্ঠপোষকতায় আরও থাকছে গো-জায়ান, ব্যাকপেজ পি আর, জে এস এস সিকিউরিটিস লিমিটেড, সাইলেন্ট স্পোর্টস এবং স্পোর্টস ফিফটি নাইন।
ই-কোয়ালিটি সেন্টার ফর ইনক্লুসিভ ইনোভেশনের উদ্বোধন করলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনের একটি সাইড ইভেন্টে ‘ই-কোয়ালিটি সেন্টার ফর ইনক্লুসিভ ইনোভেশন’ উদ্বোধন করেন।
‘ই-কোয়ালিটি সেন্টার ফর ইনক্লুসিভ ইনোভেশনের’ মাধ্যমে ‘ডিজিটাল বৈষম্যমুক্ত বিশ্বের রূপকল্প’ শীর্ষক সাইড ইভেন্টটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও এটুআইয়ের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত হয়।
গাম্বিয়া, উগান্ডা, ঘানা, সোমালিয়া, সাঁউ তুমি ও প্রিন্সিপির মন্ত্রী ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, জাতিসংঘ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন এবং এটুআইয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
ই-কোয়ালিটি সেন্টারের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে সাউথ-সাউথ সহযোগিতার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তিগত বিভাজন দূর করা।
বাংলাদেশ সরকারের প্রতিষ্ঠিত এই সেন্টারটি সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার, গবেষণা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে বিশ্বের দেশগুলোর মাঝে প্রযুক্তিগত পার্থক্য দূরীকরণে কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
আরও পড়ুন: মোমেনের সঙ্গে সিটিবিটিও নির্বাহী সচিবের বৈঠক অনুষ্ঠিত
এর উদ্দেশ্য হচ্ছে বৈশ্বিক প্রযুক্তি হস্তান্তর, গবেষণা এবং অর্থনৈতিক সহায়তার মাধ্যমে সমতামূলক ডিজিটাল ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার বক্তব্যে বাংলাদেশের ডিজিটাল ব্যবস্থার উন্নয়ন, অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে উত্তরণের যাত্রার বিষয়টি তুলে ধরেন।
উন্নয়নশীল দেশে প্রযুক্তি হস্তান্তরের প্রয়োজনীয়তা, দেশসমূহের মধ্যে সহযোগিতা, সমাজের সকল স্তরের মানুষের প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা এবং ডিজিটাল বৈষম্য দূরীকরণের উপর তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইসিটি এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি অনুবিভাগের মাধ্যমে প্রযুক্তির ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা নিশ্চিতকরণ ও প্রয়োজনীয় উদ্ভাবনমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে যার মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের ডিজিটাল ভিশন বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।
সুদৃঢ় অংশীদারত্ব, বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি এবং সর্বাধুনিক প্রযুক্তি আত্মীকরণের মাধ্যমে ই-কোয়ালিটি সেন্টার ডিজিটাল বিভাজনমুক্ত মানবজাতি সৃজনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
অনুষ্ঠানে ই-কোয়ালিটি সেন্টারের কারিগরি ও ব্যবহারিক নানা দিক উপস্থাপন করা হয়।
উপস্থিত বিভিন্ন দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ও জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিগণ এই উদ্যোগের ব্যাপারে তাদের মতামত উপস্থাপন করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে কোনো টানাপোড়েন নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন
তারা প্রযুক্তির অন্তর্ভুক্তিমূলক বন্টন, উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশসমূহের মধ্যে পারস্পারিক সহযোগিতা এবং নতুন ডিজিটাল বাস্তবতার চ্যালেঞ্জসমূহের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এ লক্ষ্যে ই-কোয়ালিটি সেন্টার কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এই অনুষ্ঠানে ইন্টারন্যাশনাল আইসিটি ইনোভেশন ফ্যাসিলিটির বিজয়ী প্রকল্পসমূহকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পুরস্কার বিতরণ করেন।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেন।
জাতিসংঘ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সদস্যদের অংশগ্রহণে আরও একটি অনলাইন সেশন আয়োজন করা হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইসিটি এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি অনুবিভাগের মহাপরিচালক ড. সৈয়দ মুনতাসির মামুন এবং অন্যান্য কর্মকর্তাগণ সেশনটিতে অংশগ্রহণ করেন।
দেশ ও বিদেশের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সদস্যদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে সাইড ইভেন্ট এবং উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সাফল্যের সঙ্গে সমাপ্ত হয়।
আরও পড়ুন: ভুল তথ্য-অপপ্রচার মোকাবিলা করতে প্রবাসীদের প্রতি মোমেনের আহ্বান
বাংলাদেশের প্রথম প্রিমিয়াম ওয়াটার পার্ক ‘মানা বে’র উদ্বোধন
আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মুক্ত করা হলো বাংলাদেশের প্রথম প্রিমিয়াম ওয়াটার পার্ক ‘মানা বে’র।
শুক্রবার মুন্সিগঞ্জের গজারিয়াতে দর্শনার্থীদের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মুক্ত করেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মাসুদ দাউদ আকবানি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বরাস্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ব্রিটিশ ডেপুটি হাইকমিশনার ম্যাট ক্যানেল।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে চন্দ্রমহল ইকোপার্ক থেকে ৪৩টি বন্যপ্রাণী উদ্ধার
প্রায় ৬০ হাজার বর্গ মিটার বিস্তৃত পার্কটিতে সব বয়সের মানুষের জন্য নানা আয়োজন রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে তিনটি ওয়াটার স্লাইড ট্যুর, একটি ওয়েভ পুল, ফ্লোরাইডার® ডাবল, বাচ্চাদের জন্য একটি আলাদা জোন ও একটি কৃত্রিম নদী। অন্যান্য সুবিধার মধ্যে রয়েছে স্পা, ব্লিসফুল বে অ্যান্ড অ্যাক্টিভিটি পুল, হাইড্রো গ্রুভ ওয়েট ডিস্কো, একাধিক রেস্তোরাঁ ও ফুড ট্রাক। বাচ্চাদের জন্য খেলার সুবিধাসহ রয়েছে ছোট স্লাইড, স্প্ল্যাশ প্যাড ও রেইন ফোর্ট্রেস ফাইভ। পার্কের কেন্দ্রে অবস্থিত পলিনেশিয়ান থিমের বিশেষ আগ্নেয়গিরি একটি অনন্য সংযোজন।
মানা বে-এর স্বত্বাধিকারী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আকবানি বলেন, ‘মানা বে-এর লক্ষ্য হলো ওয়াটার পার্কের চেয়েও বেশি কিছু হয়ে ওঠা। এটি এমন একটি প্রাণবন্ত প্রতিষ্ঠান হতে চায় যেখানে সবাই একই সঙ্গে কাজ, খেলাধুলা ও জীবনের উচ্ছ্বাস নিয়ে বাঁচতে পারে।’
ওয়াটার পার্কেটির উদ্বোধন উপলক্ষে ওপেনিং প্যারেড, ওয়ারিয়র ড্যান্স, হাক্কা ড্যান্স ও স্টিল্ট ওয়াকিং পারফরম্যান্সসহ দুই দিনব্যাপী কার্নিভালের আয়োজন করা হয়েছে। এ ছাড়াও আয়োজকরা উৎসবের উচ্ছ্বাস বাড়াতে ফেস পেইন্টিং, হস্তশিল্পের কর্মশালা, ক্যারিক্যাচার ও লাইভ মিউজিক পারফরম্যান্সের মতো কার্যক্রমের উদ্যোগ নিয়েছে।
আরও পড়ুন: কর্ণফুলী নদীর তীর ঘেষে হবে দৃষ্টিনন্দন বিনোদন পার্ক ও খেলার মাঠ
জেব্রার মৃত্যুতে সাফারি পার্ক পরিদর্শনে তদন্ত কমিটি
আগারগাঁও-মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের উদ্বোধন হবে ২০ অক্টোবর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের প্রথম মেট্রোরেল আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত অংশের উদ্বোধন করবেন আগামী ২০ অক্টোবর।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ইউএনবিকে এ তথ্য জানান।
ওইদিন প্রধানমন্ত্রী মেট্রোরেলের ফার্মগেট, সচিবালয় ও মতিঝিল স্টেশন উদ্বোধন করবেন। এ ছাড়া ঢাকা মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশে ৭টি স্টেশন রয়েছে।
এগুলো হলো- বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, টিএসসি, প্রেস ক্লাব ও মতিঝিল।
মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশটি চালু হলে যাত্রীরা উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মাত্র ৩৮ মিনিটে যাতায়াত করতে পারবেন। যা ঢাকার জীবনযাত্রায় একটি অলৌকিক ঘটনা।
প্রাথমিকভাবে প্রতি ১৫ মিনিটে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত পাঁচটি ট্রেন চলবে এবং সময়ের ব্যবধান কমিয়ে ধীরে ধীরে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হবে বলে জানান মন্ত্রী।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন সিদ্দিক বলেন, ফার্মগেট, সচিবালয় ও মতিঝিল স্টেশনগুলো ২০ অক্টোবর চালু হচ্ছে।
স্টেশনের যাবতীয় কাজ শেষ হয়েছে। এখন স্টেশনে যাত্রীবাহী ওয়াকওয়ের কাজ চলছে এবং ১৫ অক্টোবরের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন সিদ্দিক।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেল ও পদ্মা সেতু প্রমাণ করে আ. লীগ কথায় নয় কাজে বিশ্বাসী: কাদের
প্রাথমিকভাবে সব ট্রেন মতিঝিল পর্যন্ত যাবে না। ট্রেনের নম্বর দেওয়া থাকবে। নম্বর অনুযায়ী কোন ট্রেন আগারগাঁও যাবে আর কোনটি মতিঝিল যাবে, তা শনাক্ত করা যাবে।
ডিএমটিসিএল এমডির মতে, একটি ট্রেন বাণিজ্যিকভাবে চলার আগে লাইনে তিন ধাপের পরীক্ষা চালানো হয়। ট্রায়াল রানের প্রথম ধাপ হলো দক্ষতা পরীক্ষা বা কর্মক্ষমতা পরীক্ষা। দ্বিতীয় ধাপে হবে সিস্টেম ইন্টিগ্রেশন টেস্ট। চূড়ান্ত পর্যায়ে হবে ট্রায়াল রান বা পরীক্ষামূলক আন্দোলন।
সিদ্দিকী আরও বলেন, এখন আমরা দ্বিতীয় ধাপে আছি এবং উদ্বোধনের পাঁচ দিন আগে সব পরীক্ষা শেষ হবে।
মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের মতে, পুরো সিস্টেমটি চালু হলে প্রাথমিকভাবে সকাল ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত পরিষেবা পাওয়া যাবে এবং তারপরে এটি রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত বাড়ানো হবে।
দেশের প্রথম মেট্রোরেল প্রকল্পের ব্যয় দাঁড়াচ্ছে ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা। উল্লেখযোগ্যভাবে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) প্রকল্পটি সমর্থন করার জন্য ঋণ আকারে ১৯ হাজার ৭১৯ কোটি টাকা প্রদান করে এবং অবশিষ্ট অর্থ বাংলাদেশ সরকার প্রদান করে।
শুরুতে, এই প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ছিল প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকা। মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত অতিরিক্ত ১ দশমিক ৬ কিলোমিটার অংশ নির্মাণের ফলে প্রতিটি স্টেশনের জন্য নতুন জমি অধিগ্রহণ এবং বিভিন্ন নতুন সুযোগ-সুবিধা সংযোজন করায় ব্যয় বেড়েছে।
২০১৭ সালে প্রকল্পের মূল নির্মাণ কাজ শুরু হয়। প্রকল্পটি ডিসেম্বর ২০২৫ এর মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর ঢাকা মেট্রোরেলের এমআরটি-৬ লাইনের উত্তরা-আগারগাঁও সেকশনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রথমে এই রুটের মাত্র ৩টি স্টেশন জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত ছিল। পরে উত্তরা-আগারগাঁও রুটের ৯টি স্টেশন পর্যায়ক্রমে চালু হয়।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল রুট ২০ অক্টোবর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
এক যুগ ধরে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল উদ্বোধনের সময়সীমা পেছাচ্ছে
গত এক দশক ধরে নির্মাণ কাজের ধীর গতির কারণে অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (কেএমসিএইচ) উদ্বোধন।
এদিকে হাসপাতালের নির্মাণকাজ শেষ না হলেও বিদেশ থেকে আমদানি করে আনা হয়েছে ৬৫ কোটি টাকার চিকিৎসা সরঞ্জাম। মূল্যবান এসব চিকিৎসা সরঞ্জাম অরক্ষিত অবস্থায় দিনের পর দিন হাসপাতাল ভবনে পড়ে রয়েছে।
দফায় দফায় নবনির্মিত এই হাসপাতাল ভবনের বর্হিবিভাগ চালু করার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করা হলেও, বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
সর্বশেষ গত ৩০ জুন হাসপাতালের বর্হিবিভাগ চালু হওয়ার কথা থাকলেও তা বাস্তবায়ন না হওয়ায় স্বপ্নের মেডিকেল কলেজ নিয়ে হতাশ কুষ্টিয়াবাসী।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১২-১৩ অর্থ বছরে ২৭৫ কোটি টাকা প্রাক্কলন ব্যয় ধরে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৮ সালের ৩০ জুন।
কিন্তু নির্মাণকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সমূহের নানা অনিয়ম ও জটিলতা সৃষ্টির কারণে ধাপে ধাপে একাধিকবার প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় ও ব্যয় বৃদ্ধির ফলে সর্বশেষ এই প্রকল্পের নির্মাণ ব্যয় গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৬৮২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।
দফায় দফায় সময় বাড়িয়ে সর্বশেষ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত।
আরও জানা যায়, ২০০৮ সালে প্রকল্পটি অনুমোদনের পর ২০১১ সালে কুষ্টিয়া মেডিকেল ট্রেনিং সেন্টার ম্যাটসে অস্থায়ীভাবে মেডিকেল কলেজের যাত্রা শুরু হয়। অস্থায়ী ভবন থেকে স্থানান্তরের পর ২০২২ সালের ৩ মার্চ মূল ক্যাম্পাসে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম চালু হয়।
প্রথম দফায় ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে এবং দ্বিতীয় দফায় ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে কাজের মেয়াদ বাড়ানো হয়।
এরপর ২০১৯ সালে নির্মাণাধীন হাসপাতাল ভবনের ছাদ ধসে এক শ্রমিক নিহত হলে কাজ আবার বাধাগ্রস্ত হয়। ছাদ ধসে মৃত্যুর ঘটনায় সে সময় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
ওই সময় তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে দুর্ঘটনার জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে দায়ী করা হয় এবং তিন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়।
এরপর ২০২১ সালের ৫ অক্টোবর একনেক সভায় এই প্রকল্পের সংশোধিত ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রপোজাল (ডিপিপি) অনুমোদন করা হয়।
তখন এই প্রকল্পের ব্যয় ২০৬ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬৮২ কোটি টাকা ধরা হয়। আর সময় সীমা বেঁধে দেওয়া হয় ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত।