উদ্বোধন
শনিবার ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
বহুল প্রতীক্ষিত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প বর্তমান সরকারের অধীনে একটি মেগা অবকাঠামো শনিবার আংশিকভাবে যাত্রীদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক্সপ্রেসওয়ের কাওলা থেকে ফার্মগেট অংশের উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছেন সড়ক, পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এটি উদ্বোধন হলে ৬০ কিলোমিটার গতির একটি গাড়ি মাত্র ১০ মিনিটে কাওলা থেকে ফার্মগেট পৌঁছাতে পারবে।
প্রকল্প কর্মকর্তারা বলছেন, প্রতিদিন প্রায় ৮০ হাজার যানবাহন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে যেতে পারবে। এক্সপ্রেসওয়েটি ঢাকার যানজট এবং যাতায়াতের খরচ অনেকাংশে কমিয়ে দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে সড়ক যোগাযোগে সূচনা করবে নতুন যুগের
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে সম্পূর্ণভাবে নির্মাণ হলে রাজধানীর কাওলা থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী এলাকা কুড়িল-বনানী-মহাখালী-তেজগাঁও-মগবাজার-কমলাপুর-সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী হয়ে চলাচল করবে বলে জানান ওবায়দুল কাদের।
আগামী ২ সেপ্টেম্বর থেকে যাত্রীরা কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ের সাড়ে ১১ কিলোমিটার অংশ ব্যবহার করতে পারবেন।
মন্ত্রী বলেন, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে চলাচলকারী যানবাহনকে টোল দিতে হবে। চারটি ক্যাটাগরিতে এই টোল আদায় করা হবে।
আরও পড়ুন: ঈদ যাত্রা: ভোগান্তি কমিয়েছে ফরিদপুরের এক্সপ্রেসওয়ে
নির্বাচনের আগে ৯টি মেগা প্রকল্পের উদ্বোধন, প্রথমে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলো। এদিকে নির্বাচনের আগেই বর্তমান সরকারের মেয়াদে সড়ক, সেতু, রেলপথ ও বিমান চলাচলসহ মোট ৯টি মেগা প্রকল্প উদ্বোধনের কথা রয়েছে।
এর মধ্যে প্রথম ও সবচেয়ে দৃশ্যমান প্রকল্পটি হলো ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। বাকি প্রকল্পগুলো হলো- মেট্রোরেল প্রকল্প (বাকি অংশ), পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল (কর্ণফুলী টানেল), খুলনা-মোংলা রেল প্রকল্প, ঢাকা বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল, কক্সবাজার রেল সংযোগ প্রকল্প, আখাউড়া-আগরতলা আন্তঃদেশীয় রেল সংযোগ প্রকল্প ও পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্প।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে
২ সেপ্টেম্বর প্রকল্পটির প্রথম ধাপের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আকতার ইউএনবিকে বলেন, এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ ৩ ধাপে সম্পন্ন করা হচ্ছে। প্রথম অংশের বনানী পর্যন্ত ৯৮ শতাংশ এবং বনানী থেকে মগবাজার পর্যন্ত অংশের ৫৪ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। সেপ্টেম্বরে বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত অংশ উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ২ সেপ্টেম্বর কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত সাড়ে ১১ কিলোমিটার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন উপলক্ষে আগারগাঁওয়ের বাণিজ্য মেলার পুরাতন মাঠে সুধী সমাবেশ করা হবে।
মেট্রোরেল
২০ অক্টোবর উদ্বোধন হতে যাচ্ছে মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশ।
কাদের বলেন, ২০ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের উদ্বোধন করবেন এবং ওইদিন বিকাল ৩টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
এ ছাড়া ১৬ সেপ্টেম্বর এমআরটি লাইন ৫ নর্দান রোডের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করা হবে। এ উপলক্ষে সাভারে সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ হতে নগরবাসীরা উত্তরা থেকে মতিঝিল যেতে পারবেন মাত্র ৩৮ মিনিটে।
মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল রুট ২০ অক্টোবর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল রুট আগামী ২০ অক্টোবর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ উপলক্ষে ওইদিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সুধী সমাবেশ হবে।
আজ রবিবার (২০ আগস্ট) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশ আগামী ২০ অক্টোবর উদ্বোধন উপলক্ষে ওইদিন বিকাল ৩টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।’
আরও পড়ুন: অক্টোবরে ঢাকা মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী: কাদের
তিনি বলেন, ‘আগামী ২ সেপ্টেম্বর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত সাড়ে ১১ কিলোমিটার খুলে দেওয়া হবে। এ উপলক্ষে বাণিজ্যমেলার পুরাতন মাঠে সুধী সমাবেশ করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ২৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল উদ্বোধন উপলক্ষে টানেলের অপরপ্রান্তে আনোয়ারায় সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৬ সেপ্টেম্বর এমআরটি লাইন ৫ নর্দান রোডের নির্মাণকাজের উদ্বোধন, এ উপলক্ষে সাভারে সুধী সমাবেশ হবে। ২২ অক্টোবর নবনির্মিত সড়ক ভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৪০টি সেতু উদ্বোধন করবেন।
তিনি আরও বলেন, একই সঙ্গে উদ্বোধন করা হবে ১২টি ওভারপাস। এর সঙ্গে যানবাহনের ফিটনেস ভেহিকেল ইন্সপেকশন সেন্টার (ভিওসি) উদ্বোধন করা হবে।
আরও পড়ুন: ২ ঘণ্টা পর আবার মেট্রোরেল চলাচল শুরু
আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের পরীক্ষামূলক যাত্রা
বেলজিয়ামে বাংলাদেশ দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন
বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) বাংলাদেশের ৩১তম বৈদেশিক মিশন হিসেবে ব্রাসেলসে এই কার্যক্রম চালু করা হলো।
এসময় মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধামন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি মোতাবেক ২০২০ সালে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট প্রবর্তন করেন। ২০২০ সালের ২২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বর্তমান বিশ্বের সর্বাধুনিক ই-পাসপোর্টের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করে বলেন ই-পাসপোর্ট বাংলাদেশের জনগণের জন্য মুজিববর্ষের উপহার।’
তিনি বলেন, ‘যুগের চাহিদা ও উন্নত দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে জাতীয় অবস্থান ও মর্যাদা সুসংহত করার লক্ষ্যে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট প্রবর্তন ও চালুর উদ্যোগ নেয়। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের সব পাসপোর্ট অফিস থেকে ই-পাসপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। বিমানবন্দরে ই-গেইট স্থাপন করা হয়েছে, যা দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম। এমনকি স্বল্পসংখ্যক উন্নত দেশে এটি স্থাপিত হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী চিন্তার সফল বাস্তবায়ন সম্ভব হলো।’
আরও পড়ুন: লিসবনে বাংলাদেশ দূতাবাসে চালু হলো ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম
আসাদুজ্জামান আরও বলেন, ‘বতর্মানে দেশের ৬৪টি জেলার ৭২টি অফিস থেকে ই-পাসপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। আজকে ৩১তম বৈদেশিক মিশন হিসেবে বেলজিয়ামে ই-পাসপোর্ট সেবা চালু হয়েছে। শিগগিরই দেশের ৮০টি মিশনে এর কার্যকারিতা শুরু হবে। আমরা আশা করছি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আমরা দ্রুত ই-ভিসা কার্যক্রম শুরু করতে পারব।’
অনুষ্ঠানে বেলজিয়ামে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত, সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব, ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের ডেপুটি ডিরেক্টর এবং বেলজিয়ামে বসবাসরত বাংলাদেশ কমিউনিটির বেশ কয়েকজন সদস্য বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাহবুব হাসান সালেহ্, বাংলাদেশ দূতাবাস বেলজিয়ামের রাষ্ট্রদূত, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোসাম্মৎ সাহানারা খাতুন এবং বেলজিয়ামে অবস্থানরত বাংলাদেশি প্রবাসীরা।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে চালু হলো ই-পাসপোর্ট
ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট সেবা
২৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী: কাদের
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল বা কর্ণফুলী টানেলের উদ্বোধন করবেন।
সোমবার (১৪ আগস্ট) সেতু ভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: কর্ণফুলী টানেলের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে টানেলটি নির্মাণ করা হচ্ছে এবং এটি দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম টানেল যা নদীর তলদেশে নির্মিত হচ্ছে।
প্রকল্প কর্মকর্তারা জানান, কর্ণফুলী টানেলের মাধ্যমে চট্টগ্রামকে চীনের সাংহাইয়ের মতো করার লক্ষ্য সরকারের। এ প্রকল্পে সব ধরনের কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে চীন। বর্তমানে টানেলের ভেতরে অগ্নিনির্বাপণ, আলো এবং নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ ছাড়াও ৫২টি সেচ পাম্পও স্থাপন করা হচ্ছে যাতে বর্ষাকালে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে টানেলটি আটকে না যায়।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ (বিবিএ)। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেলসংলগ্ন দুটি টিউব নির্মাণ করা হয়েছে।
একই সঙ্গে টানেলে লাইট, পাম্প ও ড্রেনেজ সিস্টেম স্থাপন করা হচ্ছে এবং একটি ৭৭২ মিটার ফ্লাইওভারও নির্মিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্ধারণ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু টানেলের টোল হার
কর্ণফুলী টানেলের দক্ষিণ পাশের কাজ শেষ করার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলেন প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর-ফার্মগেট অংশ উদ্বোধন ২ সেপ্টেম্বর
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট অংশ পর্যন্ত উদ্বোধন করা হবে ২ সেপ্টেম্বর।
সোমবার (১৪ আগস্ট) সেতু ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে সড়ক, পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট অংশের উদ্বোধন করবেন।
কাদের বলেন, উদ্বোধনের একদিন পরই এক্সপ্রেসওয়েতে যান চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে।
কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম ধাপটি চালু হলে যানজট অনেকাংশে লাঘব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।
ইতোমধ্যে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সেকশনের ৯৮ শতাংশ নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রকৌশল কাজ একেবারে শেষ পর্যায়ে।
কর্তৃপক্ষ গতি সীমা ৬০ কিলোমিটার নির্ধারণ করেছে।
আরও পড়ুন: দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরবাইক এবং সাইকেল চালানোর অনুমতি দেওয়া হবে না।
প্রকল্পের বিবরণ অনুসারে, ২০১১ সালের ১৯ জানুয়ারি প্রথম চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়েছিল এবং ২০১৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর পর্যালোচনা করা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। প্রকল্প সমাপ্তির সময়কাল ছিল ২০১১ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মোট দৈর্ঘ্য হল ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার, যার মধ্যে প্রধান এলিভেটেড অংশের দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাওলা, কুড়িল, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত কভার করবে।
আরও পড়ুন: ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে সড়ক যোগাযোগে সূচনা করবে নতুন যুগের
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে: আধুনিক চট্টগ্রামের স্বপ্নযাত্রায় পথ চলা শুরু
পঞ্চগড়ে দেশের তৃতীয় চা নিলাম কেন্দ্রের উদ্বোধন সেপ্টেম্বরে
আগামী সেপ্টেম্বরে উদ্বোধন করা হবে দেশের তৃতীয় চা নিলাম কেন্দ্র, পঞ্চগড়। এ উপলক্ষে চেম্বারের হলরুমে বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট)থেকে শুরু হয়েছে “অনলাইন টি অকশন” বিষয়ক দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা।ব্রোকার হাইজ সমূহের যৌথ উদ্যোগে স্মল টি গার্ডেন ওনার্স অ্যান্ড টি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে।
পঞ্চগড় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও চেম্বার প্রেসিডেন্ট মো. আব্দুল হান্নান শেখ প্রধান অতিথি হিসেবে প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করেন।
দুই দিনের প্রশিক্ষণে অকশন সেন্টারে অনলাইন অ্যাপসের মাধ্যমে কীভাবে চা বেচা কেনা করা হবে সে বিষয়ে ধারণা দেওয়া হচ্ছে। এ প্রশিক্ষণে ব্রোকার হাউজ, ওয়্যার হাউজের মালিক, স্থানীয় বিডার এবং বায়াররা প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশ নেন।
আইটি বিডিটেক অ্যাপসটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জায়েদ বিন অপু ও বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রধান কার্যালয়ের বিপণন কর্মকর্তা আহসান হাবিব প্রশিক্ষণটি পরিচালনা করছেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক নাদিম হত্যা: পঞ্চগড় থেকে ইউপি চেয়ারম্যান বাবু আটক
এ সময় অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আমিরুল হক খোকনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রধান কার্যালয়ের বিপনন কর্মকর্তা আহসান হাবিব, বাংলাদেশ চা বোর্ডের পঞ্চগড় আঞ্চলিক কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমির হোসেন, মহানন্দা ব্রোকার হাউজের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক এম এ শাহীন, পঞ্চগড় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ বক্তব্য দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় এই জেলায় চা নিলাম কেন্দ্র স্থাপনের সরকারি সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বরের শুরুতেই এই নিলাম কেন্দ্রটি ভার্চুয়ালি প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।
পঞ্চগড়ে চা নিলাম কেন্দ্র চালু হলে এটি হবে দেশের তৃতীয় চা নিলাম কেন্দ্র। গত বছর চা উৎপাদনে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে এই অঞ্চল। বৈশ্বিক মহামারি উপেক্ষা করে ২০২২ সালের দেশের মোট উৎপাদনের ১৯ শতাংশ চা উৎপাদন করেছে পঞ্চগড়সহ উত্তরের জেলাগুলো। মোট উৎপাদনের ৮১ শতাংশ উৎপাদন করেছে সিলেট ও চট্টগ্রাম অঞ্চল। গত বছর জেলায় এক কোটি ৭৭ লাখ ৮১ হাজার কেজি চা উৎপন্ন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ২৬০ কোটি টাকা।
উল্লেখ্য, বর্তমানে নিবন্ধিত চা বাগান ৮টি, অনিবন্ধিত ২০টি এবং ক্ষুদ্রায়তন চা বাগান ৭ হাজার ৩৩৮টি, নিবন্ধিত ১ হাজার ৩৬৮টিতে ১০ হাজার ২৪০ একর জমিতে চায়ের আবাদ হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালে প্রথম তেঁতুলিয়া টি কোম্পানি লিমিটেড চা প্রক্রিয়াকরণ কারখানা স্থাপন করে একে একে জেলায় বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে উঠেছে ২৬টি চা প্রক্রিয়াকরণ কারখানা।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে চিয়া সিড
প্রধানমন্ত্রী আরও ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করলেন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫ম ধাপে সারা দেশে আরও ৫০টি নবনির্মিত মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন করেছেন।
সারা দেশে ৯ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগের অংশ হিসেবে এ পর্যন্ত ২৫০টি মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে।
রবিবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে ৫০টি মসজিদের উদ্বোধন করেন।
এর আগে ২০২১ সালের ১০ জুন প্রথম ধাপে, এ বছরের ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে, ১৬ মার্চ তৃতীয় ধাপে এবং ১৭ এপ্রিল চতুর্থ ধাপে ৫০টি করে মসজিদ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
অবশিষ্ট মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলোতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থাসহ অজু ও নামাজের জন্য পৃথক স্থান রয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশের বিভিন্ন স্থানে আরও ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
এছাড়া হজযাত্রীদের নিবন্ধন ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, ইমাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, গবেষণা কেন্দ্র ও ইসলামিক লাইব্রেরি, অটিজম কর্নার, দাফনের পূর্বে আচার-অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা, গাড়ি পার্কিং সুবিধা, হেফজখানা, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা ও কোরআন শিক্ষার ব্যবস্থা, ইসলামী সাংস্কৃতিক কার্যক্রম ও ইসলামী দাওয়াতের জন্য সম্মেলন কক্ষ, ইসলামিক বই বিক্রয় কেন্দ্র, দেশি-বিদেশি অতিথিদের জন্য বোর্ডিং সুবিধা থাকবে এসব মসজিদে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ইসলামের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রধানমন্ত্রী সারা দেশে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন।
প্রকল্পটির উদ্দেশ্য হচ্ছে ইসলামী সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ প্রচারের পাশাপাশি চরমপন্থা ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ইসলামের মর্ম বাণী প্রচার করা।
'এ' ক্যাটাগরির আওতায় ৬৪টি জেলা ও সিটি করপোরেশন এলাকায় লিফট সুবিধা এবং ২ হাজার ৩৬০ দশমিক ০৯ বর্গমিটারের জায়গাসম্পন্ন ৬৯টি চারতলা বিশিষ্ট মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে।
'বি' ক্যাটাগরিতে ১ হাজার ৬৮০ দশমিক ১৪ বর্গমিটারের জায়গাসম্পন্ন ৪৭৫টি মসজিদ এবং উপকূলীয় এলাকায় 'সি' ক্যাটাগরির ২ হাজার ৫২ দশমিক ১২ বর্গমিটার জায়গাসম্পন্ন ১৬টি মসজিদ নির্মাণ করা হবে।
নতুন ৫০টি মসজিদের মধ্যে রয়েছে মাগুরা জেলা মডেল মসজিদ ও ৪৯টি উপজেলা মডেল মসজিদ।
আরও পড়ুন: দেশীয় টাকায় নির্মাণ হচ্ছে ৫৬০ মডেল মসজিদ: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
৪৯টি উপজেলা মডেল মসজিদ হচ্ছে - গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলা, কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ ও হোসেনপুর উপজেলা, মানিকগঞ্জের হরিরামপুর ও দৌলতপুর, শরীয়তপুরের ডামুড্যা, টাঙ্গাইল সদর উপজেলা, বগুড়ার আদমদীঘি ও সোনাতলা, নওগাঁর রাণীনগর ও বদলগাছি ও সদর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, নাটোরের সিংড়া, পাবনার বেড়া, ঈশ্বরদী ও সদর, রাজশাহীর পুঠিয়া ও দুর্গাপুর, গাইবান্ধার পলাশবাড়ী, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী, দিনাজপুরের বিরামপুর, লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা, নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ, খালিয়াজুরী ও সদর, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ, ময়মনসিংহের ত্রিশাল, বরিশাল সদর, ভোলার দৌলতখান, ঝালকাঠির নলছিটি, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল, চাঁদপুরের হাইমচর ও হাজীগঞ্জ, কুমিল্লার নোয়াখালী সদর, নাঙ্গলকোট ও সদর, কক্সবাজার সদর, চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, ফেনীর ছাগলনাইয়া, রাঙামাটির কাউখালী, নানিয়ারচর ও রাজস্থলী, খুলনার ফুলতলা ও পাইকগাছা, মাগুরা সদর, মেহেরপুর সদর ও সিলেটের গোলাপগঞ্জ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কক্সবাজার সদর উপজেলা ও খুলনা জেলার ফুলতলায় আলেম-ওলামা, জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ ও সরকারি কর্মকর্তাসহ স্থানীয় জনগণ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ওপর একটি অডিও-ভিজ্যুয়াল ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া সঞ্চালনা করেন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন ধর্ম সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার।
আরও পড়ুন: সারাদেশে আরও ৫০ মডেল মসজিদের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
২০০টি মডেল মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ
মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র ডিসেম্বরে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী: কর্মকর্তারা
কক্সবাজারের মহেশখালীতে মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটটির আগামী ডিসেম্বরে উৎপাদনে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যা জাতীয় গ্রিডে ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যোগ করবে।
প্রকল্পের কর্মকর্তারা চলতি সপ্তাহে সাংবাদিকদের জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্ল্যান্টটি উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ৬৪ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন কয়লা বহনকারী একটি জাহাজ গত ২৩ জুন ইন্দোনেশিয়া থেকে আসে।
কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী ও ধলঘাটা ইউনিয়নে ১ হাজার ৪১৪ একর জমির উপর ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করা হয়েছে।
৭ বছর আগে কক্সবাজার উপকূলে জাপানের অর্থায়নে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের পাশাপাশি জাহাজ থেকে কয়লা উত্তোলনের জন্য বন্দর অবকাঠামো ও জেটি নির্মাণের কাজও শুরু হয়।
আরও পড়ুন: রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য কয়লা নিয়ে আসা জাহাজের বিরুদ্ধে মামলা
সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিপিজিসিএল) এই মেগা প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিচ্ছে।
বিদ্যুৎকেন্দ্রের সঙ্গে কয়লা খালাসের জন্য জেটির কাজ প্রায় শেষ। জেটিতে জাহাজও ভিড়তে শুরু করেছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রকল্পটি পুরো এলাকার দৃশ্যপট পাল্টে দিয়েছে।
পূর্ণ মাত্রায় বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রতিদিন ১৩ হাজার ১০৪ টন কয়লার প্রয়োজন হবে। এর জন্য কয়লা খালাসের জেটি ও সাইলো নির্মাণ করা হয়েছে।
৬০ দিনের জন্য প্রয়োজনীয় কয়লা বিশাল আকৃতির সাইলোগুলোতে রাখা হয়েছে। ৮০ হাজার টন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন মাদার ভেসেল সরাসরি কয়লা জেটিতে প্রবেশ করতে পারবে। আর মাদার ভেসেল থেকে কয়লা খালাস করতে সময় লাগবে দেড় থেকে দুই দিন।
বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২৫ বছরের আজীবন ছাই সংরক্ষণের জন্য দু’টি পৃথক অ্যাশপন্ড রাখা হয়েছে। একটির আয়তন ৯০ একর, অন্যটির আয়তন ৬০০ একর। কয়লা সংরক্ষণের জন্য ৮০ একর জমিতে কয়লা ইয়ার্ড প্রস্তুত করা হয়েছে।
২০১৪ সালের ১৬ জুন বাংলাদেশ সরকার ও জাইকার মধ্যে এ প্রকল্পের জন্য একটি ঋণ চুক্তি সই হয়। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা।
এর মধ্যে ৪৩ হাজার ৯২১ কোটি টাকা জাইকা প্রকল্প সহায়তা হিসেবে এবং বাকি ৭ হাজার ৯৩৩ কোটি টাকা বাংলাদেশ সরকার ও সিপিজিসিবিএলের নিজস্ব তহবিল থেকে দেওয়া হবে।
প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, ইতোমধ্যে জেটি ও ভৌত অবকাঠামোর ৯৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং সার্বিক ভৌত অবকাঠামোর ৯০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের নির্বাহী পরিচালক নাজমুল হক বলেন যে আগামী ডিসেম্বরে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘তবে আমরা উদ্বোধনের আগে এখান থেকে ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যোগ করতে চাই এবং তা হবে। মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটটি ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে চালু হওয়ার কথা থাকলেও আমরা আশা করছি এই ডিসেম্বরের মধ্যে পুরোপুরি চালু হয়ে যাবে।’
আগামী জুলাই মাসে দ্বিতীয় ইউনিট চালু করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তবে দুটি ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সংযুক্ত করা হবে বলে জানান তিনি।
নির্বাহী পরিচালক উল্লেখ করেন, পরিবেশ দূষণ রোধে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিশ্চিত করে প্রকল্পটির কাজ চলছে।
তিনি আরও বলেন, ‘জাহাজ থেকে কয়লা খালাস করা হলেই কয়লা একবারই দেখা যাবে। এরপর কয়লা জেটি থেকে সরাসরি প্ল্যান্টে যাবে। এটি পরিবেশকে দূষিত করবে না।’
প্রকল্পের সার্বিক অবস্থা তুলে ধরে নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘আমাদের এই প্রকল্পের দুটি অংশ রয়েছে, যার মধ্যে একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র, অন্যটি বন্দর।’
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরান সাংবাদিকদের বলেন যে মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প।
আরও পড়ুন: রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেশিনারিজ নিয়ে মোংলায় বিদেশি জাহাজ
ন্যাশনাল স্টিম অলিম্পিয়াডের উদ্বোধন করবেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ও আইটেসারেক্টের উদ্যোগে আয়োজিত বহুল প্রত্যাশিত ন্যাশনাল স্টিম অলিম্পিয়াড-২০২৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উদ্বোধন করবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
রবিবার (২৩ জুলাই) বেলা ৩ টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এটি অনুষ্ঠিত হবে। সবার জন্য অনুষ্ঠানটি উন্মুক্ত থাকবে।
বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল, শিল্পকলা ও গণিত (স্টিম)-এ শিক্ষার্থীদের ব্যতিক্রমী প্রতিভা প্রদর্শনের জন্য এই জমকালো অনুষ্ঠানটি সারাদেশের ছয়টি স্তরের শিক্ষার্থীদের একত্র করবে।
আরও পড়ুন: শিক্ষকরাই স্মার্ট নাগরিক গড়ার মূল কারিগর: শিক্ষামন্ত্রী
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন- শিক্ষামন্ত্রী ও ন্যাশনাল স্টিম অলিম্পিয়াডের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ডা. দীপু মনি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন- ন্যাশনাল স্টিম অলিম্পিয়াডের আহ্বায়ক ও প্রধান উপদেষ্টা ইউজিসি'র সদস্য প্রফেসর ড. সাজ্জাদ হোসেন।
ইনোভেটিভ এডুকেশন ইকোসিস্টেম ও স্টিম শিক্ষার প্রসারে ন্যাশনাল স্টিম অলিম্পিয়াড প্রতিযোগিতার আয়োজন একটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ বলে মনে করেন প্রফেসর সাজ্জাদ।
ন্যাশনাল স্টিম অলিম্পিয়াডের প্রধান সমন্বয়ক মোহাম্মদ আবদুল হামিদ বলেন, ‘অলিম্পিয়াডটি একটি নবযাত্রার সূচনা করবে। যেখানে সকল স্তরের শিক্ষার্থীরা তাদের উদ্ভাবনী প্রকল্প, সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা এবং বিভিন্ন স্টিম বিষয়ে দক্ষতা প্রদর্শন করার সুযোগ পাবে। এই প্ল্যাটফর্মটি শুধুমাত্র একাডেমিক শিক্ষাকে উৎসাহিত করে না; বরং প্রতিযোগিতা, সৃজনশীলতা ও বুদ্ধিবৃত্তিক চেতনাকেও উৎসাহিত করে’।
ন্যাশনাল স্টিম অলিম্পিয়াড-২০২৩ তরুণদের প্রতিভার উন্মেষ ঘটানোর জন্য একটি অসাধারণ আয়োজন।
এছাড়া উদ্ভাবন ও বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার সংস্কৃতি গড়ে তোলার জন্য এ ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন প্রয়োজন বলে শিক্ষাবিদগণ অভিমত ব্যক্ত করেন।
৬টি ভিন্ন ভিন্ন লেভেলের শিক্ষার্থীরা মোট ৮টি বিভাগে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
নিম্নোক্ত লিংকে প্রবেশ করে ন্যাশনাল স্টিম অলিম্পিয়াড প্রতিযোগিতা সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানা ও রেজিস্ট্রেশন করা যাবে:
https://nationalsteamolympiad.com
আরও পড়ুন: আগামী বছর থেকে পুনর্বিন্যাস করা সিলেবাসে এইচএসসি পরীক্ষা হবে: শিক্ষামন্ত্রী
বিএনপির আন্দোলন হাঁকডাকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ: শিক্ষামন্ত্রী