ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকায় ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের সংঘর্ষে আহত ৩৫
ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় মঙ্গলবার বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘এখন পর্যন্ত হাসপাতালে সংঘর্ষে আহত প্রায় ৩৫ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে কিন্তু কাউকে এখনও ভর্তি করা হয়নি।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অভিমুখে মিছিল করার সময় শহীদ মিনার এলাকায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এর আগে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ছাত্রলীগ ও এলডিপির সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ২, এলডিপি মহাসচিব আটক
ঢাবি ছাত্রদলের সদস্য সচিব আমান উল্লাহ আমান অভিযোগ করে বলেন, সংবাদ সম্মেলন করতে টিএসসির দিকে রওনা দিলে শহীদ মিনারের সামনে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ধারালো অস্ত্র, হকি স্টিক ও লোহার রড নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়।
ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের উপর আক্রমণের বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন ‘ছাত্রদলের নেতাদের বক্তব্যে আমরা যে ধরনের শিষ্টাচার দেখি, সেটি খুনি ও দণ্ডপ্রাপ্ত উচ্চমাধ্যমিক পাস না করা একজন নেতা এবং অষ্টম শ্রেণি পাস প্রধানমন্ত্রীর মানদণ্ডেরই উপযুক্ত৷ ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের এ ধরনের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড, বক্তব্য-বিবৃতি এবং অছাত্র-বহিরাগতদের কাছে ছাত্র রাজনীতিকে ঠিকাদারি দেয়ার কারণে স্বাভাবিকভাবেই তাদের ওপর শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ আছে। সে ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা সংঘবদ্ধ হয়ে যদি প্রতিবাদ জানায় আমরা সেটাকে স্বাগত জানাই।'
আরও পড়ুন: নিউমার্কেটে সহিংসতায় ছাত্রলীগ জড়িত: ফখরুল
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বৈশ্বিক প্রচেষ্টার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
খাদ্য নিরাপত্তায় বৈশ্বিক উষ্ণায়নের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় ব্যাপক বৈশ্বিক পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
তিনি বলেন, ‘আমাদের কথাকে কাজে পরিণত করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের কোনো সীমারেখা নেই।’
বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে দক্ষিণ এশিয়ায় জলবায়ু পরিবর্তন ও খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেয়ার সময় এসব কথা বলেন তিনি।
সিসিএফের আন্তর্জাতিক কমিটি অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে।
‘ঝুঁকি ও চরম প্রভাব বিবেচনা করে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিশ্ব আগের চেয়ে আরও বেশি ঐক্যবদ্ধ’ বলে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ একজন পরীক্ষিত বন্ধু হারাল: রাষ্ট্রপতি
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘পদক্ষেপ নেয়ার সময় বিলম্বিত করা যাবে না।’
সান্ত্বনামূলক প্রতিশ্রুতি, বড় বড় বক্তব্য, আকর্ষণীয় স্লোগান ও উল্লেখযোগ্য কাগজপত্রের উপস্থাপনা সমস্যা প্রশমনের জন্য যথেষ্ট নয় বলে জানান রাষ্ট্রপতি।
উন্নত ভবিষ্যতের জন্য একসঙ্গে কাজ করবে ঢাকা-সিউল
বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়া বৃহস্পতিবার দুই দেশের মধ্যকার বিরাজমান সুযোগের সর্বোত্তম ব্যবহার করে একটি উন্নত ও প্রতিশ্রুতিশীল ভবিষ্যতের জন্য একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে।
বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের মধ্যেও দুই দেশ আগের চেয়ে আরও বেশি সহযোগিতা করার আশা প্রকাশ করেন। উল্লেখ্য আগামী বছর বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপিত হবে।
কোরিয়ান দূতাবাস, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইস্ট এশিয়া স্টাডি সেন্টার যৌথভাবে ফরেন সার্ভিসে ‘কোরিয়া-বাংলাদেশ সম্পর্কের ৫০ বছর: প্রবণতা ও দিকনির্দেশনা’ বিষয়ক একটি সেমিনারের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: সর্বত্র শান্তি ও স্থিতিশীলতা চায় বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.এ.কে. আব্দুল মোমেন সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ-কোরিয়া সম্পর্কের কথা তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ত্বরান্বিত করতে দক্ষিণ কোরিয়ার সহায়তা কামনা করেন। তিনি বলেন, এটি একটি সত্যিকারের অর্জন হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেন বাংলাদেশে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জাং-কেউন এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত দেলোয়ার হোসেন।
আরও পড়ুন: বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অংশীদারিত্ব বাড়াতে চায় যুক্তরাষ্ট্র: রাষ্ট্রদূত হাস
বিশেষ শিশুদের জন্য স্যামসাং-ফেয়ার ইলেকট্রনিকসের আর্ট ক্যাম্প
ট্রনিকসের আর্ট ক্যাম্পরাজধানীর গুলশান এভিনিউতে স্যামসাং ফ্ল্যাগশিপ স্টোরে বিশেষ শিশুদের নিয়ে আর্ট ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়।
সম্প্রতি (১২ এপ্রিল) স্যামসাং ও ফেয়ার ইলেকট্রনিক্সের উদ্যোগে নাবিহা রাইদা ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধায়নে বিশেষ শিশুদের নিয়ে এই আয়োজনে স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর হুয়াং সাং উ এবং ফেয়ার গ্রুপের চেয়ারম্যান রুহুল আলম আল মাহবুব স্বাগত বক্তব্য দেন ।
ফেয়ার গ্রুপের চেয়ারম্যান রুহুল আলম আল মাহবুব বলেন, এ শিশুরা আমাদের সম্পদ । সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমদের এ ট্যাবু থেকে বের হয়ে আসতে হবে এবং এই বিশেষ শিশুদের মেধার যোগ্যতায় কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে কাজ করে যাবে ফেয়ার গ্রুপ।
আরও পড়ুন: বাজারে উন্মোচিত ‘স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২২ আল্ট্রা’
স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর হুয়াং সাং উ বলেন, আজকের এ আর্ট ক্যাম্পের মধ্য দিয়ে স্যামসাং ফ্ল্যাগশিপ স্টোর সকলের জন্য খুলে দেয়া হল। বিশেষ এ শিশুদের সঙ্গে নিয়ে আজকের উদ্যোগ সত্যিই অসাধারণ। স্যামসাং সব সময় সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে যায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব কমিউনিকেশন্স ডিসঅর্ডার এর সহায়তায় নেয়া এই আয়োজনে বিভাগের চেয়ারপার্সন প্রফেসর তৌহিদা জাহান উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন। দেশের নামকরা ব্যক্তিত্ব ও সংসদ সদস্য সুবর্ণা মোস্তফা, অভিনেতা আফজাল হোসেন, বিশিষ্ট পরিচালক অমিতাভ রেজা, অপি করিম ও ইরেশ জাকের বিশেষ শিশুদের সঙ্গে সময় কাটান এবং তাদের উৎসাহ দেন ।
১৯ জন বিশেষ শিশু প্রতিযোগী পহেলা বৈশাখকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টায় চিত্রশিল্পী এফ রহমান ভুটান ও রুবিনা নার্গিসের সহায়তা করেন ।
বিশেষ শিশুদের নিয়ে এ আয়োজনে ফেয়ার ইলেকট্রনিক্সের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে অভিনেত্রী অপি করিম বলেন, পৃথিবীর সমস্ত বাচ্চা হাসুক, সমস্ত বাচ্চা ভাল থাকুক।
বিশেষ শিশু বলে কিছু নেই, বাচ্চাদের ছবি আঁকা , চিন্তার জায়গা বিকশিত করা , নিজের মত করে বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা যখন কোন কর্পোরেট সেক্টর থেকে আসে তা নিশ্চয়ই প্রশংসার দাবি রাখে বলেন বিশিষ্ট পরিচালক অমিতাভ রেজা ।
ইরেশ জাকের বলেন, অভিজাত এলাকায় এমন আয়োজন প্রশংসনীয়। ডিজিটালাইজেশনের যুগে এ সব সংস্কৃতির জায়গাগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। আজ বিশেষ শিশুদের নিয়ে অসাধারণ একটি আয়োজনে উপস্থিত হয়ে আমি খুব আনন্দিত।
বরেণ্য অভিনেত্রী ও সংসদ সদস্য সুবর্ণা মোস্তফা বলেন, শুধুমাত্র নিজেদের বিজ্ঞাপনের জন্য নয়, নিজেদের বিবেকের তাড়নায় সরকারের সহায়ক শক্তি হিসেবে দাঁড়াতে হবে। ফেয়ার ইলেকট্রনিক্সের তথা ফেয়ার গ্রুপের এ চমৎকার আয়োজনের মত আরও অন্যান্য ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এবং ব্যবসায়ী যারা রয়েছেন তাদের এগিয়ে আসতে হবে। প্রয়াস বিশেষায়িত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সোসাইটি ফর ওয়েলফেয়ার অব অটিষ্টিক চিলড্রেন, কেরানিগঞ্জ বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিষ্টিক বিদ্যালয়, হোপ অটিজম সেন্টার এবং ডাউন সিনড্রোম সোসাইটি অব বাংলাদেশ পাঁচটি সংগঠনের মোট ১৯ জন বিশেষ শিশু আর্ট ক্যাম্পে অংশগ্রহণ করেন। প্রত্যেককেই বিজয়ী ঘোষণা করে এ সময় তাদের মেডেল, সনদ এবং সম্মাননা পুরস্কার প্রদান করা হয়।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, ফেয়ার গ্রুপের ডিরেক্টর মুতাসিম দায়ান, ফেয়ার গ্রুপের চিফ মার্কেটিং অফিসার মো: মেসবাহ উদ্দিন, ফেয়ার গ্রুপের হেড অফ কমিউনিকেশন এন্ড কর্পোরেট ফিলান্ত্রপি হাসনাইন খুরশেদ, হেড অফ মার্কেটিং জে এম তসলীম কবীর, পাবলিক রিলেশন অফিসার সাঈদ আহমেদ ও অন্যান্যরা।
পহেলা বৈশাখ: বাংলা নববর্ষের উৎপত্তি এবং ইতিহাস
নতুন বছরে উষ্ণ এপ্রিলের অন্দরমহলে হালকা ঝড়ো হাওয়ায় আয়োজন চলছে চৈত্র সংক্রান্তির; রূপরেখায় বাংলা নববর্ষ ১৪২৯। ১৪ এপ্রিল তারিখটি বাঙালিদের বিশেষ করে বাংলাদেশের উৎসব প্রিয় বাঙালিদের জন্য একটি আবেগের বিষয়। প্রকৃতির দেখাদেখি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে নতুন করে বছর শুরুর উন্মাদনার আরেক নাম পহেলা বৈশাখ। শুধু ঝড় এলো বলে জীবনের বিপণীগুলো গুটিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে পৌছা নয়, বাঙালির জীবন ও জীবিকার হিসেব-নিকেষ জড়িয়ে আছে গ্রীষ্মের এই প্রথম দিনটির নেপথ্যে। বেশ কয়েক শতাব্দি লেগেছে এই প্রথার ইতিহাস সমৃদ্ধ হতে। চলুন, নতুন করে আবারো হয়ে যাক বাংলা নববর্ষ কড়চা।
বাংলা নববর্ষের সূচনালগ্ন
বাংলা নববর্ষের গোড়াপত্তনের খোঁজে ফিরে যেতে হবে অনেক অনেক আগে অবাংলা অধ্যূষিত এলাকায়। খ্রিস্টপূর্ব ৫৭ অব্দে প্রাচীন ভারতের রাজা বিক্রমাদিত্যের নামানুসারে হিন্দু বিক্রমী পঞ্জিকা প্রণয়ন করা হয়েছিলো। এই পঞ্জি অনুসারে ভারতের পূর্বাঞ্চল, উত্তর পূর্বাঞ্চল ও নেপালের বিভিন্ন অংশে বসবাসরত গ্রামীণ বাঙালি সম্প্রদায়ের মধ্যে নিছক একটি ঋতু উৎসব হিসেবে প্রচলিত ছিলো পহেলা বৈশাখ।
তবে তার আমেজ বাংলা অব্দি পৌছতে চলে এসেছিলো ৫৯৩ খ্রিস্টাব্দ। ৭ম শতকে বাংলা বর্ষের প্রমাণ সময়ে বেশ পরিবর্তন এনে বাংলার বুকে বাংলা দিনপঞ্জির উদ্ভব ঘটান বাংলার প্রথম স্বাধীন নৃপতি গৌড়েশ্বর মহারাজাধিরাজ শশাঙ্ক মহাদেব।
পড়ুন: দুই বছর পর মঙ্গল শোভাযাত্রার জন্য প্রস্তুত ঢাবি
বাংলা পঞ্জিকা ও বাংলা নববর্ষ
ভারতবর্ষে মুঘল শাসনামলে আরবী হিজরী পঞ্জিকা অনুযায়ী কৃষি পণ্যের খাজনা আদায়ের কাজ করা হতো। কিন্তু এই বর্ষপঞ্জি কৃষিকাজের জন্য উপযোগী ছিল না, কারণ চন্দ্র বছরের ৩১ বছর সৌর বছরের ৩০ বছরের সমান। কৃষিকাজ সৌর বছরের হিসাবের ওপর নির্ভর করা সত্ত্বেও চন্দ্র বছরের হিসাবেই কৃষকদের রাজস্ব প্রদানে বাধ্য করা হতো। তাছাড়া চন্দ্র বছরের ৩৫৪ দিন আর সৌর বছর ৩৬৫ বা ৩৬৬ দিনের মধ্যে ১১ বা ১২ দিনের ব্যবধান। ফলে রাজস্ব আদায় সহ অন্যান্য কাজকর্মে প্রশাসনিক জটিলতা তৈরি হতো। এমতাবস্থায় ১৫৮৫ সালের ১০ কিংবা ১১ মার্চ-এ মুঘল সম্রাট আকবর এক ডিক্রি জারির মাধ্যমে প্রবর্তন করেন প্রাথমিক বাংলা সন তারিখ-এ-এলাহী। এই গণনা পদ্ধতির হিসেব কার্যকর হয়েছিলো সম্রাট আকবরের সিংহাসনের অধিষ্ঠিত হওয়া সময় অর্থাৎ ১৫৫৬ সালের ৫ নভেম্বর থেকে। তিনি একটি কর্মপোযোগী, বৈজ্ঞানিক, ও সার্বজনীন বর্ষপঞ্জি প্রণয়নের লক্ষ্যে সে সময়ের বিখ্যাত বিজ্ঞানী ও জ্যোতির্বিদ আমীর ফতুল্লাহ সিরাজিকে নতুন বর্ষপঞ্জি তৈরির নির্দেশ দেন। এভাবে রাজস্ব আদায়ের সংস্কারের পটভূমিতে জন্ম নেয় আধুনিক বাংলা সন। প্রথমে ফসলি সন নামে প্রকাশ পেলেও, পরে তা বহুলভাবে পরিচিতি পায় "বঙ্গাব্দ" বা বাংলা বর্ষ হিসেবে।
দুই বছর পর মঙ্গল শোভাযাত্রার জন্য প্রস্তুত ঢাবি
করোনা মহামারির কারণে দুই বছর বিরতির পর পূর্ণ উদ্যমে ঐতিহ্যবাহী 'মঙ্গল শোভাযাত্রা' বের করে বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন পহেলা বৈশাখ উদযাপনের জন্য প্রস্তুত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। এ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, ‘রমজান মাসে বাংলা নববর্ষ উদযাপনে ধর্মীয় মূল্যবোধের পাশাপাশি মানবিক এবং অসাম্প্রদায়িক মূল্যবোধকেও যথাযথভাবে ধারণ করতে হবে। 'ধর্ম যার যার উৎসব সবার' এই বিষয়টিকে মূল প্রতিপাদ্য করে আমাদের বাংলা নববর্ষ উদযাপন করতে হবে।
একইসঙ্গে তিনি মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণের সময় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মানার আহ্বান জানান।
বুধবার বিকেলে চারুকলা অনুষদে নববর্ষ উদযাপনের সার্বিক প্রস্তুতি পরিদর্শনকালে উপাচার্য এ আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: বাংলা নববর্ষের মঙ্গল শোভাযাত্রার ইতিহাস: রূপরেখায় অপশক্তির অবসান কামনায় শান্তি মিছিল
এ সময় তিনি আরও বলেন, চারুকলা তার বিশেষ ঐতিহ্যকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন পরে বেশ প্রাণচাঞ্চল্যরূপে নিজ অবয়বে ফিরে আসছে। মহামারির কারণে গত দুই বছর সীমিত পরিসরে নববর্ষ উদযাপন করতে হয়েছে। এ বছর করোনা পরিস্থিতি শিথিল হওয়ায় স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে নববর্ষ উদযাপন করা হবে।
রমজান মাসে নববর্ষ উদযাপনের বিষয়ে উপাচার্য বলেন, ধর্মীয় মূল্যবোধের পাশাপাশি মানবিক এবং অসাম্প্রদায়িক মূল্যবোধকেও সসম্মানে মনে রাখতে হবে এবং হৃদয়ে ধারণ করতে হবে। ধর্মীয় গোঁড়ামি পরিহার করে অসাম্প্রদায়িক চেতনা নির্ভর নববর্ষ উদযাপন করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: এবারও মঙ্গল শোভাযাত্রা হবে না
এর আগে উপাচার্য চারুকলা অনুষদের করিডোরে মঙ্গল শোভাযাত্রার জন্য দু'দিনব্যাপী পোস্টার প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। চারুকলার প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠান 'মঙ্গল শোভাযাত্রা গবেষণা ও প্রসার কেন্দ্র'-এর উদ্যোগে ২৬জন শিল্পীর অংশগ্রহণে এক কর্মশালার মাধ্যমে এই পোস্টার প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
ভিসির পরিদর্শনকালে চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন এবং ঢাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়াসহ অন্যান্য শিক্ষক ও ছাত্ররা উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদ হত্যায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক ও লেখক অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলায় চার জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১৩ এপ্রিল) ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আল মামুন এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মিজানুর রহমান ওরফে মিনহাজ ওরফে শফিক, আনোয়ার আলম ওরফে ভাগিনা শহীদ, সালেহীন ওরফে সালাহউদ্দিন ও নুর মোহাম্মদ ওরফে সাবু।
তাদের মধ্যে মিনহাজ ও আনোয়ার কারাগারে আছেন। সালেহীন ও নূর মোহাম্মদ পলাতক।
এর আগে ২৭ মার্চ ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে রায়ের এই দিন নির্ধারণ করেন।
পড়ুন: হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলার রায় আজ
২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে গ্রন্থমেলা থেকে বাসায় ফেরার পথে দুর্বৃত্তদের হামলায় মারাত্মক আহত হন অধ্যাপক ড. হুমায়ুন আজাদ। পরের দিন হুমায়ুন আজাদের ভাই মঞ্জুর কবির রাজধানীর রমনা থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করেন। ওই হামলার পরে তিনি ২২ দিন ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে(সিএমএইচ) এবং ৪৮ দিন ব্যাংককে চিকিৎসা নেন। একই বছর জার্মানিতে চলে যান তিনি। সেখানেই ১২ আগস্ট মারা যান তিনি। এরপর এটি হত্যা মামলা হিসেবে রূপ নেয়।২০০৭ সালের ১৪ নভেম্বর অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক কাজী আবদুল মালেক জঙ্গি সংগঠন জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদশের (জেএমবি) প্রধান শায়খ আবদুর রহমান, আতাউর রহমান সানি, নূর মোহাম্মদ সাবু ওরফে শামীম, মিনহাজ ওরফে শফিক, আনোয়ার আলম ওরফে ভাগিনা শহিদকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। এরপর ওই বছরের ৩০ মার্চ ঝালকাঠির দুই বিচারক হত্যা মামলায় শায়খ আবদুর রহমান ও আতাউর রহমানের ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় অভিযোগপত্র থেকে তাঁদের নাম বাদ দেয়া হয়।
সিআইডির পরিদর্শক লুৎফর রহমান মামলাটির মূল তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন। তিনিই মামলাটির তদন্তের পর ২০১২ সালের ৩০ এপ্রিল পাঁচ আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিরা হলেন- জঙ্গি সংগঠন জেএমবির শুরা সদস্য মিজানুর রহমান ওরফে মিনহাজ ওরফে শফিক, আনোয়ার আলম ওরফে ভাগ্নে শহিদ, সালেহীন ওরফে সালাহউদ্দিন, হাফিজ মাহমুদ ও নূর মোহাম্মদ ওরফে সাবু। তাদের মধ্যে আসামি নূর মোহাম্মদ ওরফে সাবু পলাতক রয়েছেন। অপরদিকে ২০১৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি পুলিশের প্রিজনভ্যান থেকে এ মামলার দুই আসামি সালাহউদ্দিন ওরফে সালেহীন এবং রাকিবুল হাসান ওরফে হাফিজ মাহমুদকে ছিনিয়ে নেয়া হয়। পরে এদের মধ্যে রাকিব ওই দিন রাতেই ধরা পড়েন এবং পুলিশের সঙ্গে ‘বন্ধুকযুদ্ধে’ মারা যান।
পড়ুন: হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলার রায় ১৩ এপ্রিল
হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলার রায় আজ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক শিক্ষক ও লেখক অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলার রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য রয়েছে আজ বুধবার।
গত ২৭ মার্চ ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে রায়ের এই দিন নির্ধারণ করেন।
২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে গ্রন্থমেলা থেকে বাসায় ফেরার পথে দুর্বৃত্তদের হামলায় মারাত্মক আহত হন অধ্যাপক ড. হুমায়ুন আজাদ। পরের দিন হুমায়ুন আজাদের ভাই মঞ্জুর কবির রাজধানীর রমনা থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করেন। ওই হামলার পরে তিনি ২২ দিন ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে(সিএমএইচ) এবং ৪৮ দিন ব্যাংককে চিকিৎসা নেন। একই বছর জার্মানিতে চলে যান তিনি। সেখানেই ১২ আগস্ট মারা যান তিনি। এরপর এটি হত্যা মামলা হিসেবে রূপ নেয়।
আরও পড়ুন: হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলার রায় ১৩ এপ্রিল
২০০৭ সালের ১৪ নভেম্বর অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক কাজী আবদুল মালেক জঙ্গি সংগঠন জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদশের (জেএমবি) প্রধান শায়খ আবদুর রহমান, আতাউর রহমান সানি, নূর মোহাম্মদ সাবু ওরফে শামীম, মিনহাজ ওরফে শফিক, আনোয়ার আলম ওরফে ভাগিনা শহিদকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। এরপর ওই বছরের ৩০ মার্চ ঝালকাঠির দুই বিচারক হত্যা মামলায় শায়খ আবদুর রহমান ও আতাউর রহমানের ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় অভিযোগপত্র থেকে তাঁদের নাম বাদ দেয়া হয়।
সিআইডির পরিদর্শক লুৎফর রহমান মামলাটির মূল তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন। তিনিই মামলাটির তদন্তের পর ২০১২ সালের ৩০ এপ্রিল পাঁচ আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিরা হলেন- জঙ্গি সংগঠন জেএমবির শুরা সদস্য মিজানুর রহমান ওরফে মিনহাজ ওরফে শফিক, আনোয়ার আলম ওরফে ভাগ্নে শহিদ, সালেহীন ওরফে সালাহউদ্দিন, হাফিজ মাহমুদ ও নূর মোহাম্মদ ওরফে সাবু। তাদের মধ্যে আসামি নূর মোহাম্মদ ওরফে সাবু পলাতক রয়েছেন। অপরদিকে ২০১৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি পুলিশের প্রিজনভ্যান থেকে এ মামলার দুই আসামি সালাহউদ্দিন ওরফে সালেহীন এবং রাকিবুল হাসান ওরফে হাফিজ মাহমুদকে ছিনিয়ে নেয়া হয়। পরে এদের মধ্যে রাকিব ওই দিন রাতেই ধরা পড়েন এবং পুলিশের সঙ্গে ‘বন্ধুকযুদ্ধে’ মারা যান।
আরও পড়ুন: ব্লগার অনন্ত বিজয় হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
বজ্রপাতে মৃত্যু কমাতে ৩ বিষয়ে অগ্রাধিকার দিচ্ছে সরকার: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেছেন, বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা কমিয়ে আনতে কাজ করছে সরকার। এ লক্ষ্যে তিনটি বিষয়কে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘বজ্রপাত ঠেকানো সম্ভব নয়। তবে এতে মৃত্যুর হার কমিয়ে আনতে আমরা তিনটি বিষয়কে অগ্রাধিকার দিচ্ছি। এর একটি হলো- আরলি ওয়ার্নিং সিস্টেম। অর্থাৎ বজ্রপাতের ৪০ মিনিট আগেই সংকেত দেবে সেই যন্ত্র। দ্বিতীয়ত হলো-বজ্রপাত নিরোধক কংক্রিটের শেল্টার নির্মাণ এবং তৃতীয়ত জনসচেতনতা বাড়ানো।’
আরও পড়ুন: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়াবিজ্ঞান বিভাগ আয়োজিত ‘আর্লি ওয়ার্নিং অ্যান্ড আর্লি একশন: লাইটেনিং ডিজাস্টার’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশের হাওর অঞ্চলসহ বজ্রপাতপ্রবণ ২৩ জেলায় লাইটার অ্যারেস্টার সংবলিত বজ্রপাত নিরোধক কংক্রিটের ছাউনি (শেল্টার) নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: দুর্যোগ সহনীয় দেশ গড়তে কাজ করছে সরকার: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়াবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. তৌহিদা রশীদের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আতিকুল হক ও বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. রেজাউল হক। এছাড়া অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিল্লুর রহমান।
গেস্টরুমে ঢাবি ছাত্রকে জোর করে ধূমপান করানোর অভিযোগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে দ্বিতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে তৃতীয় বর্ষের কয়েকজন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। শুক্রবার ভোরে এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম আবু তালিব। তিনি ক্রিমিনোলজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে এক সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী আবু তালিব জানান, রাত ১টায় তাকে হাত দিয়ে না ধরে ও ধোঁয়া না ছেড়ে সিগারেট খেতে বলা হয়। তিনি তাতে অস্বীকৃতি জানালে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা তাকে স্টাম্প দিয়ে মারধর করে এবং জোর করে তার মুখে সিগারেট রেখে আগুন জ্বালিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন: ক্যাম্পাসে ঢাবি শিক্ষার্থীকে মারধর, এসবি সদস্য বরখাস্ত
অভিযুক্ত সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শেখ শান্ত আলম, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ইমদাদুল হক বাঁধন, তথ্য বিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের সাহাবুদ্দিন ইসলাম বিজয় ও আইন বিভাগের নাহিদুল ইসলাম ফাগুনের বিরুদ্ধে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে তিনি বলেন, এরা গেস্টরুমে ছাত্রদের অত্যাচার ও গালিগালাজ করে।
তিনি বলেন, ‘আমরা বঙ্গবন্ধু হলের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্ররা প্রায়ই এই ধরনের সমস্যায় পড়ি। কিন্তু হল থেকে বের করে দেয়া এবং নির্যাতনের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস করে না।’
এই গেস্টরুম সংস্কৃতির ভয়ে হল ত্যাগ ছাড়তে চেয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে ঢাবি ছাত্র আহত
তিনি বলেন, ‘আজ সকালে শান্ত ও বাধন আমাকে ফোন করে বোঝান যে আমার সঙ্গে কিছুই হয়নি। এবং গতকাল সেখানে কোন গেস্ট রুম ছিল না।’ তিনি বলেন।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক আকরাম হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।