টিকাদান
দেশে টিকার কোন সংকট নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
দেশে টিকার কোন সংকট নেই উল্লেখ করে সবাই টিকা পাবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, ‘দেশের সকল নাগরিকই কোভিড-১৯ টিকা পাবেন। এনিয়ে দুশ্চিন্তার কোন কারণ নেই। সরকারের হাতেও পর্যাপ্ত পরিমাণ টিকার মজুদ রয়েছে।’
শনিবার সকাল ৯ টায় নগরের রেড ক্রিসেন্ট মাতৃমঙ্গল হাসপাতালে সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকার ‘জাতীয় কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইনে’ ভার্চুয়ালি যুক্ত থেকে উদ্বোধনকালে তিনি এসব বলেন।
আরও পড়ুন: সংকট মোকাবিলায় আসিয়ান নেতাদের সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের আহবান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
আব্দুল মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ করোনা পরিস্থিতি দৃঢ়ভাবে মোকাবিলা করছে। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার বিভিন্ন দেশ থেকে টিকার ব্যবস্থা করছে। সামনে আরও প্রচুর টিকা দেশে আসবে।
‘জাতীয় কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন’কে যুগান্তকারী পদক্ষেপ উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাইকে টিকা নিতে হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে মেয়র আরিফুল হক তিনি বলেন, সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাই কেন্দ্রে টিকা গ্রহণ করবেন। টিকা নিতে এসে যেন অসচেতনতাবসত করোনা সংক্রমণের কবলে কেউ না পড়েন।
আরও পড়ুন: আগামী সপ্তাহে সিনোফার্মের ৩৪ লাখ ডোজ টিকা আসছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সিসিকের ২৭টি ওয়ার্ডে ৮১টি কেন্দ্রে টিকা কার্যক্রম চলছে। প্রথম দিন প্রতিটি কেন্দ্রে ৩শ নাগরিকে টিকা দেয়া হবে । ৮ ও ৯ আগস্ট থেকে প্রতিদিন প্রতিটি কেন্দ্রে ২শ জন নাগরিককে টিকা দেয়া হবে। সিসিকের এই কার্যক্রমে ১৬২ জন কর্মী কাজ করছেন।
অবৈধভাবে ২৬০০ জনকে টিকাদান: সেই রবিউল বরখাস্ত
চট্টগ্রামের প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া ২ হাজার ৬০০ করোনা টিকা দেয়ার ঘটনায় পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ইপিআই) মোহাম্মদ রবিউল হোসেনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ বি এম খুরশীদ আলম বলেন, ‘টিকা প্রদানে অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় রবিউল হোসেনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।’
তবে রবিউলকে বহিষ্কারের চিঠি এখনও পাননি বলে জানিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন।
গণমাধ্যমকে সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ‘শুনেছি রবিউল হোসেনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে আমাদের কাছে কোনও চিঠি আসেনি।’
আরও পড়ুন: শনিবার থেকে খুলনায় গণ টিকাদান শুরু
টিকা না দিলে শাস্তি: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহার
সিলেটে ৭ আগস্ট থেকে গণটিকাদান শুরু
রবিউলের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তিনি সরকারি নির্দেশনার আগে গত ৩০ ও ৩১ জুলাই পটিয়া উপজেলার শোভনদন্ডী ইউনিয়নে নিবন্ধন ছাড়া ২ হাজার ৬০০ জনকে করোনার টিকা দেন। গত ৩০ জুলাই শোভনদন্ডী ইউনিয়নের আরফা করিম উচ্চ বিদ্যালয়ে এবং পরদিন শোভনদন্ডী স্কুল অ্যান্ড কলেজে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত টিকা দেয়া হয়।
পরে এই ঘটনায় শনিবার (৩১ জুলাই) সিভিল সার্জন কার্যালয়ের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ কনসালটেন্ট ডা. অজয় দাশকে কমিটির প্রধান করে ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আসিফ খান ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কর্মকর্তা ডা. মো. নুরুল হায়দারকে ওই তদন্ত কমিটির সদস্য করা হয়। পাশাপাশি তদন্ত কমিটিকে দুই দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেয়া হয়। তদন্ত শেষে গত সোমবার কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়।
বিশ্বজুড়ে করোনায় প্রাণহানি ৪২ লাখ ৩৫ হাজার ছাড়াল
বিশ্বে মহামারি করোনাভাইরাসের নতুন ডেল্টা ধরনের কারণে প্রতিদিনই বাড়ছে রোগী ও আক্রান্তদের মৃত্যু সংখ্যা। বর্তমানে ডেল্টার নতুন ধরন ডেল্টা প্লাস’ও শনাক্ত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ৪২ লাখ ৩৫ হাজার ৪৪৯ জন এবং মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৯ কোটি ৮৮ লাখ ৯১ হাজার ৩৪০ জনে দাঁড়িয়েছে।
এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট ৪১৪ কোটি ৬০ লাখ ৫৭ হাজার ৪৫৬ ডোজ করোনার টিকা প্রদান করা হয়েছে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৫১ লাখ ৩১ হাজার ৩৯৩ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ৬ লাখ ১৩ হাজার ৬৭৯ জন।
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৫৭ হাজার ২২৩ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ১ কোটি ৯৯ লাখ ৫৩ হাজার ৫০১ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
এদিকে বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ১৬ লাখ ৯৫ হাজার ৯৫৮ জন। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ২৪ হাজার ৭৭৩ জনে।
পড়ুন: দেশে করোনায় মৃত্যু ২১ হাজার ছাড়াল
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মাঝে গেলো ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ২৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে মোট মৃত্যু ২১ হাজার ১৬২ জনে পৌঁছেছে। একদিনে করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও ১৫ হাজার ৯৮৯ জনের। এনিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ১২ লাখ ৮০ হাজার ৩১৭ জনে দাঁড়িয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৩ হাজার ৪৬২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এই সময় শনাক্তের হার ২৯.৯১ শতাংশ।
পড়ুন: বাংলাদেশে করোনা: বেশি ঝুঁকিতে বয়স্করা
ফরিদপুর মেডিকেলের আইসিইউতে জনবল সংকট, চিকিৎসা সেবা ব্যাহত
দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় মৃত্যুর হার ১.৬৫ শতাংশ। অদ্যাবধি সুস্থ হয়েছে ১১ লাখ ৮ হাজার ৭৪৮জন। সুস্থতার হার ৮৬. ৬০ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে ৭৬ জন, খুলনা বিভাগে ৩০ জন, চট্টগ্রামে ৬৪ জন, রংপুরে ১৪ জন, বরিশালে ১৬ জন, সিলেটে ১৪ জন, রাজশাহীতে ২২ জন এবং ময়মনসিংহে ১০ জন মারা গেছেন।
খুব শিগগিরই অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাদান শুরু হবে
দেশে খুব শিগগিরই জাপানের কাছ থেকে পাওয়া অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেয়া শুরু হবে । অ্যাস্ট্রাজেনেকার আরও টিকা কিছুদিনের মধ্যেই দেশে আসবে। বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম এই তথ্য জানান।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত করোনা বুলেটিনে তিনি বলেন, অক্সফোর্ডের টিকা কার্যক্রম আমরা শুরু করেছিলাম, কিন্তু মাঝখানে টিকা সরবরাহের কারণে বন্ধ করে দেয়া হয়। বর্তমানে বন্ধুপ্রতীম জাপানের কাছ থেকে কিছু টিকা পেয়েছি। আশা করছি শিগগিরই শুরু করতে পারবো।
আরও পড়ুনঃ কোভ্যাক্স থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ১০ লাখ ডোজ টিকা পাবে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ড. নাজমুল ইসলাম আরও বলেন, সরকারের বহুমুখী পদক্ষেপের কারণে অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার আরও কিছু টিকা কিছুদিনের মধ্যেই আমরা পেয়ে যাবো। দ্বিতীয় ডোজে টিকা নিয়ে শঙ্কায় থাকাদের আশঙ্কা আশা করছি অল্পদিনের মধ্যেই শেষ হবে।
এই টিকাগুলো অনেক আগে আসলেও এখনও কার্যক্রম শুরু না হওয়ার কারণ জানতে চাইলে নাজমুল ইসলাম বলেন, অভ্যন্তরীণ কারণে আমরা এখনও শুরু করতে পারছি না। আমরা অপেক্ষা করছি আরও কিছু টিকা আসার।
আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন স্থগিতের কোনো পরিকল্পনা নেই: স্বাস্থ্য সচিব
তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণ থেকে প্রতিটি মানুষ যতদিন না সুরক্ষিত হবে, ততদিন আমরা কেউই শঙ্কামুক্ত নই। তাই সবাইকেই সংক্রমণ মোকাবিলায় এগিয়ে আসতে হবে। আর সুরক্ষার অন্যতম হাতিয়ার টিকা। এছাড়াও মাস্ক পরা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাসহ সব ধরনের চেষ্টা আমাদের চালিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, এই মুহূর্তে সারাদেশের মধ্যে সংক্রমণের শীর্ষে অবস্থান করছে ঢাকা জেলা। আর সবচেয়ে কম সংক্রমিত হয়েছে রাজশাহী জেলায়। গত জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ছয় মাসের নমুনা পরীক্ষা ও রোগী শনাক্তকরণের হার বিবেচনায় এ তথ্য ।
আরও পড়ুনঃ অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা প্রয়োগ অব্যাহত রাখুন: ডব্লিউএইচও
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র বলেন, ঢাকা জেলায় এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ৪ লাখ ১৯ হাজার ১২৮ জন। ঢাকার পরে অবস্থান বন্দরনগরী চট্টগ্রামের। সেখানে এখন পর্যন্ত ৭৪ হাজার ১৯৩ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। আর সবচেয়ে কম রোগী এখন পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছে রাজশাহীতে। সেখানে মোট ১৮ হাজার ৮০৮ জন রোগী আমরা শনাক্ত করতে পেরেছি।
তিনি আরও বলেন, গত ২৩ জুলাই থেকে দেশে কঠোর বিধিনিষেধ চলছে, সেক্ষেত্রে সংক্রমণ প্রতিরোধে সবাইকে দায়িত্ববান হতে হবে। আমাদের সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং নিজ নিজ জায়গা থেকে দায়িত্ববান আচরণ করতে হবে। তা হলেই আমাদের কর্মসূচিগুলো সফলতার মুখ দেখবে।
বিশ্বে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৮ কোটি ১৮ লাখ
মহামারি করোনাভাইরাসে বিশ্বব্যাপী আক্রান্ত ও মৃত্যু অব্যাহত রয়েছে। টিকাদান কার্যক্রম জোরদার করা হলেও, বেশকিছু দেশে তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ৩৯ লাখ ৩৬ হাজার ৬২৯ জন।
আরও পড়ুনঃ বৃহস্পতিবার থেকে লকডাউন নিশ্চিতে কঠোর ব্যবস্থা
এছাড়া একই সময়ে আক্রান্তের সংখ্যা ১৮ কোটি ১৭ লাখ ৫০ হাজার ৪২২ জনে দাঁড়িয়েছে।
এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট ৩০০ কোটি ২৩ লাখ ৬১ হাজার ৪৭ ডোজ টিকা প্রদান করা হয়েছে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৩৬ লাখ ৫১ হাজার ৮৭০ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ৬ লাখ ৪ হাজার ৪৫৭ জন।
আরও পড়ুনঃ ‘কঠোর লকডাউনে’ মুভমেন্ট পাশ থাকবে না: মন্ত্রিপরিষদ সচিব
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ১৫ হাজার ৯৮৫ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ১ কোটি ৮৫ লাখ ১৩ হাজার ৩০৫ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
এদিকে বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৯৭ লাখ ৬৩৭ জন। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৯৭ হাজার ৬৩৭ জনে।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
মঙ্গলবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, করোনাভাইরাসে দেশে ২৪ ঘণ্টায় আরও ১১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৩৮৮ জনে।
আরও পড়ুনঃ দেশে করোনা আক্রান্ত ৯ লাখ ছাড়াল, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ১১২
এর আগে সোমবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ৮ হাজার ৩৬৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩১ হাজার ৯৮২টি। শনাক্তের হার ২৩.৯৭ শতাংশ। মৃতদের মধ্যে ৬৭ জন পুরুষ এবং ৪৫ জন নারী।
নতুন করে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ২৭ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ১১ হাজার ৭০০ জন। সুস্থতার হার ৮৯.৭৫ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১.৫৯ শতাংশ।
জুলাই মাসে ব্যাপকভাবে টিকাদান শুরু হবে: প্রধানমন্ত্রী
জুলাই মাসে দেশে ব্যাপকভাবে টিকাদান অভিযান শুরু হবে এই আশ্বাস দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সবার জন্য বিনামূল্যে টিকা নিশ্চিত করবে সরকার। করোনা টিকা সংগ্রহের জন্য যত টাকা লাগুক সরকার তা ব্যয় করবে।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমি ইতিমধ্যে ঘোষণা দিয়েছি, সরকার সবার জন্য বিনামূল্যে টিকা নিশ্চিত করবে। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় টিকা সংগ্রহের জন্য আমরা তহবিল সরবরাহ করব, যতই প্রয়োজন হোক।
আরও পড়ুন: দেশে করোনা আক্রান্ত ৯ লাখ ছাড়াল, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ১১২
টিকা সংগ্রহের জন্য সরকার জাতীয় বাজেটে ১৪ হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যয় করেছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ৮০ শতাংশ মানুষকে পর্যায়ক্রমে টিকা দেওয়ার আওতায় আনার পরিকল্পনা নিয়েছি। এ সময় তিনি বলেন, সরকার যখন গবেষণা পর্যায়ে ছিল তখন টিকা উন্নয়নকারী দেশগুলির সাথে যোগাযোগ শুরু করে এবং টিকার আগাম অর্থ সরবরাহ করে। কিন্তু করোনা সংক্রমণ ব্যাপক বৃদ্ধি পাওয়ায় ভারত সমস্যায় পড়ে যায়। তাই দেশটি টিকা রপ্তানি বন্ধ করে দেয়।
আরও পড়ুন: টিকাদান বন্ধ হবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা এখন টিকার ব্যবস্থা করেছি। আমাদের আর কোনও সমস্যা হবে না (টিকা সংগ্রহের ক্ষেত্রে)। সরকার চীন, রাশিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য টিকা উৎপাদনকারী দেশ এবং সংস্থাগুলির সংস্পর্শে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তার সরকার ইতিমধ্যে বিভিন্ন উৎস থেকে ১.১৪ কোটি টিকা সংগ্রহ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও যোগ করেন, আমরা আশা করছি এই জুলাই থেকে আরও অনেক টিকা আসবে এবং আমরা টিকাদান ব্যাপকভাবে শুরু করতে পারবো।
আরও পড়ুন: জীবিকার উন্নয়নে বাংলাদেশকে ৩০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক
শেখ হাসিনা বলেন, প্রবাসী কর্মীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিদেশের কর্মস্থলে পৌঁছে তাদের যেন কোয়ারান্টাইনে থাকতে হয়। করোনা মহামারি অব্যাহত থাকায় স্বাস্থ্য খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত বছর সরকার সফলভাবে প্রথম ঢেউকে মোকাবেলা করেছে। সেই অভিজ্ঞতা ব্যবহার করে চলমান দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা করতে আমরা দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছি। ইনশাআল্লাহ, আমরা মহামারি মোকাবিলার মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য এবং জনজীবনকে রক্ষা করতে সক্ষম হবো।
টিকাদান বন্ধ হবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
আগামীতে টিকাদান বন্ধ রাখতে হবে না, টিকাদান চলবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
রবিবার সচিবালয়ে এক অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
করোনাভাইরাসের টিকা আনার অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা ২৫ লাখ মডার্নার টিকা পাচ্ছি। কিছুদিনের মধ্যেই এই টিকা চলে আসবে। এক্ষেত্রে আমাদের যে সিদ্ধান্ত দেয়ার বিষয় ছিল, সেটা আমরা দিয়ে দিয়েছি। চায়না থেকে আমরা তাড়াতাড়ি টিকা পেয়ে যাব বলে আশা করছি। আগামী মাসেও চায়নার সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী হয়তো আমরা টিকা পেতে থাকব। কোভ্যাক্স থেকেও আমরা টিকা পেতে থাকব। রাশিয়ার সঙ্গেও হয়তো আমরা চুক্তি সমাপ্ত করতে পারব।
আরও পড়ুন: দেশব্যাপী লকডাউনে মাঠে থাকতে পারে সেনাবাহিনী
তিনি আরও বলেন, টিকা কার্যক্রম আমাদের বন্ধ রাখতে হয়েছিল। আগামীতে বন্ধ রাখতে হবে না। টিকা কার্যক্রম ইনশাআল্লাহ চলমান থাকবে।
করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। পরবর্তী পরিস্থিতি কিভাবে মোকাবিলা করবেন জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, সংকট এড়ানোর জন্যই তো লকডাউন দেয়া হচ্ছে। আমাদের এখনও চিকিৎসা দেয়ার যথেষ্ট উপায় আছে। ১২ থেকে ১৫ হাজার বেড সারাদেশে করোনা চিকিৎসার জন্য রেডি করা আছে। এখনও আমাদের যথেষ্ট বেড আছে, আমরা রোগী রাখতে পারব। হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা অনেক আছে। সরকারি-বেসরকারিভাবে প্রায় ১ হাজার ৬০০ অক্সিজেন কনসেন্ট্রটর আছে। ওষুধের কোন ঘাটতি নেই। এদিক থেকে আমরা সহনীয় পর্যায়ে আছি।
আরও পড়ুন: গোপালগঞ্জে করোনার টিকা তৈরি হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, আমাদের এখন থেকেই করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। যদি লাখ লাখ লোক আক্রান্ত হয়ে যায় তবে তো কষ্ট হবেই। সেজন্য লকডাউন দিয়ে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।
বাংলাদেশে টিকা উৎপাদনের বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, টিকা উৎপাদনের বিষয়ে আমরা নীতিগতভাবে ইডিসিএলকে (এসেনশিয়াল ড্রাগ লিমিটেড) অনুমতি দিয়েছি। ইডিসিএলকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, টিকা উৎপাদনের ব্যবস্থা করার জন্য। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যা যা নির্দেশনা, সহযোগিতা দেয়া দরকার, সেটা করার জন্য পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন, ইডিসিএল টিকা উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করবেন। এটা একটু সময় সাপেক্ষ। যত তাড়াতাড়ি পারা যায় আমরা উৎপাদনে যাব, এটাই আমাদের চেষ্টা থাকবে।
আরও পড়ুন: অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ৫ লাখ মানুষ ভ্যাকসিন পাবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
আরেক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, আমরা উৎপাদন করলে তো বাংলাদেশের টিকাই করব। আমরা যদি কারো সঙ্গে কোলাবরেশনে যাই, সেটাও আমরা দেখব। যদি কেউ আমাদের অফার করে, তাদের টিকা বাংলাদেশে উৎপাদন করবে। তাহলে প্রাইভেট কোম্পানিগুলো আছে, তারা সেখানে উৎপাদন করতে পারবে। সেই সুযোগ সুবিধা আমাদের নেই, প্রাইভেট কোম্পানিগুলোর আছে। সেটা আমাদের নীতিগতভাবে অনুমোদন দেয়া আছে।
গ্লোব বায়োটের বঙ্গভ্যাক্স ভ্যাকসিনের অনুমোদনের বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, তাদেরকেও আমরা সহযোগিতা করছি। টিকা তৈরি করার বিভিন্ন পদক্ষেপ আছে। সেই পদক্ষেপগুলো পার হয়ে আসলেই তারা টিকা উৎপাদন করতে পারবেন। কিন্তু আন্তর্জাতিক যে নিয়মনীতি আছে, ডব্লিউএইচও’র যে নিয়মনীতি আছে টিকা উৎপাদন করার সেই নিয়মনীতিগুলোর পরিপালন করে তারা আসলেই টিকা উৎপাদন করতে পারবে।
করোনার ১ম ডোজের টিকাদান সোমবার থেকে স্থগিত
সারাদেশে সোমবার (২৬ এপ্রিল) থেকে করোনার প্রথম ডোজের টিকাদান কার্যক্রম স্থগিত করেছে সরকার।
রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই তথ্য নিশ্চিত করে।
ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সাথে বাংলাদেশ ৩ কোটি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রজেনেকার টিকা সংগ্রহের চুক্তি করেছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ মাত্র ৭০ লাখ টিকা পেয়েছে। এছাড়া ভারত ৩৩ লাখ ডোজ টিকা বাংলাদেশকে উপহার হিসেবে পাঠায়।
যদিও এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন বাংলাদেশের কাছে পর্যাপ্ত টিকার মজুদ আছে বলে জনগণকে আশ্বস্ত করেছিলেন। কিন্তু বর্তামনে ভারতে করোনার পরিস্থিতির চরম অবনতির কারণে পর্যাপ্ত টিকা সঠিক সময়ে পাওয়ার বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে উঠেছে।
করোনার পরিস্থিতির অবনতির কারণে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় থেকেই করোনার টিকা রপ্তানিকারী দেশ ভারত টিকা আমদানি করা শুরু করে।
বাংলাদেশ ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে অক্সফোর্ডের করোনার টিকাদান কার্যক্রম শুরু করে। করোনার প্রথম ডোজের পাশাপাশি ৮ এপ্রিল হতে করোনার দ্বিতীয় ডোজ টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়।
আরও পড়ুন: মে মাসের প্রথম সপ্তাহে ২১ লাখ টিকা আসছে
এদিকে রবিবার ম্যালারিয়া দিবসের আলোচনায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম সাংবাদিকদের জানান, মে মাসের প্রথম সপ্তাহেই বাংলাদেশে করোনার ২১ লাখ টিকা আসবে। এর মধ্যে বেশির ভাগ টিকাই বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের মাধ্যমে আমদানি করবে বাংলাদেশ।
২১ লাখ টিকার মধ্যে কোভ্যাক্স সরবরাহ করবে ১ লাখ ডোজ এবং বাকি সব টিকার সেরাম ইনস্টিটিউটের সরবরাহ করার কথা রয়েছে।
যেমন গেল লকডাউনের দ্বিতীয় দিন
কিছু বেসরকারি যানবাহন ও রিকশা চলাচলের মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার টানা দ্বিতীয় দিন দেশব্যাপী আট দিনের লকডাউন চলছে।
কোভিড-১৯ বিস্তার রোধে সরকারের দেয়া কঠোর লকডাউনের কারণে দোকান ও শপিংমলগুলো বন্ধ রয়েছে।
দিলু রোড, মহাখালী, বিজয় সরণি এবং মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ রাস্তা সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় রিকশা চলাচল করছে এবং লোকজন রিকশা ব্যবহার করে গন্তব্যে যাচ্ছে।
পুলিশ বাইরে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে তারা টিকাদান, জরুরি কাজসহ নানা অজুহাত দেখায়।
আরও পড়ুন: সিলেটে কঠোর লকডাউন পালিত হচ্ছে
মহাখালী এলাকার ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আসাদুজ্জামান বলেছেন, “আমরা বৈধ কারণ ব্যতীত কাউকে যাওয়ার অনুমতি দেইনি। কেউ কোনো বৈধ কারণ দেখাতে ব্যর্থ হলে তাদের মামলা বা জরিমানা করা হচ্ছে। তবে আমরা মানবিক ভিত্তিতে কাউকে চাপ দেইনি।”
এছাড়াও পুলিশ, র্যাব এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে নগরীর বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট স্থাপনের মাধ্যমে যানবাহন এবং লোকজনের চলাচল পর্যবেক্ষণ করতে দেখা গেছে।
পুলিশ প্রতিটি যানবাহন চেক করায় কুড়িল বিশ্বরোডে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে।
তবে কাঁচাবাজারগুলি সরকারি নির্দেশনা লঙ্ঘন করতে দেখা গেছে কারণ তারা খোলা জায়গায় তাদের ব্যবসা পরিচালনা করেনি। এছাড়াও কিছু লোক স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে চলাচল করেছে।
কোভিড-১৯ এর বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমন রোধ করতে সরকার আট দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে সর্বাত্মক লকডাউন চলছে
সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। বুধবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৬টা থেকে ২১ এপ্রিল মধ্যরাত অবধি লকডাউন কার্যকর থাকবে।
নতুন লকডাউনের আওতায় সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, বেসরকারি অফিস এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে তবে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের তাদের নিজ নিজ কার্যালয়ে থাকতে হবে।
তবে বিমান, সমুদ্র এবং নদী ও স্থলবন্দরগুলির কর্মচারীরা এই লকডাউনের আওতার বাইরে থাকবে।
আরও পড়ুন: লকডাউন: সাভারে টিলেঢালাভাবে চলছে প্রথম দিন
লকডাউন চলাকালীন রাস্তা, নদী, রেলপথ এবং বিমানসহ সকল গণপরিবহন স্থগিত থাকবে। তবে জরুরি পরিষেবা, পণ্য বহন, উৎপাদন পরিষেবা এই সীমাবদ্ধতার বাইরে থাকবে।
তবে পণ্য বহন, জরুরি পরিষেবা এবং উৎপাদন ক্ষেত্রে এই সীমাবদ্ধতা কার্যকর হবে না। কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও বজায় রাখার শর্তে শিল্প ও কলকারখানাগুলি খোলা থাকবে।
আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, কৃষিজাত পণ্য (সার, বীজ, কীটনাশক, মেশিনারিস), ফসল, খাদ্যবাহী যানবাহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, স্বাস্থ্যকর্মী, বিদ্যুৎ ও জরুরী সেবা সরবরাহকারী সংস্থাগুলির অফিস, কর্মচারী এবং যানবাহনগুলি, পানি, গ্যাস, ফায়ার সার্ভিস, বন্দর কার্যক্রম, মিডিয়া (প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়া), ব্যক্তিগত সুরক্ষা ব্যবস্থাপনা, টেলিফোন এবং ডাক পরিষেবাগুলি এই বিধিনিষেধের বাইরে থাকবে।
জনগণের চলাচল সীমাবদ্ধ থাকবে এবং জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত কাউকেই বাইরে যেতে দেয়া হবে না (ওষুধ, প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনা, চিকিৎসা পরিষেবা গ্রহণ এবং মৃতদেহের সমাধি / দাফন করা, কোভিড-১৯ এর টিকা নেয়া ইত্যাদি)।
স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নির্দেশিকা অনুসরণ করে সকল শিল্প ও কারখানাগুলিকে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট শিল্পগুলিকে তাদের কর্মীদেরকে তাদের নিজস্ব যানবাহনে বহন করার ব্যবস্থা নিতে হবে।
হোটেল এবং রেস্তোরাঁগুলি কেবল রাত ১২ টা থেকে সকাল ৬ টা এবং দুপুর ১২ টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত টেকওয়ে / অনলাইন পরিষেবাগুলি পরিচালনা করতে পারবে। হোটেল বা রেস্তোরাঁয় অবস্থান করে কাউকেই খাবার খেতে দেয়া হবে না।
এই সময়ের মধ্যে সকল শপিংমল এবং মার্কেট বন্ধ থাকবে।
স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে কাঁচাবাজারসহ প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় জিনিসগুলি সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত খোলা জায়গায় বিক্রি ও কেনা যাবে। স্থানীয় প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এটি নিশ্চিত করবে।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ এবং প্রাণহানির ঊর্ধ্বগতি উভয় ক্ষেত্রকে নিয়ন্ত্রণে রাখার কঠোর পদক্ষেপের অংশ হিসাবে সরকার ৫ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্য দেশব্যাপী লকডাউন দিয়েছিল। কিন্তু সরকার লকডাউনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের মুখে ৭ এপ্রিল থেকে সিটি করপোরেশনভুক্ত এলাকায় গণপরিবহন পুনরায় চালু করার পাশাপাশি ৯ এপ্রিল থেকে পাঁচ দিনের জন্য দোকান ও শপিংমল পুনরায় চালু করার অনুমতি দেয়।
১৩ এপ্রিল (মঙ্গলবার) পর্যন্ত লকডাউনটি কার্যকর ছিল।
করোনাভাইরাস: দেশে ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬৯ মৃত্যু, শনাক্ত ৬০২৮
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬৯ জন মারা গেছেন বলে মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো নিয়মিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জনানো হয়েছে।
এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৮৯১ জনে।
আরও পড়ুন: করোনা: চট্টগ্রামে আরও ৫ জনের মৃত্যু
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুনভাবে ৬ হাজার ২৮ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। বর্তমানে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৬ লাখ ৯৭ হাজার ৯৮৫ জনে। নতুন সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ৮৫৩ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ৮৫ হাজার ৯৬৬ জন।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩২ হাজার ৯৫৫টি।
২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৮.২৯ শতাংশ এবং এ পর্যন্ত ১৩.৭৬ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১.৪২ শতাংশ। সুস্থতারহার ৮৩.৯৫ শতাংশ।
আরও পড়ুন: 'জনসন অ্যান্ড জনসন'-র করোনাভাইরাসের টিকা কিনবে না অস্ট্রেলিয়া
করোনার সাম্প্রতিক ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সরকার ১৪ এপ্রিল থেকে লকডাউন ঘোষণা করে সোমবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
চলমান টিকাদান কার্যক্রম
সরকার ফেব্রুয়ারির ৭ তারিখ হতে সারাদেশে টিকাদান কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে বাংলাদেশ করোনা মোকাবিলায় অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাটি ব্যবহার করছে, যা ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট হতে সংগ্রহ করা হয়।
বিশ্ব পরিস্থিতি
যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যমতে, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বর্তমানে বিশ্বে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৯ লাখ ৪৪ হাজার ৭১৪ জন।
এছাড়া সারা বিশ্বে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছে ১৩ কোটি ৬৫ লাখ ৪৫৯ জন।
করোনার আঘাতে সবচেয়ে বিপর্যস্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ১২ লাখ ৬৭ হাজার ৩৫৯ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ৫ লাখ ৬২ হাজার ৫২১ জন মানুষ।
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯: বিশ্বে মৃত্যু ২৯ লাখ ৪৪ হাজার ছাড়াল
গত জানুয়ারি মাস থেকেই দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনার নতুন ঢেউ মোকাবিলা করছে। দেশটিতে প্রতিনিয়ত বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা।
দেশটি বিশ্বে করোনা আক্রান্তে তৃতীয় ও মৃত্যুর দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী এক কোটি ৩৫ লাখ ১৭ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৫৪ হাজার ৬১৭ জনের।
অপরদিকে, প্রতিবেশী দেশ ভারত করোনায় আক্রান্তে দ্বিতীয় অবস্থান উঠে এসেছে। দেশটিতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৩৫ লাখ ২৭ হাজার ৭১৭ জন। দেশটিতে এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছে ১ লাখ ৭০ হাজার ১৭৯ জন।