সড়ক
পায়রা সমুদ্রবন্দরে সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে প্রকল্পের মোড়ক উন্মোচন প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পায়রা সমুদ্রবন্দরের সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য উন্নত সুযোগ-সুবিধা তৈরির লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার একটি মূল চ্যানেলের ক্যাপিটাল ড্রেজিংসহ বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উন্নয়ন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
কর্মসূচির আওতায় তিনি আটটি জাহাজ চালু, প্রথম টার্মিনাল ও ছয় লেনের সংযোগ সড়ক ও একটি সেতু নির্মাণ উদ্বোধন করেন।
প্রকল্প অনুযায়ী, সমুদ্রবন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলের ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে ৭৫ কিলোমিটার দীর্ঘ, ১০০ থেকে ১২৫ মিটার প্রশস্ত এবং ১০ দশমিক ৫ মিটার গভীর চ্যানেল তৈরি করা হবে।
একবার চালু হলে মোট ৪০ হাজার টন কার্গো বা তিন হাজারটি কন্টেইনার বোঝাই জাহাজ বন্দরে ভিড়তে পারবে। চ্যানেলটি আনুমানিক পাঁচ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বেলজিয়ামের ড্রেজিং কোম্পানি জান ডি নুল নির্মান করছে।
আরও পড়ুন: পায়রা বন্দরে কন্টেইনার ইর্য়াড নির্মাণের উদ্যোগ
আটটি জাহাজের মধ্যে দুটি পাইলট ভেসেল, দুটি হেভি ডিউটি স্পিডবোট, একটি বয় লেইং ভেসেল, একটি সার্ভে বোট এবং দুটি টাগবোট।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় অনুযায়ী, এই জাহাজগুলো বন্দর কর্তৃপক্ষকে বিদেশী জাহাজের আগমন ও প্রস্থান পর্যবেক্ষণ এবং চ্যানেল বজায় রাখতে সহায়তা করবে।
প্রথম টার্মিনাল, ছয় লেনের মহাসড়ক ও সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হলে পায়রা সমুদ্রবন্দরে কন্টেইনার বা বাল্ক কার্গো বহনকারী মোট তিনটি বিদেশী জাহাজ একসঙ্গে ভিড়তে পারবে। টার্মিনালটির ব্যয় হবে চার হাজার ৫০০ কোটি টাকা এবং এটি ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে চালু হবে।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের পায়রা বন্দর পরিদর্শন
ছয় দশমিক ৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ছয় লেনের সংযোগ সড়কটি সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগ (আরএইচডি) তৈরি করছে। ৬৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে স্পেকট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডকে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে সড়কটি যান চলাচলের জন্যও খুলে দেয়া হবে।
পায়রা সমুদ্রবন্দরের পণ্য পরিবহনের জন্য আন্ধারমানিক নদীর ওপর একটি এক হাজার ১৮০ মিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। সেতুটিতে ব্যয় হবে ৭৮০ কোটি টাকা এবং আড়াই বছরের মধ্যে এটি নির্মাণ করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী ২০১৩ সালের ১৯ নভেমবর পায়রা সমুদ্রবন্দর উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: মোংলা ও পায়রা বন্দর ব্যবহার করতে পারবে নেপাল: প্রধানমন্ত্রী
বোয়ালখালীতে সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষক নিহত
চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে দুই অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে স্কুলশিক্ষক নিহত হয়েছেন। সোমবার (১০ অক্টোবর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার কানুনগোপাড়া ডিসি সড়কের বাদুড়তলা এলাকায় এ দুর্ঘটনায় আরও একজন আহত হয়েছেন।
নিহত উৎপল চৌধুরী (৫০) উপজেলা দক্ষিণ ধোরলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন এবং পূর্বগোমদণ্ডী অবর্ণ চৌধুরী উকিলের বাড়ির মৃত বাবুল চৌধুরীর ছেলে।
আহত জাহানারা বেগমকে (৬০) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. কান্তা অধিকারী জানান, উৎপল চৌধুরীকে হাসপাতালে আনা হলে মৃত ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: নাটোরে আ.লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২
সাতক্ষীরা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে আরেক বাংলাদেশি নিহত
কাঁচপুরে অটোরিকশা-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নিহত ৫, আহত ৪
২১ বছরেও হয়নি সেতুর সংযোগ সড়ক
দীর্ঘ ২১ বছর ধরে সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নে কালনী নদীর ওপর দাঁড়িয়ে আছে সংযোগ সড়কবিহীন একটি সেতু। জনসাধারণের যোগাযোগ সহজ করতে প্রায় ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ হলেও সংযোগ সড়কের অভাবে এর সুফল ভোগের পরিবর্তে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে অন্তত আট গ্রামের বাসিন্দাদের।
উপজেলার ইসলামপুর, সুরিকোনা, দক্ষিণ কালনীরচর, চর তাজপুর, হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার গালিমপুর, মাধবপুর, মতুরাপুর এবং সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার আটঘর গ্রামবাসীর যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম কালনীরচর-শেরপুর সড়কটি।
এছাড়া ইসলামপুর এলাকায় কালনী নদী এই সড়কটিকে ছেদ করেছে। এদিকে সড়কটি ব্যবহার করেই মহাসড়কে উঠতে হয় গ্রামগুলোর বাসিন্দাদের।
এলাকাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে, ২০০১ সালে সাদীপুর ইউনিয়নের কালনী নদীর ওপর প্রায় ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। তৎকালীন বালাগঞ্জ উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) মাধ্যমে বাস্তবায়িত সেতুটির নির্মাণকাজে অনিয়মের কারণে এক বছরের মধ্যেই এর দুই পাশের সংযোগ সড়কের মাটি দেবে গেলে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে সেতুটি।
আরও পড়ুন: অক্টোবর-নভেম্বরে দুই ভাগে বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন: সেতুমন্ত্রী
গত ২১ বছরে কর্তৃপক্ষের কাছে সেতুর সংযোগ সড়কের দাবি জানিয়ে এলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ফলে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার হতে হচ্ছে।
সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য সোনা মিয়া গাজী জানান, এলাকাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সেতুটি নির্মাণ করা হলেও কাজের অনিয়মের কারণে মাটি দেবে গিয়ে সেতুর সঙ্গে সড়ক সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
সেতুর সংযোগ না থাকায় অনেক মুমূর্ষু রোগীকে সময়মতো হাসপাতালে নিতে না পারায় অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে।
বর্তমান ইউপি সদস্য খালিছ মিয়া বলেন, জনগণের সুবিধার জন্য সেতু নির্মাণ করা হলেও কোনো কাজে আসছে না। কঙ্কালের মতো দাঁড়িয়ে থাকা সেতুর পাশে সাঁকো তৈরি করে নদী পারাপার হতে হয়।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে জনপ্রতিনিধি ও সংশ্নিষ্টদের কাছে সেতুটির সংযোগ সড়ক স্থাপনের দাবি জানিয়ে এলেও কেউ কোনো ব্যবস্থা নেননি।
বর্তমান সংসদ সদস্যকে বিষয়টি অবগত করলে তিনি সরেজমিনে দেখে গেছেন।
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আহমদ মুছা বলেন, এটি এই এলাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে কোনো সমস্যা হলে বিকল্প সড়ক হিসেবে এটা ব্যবহার করা যেত।
বিগত সময়ে পরিকল্পনামন্ত্রীর ডিও লেটার পাওয়া গেলেও সেতুর সংযোগ সড়কের কাজ হয়নি।
সড়কটি সংস্কার এবং সেতুর সংযোগ সড়ক স্থাপনে সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান তিনি।
সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান বলেন, ওই সেতু পরিদর্শন করেছি। এলাকাবাসীর অসুবিধাকে প্রাধান্য দিয়ে সেতুতে সংযোগ সড়ক স্থাপনের জন্য পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:কালনা সেতু: টোল হার নির্ধারণ, অপেক্ষা উদ্বোধনের
বঙ্গবন্ধু সেতুর পিলারের সঙ্গে ধাক্কায় বালুবোঝাই বাল্কহেডডুবি
নীলফামারীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
নীলফামারীতে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী দুইজন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার জেলার সদর উপজেলার শিমুলতলায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-সদর উপজেলার শিহাব(৩৮) ও বাপ্পী(৩৫)।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ জানান, রাত ৮টার দিকে ট্রাকটি মোটরসাইকেলকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।
ট্রাক চালক পালিয়ে যাওয়ায় পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় মাইক্রোবাসের ৩ যাত্রী নিহত, আহত ১০
চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেলো ট্রাক চালকের
চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেলো ট্রাক চালকের
চুয়াডাঙ্গায় ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চালকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার ভোরে চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর আঞ্চলিক সড়কের গোকুলখালি নামক স্থানে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত ট্রাকচালক আওয়াল সরদার (৪০) রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ থানার পূর্ব উজানচর গ্রামের গুইজ উদ্দিন সরদারের ছেলে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে ট্রেনের ধাক্কায় নিহত ৩
চুয়াডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টাফ অফিসার আতিকুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে আমাদের টিম ট্রাকের মধ্যে আটকে থাকা চালকের লাশ উদ্ধার করে।
তিনি আরও বলেন, লাশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, গোকুলখালি বাজারে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা পাটবোঝাই একটি ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই চালক আওয়াল সরদারের মৃত্যু হয়। লাশ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
হাপানিয়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) শাহাবুল আলম বলেন, লাশ ও ট্রাক আমাদের হেফাজতে রয়েছে। নিহতের স্বজন এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: আশুগঞ্জে ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত ২
সিরাজগঞ্জে ট্রেনে কাটা পড়ে দাদা-নাতির মৃত্যু
সড়ক দুর্ঘটনায় আহত এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু
ফেনীতে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।
নিহত আলমাস উদ্দিন (১৬) লেমুয়া ইউনিয়নের মীরগঞ্জ গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী জাহাঙ্গীর আলমের বড় ছেলে।
সে আলমাস ফেনী সদর উপজেলার লেমুয়া ইউনিয়নের শেখ মজিবুল হক উচ্চবিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল।
আরও পড়ুন: পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
এর আগে রবিবার দুপুরে ফাজিলপুর কাদরী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি যাবার পথে র্ঘটনাটি ঘটে। এ সময় অটোরিকশায় থাকা আলমাসের মা হাসিনা, অন্য দুই পরীক্ষার্থী ও অটোরিকশার চালক আহত হন।
আলমাসের মা হাসিনা ও আহত দুই পরীক্ষার্থী এখনো চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আলমাসের মামা জহিরুল হক মিলন বলেন, আলমাসের মা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন।
ছেলের মৃত্যুর খবর মাকে জানানো হয়নি। গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে আলমাসের লাশ দাফন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খালার বাড়িতে বেড়াতে এসে পানিতে ডুবে মৃত্যু
পঞ্চগড়ে নানা বাড়িতে বেড়াতে এসে পানিতে ডুবে মৃত্যু
সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ নিহত দুই
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ দুই যাত্রী নিহত হয়েছে।
মঙ্গলবার গভীর রাতে সিরাজগঞ্জ-কড্ডা আঞ্চলিক সড়কের কাশিয়াহাটা এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনায় নিহত শিশুর বাবা হোসেন আলী গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
নিহতরা হলো-উল্লাপাড়া উপজেলার বেতকান্দি গ্রামের হযরত আলীর ছেলে ও সরকারি আকবর আলী কলেজের ডিগ্রি প্রথমবর্ষের ছাত্র আব্দুল মালেক (২২) ও একই উপজেলার ভদ্রকোল গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে ইয়ামিন (৮)।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, কলেজ ছাত্র আব্দুল মালেক অসুস্থ্য বন্ধু হোসেন আলীকে অটোরিকশায় করে মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে চিকিৎসার জন্য সিরাজগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলেন।
রাত সাড়ে ১২টার দিকে অটোরিকশাটি ঘটনাস্থলে পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক চাপা দিলে তিন জনই আহত হয়।
স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মালেক ও ইয়ামিনকে মৃত ঘোষণা করেন।
আহত হোসেন আলীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাক ও অটোরিকশা জব্দ করা হলেও চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে।
বুধবার দুপুরে নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ওই হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ছাত্রলীগকর্মীর মৃত্যু
পঞ্চগড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু
আগের অবস্থায় ফিরে গেছে প্রয়াত মেয়র আনিসুলের স্বপ্নের সড়ক!
প্রায় সাত বছর আগে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র প্রয়াত আনিসুল হক রাজধানীর সাত রাস্তা মোড় থেকে তেজগাঁও রেলক্রসিং পর্যন্ত অবৈধ ট্রাকস্ট্যান্ড উচ্ছেদ করে তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছিলেন। কিন্তু এই স্থানটি আবারও ট্রাকচালক ও কাভার্ড ভ্যানের মালিকদের দখলে চলে গেছে।
যার ফলে পথচারী ও স্থানীয়দের যাতায়াতের সমস্যা হচ্ছে এবং ট্রাকস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
ঢাকা উত্তরের প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক ২০১৫ সালে ট্রাক মালিকদের সহিংস প্রতিবাদ সত্ত্বেও শিল্প এলাকার রাস্তাটি দখলের হাত থেকে পুনরুদ্ধার করেছিলেন। কিন্তু এখনও অবৈধভাবে পার্ক করা কয়েকশ’ ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও অন্যান্য ভারী যানবাহন দিয়ে সড়কজুড়ে লাইন ধরে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে ব্যাচেলেট কোনো উদ্বেগ প্রকাশ করেননি: আনিসুল হক
কালনা সেতু: টোল হার নির্ধারণ, অপেক্ষা উদ্বোধনের
দেশের প্রথম ছয় লেনের কালনা সেতুর টোল হার নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে যানবাহন চলাচলের জন্য সেতুটি সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ সেতুর টোল হার নির্ধারণ করেছে। এক্ষেত্রে বড় ট্রেইলার ৫৬৫ টাকা, তিন বা ততোধিক এক্সসেল বিশিষ্ট ট্রাক ৪৫০ টাকা, দুই এক্সসেল বিশিষ্ট মিডিয়াম ট্রাক ২২৫, ছোট ট্রাক ১৭০ টাকা, কৃষি কাজে ব্যবহৃত পাওয়ার ট্রিলার ও ট্রাক্টর ১৩৫ টাকা, বড় বাসের ক্ষেত্রে ২০৫ টাকা, মিনিবাস বা কোস্টার ১১৫ টাকা, মাইক্রোবাস, পিকাপ, কনভারশনকৃত জিপ ও রে-কার ৯০ টাকা, প্রাইভেটকার ৫৫ টাকা, অটোটেম্পু, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, অটোভ্যান ও ব্যাটারিচালিত তিন চাকার যান ২৫ টাকা, মোটরসাইকেল ১০ টাকা এবং রিক্শা, ভ্যান ও বাইসাইকেল পাঁচ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
কালনা সেতুর প্রকল্প ব্যবস্থাপক আশরাফুজ্জামান বলেছেন, ‘সেতুটির নির্মাণকাজ ৩০ আগস্ট শেষ হয়েছে, তবে প্রধানমন্ত্রী এখনও উদ্বোধনের তারিখ নির্ধারণ করেননি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় তারিখ সম্পর্কে আমাদের অবহিত করার পরে উদ্বোধন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নেয়া হবে।’
গত ৭ সেপ্টেম্বর সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পেলে অক্টোবরের যেকোনো দিন কালনা সেতু উদ্বোধন করা হবে।
আরও পড়ুন: কঁচা নদীর ওপর বঙ্গমাতা সেতুর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের ক্রস বর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইম্প্রুভমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) অর্থায়নে কালনা সেতু নির্মিত হয়েছে।
আশরাফুজ্জামান বলেন, কালনা দেশের প্রথম ছয় লেনের সেতু। নেলসন লোস আর্চ টাইপের (ধনুকের মতো বাঁকা) সেতু এটি। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৬৯০ মিটার এবং প্রস্থ ২৭ দশমিক ১ মিটার। উভয় পাশে ছয় লেনের সংযোগ সড়ক প্রায় সাড়ে ৪ কিলোমিটার। সেতু নির্মাণে মোট ব্যয় প্রায় ৯৬০ কোটি টাকা।
তিনি বলেন, সেতুটি এশিয়ান হাইওয়ের ওপর অবস্থিত। সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে সিলেটের তামাবিল হয়ে ঢাকা, ফরিদপুর, নড়াইল, যশোর, বেনাপোল, কোলকাতা পর্যন্ত সরাসরি ভূমিকা রাখবে।
আরও পড়ুন: অক্টোবর-নভেম্বরে দুই ভাগে বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন: সেতুমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধু সেতুর পিলারের সঙ্গে ধাক্কায় বালুবোঝাই বাল্কহেডডুবি
২০ ফিটের কম প্রশস্তের রাস্তার উন্নয়নে কোনো বরাদ্দ নেই: মেয়র আতিক
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো.আতিকুল ইসলাম বুধবার বলেছেন, ২০ ফুটের কম চওড়া সড়কের উন্নয়ন পরিকল্পনার জন্য কোনো অর্থ বরাদ্দ দেয়া হবে না।
তিনি বলেন, যেখানে রাস্তায় ২০ ফিটের কম হলে অনুমোদনই পায় না সেখানে বরাদ্দ দেয়া হবে না। যারা অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে তারা দখল ছেড়ে ক্লিয়ার না করে দিলে কাজ হবে না।
রাজধানীর গুলশানে নগর ভবনের ৬ষ্ঠ তলায় সিটি করপোরেশনের সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র আতিকুল এই সব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ১২ ঘণ্টার আগেই কোরবানির বর্জ্য শতভাগ অপসারণ করা হয়েছে: মেয়র আতিক
দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দেন, তিনি বলেন, সম্পত্তি বিভাগের সমন্বয়ে রাস্তার প্রশস্ততা বাড়াতে হবে।
এছাড়া সড়কের উন্নয়ন কাজের বিষয়ে রাজউককে লিখিতভাবে অবহিত করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অবৈধ দখলের কারণে যে কোনো সড়ক সরু হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসির ঝুলন্ত তার এক বছরের মধ্যে অপসারণ: মেয়র আতিক
সভায় বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে অবৈধ ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা বন্ধ, অনলাইন কাউন্সিলর সার্টিফিকেট সিস্টেম, ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু, জ্যাম কমাতে ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে সমন্বয়, দ্রুততম সময়ের সঙ্গে বর্জ্য অপসারণ, ময়লার প্যাসেঞ্জ পরিষ্কার এবং কাওরান বাজারে কাঁচাবাজার স্থানান্তর নিয়ে আলোচনা করা হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকা শহরকে বাঁচাতে গাছ লাগাতে হবে: মেয়র আতিক
ডিএনসিসির সচিব মো. মাসুদ আলম ছিদ্দিকের সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, ডিএনসিসির কাউন্সিলররা এবং উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।