সড়ক
খুলনায় সড়ক দুর্ঘটনায় ২ জন নিহত
খুলনার ফুলতলায় ট্রাক ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার রাড়িপাড়া হাইওয়েতে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলেন- অভয়নগর উপজেলা তালতলা এলাকার রাজিবুল সরদারের ছেলে তাজদিকুর রহমান সাদ (১৮) ও ফুলতলা উপজেলার বেগুনবাড়িয়া গ্রামের মুছা শেখের ছেলে রাজ শেখ (১৬)। তারা দুজনই অভয়নগরের আকিজ আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের প্রথমবর্ষের ছাত্র।
আরও পড়ুন:খুলনায় মুক্তিপণের দাবিতে অপহৃত ২ জন উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৩
দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে ফুলতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াজ তালুকদার জানান, নিহত দুজন যশোরের বাসিন্দা। তারা দুজন সন্ধ্যা ৭ টার দিকে মোটরসাইকেলে রাড়িপাড়া অতিক্রম করছিলেন। এসময় বিপরীত দিক থেকে আসা খুলনাগামী একটি ট্রাকের সঙ্গে তাদের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ নিহতদের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাক ও মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:খুলনায় জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের ১২ ঘণ্টার ধর্মঘট
খুলনায় নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন
হবিগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সড়ক অবরোধ চা-শ্রমিকদের
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের লছনা এলাকায় বুধবার দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত হবিগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন চা-শ্রমিকরা। এ ছাড়া জুড়ী উপজেলার কুলাউড়া-বিয়ানীবাজার আঞ্চলিক মহাসড়কও ঘেরাও করেন তারা।
শ্রীমঙ্গলের সাতগাঁও টি এস্টেটের সামনে মহাসড়ক অবরোধ করে হাজারো চা-শ্রমিক। ফলে শতাধিক গাড়ি আটকে থাকে।
শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ তালুকদার জানান, স্থানীয় প্রশাসনের অনুরোধে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে চা শ্রমিকেরা।
চা শ্রমিকদের মজুরি ৩০০ টাকা করার দাবিতে মৌলভীবাজার জেলার অধিকাংশ বাগানে চলছে ধর্মঘট। গতকাল কয়েকটি বাগানে শ্রমিকরা পাতা উত্তোলন করলেও বুধবার সকাল থেকেই জেলার বালিশিরা, মনু, ধলাই, জুড়ী, লংলার অধিকাংশ বাগানে শ্রমিকরা কাজে আসেননি।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসানসহ কর্মকর্তারা শ্রমিকদের কাজে নামার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন:চা শ্রমিকদের অবরোধে সারাদেশের সঙ্গে সিলেটের রেল যোগাযোগ বন্ধ
অন্যদিকে মালিক পক্ষ জানিয়েছে, শ্রমিকদের ধর্মঘটের কারণে প্রতিদিন প্রায় ২০ কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে।
কালিঘাট চা বাগানের চা-শ্রমিকরা জানান, প্রধানমন্ত্রীর কথা বলে তাদের ধোঁকা দেয়া হচ্ছে। তারা এ সিদ্ধান্ত মানেন না।
তারা বলেন, নেতাদের কথা আমরা বিশ্বাস করি না। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে শুনতে চাই যে, আমাদের মজুরি বাড়াবে। প্রধানমন্ত্রী না বলা পর্যন্ত আমরা আন্দোলন থেকে ফিরব না।
প্রসঙ্গত, দেশের ১৬৭ চা বাগানে শ্রমিকের সংখ্যা দেড় লাখেরও বেশি। বর্তমানে দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করার দাবিতে আন্দোলন করছেন তারা। গত ৯ আগস্ট এ আন্দোলন শুরু হয়। শুরুতে প্রথম কয়েকদিন কেবল ২ ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করা হয়। সে সময় মজুরি বৃদ্ধি ও মজুরি চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে শ্রমিক ইউনিয়নগুলোর পক্ষ থেকে বাগান মালিকদের সাত দিনের আলটিমেটাম দেয়া হয়।
কিন্তু মালিক পক্ষ এই সময়ের মধ্যে বৈঠক বা সমঝোতায় না আসায় ১৩ আগস্ট থেকে লাগাতার পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন শুরু করেন শ্রমিকরা। এরপর দফায় দফায় বৈঠক করেও এখন পর্যন্ত কোনো সঠিক সমাধানে যায়নি এই সংকট।
কুলাউড়া লোহানী চা বাগানের শ্রমিক নেতা অজিদ কৈরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে শুনতে চাই যে আমাদের মজুরি বাড়াবে। প্রধানমন্ত্রী না বলা পর্যন্ত আমরা আন্দোলন থেকে ফিরব না।’
আরও পড়ুন:সিলেটে চা বাগান শ্রমিকদের কর্মবিরতি অব্যাহত
মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে সিলেটে ২৩ চা বাগানে কর্মবিরতি পালন
ভোলায় সড়ক দুর্ঘটনায় বিজিবি সদস্য নিহত
ভোলায় পণ্যবাহী ট্রাকের সঙ্গে সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে ইসমাইল হোসেন টিপু নামে এক বিজিবি সদস্য নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও ৪ জন। মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে ভোলার লক্ষ্মীপুর মহাসড়কের ইলিশার হাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতের বড় ভাই মো.মহসিন ও স্থানীয়রা জানান, বিজিবি সদস্য টিপু ছুটিতে খাগড়াছড়ি থেকে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা করেন। ইলিশা জংশন থেকে তিনি সহ আরও চারজন সিএনজি করে ভোলা সদরের উদ্দেশে আসছিলেন। ইলিশা বাজার সংলগ্ন এলাকা আসলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে সিএনজির সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে ইসমাইল হোসেন টিটুর মৃত্যু হয়। এছাড়াও সিএনজির ড্রাইভারসহ আরো চার যাত্রী আহত হয়। আহতদের ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:বগুড়ায় ট্রাক-অটোরিকশা সংঘর্ষে সাংবাদিক নিহত
ভোলা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.এনায়েত হোসেন জানান, নিহত ইসমাইল হোসেন টিটু ভোলা সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মুছাকান্দি গ্রামের মো.আনোয়ার হোসেনের ছেলে। তিনি খাগড়াছড়িতে বিজিবিতে কর্মরত ছিলেন।
তিনি আরও জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতলে নিয়ে আসে। এ ঘটনায় ঘাতক ট্রাকসহ হেলপারকে আটক করা হয়েছে।
এঘটনায় সড়ক পরিবহন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন:সীতাকুণ্ডে লরির সঙ্গে পিকআপের সংঘর্ষে নিহত ১
রাজধানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্রী নিহত
সড়ক দুর্ঘটনা: চট্টগ্রামে আ.লীগের দুই নেতার মুত্যু
চট্টগ্রামে প্রাইভেট কার ও লরির মুখোমুখি সংঘর্ষে সীতাকুণ্ড আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের দুই নেতার মৃত্যু হয়েছে। সোমবার বিকালে মহানগরীর পাহাড়তলী থানাধীন টোল রোডে এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুইজন।
নিহতরা হলেন- সীতাকুণ্ড উপজেলার বারৈয়াঢালা ওয়ার্ডের ফকিরবাড়ি আব্দুর রবের ছেলে ও ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নাসির (৪০) এবং একই ওয়ার্ডের যুবলীগের সভাপতি মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন।
দুর্ঘটনায় আহত বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রাজু চৌধুরী (৬০) ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন (৬৫) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পাহাড়তলী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সবুজ বলেন, বিকালে বন্দর টোল রোড দিয়ে সীতাকুণ্ডে যাওয়ার সময় প্রাইভেটকারটির পাহাড়তলী সাগরিকা এলাকায় লরির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
এসময় ঘটনাস্থলে একজন এবং হাসপাতালে নেয়ার পর আরও একজন মারা যান।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে পাঠায়। পুলিশ দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ি দুটি জব্দ করেছে।
আরও পড়ুন:কাপ্তাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
গোয়ালন্দে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
রাজধানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
সিলেটে বিমানবন্দর সড়ক অবরোধ চা-শ্রমিকদের, দীর্ঘ যানজট
ন্যূনতম ৩০০ টাকা মজুরি করার দাবিতে আবারও আন্দোলনে নেমেছে সিলেটের চা-শ্রমিকরা। আন্দোলনের এক পর্যায়ে তারা সিলেট বিমানবন্দর সড়ক অবরোধ-মিছিল ও সমাবেশ করেন।
রবিবার সকাল ১১টা থেকে সিলেট ভ্যালির চা-শ্রমিকরা কাজে যোগ না দিয়ে আন্দোলন শুরু করেন এবং দুপুর ১২টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত সিলেট বিমানবন্দর সড়ক অবরোধ করে বিভিন্ন ধরনের শ্লোগান দিতে থাকেন তারা। এসময় সড়কের দুইপাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে সৃষ্টি হয় যানজটের।
পরে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরীর আশ্বাসে ২৪ ঘণ্টার জন্য সড়ক অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত করে লাক্কাতুরা চা বাগানের দুর্গা মণ্ডপের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকরা। এছাড়া আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের দাবি মানা না হলে আগামীকাল সোমবার থেকে ফের সড়ক অবরোধ করবেন বলে জানান তারা।
আরও পড়ুন:টানা তৃতীয় দিনের মতো পোশাক শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ
এদিকে আন্দোলন শুরুর বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন চা-শ্রমিকের সন্তান ও আন্দোলনকারী দেবাশীষ গোয়ালা। তিনি জানান, চা-বাগান মালিকরা আমাদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করছেন। ১২০ টাকা থেকে ২৫ টাকা বাড়িয়ে ১৪৫ টাকা করে আমাদের দয়া দেখাচ্ছেন তারা। কিন্তু আমরা কারও দয়া চাই না। আমরা আমাদের ন্যায্য দাবি চাই। বর্তমান যুগে কোথাও এই মজুরি নাই। এছাড়া যেখানে শ্রমিকের অধিকার বাস্তবায়ন হয় নাই, সেখানে প্রত্যাহার নয় প্রত্যাখ্যান হওয়া জরুরি। তাই আমরা আমাদের দাবিতে অনড় অবস্থায় আবারও মাঠে নেমেছি।
প্রসঙ্গত, এর আগে চলতি বছরের জুন মাসে বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়ন ও মালিকপক্ষের সংগঠন বাংলাদেশ চা সংসদের বৈঠক হয়। সেখানে শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকা করার প্রস্তাব দেন শ্রমিক নেতারা। কিন্তু মালিকপক্ষ ১৪ টাকা বাড়িয়ে ১৩৪ টাকা মজুরির প্রস্তাব দেয়। যে কারণে শ্রমিক নেতারা তা প্রত্যাখ্যান করেন। এরপর আরও এক মাস পার হয়ে যায়। মালিকপক্ষ কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি।
এর প্রতিবাদে ৯-১২ আগস্ট পর্যন্ত টানা চার দিন প্রতিদিন দুই ঘণ্টা করে ধর্মঘট পালন করেন চা-শ্রমিকরা। তারপরও মালিকপক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো কথা না বলায় ১৩ আগস্ট থেকে বাংলাদেশের সব চা-বাগানে অনির্দিষ্টকালের জন্য পূর্ণদিবস কর্মবিরতি শুরু করেন শ্রমিকরা।
আরও পড়ুন:গাজীপুরে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ, পুলিশের লাঠিচার্জ
সাভারে ঈদ বোনাসের দাবিতে পোশাক শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ
চলাচলের অনুপযোগী ফরিদপুর পৌরসভার শতাধিক কিলোমিটার সড়ক
পাঁচ লাখেরও বেশি জনসংখ্যার ফরদিপুর পৌরসভার সড়কগুলো সংস্কারে গত চার বছরে নতুন কোনো প্রকল্প নেয়া হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় সড়কগুলোতে ছোট বড় গর্ত তৈরি হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, ১৮৬৯ সালে ২২.৩৯ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের ফরিদপুর শহরকে ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে পৌরসভায় রুপান্তর করা হয়। ১৯৮৩ সালে এই পৌরসভাকে ‘গ’ থেকে ‘খ’ শ্রেণীতে এবং ১৯৮৬ সালে ‘খ’ থেকে ‘ক’ শ্রেণীতে উন্নতী হয়।
বর্তমানে ৬৬.৩১ বর্গ কিলোমিটার আয়তনে ২৭টি ওয়ার্ড নিয়ে ফরিদপুর পৌরসভা কাজ চলছে। ২০০৯ সালে পৌরসভার জনসংখ্যা ছিল এক লাখ ৩৫ হাজার ৮৩৭ জন। ২০১৯ সালের হিসেবে তা বৃদ্ধি পেয়ে হয় পাঁচ লাখ ৫৭ লাখ ৬৩১ জন।
এই বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীর জন্য পৌরসভার মালিকানাধীন সড়ক রয়েছে ৪৪৫ কিলোমিটারের ২৮টি সড়ক। এর মধ্যে ১২৫ কিলোমিটারের ১৬টি সড়কের অবস্থা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
দীর্ঘ সময় সংস্কার না হওয়া সড়কগুলোর মধ্যে অন্যতম প্রধান সড়ক অম্বিকা চরণ মজুমদার সড়ক। এটি ঝিলটুলী মহল্লা এলাকার জেলা পরিষদের ডাকবাংলো থেকে শুরু হয়ে মহাকালী পাঠশালার মোড়ে গিয়ে মিশেছে।
ওই এলাকার বাসিন্দাদের পাশাপাশি চরকলাপুর ও পূর্বখাবাসপুর লঞ্চঘাট জোড়া সেতু হয়ে শহরে প্রবেশের জন্য একটি সংযোগ সড়ক হিসেবেও কাজ করে।
এই সড়কের পুরো অংশে ছোট বড় গর্ত হওয়ায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
ওই এলাকার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মাসুদ হোসেন বলেন, অনেকদিন হলো সড়কটি মেরামত হচ্ছে না। বাড়ি থেকে বের হয়েই সড়কে নেমে দুর্ভোগের মুখে পড়তে হয়। বৃষ্টি হলে কাদাপানিতে একাকার হয়ে যায়।
পশ্চিম খাবাসপুর এলাকার সুফি আব্দুল বারি সড়কটি বেহাল হয়ে পড়ে আছে। ওই এলাকার বাসিন্দা ঠিকাদার দুলাল হোসেন বলেন, কয়েক বছর হলো সড়কটি সংস্কার করা হচ্ছে না। খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে, বৃষ্টি হলে আর চলাচলের উপায় থাকে না।
পশ্চিম খাবাসপুর এলাকার কানিজ সড়কে তিনশ মিটার অংশ সংস্কার না করায় ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ওই এলাকার বাসিন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সহকারি শিক্ষক গাজী মোকসেদুর রহমান (৬৫) বলেন, সড়কটি নিয়ে বিপদে রয়েছি। এটি প্রথম শ্রেণির পৌরসভার। পৌরকর বাড়ছে, নাগরিক সুবিধা দিনে দিনে কমে যাচ্ছে।
পড়ুন: অরক্ষিত রেলক্রসিং: ফেনীতে ৭ মাসে ৯ জনের মৃত্যু
সিলেটে সড়কে জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে এলাকাবাসীর অবরোধ
সিলেটের দক্ষিণ সুরমার বঙ্গবীর রোডে জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীরা সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ কর্মসুচি পালন করেছেন। রবিবার বেলা ২টায় বঙ্গবীর রোডের খোজারখলা এলাকায় এই কর্মসুচি পালন করা হয়। এতে ২৫ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকার লোকজন ছাড়াও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা অংশ নেন।সিলেট মহানগরের দক্ষিণ সুরমার বঙ্গবীর রোডে জলাবদ্ধতা যেনো এখন নিত্যসঙ্গী। সামান্য বৃষ্টি হলেই এই সড়কটিতে হাটুজল হয়ে যায়। জলাবদ্ধতার কারণে এই সড়ক ও তার আশপাশের মানুষরা ব্যবসা বাণিজ্যসহ নানা ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এছাড়াও জলাবদ্ধতার কারণে সড়কটিতে যান চলাচল হচ্ছে বাঁধাগ্রস্থ।এদিকে, বঙ্গবীর রোডের জলাবদ্ধতা থেকে খুব তাড়াতাড়ি রেহাই পাওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের ২৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তাকবীর ইসলাম পিন্টু।তিনি জানান, বঙ্গবীর রোডের পানিগুলো রত্নারখাল ও জৈন্তারখাল হয়ে চান্দাইয়ের হাওরে গিয়ে নামে। এখন পানিগুলো নামতে পারছে না। তিনি বলেন, এবারে প্রথম যখন বন্যা হয়, তখন ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের ড্রেনের সবগুলো ব্লক পরিস্কার করানো হয়। বন্যার পানি জমে থাকার কারণে ড্রেনে পলি জমে থাকতে পারে, সেগুলো সোমবার থেকে পরিস্কারের কাজ শুরু হবে।তবে ড্রেনের কাজ চলমান থাকায় জলাবদ্ধতা থেকে পুরোপুরি মুক্তি মিলবে না বলেও জানান কাউন্সিলর পিন্টু।ড্রেনের কাজ কবে নাগাদ শেষ হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে যাবে। কাজ শেষ হয়ে গেলে আর জলাবদ্ধতার ভোগান্তি থাকবে না বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: টানা বৃষ্টিপাতে হবিগঞ্জ শহরে জলাবদ্ধতা
কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা
বন্যায় সারাদেশের সঙ্গে সুনামগঞ্জের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক পানিতে তলিয়ে গিয়ে সারাদেশের সঙ্গে সুনামগঞ্জের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। শুক্রবার দুপুর থেকে বন্যার্তদের উদ্ধারে কাজ শুরু করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
বন্যাকবলিত এলাকার স্থানীয়রা জানিয়েছে, বন্যায় জেলায় যোগাযোগব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। বিদ্যুৎ নেই। মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ। পরিস্থিতি ক্রমে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে।
জেলার প্রতিটি উপজেলেই কমবেশি প্লাবিত হয়েছে। অধিকাংশ ঘরেই হাঁটু থেকে কোমর পানি। নৌকার অভাবে অনেকে ঘর ছেড়ে নিরাপদেও যেতে পারছে না। এমন অবস্থায় পানিতে আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধারে জেলার তিন উপজেলায় সেনাবাহিনী নেমেছে।
সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) দেবজিৎ সিংহ বলেন, সুনামগঞ্জ জেলা সদর, ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলায় বন্যার পানিতে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেছে সেনাবাহিনী। শুক্রবার দুপুর থেকে এ উদ্ধার কার্যক্রম শুরু হয়।
এর আগে গত বুধবার থেকে ভারি বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বন্যা পরিস্থিতির তৈরি হয়। শুক্রবার পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোণায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে
জেলার প্রায় সব উপজেলা বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। অসংখ্য রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্লাবিত হয়েছে। জেলা সদরের সঙ্গে পাঁচটি উপজেলার সরাসরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন কয়েক লাখ মানুষ।
উকিলপাড়া এলাকার একজন বাসিন্দা বলেন, সুনামগঞ্জে এর আগে এত ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে। জেলা শহরে সড়কে চলছে নৌকা, সড়ক যোগাযোগ হয়ে পড়েছে বিচ্ছিন্ন, সেই সঙ্গে গত তিনদিন ধরে বিদ্যুৎ নেই।
স্থানীয় সরকার বিভাগ সুনামগঞ্জের উপপরিচালক মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় পুরোপুরি বিপর্যস্ত সুনামগঞ্জ জেলা। তবে প্রশাসন সর্বাত্মক চেষ্টা করছে মানুষের পাশে দাঁড়াতে।
সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত বলেন, ‘পৌর শহরের সব রাস্তাঘাট ও বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করেছে। মানুষ উঁচু এলাকা খুঁজে খুঁজে আশ্রয় নিচ্ছে। এক ভয়াবহ দুর্যোগে পড়েছে জেলা শহরের বাসিন্দারা।’
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রায়হান কবির বৃহস্পতিবার বিকালে বলেন, ‘দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত তাহিরপুর উপজেলায় টাঙ্গুয়ার হাওরসহ বিভিন্ন পর্যটন এলাকায় নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘উপজেলা সীমান্তের যাদুকাটা নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করে ৮ দশমিক শূন্য ৫ মিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে ২০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তারা সেগুলো বিতরণ করবে।’
আরও পড়ুন: বন্যা পরিস্থিতির অবনতিতে ওসমানী বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠা-নামা বন্ধ
উপজেলার ৩০টি আশ্রয়কেন্দ্র ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সার্বক্ষণিক খোলা রাখা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত আশ্রয়কেন্দ্রে কেউ ওঠেননি।
উপজেলার সদর বাজার, সুলেমানপুর বাজার, বালিজুরি বাজার, পাতারগাঁও বাজার, কাউকান্দি বাজার, একতা বাজার, নতুন বাজার ও শ্রীপুর বাজার পানির নীচে তলিয়ে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ। সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে নিম্নাঞ্চলের কয়েক হাজার মানুষকে নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করতে হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, বৈর আবহাওয়ার কারণে বিদ্যুৎ নেই। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পানিতে তলিয়ে গেছে।
সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বানভাসি মানুষদের সহায়তা করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে অঝোর বৃষ্টি হচ্ছে সুনামগঞ্জে, যাতে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নেয়ার শঙ্কা করা হচ্ছে।’
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জে সুরমার পানি বিপদসীমার ৭৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শামসুদ্দোহা বলেন, ‘মেঘালয়ে প্রায় সাড়ে ছয়শ’ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়। আগামী ৭২ ঘণ্টায় সুরমায় পানি বাড়তে পারে। এতে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটতে পারে।’
আরও পড়ুন: সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হওয়ার শঙ্কা
টানা তৃতীয় দিনের মতো পোশাক শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ
রাজধানীর মিরপুর ও উত্তরা এলাকায় টানা তৃতীয় দিনের মতো সড়ক অবরোধ করেছে বিভিন্ন তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা।
দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের আকস্মিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে সোমবার সকালে জুকি, লোডস্টার, সারশ, ভিশন গার্মেন্ট, পলকা, এমবিএম গার্মেন্টসহবেশ কয়েকটি গার্মেন্টসের শ্রমিকরা মিরপুর-১৩, ১৪ এর পুলিশ স্টাফ কলেজ, মিরপুর-২ ও ১০ নম্বর এবং কচুক্ষেত এলাকায় সড়ক অবরোধ করে।
এসময় তারা রিকশাসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচলে বাধা দেয়। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
বিক্ষোভের কারণে মিরপুর ও এর চারপাশের এলাকায় ব্যাপক যানজট তৈরি হয়ে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন কর্মস্থলমুখী মানুষ ও স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা।
সাম্প্রতিক সময়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় তাদের বেতন তাদের সংসার চালানোর জন্য পর্যাপ্ত নয় বলে দাবি করেছেন শ্রমিকরা।
লোডেস্টার গার্মেন্টসের এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘আমরা যে বেতন পাচ্ছি তা আমাদের তিনবেলা খাবারের জন্য যথেষ্ট না। তাই আমরা রাস্তায় নামতে বাধ্য হচ্ছি।’
আরও পড়ুন: সাভারে ঈদ বোনাসের দাবিতে পোশাক শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ
ভিশন গার্মেন্টসের শ্রমিক মনির হোসেন মিন্টু বলেন, ‘আমাদের আশপাশের সব গার্মেন্টসে আমরা খোঁজ নিয়েছি। প্রত্যেক মালিক একইভাবে প্রতিশ্রুতি দিয়েও বেতন বাড়াচ্ছে না। আমাদের সংসার চালাতে কষ্ট হচ্ছে তাই আমরা রাস্তায় নেমেছি।’
মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) আ স ম মাহাতাব উদ্দিন বলেন, ‘বর্তমানে সড়ক ফাঁকা করেছে। কোন সড়কে পোশাক শ্রমিকদের অবস্থান বা অবরোধ দেখতে পাচ্ছি না।’
একই দাবিতে সোমবার সকালে উত্তরায় ইন্ট্রাকো ডিজাইন, ইন্ট্রাকো ফ্যাশন লিমিটেডসহ বেশ কয়েকটি গার্মেন্টসের শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করেছেন।
বিক্ষোভ চলাকালে তারা কয়েকটি বাস লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে।
এর আগে শনিবার মিরপুর-১০ শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামের সামনে দাঁড় করানো বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) গাড়ি ভাঙচুর ও পুলিশের তিনটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয় আন্দোলনকারীরা।
পরে এ ঘটনায় আট থেকে দশজন বিক্ষোভকারীকে আটক করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: গাজীপুরের পোশাক কারখানায় আগুন, ১০ শ্রমিক আহত
নরসিংদীতে আধুনিক পোশাক পড়ায় তরুণীকে হেনস্থা, নারী গ্রেপ্তার
পঞ্চগড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ৩
পঞ্চগড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় ইব্রাহিম হোসেন (৬৫) নামে এক পথচারী নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছে তিন মোটরসাইকেল আরোহী।
শনিবার পঞ্চগড়-ঢাকা মহাসড়কের সদর উপজেলার ধাক্কামারা ইউনিয়নের পঞ্চগড় ফিলিং স্টেশনের সামনে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহত ইব্রাহিম সদর উপজেলার পঞ্চগড় ইউনিয়নের ডুডুমারি ফকিরপাড়া গ্রামের মৃত দজির উদ্দিনের ছেলে এবং পেশায় একজন মৌসুমী ব্যবসায়ী।
এ ঘটনায় আহতেরা হলো- নাহিদ (১৮), রাকিব (১৭) এবং রাফি (১৮)। আহতদের বাড়ি ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার গড়েয়া এলাকায়।
ধাক্কামারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম দুলাল জানান, নিহত ইব্রাহিম পঞ্চগড় ফিলিং স্টেশন থেকে হাতমুখ ধুঁয়ে মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। তিনজন আরোহী একটি মোটরসাইকেলে করে পঞ্চগড় থেকে ঠাকুরগাঁওয়ের দিকে যাচ্ছিল। মোটরসাইকেলটি রাস্তা পার হওয়ার সময় ইব্রাহিমকে ধাক্কা দেয়। এতে মহাসড়কে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন তিনি। মোটরসাইকেল আরোহী তিনজনও মহাসড়কে পড়ে আহত হয়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালের চিকিৎসক ইব্রাহিমকে মৃত ঘোষণা করেন। আহতদের তিনজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিয়া সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নিহত ও তিনজন আহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মোটরসাইকেলটিকে জব্দ করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: রাজনগরে সড়ক দুর্ঘটনায় এসআই নিহত, আসামিসহ আহত ৭
মৌলভীবাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় এসআই নিহত, আহত ৮