সৌদি আরব
বাংলাদেশকে বাণিজ্যিকভাবে এলএনজি সরবরাহে সহায়তার আশ্বাস সৌদি আরবের
জরুরি ভিত্তিতে বাংলাদেশে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) বাণিজ্যিকভাবে সরবরাহে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে সৌদি আরব।
বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের ১৪তম সভা রিয়াদে অনুষ্ঠিত হয়েছে। রিয়াদের ডিজিটাল সিটিতে অবস্থিত ক্রাউন প্লাজা হোটেলে ৩০-৩১ অক্টোবরে দুই দিনব্যাপী যৌথ কমিশনের এ সভায় আশ্বাস দেয়া হয়।
সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান। সৌদি আরবের পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির মানব সম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ড. আব্দুল্লাহ বিন নাসের বিন মোহাম্মাদ আবুথনাইন।
সভায় উভয় দেশের মধ্যে জ্বালানি সহযোগিতা বৃদ্ধিতে একটি টাস্ক ফোর্স গঠনে দেশ দুটি সম্মত হয়। টাস্ক ফোর্স জ্বালানি খাতে সহযোগিতার বিষয়ে দুদেশের সুবিধাজনক সময়ে নিয়মিত সভা করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এছাড়া জরুরি ভিত্তিতে বাণিজ্যিকভাবে এলএনজি সরবরাহ ও ইষ্টার্ণ রিফাইনারি ইউনিট-২ প্রকল্পে সৌদি বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ সৌদি আরবকে অনুরোধ জানালে দেশটি সহযোগিতার আশ্বাস দেয়।
সভায় সৌদি আকওয়া পাওয়ার-এর বাংলাদেশে ১০০০ মেগাওয়াট সোলার পাওয়ার ও ৭৩০ মেগাওয়াটের গ্যাস বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় দুদেশের নৌ পেশাজীবীদের মধ্যে নিয়োগ, প্রশিক্ষণসহ অন্যান্য সম্ভাব্য সকল ক্ষেত্রে পারস্পারিক সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশের নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং সৌদি আরবের যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশের পক্ষে সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। সৌদি পক্ষে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন মেরিটাইম ট্রান্সপোর্ট-এর ডেপুটি আব্দুল রহমান এম আল থুনায়েন।
আরও পড়ুন: নৌপরিবহন খাতে সৌদি বিনিয়োগের আশ্বাস
বৈঠকে এফবিসিসিআই, বাংলাদেশ এবং ফেডারেশন অব সৌদি চেম্বার এন্ড কমার্স-এর মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি জয়েন্ট বিজনেস কাউন্সিল গঠনে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এ সমঝোতা স্মারকে বাংলাদেশের পক্ষে এফবিসিসিআই-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট হাবিব উল্লাহ ডন স্বাক্ষর করেন। সৌদি চেম্বার এর পক্ষে ভাইস চেয়ারম্যান প্রকৌশলী তারিক আল হায়দারী সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
সৌদি আরবের স্বাস্থ্য খাতে বাংলাদেশ হতে পেশাজীবী নিয়োগের বিষয়ে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ এবং সৌদি আরবের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে একটি ‘এক্সিকিউটিভ প্রোগ্রাম’ বাস্তবায়নের জন্য দ্রুত চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়ে সমঝোতা হয়। এছাড়া, দুদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মধ্যে বিজ্ঞান ও শিক্ষার সকল ক্ষেত্রে কার্যকরী দ্বিপাক্ষিক সহায়তা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আরেকটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করা হয়।
যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের বৈঠকে দুদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আইসিটি, কৃষি, পরিবেশ, ধর্মীয় মূল্যবোধ, ইত্যাদি বিষয়ে স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট আলোচনা এবং পারস্পারিক সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়। সভা শেষে একটি যৌথ কার্যবিবরনী স্বাক্ষর করা হয়।
যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের বৈঠকে বাংলাদেশের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের আট সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করে। এছাড়া বাংলাদেশ দূতাবাস ও জেদ্দাস্থ কনস্যূলেটের কর্মকর্তারা এতে যোগ দেন।
রবিবার যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের উদ্বোধনী সভায় অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান বলেন, সৌদি আরব বাংলাদেশের অকৃত্তিম ভাতৃপ্রতিম বন্ধু দেশ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধিতে গুরুত্বারোপ সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রীর
তিনি বলেন, আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক পর্যায়ক্রমিকভাবে পর্যালোচনা করার জন্য যৌথ কমিশন একটি গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ। এটি আমাদের সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো অন্বেষণ করার, সহযোগিতার জন্য নতুন সম্ভাবনাগুলো চিহ্নিত করার এবং আমাদের যৌথ লক্ষ্য অর্জনের জন্য একটি ঐকমত্যে পৌঁছানোর সুযোগ দেয়।
তিনি সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ ও প্রধানমন্ত্রী ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের প্রতি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
সচিব শরিফা খান আশা প্রকাশ করেন আগামী বছর সৌদি আরবের প্রধানমন্ত্রী ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান বাংলাদেশ সফর করবেন, যা দুদেশের সম্পর্ক বৃদ্ধিতে অনন্য ভূমিকা রাখবে।
এছাড়া আজ অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান সৌদি ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট (এসএফডি) এর দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতান আব্দুল রহমান আল মারশেদ এর সাথে সাক্ষাত করেন। এসময় সচিব বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে সৌদি সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য এসএফডিকে অনুরোধ জানান।
যৌথ কমিশনের পরবর্তী সভা ঢাকাতে অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: সৌদি আরবের প্রধানমন্ত্রী হলেন ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান
সৌদি আরবের প্রধানমন্ত্রী হলেন ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান
সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান দেশটির প্রধানমন্ত্রী এবং যুবরাজ খালিদ বিন সালমান প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর দায়িত্ব নেবেন। মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) এক রাজকীয় আদেশ উদ্ধৃত করে বিষয়টি জানিয়েছে।
সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের উত্তরাধিকারী ক্রাউন প্রিন্স ইতোমধ্যেই বিস্তৃত কর্তৃত্বের অধিকারী এবং তাকে রাজ্যের প্রতিদিনের শাসক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
এপি উল্লেখ করেছে, সৌদি প্রেস এজেন্সি আরও জানিয়েছে যে বাদশাহ সালমান মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন।
আরও পড়ুন: শিগগিরই বাংলাদেশ সফরে আসছে উচ্চ পর্যায়ের সৌদি প্রতিনিধি দল: রাষ্ট্রদূত
অর্থনীতির আধুনিকীকরণ ও তেলের ওপর নির্ভরতা দূর করার জন্য সৌদি আরবের ব্যাপক পরিকল্পনার (ভিশন ২০৩০) নেতৃত্ব দিচ্ছেন ৩৭ বছর বয়সী ‘এমবিএস’ নামে পরিচিত ক্রাউন প্রিন্স।
মোহাম্মদ বিন সালমান তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশের পরে নিখোঁজ হওয়া সৌদি সাংবাদিক ও সমালোচক জামাল খাশোগির হত্যার সাথে জড়িত। মার্কিন গোয়েন্দাদের মতে, ক্রাউন প্রিন্স সম্ভবত এই হত্যার অনুমোদন দিয়েছিলেন।
তিনি হত্যার আদেশ অস্বীকার করলেও ২০১৯ সালে বলেছিলেন যে যেহেতু তার নজরদারিতেই ঘটনাটি ঘটেছে তাই এর ‘সমস্ত দায়’ তার। সৌদি কর্মকর্তারা দাবি করেছেন যে খাশোগি হত্যার জন্য সৌদি নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা কর্মীরা দায়ী।
তাদের নাম প্রকাশ না করা হলেও সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, হত্যার দায়ে আট সৌদি নাগরিককে কারাগারে পাঠানো হয়।
খাশোগি হত্যাকাণ্ডের পর সৌদি আরবকে ‘পারিয়াহ’ (সমাজচ্যুত) ঘোষণা করার প্রতিশ্রুতি দেয়া সত্ত্বেও এ বছরের শুরুর দিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট সৌদিতে সফরে আসেন এবং ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সাথে সাক্ষাৎ করেন। যা বিশ্বের বৃহত্তম তেল রপ্তানিকারকের সাথে সম্পর্কের অব্যাহত নির্দেশ করে।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা সৌদি কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে বিনিয়োগে আকৃষ্ট করে: সৌদি রাষ্ট্রদূত
ইসরায়েলি ফ্লাইটে সৌদি আরবের আকাশসীমা উন্মুক্ত
সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় চাঁদপুরের যুবক নিহত
সৌদি আবরে সড়ক দুর্ঘটনায় চাঁদপরের যুবক কামাল উদ্দিন সরকার নিহত হয়েছেন। শনিবার কর্মস্থলে যাওয়ার পথে রাস্তা পার হওয়ার সময় তিনি মারা যান।
নিহত কামাল উদ্দিন সরকার (৩৮) কচুয়া উপজেলার তেতৈয়া গ্রামের মৃত আশেক আলী সরকারের ছেলে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ছাদ থেকে পড়ে ব্যক্তির মৃত্যু
নিহতের পরিবারের সূত্রে জানা গেছে, কামাল উদ্দিন সরকার প্রায় ১৫ বছর ধরে সৌদি আরবে রয়েছেন। ছয় মাসের ছুটিতে বাড়িতে এসে গত ১৬ সেপ্টেম্বর তিনি সৌদি আবর ফিরে যান।
তার মৃত্যুর পরিবারের সদস্যদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্বামীর হাতে নারী খুনের অভিযোগ
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এম. আখতার হোসাইন মজুমদার বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। কামাল উদ্দিনের লাশ দেশে আনার চেষ্টা চলছে। আমরাও সহযোগিতা করছি।
সৌদি আরবের নিজস্ব ‘আইডল’ প্রচারিত হবে ডিসেম্বরে
সৌদি আরবের জেনারেল এন্টারটেইনমেন্ট অথরিটির (জিইএ) চেয়ারম্যান তুর্কি আল আল-শেখ শনিবার জানিয়েছেন, বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় প্রতিযোগিতামূলক রিয়েলিটি শো ‘আইডল’ এর আদলে এ বছরের শেষ নাগাদ শুরু হতে যাচ্ছে ‘সৌদি আইডল’।
আল-শেখ এক টুইট বার্তায় ঘোষণা দেন যে সৌদি আরবের জিইএ ও এমবিসি গ্রুপের যৌথ প্রচেষ্টায় নতুন এই অনুষ্ঠানটির প্রথম পর্ব ডিসেম্বরে প্রচার করা হবে।
সৌদি আরবের টেলিভিশন চ্যানেল আল আরাবিয়া জানিয়েছে, অনুষ্ঠানটির শুটিং আগামী মাসে শুরু হবে।
অনুষ্ঠানের বিচারক হিসেবে জনপ্রিয় সৌদি গায়ক আসিল আবু বকর, আহলাম, আসালা ও মাজিদ আল-মোহান্দেস সৌদি প্রতিভার সন্ধান করবেন।
আল আরাবিয়া অনুসারে, সৌদি আইডলের লাইভ শো ও অডিশন এমবিসি ওয়ান চ্যানেলে প্রচার করা হবে।
আরও পড়ুন: মেরিলিন মনরোর মোহময়তায় দর্শককে ভাসাবে নেটফ্লিক্সের ‘ব্লনডি’!
মুক্তি পেল ‘বিউটি সার্কাস’ ও ‘অপারেশন সুন্দরবন’
আসিফের ‘মন ফোঁড়ন’ এ সাজ্জাদুর
সৌদি আরবে বাংলাদেশি খাদ্য পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে: রাষ্ট্রদূত
সৌদি আরবে বাংলাদেশি খাদ্য ও জুসসহ বিভিন্ন পানীয় পণ্যের চাহিদা থাকায় আগামী দিনে এ সকল পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধির ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।
তিনি বলেন, ‘সৌদি আরবে বসবাসরত প্রায় ২৬ লাখ বাংলাদেশি অভিবাসী ও অন্যান্য এশিয়ান দেশের অভিবাসীদের কাছে বাংলাদেশি পণ্যের চাহিদা রয়েছে যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সাথে সৌদি নাগরিকদের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য রপ্তানি করা সম্ভব হলে সৌদি আরবে বাংলাদেশি পণ্যের বিশাল বাজার তৈরির সুযোগ রয়েছে।’
বুধবার রিয়াদের আন্তর্জাতিক এক্সিবিশন সেন্টারে আয়োজিত আন্তর্জাতিক খাদ্য ও পানীয় পণ্যের মেলা ‘ফুডেক্স সৌদি’ তে রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: শিগগিরই বাংলাদেশ সফরে আসছে উচ্চ পর্যায়ের সৌদি প্রতিনিধি দল: রাষ্ট্রদূত
রিয়াদে ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে চার দিন ব্যাপী নবম আন্তর্জাতিক ফুডেক্স সৌদি মেলা শুরু হয়েছে। মেলায় ৩০টি দেশের প্রায় দুই শতাধিক কোম্পানি অংশগ্রহণ করে। রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর উদ্যোগে বাংলাদেশের চারটি প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশগ্রহণ করে। প্রতিষ্ঠানগুলো হল- বেঙ্গল মিট প্রসেসিং, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ, বসুন্ধরা ফুড এন্ড বেভারেজ এবং এস এন্ড বি নাইস ফুড ভ্যালি লিঃ।
বুধবার রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী ও দূতাবাসের কর্মকর্তারা এ মেলা পরিদর্শন করেন। এ সময় রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশি পণ্য বিশ্বমানের এবং আশা করা যায় মেলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে সৌদি আরবে বাংলাদেশি খাদ্য পণ্যের বাজার ও রপ্তানি আরও বৃদ্ধি পাবে। সৌদি আরবের বাজারে মাছ, মাংসসহ সকল খাদ্যপণ্য প্রবেশের ক্ষেত্রে যে সকল মান অর্জন দরকার তা নিশ্চিত করে পণ্য রপ্তানি সুগম করার জন্য দূতাবাস নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলে রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: ‘পদ্মা সেতু সৌদি কোম্পানিসহ আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের চোখ খুলে দেবে’
আগামী দিনে সৌদি আরবের সাথে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আরও বৃদ্ধি পাবে বলে রাষ্ট্রদূত আশা প্রকাশ করেন।
সৌদি আরবে ইতোমধ্যে প্রাণ, বিডি ফুডসহ বিভিন্ন বাংলাদেশি কোম্পানির পণ্য বাজারে রয়েছে, যা বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের মানুষের কাছে খুবই জনপ্রিয়। তিনি এসকল পণ্যের বাজারজাতকরণ, প্রচার এবং উন্নতমানের প্যাকেজিংয়ে গুরুত্বারোপ করেন। সৌদি আরব প্রায় ৮০ শতাংশ খাদ্যপণ্য বিদেশ থেকে আমদানি করে থাকে তাই এখানে বাংলাদেশি খাদ্যপণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। মেলায় আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শেফ নিয়ে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। সৌদি বায়ার, বাংলাদেশি অভিবাসীগণ ও বিভিন্ন দেশের মানুষ মেলায় বাংলাদেশের প্যাভিলিয়ন পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: শ্রমবাজার সম্প্রসারণে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রীর সঙ্গে সৌদি রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
সৌদি থেকে ফিরলেন নুর নাহার, বেতনের ১৯ লাখ টাকা উদ্ধার
সৌদি আরবের রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের সহায়তায় ছয় বছর পর দেশে ফিরেছেন গৃহকর্মী নুর নাহার। একই সঙ্গে দূতাবাসের প্রচেষ্টায় নুর নাহারের নিয়োগকর্তা সৌদি নাগরিকের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ছয় বছরের বেতন ও ভাতা বাবদ প্রায় ১৯ লাখ টাকা।
নুর নাহার চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া নিবাসী আবুল কালামের মেয়ে।
জানা যায়, ২০১৬ সালে মানসিক ভারসাম্যহীন বেকার স্বামী এবং একমাত্র মেয়েকে রেখে ভাগ্য ফেরাবার আশায় গৃহকর্মী হিসেবে সৌদি আরবে যান তিনি। যাওয়ার পর পরিবারের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তার। দীর্ঘ ছয় বছর অতিবাহিত হওয়ায় তাকে ফিরে পাওয়ার আশা একরকম ছেড়েই দেয় তার পরিবার। অপরদিকে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়ে নুর নাহারও অনেকটা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে।
বিষয়টি বাংলাদেশ দূতাবাসের নজরে আসলে নূর নাহারকে রিয়াদের হোতা বনি তামিম এলাকা থেকে উদ্ধার করে সেইফহোমে আশ্রয় দেয়া হয়। তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। মানসিক ভারসাম্যহীনতার কারণে তিনি বাংলাদেশে তার ঠিকানা বলতে পারছিলেন না। এ অবস্থায় পাসপোর্টে বর্ণিত ঠিকানা ও ছবি পাঠিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, রাঙ্গুনিয়ার সহায়তায় তার পরিবারের সঙ্গে দূতাবাসের শ্রম-কল্যাণ উইংয়ের যোগাযোগ স্থাপিত হয়।
তার বাবা আবুল কালাম জানান, সৌদি আরবে যাওয়ার পর দীর্ঘ ছয় বছরে দেশে কোন টাকা পাঠায়নি নুর নাহার।
আরও পড়ুন:রঘুনাথপুর সীমান্তবর্তী মাঠ থেকে অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার
এ প্রেক্ষিতে দূতাবাসের শ্রমকল্যাণ উইংয়ের পক্ষ থেকে নূর নাহারের সৌদি নিয়োগকর্তাকে খুঁজে বের করা হয়। দূতাবাসের শ্রমকল্যাণ উইংয়ের প্রচেষ্টার ফলে সৌদি নিয়োগকর্তার কাছ থেকে নিয়োগচুক্তির শর্ত মোতাবেক ছয় বছরের সমস্ত পাওনা বেতন-ভাতা বাবদ মোট ৬৮ হাজার ১৭ সৌদি রিয়াল (১৯ লাখ ৩৬ হাজার ৬৪৮) টাকা আদায় করা সম্ভব হয়।
নুর নাহারের আর্থিক নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের সোনালী ব্যাংক প্রতিনিধির সহায়তায় তার নামে সংশ্লিষ্ট সোনালী ব্যাংকে একটি একাউন্ট খোলা হয়। উক্ত একাউন্টে তার সমস্ত পাওনা টাকা জমা করা হয়। সোমবার নুর নাহার বাংলাদেশে তার পাওনা অর্থ বুঝে পেয়েছে বলে জানা গেছে।
দীর্ঘ ছয় বছর রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে নুর নাহারকে ফিরে পেয়ে এবং তার কষ্টার্জিত সমস্ত পাওনা টাকা বুঝে পেয়ে তার পরিবারে এখন আনন্দের বন্যা। তার বাবা আবুল কালাম আনন্দের কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তিনি সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম (বার) এর প্রতি অসীম কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান। এ ছাড়া দূতাবাসের সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
আরও পড়ুন:চুয়াডাঙ্গায় ডাকবাংলো থেকে বিআরটিএ পরিদর্শকের লাশ উদ্ধার
নাটোরে দাখিল পরীক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
দূতাবাসের সহায়তায় সৌদি থেকে দেশে ফিরলেন শিল্পী আক্তার
সৌদি আরবের রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের সহায়তায় দেশে ফিরেছেন সৌদি আরবে কর্মরত গৃহকর্মী শিল্পী আক্তার। গত রবিবার (১৪ আগস্ট) ঢাকায় পৌঁছেছেন তিনি।
জানা যায়, হবিগঞ্জের চুনারুঘাট এলাকার সৌদি প্রবাসী শিল্পী আক্তার সম্প্রতি দেশে ফেরার আকুতি জানিয়ে তার বাবা-মায়ের কাছে টেলিফোনে আকুল আবেদন জানান। যা গত ৮ আগস্ট দেশের বেশ কয়েকটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হলে বিষয়টি দূতাবাসের নজরে আসে। এরপর সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম (বার) তাৎক্ষণিকভাবে দূতাবাসের শ্রম কল্যাণ উইংকে গৃহকর্মী শিল্পী আক্তারকে তার পাওনা আদায় করে জরুরি ভিত্তিতে দেশে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এ প্রেক্ষিতে দূতাবাসের শ্রম কল্যাণ উইং সৌদি আরবে কর্মরত বাংলাদেশি গৃহকর্মী শিল্পী আক্তারের কর্মস্থলের ঠিকানা ও পাসপোর্ট নম্বর সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশি রিক্রুটিং এজেন্সি ‘ফোর সাইট ইন্টারন্যাশনাল’- এর সঙ্গে যোগাযোগ করে সংগ্রহ করে।
দূতাবাসের আইন সহকারী সৌদি শ্রম মন্ত্রণালয়ের ‘সমর্থন ও সহায়তা বিভাগ’ এবং সৌদি আরবের আল-কাসিম অঞ্চলের সংশ্লিষ্ট থানা কর্তৃপক্ষের সহায়তায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গৃহকর্মী শিল্পী আক্তারের নিয়োগকর্তার সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে তার পাওনা পরিশোধের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। এছাড়া সৌদি শ্রম আইন অনুযায়ী নিয়োগকর্তার খরচে তাকে বাংলাদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা নেয়া হয়। এ প্রেক্ষিতে গত ১৪ আগস্ট দেশে পৌঁছান শিল্পী আক্তার।
দেশে বাবা-মায়ের কাছে ফিরতে পেরে দূতাবাসের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন শিল্পী আক্তার। তার বাবা-মাও তাদের মেয়েকে ফিরে পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন এবং দূতাবাসকে ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: শিশু গৃহকর্মীদের অধিকার নিশ্চিতের আহ্বান আইন প্রণেতা ও অধিকার কর্মীদের
সৌদি আরবে ২০২১ সালে গৃহকর্মী নিয়োগ চুক্তি বেড়েছে
শিগগিরই বাংলাদেশ সফরে আসছে উচ্চ পর্যায়ের সৌদি প্রতিনিধি দল: রাষ্ট্রদূত
জ্বালানি খাতে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করতে তেল সমৃদ্ধ সৌদি আরবের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল শিগগিরই বাংলাদেশ সফর করবে বলে জানিয়েছেন দেশটির রাষ্ট্রদূত এসা ইউসেফ এসা আল।
বৃহস্পতিবার সৌদি দূতাবাসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দেশ তেলের বাজার ভারসাম্য রক্ষার অন্যতম প্রধান খেলোয়াড় এবং রিয়াদ ও ঢাকা বিভিন্ন ক্ষেত্রে একে অপরকে সহযোগিতা করছে।
সৌদি আরব বাংলাদেশকে একটি ‘শীর্ষ অগ্রাধিকারের দেশ’ হিসেবে দেখে এবং এই দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখতে দীর্ঘমেয়াদী কৌশলগত পরিকল্পনায় আগ্রহী।
সৌদি রাষ্ট্রদূত বলেন, শিগগিরই সফরে আসা প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের সঙ্গে বিনিয়োগের বিষয়েও আলোচনা করবে।
দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল-সৌদের চিঠির জবাবে বুধবার বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ রিয়াদে ওয়ার্ল্ড এক্সপো-২০৩০ আয়োজনের জন্য সৌদি আরবকে সমর্থন জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি ফ্লাইটে সৌদি আরবের আকাশসীমা উন্মুক্ত
এই সমর্থনের জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে। আমরা সব সময় পূর্ণ সংহতি পাই।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, সৌদি আরব রিয়াদে এক্সপো-২০৩০ আয়োজন করছে এবং সৌদি আরবের প্রতি বাংলাদেশের সমর্থন দুই ভ্রাতৃপ্রতিম মুসলিম দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সম্পর্কের প্রতিফলন।
সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারি সৌদি বাদশাহকে উদ্দেশ্য করে রাষ্ট্রপতির চিঠির মূল প্রতিলিপি সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহানের কাছে হস্তান্তর করেছেন। তিনি সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক বৈঠকে এই চিঠি হস্তান্তর করেন।
সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ ও তার দেশের সম্পর্কের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং এই সম্পর্ক আরও গভীর করার আগ্রহ দেখান।
দুই দেশের মধ্যে চলমান সহযোগিতা ও পারস্পরিক স্বার্থের বিষয় নিয়েও উভয় পক্ষ আলোচনা করেছে।
দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ৩৫তম
ঢাকার বাতাসের মান 'ভালো' জোনে রয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ৫০। বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ৩৫তম।
সৌদি আরবের রিয়াদ, পাকিস্তানের লাহোর এবং ইরানের তেহরান যথাক্রমে একিউআই স্কোর ১৬২, ১৫৫ এবং ১৪৩ নিয়ে প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।
শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে একিউআই স্কোর ‘ভালো’এবং ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে ‘মধ্যম’বলে বিবেচিত হয়।
বিশেষ করে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ২০০ হলে 'অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়।
একইভাবে, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোর 'খারাপ' বলা হয়, যেখানে ৩০১ থেকে ৪০০ এর স্কোর 'ঝুঁকিপূর্ণ' বলে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোনো ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হল, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান ‘ভালো’পর্যায়ে
সৌদি আরবে আরও ৭ বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু
বাংলাদেশ হজ ম্যানেজমেন্ট পোর্টাল অনুযায়ী, ৩ থেকে ১৪ জুলাইয়ের মধ্যে সৌদি আরবে এক নারীসহ আরও সাত বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।
নিহতরা হলেন- টাঙ্গাইলের মুস্তাফিজুর রহমান (৬১), কুষ্টিয়ার আজিজুল হক (৬৫), চাঁপাইনবাবগঞ্জের মো. শাহজাহান সিরাজ (৫৮), সিলেটের ফয়জুর রহমান (৫০), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শিরিনা আক্তার (৬০), নওগাঁর মো. রফিকুল ইসলাম (৫২) ও একই জেলার আব্দুল মোত্তালিব (৫৮)।
আরও পড়ুন: ৪১৯ যাত্রী নিয়ে সিলেট থেকে হজের প্রথম ফ্লাইট ছাড়লো
পোর্টাল অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার মুস্তাফিজুর ও আজিজুল মারা যান এবং শাহজাহান ও ফয়জুর বুধবার মারা যান।
এছাড়া শিরিনা ৭ জুলাই এবং আবদুল মোত্তালিব ও রফিকুল যথাক্রমে ৪ ও ৩ জুলাই মারা যান।
আরও পড়ুন: সৌদি আরবে পৌঁছেছেন ১৩ হাজারের বেশি হজযাত্রী
এতে বলা হয়, তাৎক্ষণিকভাবে তাদের মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি।
চলতি বছরের ১১ থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত সৌদি আরবে পাঁচ নারীসহ ১৯ বাংলাদেশি হজযাত্রী মারা গেছেন।
এ বছর প্রায় ৬০ হাজার ২৫৬ জন বাংলাদেশি হজ পালন করেছেন।