সিটি করপোরেশন
ডেঙ্গু: রাজধানীর অর্ধশতাধিক এলাকায় চিরুনি অভিযান
ডেঙ্গু সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের তিন দিনব্যাপী বিশেষ চিরুনি অভিযানের প্রথম দিনে অর্ধশতাধিক এলাকায় এডিস মশা নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ২১ নম্বর ওয়ার্ডভুক্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার এলাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে এই অভিযানের উদ্বোধন করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ।
পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবন,সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ,ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ, আন্তর্জাতিক ছাত্রাবাস, রেজিস্ট্রার ভবন, আইবিএ ভবন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, হাকিম চত্বর, গুরুদুয়ারা নানকশাহী ও আধুনিক ভাষাবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট এলাকায় দুপুর ১টা পর্যন্ত লার্ভিসাইডিং কার্যক্রম চালানো হয়।
আরও পড়ুন: এ বছরে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ১৮৯, হাসপাতালে ভর্তি ৫
একইভাবে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের নয়াপল্টন, বিজয়নগর, ফকিরাপুলসহ ৮ এলাকায়, ১৫নং ওয়ার্ডের ডিঙ্গি রেস্তোরাঁ হতে শুরু হয়ে আশপাশের সাত এলাকায়, ২৩নং ওয়ার্ডের নবাবগঞ্জ পার্ক ও ইরানি মাঠসহ আশপাশের সাত এলাকায়, ৩৮নং ওয়ার্ডের কাপ্তান বাজার, যোগীনগর, বিসিসি রোড, শশীমোহন বসাক লেনসহ ১০ এলাকায় এবং ৪০ ও ৪৫ নং ওয়ার্ডের ১৭ এলাকায় অভিযান চালানো হয়।
অভিযানকালে প্রায় ৬৯টি স্থাপনা ও বাসাবাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। অভিযানে এডিস মশার সেসব আধার ও প্রজননস্থল ধ্বংস করা হয় এবং আগামীতে এডিস মশার প্রজননস্থল পাওয়া গেলে জরিমানা করা হবে বলে সতর্ক করা হয়।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু আক্রান্ত নতুন ৫ রোগী হাসপাতালে ভর্তি
বৃষ্টির কারণে সীমিত সময়ে কয়েকটি এলাকায় এডাল্টিসাইডিং করা সম্ভব হয়েছে। আগামীকালও অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে সিটি করেপোরেশন থেকে জানানো হয়।
এয়ার এ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় আনা হলো খুলনার মেয়রকে
উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেককে এয়ার এ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে আনা হয়েছে।
রবিবার বিকাল সাড়ে চারটায় শহীদ শেখ আবু নাসের হাসপাতাল থেকে তাকে সিএমএইচ এর উদ্দেশ্যে এয়ার এ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় আনা হয়।
এ সময় নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা বলেন,মেয়র ঢাকার সিএমএইচে আগামী ১৫ তারিখ পর্যন্ত চিকিৎসাধীন থাকবেন। তারপর তাকে সিঙ্গাপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: দুদকের মামলায় খুলনায় সাবেক ওসি সস্ত্রীক কারাগারে
তিনি এ সময় আরও বলেন, খুলনা দুই আসনের সংসদ সদস্য শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল মেয়রের চিকিৎসার সকল দায়িত্ব নিয়েছেন।
এসময় তিনি খুলনা সিটির মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেকের সুস্থতা কামনা করে পরিবার ও দলের পক্ষ থেকে সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন।
উল্লেখ্য গতকাল শনিবার ডায়বেটিস, ইউরিনের সমস্যা ও জ্বরে আক্রান্ত হয়ে খুলনার শহীদ শেখ আবু নাসের হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি।
আরও পড়ুন: খুলনায় ট্রাকচাপায় এনজিও কর্মকর্তা নিহত
চট্টগ্রামে জব্বারের বলীখেলা হবে: মেয়র
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী জানান, আগের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়েছে। আগামী ১২ বৈশাখ (২৫ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রামের শত বছরের ঐতিহ্যবাহী আবদুল জব্বারের বলীখেলা ও তিন দিনের বৈশাখী মেলা।
তিনি বলেন, তবে এবার লালদিঘী মাঠে নয়; বলিখেলার আয়োজন হবে রাস্তার উপর। আগে পাঁচদিন হলেও এবার মেলা হবে তিন দিন। ২৪ এপ্রিল থেকে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত বৈশাখী মেলা চলবে কোতোয়ালি থেকে আন্দকিল্লাহ পর্যন্ত সড়ক জুড়ে।শনিবার দুপুরে নগরীর বহদ্দারহাটে নিজ বাসভবনে ‘আবদুল জব্বার স্মৃতি কুস্তি প্রতিযোগিতা ও মেলা কমিটি’র সদস্যদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব সিদ্ধান্তের কথা জানান চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।এর আগে গত ১৩ এপ্রিল সংবাদ সম্মেলন করে লালদীঘি মাঠের সংস্কার কাজ চলমান থাকায় বলীখেলা ও মেলার ১১৩তম আসর স্থগিত ঘোষণা করেছিল মেলা আয়োজক কমিটি। পরে এ নিয়ে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হলে মেলা আয়োজনের উদ্যোগ নেয় সিটি মেয়র রেজাউল করিম। মেয়র বলেন, কয়েকদিন আগে একটা ঘোষণা এসেছিল, এবার নাকি আবদুল জব্বারের বলীখেলা হবে না। এটা জানার পর সবার মধ্যে হতাশা তৈরি হয়। অনেকে মোবাইলে সেই হতাশার কথা আমাকে জানান। তারা প্রশ্ন করেছেন, কেন বলীখেলা ও মেলা হবে না। এরপর আমি বললাম, মেলা অবশ্যই হবে। সে জন্য আয়োজক কমিটির সবাইকে ডেকে কথা বললাম।
আরও পড়ুন: এবারও হচ্ছে না চট্টগ্রামের শত বছরের জব্বারের বলি খেলা
সংবাদ সম্মেলনে মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ১২ বৈশাখ (২৫ এপ্রিল) আবদুল জব্বারের বলীখেলা হবে। তবে এবার লালদিঘী মাঠে নয়, খেলা হবে বিকাল ৩টা থেকে ৫টার মধ্যে মাঠের সামনের খোলা জায়গায়। একইসঙ্গে মেলাও হবে। আগে পাঁচদিন হলেও এবার মেলা হবে তিনদিন। ২৪ এপ্রিল থেকে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে বৈশাখী মেলা। মেলা আয়োজক কমিটির সহ-সভাপতি ও চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন আয়োজক কমিটির সভাপতি চসিক কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, সাধারণ সম্পাদক শওকত আনোয়ার বাদল ও সাবেক কাউন্সিলর জামাল হোসেন।উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী আবদুল জব্বার তৎকালীন ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে যুবকদের অনুপ্রেরণা দিতে ১৩১৬ সনের ১২ বৈশাখ প্রচলন করেন এ ‘বলীখেলা’। তখন থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ১১০তম আসর নিয়মিত বসলেও করোনার কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে এই অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়। বলীখেলার আগের দিন থেকে শুরু করে পাঁচদিনব্যাপী মেলা বসে লালদীঘির মাঠ ও আশপাশের দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে।
আরও পড়ুন: দু বছর পর ফের বাংলা বর্ষবরণে মেতেছে চট্টগ্রামবাসী
স্নানোৎসবকে ঘিরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১৭ কি.মি জুড়ে যানজট
রাজধানীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যু
রাজধানীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও চারজন। শুক্রবার রাজধানীর বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেট ও রূপনগর বেড়িবাঁধ এলাকায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- ফারুক মিয়া (৫৬), রফিক (২৫) ও বাদল (৪৫)। তাদের মধ্যে ফারুক ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মী, রফিক কোককোলা গাড়ির শ্রমিক এবং বাদল ট্রাকের চালক।
বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেটের দুর্ঘটনা সম্পর্কে পল্টন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মহসিন হাবিব জানান, ফারুক সকালে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে সংলগ্ন রাস্তায় ঝাড়ু দেয়ারকালে স্বদেশ পরিবহনের একটি বাস তাকে ধাক্কা দেয়। এতে রাস্তায় ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন তিনি। পরে তাকে ঢামেক হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪
ঘটনার পরপরই স্থানীয়রা বাসটি জব্দ করে। তবে চালক পালিয়ে যায় বলেও জানান তিনি।
রূপনগর বেড়িবাঁধের দুর্ঘটনা সম্পর্কে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) বাচ্চু মিয়া জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে রুপনগর বিরুলিয়া বেড়িবাঁধ দুটি ট্রাক ও একটি পিকআপের ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়।
এতে পিকআপভ্যানের ওপরে থাকা চার শ্রমিক ও এক ট্রাকচালক আহত হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাদল ও রফিক মারা যায়।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটিতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
রবিবার থেকে এক কোটি পরিবারের কাছে টিসিবির পণ্য বিক্রয় শুরু: বাণিজ্যমন্ত্রী
আগামী ২০ মার্চ (রবিবার) থেকে দেশব্যাপী এক কোটি নিম্নআয়ের পরিবারের কাছে সাশ্রয়ীমূলে টিসিবি’র পণ্য বিক্রয় শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
শুক্রবার ঢাকার কারওয়ান বাজারস্থ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সম্মেলন কক্ষে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে দেশের নিম্নআয়ের এককোটি পরিবারের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে টিসিবি’র পণ্য বিক্রয় উপলক্ষে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, দুই কিস্তিতে এ এক কোটি পরিবারের কাছে টিসিবি’র পণ্য বিক্রয় করা হবে। প্রথম কিস্তি বিক্রয় করা হবে ২০-৩০ মার্চ এবং দ্বিতীয় কিস্তি বিক্রয় করা হবে ৩-২০ এপ্রিল।
আরও পড়ুন: ভোজ্যতেল আমদানিতে ১০ শতাংশ ভ্যাট কমানো হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, শৃঙ্খলভাবে টিসিবি’র পণ্য বিক্রয়ের সুবিধার জন্য দেশব্যাপী এ সুবিধাভোগী পরিবারগুলোর তালিকা তৈরি করে বিশেষ ফ্যামিলি কার্ড দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১২ লাখ এবং বরিশাল সিটি করপোরেশনে ৯০ হাজার পরিবারকে কার্ড দেয়া সম্ভব হয়নি। ভ্রাম্যমাণ ট্রাক সেলের মাধ্যমে তাদের কাছে টিসিবি’র এ সকল পণ্য বিক্রয় করা হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ইউনিয়ন পর্যায়ে জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় স্থানীয় জনসংখ্যা, দারিদ্রের সূচক বিবেচনায় নিয়ে এ তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এতে করে প্রায় পাঁচ কোটি মানুষ উপকৃত হবেন। বিতরণের আগের দিন সংশ্লিষ্ট ফ্যামিলি কার্ড হোল্ডারদের পণ্য বিক্রয়ের স্থান ও সময় জানিয়ে দেয়া হবে। পণ্যের মধ্যে রয়েছে দুই লিটার সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১১০ টাকা দরে, দুই কেজি চিনি ৫৫ টাকা দরে, দুই কেজি মসুর ডাল ৬৫ টাকা দরে, দুই কেজি ছোলা ৫০ টাকা দরে এক প্যাকেটে বিক্রয় করা হবে।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়াকে পাম অয়েলের দাম কমানোর আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর
মশক নিধনে ডিএনসিসির বিশেষ অভিযান শুরু
ঢাকা উত্তর সিটি করেপোরেশনে (ডিএনসিসি) বৃহস্পতিবার থেকে সপ্তাহ ব্যাপী বিশেষ মশক নিধন অভিযান শুরু হয়েছে। এই অভিযান আগামী ১৬ মার্চ (বুধবার) পর্যন্ত চলবে।
ডিএনসিসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
অভিযানে শুরুতে সকালে মিরপুর ৪ অঞ্চলের আওতাধীন ইব্রাহিমপুর খাল এলাকায় ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান এই কার্যক্রমের পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: মিরপুরে ডিএনসিসি’র অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
পরিদর্শনকালে তিনি বলেন, 'ডিএনসিসির মেয়রের নির্দেশনায় সপ্তাহ ব্যাপী বিশেষ এই অভিযানের লক্ষ্য হলো মশার পরিমাণ ব্যাপভাবে কমিয়ে আনা।'
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডিএনসিসির প্রতিটি অঞ্চলের সকল ওয়ার্ডে এই বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ৮৯৬ জন মশককর্মী এই অভিযানে অংশ নিয়েছে। সকাল ও বিকাল দুইবেলাই বিশেষ এই অভিযান চলবে। তাছাড়া একজন মশককর্মী ৯০ সিসি কীটনাশক ব্যবহার করবেন। সাধারণত অন্য সময়ে একজন মশককর্মী ৬০ সিসি কীটনাশক ব্যবহার করে থাকেন।
আরও পড়ুন: রাস্তায় নির্মাণ সামগ্রী, ৪ মামলাসহ জরিমানা আদায় ডিএনসিসি’র
উল্লেখ্য, ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম ১০ মার্চ থেকে ১৬ মার্চ পর্যন্ত সপ্তাহ ব্যাপী 'বিশেষ মশক নিধন অভিযান' পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন।
অবকাঠামো নির্মাণ দেখবে সিটি করপোরেশন
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, সিটি করপোরেশন এলাকায় যেকোনো ভবনের নকশা এবং স্থাপত্য বিষয়ে অনুমোদন দিবে রাজউক। আর এসব স্থাপনা যথাস্থানে হচ্ছে কিনা অথবা রাজউক থেকে অনুমোদিত বিষয়গুলো যথাযথ বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করবে সিটি করপোরেশন।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সারাদেশে ডেঙ্গু এবং মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে সিটি করপোরেশন ও অন্যান্য মন্ত্রণালয়/বিভাগ, দপ্তর/সংস্থার কার্যক্রম পর্যালোচনা জন্য ২০২২ সালের প্রথম আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা জানান মন্ত্রী।
মন্ত্রী জানান, ভবন বা অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণে রাজউক থেকে অনুমোদন নেয়ার পর বিষয়টি সিটি করপোরেশনকে অবহিত করতে হবে। ভবন নির্মাণে যে স্থান নির্ধারণ করা আছে সেটি সরকারি জায়গা বা উপযুক্ত কি-না, রাজউক থেকে যে নকশা বা ডিজাইন অনুমোদন দেয়া হয়েছে তা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে কি-না এসব বিষয় দেখভাল করবেন সিটি করপোরেশন।
আরও পড়ুন: চট্রগ্রামে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পে ভুল থাকলে সংশোধন: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
তিনি বলেন, ১৪ তলা ভবনের অনুমতি নিয়ে ২০ তলা নির্মাণ করা হয়। আবার তিন হাজার স্কয়ার ফিটের অনুমতি নিয়ে ছয় হাজার স্কয়ার ফিট বানানো হয়। এসব বিষয় সিটি করপোরেশন নজরদারি করবে। পরিকল্পিত নগরী গড়তে হলে এর কোনো বিকল্প নেই।
সম্প্রতি মোহাম্মদপুর বছিলায় খাল দখল প্রসঙ্গে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, সেখানে খাল দখল করে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে। সিটি করপোরেশন যদি জানতো তাহলে অবশ্যই এসব নির্মিত হতো না। আর হলেও তাদেরকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা যেত। অনেকেই অভিযোগ করে বলেন যে অপরিকল্পিতভাবে শহর গড়ে উঠেছে। যদি পরিকল্পিত ও বাসযোগ্য নগর গড়তে হয় তাহলে এর বিকল্প নেই। কাউকে হয়রানি করার জন্য এসব করা হচ্ছে না বলেও জানান তিনি।
এর আগে সভায় সভাপতির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গুসহ অন্যান্য মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে সিটি করপোরেশন এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি সকল নাগরিককে ভূমিকা পালন করতে হবে। রেলওয়ে, সিভিল এভিয়েশনসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে সমন্বয় করে কাজ করতে নির্দেশ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, সিটি করপোরেশনের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করলে সমস্যা সমাধান করা সহজ হবে।
তিনি বলেন, বাড়ি-ঘর, অফিস আদালত, রাস্তা-ঘাট, ড্রেন, খাল-নালা সব কিছু পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকতে সবাইকে আহ্বান জানিয়ে বলেন খুব শিগগিরই বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। আশা করি যেখানে সেখানে আর বর্জ্য পড়ে থাকবে না।
আরও পড়ুন: নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর চেয়েও বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, এডিসসহ অন্যান্য মশা প্রজনন বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার জন্য ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালানো শুরু করতে হবে। মশার কোনো বর্ডার নেই। উত্তর সিটি করপোরেশনে মশা থাকলে দক্ষিণে হবে না অথবা এক বাসায় হলে অন্য বাসায় হবে না এমনটি না। মশা নিধন করতে হলে সবাইকে সচেতন হতে হবে। মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করতে হবে। মশামুক্ত নগরী গড়তে আমরা সবাই বদ্ধপরিকর। ছাদ বাগানে মশা যাতে না প্রজনন হয় এ বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।
সভায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াত আইভী, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র মো. আসাদুর রহমান কিরণ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি (টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা) বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক জুয়েনা আজিজ, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খানসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ, দপ্তর/সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: একটি দুষ্ট চক্র দেশে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
ঝালাই থেকে নীলক্ষেত অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত: ডিএসসিসি মেয়র
দোকানের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের লক্ষ্যে পরিচালিত ঝালাই থেকে নীলক্ষেতে বইয়ের মার্কেটে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে প্রাথমিকভাবে এমনটাই প্রতীয়মান বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।বৃহস্পতিবার আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত রাজধানীর নীলক্ষেতে বইয়ের মার্কেট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন ডিএসসিসি মেয়র।
ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন,‘এখানে আমরা লক্ষ্য করেছি, যদিও এখানে বই-পুস্তকের দোকান এর মাঝেও কিছু কিছু রেস্তোরাঁ করা হয়েছে এবং বই-পুস্তক যারা রাখেন, তারাও উপরের দিকে তাদের বইগুলো গুদামজাত করার জন্য সেখানে ঝালাইয়ের কাজ করেছেন। এই ঝালাইয়ের কাজ করতে গিয়ে আগুনের স্ফুলিঙ্গ থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে আমাদের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসও সেই প্রেক্ষিতে প্রতিবেদন দিয়েছে।’
আরও পড়ুন: নীলক্ষেতে বইয়ের মার্কেটে আগুনদুর্ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, অবশ্যই। সিটি করপোরেশনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি থেকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়া হবে। পূর্নাঙ্গভাবে তদন্ত করেই সুনির্দিষ্ট কারণগুলো চিহ্নিত করে তারপরই আমরা ব্যবস্থা নিবো।সার্বিক দিক পর্যালোচনা করে ক্ষতিগ্রস্তদের কিভাবে সহযোগিতা করা যায় সে বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে জানিয়ে শেখ তাপস বলেন, এখানে আমাদের একটি মার্কেটসহ আরও অনেকগুলো মার্কেট রয়েছে। পুরো এলাকাটা নিয়ে আরেকটি বৃহত্তর পরিকল্পনা করে পরিকল্পতিভাবে তাদেরকে ব্যবস্থা করা যায় কিনা তা আমরা দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনায় বিবেচনা করব। এখন যে দুর্ঘটনা ঘটেছে সেটা নিয়ে আমরা বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। আপাতত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের পাশে কিভাবে থাকতে পারি, তাদের কিভাবে সহযোগিতা করতে পারি এই বিষয়টা অগ্রাধিকার দেব।
আরও পড়ুন: পথচারীবান্ধব শহর উপহার দিতে কাজ করছে ডিএসসিসি: মেয়র তাপস
রাজধানীতে অবকাঠামো নির্মাণে লাগবে সিটি করপোরেশনের অনুমোদন
রাজধানীতে যেকোনো অবকাঠামো নির্মাণের সময় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পাশাপাশি সিটি করপোরেশনের থেকে অনুমোদন নিতে হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।সিটি করপোরেশনের কাছ থেকে অনুমতি নিতে গিয়ে যাতে করে কেউ হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়ে মেয়রদের সতর্ক থাকার কথাও জানান মন্ত্রী।রবিবার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত আসন্ন বর্ষা মৌসুমে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের জলাবদ্ধতা নিরসনে সিটি করপোরেশন কর্তৃক গৃহীত কার্যক্রমের পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা জানান।স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ, দপ্তর/সংস্থা এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অথবা ব্যক্তি কর্তৃক বাসাবাড়িসহ সকল ধরনের অবকাঠামো নির্মাণ করতে হলে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ছাড়াও সিটি করপোরেশন থেকে অনুমতি নিতে হবে। আর শুধু অনুমোদন দিলেই হবে না। অনুমোদকৃত স্থাপনা নিয়মিত মনিটরিং করার জন্য ব্যবস্থাও রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের যেকোনো নির্বাচনে সরকারের নজরদারি রয়েছে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
তাজুল ইসলাম জানান, ঢাকা শহর এবং এর আশপাশে অনেকগুলো সেতু রয়েছে। যেগুলোর নেভিগেশন ফেসিলিটি নেই। এই সেতু ভেঙ্গে নৌ চলাচল সুবিধা রেখে নতুন সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সকল খাল সংস্কার করে একটি খালের সঙ্গে অন্যটির সংযোগ এবং খালের দুই পাশে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করলে নগরবাসীকে অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন শহর উপহার দেয়া সম্ভব।সেখানে ওয়াটার রিটেইশন পন্ডের পাশাপাশি দৃষ্টিনন্দন করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে উত্তর সিটি করপোরেশন কাজ করছে বলে জানান মন্ত্রী।তিনি বলেন, মোহাম্মদপুরের বসিলায় খাল দখল করে ট্রাক স্ট্যান্ড, মার্কেট এবং আবাসিক বাসভবন নির্মাণ করা হয়েছে। কল্যাণপুরে ১৭৩ একর জমির মধ্যে তিন একর জমি বাদে সব জমি দখল হয়েছে। উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে অভিযান চালিয়ে খালের জমি উদ্ধার করা হয়েছে। শুধু উত্তর সিটি করপোরেশন নয় দক্ষিণ সিটি করপোরেশনেও উচ্ছেদ অভিযান চলমান রয়েছে। অবৈধভাবে যে কেউ খাল দখল করুক না কেন, তা উদ্ধার করা হবেই।আসন্ন বর্ষায় রাজধানীতে জলাবদ্ধতা হবে না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, জলাবদ্ধতার কারণে যেন জনভোগান্তি না হয় সে লক্ষ্যে ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে প্রয়োজনীয় সকল কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। শুধু ফরমাল সভা করে পরিকল্পনা করলে হবে না ফলাফল আনতে হবে। এজন্য সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: কোরবানির পশুর হাটে লোকসমাগম কমানোর আহ্বান স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর
ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, দাবি স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ঢাকায় জলাবদ্ধতার অন্যতম প্রধান কারণ খাল ও জলাশয় দখল করে অবকাঠামো নির্মাণ। ওয়াসা থেকে খালগুলো দুই সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করায় খাল সংস্কার, দখলমুক্ত এবং অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে। আমি আশা করি এবছর রাজধানীতে জলাবদ্ধতার সমস্যা থাকবে না। এসময় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দপ্তর/সংস্থার চলমান সকল প্রকল্পের কাজ সমন্বয় করার তাগিদ দেন মন্ত্রী। জনস্বার্থে যে কোনো কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার জন্য মেয়রদের দিকনির্দেশনাও দেন তিনি।চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের জলাবদ্ধতা নিরসন, খাল উদ্ধার, সংস্কার, দখলমুক্ত এবং দৃষ্টিনন্দন করে গড়ে তোলার জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মুহাম্মদ ইব্রাহিমের নেতৃত্বে একটি সাব কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত দেন মন্ত্রী।এসময় উত্তর-দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র জলাবদ্ধতা নিরসনে তাদের প্রস্তুতি সম্পর্কে অবহিত করেন।সভায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম (ভার্চুয়ালি), ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, চট্ট্রগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকারসহ স্থানীয় সরকার বিভাগ ও সিটি করপোরেশন এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
১৫ মার্চের মধ্যেই সকল ড্রেন পরিস্কারের নির্দেশ ডিএনসিসি মেয়রের
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, নগরীর জলজট ও জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে আগামী ১৫ মার্চের মধ্যেই সকল ড্রেন পরিস্কার করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।সোমবার সকালে জলজট ও জলাবদ্ধতা সংক্রান্ত এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে ডিএনসিসি মেয়র একথা বলেন।তিনি বলেন, ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলের জন্য ১০টি র্যাপিড অ্যাকশন টিম গঠন করা হবে, যারা অঞ্চলভিত্তিক সমস্যা সমাধানে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
আরও পড়ুন: ৩০ জুনের মধ্যে ঝুলন্ত তার সরানোর নির্দেশ ডিএনসিসি মেয়রেরমো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ডিএনসিসির আওতাধীন খাল উদ্ধারে ৪২টি ডেড স্পট চিহ্নিত করা হয়েছে, যেখানে আগে খাল থাকলেও এখন আর নেই। তাই জনগণের সহায়তায় খালগুলো উদ্ধার ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।ডিএনসিসি মেয়র বলেন, নগরীর জলাবদ্ধতা ও দূষণ নিয়ন্ত্রণে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।আতিকুল ইসলাম আরও বলেন, সবাই মিলে সবার ঢাকাকে দখল ও দূষণমুক্ত করে সবার বাসযোগ্য সুস্থ, সচল ও আধুনিক ঢাকায় পরিণত করতে হবে।এসময় অন্যদের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমোডর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: যথাযথ নিয়মে গাড়ি না চালালে কঠোর ব্যবস্থা: মেয়র আতিক