ফরিদপুর
ফরিদপুরের ভুবনেশ্বর নদ থেকে বিলুপ্তপ্রায় কুমির উদ্ধার
ফরিদপুরের ভুবনেশ্বর নদ থেকে মিঠাপানির বিলুপ্ত প্রায় একটি কুমির উদ্ধার করেছে বন বিভাগের প্রাণী সম্প্রসারণ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের খুলনা অঞ্চলের উদ্ধারকারী দল।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে ফরিদপুর সদরের আলিয়াবাদ ইউনিয়নের গজারিয়ায় ভুবনেশ্বর নদ থেকে কুমিরটি উদ্ধার করা হয়। কুমিরটি প্রায় ৭ ফুট লম্বা।
উদ্ধারকারী দলটি মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) বিকালেই কুমিরটি নিয়ে সড়কপথে সুন্দরবনের করমজল বণ্যপ্রাণী উদ্ধার কেন্দ্রের উদ্দেশে রওনা হয়।
জানা গেছে, গত বুধবার (১১ অক্টোবর) বিকালে চরভদ্রাসন উপজেলার গাজীরটেক ইউনিয়নের শিকদারডাঙ্গী গ্রামের ভুবনেশ্বর নদে প্রথম কুমিরটি দেখা যায়। বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টার মধ্যে কুমিরটি কয়েকবার ভেসে ওঠে। এতে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: একদিন পর কুড়িগ্রামের চিলমারী নৌবন্দরে ফেরি চলাচল শুরু
আলিয়াবাদ ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. বকলুকার রহমান বলেন, কুমির দেখার খবর পেয়ে আমরা থানা ও বন বিভাগকে বিষয়টি জানাই। স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকার মানুষকে সতর্ক করে। এলাকার মসজিদ থেকে মাইকিং করেও সতর্ক করা হয়।
খুলনা প্রাণী সম্প্রসারণ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের প্রাণী বিশেষজ্ঞ মফিদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, কুমিরটি উদ্ধারে রবিবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে ফরিদপুরের সদর উপজেলার পাটপাশা এলাকায় পরিদর্শনে যায় উদ্ধারকারী দল। তবে সেখানে কুমিরের কোন সন্ধান মেলেনি। পরে মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে গজারিয়ায় ব্রিজের নিকট ভুবনেশ্বর নদে কুমিরটি দেখতে পেয়ে উদ্ধার করা হয়।
মফিদুল ইসলাম আরও জানান, উদ্ধার করা কুমিরটি মিঠাপানির বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির কুমির। কুমিরটি প্রথমে সুন্দরবনের করমজল বণ্যপ্রাণী উদ্ধার কেন্দ্রে নেওয়া হবে। পরে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরামর্শ করে এ ব্যাপারে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০২১ সালের ৯ আগস্ট ফরিদপুর সদরের নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নে পদ্মা নদীর সঙ্গে সংযুক্ত একটি খাল থেকে আরও একটি মিঠাপানির কুমির উদ্ধার করা হয়। পরে কুমিরটিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে পাঠায় প্রাণী সম্প্রসারণ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ।
২০০০ সালে পরিবেশ সংরক্ষণ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনসারভেশন অব নেচার’- বাংলাদেশে স্থানীয়ভাবে মিঠা পানির কুমির বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে।
আরও পড়ুন: পশুর নদীতে সিমেন্টের ক্লিংকারবোঝাই লাইটার জাহাজডুবি
ভোলায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরায় ৩৪ জেলে গ্রেপ্তার
ফরিদপুরে স্কুলছাত্রীকে অপহরণচেষ্টার অভিযোগে ২ জনকে গণপিটুনি, মাইক্রোবাসে আগুন
ফরিদপুরে স্কুল থেকে এক শিক্ষার্থীকে অপহরণচেষ্টার অভিযোগে গণপিটুনির শিকার হয়েছেন দুই ব্যক্তি। এ সময় তাদের ব্যবহৃত মাইক্রোবাসে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে শরহতলীর কোমরপুর আব্দুল আজিজ ইনস্টিটিউশনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ
আটক ব্যক্তিরা হলেন- ফরিদপুর সদর উপজেলার ইশানগোপালপুর ইউনিয়নের জয়দেবপুর গ্রামের ইসমাইলের ছেলে মামুন ওরফে ফেন্সি (৪০) এবং শহরের গোয়ালচামট এলাকার বাদশা মোল্লার ছেলে আলমগীর (৫২)।
কোমরপুর আব্দুল আজিজ ইনস্টিটিউশনের শিক্ষক অমূল্য কুমার জানান, সোমবার সকালে কয়েকজন দুর্বৃত্ত একটি মাইক্রোবাসে করে এক ছাত্রীকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় ওই ছাত্রীর সহপাঠী ও স্থানীয়রা স্কুল মাঠের মধ্যে গাড়িটির গতিরোধ করে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুইজনকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে ক্ষুব্ধ সহপাঠী ও স্থানীয়রা মাইক্রোবাসে আগুন ধরিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে অপহরণের ৭ ঘণ্টা পর ঢাবি শিক্ষার্থী উদ্ধার
ফরিদপুরে ডেঙ্গুতে আরও ৩ জনের মৃত্যু
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিন নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৮৫ জনে।
রোববার ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এনামুল হক এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ডেঙ্গুতে ৪ জনের মৃত্যু, নতুন রোগী ২৪৩ জন
মৃতরা হলেন- ফরিদপুর সদর উপজেলার খাবাসপুর এলাকার বাসিন্দা নাওবাহার (৬০), মধুখালী উপজেলার চরবাগাট এলাকার বাসিন্দা হালিমা (৬০) এবং নগরকান্দা উপজেলার বনগ্রাম এলাকার বাসিন্দা হাসিনা বেগম (৫০)।
পরিচালক ডা. এনামুল বলেন, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে নাওবাহার ১৩ অক্টোবর, হালিমা ১১ অক্টোবর এবং হাসিনা বেগম ১৪ অক্টোবর এই হাসপাতালে ভর্তি হন। এরা সবাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
তিনি আরও বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮৫ জন রোগী। বর্তমানে হাসপাতালটিতে ২৮০ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. ছিদ্দীকুর রহমান বলেন, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ২৭৪ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৬৮০ জন রোগী।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত জেলায় সরকারি হাসপাতালগুলোতে ১৬ হাজার ৮৯২ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন; এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৫ হাজার ৫২৭ জন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরের ভুবনেশ্বর নদে কুমির, এলাকায় আতঙ্ক
বিএনপি-জামায়াতের হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে আওয়ামী লীগকে ভোট দিন: ফরিদপুরের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী
ফরিদপুরে ডেঙ্গুতে ৪ জনের মৃত্যু, নতুন রোগী ২৪৩ জন
ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত চিকিৎসাধীন চারজনের প্রাণহানি হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৮২ জনে।
এ ছাড়া ২৪ ঘণ্টায় জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ২৪৩ জন রোগী। বর্তমানে জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৭০৪ জন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে ফরিদপুরে ৩ জনের মৃত্যু
শনিবার (১৪ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এনামুল হক জানান, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুই নারী ও দুই পুরুষ মারা গেছেন।
ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন রাজবাড়ির বালিযাকান্দির গোলাপী, রাজবাড়ির উড়াকান্দার হাবিবুর, মাগুরার চাদপুরের রুপা ও ফরিদপুরের নগরকান্দার রাজ্জাক মোল্লা।
ডা. এনামুল হক জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালটিতে নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ৫৯ জন রোগী। বর্তমানে হাসপাতালটিতে ২৯৩ জন রোগী চিকিৎসাধীন।
ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. ছিদ্দীকুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ২৪৩জন রোগী। বর্তমানে জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৭০৪ জন।
সিভিল সার্জন আরও জানান, হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৮২ জন। মারা যাওয়া ব্যক্তিরা রাজবাড়ী, ফরিদপুর, মাগুরা, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ ও কুষ্টিয়া জেলার বাসিন্দা। জেলায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৬ হাজার ২১৮ জন। এর মধ্যে ১৫ হাজার ৪৩২ জন রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরের ভুবনেশ্বর নদে কুমির, এলাকায় আতঙ্ক
বিএনপি-জামায়াতের হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে আওয়ামী লীগকে ভোট দিন: ফরিদপুরের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী
ফরিদপুরের ভুবনেশ্বর নদে কুমির, এলাকায় আতঙ্ক
ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার গাজিরটেক ইউনিয়নের ভুবনেশ্বর নদের জনবসতিপূর্ণ এলাকায় একটি কুমিরের দেখা মিলেছে। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। গাজিরটেক ইউনিয়নের ব্যাপারী ডাঙ্গী গ্রামের লোকমান মাতুব্বরের বাড়ির কাছে কুমিরটি দেখতে পায় স্থানীয়রা।
কুমিরটি দেখে এলাকাবাসীকে সতর্ক করতে এশার নামাজের পর মসজিদের মাইকে প্রচার করা হয়। খবর পেয়ে রাতেই চরভদ্রাসন থানা পুলিশ স্থানটি পরিদর্শন করেছে।
আরও পড়ুন: চিত্রা নদীতে ধরা পড়ল বিরল প্রজাতির কুমির
তবে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত কুমিরটি ওই এলাকা থেকে এক কিলোমিটার দূরে তেলিডাঙ্গি এলাকায় অবস্থান করছিল বলে জানা যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, রাত ১১টার দিকে ওই গ্রামে গিয়ে দেখা যায় লোকমান মাতুব্বরের বাড়ির কাছে একটি বাঁশের সাঁকোর নিচে কুমিরটি অবস্থান করছে। ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর পর পানি থেকে মাথা উঠিয়ে আবার ডুব দিচ্ছে কুমিরটি।
সুজন বেপারী জানান, কুমিরের বিষয়টি সন্ধ্যার পরে এলাকায় জানাজানি হয় এবং পরে এ ব্যাপারে মসজিদের মাইকে এলাকাবাসীকে সতর্ক করা হয়।
সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. কাউছার ব্যাপারী বলেন, কুমিরের খবর পেয়ে তিনি বিষয়টি প্রশাসনকে অবগত করেছেন। কিন্তু কুমিরটি উদ্ধারে এখন পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।
বৃহস্পতিবার সকালে কুমিরের খোঁজে পুনরায় ওই গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, কুমিরটি পূর্বের স্থান হতে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে ভাটিতে তেলিডাঙ্গী সিকদার ডাঙ্গী এলাকায় অবস্থান করছে। সেখানে নদের পানিতে কিছু সময় পর পর মাথা তুলে আবার ডুব দেয় কুমিরটি। এসময় কুমির দেখতে নানা বয়সী উৎসুক মানুষকে রাস্তার দুই পাশে ভিড় করতে দেখা গেছে।
কুমিরটি উদ্ধারে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় শঙ্কা প্রকাশ করে স্থানীয়রা বলেন, এই নদের পানিতে ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা গোসল করার পাশাপাশি গবাদি পশু গোসল করানো হয়। এখনও কুমিরটি উদ্ধার না হওয়ায় আতঙ্কে রয়েছেন তারা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেহেদী মোর্শেদ বলেন, কুমিরের বিষয়টি আমি বনবিভাগসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। সংশ্লিষ্টরা খুব শিগগিরই কুমিরটিকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে অবমুক্ত করবে। সেই সঙ্গে এলাকাবাসীকে আপাতত গোসল বা নদে নেমে অন্য কোন কাজ করতে নিষেধ করা হয়েছে। এলাকাবাসীকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
ফরিদপুরের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা গোলাম কুদ্দুস ভুঁইয়া জানান, বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি। খুলনা বিভাগীয় অফিসে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তারা সেখান থেকে কুমিরটি উদ্ধারে একটি টিম পাঠানোর ব্যবস্থা করছে।
খুলনা বিভাগীয় বন অধিদপ্তরের মৎস্য বিশেষজ্ঞ মফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি। স্থানীয় কর্মকর্তাদের মাধ্যমে কুমিরটির অবস্থান সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। সঠিক অবস্থান জানতে পারলে আমাদের একটি টিমকে উদ্ধার অভিযানে পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: বরিশালের জয়ন্তী নদীতে পাঙ্গাসের জালে উঠে এলো কুমির!
সুন্দরবনে কুমিরসহ ১৮ বন্যপ্রাণী অবমুক্ত
বিএনপি-জামায়াতের হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে আওয়ামী লীগকে ভোট দিন: ফরিদপুরের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগকে আরেকবার দেশের সেবা করার সুযোগ দিতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের নৌকায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত দেশকে ধ্বংস করবে এবং আমার দলই কেমল দেশকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে পারে।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ঢাকা-মাওয়া অংশের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত এক সূধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে সুধী সমাবেশে যোগদানের আগে নবনির্মিত ড. কাজী আবু ইউসুফ স্টেডিয়াম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, 'আমি আজ আপনাদের একটি উপহার দিচ্ছি, পদ্মা সেতুর পর পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ...। আমি আপনাদের সবাইকে নৌকায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি, যাতে আওয়ামী লীগ আবারও জনগণের সেবা করতে পারে।
আরও পড়ুন: মানুষের সেবা করার মানসিকতা গড়ে তুলুন: সরকারি চাকরিজীবীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
গত বছরের ২৫ জুন উদ্বোধন করা দেশের দীর্ঘতম পদ্মা সেতু দিয়ে রেল সেবা উদ্বোধনের পর বিশেষ ট্রেনে মাওয়া থেকে ভাঙ্গা রওনা হন তিনি।
তিনি বলেন, বিএনপি লুটেরাদের দল এবং এর শীর্ষ নেতারা এতিমদের টাকা আত্মসাৎ, মানি লন্ডারিং ও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবসার দায়ে দণ্ডিত হয়েছেন।
তিনি বিএনপি নেতা তারেক রহমানের কথাও উল্লেখ করেন, যিনি রাজনীতি না করার মুচলেকা দিয়ে দেশ ত্যাগ করেছেন। তিনি বলেন, বিএনপির শরিক জামায়াতে ইসলামী যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে জড়িত।
প্রধানমন্ত্রী জনগণকে অশুভ শক্তি থেকে দূরে থাকতে সতর্ক করেন। আওয়ামী লীগের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সবসময় মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করছে।
তিনি বলেন, তাদের নির্বাচনী প্রতীক নৌকা দেশের স্বাধীনতা এনেছে, পদ্মা সেতু, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ নির্মাণ করেছে, হাজার হাজার কিলোমিটার সড়ক, স্কুল, কলেজ ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছে এবং এভাবে দেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করেছে।
তিনি বলেন, রূপকল্প ২০২১ অনুযায়ী বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে এবং ২০২৬ সাল থেকে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার যাত্রা শুরু করবে।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের জনগণ আওয়ামী লীগকে বারবার ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনার ফলে বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়েছে।
জিয়াউর রহমান দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন বিএনপির এমন দাবির জবাবে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছিলেন। আর আওয়ামী লীগ দেশে ভোট ও খাদ্যের পাশাপাশি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে।
ফরিদপুরের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে তিনি ফরিদপুরবাসীকে আশ্বস্ত করে বলেন, তারা যদি আবার ক্ষমতায় আসে তাহলে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি জানেন বাংলাদেশের মানুষ তার সঙ্গে আছে, যদিও অনেক বুদ্ধিজীবী নেই।
তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের জনগণ পাশে থাকলে যেকোনো অসম্ভবকে জয় করা সম্ভব, যা আমরা পদ্মা সেতু নির্মাণ এবং পদ্মা সেতুর মাধ্যমে রেল যোগাযোগ উদ্বোধনের মাধ্যমে প্রমাণ করেছি।’
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকা-ভাঙ্গা রেল সংযোগের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, অনেক ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত আছে, কিন্তু আমাদের একমাত্র ভরসা বাংলাদেশের জনগণ।
ইসলাম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সহ সকল ধর্মের মানুষ স্বাধীনতা অর্জনের জন্য মুক্তিযুদ্ধে হাত মিলিয়ে লড়াই করেছে।
তিনি বলেন, সব ধর্মের মানুষ তাদের ধর্মীয় স্বাধীনতা ভোগ করবে, তাদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন করবে; এটা আমাদের নীতি এবং আমাদের ধর্ম ইসলাম আমাদের এটাই শিক্ষা দেয়।
এ প্রসঙ্গে তিনি অন্য ধর্মের মানুষের ওপর নৃশংসতা ও নির্যাতন চালানোর জন্য বিএনপির সমালোচনা করেন।
তিনি আরও বলেন, ‘কিন্ত, আওয়ামী লীগ এই দেশকে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় গড়ে তুলতে চায় ।’
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, কোভিড-১৯ পরবর্তী এবং অন্যান্য বৈশ্বিক সংকটের প্রেক্ষাপটে খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে তিনি দেশবাসীকে নিজস্ব খাদ্য উৎপাদন এবং প্রতি ইঞ্চি জমি চাষাবাদের আওতায় আনার আহ্বান জানান।
একই সঙ্গে তিনি দেশবাসীকে বিদ্যুৎ ও পানি ব্যবহারে সজাগ থাকার আহ্বান জানান।
ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফের সঞ্চালনায় সমাবেশে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতারা বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আগামী নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে: প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা-ভাঙ্গা ট্রেনের ভাড়া ৪০ শতাংশ কমানোর দাবি জাতীয় কমিটির
ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ট্রেন চলাচল উদ্বোধনের ফলে রেল যোগাযোগের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পদক্ষেপ বলে দাবি করেছে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি। তবে ঢাকা-ভাঙ্গা প্রস্তাবিত ট্রেনভাড়া অন্তত ৪০ শতাংশ কমানোর দাবি জানিয়েছে নাগরিক সংগঠনটি।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি হাজি মো. শহীদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে এই দাবি জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাকা-ভাঙ্গা প্রস্তাবিত ট্রেনভাড়া বিদ্যমান বাস ভাড়ার চেয়ে প্রায় ৪০ শতাংশ বেশি। এর ফলে সাধারণ যাত্রীরা ব্যয় সংকোচনের জন্য বাসকেই প্রাধান্য দেবে এবং প্রত্যাশার তুলনায় ট্রেনযাত্রী অনেক কম হবে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেনে পাড়ি দিতে উদগ্রীব দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলবাসী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-যশোর ১৭২ কিলোমিটার রেলপথের ঢাকা-ভাঙ্গা অংশে বাণিজ্যিক ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করেন। ১ নভেম্বর থেকে এ পথে শুরু হবে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল।
রেলকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সেবা সংস্থা উল্লেখ করে জাতীয় কমিটির নেতারা বলেন, ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার ট্রেন সেবার মান বৃদ্ধি ও জনগণের ব্যয় সাশ্রয়ের জন্য এ খাতে ভর্তুকি দিয়ে থাকে। প্রয়োজন হলে সরকার ঢাকা-ভাঙ্গা রেলপথেও ভর্তুকি দিয়ে কম ভাড়া নির্ধারণ করবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ রেলওয়ের এ সংক্রান্ত কমিটি ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ৮২ কিলোমিটার রেলপথের জন্য আন্তনগর ট্রেনে (নন-এসি) জনপ্রতি ৩৫০ টাকা এবং এসি চেয়ারে ৬৬৭ টাকা ভাড়া প্রস্তাব করেছে।
এতে আরও বলা হয়, প্রস্তাবটি রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। তবে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত নন-এসি ও এসি বাসের ভাড়া বাসের ভাড়া জনপ্রতি যথাক্রমে ২৫০ টাকা ও ৫০০ টাকা।
আরও পড়ুন: দোহাজারী-কক্সবাজার রুটে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলবে ১৫ অক্টোবর
প্রধানমন্ত্রীর সফর সামনে রেখে ভাঙ্গায় উৎসবমুখর পরিবেশ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার প্রধান সড়কটি ব্যানার, ফেস্টুন ও ডিজিটাল ডিসপ্লে দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছে।
‘পদ্মা সেতু রেল সংযোগ নির্মাণ প্রকল্পের’ আওতায় ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা পর্যন্ত ৮২ কিলোমিটার রেলপথ মঙ্গলবার উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। দুপুর ২টায় ভাঙ্গা উপজেলা সদরের কাজী আবু ইউসুফ স্টেডিয়ামে জনসভায় ভাষণ দেবেন।
আরও পড়ুন: মহামারি শেষে উৎসবমুখর ঈদ
নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এদিকে ফরিদপুরের কাজী আবু ইউসুফ স্টেডিয়ামসহ পুরো এলাকায় দুই লাখ মানুষের সমাগমের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ।
দলীয় নেতারা জানিয়েছেন, এই অনুষ্ঠান সামনে রেখে নিরবচ্ছিন্ন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চার স্তরে চার হাজার নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হবে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইমদাত হোসেন বলেন, সমাবেশস্থল ও রেলওয়ে জংশন এলাকায় কৌশলগতভাবে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হবে।
পুলিশ ও বিশেষ সরকারি নিরাপত্তা বাহিনীর পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে টহল দেবে র্যাবের টিম। এ ছাড়া রেলজংশন এলাকা, সমাবেশস্থল ও আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
পদ্মা সেতু থেকে ফরিদপুর পর্যন্ত পুরো এলাকা উজ্জ্বল রঙিন করে সাজানো হয়েছে। এদিকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রেল যোগাযোগের উদ্বোধন উপলক্ষে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েসহ সড়কগুলো ব্যানার ও সাজসজ্জায় ঢেকে রাখা হয়েছে।
নেতাদের মুখ ও উন্নয়নের ছবি সম্বলিত বড় ব্যানার টানানো হয়েছে। বিভিন্ন মোড়, দেয়াল এমনকি গাছেও পোস্টার সাঁটানো রয়েছে।
ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফ বলেন, ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জনসভার সফলতা নিশ্চিত করতে আমরা দিনরাত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের লক্ষ্য জনসভা স্থল এবং আশেপাশের এলাকায় দুই লক্ষেরও বেশি লোককে জড়ো করা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বশেষ ২০১৭ সালের ২৯ মার্চ ফরিদপুর শহরের রাজেন্দ্র কলেজে এক জনসভায় ভাষণ দেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে উৎসবমুখর পরিবেশ রংপুরে
বরিশাল ও খুলনা সিটিতে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে: ইসি হাবিব
ফরিদপুরে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৩ নারীর মৃত্যু, আক্রান্ত ৩২৬
ফরিদপুরে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় আরও তিন নারীর মৃত্যু হয়েছে।
ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা চলা অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
এ নিয়ে জেলায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৭০ জনে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে ১৩ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ২৭৯৯
শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এনামুল হক।
মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন- ফরিদপুর জেলার সদরপুর উপজেলার চরকুমারিয়া গ্রামের ঋতু, রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার বন্যতৈল গ্রামের করুনা বসু এবং গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার মহারাজপুর গ্রামের সালমা বেগম।
ডা. এনামুল হক আরও জানান, গত ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালটিতে নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ৭৫ জন রোগী। বর্তমানে হাসপাতালটিতে ৩৮১ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. ছিদ্দীকুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘন্টায় জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ৩২৬ জন রোগী। বর্তমানে জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৮৩৫ জন।
সিভিল সার্জন আরও জানান, হাসপাতালগুলোতে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৭০ জন।
মারা যাওয়া ব্যক্তিরা- রাজবাড়ী, ফরিদপুর, মাগুরা, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ ও কুষ্টিয়া জেলার বাসিন্দা।
জেলায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৪ হাজার ১৪৫ জন। এর মধ্যে ১৩ হাজার ৪২০ জন রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে ১৫ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ২১৫৮
ডেঙ্গুতে ৯ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ১৮০০
ঘুর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড ফরিদপুরের কয়েকটি গ্রাম
ফরিদপুরের সালথা ও আলফাডা উপজেলার কয়েকটি গ্রামে ঘূর্ণিঝড়ে অন্তত বসতঘর বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার আগে উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের সানাতুদী গ্রামে এই ঝড় হয়। এতে অসংখ্য গাছপালা ভেঙে ও উপড়ে পড়েছে। অনেক জায়গায় সড়কের উপরে গাছ পড়ে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে অন্ধকার হয়ে যায় পুরো গ্রাম।
আরও পড়ুন: ভোলায় টর্নেডোর আঘাতে লণ্ডভণ্ড শতাধিক ঘর-বাড়ি, আহত ১৫
স্থানীয় বাসিন্দা দেলায়ার হোসেন জানান, টানা বৃষ্টির মধ্যে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার আগে সানাতুদী গ্রামে ভয়াবহ ঝড় আঘাত হানে। প্রচণ্ড বেগে মাত্র তিন মিনিটের ঝড়ের আঘাতে গ্রামের লিটু মুন্সী, ফারুক মুন্সী, মুরাদ মুন্সী, দবির মুন্সী, কাইউম মুন্সী, কামাল ঠাকুর, জামাল ঠাকুর, জমিলা বেগম, নিরু বেগম, ছানা কাজী, আতি কাজী ও হাফেজ মাসগির মুন্সির অন্তত ১৮টি বসতঘর বিধস্ত হয়। এ ছাড়া গাছপালা ভেঙে ব্যাপক ক্ষতি হয়। ক্ষতিগ্রস্তরা প্রায় সবাই কৃষক।
ঝড়ের সময় ওই গ্রামের বিধবা লিপি বেগমের একমাত্র সম্বল সেমিপাকা একটি বসতঘরের ওপর বিশাল একটি গাছ পড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। এ সময় লিপি বেগম বাথরুমে আশ্রয় নেন প্রাণে বাঁচতে। অসংখ্য গাছপালা ভেঙে সড়কের ওপর চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গ্রামে বিদ্যুৎ সঞ্চালন বন্ধ হয়ে গেছে।
স্থানীয় বল্লভদী ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার সাইফুর রহমান শাহিন ঝড়ে গ্রামবাসীর ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে উপজেলা পরিষদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, একইদিন বিকাল সোয়া ৩টার দিকে আলফাডাঙ্গা উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিদ্যাধর, ব্রাহ্মণ-জাটিগ্রাম, বেজিডাঙ্গা ও টগরবন্দ ইউনিয়নের মালা, কৃষ্ণপুর-টগরবান, তিতুরকান্দি গ্রামে ঘুর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
আরও পড়ুন: বন্যায় লণ্ডভণ্ড সিলেট-ছাতক রেলপথ