শিশু
শিশুদের জন্য বিনোদনমূলক যত বাংলা ইউটিউব কার্টুন চ্যানেল
শুধু বিনোদনের জন্য নয়, শিশুদের ভাষা বিকাশ এবং জ্ঞানভিত্তিক দক্ষতা অর্জনের জন্যও বিশ্বজুড়ে বহুল প্রচলিত একটি অনুষ্ঠান হচ্ছে কার্টুন। দ্বিমাত্রিক এই চলচ্চিত্রকলার ধারা বাংলা ভাষাতেও খুব একটা নতুন নয়। কিন্তু ইউটিউবে বাংলা কার্টুনের পদচারণা সর্বোচ্চ এক দশক আগে। সেই থেকে বাংলা ভাষার পাশাপাশি শিশুদের স্বাভাবিক ক্রমবিকাশের জন্য বিরাট অবদান রেখে চলেছে এই কন্টেন্টগুলো। আজকের নিবন্ধটি তেমনি কিছু শিশুতোষ ইউটিউব কার্টুন চ্যানেল নিয়ে। চলুন দেখে নেওয়া যাক-শীর্ষস্থানীয় ইউটিউব কিডস বাংলা চ্যানেলগুলো।
বাংলা ভাষায় শিশুদের জন্য মজার কিছু ইউটিউব কার্টুন চ্যানেল
ইনফোবেলস বাংলা
সব বয়সের শিশুদের সাংস্কৃতিক ও নৈতিক মূল্যবোধকে উন্নত করার লক্ষ্যে রীতিমতো এক সৃজনশীল দল গঠন করেছেন কুবের নটরাজন এবং তার স্ত্রী জয়লক্ষ্মী কুবের। ইনফোবেলস বাংলা তাদেরই ব্রেইনচাইল্ড।
বাংলার মানুষের মুখে মুখে খ্যাতি পাওয়া ছড়া ও গানগুলোকে আকর্ষণীয়ভাবে প্রকাশের উদ্দেশ্য নিয়ে ভারতের কর্ণাটকভিত্তিক চ্যানেলটি শুরু হয় ২০১৬ সালের ১৩ জুন। সেই থেকে এখন পর্যন্ত পুরো কুবের টিম ভিডিও প্রকাশ করেছে মোট ৪০৬টি। ৭ বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমের সুফল স্বরূপ তারা পেয়েছেন ১৭ কোটি ৪০ লাখ গ্রাহকের এক বিশাল পরিবার। সর্বমোট ৮ দশমকি ৮৫ বিলিয়ন ভিউ পাওয়া ভিডিওগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সাড়া মিলেছে লালাজি চরিত্রের গল্পগুলোতে।
বেঙ্গলি ফেয়ারি টেল্স
অনলাইনে কার্টুন গল্পের চিত্তাকর্ষক বিষয়টিকে সবচেয়ে সফলভাবে উপজীব্য করতে পেরেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত ভিত্তিক ইউটিউব চ্যানেলটি। ২০১৬ সালের ৬ জুন থেকে বাংলা ভাষাভাষি নেটিজেনদের কাছে স্বনামধন্য একটি নাম বেঙ্গলি ফেয়ারি টেল্স।
আরো পড়ুন: কড়ক সিং: জয়ার প্রথম হিন্দি সিনেমা আসছে ওটিটির পর্দায়
তারা নামকরা সব বিদেশি রূপকথাগুলোর বাংলা ভার্সন নিয়ে তৈরি করেছে ৬৬৬টি ভিডিওর বিশাল এক সংগ্রহশালা। এখানে আছে স্লিপিং বিউটি থেকে শুরু করে আগলি ডাকলিং বা কুৎসিত হাঁসের বাচ্চা, জেলে ও তার স্ত্রী, থাম্বেলিনা, ও সিনডারেলার মতো কল্পকাহিনী।
তাদের মোট গ্রাহক সংখ্যা ৮ কোটি ৬০ লাখ এবং শুরু থেকে এ পর্যন্ত সব ভিডিওতে পাওয়া ভিউ সংখ্যা ৪ দশমিক ২৬ বিলিয়ন।
কিডস টিভি বাংলা-নার্সারি রাইমস
ভারতের কিডস টিভি ২০১৫ সালের ১৬ জুলাই থেকে তাদের বিনোদন প্রচার সেবা প্রসারিত করেছে বাংলা ভাষাভাষিদের জন্যও। বিশ্ব জোড়া প্রতিটি বাবা-মার মুখে নার্সারি রাইমস মানেই এখন কিডস টিভি বাংলা।
তবে শুধু ছড়া আর গান নয়; মজার মজার কিছু বুদ্ধিবৃত্তিক খেলা নিয়ে ৭৭১টি ভিডিওর সমৃদ্ধ এক রিসোর্চ এই চ্যানেল। দীর্ঘ ৮ বছরের স্ট্রীমিং কার্যক্রমে তাদের অর্জন ১৭ লক্ষাধিক গ্রাহক এবং ৭২২ মিলিয়নের বেশি ভিউ।
ইনরেকো চিলড্রেন
চমকপ্রদ কন্টেন্টের মাধ্যমে বাংলার লোক সাহিত্যের গল্প, ধাঁধা, প্রবাদ-প্রবচন ও গানকে অনবদ্যভাবে তুলে এনেছে এই ভারতীয় ইউটিউব চ্যানেলটি। ১৩ লাখ ৬০ হাজার সাবস্ক্রাইবারের বিশাল পরিবারের শুরুটা ছিলো ২০১৪ সালের ২১ মে। তারপর থেকে সুদীর্ঘ ৯ বছরে মোট কন্টেন্ট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০৪টি। এগুলোর সবকটিতেই গানের কথা লিখেছেন সলিল চৌধুরী এবং কন্ঠ দিয়েছেন অন্তরা চৌধুরী।
আরো পড়ুন: ফের আরটিভিতে সিসিমপুর
এ পর্যন্ত ভিডিওগুলো ভিউ পেয়েছে ৬৫৪ মিলিয়নেরও অধিক এবং এখনও মুগ্ধতা ছড়িয়ে চলেছে প্রতিটি শিশুর মাঝে।
কিডিজ টিভি বাংলা
বাংলাতে বাচ্চাদেরকে বর্ণমালা ও রঙ চেনানোসহ বিভিন্ন ধরনের মজার এনিমেশনের অভিজ্ঞতার জন্য দেখতে হবে কিডিজের কন্টেন্টগুলো। ভারতীয় ইউটিউব চ্যানেলটি ২০১৭ সালের ১৭ অক্টোবর থেকে প্রকাশ করে আসছে এমন বিস্ময়কর চিত্রনাট্যগুলো। ১৪৬টি ভিডিওর প্রতিটিতেই বাচ্চাদের জন্য রয়েছে আনন্দ ও চমকের মাধ্যমে যে কোনও কিছু শিখে নেয়ার রসদ।
২ দশমিক ০৩ বিলিয়নের অধিক ভিউ পাওয়া ভিডিওগুলোর মধ্যে সবচেয়ে দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে হাম্পটি রেইলগাড়ি চরিত্রটি। চ্যানেলের মোট গ্রাহক সংখ্যা ৫০ লাখ ৭ হাজার।
চুচুটিভি বাংলা
২০১৯ সালের ১ আগস্ট ভারত থেকে চ্যানেলটি তার কার্যক্রম শুরু করার পর থেকেই এর হাস্যরস ও নির্মল আনন্দ নিয়ে বেশ সাড়া পড়ে যায়। সব বয়সের এমনকি বাড়ন্ত বয়সের শিশুদেরও নজর কেড়ে ফেলে খুব কম সময়ের মধ্যেই। ৭০ লাখ ৯৬ হাজার গ্রাহক এবং ৪ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ভিউ সে কথাই সমস্বরে জানান দিচ্ছে। ৪ বছরে তাদের মোট ভিডিও ৩১৮টি। যেগুলো এখনও সুনামের সঙ্গে চ্যানেলের নাম ধরে রেখেছে।
আরো পড়ুন: সিনেমা ২০২৩: আলাচনায় শুধু ঈদের সিনেমা
হাজারীবাগে ককটেল বিস্ফোরণ, শিশুসহ আহত ৪
রাজধানীর হাজারীবাগের বটতলায় ভোটকেন্দ্রের সামনে ককটেল বিস্ফোরণে নারী-শিশুসহ চারজন আহত হয়েছেন।
রবিবার (৭ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বটতলা জামেয়া আনওয়ারুল উলুম মাদরাসা ভোটকেন্দ্রের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: রাজশাহী-৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্পে ককটেল বিস্ফোরণ
আহতরা হলেন- আমির হোসেন (৬০), বাদল আহমদ (৫০), তার ছেলে তানভীর আহমেদ (৮) ও মাকসুদা বেগম (৫০)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বটতলা জামিয়া আনোয়ারুল উলুম মাদরাসার সামনে দুর্বৃত্তরা দুটি দেশীয় বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়।
আরও পড়ুন: যশোরে ভোটকেন্দ্রে ককটেল বিস্ফোরণে আনসার কর্মকর্তা আহত
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া জানান, আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে হতাহতরা সামান্য আহত হয়েছেন এবং এখন তারা আশঙ্কামুক্ত।
আরও পড়ুন: সেগুনবাগিচায় বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ
চুয়াডাঙ্গায় ইজিবাইকের ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গার জেলার দর্শনা-মুজিবনগর সড়কে ইজিবাইকের ধাক্কায় আব্দুস সামাদ (৬) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার ২৩ (ডিসেম্বর) দুপুরে প্রতাপপুর দর্শনা মুজিবনগর সড়কের প্রতাপপুর গ্রামের শুকুর আলীর দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশু সামাদ দর্শনা থানার প্রতাপপুর গ্রামের আহাদ আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ইজিবাইকের ধাক্কায় আইনজীবীর মৃত্যু
প্রতক্ষদর্শীরা জানায়, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রোডের পাশে খেলছিল শিশু সামাদ। দর্শনাগামী দ্রুতগতির একটি ইজিবাইক রাস্তা পার হওয়ার সময় তাকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় আব্দুস সামাদ। পরে ইজিবাইকটি আটক করে দর্শনা থানায় নেওয় পুলিশ।
এ বিষয়ে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ইজিবাইক চালক ও ইজিবাইক জব্দ করে দর্শনা থানায় নিয়ে এসেছি। তবে শিশু সামাদের পরিবার মামলা করবে না বলে আমাদের জানায়।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ইজিবাইকের ধাক্কায় ৭ বছরের শিশুর মৃত্যু
ইজিবাইকের ধাক্কায় চুয়াডাঙ্গায় বৃদ্ধা নিহত
চট্টগ্রামে নিখোঁজের ২দিন পর পুকুর থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে নিখোঁজের দুইদিন পর পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় তাহমিদ (৫) নামে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে স্থানীয় লোকজন বাড়ির অদূরে পুকুরে ভাসমান অবস্থায় লাশ দেখতে পায়। পরে তার লাশ করে স্থানীয়রা।
তাহমিদ উপজেলার পুঁইছড়ি ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মো. আলমের ছেলে।
পরিবারের দাবি, তাকে হত্যা করে লাশ পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
নিহত তাহমিদের ফুফা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. ইমরান জানান, গত মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুর থেকে তাহমিদ নিখোঁজ ছিল। পরে আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে বাড়ির অদূরে একটি পুকুরে রক্তাক্ত অবস্থায় তার লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। ধারণা করা হচ্ছে, গতকাল (বুধবার) রাতে হত্যা করে তার লাশ পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদ বলেন, শিশুটির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: মণিরামপুরে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
রাজশাহীতে পুকুরে ডুবে ২ বছরের শিশু মৃত্যু
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
বস্তিতে বসবাসকারী বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জীবনমান উন্নয়নে সহযোগিতার আশ্বাস তুরস্কের
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেন।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে ডিএনসিসির প্রধান কার্যালয় নগর ভবনে মেয়রের কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎ করেন তিনি।
সাক্ষাৎকালে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত গত ফেব্রুয়ারি মাসে শক্তিশালী ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত তুরস্কে মানবিক সহায়তা দিয়ে পাশে দাঁড়ানোর জন্য ডিএনসিসি মেয়রকে ধন্যবাদ জানান।
এসময় রাষ্ট্রদূত ডিএনসিসির আওতাধীন এলাকার বস্তিতে বসবাসকারী বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে প্রতিদিন অসংখ্য জলবায়ু উদ্বাস্তু ঢাকায় প্রবেশ করে। বস্তিবাসীরা প্রতিনিয়ত নানা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। ডিএনসিসির আওতাধীন বস্তিগুলোতে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জীবনমান উন্নয়নে সহযোগিতা প্রয়োজন। সহযোগিতা প্রদান করা হলে এই শিশুরা নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে।’
আরও পড়ুন: উজবেকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে উজবেক উপপররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক
আলাপকালে বস্তিতে বসবাসকারী বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের দক্ষতা বৃদ্ধি, শিক্ষা সহায়তা, প্রশিক্ষণ প্রদান, প্রয়োজনীয় সামগ্রী প্রদানসহ ছোট ছোট খেলার মাঠ নির্মাণে যৌথভাবে কাজ করা বিষয় একমত পোষণ করেন ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম ও রাষ্ট্রদূত রামিস সেন।
এসময় ডিএনসিসি মেয়র এই ধরনের উদ্যোগের ফলে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মেয়র আতিক আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ ভাস্কর্য ও তার নামে একটি পার্ক করা হয়েছে। আবার তুরস্কের জাতির পিতা কামাল আতাতুর্কের নামে ঢাকার বনানীতে একটি সড়ক রয়েছে। এছাড়াও বনানীর সড়কটির সংলগ্ন একটি পার্কও কামাল আতাতুর্কের নামে নামকরণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে অনেক গভীর সম্পর্ক রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতায় ঢাকা ও আঙ্কারা যৌথভাবে কাজ করার মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।’
আরও পড়ুন: ২ দিনব্যাপী বাংলাদেশ ও ভারতের নৌ-সচিব পর্যায়ের সভা শুরু
কুয়েতের নতুন আমিরকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ প্রধানমন্ত্রীর
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে পুকুরের পানিতে ডুবে মোহাম্মদ নামে দেড় বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৫টায় আশুগঞ্জ সদর ইউনিয়নের নাওঘাট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
মোহাম্মদ ওই এলাকার সাইফুল ইসলামের ছেলে।
আরও পড়ুন: নাটোরে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ আহমেদ জানান, শিশু মোহাম্মদ কয়েকদিন আগে তার মায়ের সঙ্গে নানা বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল। শিশুটি পরিবারের লোকজনের অজান্তে বাড়ির পাশের একটি পুকুরের পানিতে ডুবে মারা যায়।
ওসি আরও জানান, পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই শিশুটির লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে পানিতে ডুবে ভাই ও বোনের মৃত্যু
মাগুরায় ডোবার পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
সিরাজগঞ্জের বালুর স্তুপে চাপা পড়ে শিশুর মৃত্যু
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বালুর স্তুপের নিচে চাপা পড়ে আব্দুর রহমান (৭) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার পঞ্চকোশী ইউনিয়নের রাঘববাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
শিশু আব্দুর রহমান রাঘববাড়িয়া গ্রামের মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মঙ্গলবার দুপুরে ফুলজোড় নদীর তীরে স্তুপ করে রাখা বালুর পাশে তিন শিশু খেলা করছিল। হঠাৎ বালুর স্তুপ ধসে পড়লে তারা বালুর নিচে চাপা পড়ে। এসময় শিশু মাসুদ রানা ও আব্দুল্লাহ বের হতে পারলেও আব্দুর রহমান বালুর নিচে চাপা পড়ে। বেঁচে যাওয়া দুই শিশুর কান্নাকাটিতে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে কোদাল দিয়ে বালু সড়িয়ে প্রায় এক ঘণ্টা পর শিশু আব্দুর রহমানের লাশ উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আগুনে দগ্ধ হয়ে ৬ বছরের শিশুর মৃত্যু
মণিরামপুরে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
চট্টগ্রামে আগুনে দগ্ধ হয়ে ৬ বছরের শিশুর মৃত্যু
চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায় অগ্নিকাণ্ডে ছয় বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।
আরও পড়ুন: অপু বিশ্বাসের ভুল স্বীকার
নিহত অরিত্রী চক্রবর্তী বোয়ালখালী উপজেলার পোপাদিয়া ইউনিয়নের বিডগ্রামের সঞ্জয় চক্রবর্তীর মেয়ে।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, সোমবার উপাসনালয়ে রাখা মোমবাতি থেকে কাপড়ের গায়ে আগুন লেগে পুড়ে যায় অরিত্রী। পরে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পরে চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে রেফার করেন।
পোপাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য কিশোর ভানজো তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: করোনায় আরও ৫ জন আক্রান্ত, মৃত্যু নেই
তেজগাঁওয়ে ট্রেনে আগুনের বিষয়ে যা বললেন ডিএমপি কমিশনার
মণিরামপুরে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
যশোরের মণিরামপুরে পুকুরের পানিতে ডুবে জাবের হোসেন নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে উপজেলার টুনিয়াঘরা গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। এই ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
জাবের ওই গ্রামের সাহাবুর খানের ছেলে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
জাবেরের বাবা সাহাবুর খান জানান, সকালে জাবের বাড়িতে খেলছিল। একপর্যায়ে মা সোহাগী খাতুন ছেলেকে খুঁজতে থাকেন। পরে বাড়ির অদূরে প্রতিবেশী আব্দুল আজিজ খানের পুকুরে ছেলেকে ভাসতে দেখে তিনি চিৎকার দেন। পরে দ্রুত জাবেরকে উদ্ধার করে মণিরামপুর হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের ইনচার্জ উপসহকারী মেডিকেল অফিসার আলেক উদ্দিন জানান, হাসপাতালে আনার আগেই শিশুটির মৃত্যু হয়।
মণিরামপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আল আমিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: মা-শিশুর মৃত্যুহার কমাতে ৫০০ সরকারি স্বাস্থ্য ইউনিটে ২৪ ঘণ্টা সেবা শুরু: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শিশুর মৃত্যু
সারাদেশে শিশুদের ভিটামিন ‘এ প্লাস’ ক্যাপসুল খাওয়ানো শুরু
সারাদেশে ভিটামিন ‘এ’প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনের মাধ্যমে শিশুদের ক্যাপসুল খাওয়ানো কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মহাখালীতে নিপসম অডিটোরিয়ামে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত টিকা কেন্দ্র (ইপিআই) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। এছাড়া মঙ্গলবার থেকে আগামী শুক্রবার সকাল বিকাল ৪টা পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলবে। একযোগে দেশের সব জেলায় শুরু হয়েছে এ কার্যক্রম।
নাটোর-
২ লাখ ৪৮ হাজার শিশুকে টিকা খাওয়ানোর লক্ষ্য নিয়ে নাটোরে শুরু হয়েছে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন।
মঙ্গলবার সকালে নাটোর শহরের ফুলবাগান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্যাম্পেইনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক আবু নাসের ভূঞাঁ।
তিনি জানান, জেলার মোট ১ হাজার ৩৮৮টি স্থানীয় কেন্দ্র ও তিনটি ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রের মাধ্যমে টিকা খাওয়ানো হবে।
ঝালকাঠি-
ঝালকাঠিতে মঙ্গলবার সকাল ৯টায় পৌরমেয়র লিয়াকত আলী তালুকদার শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাইয়ে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
তিনি বলেন, ছয় মাস থেকে ১১ মাস বয়সী ১০ হাজার ৩২৬ জন শিশুকে নীল রঙের এবং ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৭৮ হাজার ৭১১ জন শিশুকে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে।
এদিকে জেলার চারটি উপজেলা ও দুইটি পৌরসভা নিয়ে মোট ৮২৪টি কেন্দ্রে শিশুদের জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন কর্মসূচির আওয়াতায় ক্যাপসুল খাওয়োনো হয়। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ টিম জেলার বিভিন্ন স্থানে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়োনো হয়।
মাগুরা-
মাগুরায় ৯৩৯টি কেন্দ্রে ১ লাখ ১৮ হাজার ৩৪৮ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার মাগুরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস মাগুরা পৌরসভা ও সিভিল সার্জন অফিসের আয়োজনে পৌরসভা কার্যালয়ে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
তিনি বলেন, জেলার চারটি উপজেলা ও একটি পৌরসভায় মাগুরা জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ১ লাখ ১৮ হাজার ৩৪৮ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
মাগুরা সিভিল সার্জন ডা. শামিম কবির জানান, কর্মসুচি সফল করতে মাগুরা জেলার চার উপজেলা ও একটি পৌরসভায় ৯৩৯টি কেন্দ্রে ছয় মাস থেকে ১১ মাস বয়সী ১২ হাজার ৬৬৭ শিশুকে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল ও ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ১ লাখ ৫ হাজার ৬৮১ শিশুকে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে।
চার দিনব্যাপী এ ক্যাম্পেইনে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত খাওয়ানো হবে। ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে মাগুরায় ৩৯১ জন স্বাস্থ্য কমী ও এক হাজার ৮৭৬ জন স্বেচ্ছাসেবক সেবা প্রদান করছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-
অপুষ্টি জনিত অন্ধত্ব নির্মুল ও শিশু মৃত্যু প্রতিরোধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উদ্বোধন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সিভিল সার্জন ডা. একরামুল্লাহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মৌড়াইল সাহেরা গফুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন এর উদ্বোধন করেন।
তিনি বলেন, ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন এর আওতায় মঙ্গলবার জেলার ৯ উপজেলার ৩০৬ টি ওয়ার্ডে দুই হাজার ৪৩৩ টি কেন্দ্রে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
তিনি আরও বলেন, সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত কার্যক্রম চলবে।
এর মধ্যে- ছয় থেকে ১১ মাস বয়সী ৫৫ হাজার ২৬৫ জন শিশুকে একটি করে নীল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী চার লাখ ৬২ হাজার ২৮৯ শিশুকে একটি করে লাল টিকা খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
উল্লেখ্য অন্ধত্ব প্রতিরোধ সহ স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে বছরে দুই বার এই ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়।
খুলনা-
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, খুলনায় ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে ৩ লাখ ১০ হাজারের বেশি শিশুকে।
মঙ্গলবার সকালে নগরীর ২ নম্বর কাস্টমঘাটস্থ আমিরাবানু বেগম নগর মাতৃসদন প্রাঙ্গণে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
তিনি বলেন, ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল শিশুর শরীরে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এই ভিটামিন দৃষ্টিশক্তি স্বাভাবিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শিশুর মৃত্যুঝুঁকি কমায়।
তিনি আরও বলেন, তাই শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো খুবই জরুরি। ভ্রাম্যমাণ জনগোষ্ঠীর জন্য প্রত্যন্ত এলাকা, রেলস্টেশন, বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাটসহ প্রতিটি স্থানে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
অভিভাবকদের টিকা কেন্দ্রে শিশুদের নিয়ে আসার আহ্বান জানান মেয়র।
এছাড়া খুলনা জেলার ৯টি উপজেলা ও দুইটি পৌর সভায় মোট ১ লাখ ৯১ হাজার ৯৯৪ জন শিশুকে একটি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এবং একটি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
এর মধ্যে ছয় থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুর সংখ্যা ২২ হাজার ৮৭৯ এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী সব শিশুর সংখ্যা ১ লাখ ৬৯ হাজার ১১৫ জন।
কর্মসূচি সফল করতে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ৩১টি ওয়ার্ডের চারটি জোনে ৭১০টি কেন্দ্রে ৬২ জন সুপারভাইজারের তত্ত্বাবধানে ১ হাজার ৪২০ জন স্বেচ্ছাসেবী নিয়োজিত থাকবেন।
এছাড়া খুলনা জেলার দুইটি পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশনসহ ৯টি উপজেলায় ৬৮টি ইউনিয়ন এবং ২০৪টি ওয়ার্ডে ১ হাজার ৬৪১টি কেন্দ্রে ৩ হাজার ২৮২ জন স্বেচ্ছাসেবী নিয়োজিত থাকবেন।
নড়াইল-
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) নড়াইল পৌরসভার ও সিভিল সার্জন অফিসের আয়োজনে নড়াইল পৌর সানফ্লাওয়ার প্রিপারেটরি স্কুলে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী।
সকাল ৮ থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে।
এ বছর নড়াইল জেলার তিনটি উপজেলা ও তিনটি পৌরসভায় ছয় থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৯৩ হাজার ৫০০ শিশুকে একটি করে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর মধ্যে ছয় থেকে ১১ মাস বয়সী ১১ হাজার ৬২২ শিশুকে একটি করে নীল রঙের ‘এ’ ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৮১ হাজার ৮৭৮ শিশুকে লাল রঙের ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
এসময় শিশুর বয়স ছয় মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি ঘরে তৈরি সুষম খাবার খাওয়ানোর বিষয়ে পুষ্টি বার্তা প্রচার করা হয়।
ঝালকাঠি-
মঙ্গলবার সকাল ৯টায় ঝালকাঠির আশা সমন্বিত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম জহিরুল ইসলাম শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাইয়ে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
তিনি বলেন, ঝালকাঠিতে মঙ্গলবার ৮৯ হাজার ৩৭ জন শিশুকে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে। এদের মধ্যে ছয় মাস থেকে ১১ মাস বয়সী ১০ হাজার ৩২৬ জন শিশুকে নীল রঙের এবং ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৭৮ হাজার ৭১১ জন শিশুকে লাল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়।
এছাড়া জেলার চারটি উপজেলা ও দুইটি পৌরসভা নিয়ে মোট ৮২৪টি কেন্দ্রে শিশুদের জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন কর্মসুচির আওয়াতায় ক্যাপসুল খাওয়োনো হয়। এছাড়া ভ্রাম্যমান টিম জেলার বিভিন্ন স্থানে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ায়।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সিভিল সার্জন অফিসের এমও ডা. মোস্তাফিজুর রহমানসহ ঝালকাঠি স্বাস্থ্য বিভাগ ও আশা সমন্বিত স্বাস্থ্যকেন্দ্রের স্বাস্থ্যকর্মীরা।
আরও পড়ুন: