শিশু
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে শিশুদের জন্য শত পুরস্কার
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা শেষে শত পুরস্কার বিতরণ করেছে আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটি।
শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব মিলনায়তনে শনিবার বিকালে শত শিশুদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।
চার ধাপে একশ শিশুদের মাঝে ক শাখার জন্য একটি করে কমিক বুক, গ্লোব, বঙ্গবন্ধুর অবয়ব ক্রিস্টাল, তিন প্যাকেট রং, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার স্বাক্ষরিত সার্টিফিকেট, টপসহ গাছ ও প্রথম স্থান অর্জনকারীদের জন্য বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: মার্চে মুক্তি পাবে ‘বঙ্গবন্ধু’!
এ ছাড়া খ-গ-ঘ শাখার শিশুদের প্রতিটি প্যাকেটে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী, একাত্তরের সহযোদ্ধা, কারাগারের রোজনামচা, আমার দেখা নয়া চীন, শত বর্ষে বঙ্গবন্ধুর বই যুক্ত করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আজ এই শিশুরা ছবি একেঁছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান সব সময় শিশুদের ভালোবাসতেন, আজকের শিশুরা বঙ্গবন্ধুকে বুকে ধারণ করেই আগামীতে দেশকে নেতৃত্ব দেবে, এটাই আশা করি।’
আরও পড়ুন: প্রেস ক্লাব অব ইন্ডিয়ায় ‘বঙ্গবন্ধু মিডিয়া সেন্টার’ উদ্বোধন
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, ‘সমাজ থেকে সাংস্কৃতি হারিয়ে যাচ্ছে। এই বাংলায় হাজার বছরের সংস্কৃতি ছিল ভাটিয়ালি, জারি-সারি ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি। যাত্রাপালা হারিয়ে গেছে, নাটকও হারানোর পথে। সঙ্গীত চর্চা এটাও আবার ধর্মে কোন ক্ষতি হয় কিনা এর জন্য চিন্তায় পড়ে অনেক বাবা-মা নিরুৎসাহিত করেন।’
আওয়ামী লীগ বাঙালি ও বাংলাদেশের এগিয়ে নিতে কাজ করছে জানিয়ে বিশ্ববরেণ্য চিত্রশিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের ভাষা, আমাদের গান, চিত্রকলাসহ সংষ্কৃতি এগিয়ে নিতে হবে। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে তা অন্য আকার ধারণ করতো। আওয়ামী লীগ তো বাঙালির কথা বলছে। বঙ্গবন্ধু বলতেন আমি মুসলমান, আমি বাঙালি। আওয়ামী লীগ সেই আদর্শ ধারণ করে এগিয়ে যাচ্ছে।’
আরও পড়ুন: শিশু হাসপাতালকে ইনস্টিটিউট করতে সংসদে বিল পাস
অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের অভিনন্দন জানিয়ে মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা বলেন, ‘রং তুলির আচড়ে যে ছোট্ট শিল্পীরা নানা আঙ্গিকে চিত্রায়িত করেছেন আমাদের জাতির পিতাকে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। আমাদের জাতির পিতা শিল্প কাব্য গানে চিত্রকলায় চিত্রিত হয়ে এভাবেই বেঁচে থাকবেন প্রতিটি বাঙালির অন্তরে।’
বন ও পরিবেশ উপ-কমিটি চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দকার বজলুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের সাবেক উপ উপাচার্য অধ্যাপক নাসরীন আহমাদ।
আগামী ২০ দিনের মধ্যে স্কুলগামী শিশুদের টিকা দেয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
আগামী ২০ দিনের মধ্যে স্কুলগামী ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুদের টিকা দেয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, ‘এ বিষয়ে আজই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত মোতাবেক আগামী সপ্তাহেই শিশুদের টিকা দেয়ার বিভিন্ন কার্যক্রম শুরু করা হবে। আর ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যেই টিকা দেয়া শুরু হবে।’
শনিবার দুপুরে মানিকগঞ্জ পৌরসভার কার্যালয় প্রাঙ্গণে পৌরসভার উন্নয়নমুলক কাজের মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: দেশে বর্তমানে টিকার সংকট নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, ‘যেহেতু স্কুল-কলেজ খুলে দেয়া হয়েছে। কাজেই আমাদের শিশুদের নিরাপদ রাখতে তাদেরও টিকার আওতায় আনতে হবে।’
শিশুদের উপযোগী আমেরিকার তৈরি ফাইজারের টিকা তাদের দেয়া হবে। সে অনযায়ী টিকা আনার সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। খুব শিগগিরই আগামী কর্মসূচিতে এক কোটিরও বেশি মানুষকে টিকা দেয়া হবে বলেও তিনি জানান।
মতবিনিময় সভায় পৌর মেয়র মো. রমজান আলীর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আবদুল লতিফ, পুলিশ সপার গোলাম মো. আজাদ খান, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট গোলাম মহীউদ্দীন, যুগ্ম সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: আগামী মাসে কোটি মানুষকে টিকা দেয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সভায় পৌরসভার কাউন্সিলররা ও শহর উন্নয়ন কমিটির সদস্যসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
আফগানিস্তান: বিপদে শিশুরা, বিবাদে তালেবান আর অথর্ব জাতিসংঘ
আফগানিস্তানের অবস্থা সকল দিক থেকে খারাপ। পশ্চিমা দুনিয়া আর তাদের সমর্থকরা মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলনা বিতাড়নের জন্য, তাই অর্থনৈতিক চাপ দিচ্ছে শেষ শক্তি হিসেবে। সবকিছু ফেলে রেখে মার্কিনিরা পালিয়েছে কিন্তু তাদের কর্মের বোঝাটা পড়েছে আফগান শিশুদের ওপর। জাতিসংঘ বলছে ১০ লাখ শিশু মৃত্যু ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে, বাকিরা সবাই মহাবিপদে, অতএব পরিস্থিতি নাজুক। তবে শিশুদের বাঁচানো বিশ্ব শক্তির প্রধান ভাবনা নয় এই মুহূর্তে তাও হতে পারে। নারীর অধিকার ক্ষুণ্ন হয়েছে এই যুক্তিতে আফগানদের মার্কিন ব্যাংকে আটকা ৯ বিলিয়ন টাকার মতো, বিশ্ব ব্যাংক, আইএমএফ সেটাই বলছে। কিন্তু এসবই এখন রাজনৈতিক অস্ত্র।
২. জাতিসংঘ সবার কাছে টাকার জন্য ডাক দিয়েছে, কিন্তু তাদের সাহস নেই মার্কিনিদের আফগান টাকা ছাড়তে বলার। এই মুহূর্তে মার্কিনিরা খুব আহত ও আঘাত প্রাপ্ত, ব্যাংকে টাকাটা ছাড়ার চাপ দেয়ার কোনো হাতিয়ার নেই। আর জাতিসংঘ নির্ভর করে পশ্চিমাদের ওপর, কারণ দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর সৃষ্ট এই জাতিসংঘ অনেকটাই পশ্চিমা নিয়ন্ত্রিত। তাদের চাঁদায় জাতিসংঘ আমলাবাহিনী চলে, তাই পশ্চিমাদের ওপর চাপ দেয়ার সুযোগ কম। খুচরা টাকা পয়সা আসছে আহ্বানে কিন্তু বড় মাপের টাকাটা নয় যেটা আছে মার্কিন ব্যাংকে। বিশ্ব ব্যাংকের কথা মার্কিনিদের মতো। নারী অধিকার রক্ষা করতে তারা টাকা আটকিয়েছে। টাকাটা আফগানিস্তানের।
৩. মূল উদ্দেশ হচ্ছে তালেবানদের বিপদে ফেলা কিন্তু সেটা করতে বাইরের শক্তির দরকার হবে না মনে হয়। তাদের ভেতরে দ্বন্দ্ব প্রবল। তালেবান একক সত্তা নয়, অনেকগুলা গোষ্ঠীর মোর্চা। আফগান সমাজ গোত্র ভিত্তিক, তাদের নিজস্ব সংগঠন আছে। এদের এক হতে সাহায্য করে আমেরিকা রাশিয়ার বিরুদ্ধে। কিন্তু তাতে তালেবান এক হয়ে যায়না, নিজেদের মধ্যে ঝগড়া লেগেই আছে। আফগানরাই এক নয়, যার শ্রেষ্ঠ উদাহরণ পাঞ্জশির। মুসলমানরাও এক নয় তার উদাহরণ আইএস ও তালেবান দ্বন্দ্ব।
৪. এটা তো মার্কিনিদের না জানা থাকার কথা নয়। তালেবান যে মধ্যযুগীয় ভেড়া পালা অর্থনীতির গোষ্ঠী, কোনোভাবে বর্তমান অর্থনীতির সাথে পেরে উঠবে না সেটা জানার পরও ২০ বছর ছিল ক্ষমতায়। সমাজের উন্নতি করতে পারেনি যদিও তাদের নিজ দেশের ব্যাবসায়ীরা অনেক মুনাফা কামিয়েছে। তারা জেনে বুঝে চলে গেছে যে আফগান টাকা ব্যাংকে আটকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে একে ব্যবহার করা যায়। তালেবানদের সামলাবার ক্ষমতা খুবই সীমিত। যে যুদ্ধ তারা না করেই জিতেছে সেটার ক্রেডিট ভাগ করা নিয়ে তাদের নিজেদের ঝগড়া এখন তুঙ্গে। মার্কিনিদের আশা এতে তারা কাবু হবে। কিন্তু প্রতিশোধ ছাড়া এতে কি পাবে বোঝা যাচ্ছে না কারণ তারা তো ফিরতে পারবে না। এর দামটা দেবে আফগান শিশুরা।
৫. শেষ বিপদ জাতিসংঘকে নিয়ে। এই পরিবর্তিত জগতে তাদের দাম এমনিতেই কমছে। এখন আফগানিস্তান বড় পরীক্ষা। পাশ না করলে কি হবে তাদের? এবারে কোভিডকালেই তাদের গুরুত্ব অনেক কমেছে। এখন আরও কমার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।
লেখক: এডিটর এট লার্জ, ইউএনবি
(প্রকাশিত মতামতের দায় লেখকের, ইউএনবির নয়)
আরও পড়ুন: নয়া তালেবান, পুরান তালেবান: তফাৎ কী?
তালেবান মাস্ক না পরলে কি কিছু এসে যায়
‘আফগানিস্তান’ কোনো একক রাষ্ট্র নয়
শেখ হাসিনা সেতুতে মোটর সাইকেলের ধাক্কায় শিশু নিহত
মাগুরার মুহাম্মদপুর উপজেলায় মধুমতি নদীর উপর নির্মিত শেখ হাসিনা সেতুতে মোটর সাইকেলের ধাক্কায় চার বছরের এক শিশু নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত সুরাইয়া হাটখোলারচর এলাকার ভ্যানচালক গোলদার মিয়ার মেয়ে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় আলমসাধুর ধাক্কায় শিশু নিহত
মুহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির হোসেন জানান, মঙ্গলবার দুপুরে মুহাম্মদপুর শেখ হাসিনা সেতুর ওপর দিয়ে দুইজন আরোহী নিয়ে একটি মোটর সাইকেল বেপরোয়া গতিতে যাওয়ার সময় সুরাইয়াকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত হয়েছেন ওই দুই মটর সাইকেল আরোহী।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় ভ্যানচাপায় শিশু নিহত
এ ঘটনায় মুহাম্মদপুর থানায় মামলা হয়েছে।
ঝিনাইদহে শিশুদের নিউমোনিয়া, সেবা পেতে ভোগান্তি
ঝিনাইদহে শীতের আগেই বেড়েছে শিশুদের নিউমোনিয়া, জ্বরসহ শ্বাসতন্ত্রের রোগের প্রকোপ। প্রতিদিন ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে গড়ে ৩০ থেকে ৩৫ জন শিশু ভর্তি হচ্ছে। হাসপাতালে শয্যা আর জনবল সংকটে বাড়তি রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে চিকিৎসক ও নার্সরা।
মঙ্গলবার ঝিনাইদহ সদর হাসাপাতালের শিশু ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের ৮ শয্যার বিপরীতে ভর্তি আছে ১১৫ জন শিশু। যাদের অধিকাংশই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। অন্য সময় হাসপাতালে গড়ে ৪০ থেকে ৫০ জন রোগী থাকলেও বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ৩০ থেকে ৩৫টি শিশু নতুন করে ভর্তি হচ্ছে। নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়াসহ শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে জেলার অন্য হাসপাতালগুলোতেও। ৬ থেকে ১৮ মাস বয়সী শিশুরা বেশি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। শয্যার বিপরীতে কয়েকগুণ বেশি রোগীর সেবা দিচ্ছে, হিমশিম খাচ্ছে নার্সরাও।
সদর উপজেলার কমলাপুর গ্রামের লতিফ মিয়া বলেন, ‘আমি আজ ৮ দিন হাসপাতালে আমার ছাওয়ালকে (ছেলে) নিয়ে আইছি। প্রথমে ঠাণ্ডা আর কাশি হইছিল। হাসপাতালে আসার পর ডাক্তার বলছে ডাবল নিউমোনিয়া হয়ছে। কফ উঠাচ্ছি আর ঔষুধ খাওয়াচ্ছি। আল্লার রহমতে এখন একটু ভালো।’
শৈলকুপা উপজেলার কাঁচেরকোল গ্রাম থেকে আসা ২ মাস বয়সী রাবেয়াকে ভর্তি করা হয়েছে রবিবার বিকালে। কাল সকাল থেকে এখন তার শারীরিক অবস্থা কিছুটা ভালো। রাবেয়ার বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘কাল বিকালে আইচি। ডাক্তার এখনও আসিনি। রাতে মাত্র একজন নার্স আর আয়া ছিল। ওষুধ দিয়া হয়ছে। এখন বাচ্চা ভালো আছে।’
আরও পড়ুন: কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে ঠাকুরগাঁওয়ের কারখানায়, সুদ মওকুফের দাবি ব্যবসায়ীদের
শিশুকে বলাৎকারের অভিযোগে কিশোর গ্রেপ্তার
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় সাড়ে পাঁচ বছর বয়সী ছেলে শিশুকে বলাৎকারের অভিযোগে এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ইউনিয়নের নিউ চাষাড়া জামতলা এলাকায় গত রবিবার সন্ধ্যার এই ঘটনায় মামলা হওয়ার পর ত্বোহা ইয়াসিনকে (১৪) সোমবার সকালে গ্রেপ্তার করা হয়।
ত্বোহা ইয়াসিন জামতলার শরাফত আলীর ভাড়াটিয়া সাইফুল ইসলামের ছেলে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিশুটির মা বাদী হয়ে তাকে অভিযুক্ত করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর জানান, অভিযুক্ত ত্বোহা ইয়াসীনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর ভুক্তভোগী শিশুটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: সাভারে শিশু ধর্ষণ ও বলাৎকারের ঘটনায় গ্রেপ্তার ২
মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে বাদীর পাচঁ বছর ছয় মাস বয়সী ছেলে তাদের ভাড়া বাসার সামনে অবস্থান করছিল। তখন ত্বোহা তাকে বিভিন্ন ধরনের প্রলোভন দেখিয়ে তার ভাড়া বাসার ৭ম তলার সিড়ির ফাঁকা জায়গায় নিয়ে যায়। সেখানে তাকে জোর করে বলাৎকার করে। এতে শিশুটি মারাত্বক অসুস্থ হয়ে পড়ে। বাসায় এসে মাকে জানালে তিনি প্রতিবেশিদের সহযোগিতায় ছেলেকে নিয়ে দ্রুত শহরের জেনারেল ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে যান। সেখানেই সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: মাদ্রাসায় পাগল বানিয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে শিশুদের বলাৎকার
রাজধানীতে ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে কিশোর গ্রেপ্তার
রাজধানীর হাজারীবাগের কালুনগরে রবিবার সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে ১৬ বছরের এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রবিবার রাতে ভুক্তভোগী শিশুকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়।
শিশুর মা জানায়, ১৬ বছর বয়সী কিশোর তার মেয়েকে ফুসলিয়ে বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করে।
বাসায় ফিরলে শিশুটির অসুস্থ হওয়ার কারণ জানতে চাইলে সে ঘটনা জানায়। পরে তাকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
হাজারীবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মহাসিন আলী বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে এবং অভিযুক্ত কিশোরকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
আরও পড়ুন:ধর্ষণ মামলায় আসামির যাবজ্জীবন
কোম্পানীগঞ্জে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে ‘মামা শ্বশুর’ গ্রেপ্তার
সিলেটে বোমা বিস্ফোরণে আহত শিশুর অবস্থা সংকটাপন্ন
সিলেটের কানাইঘাটে প্রায় দশ দিন আগে এক বোমা বিস্ফোরণে আহত শিশু সুলতান (১০) এখন গুরুতর আহত অবস্থায় ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সংকটাপন্ন অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছে।
গত ১ সেপ্টেম্বর বোমার আঘাতে তার ডান হাতের একটি আঙুলের অর্ধেকাংশ পুড়ে যায়। বাকি ৪টি আঙুলও স্প্রিন্টারের আঘাতে চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে গেছে। বাম হাতের অবস্থা আরও নাজুক। বাম চোখ অস্ত্রোপচার করে ফেলে দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে তার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ থেকে ১৭টি স্প্রিন্টার বের করেছেন চিকিৎসকরা।
এদিকে ঘটনার পর থেকে এলাকার মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ঘটনার পর ১০দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তার কোনও তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করতে পারেনি কানাইঘাট থানা পুলিশ। শঙ্কায় রয়েছেন শিশু সুলতানের পরিবারও।
জানা গেছে, উপজেলার রাজাগঞ্জ ইউনিয়নের ফতেহগঞ্জ গ্রামের প্রবাসী ফরিদ উদ্দীনের বসতঘরে গত ১ সেপ্টেম্বর রাত ৮টার দিকে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই শিশু সুলতান বোমার আঘাতে গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
আরও পড়ুন: বিস্ফোরণের ফুলকি থেকে কেরানীগঞ্জের টিনশেড মার্কেটে অগ্নিকাণ্ড
পরে ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ সরেজমিন ছুটে গেলেও কোন আলামত জব্দ না করেই চলে আসে। তবে ঘটনাস্থলে পৌছেঁ পুলিশ ভিডিও ধারণ করে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীর পরিবার।
এদিকে আহত সুলতানের বড় ভাই মাহমুদ হাসান জানান, একই গ্রামের আমিন উদ্দীনের স্ত্রী সাফিয়া বেগম এবং নুর উদ্দিনের ছেলে রাসেল রবির জড়িত থাকার ব্যাপারে সন্দেহ করছেন।
এ ব্যাপারে কানাইঘাট থানার এসআই মজম্মিলের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ওই শিশুর মা আমাদের কোনও তথ্য দিতে পারেননি। এছাড়া বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় তদন্তকাজে বিলম্ব হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় বোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণে স্বামী-স্ত্রী আহত
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দু-একদিনের ভেতরেই আলামত সংগ্রহ করা হবে। তিনি আরও বলেন, ঘটনার সাথে যে বা যারা জড়িত থাকবে তাদের অবশ্যই খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।
ভোলায় পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
ভোলার লালমোহন উপজেলায় পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার লালমোহন ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের চাটিকা দুলা বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত শিশুরা হলো-উপজেলার লালমোহন ইউনিয়নের মো. শাহিনের ছেলে মো. সাইদ (৫) ও একই ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মো. জাকিরের মেয়ে মীম (৪)।
আরও পড়ুন: বরিশালে পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
লালমোহন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শাহজান মিয়া সাংবাদিকদের জানান, মীম ওই এলাকায় তার নানা বাড়িতে বেড়াতে আসে। সকালের দিকে মীম পার্শ্ববর্তী মো. শাহিনের সাথে বাড়ির দরজায় খেলতে যায়। এসময় তারা দু'জনই দরজার পুকুরে পড়ে যায়। পরে পরিবারে লোকজন বিভিন্নস্থানে খুঁজেও তাদের না পেয়ে বাড়ির পাশের পুকুরে ভাসতে দেখে ওই দুই শিশুকে। এরপর তাদের উদ্ধার করে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: ভাসানচরে পানিতে ডুবে ৩ রোহিঙ্গা শিশুর মৃত্যু
লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাকসুদুর রহমান মুরাদ জানান, খবর পেয়ে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগে সিআইডি কর্মকর্তার স্ত্রী গ্রেপ্তার
নাটোরে গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগে এক সিআইড কর্মকর্তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুনসুর রহমান জানিয়েছেন, ঢাকায় কর্মরত সিআইডির এসআই খন্দকার আতিকুর রহমানের স্ত্রী সুমি বেগম। তিনি নাটোর সদর উপজেলার পাইকেরদোল এলাকার মানসিক প্রতিবন্ধী আব্দুল মতিনের কিশোরী কন্যা শ্যামলীকে গৃহকর্মী হিসেবে তাদের কাছে রেখে দেন।
তিন বছর তাদের কাছে থাকা অবস্থায় নানা শারীরিক নির্যাতন চালানো হয় শ্যামলীর ওপর। শ্যামলীর মায়ের চাপের মুখে বুধবার বিকালে পরিবারের সাথে দেখা করার জন্য শ্যামলীকে তার মায়ের কাছে নিয়ে যায় সুমি বেগম।
আরও পড়ুন: গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগে নায়িকা একা গ্রেপ্তার
মাকে কাছে পেয়ে শ্যামলী তার ওপর চালানো নির্যাতনের বর্ণনা দিতে শুরু করলে সুমি বেগম জোর করে শ্যামলীকে সেখান থেকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
আরও পড়ুন: পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে শিশু গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগ
এসময় চিৎকার চেঁচামেচির এক পর্যায়ের স্থানীয় লোকজন জড় হয়ে সুমি বেগমকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। নানা দেনদরবারের পর মধ্যরাতে শ্যামলীর মা নার্গিস খাতুনের দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী সুমি বেগমকে।