খুন
চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
চট্টগ্রাম মহানগরীর হালিশহর থানার নয়াবাজার এলাকায় সংঘবদ্ধ দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে স্থানীয় এক যুবক খুন হয়েছেন।
রবিবার (২৮ মে) ভোর ৪টার দিকে নয়াবাজার বিশ্বরোড় মোড়ে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবক মো. আজাদ (৩০) পাহাড়তলী থানার নয়াবাজারের নাজির বাড়ির মোহাম্মদ লাভু ইব্রাহিমের ছেলে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে রিকশাচালক দগ্ধ
এদিকে মৃত্যুর আগে আজাদ তার খুনি কয়েকজনের নাম বলে গেছেন। তার বক্তব্য অনুযায়ী তারা হলো- রাজু ও ওসমানসহ আরও কয়েকজন।
প্রতক্ষ্যদশীরা জানায়, ভোরে নয়াবাজার মোড়ে সাত থেকে আটজন সন্ত্রাসী আজাদের ওপর হামলা চালায়। তাদের ছুরিকাঘাত তার পেটে লাগে।
পরে স্থানীয়রা আজাদকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে।
পূর্ব শত্রুতার জেরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয়রা জানায়।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুল আলম আশেক জানান, নয়াবাজার এলাকায় ছুরিকাঘাতে আহত এক যুবককে চমেক হাসপাতালে আনার পর সকাল ৯টার দিকে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও বলেন, তার লা্শ মর্গে রাখা আছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে স্ত্রীর মামলায় আইনজীবী কারাগারে
চট্টগ্রামে আগুনে পুড়ে প্রতিবন্ধী নারীর মৃত্যু
নরসিংদীতে ছাত্রদল নেতা খুন: বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা খোকনসহ ৭০ জনের নামে মামলা
নরসিংদীতে পদবঞ্চিত দুই ছাত্রদল নেতাকে হত্যার ঘটনায় ৭০ জনের নামে মামলা করা হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাতে নরসিংদী সদর থানায় নিহত ছাত্রদল নেতা সাদেকুর রহমানের ভাই আলতাফ হোসেন বাদী হয়ে এই মামলা করেন।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও নরসিংদী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক খায়রুল কবির খোকন ও তার স্ত্রী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানাসহ ৩০ জনের নামে মামলা করা হয়েছে এবং বাকিরা অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি।
নিহতেরা হলেন- ছাত্রদল নেতা সাদেকুর রহমান (৩২) ও আশরাফুল ইসলাম (২০)।
মামলার বেশিরভাগ আসামীরা স্থানীয় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী।
মামলার আসামি জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মহসিন হোসেন বিদ্যুৎ, চিনিশপুরের ব্যবসায়ী কামাল হোসেন ও তার ভাতিজা রাসেলকে শুক্রবার রাতে জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত আরেক ছাত্রদল কর্মীর মৃত্যু
মামলায় উল্লেখ করা হয়, আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে চিনিশপুরস্থ জেলা বিএনপি কার্যালয় এলাকায় পদবঞ্চিত ছাত্রদল নেতাদের মোটরসাইকেল শোভাযাত্রায় সংঘবদ্ধ হামলা চালিয়ে দুই ছাত্রদল নেতা সাদেকুর রহমান ও আশরাফুল ইসলামকে গুলি করে হত্যা করে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিহত সাদেকুর রহমান সাদেকের বড় ভাই আলতাফ হোসেন বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে মামলাটি করেন।
জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মহসিন হোসেন বিদ্যুৎসহ তিনজনকে এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে চিনিশপুরে জেলা বিএনপির কার্যালয় সংলগ্ন স্থানে জেলা ছাত্রদলের নবগঠিত আংশিক কমিটি বাতিলের দাবিতে পদবঞ্চিত ছাত্রদল নেতাদের মোটরসাইকেল শোভাযাত্রায় হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এতে ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সদ্য বহিষ্কৃত সাদেকুর রহমান ও ছাত্রদল নেতা আশরাফুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয়। ওইদিন সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেলে মারা যায় সাদেকুর রহমান ও পরদিন শুক্রবার সকালে মৃত্যু হয় আশরাফুল ইসলামের।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে প্রতিপক্ষের গুলিতে ছাত্রদলনেতা নিহত, আহত ১
নরসিংদীতে বহিষ্কৃত ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ভাংচুর করল বিএনপির কার্যালয়
হত্যা-খুনের রাজনীতি থেকে বিএনপি বেরিয়ে আসতে পারেনি: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি হত্যা-খুনের অপরাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি।
তিনি বলেন, বিএনপির রাজশাহী জেলা আহ্বায়ক প্রধানমন্ত্রীকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে। এতেই প্রমাণিত হয় বিএনপি আসলে ষড়যন্ত্রের রাজনীতিটাই করছে। বিএনপি নেতাদের মনে এবং দলের মধ্যে এটাই ঘুরপাক খাচ্ছে। আর সেটাই তাদের রাজশাহী জেলা আহ্বায়কের মুখ ফসকে বেরিয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: দেশের বিষয়ে বিদেশিদের কাছে ধর্ণা দেওয়া ‘দেশবিরোধী’ কাজ: তথ্যমন্ত্রী
সোমবার (২২ মে) দুপুরে সচিবালয়ে টেলিভিশন নাট্য পরিচালকদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ড বাংলাদেশের নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদ সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিকরা এ সময় ঢাকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস থেকে তাদের নাগরিকদের বাংলাদেশে চলাফেরায় সতর্কবার্তা জারি নিয়ে প্রশ্ন করলে হাছান মাহমুদ বলেন, মার্কিন দূতাবাসের এটি করা খুবই স্বাভাবিক। বিএনপি যেভাবে গাড়ি-ঘোড়া ভাঙচুর করা শুরু করেছে, আবার যেভাবে গাড়িতে আগুন দেওয়া শুরু করেছে, এগুলো দেখেই তো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের নাগরিকদের সতর্ক করেছে।
তিনি বলেন, বিএনপি ও বিএনপির নেতৃত্বে তাদের জোট যদি এ রকম জ্বালাও-পোড়াও করতে থাকে তাতে অনেকেই এমন সতর্ক করতে পারে।
মন্ত্রী বলেন, এটি বিএনপির অপরাজনীতিরই ফসল।
বাংলাদেশ টেলিভিশনের অনুষ্ঠানগুলোর মান নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, সারাদেশ বিবেচনায় নিলে মানুষ বাংলাদেশ টেলিভিশনই বেশি দেখে। বিটিভি’র অনুষ্ঠানে বহু গুণগত পরিবর্তন এসেছে। যেকোনও টেলিভিশনের চেয়ে বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রোগ্রামের মান এখন অনেক উন্নত।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, নাটক, টেলিফিল্ম ও সিনেমাতে সমাজের জন্য বার্তা থাকা দরকার।
এর আগে ডিরেক্টরস গিল্ডের সঙ্গে সভায় তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা সব টেলিভিশনকে উৎসাহ দিচ্ছি, যাতে তারা বাংলাদেশের শিল্পী, কলাকুশলীদের নিয়ে দেশের কৃষ্টি, সাংস্কৃতিক, ঐতিহ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ সিরিয়াল বানায়।
আরও পড়ুন: বিএনপির আন্দোলনের ঘোষণা কাগুজে বাঘ ছাড়া কিছু নয়: তথ্যমন্ত্রী
একইসঙ্গে, সেগুলো যেন সমাজকে ভালো জিনিস শেখায়। যে কোনো সিরিয়াল বা নাটক যেমন বিনোদন দেবে, পাশাপাশি যদি সেখানে সমাজ হিতৈষী বার্তা থাকে, তাহলে সেটিকে আমি যথার্থ এবং পরিপূর্ণ মনে করি।
এদিকে ডিরেক্টরস গিল্ড সভাপতি অনন্ত হীরা সংগঠনের পক্ষে তিনটি প্রস্তাব তুলে ধরেন।
চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্টে ডিরেক্টরস গিল্ডের একজন প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্তি, টেলিফিল্মকে আলাদা ক্যাটাগরিতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের আওতায় আনা এবং টেলিভিশনের মাধ্যমে কর্মরতদের পেশার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাব উত্থাপন করেন তিনি।
সহ-সভাপতি মনোজ সেনগুপ্ত বিটিভিতে ডিরেক্টরস গিল্ড সদস্যদের পালাক্রমে কাজে সুযোগ দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনার প্রস্তাব দেন।
মন্ত্রী প্রস্তাবগুলো পর্যালোচনার আশ্বাস দেন এবং বলেন, বাংলাদেশে টেলিভিশনের সংখ্যা যতো বৃদ্ধি পাচ্ছে, নাটকের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশি সিরিয়াল বৃদ্ধি পাচ্ছে, এটি ক্রমবর্ধমান সেক্টর।
আমরা বাংলাদেশে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে যথেচ্ছভাবে বিদেশি সিরিয়াল প্রচারের লাগাম টেনে ধরেছি। কোনো টেলিভিশন চ্যানেলে একসঙ্গে একটার বেশি সিরিয়াল প্রচার করতে দিচ্ছি না। অনেক দেশের সিরিয়াল দেখানোর জন্য যেমন আমাদের কাছে আবেদন আসে কিন্তু, আমরা সবগুলো দেই না।
কারণ সেসব দেশের সমাজ ব্যবস্থার সঙ্গে আমাদের সমাজ ব্যবস্থা ভিন্ন। এতে অনেক টেলিভিশন সতর্ক হয়েছে এবং তারা নিজেরা সিরিয়াল বানাচ্ছে। আগে এ বিষয়ে অনুমতির বালাই ছিলো না, প্রধানমন্ত্রী আমাকে এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়ার পর থেকে আমরা এ ব্যবস্থা নিয়েছি।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘও শেখ হাসিনার দেশ পরিচালনার স্বীকৃতি দিচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
লালমনিরহাটে মদ নিয়ে দ্বন্দ্ব, বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন
লালমনিরহাটের পাটগ্রামে মদ খাওয়াকে কেন্দ্র করে এক বন্ধু তার অন্য বন্ধুকে হত্যা করে তিস্তা নদীর বালু চরে লাশ পুতে রাখে।
শুক্রবার বিকালে ওই উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রাম এলাকায় তিস্তা নদীর চরে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আইউব আলী (২৬) নামে এক ব্যক্তি তার বন্ধু রফিকুল ইসলামকে (২২) হত্যা করে। এদের দুই জনের বাড়ি দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলায়।
খবর পেয়ে পুলিশ রফিকুলের লাশ উদ্ধারসহ এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আইউব আলীকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: মুক্তিযোদ্ধা শফিউদ্দিন হত্যার ২০ বছর পর খুনি গ্রেপ্তার
পুলিশ জানায়, পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রাম এলাকায় শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে আসেন দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার চকদফর গ্রামের ইনসান আলীর ছেলে আইউব আলী (২৬)।
শুক্রবার দুপুরে বন্ধুর শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে আসেন একই উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের চিলকুড়া গ্রামের রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে রফিকুল ইসলাম (২২)।
দুই বন্ধু বিকালে তিস্তা নদীর চরে ভারতীয় সীমান্তে গিয়ে ভারতীয় মদ পান করেন। মদ খাওয়া নিয়ে দুই বন্ধুর মাঝে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। একপর্যায়ে আইউব আলী রশি দিয়ে তার বন্ধু রফিকুল ইসলামের গলা পেঁচিয়ে হত্যা করে লাশ বালুতে পুতে রাখে।
পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় লাশ উদ্ধারসহ এ ঘটনায় আইউব আলী নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
হত্যাকাণ্ডের শিকার রফিকুল ইসলামের বড় ভাই আমজাদ হোসেন বাদী হয়ে স্থানীয় থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে জোড়া খুন: স্থানীয় শ্রমিক লীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ৮
চট্টগ্রামের প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে ২ যুবক খুন
রাবি অধ্যাপক ড. তাহের খুন: ২ আসামির ফাঁসি স্থগিত চেয়ে রিট
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় চূড়ান্ত রায়ে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া দুই আসামির ফাঁসি কার্যকর স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।
রবিবার (৭ মে) একজনের ভাই ও অপরজনের স্ত্রী এ রিট করেছেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবী তাজুল ইসলাম।
তিনি জানান, আসামিদের আটক, গ্রেপ্তার ও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণে সংবিধান ও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনার ব্যত্যয় হয়েছে। তাই এক আসামির ভাই ও আরেক আসামির স্ত্রী পৃথক রিট আবেদন করেছেন। রিটে ফাঁসি কার্যকর স্থগিত চাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাবি অধ্যাপক তাহের হত্যা মামলা: দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে বাধা নেই
এর আগে ২ মে আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি ও যাবজ্জীবন দণ্ডিত এক আসামির আবেদন খারিজের রায় প্রকাশ করা হয়েছে।
আইন অনুসারে এখন রায়টি বিচারিক আদালত হয়ে কারাগারে যাবে। তবে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইতে পারবেন।
৩ মে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন জানিয়েছিলেন, এখন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করতে পারবেন। সেটা খারিজ করে হলে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে।
ড. তাহেরর মেয়ে আইনজীবী সেগুফতা তাবাসুম আহমেদ জানান, রিভিউ খারিজের রায় হাতে পেয়েছি। এটা একটা আশার আলো। এখন আশা করছি অতি দ্রুত কার্যকর হবে।
এর আগে গত ২ মার্চ অধ্যাপক এস তাহের আহমেদ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা দুই আসামিসহ দণ্ডিত তিনজনের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন খারিজ করেন আপিল বিভাগ।
ওই রায় লেখার পর গতকাল এর পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়।
২০০৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কোয়ার্টারের বাসার বাইরের ম্যানহোলে তাহেরের লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় সেদিন তার ছেলে মতিহার থানায় মামলা করেন। মামলায় ২০০৮ সালের ২২ মে রায় দেন বিচারিক আদালত।
রায়ে চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। দুজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
বিচারিক আদালতের রায়ের পর আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আসামিরা আপিল করেন।
২০১৩ সালের ২১ এপ্রিল রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীরের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। জাহাঙ্গীরের ভাই আবদুস সালাম ও সালামের আত্মীয় নাজমুলকে মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এরপর হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা আপিল ও জেল আপিল করেন। যাবজ্জীবন দণ্ডিত আসামিদের সাজা বৃদ্ধি চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করে। পৃথক আপিল খারিজ করে এবং হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে গত বছরের ৫ এপ্রিল আপিল বিভাগ রায় দেন।
সাক্ষী ও আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি পর্যালোচনা করে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়, এটি স্পষ্ট মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বিভাগের অধ্যাপক হওয়ার পথ পরিষ্কার করতে অধ্যাপক তাহেরকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন।
মহিউদ্দিন উচ্চশিক্ষিত ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সহযোগী অধ্যাপক ছিলেন। অধ্যাপক তাহের জীবিত থাকলে এই পদে মহিউদ্দিনের পদোন্নতি পাওয়ার সুযোগ শূন্য এ ধারণা থেকে শুধু অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পাওয়ার উদ্দেশ্যেই তাহেরকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিয়েছেন তিনি।
জাহাঙ্গীর আলম, আবদুস সালাম ও নাজমুল আর্থিক সুবিধা, সেবা ও কম্পিউটার পেতে অধ্যাপক তাহেরকে হত্যায় মহিউদ্দিনের প্রস্তাব গ্রহণ করেন ও সে অনুযায়ী অধ্যাপক তাহের হত্যার অপরাধ সংঘটন করেন।
গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়। পরে মৃত্যুদণ্ড বহালের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীর এবং যাবজ্জীবন সাজা পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবদুস সালাম পৃথক আবেদন করেন।
চেম্বার আদালত হয়ে রিভিউ আবেদন আপিল বিভাগে ওঠে।
গত ২ মার্চ আপিল বিভাগ তিন আসামিরই রিভিউ আবেদন খারিজ করে আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: অধ্যাপক তাহের হত্যা মামলার রিভিউ খারিজ, ২ আসামির ফাঁসি বহাল
অধ্যাপক তাহের হত্যা: মহিউদ্দিনের ফাঁসি কার্যকর স্থগিত
শেরপুরে চালককে খুন করে ইজিবাইক ছিনতাই
শেরপুরে চালককে খুন করে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (২৯ এপ্রিল) সকালে সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের ভীমগঞ্জ এলাকায় রাস্তার পাশ থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত মো. উজ্জ্বল মিয়া (৪০) উপজেলার খুনুয়া মধ্যপাড়া এলাকার হলু মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: দামুড়হুদায় নিখোঁজের ২দিন পর ইজিবাইক চালকের লাশ উদ্ধার
পুলিশ ও স্থানীয়দের ধারণা, দুর্বৃত্তরা উজ্জ্বলকে খুন করে ধানখেতে লাশ ফেলে রেখে ইজিবাইক ছিনতাই করে নিয়ে পালিয়ে গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক নিয়ে যাত্রী বহনের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন চালক উজ্জ্বল মিয়া। তবে গভীর রাতেও বাড়ি না ফিরলে তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে পরিবারের লোকজন।
শনিবার সকালে ভীমগঞ্জ বাজারের পাশে জোড়া ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় ধানখেতের আইলে এক ব্যক্তির লাশ পড়ে থাকতে দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে লাশটি উজ্জ্বলের বলে শনাক্ত করে।
পুলিশ নিহত উজ্জ্বলের লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে।
এ ব্যাপারে শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সাইদুর রহমান জানান, আমরা প্রাথমিকভাবে তদন্ত করছি। এ ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করতে কাজ চলছে। আশা করছি দ্রুতই জড়িতদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ইদানিং রাতে ইজিবাইক নিয়ে বের হওয়ার পর সকালে চালকের লাশ উদ্ধারের ঘটনা ঘটছে। আমরা এটি রোধে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে বাস-ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২
মাগুরায় ইজিবাইকের চাপায় শিশু নিহত
শেরপুরে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে স্বামী আটক
শেরপুর সদরে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (২৮ এপ্রিল) গভীর রাত ৩টার দিকে সদর উপজেলার চর মোচারিয়া ইউনিয়নের চর ভাবনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত আসমা আক্তার (৪০) চর মোচারিয়া ইউনিয়নের হরিণধারা গ্রামের আজিজুল ইসলামের মেয়ে।
অভিযুক্ত আনিস মিয়া চরভবনা গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় কাপড়ের দরদামকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে দুই যুবক নিহতের ঘটনায় আটক ২
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আসমা আক্তার ও আনিস মিয়া দম্পতির দুজনেরই দ্বিতীয় বিয়ে ছিল এটি। আনিস বর্তমানে ঢাকায় একটি ইটভাটায় চাকরি করেন। কিছুদিন ধরে আনিস তার স্ত্রী আসমার কাছে টাকা দাবি করেন। এর জের ধরে শনিবার ভোর ৩টার দিকে ঝগড়ার এক পর্যায়ে আনিস ভারি কিছু দিয়ে আসমার মাথায় আঘাত করলে তিনি মারা যান।
বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য স্বামী আনিস ৯৯৯- এ ফোন করে জানান, তার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে বিষয়টি সন্দেজনক মনে হওয়ায় আনিসকে আটক করে এবং তার স্ত্রীর লাশ থানায় নিয়ে যায়।
নিহতের মা ময়না বেগম বলেন, ‘শুক্রবার আসমাকে তাদের বাড়ি থেকে আনিস নিজবাড়িতে নিয়ে যায়। শনিবারই আনিসের বাড়িতে মেয়ে খুন হয়।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘জামাই আনিস আমার মেয়ের কাছে আড়াই লাখ টাকা চেয়েছিলো। সেই টাকা দিতে না পারায় আমার মেয়ে আসমাকে তার স্বামী আনিস খুন করেছে।’
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নিহতের স্বামী আনিসকে আটক রাখা হয়েছে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরে এক কেজি স্বর্ণ জব্দ, আটক ১
সুদানে আটকা পড়া বাংলাদেশিদের জেদ্দা হয়ে ফিরিয়ে আনা হবে: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
আখাউড়ায় ভাইয়ের হাতে ভাই খুনের অভিযোগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে বড় ভাইকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের নোনাসার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আব্দুর রহমান (৫০) এবং অভিযুক্ত খলিলুর রহমান ওই গ্রামের আব্দুল কাদির মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রথমবারের মতো হাফ ম্যারাথন দৌড় অনুষ্ঠিত
পরিবার সূত্রে জানা যায়, আব্দুর রহমানের বসতবাড়ি ও পুকুরের জায়গা নিয়ে ছোট ভাই খলিলুর রহমান সঙ্গে একাধিক মামলাসহ ২০ বছর ধরে বিরোধ চলে আসছে। সোমবার দুই ভাইয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়।
এরই জের ধরে সন্ধ্যায় আব্দুর রহমান মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে বাড়িতে আসার পথে খলিলুর রহমান ও তার ছেলে তানভীর ও বাবুসহ পাঁচ থেকে ছয়জনের একটি দল লোহার রড দিয়ে তাকে বেধরক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুল ইসলাম জানান, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত খলিলুর রহমান পলাতক।
ওসি আরও বলেন, এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইজনকে থানায় আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মহাসড়কে দুর্ঘটনা কমাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া হাইওয়ে পুলিশের অভিযান শুরু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রাক্টর খাদে পড়ে নিহত ২
মাগুরায় প্রতিপক্ষের হামলায় কৃষক খুন
মাগুরা সদরে প্রতিপক্ষের হামলায় এক কৃষক নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার মনিরামপুর গ্রামে এ হামলা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
নিহত আতর মোল্লা (৪৫) মনিরামপুর গ্রামের সালাম মোল্লার ছেলে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় ছেলের মামলায় মৃত্যুর একমাস পর কবর থেকে বাবার লাশ তুলে ময়নাতদন্ত!
নিহতের স্বজনরা জানান, এলাকার একটি বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে সালিশ বৈঠকে স্থানীয় গ্রাম্য মাতবর আব্দুল মান্নান ও অপর গ্রাম্য মাতবর মুরাদ মোল্লার সমর্থকদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। তা নিয়ে সন্ধ্যায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
এ সময় উভয় পক্ষের ২০ জন আহত হয়।
ওই ঘটনার জের ধরে বৃহস্পতিবার বিকালে ইফতারের আগে আতর মোল্লাকে তার বাড়ির কাছে একা পেয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষের লোকজন।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় সন্ধ্যার পর মাগুরা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তবরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত আতর মোল্লা গ্রাম্য মাতবর আব্দুল মান্নানের সমর্থক ছিলেন বলে স্থানীয়রা জানান।
মাগুরা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক কৃষ্ণ বিশ্বাস বলেন, হাসপাতালে আসার আগেই আতর মোল্লার মৃত্যু হয়েছে।
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জব্বারুল ইসলাম বলেন, সামাজিক বিরোধের সঙ্গে নতুন করে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় খুন হয়েছেন আতর মোল্লা।
তিনি আরও বলেন, এলাকায় পরবর্তী সহিংসতা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় ট্রাক-কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ, নিহত ২
মাগুরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ১১
সুনামগঞ্জে ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুনের অভিযোগ
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে পারিবারিক কলহের জেরে ছোট ভাইয়ের পাথরের আঘাতে বড় ভাই খুনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার (২৬ মার্চ) বিকালে উপজেলার বড়দল দক্ষিণ ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের বড়দল গ্রামের পুরানহাটিতে এ ঘটনাটি ঘটে। অভিযুক্ত ছোট ভাইকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত খোরশেদ আলম (৩৮) উপজেলার বড়দল গ্রামের পুরানহাটির সাবেক মেম্বার মৃত কনাই মিয়ার বড় ছেলে।
অভিযুক্ত ছোট ভাইয়ের নাম আশ্রাফুল আলম (৩৫)।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধ: ফুফাতো ভাইয়ের হাতে মামাতো ভাই খুন, আটক ৫
জানা গেছে, নিহত খোরশেদ আলম নিজ বাড়ির পূর্বপাশে থাকা টিউবওয়েলে পারিবারিক কাজে গেলে তার আপন ছোট ভাই আশ্ররাফুল আলম টিউবওয়েলে আসতে বাধা দেন এবং গালিগালাজ করতে থাকেন। পরে রেগে গিয়ে আশ্ররাফুল আলম টিউবওয়েলের পাশে থাকা পাথর দিয়ে বুকে আঘাত করলে এক পর্যায়ে খোরশেদ আলম মাটিতে লুঠিয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিক তার পরিবারের লোকজন তাকে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে বড়দল দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মো. ইউনুস আলী বলেন, আমি ঘটনাটি জানার সঙ্গে সঙ্গে গিয়েছি, এ ঘটনায় আমি নিজেও মর্মাহত হয়েছি।
তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সৈয়দ ইফতেখার হোসেন হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, হত্যার অভিযোগে নিহত খোরশেদ আলমের আপন ছোট ভাই আশ্ররাফুল আলমকে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফটিকছড়িতে ছুরিকাঘাতে প্রবাসী খুন, গ্রেপ্তার ২
নেত্রকোণায় খুনের ১৫ বছর পর যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার