খুন
নেত্রকোণায় খুনের ১৫ বছর পর যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় ১৫ বছর আগে খুনের ঘটনায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
শনিবার ভোর ৫টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার চকচন্দ্রপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে ময়মনসিংহ র্যাব-১৪।
গ্রেপ্তার মো. রতন (৩৮) নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার সোহাগপুর গ্রামের আব্দুস সাহেদের ছেলে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ৪ জেলায় হত্যাসহ ১৪ মামলার আসামি গ্রেপ্তার
শনিবার দুপরে র্যাব-১৪ এর মিডিয়া অফিসার জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন জানান, ২০১৪ সালে যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া এই আসামিকে শনিবার ভোর ৫টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কসবার চকচন্দ্রপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি জানান, সোহাগপুর গ্রামে ২০০৭ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৯টার দিকে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হন তোয়াজ্জেম নামের এক কৃষক। জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে গরু জবাইয়ের ছুরি দিয়ে গলায় কুপিয়ে তাকে হত্যা করা হয়।
আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, এ ঘটনায় নিহত তোয়াজ্জেমের ছেলে আরিফ হাসান বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেন। পরে মামলার তদন্ত শেষে ছয় জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: ডিএমপির মাদকবিরোধী অভিযানে ৭৪ জন গ্রেপ্তার
ঝালকাঠিতে স্বামীকে খুন, ৯৯৯-এ ফোন করে স্ত্রীর আত্মসমর্পণ!
ঝালকাঠির রাজাপুরে পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামীকে হত্যা করে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন স্ত্রী। সোমবার (১৩ মার্চ) ভোরে উপজেলার পুটিয়াখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রবিউল আওয়াল তালুকদার (৩৯) এবং অভিযুক্ত স্ত্রীর নাম সাফিয়া খাতুন (৩৩)।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় দ্বিতীয় বিয়ে করায় স্বামীকে খুন
জানা যায়, ৯৯৯-কলটেকার কনস্টেবল ইকরামুল কলটি রিসিভ করেছিলেন। ইকরামুল তাৎক্ষণিকভাবে রাজাপুর থানায় বিষয়টি জানিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জানায়। সংবাদ পেয়ে রাজাপুর থানা পুলিশের একটি দল অবিলম্বে ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসবাদে জানা যায়, দুই সন্তানের মা সাফিয়া খাতুন তার অটোচালক স্বামী রবিউল আওয়াল তালুকদারকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন। তাদের মধ্যে নিত্য পারিবারিক কলহ লেগে থাকত।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসবাদে আরও জানা যায়, স্ত্রী সন্দেহ করতেন তার স্বামী আরেকটি বিয়ে করেছেন এবং যে কোনও সময় তাকে হত্যা করতে পারেন। সে সন্দেহ ও আশংকার বশবর্তী হয়ে স্বামীকে হত্যা করেন।
রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পুলক চন্দ্র রায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, থানায় এ সংক্রান্তে একটি মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: স্বামীকে খুনের পর ৩ দিন লাশের সাথে অবস্থান, স্ত্রী গ্রেপ্তার
বান্দরবানে কুকি-চিন বিচ্ছিন্নতাবাদীদের গুলিতে সেনা ওয়ারেন্ট অফিসার নিহত
সুনামগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধ: ফুফাতো ভাইয়ের হাতে মামাতো ভাই খুন, আটক ৫
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে জমি নিয়ে বিরোধে ফুফাতো ভাইয়ের হাতে মামাতো ভাই খুনের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) রাতে উপজেলার উত্তর উস্তাংগেরগাও গ্রামে এ র্ঘটনা ঘটে।
নিহত আব্দুল খালিক (৪০) ওই একই গ্রামের বাসিন্দা।
এ ঘটনায় সুমন, লায়েক, রানা, আলী হোসেনসহ পাঁচজনকে পুলিশ আটক করেছে।
দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেব দুলাল ধর জানান, বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার উত্তর উস্তাংগেরগাও গ্রামে দুই শতক জায়গা নিয়ে মামাতো ভাই ও ফুফাতো ভাইদের মধ্যে সালিস বৈঠক বসে। খালিকের বাসায় বৈঠকটি বসে। বৈঠকে তার তিন ফুফাতো ভাই সুমন মিয়া, জুয়েল আহমদ, লায়েক আহমেদ এবং মামাতো ভাই আব্দুল খালিক (৪০), আব্দুল হক (৩০) ও আহমদ মিয়া (৬০) যোগ দেন।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুনের অভিযোগ
তিনি আরও বলেন, এক পর্যায়ে রাত সাড়ে ১১টায় সুমন বসতঘরের পেছন থেকে দা নিয়ে এসে মামাতো ভাই খালিকের মাথায় কোপ দেন। এ সময় খালিকের ভাই আব্দুল হক ও আহাদ মিয়াকেও পিটিয়ে আহত করেন সুমনের ভাইয়েরা।
ওসি আরও জানান, খালিককে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
শুক্রবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার লাশ ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মাগুরায় ভাইয়ের হাতে ভাই খুন, গ্রেপ্তার ১
খোকসায় ডাকাতির সময় গলায় তার পেঁচিয়ে বৃদ্ধাকে খুন, আটক ১
কুষ্টিয়ার খোকসায় ডাকাতির সময় গলায় তার পেঁচিয়ে এক বৃদ্ধাকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলা পৌর এলাকার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বি-মির্জাপুর গ্রামের শহিদুজ্জামানের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে হাসপাতাল থেকে লাশ নিয়ে বাড়ি ফিরে তালাবদ্ধ ঘর খুলে এক ডাকাতকে পাওয়া যায়।
নিহতের নাম মনোয়ারা বেগম।
আটক জিহাদ ওই গ্রামের হেলাল শেখের ছেলে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে বিএনপির ৫০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দুই মামলা, গ্রেপ্তার ১০
জানা গেছে, ডাকাতরা বৃহস্পতিবার বিকালে শহিদুজ্জামানের বাড়িতে হানা দেয়। এসময় গৃহকত্রী মনোয়ারা বেগম তাদের চিনে ফেলেন। একপর্যায়ে ডাকাতেরা মনোয়ারা বেগমের গলায় বিদ্যুতের মোটা তার ও ওড়না পেঁচিয়ে ফেলে রেখে যায়। এ সময় মনোয়ারা সংজ্ঞাহীন ছিলেন। পরে প্রতিবেশীরা টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বৃদ্ধার মৃত্যু নিশ্চিত হয়ে পরিবারের লোকেরা লাশ নিয়ে বাড়ি ফিরে আসে। এ সময় গৃহকত্রীকে যে ঘর থেকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল সেই ঘরের তালা খুলে প্রতিবেশী জিহাদকে আটক করে। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
নিহতের ছেলে বাসারুজ্জামান বলেন, তিনি বাড়ির বাইরে ছিলেন। ফোনে মায়ের অসুস্থতার কথা জেনে হাসপাতালে ছুটে যান। সেখানে মাকে মৃত পেয়েছেন। তবে বাড়ি ফিরে অনুমান করছেন, ডাকাতেরা তার পাঁচ ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ অর্থ নিয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, ডাকাতেরা সংখ্যায় কয়েকজন ছিল। তাদের দুইজন মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। আর ঘরে আটকা পড়ে প্রতিবেশীর ছেলে জিহাদ।
খোকসা পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও ১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান টিপু ঘটনার বর্ণনা দিয়ে জানান, তিনি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে তার ভাবি মনোয়ারার গলায় বিদ্যুতের তার ও ওড়না পেঁচানো অবস্থায় পান। ঘরে তালা দিয়ে বৃদ্ধাকে (ভাবিকে) হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে লাশ নিয়ে বাড়ি ফিরে বন্ধ ঘরের তালা খুলে জিহাদকে পান।
খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আশিকুর রহমান জানান, হত্যাকাণ্ডটি রহস্যজনক। আটক যুবকের দাবি, সে প্রতিবেশীর মৃত্যুর খবর শুনে গিয়েছিল।
আবার পরিবারের লোকেরা হাসপাতালে জানায়, বৃদ্ধা বিদ্যুতায়িত হন। এ ব্যাপারে কোনো মামলা হয়নি।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ, গ্রেপ্তার ১
সিলেটে কলেজছাত্রী সোনিয়া হত্যা: মামাতো ভাই গ্রেপ্তার
প্রেমিকসহ স্ত্রীকে খুন, স্বামীর আমৃত্যু কারাদণ্ড
লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে প্রেমিক ইউসুফসহ স্ত্রী রিনা বেগমকে হত্যার দায়ে ইব্রাহিম খলিল (৪০) নামে এক যুবককে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একইসঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত ইব্রাহিম রামগতি উপজেলার চরলক্ষ্মী গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে মাদক মামলায় ৩ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড
লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, রিনা ও তার প্রেমিক ইউসুফ অনৈতিক কাজে লিপ্ত ছিলেন। বাড়িতে এসে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ধারালো ছুরি দিয়ে ইব্রাহিম তাদের হত্যা করে।
তিনি আরও বলেন, আদালতে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এতে আদালত তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন।
রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
আদালত ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, ইব্রাহিম ফেনীর একটি ইটভাটার মাঝি ছিলেন। রামগতি চরলক্ষ্মী গ্রামের বেলাল মাঝির ছেলে ইউসুফ ইটভাটার শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। এতে প্রায়ই ইউসুফ তার বাড়িতে যেতেন। একপর্যায়ে ইব্রাহিমের স্ত্রী রিনার সঙ্গে ইউসুফের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। ২০১৭ সালের ৩ জুন ইফতারের সময় ইউসুফ ওই বাড়িতে যায়। এর প্রায় ১৫ দিন আগে ইউসুফ কাজ থেকে চলে আসে। পরে তিনি এলাকায় দিনমজুর হিসেবে কাজ করতেন। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় ফেনী থেকে ইব্রাহিম বাড়িতে এসে রিনা ও ইউসুফকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ইব্রাহিম দুজনকেই ঘরে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। ইউসুফকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসকের কাছে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। ইউসুফকে হত্যার ঘটনায় পরের দিন তছলিমা বেগম বাদী হয়ে রামগতি থানায় মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা: ৫ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড
এছাড়া আহত অবস্থায় রিনাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৬ জুন চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে রিনা মারা যান। পরে নোয়াখালীর সুধারাম থানায় নিহতের মা জানু বেগম একটি জিডি করেন।
এদিকে হত্যা দুটি একই ঘটনা হওয়ায় ১১ জুন মামলাটি রামগতি থানার মামলার সঙ্গে সংযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়। ঘটনার দিনই গ্রেপ্তার ইব্রাহিমকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যার ঘটনা স্বীকার করে তিনি জবানবন্দি দেন।
একই বছরের ১২ নভেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও রামগতি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সালাহ উদ্দিন আল মাহমুদ আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বুধবার আদালত এই রায় দেন।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে ধর্ষণ ও ২ শিশু হত্যা মামলায় একজনের আমৃত্যু কারাদণ্ড
ঠাকুরগাঁওয়ে বাবাকে খুন করে থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ!
ঠাকুরগাঁওয়ে বাবাকে হত্যার পর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছে তার ছেলে। রবিবার দিবাগত রাত ৩টায় পৌর শহরের শান্তিনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত ছেলের নাম গোলাম আজম (২৯)। তার বাবার নাম ফজলে হক (৬৯)।
পুলিশ জানায়, ওই মহল্লার গোলাম আজম রাতে থানায় গিয়ে জানায় যে সে তার বাবা ফজলে হককে কুপিয়ে হত্যা করেছে। দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনালে হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। পরে গোলাম আজমকে পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয়। পরিবারের লোকজন দূরে থাকায় হত্যার ঘটনাটি কেউ জানতে পারেননি বলে জানায় গোলাম আজম।
প্রতিবেশীরা জানায়, গোলাম আজম রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশুনা শেষ করেছেন। পারিবারিক বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে বাবা-ছেলের মধ্যে মাঝে মধ্যে বাকবিতণ্ডা হতো। এরই ধারাবাহিকতায় ঘরের ভেতরে থাকা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা তাদের।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে কুড়ালের কোপে প্রাণ গেল ধান ব্যবসায়ীর
পুলিশি হেফাজতে নেয়ার আগে সাংবাদিকেরা হত্যার বিষয়ে জানতে চাইলে গোলাম আজম বলেন, আমার নামের সমস্যা। নাম গোলাম আজম হওয়ায় কোথায় চাকরি হয়নি। সবখানেই নাম পরিবর্তন করতে বললে বিষয়টি আমার বাবাকে বারবার জানালেও তিনি নাম পরিবর্তন করতে দেননি। রাজশাহীতে ছাত্র থাকাবস্থায় নামের কারণে ২ বার জেল হাজতেও যেতে হয়েছে। আমি সুস্থ, আমাকে মানসিক রোগী বানিয়ে বিভিন্ন অত্যাচার-নির্যাতন করা হয়েছে। আমি মানসিক রোগী নই; বিষয়টি বারবার বোঝানোর চেষ্টা করলেও আমার বাবা বিষয়টি গুরুত্ব দেননি। এ অবস্থায় ৩ মাসের শিশু নিয়ে আমার স্ত্রী বাবার বাড়িতে চলে যায়। সবকিছু মিলিয়ে আমি হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছি।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, গোলাম আজম নিজেই তার বাবাকে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করেছেন। এ বিষয়ে গোলাম আজমের মা রমিশা বানু বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। তদন্ত শেষে হত্যাকাণ্ডের মূল বিষয় জানা যাবে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে এসএসসিতে ফেল করায় ছাত্রীর আত্মহত্যা
ঠাকুরগাঁওয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত
বগুড়ায় টাকার জন্য স্কুল শিক্ষার্থীর হাতে শিক্ষার্থী খুন
বগুড়ার শিবগঞ্জে টাকার জন্য পঞ্চম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রকে খুন করেছে অপর শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় পাঁচ শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ।
বগুড়ার শিবগঞ্জে আবু হুরায়রা নামের ওই ছাত্রকে টাকার জন্য খুন করা হয় বলে জানিয়েছে মোকামতলা পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (ইন্সপেক্টর) আশিক ইকবাল।
আরও পড়ুন: আরবি পড়তে যাওয়ার পথে খুন হলো ৯ বছরের শিশু
নিহত হুরায়রা শিবগঞ্জ উপজেলার কড়িবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং কড়িবাড়ি দক্ষিণপাড়ার মনজুরুল ইসলামের ছেলে। সোমবার রাতে সৈয়দপুর ইউনিয়নের বজলুর মোড় এলাকার একটি বাঁশঝাড় থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এদিকে গ্রেপ্তার পাঁচ শিশুর মধ্যে তিনজন সপ্তম শ্রেণিতে, একজন হাফেজিয়া মাদরাসায় পড়াশোনা করেন ও একজন এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘুরতে যাওয়ার জন্য গ্রেপ্তার পাঁচ শিশু আগে থেকেই পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু তারা টাকা সংগ্রহ করতে পারছিল না। পরে তারা প্রতিবেশি আবু হুরায়রাকে অপহরণ করে টাকা সংগ্রহের পরিকল্পনা করে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী স্কুল ছুটির পর তারা আবু হুরায়রাকে ডেকে নিয়ে হনুমান দেখানোর কথা বলে পাশের এক জঙ্গলে নিয়ে যায়। সেখানে নেয়ার পর তারা জোর করে হুরায়রার সাইকেল কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এতে বাধা দিলে তারা সবাই মিলে হুরায়রাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে সাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়।
পরে তারা স্থানীয় ডাকুমারা হাটে ওই সাইকেল দুই হাজার ৭০০ টাকায় বিক্রি করে।
এদিকে রাত হয়ে যাওয়ার পরেও হুরায়রা বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় জানানো হয় এবং খোঁজাখুঁজি শুরু হয়।
এক পর্যায়ে ডাকুমারা হাটে হুরায়রার সাইকেল দেখতে পেয়ে দোকানীর বরাতে জানা যায় এক কিশোর সাইকেলটি বিক্রি করেছে।
পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত পাঁচ শিশুকে গ্রেপ্তার করে।
মোকামতলা পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আশিক ইকবাল জানান, হুরায়রার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় জোড়া খুন মামলার প্রধান আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত
কুমিল্লায় জোড়া খুন মামলার ২ আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত
বাঁশখালীতে মাদকাসক্ত ব্যক্তির ছুরিকাঘাতে রিকশাচালক খুন
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে মাদকাসক্ত ব্যক্তির এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে এক রিকশাচালকের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (১৪ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
মৃত কোরবান আলী (৩০) পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মনছুরিয়া রঙ্গিয়াঘোনা এলাকার মৃত হাকিম আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ডাকাতদের হাতে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক খুন
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল উদ্দিন বলেন, ছুরিকাঘাতে আহত কোরবান আলীর রাতে চমেক হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে।
এ ঘটনার মূল আসামি জমির উদ্দিনকে আটক করে শনিবার রাতে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে দুর্বৃত্তের হামলায় ২ যুবক খুন
আরবি পড়তে যাওয়ার পথে খুন হলো ৯ বছরের শিশু
কক্সবাজারে ডাকাতদের হাতে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক খুন
কক্সবাজারের রামুতে মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবককে খুন করে দু’টি গরু লুট করেছে ডাকাত দল। ধারণা করা হচ্ছে, ডাকাতদের চিনে ফেলায় ওই যুবককে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের চরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মীর কাশেম ওই এলাকার মৃত নিয়ামত আলীর ছেলে।
লুট হওয়া গরু দু’টির মালিক মোহাম্মদ আলী জানান, রাত ৩টার দিকে তার গোয়াল ঘরে থাকা সাতটি গরু নিয়ে যায় ডাকাত দল। তার মেয়ে রাতে দেখতে পান গোয়ালঘর খালি। এসময় বাড়িতে থাকা জামাই ফারুকসহ পরিবারের সদস্যরা ছুটাছুটি শুরু করে। প্রধান সড়কে গিয়ে দেখতে পান ডাকাত দল সাতটি গরু গাড়িতে তুলতে শুরু করে। এসময় তারা গরুগুলো কেড়ে নেয়ার চেষ্টা চালায়। তখন ডাকাতরা ফারুককে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে তা লক্ষভ্রষ্ট হওয়ায় প্রাণে রক্ষা পান ফারুক।
তিনি আরও জানান, নিহত মীর কাশেম তার ভাতিজা। রাতে ঘটনার পর থেকে তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। সকালে স্থানীয়রা মীর কাসেমের মৃতদেহ পাশ্ববর্তী সবজি ক্ষেতে দেখতে পান। রাতে ডাকাতির সময় মীর কাশেম দেখে ফেলায় ডাকাতরা তাকে শারীরিক নির্যাতন চালায় এবং হাত-পা-মুখ বেঁধে সেখানে ফেলে যায়।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ডাকাতিয়া নদীতে অজ্ঞাত বৃদ্ধের লাশ
গরু লুট করতে আসা ডাকাতরাই মীর কাশেমকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে বলে দাবি করেন মোহাম্মদ আলী।
সকালে রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) অরুপ কুমার চৌধুরী ঘটনাস্থলে যান। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
গৃহকর্তার ছেলে তারেক ও মেয়ে শামীমা আকতার অভিযোগ করেন যে ডাকাতি চলাকালে ৯৯৯-এ কল করে পুলিশের সহায়তা চাইলেও পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে ১ ঘন্টারও বেশি সময় পরে। অথচ থানা থেকে ঘটনাস্থলের দূরত্ব মাত্র এক কিলোমিটার। দেরিতে আসার পরও পুলিশের এক কর্মকর্তা বাড়ির সদস্যদের ৯৯৯-এ কল করায় তাদের বকাঝকা করেন।
ওই কর্মকর্তা বলেন, চুরি হলে আমরা কি করবো, ডাকাতি হলে আসতাম। এসময় স্কুলছাত্রী শামীমাকে উদ্দেশ্য করে পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, তুমি ক্লাস নাইনে পড়, নাইন বানান জানো?
তবে ওই পুলিশ কর্মকর্তার নাম তারা জানাতে পারেননি। সকাল ১০টায় থানায় যোগাযোগ করতে বলেই ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য জাফর আলম জানান, রাতে গরু ডাকাতির সময় মীর কাশেম দেখে ফেলে। মীর কাশেম মানসিক ভারসাম্যহীন। সে অপরিচিত লোকজন দেখলে চিল্লাচিল্লি করে। তাছাড়া গভীর রাত হওয়ায় সে হয়তো চিৎকার দিতে চেয়েছিল। এজন্য ডাকাতরা তাকে মারধর করে এবং হাত-পা-মুখ বেঁধে হত্যা করে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে বিদেশি অস্ত্রসহ ৬ রোহিঙ্গা ডাকাত আটক
মোহাম্মদ আলীর জামাই ফারুক জানান, গরুগুলো গাড়িতে তোলার সময় দুজন ডাকাত তাকে মারধর শুরু করে এবং তাকেও বেঁধে রাখার চেষ্টা চালায়। এসময় তিনি একজনকে ধরে রাখলে আরও চারজন ডাকাত এসে তাকে মারধর করে এবং এক পর্যায়ে তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লেও তিনি প্রাণে রক্ষা পান। পরে বড়সড় দুটি গরু নিয়ে ডাকাতরা গাড়িযোগে পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল হোসাইন জানান, যে মারা গেছে সে মানসিক রোগী। গরু ডাকাতি হয়েছে রাতে, আর তার মৃতদেহ পাওয়া গেছে সকালে। বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করছে।
উল্লেখ্য, রামুতে সাম্প্রতিক সময়ে গরু ডাকাতির ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। পাঁচদিন পূর্বে রাজারকুল ইউনিয়নের সিকদারপাড়া এলাকার নুরুল হকের বাড়িতেও ডাকাত দল হানা দিয়ে চারটি গরু লুট করেছে। একের পর এক ডাকাতির ঘটনায় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ডাকাতির সময় হত্যার দায়ে ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে দুর্বৃত্তের হামলায় ২ যুবক খুন
চট্টগ্রামের বাঁশখালী ও রাঙ্গুনিয়ায় পৃথক সন্ত্রাসী হামলায় দুই যুবক খুন হয়েছে।
নিহতরা হলেন- মুজাহিদ (৩২) ও মো. দুদু মিয়া (৩৮)।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সরফভাটা ইউনিয়নের চার নাম্বার ওয়ার্ডের এজাহার মিয়া ফকিরের বাড়িতে পূর্ব শক্রুতার জেরে সন্ত্রাসীদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে মুজাহিদ ও তার ভাইসহ ছয়জন আহত হয়। তাদের মধ্যে রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান মুজাহিদ। নিহত মুজাহিদ ওই এলাকার মোহাম্মদ হারুনের ছেলে।
সরফভাটা ইউনিয়নের মেম্বার আব্দুল মোনাফ বলেন, পূর্ব শক্রতার জেরে এজাহার মিয়া ফকির বাড়ির দিদারের সঙ্গে এক ব্যক্তির দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ চলে গেলে অন্ধকারে ওই বাড়িতে হামলা চালায় কয়েকজন সন্ত্রাসী । এসময় দিদারকে গুলি করতে গেলে তার ছোট ভাই মুজাহিদের গায়ে গুলি লাগে। পরে স্থানীয় লোকজন হামলাকারীদের ধরার চেষ্টা করলে আরও পাঁচ জনকে কুপিয়ে আহত করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: আরবি পড়তে যাওয়ার পথে খুন হলো ৯ বছরের শিশু
চমেক হাসপাতালের দায়িত্বরত জেলা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আলাউদ্দিন তালুকদার বলেন, রাঙ্গুনিয়া থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মুজাহিদ নামে এক যুবককে নিয়ে আসা হয়। রাত সাড়ে ৯টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আরও ছয়জন হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে।
এদিকে জেলার বাঁশখালীতে কোম্পানির টাকা তুলে ফেরার পথে দৃবৃর্ত্তদের ছুরিকাঘাতে মো. দুদু মিয়া (৩৮) নামে এক বিক্রয় প্রতিনিধি নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার রাত পৌন ৮টার দিকে গন্ডামারা ব্রিজে এ ঘটনা ঘটে। পরে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বাঁশখালী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামাল উদ্দিন তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
নিহত দুদু মিয়া রংপুর জেলার মিটাপুর উপজেলার বীরামপুর ইউনিয়নের মৃত হযরত আলী ছেলে। তিনি কোহিনূর কেমিক্যাল কোম্পানির সেলস অফিসার (ফিল্ড) পদে বাঁশখালী উপজেলায় কর্মরত ছিলেন।
পুলিশ জানায় মঙ্গলবার রাত আনুমানিক রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার গন্ডামারা বাজারের বিভিন্ন দোকান থেকে কোম্পানির টাকা সংগ্রহ করে চাম্বল বাজারে নিজ বাসায় ফিরছিলেন তিনি। এ সময় সন্ত্রাসীরা তার ওপর হামলা করে। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে পেটে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন ও থানা পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে তাকে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে তিনি মারা যান।
আরও পড়ুন: ১২ ঘন্টায় ব্যবধানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরও ১জন খুন
মাদারীপুরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ভ্যানচালক খুন