কুমিল্লা
সরকার স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করলে জনগণ বাধ্য করবে: খন্দকার মোশাররফ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, সরকার স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করলে জনগণ বাধ্য করবে।
শুক্রবার কুমিল্লায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে শনিবার কুমিল্লায় অনুষ্ঠিতব্য সরকারবিরোধী সমাবেশের পরিকল্পনা সম্পর্কে সাংবাদিকদের জানানো হয়।
আরও পড়ুন: বর্তমান ইসির সঙ্গে বিএনপি সংলাপে যাবে না: খন্দকার মোশাররফ
সকাল ১০টায় টাউন হলে সমাবেশ শুরু হয়ে বিকাল ৪টায় শেষ হয়।
সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোশাররফ বলেন, ব্যাপক দুর্নীতি, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যর্থতা এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার কারণে দেশের জনগণ সরকারকে ‘লাল কার্ড’ দেখাবে।
প্রধান বিরোধী দল বিএনপি দীর্ঘদিন ধরেই আগামী জাতীয় নির্বাচন কোনো রাজনৈতিক সরকারের অধীনে নয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হওয়ার দাবি জানিয়ে আসছে। তবে দাবিটি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তীব্রভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।
বিএনপির পক্ষে জানানো হয়, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ; ভোলা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ ও যশোরে পুলিশের অভিযানে দলের পাঁচ নেতাকর্মীর মৃত্যু এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি নিশ্চিত করতে তাদের বিভাগীয় সমাবেশ আয়োজিত হয়ে আসছে।
বৈঠকে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক আমিনুর রশিদ ইয়াছিন, সদস্য সচিব জসিম উদ্দিন, মহানগর আহ্বায়ক উবাতুল বারী আবু ও সদস্য সচিব ইউসুফ মোল্লা টিপু উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ ‘বিদেশিদের’ পরামর্শের ওপর নির্ভর করছে না: খন্দকার মোশাররফ
অর্থ পাচার মামলা: সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফের ভাই গ্রেপ্তার
কুমিল্লার ১০ দর্শনীয় স্থান
কুমিল্লা জেলার দর্শনীয় স্থানসমূহ সমৃদ্ধ শিক্ষা, শিল্প ও সংস্কৃতির পরিচয় বহন করে। চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তর্গত ঐতিহাসিক এই জেলাটি সপ্তম থেকে অষ্টম শতাব্দীর বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের আশ্রয়স্থল। অনেক অনেক আগে এই জেলা সমতট জনপদের অংশ ছিল। কালক্রমে এটি ত্রিপুরা রাজ্যভুক্ত হয়। কুমিল্লা নামটি এসেছে কমলাঙ্ক শব্দ থেকে, যার অর্থ পদ্মের পুকুর। কুমিল্লার পর্যটন আকর্ষণগুলোর মাধ্যমে বিশ্ব দরবারে পরিচিত হয় বাংলাদেশ। এখানে অবস্থিত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সৈন্যদের কবরস্থানটি কমনওয়েলথ ওয়ার গ্রেভস কমিশন দ্বারা রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। আজকের নিবন্ধটি এই গুরুত্বপূর্ণ জেলা কুমিল্লার বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থান নিয়ে।
কুমিল্লা জেলার ১০টি প্রসিদ্ধ দর্শনীয় স্থান
শালবন বৌদ্ধ বিহার
এক সময়কার বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের প্রধান উপাসনালয় শালবন বৌদ্ধ বিহারের অবস্থান কুমিল্লার কোটবাড়িতে। এখানকার বনে প্রচুর পরিমাণে শাল গাছ থাকায় স্বভাবতই বিহারটির শালবন বিহার নাম হয়েছে। বিহারে মোট ১৫৫টি কক্ষ আছে, যেখানে ধর্মচর্চা করতেন বুদ্ধের অনুসারিরা।
এই বিহার থেকে বিভিন্ন সময়ে প্রায় ৪০০টি স্বর্ণ ও রৌপ্য মুদ্রা, ব্রোঞ্জ ও মাটির মূর্তি, সিলমোহর, আটটি তাম্রলিপি এবং অসংখ্য পোড়া মাটির ফলক বা টেরাকোটা পাওয়া গেছে। কুমিল্লা সদর থেকে ২০ টাকা সিএনজি ভাড়ায় কোটবাড়ি বিশ্বরোড হয়ে সরাসরি শালবন বিহার যাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: কলকাতা ভ্রমণ: দর্শনীয় স্থানে যাওয়ার উপায় ও খরচ
ময়নামতি জাদুঘর
কুমিল্লার ঐতিহাসিক নিদর্শনের এক গুরুত্বপূর্ণ সংগ্রহশালা এই ময়নামতি জাদুঘর, যার অবস্থান কুমিল্লা থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে সালমানপুরে। জাদুঘরের ৪২ টি ভিন্ন ভিন্ন সংরক্ষণাগার ঘুরে দেখার সময় চোখে পড়বে ব্রোঞ্জ ও পাথরের ছোট-বড় মূর্তি, স্বর্ণ ও রৌপ্য মুদ্রা, ব্রোঞ্জের বিশাল ঘন্টা, পোড়ামাটির ফলক, মাটির খেলনা, কাঠের পুরানো জিনিসপত্র, মৃৎশিল্প সামগ্রী এবং প্রাচীন হাতে লেখা পান্ডুলিপি।
কুমিল্লার চারপত্র, রূপবান ও কোটিলা মুড়া, শ্রীভবদের মহাবিহার, ইটাখোলা, রানীর বাংলা ও ভোজ রাজবাড়ি বিহার এবং আনন্দ বিহার খননকালে খুঁজে পাওয়া যায় এই প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো। আঙ্গিনার বিশ্রামাগার আর ফুল বাগান জাদুঘরের সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। ১৯৬৫ সালে কোটবাড়ির শালবন বিহারের পাশেই স্থাপন করা হয় এই জাদুঘর। পাশাপাশি হওয়ায় এক সাথে দুটো স্থানই ঘুরে আসতে পারেন পর্যটকরা।
ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি
২য় বিশ্বযুদ্ধের সময় শহীদ হওয়া ব্রিগেডিয়ার পদমর্যাদার সৈনিকদের একটি আন্তর্জাতিক সমাধিক্ষেত্র এই ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি। ২৪ জন জাপানি যুদ্ধবন্দি ও একজন বেসামরিক ব্যক্তি সহ মোট ৭৩৭ জন সৈন্যের কবর আছে এই সমাধিক্ষেত্রে। কমনওয়েলথ পরিচালিত ওয়ার সিমেট্রিটির অবস্থান ময়নামতি সাহেব বাজার এবং কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টের টিপরা বাজারের মধ্যস্থলে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরের ১০ জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান
প্রায় ৪ দশমিক ৫ একর পাহাড়ি ভূমির ওপর গড়ে তোলা ওয়ার সিমেট্রি বাংলাদেশের ২য় কমনওয়েলথ সমাধিক্ষেত্র। স্থানীয় নিবাসীরা একে ইংরেজ কবরস্থান নামে ডাকলেও এখানে সমাহিত সৈন্যদের মধ্যে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ ও ইহুদিও রয়েছেন। কুমিল্লা থেকে সিএনজি-অটোরিক্সা কিংবা বাসে করে পৌছা যায় ময়নামতির এই যুদ্ধের গোরস্থানে।
ধর্মসাগর দীঘি
কুমিল্লা সদরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এই দর্শনীয় স্থানটি। আঙ্গিনায় ঢুকতেই দেখা যায় একটি সাইনবোর্ড, যেখানে লেখা আছে এই দীঘির ইতিহাস। ১৭৫০ থেকে ১৮০৮ সালে রাজা ধর্মপালের শাসনামলে রাজ্যে এক ভয়ানক দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। তখন পাল বংশের এই জনদরদী রাজা প্রজাদের কষ্ট দূর করার জন্য খনন করে দেন ধর্মসাগর দীঘিটি। অতঃপর তার নামেই দীঘিটি প্রসিদ্ধি লাভ করে।
দীঘির উত্তরে সবুজে ঘেরা শিশুপার্ক থেকে ধর্মসাগরের অপরূপ দৃশ্য উপভোগ করা যায়। পর্যটকদের কেউ ধর্মসাগরের পাড় ধরে হেটে বেড়ান, কেউ বা নৌকা নিয়ে ভেসে বেড়ান দীঘির জলে। কুমিল্লার শাসনগাছা থেকে স্থানীয় যে কোন যানবাহন নিয়ে বাদুরতলা পর্যন্ত গেলেই দেখা যাবে ধর্মসাগর।
আরও পড়ুন: কাতার ভ্রমণ: বিভিন্ন শহরের শীর্ষস্থানীয় ১০ দর্শনীয় স্থান
নব শালবন বিহার
কুমিল্লার প্রাচীন নিদর্শনের এক নতুন সংযোজন কোটবাড়ি এলাকার এই বিহারটি। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের শান্তি বিহার নামে পরিচিত এই বিহারটি প্রতিষ্ঠা করা হয় ১৯৯৫ সালের ৮ সেপ্টেম্বর। এখানকার মুল আকর্ষণ আপাদমস্তক ধাতুতে মোড়া প্রায় ছয় টন ওজনের ৩০ ফুট উচ্চতার সোনালী রঙের বুদ্ধের মূর্তি। ২০১৪ সালে থাইল্যান্ডের বৌদ্ধ ধর্মীয় ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে এটি বাংলাদেশকে উপহার দেয়া হয়।
এই বিহার পরিদর্শন করতে হলে কোটবাড়ি বাস স্ট্যান্ড থেকে সিএনজি-অটোরিক্সা দিয়ে বিহার পর্যন্ত যেতে হবে। এছাড়া কুমিল্লা জিরো পয়েন্ট থেকে কান্দিরপাড় সড়ক দিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে যাওয়া যায়। সেখানে বামের রাস্তা ধরে কিছু দূর গেলেই নব শালবন। একই পথে ফেরার সময় কান্দিরপাড় থেকে মনোহরপুর গেলেই মিলবে কুমিল্লার বিখ্যাত মাতৃভান্ডারের রসমালাই।
ইটাখোলা মুড়া
কোটবাড়ির এই স্থানটি মূলত ৭ম বা ৮ম শতকে নির্মিত একটি বৌদ্ধ বিহার। প্রাচীনকাল থেকেই এখানে ইট পোড়ানো হয় বিধায় জায়গাটির নাম হয়েছে ইটাখোলা মুড়া। ইটাখোলা মুড়ায় প্রবেশ করে উপরে উঠে গেলে চতুর্ভূজাকার ক্ষেত্রের মাঝে দেখা যায় বিহারের প্রধান মন্দিরটি।
আরও পড়ুন: বান্দরবান ট্যুর গাইড: সেরা দর্শনীয় স্থানসমূহ
ইটাখোলা মুড়া থেকে এ পর্যন্ত পাওয়া গেছে ১৮ তোলা ওজনের স্বর্ণ, রৌপ্য মুদ্রা, মাটির পাতিলে রক্ষিত সোনার বল, ধ্যাণী বুদ্ধ মূর্তির আবক্ষ অংশ, তাম্রশাসন, মাটির ফলকলিপি, ধাতব ধ্যানীবুদ্ধ অক্ষোভ্য, ধাতব ধ্যানীবুদ্ধ অমিতাভ, অলংকৃত পোড়া মাটির ফলক, গণেশ মূর্তি ও তেলের প্রদীপ।
কোটবাড়ি বাস স্ট্যান্ড থেকে সিএনজি কিংবা অটোরিক্সাযোগে ইটাখোলা মুড়া যাওয়া যায়।
বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি
গাছ-গাছালি ও ফুল বাগানে সুসজ্জিত কোটবাড়ির এই স্থাপনাটি মুলত একটি স্বায়ত্ত্বশাসিত গবেষণা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান। ১৯৫৯ সালের ২৭ মে প্রতিষ্ঠার সময় এটির নাম ছিলো পাকিস্থান গ্রাম উন্নয়ন একাডেমি। পরবর্তীতে পল্লী গবেষক ড. আখতার হামিদ খান এটিকে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমী নাম দেন, সংক্ষেপে যেটি বার্ড নামে সুপরিচিতি লাভ করে।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়া ভ্রমণ গাইড: দর্শনীয় স্থান সমূহ, খরচ
প্রায় ১৫৬ একরের বিশাল জায়গায় রয়েছে ৫টি হোস্টেল, হেলথ ক্লিনিক, চারটি কনফারেন্স রুম, মসজিদ, স্পোর্টস কমপ্লেক্স, লাইব্রেরি, একটি প্রাইমারি স্কুল ও দু’টি ক্যাফেটেরিয়া। বিশেষ অনুমতি নিয়ে এখানে পিকনিক করার সু-ব্যবস্থা আছে। কোটবাড়ি বাসস্ট্যান্ড থেকে হেটেই বার্ড-এ পৌঁছা যায়।
রূপবান মুড়া
কোটবাড়িতে ইটাখোলা মুড়ার ঠিক উল্টো পাশের প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনাটির নাম রূপবান মুড়া। রহিম ও রূপবানের ভালোবাসার কিংবদন্তিতে প্রচলিত আছে এই ঐতিহাসিক স্থান ঘিরে। ৯০-এর দশকে কুমিল্লা-কালিবাজার সড়কের কাছে আবিষ্কৃত হয় এই প্রত্নস্থানটি। এখানে প্রাপ্ত প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো ৭ম থেকে ১২শ শতাব্দীতে নির্মিত হয়েছিলো বলে ধারণা করা হয়।
রূপবান মুড়ার উঁচু বিহারের উপর থেকে সূর্যাস্তের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখার জন্য কুমিল্লা সহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এখানে ভীড় জমান পর্যটকরা। কোটবাড়ি বাস স্ট্যান্ড থেকে যেতে হবে কুমিল্লা-কালির বাজারের পথে। অতঃপর দক্ষিণ দিকে বিজিবি ও বার্ডের মাঝখানে টিলার উপর দেখা যাবে নয়নাভিরাম রূপবান মুড়া।
আরও পড়ুন: সিলেট শহরের দর্শনীয় স্থান: অতুলনীয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সমৃদ্ধ ঐতিহাসিক নগরী
রাণী ময়নামতির প্রাসাদ
কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক ধরে পূর্ব দিকে কমনওয়েলথের ওয়ার সিমেট্রি থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার গেলেই দেখা যাবে এই প্রাসাদ। এই পুরাকীর্তিটির নির্মাণকাল ৮ম থেকে ১২শ শতাব্দীর মাঝের কোনো সময়। সে সময় চন্দ্র বংশের রাজা মানিক চন্দ্র তার স্ত্রী ময়নামতির আরাম আয়েশের জন্য বানিয়ে দেন এই প্রাসাদ।
১৯৮৮ সালে ভূপৃষ্ঠ থেকে তিন মিটার গভীরে থাকা একটি সুড়ঙ্গের সামনে খননের সময় আবিষ্কৃত হয় এই প্রাসাদ। প্রতি বৈশাখের ৭ম দিন থেকে এখানে মাসব্যাপী উদযাপন হয় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বৈশাখী মেলা।
কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট গেইট অথবা কোটবাড়ি বিশ্বরোড থেকে অটোরিকশা নিয়ে ময়নামতি সাহেব বাজার গেলেই দেখা পাওয়া যাবে এই প্রাচীন প্রাসাদের।
আরও পড়ুন: কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে পঞ্চগড় ভ্রমণের উপায়
আনন্দ বিহার
কোটবাড়ির ময়নামতিতে অবস্থিত স্থাপনাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় এই বিহারটি ছিলো উপমহাদেশের সর্বশেষ বৌদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয়। এটি নির্মাণ করেছিলেন দেব রাজবংশের তৃতীয় শাসক শ্রী আনন্দ দেব ৭ম অথবা ৮ম শতাব্দীর প্রথম দিকে। ধারণা করা হয়, ৭ম শতকের শেষ সময়ে এই বিহার ছিলো সমতটের রাজধানী।
নান্দনিক বর্গাকৃতির বিশাল অবকাঠামোর ঠিক মাঝখানে রয়েছে কেন্দ্রীয় মন্দির এবং অপরূপ এক দিঘি। কুমিল্লা সদর থেকে কোটবাড়ির আনন্দ বিহার যাবার পথে বিখ্যাত টমছম ব্রিজ দেখে নেয়া যেতে পারে।
ঢাকা থেকে কুমিল্লা যাওয়ার উপায়
ঢাকা থেকে বাসে অথবা ট্রেনে করে কুমিল্লা যাওয়া যায়। সায়েদাবাদ কিংবা কমলাপুর থেকে বাস যোগে কুমিল্লা যেতে খরচ পড়তে পারে জনপ্রতি ২২০ থেকে ৩৫০ টাকা। এই যাত্রায় সময় নিবে মাত্র আড়াই ঘন্টা। এছাড়া চট্টগ্রামগামী প্রায় সকল ট্রেনই কুমিল্লা স্টেশনে যাত্রী নামায়। ট্রেনের সিটের ধরন ভেদে ভাড়া জনপ্রতি ১৭০ থেকে ৪৬৬ টাকা।
আরও পড়ুন: বনভোজনের জন্য ঢাকার কাছেই ১০টি মনোরম জায়গা
শেষাংশ
ঢাকার খুব কাছে হওয়াতে কুমিল্লা জেলার জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থানসমূহের মধ্যে অনেকগুলোই এক দিনে ঘুরে আসা যায়। আর এ জন্যেই একদিনের ভ্রমণ গন্তব্য হিসেবে ঢাকাবাসীদের কাছে কুমিল্লা অনেক জনপ্রিয়। এরপরেও ভালো ভাবে পুরো জেলাটি ঘুরে দেখার জন্য হাতে যথেষ্ট সময় নিয়ে যাওয়া উচিত। তাছাড়া ঝটিকা সফরে অনেক ছোট ছোট সৌন্দর্য্য চোখ এড়িয়ে যায়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে অনেকের জন্য তা ক্লান্তিকরও বটে। তাই ঢাকার নিরন্তর যান্ত্রিকতা থেকে বেরিয়ে একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে কয়েকটি দিন কুমিল্লায় কাটিয়ে আসা যেতে পারে।
কুমিল্লায় শিশু ধর্ষণের পর হত্যায় ২ জনের ফাঁসির আদেশ
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে শিমু আক্তার নামে দশ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় দুইজনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার সকালে কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুন এ রায় দেন।
এছাড়া তাদেরকে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৫ মার্চ সকালে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার হাতিমারা গ্রামের এক কৃষকের শিশু কন্যা শিমু আক্তারকে ধর্ষণের করা হয়। ধর্ষণের বিষয়টি শিমু তার বাবাকে জানাবে বললে ধর্ষক বাচ্চু মিয়া ও আমির হামজা ক্ষুব্ধ হয়ে দা দিয়ে কুপিয়ে তাকে হত্যা করে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা, একজনের ফাঁসির আদেশএ ঘটনায় নিহত শিমু আক্তারের পিতা মনোহরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় বাচ্চু মিয়া ও আমির হামজাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের প্রেরণ করলে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেন। হত্যাকাণ্ডের প্রায় ১ বছর পর ২০১৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি দুইজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। মামলায় ১৬ জনের সাক্ষগ্রহন শেষে মঙ্গলবার এই রায় দেয় আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মনোহরগঞ্জ উপজেলার হাতিমারা গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে বাচ্চু মিয়া এবং একই গ্রামের মৃত মোস্তফা ভূঁইয়ার ছেলে আমির হামজা। আদালতের এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।
আরও পড়ুন: তানিয়া ধর্ষণ-হত্যা: ২ জনের ফাঁসির আদেশ
চট্টগ্রামে প্রবাসীকে গলাকেটে হত্যা মামলায় ৯ জনের ফাঁসির আদেশ
কুমিল্লা মহানগর আ. লীগের সভাপতি বাহার ও সা.সম্পাদক রিফাত
কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে নতুন ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহার ও বর্তমান মেয়র আরফানুল হক রিফাতের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার সকালে কুমিল্লা টাউনহল মাঠে মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন শুরু হয়।
সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সম্পাদক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের অপর প্রেসিডিয়াম মেম্বার মোফাজ্জর হোসেন চৌধুরী মায়া। প্রধান বক্তা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এবং বিশেষ বক্তার বক্তব্য রাখেন সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, ত্রাণ ও সমাজকল্যান সম্পাদক বাবু সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুর সবুর ও তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ।
আরও পড়ুন: আ.লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভা শুক্রবার
স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিটি মেয়র আরফানুল হক রিফাত। সভাপতিত্ব করেন মহানগর আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার।এছাড়া কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের আরও নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
সম্মেলন উপলক্ষ্যে নগরীর সর্বত্র উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।নগরীর প্রধান সড়কগুলো ছেয়ে গেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের ছবিসম্বলিত ফেস্টুন-ব্যানারে।
প্রসঙ্গত, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার ছয় বছর পর ২০১৭ সালের ২২ জুলাই কেন্দ্র থেকে প্রথমবারের মতো মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: চতুর্থ শিল্প বিপ্লব নিয়ে আ.লীগের দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি
ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে বিপুল জনসমাগম
কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জন নিহত
কুমিল্লার চান্দিনায় বাসের ধাক্কায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকসহ চারজন নিহত হয়েছেন। সোমবার সকাল সোয়া ১১টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চান্দিনা কাঠেরপুল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-চান্দিনা উপজেলার নাওতলা এলাকার খোকন মিয়ার মেয়ে তন্নী আক্তার ও তার মেয়ে মুনতাহা, একই উপজেলার বাগমারা এলাকার আবু ইউসুফের মেয়ে রাজিয়া আক্তার এবং দেবিদ্বার উপজেলার ছোটনা এলাকার বাবুলের ছেলে মো. হাবীব।
আরও পড়ুন: পাবনায় সড়ক দুর্ঘটনায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, যাত্রী নিয়ে দেবিদ্বার উপজেলার আশরা এলাকা থেকে অটোটি কুমিল্লার দিকে যাচ্ছিল।এ সময় ঢাকা থেকে চট্টগ্রামমুখী একটি বাস অটোকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হন। হাসপাতালে নেয়ার পথে আরও দুজনের মৃত্যু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী বাসযাত্রী জালাল উদ্দিন রিমন জানান, অটোরিকশাটিকে বেপরোয়া গতির একটি বাস পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এর পর পেছন থেকে অপর একটি পিকআপও চাপা দেয়। এতে অটোটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হন।
ময়নামতি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ঘটনাস্থলে দুই নারী নিহত হয়েছেন। ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক মেয়েশিশু ও অটোচালক মারা গেছেন।
ঘাতক বাস ও পিকআপকে আটকের চেষ্টা করছি বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
বরগুনায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
ধাক্কা দিয়ে সরকার ফেলে দেয়া যাবে না: হানিফ
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার কচু পাতার পানি নয়, তাই ধাক্কা দিয়ে সরকার ফেলে দেয়া যাবে না।
শনিবার দুপুরে কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে সদর দক্ষিণ উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
হানিফ বলেন, বিএনপি স্বপ্ন দেখছেন, সরকারকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিবেন। এটা আওয়ামী লীগ সরকার। এ দলের শিকড় বাংলার মাটিতে অনেক গভীরে।
আরও পড়ুন: চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি মানবিকতার সঙ্গে বিবেচনা করুন: হানিফ
তিনি আরও বলেন, ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের যত মানুষকে হত্যা করেছেন, ২০১৩-১৪ ও ১৫ সালে তথাকথিত আন্দোলনের নামে যত মানুষকে হত্যা করেছেন, এই পাপের দায়ভার বিএনপিকে বহন করতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক মুজিব এমপি।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম সারওয়ারের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক শ্রী সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, কুমিল্লা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান বাবলু সহ কেন্দ্রীয় ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা।
সভায় অর্থমন্ত্রী ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ.হ.ম মুস্তফা কামাল ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: সরকারের অধীনেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে: হানিফ
জনগণ যতদিন চাইবে ততদিন আ.লীগ রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকবে: হানিফ
কুমিল্লায় ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে ৬ যাত্রী আহত
কুমিল্লায় কর্ণফুলী ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে ছয় যাত্রী আহত হয়েছেন। শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের সদর দক্ষিণ উপজেলায় বিজয়পুর বাজার সংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা
আহতরা হলেন- নাঙ্গলকোট উপজেলার সামিউল্লাহ (১৮), রাজু (২১), রকি (২০), হৃদয় (২০), ব্রাহ্মনবাড়ীয়া জেলার কসবা উপজেলার কুটি এলাকার মো. আলম (২০), ও মোবারক হোসেন (৩০)।
আহতদের মধ্যে আলম ও মোবারকের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
কুমিল্লা রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. শহিদুর রহমান জানান, ট্রেনের ছাদে করে যাত্রীরা চট্টগ্রামের উদ্দেশে যাওয়ার সময় বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে ছয়জন ছিটকে নিচে পড়ে যায়।
পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেনের ধাক্কায় বৃদ্ধের মৃত্যু
সিরাজগঞ্জে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু
কুমিল্লায় গৃহবধূ হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
২০১৬ সালে এক নারীকে হত্যার দায়ে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার একটি আদালত।
মঙ্গলবার সকালে কুমিল্লার জেলা ও দায়রা জজ মো. হেলাল উদ্দিন তিনজনকে এ সাজা দেন। মামলার আরেক আসামিকে বেকুসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, মেঘনা উপজেলার শিকিরগাঁও এলাকার সুমন ও রাকিব এবং মানিকারচর এলাকার তাছির। তাদের মধ্যে তাছির পলাতক রয়েছে।
খালাস পাওয়া টিটু একই এলাকার বাসিন্দা।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সাল ২০ জুন সন্ধ্যায় মেঘনা উপজলার মানিকারচর এলাকার গৃহিনী জামিলা বেগম নিখোঁজ হন। এর চারদিন পর বাড়ি সংলগ্ন একটি ফসলি জমি থেকে জামিলার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় ২৫ জুন জামিলার স্বামী ভ্যানচালক আবদুল হাকিম বাদী হয় মেঘনা থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় গৃহবধূ হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
ময়মনসিংহে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে হত্যা, ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড
মৃত্যুদণ্ড গভীরভাবে ত্রুটিপূর্ণ ও অন্যায্য
কুমিল্লা সীমান্ত থেকে ৩০ রোহিঙ্গা আটক
কুমিল্লার বুড়িচং সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে ভারত যাবার সময় ৩০ রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার খাড়েরা সীমান্ত এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়েছে।
আটক হওয়া রোহিঙ্গারা কক্সবাজারের টেকনাফের কুতুপালং ট্রানজিট ক্যাম্পের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে মাইন বিস্ফোরণে রোহিঙ্গা কিশোর নিহত
বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ওসি জানান, কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাঁচটি পরিবার অবৈধ ভাবে ভারতে পাড়ি দেয়ার চেষ্টা করে। এর মধ্যে ছয় জন পুরুষ,আট জন নারী এবং ১৬ জন শিশু। এসব রোহিঙ্গারা বুধবার সড়ক পথে যানবাহন পাল্টে-পাল্টে কক্সবাজার থেকে কুমিল্লা আসে। বৃহস্পতিবার তারা ভারতে প্রবেশের চেষ্টা চালায়।
ওসি আরও বলেন, সীমান্ত পাড়ি দেয়ার সময় খাড়েরা ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা তাদের আটক করে বুড়িচং থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
তাদেরকে কক্সবাজারে সংশ্লিষ্ট ক্যাম্পে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুর্বৃত্তের গুলিতে শিশু নিহত
বঙ্গোপসাগরে মালয়েশিয়াগামী ট্রলারডুবি: ২৯ রোহিঙ্গাসহ আটক ৩৩
জঙ্গি সম্পৃক্ততা সন্দেহে ঘরছাড়া ৪ জনসহ গ্রেপ্তার ৭: র্যাব
ঢাকা ও এর আশপাশে অভিযান চালিয়ে কুমিল্লা ও অন্যান্য এলাকা থেকে জঙ্গি সম্পৃক্ততা সন্দেহে নিখোঁজ হওয়া চারজনসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। বৃহস্পতিবার ভোরে র্যাব সদর দপ্তর থেকে এক বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- মাওলানা আবু তাহেরের ছেলে হোসেন আহমেদ (৩৩), মতিয়ার রহমানের ছেলে নেছার উদ্দিন ওরফে উমায়ের (৩৪), দেলোয়ার হোসেনের ছেলে বনি আমিন (২৭) ও হাসান মীরের ছেলে মো. সাবিত (১৯)। তারা সবাই পটুয়াখালী জেলার। ফয়েজ আহমেদের ছেলে ইমতিয়াজ আহমেদ রিফাত (১৯), কুমিল্লার শাহাব উদ্দিনের ছেলে হাসিবুল ইসলাম (২০) এবং গোপালগঞ্জের আনিস শিকদারের ছেলে রোমান শিকদার (২৪)।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১ এর একটি দল মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ ও ময়মনসিংহ জেলায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
ঢাকার কারওয়ানন বাজারে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, এলিট ফোর্স গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে কিছু লিফলেট, মৌলবাদী দৃষ্টিভঙ্গির বই ও একটি ট্যাব জব্দ করেছে।
তিনি বলেন, ‘কুমিল্লা থেকে নিখোঁজ হওয়া আট যুবকের মধ্যে সারতাজ ইসলাম নিলয় (২২) ১ সেপ্টেম্বর তার কল্যাণপুরের বাড়িতে ফিরে আসে এবং পরে র্যাব তাকে হেফাজতে নেয়। জিজ্ঞাসাবাদের পর র্যাব অন্যদের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠী জামাত-উল-মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি), আনসার আল ইসলাম এবং হরকাতুল জিহাদ আল-ইসলামী বাংলাদেশ (হুজি-বি) দ্বারা গঠিত নতুন জঙ্গি গোষ্ঠী জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকিয়া' তে যোগ দিতে চার ছাত্র তাদের বাড়ি ছেড়েছে।
খন্দকার আল মঈন জানান, ভোলা ও পটুয়াখালী জেলার চর এলাকায় তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে এবং এ পর্যন্ত ১৫-২০ জন নতুন দলে যোগ দিয়েছে।
কুমিল্লার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৭-২৫ বছর বয়সী সাত শিক্ষার্থী ২৩ আগস্ট থেকে নিখোঁজ রয়েছে। তারা প্রত্যেকেই ছিলেন পরস্পরের পরিচিত এবং মোবাইল ফোন ছাড়াই বাড়ি থেকে চলে যায়। এ ব্যাপারে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
এরপর পটুয়াখালী, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গোপালগঞ্জ থেকে আরও সাত যুবক একই ধরনের পরিস্থিতিতে দুই থেকে তিন মাস ধরে নিখোঁজ হওয়ার খবর আসে।
এছাড়া গত বছরের ১৫ নভেম্বর থেকে নিখোঁজ রয়েছে সিলেটের চার যুবক।
পড়ুন: দুর্গাপূজার নিরাপত্তায় কোনো ত্রুটি নেই: র্যাব মহাপরিচালক
মার্কিন প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে র্যাবের সংস্কার শুরু হতে পারে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
র্যাবের সংস্কারের প্রশ্নই আসে না: মহাপরিচালক