ইউএনও
ইউএনওদের উপজেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার বিধান সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক: হাইকোর্ট
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) উপজেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ঘোষণা সংক্রান্ত বিধান অবৈধ এবং সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।
এছাড়া দুটি রিটের চূড়ান্ত শুনানি করে বুধবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে পৃথক রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কেসি, ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম ও মিনহাদুজ্জামান লিটন।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় র্যাব হেফাজতে মৃত সুলতানার সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন তলব হাইকোর্টের
পরে হাসান এম এস আজিম বলেন, উপজেলা পরিষদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন ও আর্থিক শৃঙ্খলা আনয়নসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনের বিধানসংবলিত উপজেলা পরিষদ আইনের ৩৩ ধারা অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।
তিনি বলেন, ৩৩ ধারাকে সংবিধানের ৫৯ ও ৬০ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া ইউএনওরা বিভিন্ন আমন্ত্রণপত্রে উপজেলা পরিষদ না লিখে উপজেলা প্রশাসন লিখে থাকেন- এটাও অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, তবে উপজেলা পরিষদ আইনের ২৯ ধারায় উপজেলা পরিষদের যেসব কমিটি রয়েছে সগুলো সেভাবে এবং সরকার যেসব কমিটি করে দেবে সগুলো সেভাবে পরিচালিত হবে।
এছাড়া কমিটির ব্যাপারে আদালত কোনো হস্তক্ষেপ করেননি।
তিনি আরও বলেন, হাইকোর্ট পর্যবেক্ষণে বলেছেন এখন থেকে ইউএনওরা সাচিবিক সহায়তা দেবেন উপজেলা পরিষদকে এবং উপজেলা পরিষদের কাছে জবাবদিহিতা করবেন।
এর আগে উপজেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি দুমকি উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন-অর-রশিদ ও সাধারণ সম্পাদক উপজেলা চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম খান বীরু, উপজেলা চেয়ারম্যান রিনা পারভীন, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম আহম্মেদ ও ভাইস চেয়ারম্যান রাশেদা আক্তার বাদী হয়ে এ বিষয়ে রিট করেন।
একই সঙ্গে আইনজীবী মো. মিনহাদুজ্জামান লীটন একটি রিট করেন।
২০২১ সালে এ দু’টি রিটের প্রেক্ষিতে প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেন। রুলে উপজেলা পরিষদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন ও আর্থিক শৃঙ্খলা আনয়নসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনের বিধান সংবলিত উপজেলা পরিষদ আইনের ৩৩ ধারা কেন অবৈধ ও সংবিধানের ৭, ৫৯ ও ৬০ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়।
এছাড়া মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব, স্থানীয় সরকার সচিবসহ ১৫ সচিবকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছিল। এ রুলের পর চূড়ান্ত শুনানি করে হাইকোর্ট বুধবার রায় দেন।
আরও পড়ুন: জেসমিনকে উঠিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে র্যাবের জুরিসডিকশন নিয়ে প্রশ্ন হাইকোর্টের
রিট দায়েরের পর রিটকারীদের আইনজীবী ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম বলেছিলেন, উপজেলা পরিষদ আইনের ৩৩ ধারা চ্যালেঞ্জ করে রিটটি করা হয়েছে। আইনের ৩৩ ধারার (১) উপধারায় বলা হয়েছে—উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হইবেন এবং তিনি পরিষদকে সাচিবিক সহায়তা প্রদান করিবেন।
এছাড়া ৩৩-এর (২) উপধারায় বলা হয়েছে—পরিষদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন, আর্থিক শৃঙ্খলা প্রতিপালন এবং বিধি দ্বারা নির্ধারিত অন্য কার্যাবলি পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা সম্পাদন করিবেন।
এই আইনজীবী আরও বলেছিলেন, পরিষদ কোনো সিদ্ধান্ত দিলে তা ইউএনও বাস্তবায়ন না করলে পরিষদের করণীয় কিছু থাকে না। কারণ উপজেলা পরিষদের কাছে ইউএনওর জবাবদিহির বাধ্যবাধকতা আইনে রাখা হয়নি।
স্থানীয় সরকারব্যবস্থার স্বাধীনতাকে এই একটি ধারার মাধ্যমে কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এই ৩৩ ধারা সংবিধানেরও ৭ ও ৫৯ অনুচ্ছেদের পরিপন্থি। ৫৯ (১)-এ স্থানীয় শাসন সম্পর্কে বলা হয়েছে—আইনানুযায়ী নির্বাচিত ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত প্রতিষ্ঠানসমূহের ওপর প্রজাতন্ত্রের প্রত্যেক প্রশাসনিক একাংশের স্থানীয় শাসনের ভার প্রদান করা হইবে।
ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম আরও বলেছিলেন, মাঠ প্রশাসন কোনো চিঠিপত্র লিখলে বা অনুষ্ঠান করলে দাওয়াতপত্র বা ব্যানারে উপজেলা পরিষদ না লিখে লিখছে উপজেলা প্রশাসন। এই উপজেলা প্রশাসন কোথাও উল্লেখ নেই।
এর মাধ্যমে ইউএনওরা স্থানীয় সরকারের ক্ষমতার অপব্যবহার করে থাকেন।
এছাড়া সরকারি কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য মন্ত্রণালয় থেকে যতগুলো কমিটি গঠন করা হয়, তার সবগুলোতে ইউএনওকে চেয়ারম্যান করা হয় এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের করা হয় উপদেষ্টা।
আবার মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় উল্লেখ থাকে, ইউএনও ইচ্ছে করলেই আরও সদস্য অন্তর্ভুক্ত করতে পারবেন। এর মধ্য দিয়ে উপজেলা পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের প্রায় নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়।
এমনি অনেক ক্ষেত্রে আয়-ব্যয়ের হিসাবও তাদের দেওয়া হয় না। যা সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক ও স্থানীয় সরকার পদ্ধতির চেতনার পরিপন্থি।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে শিক্ষার্থীদের কান-মুখ খোলা রাখতে দেয়া নোটিশের কার্যকারিতা হাইকোর্টে স্থগিত
ফকিরহাটে সাবেক জনপ্রতিনিধিকে লাঞ্চিত করার অভিযোগে ইউএনও প্রত্যাহার
বাগেরহাটের ফকিরহাটে সাবেক জনপ্রতিনিধিকে থাপ্পড় মারা অভিযোগে ইউএনও মো. মনোয়ার হোসেনকে প্রত্যাহার করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয়েছে। সোমবার রাত ৯টার সময় বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব রেহেনা আক্তার সাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই আদেশ দেয়া হয়।
আদেশে উল্লেখ করা হয়, ইউএনও মনোয়ার হোসেনকে পদায়নের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এপিডি অনুবিভাগে ন্যস্তের নির্দেশ দেয়া হয়।
এর আগে গত ১মার্চ সকালে ফকিরহাট উপজেলার কাঁঠালতলা এলাকায় খুলনা-মাওয়া মহাসড়কে ইউএনওর গাড়িতে ঘষা লাগার অভিযোগে মোটরসাইকেল আরোহী সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত এবং গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে। ঘটনাস্থলের কাছে থাকা একটি সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেছে ধরা পড়ে ওই চিত্র।
আরও পড়ুন: বাসাইলের সাবেক ইউএনও মঞ্জুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
এতে দেখা যায়, বেলা ১১টা ৩২ মিনিটের দিকে মহাসড়ক ধরে ফকিরহাটের দিক দিয়ে ইউএনওর গাড়িটি ফলতিতার দিকে যাচ্ছিল। কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে গাড়িটি উল্টোভাবে আবার সেখানে ফিরে আসে। মিজানুর তা দেখে তার মোটরসাইকেলটি নিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন। এরপর গাড়ি থেকে চালক নেমে আসেন এবং তাদের মধ্যে কিছু কথা হয়।
একপর্যায়ে ইউএনও গাড়ির পেছন থেকে আনসারের পোশাক পরা এক ব্যক্তি মিজানুরকে টেনে নিয়ে গাড়িতে তুলতে চেষ্টা করে। এ সময় গাড়িতে উঠতে না চাওয়া ওই সাবেক জনপ্রতিনিধিকে ইউএনও এসে দু’টি থাপ্পড় দেন। এরপরই দরজা লাগিয়ে গাড়িটি আবারও সামনের দিকে চলে যায়।
এই ঘটনার পর থেকেই ওই ইউএনও’র বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ের নানান অভিযোগ দিতে থাকেন স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন: ঘোড়াঘাট ইউএনও হত্যাচেষ্টা মামলায় বাগান মালির ১৩ বছরের কারাদণ্ড
রামগড়ের ইউএনওকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা থেকে বিরত রাখার নির্দেশ
খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খোন্দকার ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাতের মোবাইল কোর্ট (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) পরিচালনা থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থেকে নিজ কার্যালয়ে বসে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দুজন দিনমজুরকে কারাদণ্ড দেয়ার ঘটনায় এ নির্দেশ দেয় আদালত।
জনপ্রশাসন সচিব ও খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসককে ( ডিসি) এ নির্দেশ কার্যকর করতে বলেছেন আদালত।
একই সঙ্গে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার দিনমজুর আবুল কালাম ও রুহুল আমিনকে দেয়া সাজা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং তাদেরকে কেন ১০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রবিবার বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম এম জি সারোয়ার পায়েল।
আরও পড়ুন: জামায়াত সেক্রেটারিকে কারাগারে ডিভিশন দেয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের
পরে ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম বলেন, আদালত রুল জারির পাশাপাশি খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খোন্দকার ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাতকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার দায়িত্ব থেকে বিরত রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন। রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে পারবেন না ওই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
এর আগে নিজ কার্যালয়ে বসে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দুজন দিনমজুরকে কারাদণ্ড দেয়ার অভিযোগে খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খোন্দকার ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাতের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা না দেয়ার দাবিতে ২৩ অক্টোবর রিট করা হয়।
আইনে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে সাজা দেয়ার বিধান থাকলেও ওই ইউএনও তার কার্যালয়ে বসেই সাজা দেন। রিটে ওই দুই দিনমজুর আবুল কালাম ও রুহুল আমিনকে ১০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়। আবুল কালাম ও রুহুল আমিন এ রিট দায়ের করেন।
৫ আগস্ট একটি জাতীয় দৈনিকে ‘প্রশাসন-বিজিবি বিরোধ:কারাগারে দিনমজুর’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, জমি নিয়ে বিরোধ চলছে খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলা প্রশাসন ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মধ্যে। আর সেই বিরোধে জড়িত না থেকেও কারাগারে যেতে হলো দুই দিনমজুরকে।
১ আগস্ট রামগড় উপজেলা প্রশাসন ও বিজিবি বিরোধপূর্ণ জায়গায় বেড়া দেয়ার কাজ করতে গেলে ইউএনও খোন্দকার ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাত দুজন দিনমজুরকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কারাদণ্ড দেন।
এ সময় তিনি দিনমজুর দুজনকে পাঁচ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
আরও পড়ুন: খুবির ৩ শিক্ষকের বরখাস্ত-অপসারণ অবৈধ: হাইকোর্ট
কুষ্টিয়ায় ইউএনও’র গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় ১৫০ জনকে আসামি করে মামলা
কুষ্টিয়ার খোকসায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সরকারি গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে। গত শনিবার রাত ১২ টার পরে গাড়ি চালক মো. বাদশা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। মামলায় ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। তবে এঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করতে পারিনি পুলিশ।
রবিবার সন্ধায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন খোকসা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মামুনুর রশিদ।
তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সরকারি গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো আটক বা গ্রেপ্তার নেই। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ কাজ করছেন।'
জানা গেছে, গত শনিবার রাতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মাঝে ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়া ও ইট নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এসময় পিছন থেকে ছোঁড়া ইটের আঘাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সরকারি গাড়ির পিছনের গ্লাস ভেঙে যায়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দলের ১৫০ নেতাকর্মীর নামে মামলা
তবে রাতে পাল্টা ধাওয়া ও ইট নিক্ষেপের ঘটনা অস্বীকার করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মোতাহার হোসেন খোকন।
তিনি বলেন,‘সন্ধ্যায় জানিপুর ইউনিয়নের একতারপুর হোটেল মোড়ে বাবুল আখতারের সমর্থক ও জানিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ সাবেক চেয়ারম্যানের ভাইকে হাতুরিপিটা করেন। হয়তো সাবেক চেয়ারম্যানের লোকজন বাবুল আখতারের লোকজনের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে এঘটনা ঘটতে পারে। আমি বা আমার লোকজন ইউএনওর গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত নয়।’
খোকসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিপন বিশ্বাস বলেন, ‘বর্তমানে খোকসায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। সরকারি গাড়ি ভাঙচুর ও সরকারি কাজে বাধা প্রদানের ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, শনিবার রাতে দুপক্ষের উত্তেজনা ঠাণ্ডা করে কার্যালয়ে ফিরছিলাম। ফেরার পথে বাবুল আক্তার ও শান্ত সাহেবের অফিসের মাঝামাঝি এলাকায় পৌঁছালে সরকারি গাড়ির পিছনে ইট লাগে। এতে পিছনের গ্লাস ভেঙে যায়। তবে কেউ আহত হয়নি।’
আরও পড়ুন: মাদক মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন
শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
ইউএনওকে স্টুপিড বললেন বরিশাল সিটি মেয়র সাদিক
বরিশালে জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট দিতে কক্ষে প্রবেশের সময় বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর সঙ্গে বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মনিরুজ্জামানের বাগবিতণ্ডা হয়েছে। এসময় মো. মনিরুজ্জমানকে স্টুপিডও বলেন তিনি।
সোমবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে বরিশাল জিলা স্কুল কেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: বরিশালে ৩টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার সীলগালা
মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর ফেসবুক পেজে করা লাইভে দেখা যায়, সকাল ৯টার দিকে জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট দিতে বরিশাল জিলা স্কুলের এক নম্বর ভোট কক্ষে প্রবেশের সময় বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহকে দল বেধে ভোট কক্ষে প্রবেশ না করতে অনুরোধ করেন। এসময় ইউএনও এর সাথে বাগবিতণ্ডায় জড়ান মেয়র।
মেয়র সাদিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উদ্দেশ্যে বলেন, `আমি কি ঢুকছি এখানে? আমি কি ঢুকছি ? কেন সিন ক্রিয়েট করতেছেন ? আপনি কে? তারপরও আপনি কথা বলতেছেন। আমি কি বাচ্চা শিশু? স্টুপিডের মতো কথা বলেন।
এসময় ইউএনও বলেন, ‘চেয়ারম্যান মহোদয় আমি আপনাদের চিনি। আমি এমন কিছু বলিনি।`
বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর সঙ্গে আমার বাগবিতন্ডার খবর সঠিক নয়।
আরও পড়ুন: বরিশালে জেলেদের হামলায় পুলিশসহ আহত ২০বরিশাল সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা পরিষদ নির্বাচনে সহকারি রিটার্নিং অফিসার নুরুল আলম বলেন, ভোট কক্ষে ফেসবুক লাইভ করার কোনও বিধান নেই।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১৮ আগস্ট রাতে ব্যানার অপসারণকে কেন্দ্র করে সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনিবুর রহমানের সঙ্গে বিরোধে জড়ান মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ। এসময় গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটে। এতে পাল্টাপাল্টি তিনটি মামলা হয়।
আরও পড়ুন: বরিশালে পুলিশের ভুয়া কর্মকর্তা গ্রেপ্তার
ইউএনওর নির্দেশে ইলিশ রক্ষা অভিযানের ট্রলার পোড়ানোর অভিযোগ
বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত ফাতিমার নির্দেশে ইলিশ রক্ষা অভিযানের ট্রলার আগুনে পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার সুগন্ধা নদী তীরবর্তী লঞ্চঘাটে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন বাবুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুবুর রহমান।
তিনি জানান, মাঝি আনোয়ার হোসেনের ট্রলারে অভিযানে যান ইউএনও। অভিযান শেষে ঘাটে ভেরার পরে জব্দ জাল পোড়ানো হয়। শেষে ট্রলারের মাঝি জব্দকৃত মাছ সরিয়ে রেখেছে বলে অভিযোগের কথা বলেন ইউএনও। ট্রলারে তল্লাশি চালিয়ে অবশ্য কোন মাছ পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে পুলিশের ওপর হামলা: ৩১২ জনকে আসামি করে মামলা
তিনি আরও জানান, এ সময়ে ইউএনও আনোয়ারকে লুকিয়ে রাখা মাছ বের করে দেয়ার জন্য চাপ দেন। এতে ভয় পেয়ে মাঝি আনোয়ার পিছন থেকে পালিয়ে যায়। মাঝি পালিয়ে যাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে সঙ্গে থাকা আনসার সদস্যদের ট্রলারে আগুন দেয়ার নির্দেশ দেন ইউএনও। নির্দেশ অনুযায়ী ডিজেল ঢেলে ট্রলারে আগুন ধরিয়ে দেয় আনসার সদস্যরা।
অগ্নিসংযোগের পর ট্রলারটি জ্বলন্ত অবস্থায় নদীর মাঝে চলে যায়। আগুন নেভানোর পর সেটিকে বাহেরচর নামক স্থানে এনে রাখা হয় বলেও জানান তিনি।
উপজেলা ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের ইনচার্জ আব্দুল মালেক বলেন, খবর পেয়ে আমরা নৌকা নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই এবং আগুন নেভাই। তবে তার আগেই ট্রলারটি প্রায় পুরোটাই পুড়ে গেছে।
তবে ইউএনও নুসরাত ফাতিমার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বরিশালের জেলা প্রশাসক জসিমউদ্দিন হায়দার জানান, ট্রলারে আগুন লাগার খবর পেয়েছি। তবে এর সঙ্গে ইউএনও’র কোন যোগসূত্র আছে কিনা তা বলতে পারছিনা। পুরো বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়ে তারপর বলতে পারবো।
আরও পড়ুন: ইলিশ উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে প্রথম: শিক্ষামন্ত্রী
মেঘনায় মা ইলিশ ধরায় ৮ জেলের কারাদণ্ড
সিরাজগঞ্জে ইউএনও’র ওপর হামলা: দেড় শতাধিকের বিরুদ্ধে মামলা
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে ইউএনও-এসিল্যান্ডের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। উপজেলায় শতবর্ষী খেলার মাঠে আশ্রয়ণ প্রকল্পের জায়গা মাটি দিয়ে ভরাটের সময় এই হামলার ঘটনায় দেড় শতাধিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
রবিবার সকালে এ ঘটনার পর রাতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসের পেশকার আব্দুল হাই বাদী হয়ে ৫৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১০০ জনকে আসামি করে মামলাটি করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শাহজাদপুর সার্কেল) হাসিবুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মামলা দায়েরের পর রাতে অভিযান চালিয়ে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ভিডিও ও ছবি দেখে ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হবে। অযথা কেউ হয়রানির শিকার হবে না বলে নিশ্চয়তা দেন তিনি।
হাসিবুল ইসলাম আরও বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের জন্য নির্ধারিত জায়গাটি সরকারের রেকর্ডভুক্ত পতিত জমি। এর পাশেই একটি প্রতিষ্ঠানের খেলার মাঠ আছে। কিন্তু আশ্রয়ণ প্রকল্পের জন্য নির্ধারিত জায়গাটি সরকারি ও ১৯৮০ সালের সর্বশেষ রেকর্ড অনুযায়ী পতিত জমি।
সিরাজগঞ্জ জেলা ক্রীড়া অফিসার মো. মাসুদ রানা বলেন, প্রতিটি উপজেলায় একটি করে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের জন্য নির্ধারিত জায়গা ছাড়া ক্রীড়া সংস্থার অন্য আর কোনো খেলার মাঠ নেই। তবে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণের অন্য কোনো সরকারি জায়গা যদি থাকে তাহলে খেলার মাঠে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ না করাই ভালো বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তরিকুল ইসলামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।
উল্লেখ্য, শাহজাদপুর উপজেলার বলদিপাড়া-হলদিঘর খেলার মাঠে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণে বিরোধিতা করে আসছিলেন স্থানীয়রা। তারা গাছের গুঁড়ি ফেলে এবং বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড দিয়ে বাঁধার সৃষ্টি করেন। রবিবার সকালে মাটি ভরাটের জন্য প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়ে ব্যারিকেড ভেঙে মাঠে প্রবেশ করতে চাইলে বিরোধিতাকারীরা হামলা চালিয়ে ইউএনও’র গাড়ি ভাঙচুর করে এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপে সহকারী কমিশনারের মাথায় আঘাত লাগে। তাকে উদ্ধার করে শাহজাদপুর উপজেলা হাসপাতালে ভর্তির পর তার মাথায় আটটি সেলাই দেয়া হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন শাহজাদপুর উপজেলা হাসপাতালের আরএমও ডা. মাসুদ রানা। বিকালে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সাংবাদিককে গালমন্দ করে ওএসডি হলেন টেকনাফের ইউএনও
কক্সবাজারের স্থানীয় এক সাংবাদিককে ফোনে গালমন্দ করার অভিযোগে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ কায়সার খসরুকে তার পদ থেকে প্রত্যাহার করে বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এই কথা জানান। তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যেই তাকে ওএসডি করে প্রত্যাহার করার নির্দেশ দিয়েছি। তারপর হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিভাগীয় কমিশনারদের তাদের শিষ্টাচার ও আচরণ নিয়ে আলোচনা করতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসতেও নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
এদিকে রবিবার কক্সবাজার জেলা প্রশাসন খসরুকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত ইউএনও সাংবাদিক সাইদুলকে ফোন দেন। ফোন কলে তিনি গৃহহীনদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত বাড়ি তৈরি নিয়ে অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন কেন লিখেছেন-এই প্রশ্ন তোলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।
আরও পড়ুন: ইউএনও’র গাড়িচাপায় সাংবাদিক নিহতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া কলটির একটি অডিও রেকর্ড সমালোচনার ঝড় তোলে। পরে শুক্রবার কক্সবাজারের ডিসি সাংবাদিক ও ইউএনওর সঙ্গে বৈঠক করেন বিষয়টি সমাধানের জন্য।
ইউএনও-র কর্মকাণ্ড নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন আইনজীবী নজরে আনায় রবিবার হাইকোর্ট বলেছেন, ‘‘রং হেডেড পারসন’ ছাড়া কেউ এভাবে বলতে পারে না।’
আদালত বলেন, যে ভাষা ব্যবহার করেছেন, তা অত্যন্ত দুঃখজনক ও অগ্রহণযোগ্য। রং হেডেড পারসন ছাড়া কেউ এভাবে বলতে পারে না। যে ভাষা ব্যবহার করেছেন, তা কোনো ভাষা হতে পারে না। দেখা যাচ্ছে, ইউএনও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এর অর্থ তাঁর বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয় বলে স্বীকার করে নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে অব্যাহতি পেলেন বোয়ালমারীর ইউএনও-নাজির
ইউএনও’র গাড়িচাপায় সাংবাদিক নিহতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি
নাটোরের সিংড়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) গাড়িচাপায় সাংবাদিক সোহেল আহমেদ জীবনের মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন।
সোমবার রাতে নাটোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রহিমা খাতুনকে প্রধান করে গঠিত তদন্ত কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ।
কমিটির অপর দুজন হচ্ছেন সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম সামিরুল ইসলাম ও নাটোর বিআরটিএর সহকারি পরিচালক।
তদন্ত কমিটি আজ থেকে তদন্ত শুরু করবে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
উল্লেখ্য, সোমবার (৯ মে) সকালে সিংড়া উপজেলার নিঙ্গুইন এলাকায় নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়ির নিচে চাপা পড়ে নিহত হন স্থানীয় সাংবাদিক সোহেল আহমেদ জীবন।
আরও পড়ুন: নাটোরে ইউএনও’র জিপের ধাক্কায় সাংবাদিক নিহত
নাটোরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ২ জনের মৃত্যু
নাটোরে ইউএনও’র জিপের ধাক্কায় সাংবাদিক নিহত
নাটোরের সিংড়ায় ইউএনও’র জিপের ধাক্কায় সোহেল আহমেদ জীবন নামে স্থানীয় এক সংবাদকর্মী নিহত হয়েছেন। সোমবার সকাল ১০টায় উপজেলার নিঙ্গুইন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত সোহেল আহমেদ বগুড়া থেকে প্রকাশিত ‘দৈনিক দুরন্ত সংবাদ’ পত্রিকার সিংড়া প্রতিনিধি।
জানা যায়, সোহেল আহমেদ সোমবার সকাল ১০টায় সিংড়া শহর থেকে বন্দর এলাকায় যাচ্ছিলেন। এসময় নিঙ্গুইন এলাকায় পৌঁছলে পার্শবর্তী নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সরকারি জিপের সঙ্গে তার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।এতে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
ঝলমলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজওয়ানুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: নাটোরের বড়াইগ্রামে একই স্থানে ফের সড়ক দুর্ঘটনা, আহত ২
ঠাকুরগাঁওয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় বৃদ্ধার মৃত্যূ