ইউএনও
ইউএনও’র নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে চোখ হারালেন আওয়ামী ও যুবলীগের দুই নেতা
বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নির্দেশে নিরাপত্তারক্ষী আনসার সদস্যদের গুলিতে দুইজন আওয়ামী ও যুবলীগ নেতার চোখ নষ্ট হয়ে গেছে। তারা বর্তমানে ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশালের মুলাদী পৌরসভার মেয়র শফিকুজ্জামান রুবেল।
শনিবার বরিশাল ক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত বিভাগীয় পৌর মেয়রদের সাংবাদিক সম্মেলন থেকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
শফিকুজ্জামান রুবেল বলেন, বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ৯টায় বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনে সিটি করপোরেশনের কর্মীরা নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে বির্বণ, ছেড়া ব্যানার অপসারণ করতে গেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাতে বাধা দেন। এ নিয়ে সিটি কর্পোরেশনের কর্মচারীদের সাথে বিরোধ দেখা দিলে ২৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মনিরুল ইসলাম মনির এবং মহানগর যুবলীগ নেতা তানভীর সেখানে যান। ঘটনার আকস্মিকতায় ইউএনও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর গুলি করলে মনিরুল ইসলাম ও তানভীরের চোখে গুলি লাগে।
তাদের উন্নত চিকিৎসার জন ঢাকায় নেয়া হয় ওই রাতেই। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ দায়িত্বরত চিকিৎসকরা জানিয়ে দিয়েছেন তাদের দুজনের চোখ নষ্ট হয়ে গেছে। তারা দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন।
আরওপড়ুন: বরিশালে ২ মামলা, প্রধান আসামি মেয়র
এই ঘটনার সঠিক বিচার চেয়ে মেয়র রুবেল বলেন, যারা অকারণে গুলি করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অন্ধ করে দিয়েছে তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা করার দাবি জানাই।
প্রসঙ্গত, বুধবার (১৮ আগস্ট) রাতে ব্যানার অপসারণকে কেন্দ্র করে বরিশালে পুলিশ, আনসার ও স্থানীয় ছাত্রলীগ সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই রাতে সদর উপজেলা ইউএন’র সরকারি বাসভবনে হামলা চালায় ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ, শ্রমিক ইউনিয়ন, আওয়ামী লীগ ও সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা। এ সময় গুলির ঘটনায় আহত হন অনেকে। পুলিশ ও ইউএনও মুনিবুর রহমান বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা করেছেন। যাতে ৬০২ জনকে আসামি করা হয়েছে এবং মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহকে করা হয়েছে প্রধান আসামি।
আরও পড়ুন: বরিশালে ইউএনও’র বাসায় হামলার ঘটনায় দুই মামলা
বরিশালে নামছে ১০ প্লাটুন বিজিবি
বরিশালে ইউএনও’র অফিসে হামলা: গ্রেপ্তার ২১
বরিশাল সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনে হামলা ও পরে পুলিশের সাথে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের হওয়া দুই মামলায় মোট ২১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে রাজধানী থেকে বরিশাল নগরীর ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ সাইয়েদ আহম্মেদ মান্নাকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে দাবি বরিশাল পুলিশের।
আরও পড়ুনঃ বরিশালে ২ মামলা, প্রধান আসামি মেয়রশনিবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম। তিনি জানান, বুধবার ঘটনার দিন এবং পরের দিন ১৩ জনকে বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে শনিবার দুপুর পর্যন্ত অভিযানে আরও ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়াদের মধ্যে বরিশাল -পটুয়াখালী মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি মমিনউদ্দিন কালুকে শুক্রবার রাতে রুপাতলী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়াও এই ২১ জনের মধ্যে মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান মাহামুদ বাবু এবং বরিশাল জেলা বাস মিনিবাস কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আহমেদ শাহরিয়ার বাবুও রয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ বরিশালে নামছে ১০ প্লাটুন বিজিবিপ্রসঙ্গত, বুধবার রাতে উপজেলা পরিষদ চত্বরে ব্যানার খোলাকে কেন্দ্র করে নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনে হামলার অভিযোগ এনে সিটি করপোরেশন কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর গুলি ছোড়ে আনসার সদস্যরা। এতে মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদিক আব্দুল্লাহ, প্যানেল মেয়র রফিকুল ইসলাম খোকনসহ ৩০ জন আহত হয়। পরে সিটি করপোরেশনের কর্মী ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিক্ষুদ্ধ হলে পুলিশের সাথে তাদের সংঘর্ষ বাধে। এই ঘটনায় পুলিশ ও ইউএনও মুনিবুর রহমান বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছেন। যাতে মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহকে প্রধান আসামি করে আরও ৬০২ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বরিশালে ইউএনও’র বাসায় হামলার ঘটনায় দুই মামলা
বরিশালে ইউএনও’র বাসায় হামলার ঘটনায় দুই মামলা
বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে বুধবার রাতের ঘটনায় দুটি মামলা করা হয়েছে। ওই ঘটনায় মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান মাহামুদ বাবু ও রুপাতলী বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আহম্মেদ শাহারিয়ার বাবুসহ ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম জানান, দুটি মামলার মধ্যে একটির বাদী বরিশাল সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মুনিবুর রহমান এবং অপরটির বাদী পুলিশ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মামলায় তার বাসায় হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ আনা হয়েছে। আর পুলিশের দায়ের করা মামলায় সরকারি কাজে বাধা, পুলিশের ওপর আক্রমণ, জনগণকে লাঞ্চিত, ভাঙচুর করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, দুটি মামলায় ৩০-৪০ জনের মতো নামধারী এবং কয়েকশত অজ্ঞাত আসামি রয়েছে।
এদিকে বেলা পৌনে ১২ টার দিকে নগরের কালিবাড়ি রোডস্থ মেয়রের বাসভবন হঠাৎ করেই ঘিরে ফেলে র্যাব ও পুলিশের সদস্যরা। এসময় সেখানে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত ছিলেন এবং মেয়রের বাসার ভেতরে নেতাকর্মীরা যেতে চাইলে তাতেও পুলিশ বাধ সাধে। তবে কিছুক্ষণ পর সেখান থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা চলে আসে।
ওসি নুরুল ইসলাম বলেন, আমাদের কাছে তথ্য ছিল রাতের ঘটনার সাথে যারা জড়িত ছিল তাদের কেউ কেউ ওখানে অবস্থান করছিল। তবে সেখানে গিয়ে সেরকম কাউকে পাওয়া যায়নি এবং কাউকে সেখান থেকে আটকও করা হয়নি।
আরও পড়ুন: বরিশালে ইউএনও’র ওপর হামলা: আ’লীগের যুগ্ম সম্পাদকসহ আটক ১৩
বরিশালে ইউএনও’র ওপর হামলা, গুলিবিদ্ধ ৫
বরিশালে ইউএনও’র ওপর হামলা: আ’লীগের যুগ্ম সম্পাদকসহ আটক ১৩
বরিশাল সদর উপজেলার ইউএনও’র বাসভনে হামলার ঘটনায় এ পযর্ন্ত আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের ১৩ নেতা কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) নুরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ১৩ জনকে আটক করেছি।
থানার দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানান, আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান মাহমুদ বাবু, ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন ফিরোজ, ছাত্রলীগের সহসভাপতি অলিউল্লাহ অলি, ৬ ওয়ার্ড আওামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ১৩ জন।
এদিকে, হামলাকারী অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালি থানার ওসি।
প্রসঙ্গত, বুধবার রাত ১১টার পর বরিশাল সদর উপজেলার ইউএনও মুনিবুর রহমানের ওপর হামলার চেষ্টাকে কেন্দ্র করে আনসার সদস্যদের গুলি ও পুলিশের সাথে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগ কর্মীদের সংঘর্ষে পাঁচজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়। এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: বরিশালে ইউএনও’র ওপর হামলা, গুলিবিদ্ধ ৫
চন্দ্রিমা উদ্যানে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ
বরিশালে ইউএনও’র ওপর হামলা, গুলিবিদ্ধ ৫
বরিশাল সদর উপজেলা কমপ্লেক্সে ইউএনও’র ওপর হামলার চেষ্টাকালে আনসার সদস্যদের গুলি ও পুলিশের সাথে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগ কর্মীদের সংঘর্ষে পাঁচজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৩০ জন আহত হবার ঘটনা ঘটেছে। এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন বলে জানান।
বুধবার রাত ১১টার পর বরিশাল সদর উপজেলার ইউএনও মুনিবুর রহমানের ওপর হামলার চেষ্টাকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। আহতদের মধ্যে ৩ পুলিশ ও ২ আনসার সদস্য রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ চন্দ্রিমা উদ্যানে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা কর্মীদের সংঘর্ষবরিশাল সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র রফিকুল ইসলাম খোকন জানান, ‘বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় প্রাঙ্গনে রাতে ব্যানার খুলতে যায় নগর ভবনের কর্মচারীরা। এসময় বাসভবন থেকে বের হয়ে উপজেলা পরিষদ কম্পাউন্ড থেকে ব্যানার খোলার কারণ জানা নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনিবুর রহমানের সাথে সিটি করপোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাসের কথাকাটাকাটি হয়।’উপজেলা কমপ্লেক্সে ইউএনও’র নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা একজন আনসার সদস্য জানান, কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ব্যানার খোলার কথা বলে কম্পাউন্ডে ঢোকা ২৫ থেকে ৩০ জন ইউএনও স্যারের বাসভবনে ঢুকে তাকে ঘিরে ফেলে। তাকে রক্ষায় এগিয়ে গেলে আনসারদের সাথে হাতাহাতির একপর্যায়ে হামলা চালানো হলে আনসার সদস্যরা গুলি ছোড়ে। এতে কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়।
আরও পড়ুনঃ সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে আনসার সদস্য নিহত
খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ নগর পরিষদের বেশ কয়েকজন সদস্যকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। দলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর গুলির খবর শুনে আরও নেতাকর্মীরা জড়ো হয় সেখানে। তাদের নিয়ে মেয়র উপজেলা কমপ্লেক্সের ভেতরে ঢুকতে গেলে দ্বিতীয় দফায় ভেতর থেকে গুলি ছোড়ে আনসার সদস্যরা। গুলির মুখে ভেতরে ঢুকতে না পেরে কমপ্লেক্সের বাইরে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে অবস্থান নেন মেয়র সাদিক। ছাত্রলীগ কর্মীরা এসময় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধসহ একটি বাস ভাঙচুর করে। পরে মেয়র ঘটনাস্থল থেকে চলে যান।উপজেলা কমপ্লেক্সে এসব ঘটনা চলার মধ্যেই সেখানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পৌছায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ। বাস ভাংচুরসহ সড়ক অবরোধ ঠেকাতে গেলে তাদের সাথে ঘণ্টাব্যাপী ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশসহ আহত হয় প্রায় ৩০ জন। এক পর্যায়ে পিছু হটে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ কর্মীরা। পরে রাত তিনটার দিকে অবরোধ তুলে নিলে পুনরায় যানবাহন চলাচল শুরু হয়।গুলিবিদ্ধ আহতদের মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতা শাহরিয়ার বাবু, হারুন অর রশিদ ও তানভীর নামে তিনজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থায় অবনতি হলে তানভীরকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
আরও পড়ুনঃ বোয়ালমারীতে আ’লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে নিহত এক
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনিবুর রহমান বলেন, ‘রাত সাড়ে ১০ টার দিকে ৮ থেকে ১০টি মোটর সাইকেলে করে ১৫ থেকে ২০ জন আমার উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সে ঢুকে ঘোরাফেরা করছিল। আমি তাদেরকে এখানে আসার কারণ জিজ্ঞেস করলে তারা জোর করে আমার ঘরে ঢুকে পড়ে। তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছিল রাজীব নামে এক ছাত্রলীগ নেতা।’
রাত সাড়ে ৩ টায় সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ তার বাসভবনে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘বিসিসির কর্মীরা সেখানে তাদের দায়িত্ব পালন করতে গিয়েছিলেন। অথচ তাদের ওপর ন্যাক্কারজনক ভাবে গুলি চালানো হয়েছে। ঘটনা সর্ম্পকে জানতে আমি সেখানে গেলে আমার ওপর গুলি চালানো হয়। আমার বহু নেতাকর্মী আহত হয়েছে। গুলিবিদ্ধ হয়েছে। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাই। বিচার চাই। এভাবে তো দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয়।’
আখাউড়ায় ইউএনও’র হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে বন্ধ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেল ৮ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী। সোমবার আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের রুটি গ্রামে দুবাই প্রবাসী সুহেল মিয়ার মেয়ের বিয়ের বাড়িতে গিয়ে আয়োজন চলাকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রোমানা আক্তার বিয়ে বন্ধ করে দেন।
এসময় বাল্য বিয়ের আয়োজন করায় বর ও কনে উভয় পক্ষকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জানা গেছে, সোমবার দুপুরে রুটি গ্রামের প্রবাসী সুহেল মিয়ার মেয়ের সঙ্গে একই গ্রামের আব্দুর রউফ মিয়ার ছেলে জুনায়েদ বাবুর বিয়ের আয়োজন করা হয়। দুপুরে বর নিয়ে কনের বাড়িতে হাজির হন বরপক্ষের অর্ধশত বরযাত্রী। বরযাত্রীদের খাবার টেবিলে বসানো হয় ভুরিভোজের জন্য। বিয়ে বাড়িতে তখন এক আনন্দঘন মুহূর্ত। এমন সময় কনের বাড়িতে উপস্থিত হন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুমানা আক্তার।
পড়ুন: একরাতে ৪ বাল্যবিয়ে বন্ধ করলেন সিরাজগঞ্জের সেই ইউএনও
পরে তিনি স্থানীয় ইউপি সদস্য আমিনুল ইসলাম এবং ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. আশরাফুল আলমের উপস্থিতিতে বর-কনের জন্মনিবন্ধন যাচাই করে বয়স না হওয়ায় বিয়ে বন্ধ করে দেন। উভয়পক্ষের অভিভাবক মুচলেকা দেন সঠিক বয়স না হওয়া পর্যন্ত ছেলে-মেয়ের দিবেন না।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আক্তার বলেন, লকডাউনের মধ্যে বিয়ের আয়োজন করায় এবং বর ও কনের বিয়ের বয়স না হওয়ায় উভয় পক্ষকে বুঝিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দিয়েছি। উভয় পক্ষকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
পড়ুন: ৩৫০টি বাল্যবিয়ে বন্ধ করে রেকর্ড গড়লেন বেলকুচির ইউএনও
এসময় আখাউড়া উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা তাপস চক্রবর্তী, উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
একরাতে ৪ বাল্যবিয়ে বন্ধ করলেন সিরাজগঞ্জের সেই ইউএনও
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়ে এক রাতে চারটি বাল্যবিয়ে বন্ধ করলেন সেই নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আনিসুর রহমান।
বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে এসব বাল্যবিয়ে বন্ধ করাসহ বর ও কনের অভিভাবকদের মোট ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সেইসাথে কনে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিবাহ দেবেন না মর্মে মুচলেকাও নেয়া হয়।
আরও পড়ুনঃ ৩৫০টি বাল্যবিয়ে বন্ধ করে রেকর্ড গড়লেন বেলকুচির ইউএনও
বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার রাজাপুর গ্রামে নবম শ্রেণির ছাত্রী (১৪), এরপর মাইঝাইল গ্রামে দশম শ্রেণির ছাত্রী (১৫), পরে আটারদাগ গ্রামের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী (১৩) ও শোলাকুড়া গ্রামে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীর (১০) বাল্যবিয়ে বন্ধ করা হয়।
আরও পড়ুনঃ চাঁদপুরে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে বাল্যবিয়ে রোধ
এর আগে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) দায়িত্বে থাকা অবস্থায় দুইবার একরাতে সাত বাল্যবিয়ে বন্ধ করেছিলেন আনিসুর রহমান। তিনি সিরাজগঞ্জ সদর ও চৌহালীতে একই পদে কর্মকালীন প্রায় দুই শতাধিক বাল্যবিয়ে বন্ধ করে রেকর্ড গড়ে সরকারি ও বেসরকারিভাবে একাধিকবার পুরষ্কৃতও হয়েছেন।
বোয়ালখালীর খালে ভাসছে মৃত ডলফিন
চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর ছন্দারিয়া খালে ভাসছে একটি মৃত ডলফিন।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) বিকালে উপজেলার পূর্ব গোমদন্ডী ছন্দারিয়া খালের ১৩ নং রেলওয়ে ব্রিজ এলাকায় মরা ডলফিনটি ভাসতে দেখা যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. ইউছুফ বলেন, সকাল থেকে ডলফিনটি খালে ভাসছে। প্রায় ৭ ফিট দৈর্ঘ্যের ডলফিনটি আঘাতের কারণে মারা গেছে বলে ধারণা করছি। নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে হয়তো কর্ণফুলী নদী থেকে ডলফিনটি ছন্দারিয়া খালে এসেছিল।
আরও পড়ুন: হালদায় ভেসে উঠল মৃত ডলফিন
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমুন নাহার বলেন, খালে একটি ডলফিনের মরদেহ পড়ে আছে দুপুরের দিকে এমন সংবাদ পেয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এবং বন বিভাগের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান। কীভাবে ডলফিনটি মারা গেছে, বলতে পারছি না। ডলফিনটির পোস্টমর্টেম করা হবে। এরপরই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
পড়ুন: কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এলো মৃত ডলফিন
সিআরবির পরিবেশ ক্ষতি করে হাসপাতাল নির্মাণের চেষ্টা: ৮ সংস্থাকে আইনি নোটিশ
এর আগে, গত ৬ জুলাই চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার চানখালী এলাকায় হালদা নদীতে মরে ভেসে উঠেছিল বিপন্ন প্রজাতির একটি ডলফিন।
বিশ্বনাথে ঘরবন্দি যুবকের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন ইউএনও
বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর সিলেটের বিশ্বনাথে ঘরবন্দি যুবক অর্জুন দাস বেনুর চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমন চন্দ্র দাস।
সোমবার দুপুরে চিকিৎসক ও নরসুন্দরকে সঙ্গে নিয়ে মানসিকভাবে অসুস্থ্য অর্জুন দাসের বাড়ি দেওকলস ইউনিয়নের কালিজুরি গ্রামে যান ইউএনও।
আরও পড়ুনঃ সিলেটে ৬ বছর ধরে ঘরবন্দি বস্ত্রহীন যুবকএ সময় অর্জুন ইউএনওকে দেখে স্যালুট দেন। পরে তাঁর পরিবারের সদস্যরা জানান, নিয়মিত ওষুধ ও চিকিৎসা দিতে না পারার কারণে তিনি অস্বাভাবিক আচরণ করেন। এ জন্য বাধ্য হয়ে তারা তাকে প্রায় ছয় বছর ধরে ঘরবন্দি করে রেখেছেন।
আরও পড়ুনঃ সিলেটে ট্রাকচাপায় পুলিশ কনস্টেবল নিহত
সার্বিক বিষয় বিবেচনায় নিয়ে যুবককে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে তার চিকিৎসার উদ্যোগ গ্রহণ করেন ইউএনও। আর্থিক সহায়তার আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, নিয়মিত চিকিৎসা ও সকলের ভালোবাসায় সুস্থ-স্বাভাবিক জীবন ফিরে পেতে পারেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ সিলেটে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারঅর্জুন দাসের বড়ভাই ঝুনু দাস বলেন, আমার ভাইয়ের চিকিৎসার দায়িত্ব গ্রহণ করায় ইউএনও স্যারের প্রতি আমরা চিরকৃতজ্ঞ। পাশাপাশি তিনি প্রতিবেদন প্রকাশ করে চিকিৎসার সুযোগ তৈরি করে দেওয়ায় সাংবাদিকদের বিশেষ ধন্যবাদ জানান ।
চিকিৎসককে জরিমানা করে ওএসডি হলেন সাতকানিয়া ইউএনও
চট্টগ্রাম, ৫ জুলাই (ইউএনবি)- লকডাউন চলাকালে মোটরসাইকেল চালিয়ে রোগী দেখতে যাওয়ার সময় চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় এক চিকিৎসককে জরিমানা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নজরুল ইসলাম।
জরুরি পরিষেবার আওতায় পড়া একজন চিকিৎসককে জরিমানা করায় ওই ইউএনও-কে প্রত্যাহার করা হয়। তাকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে যোগ দিতে বলা হয়েছে।
রবিবার এক আদেশে তাকে প্রত্যাহার করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়। মন্ত্রণালয়ের উপসচিব কেএম আল-আমীন এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: লকডাউন ‘কেমন চলছে’ দেখতে বেরিয়ে চট্টগ্রামে আটক ২১
এর আগে গত শুক্রবার ব্যক্তিগত চেম্বারে যাওয়ার পথে ফরহাদ কবির নামে ওই চিকিৎসককে সাতকানিয়া পৌরসভার কলেজ রোড এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে এক হাজার টাকা জরিমানা করেন ইউএনও নজরুল ইসলাম। ওই সময় তিনি চিকিৎসককে জরিমানার সঙ্গে জেল দেওয়ার হুমকিও দেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী চিকিৎসক। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেন নজরুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: করোনায় মৃত্যু ১৫ হাজার ছাড়াল, একদিনে সর্বোচ্চ ১৫৩
ওই চিকিৎসক নিজের ফেসবুকে পোস্টে লিখেন, ‘ধন্যবাদ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার! লকডাউন অমান্য করে রুগি দেখতে চেম্বারে যাওয়ায় এক হাজার টাকা জরিমানা সাথে ছবি তুলে নিয়েছে পত্রিকায় দেয়ার জন্য!
নোটঃ আমার হেলমেট ছিল না বাইক চালানোর সময়।’
পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি পৌরসভার নাছির ফার্মেসি এবং মক্কা ফার্মেসিতে নিয়মিত চেম্বার করি। ঘটনার দিন আমি চেম্বার শেষ করে ফিরছিলাম। ওই সময় একজন ইমার্জেন্সি রোগী আসার বিষয়ে ফোন পেয়ে মাঝপথ থেকে আবার চেম্বারে যাচ্ছিলাম। তখন সাতকানিয়া পৌরসভার কলেজ রোডের মুখে ইউএনও’র সঙ্গে দেখা হয়।’
এ সময় ইউএনওর সঙ্গে থাকা লোকজন সিগন্যাল দিলে আমি মোটরসাইকেল থামিয়ে আমার পরিচয় দেই।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: ২৪ ঘণ্টায় ৩১ নতুন রোগী হাসাপাতালে
ডাক্তার পরিচয় পাওয়ার পর ইউএনও কিছুটা ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, ‘আপনারা লকডাউন দেওয়ার জন্য সুপারিশ করেন। আমরা লকডাউন সফল করতে পারি না বলে আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। আর এখন আপনারা লকডাউন মানছেন না।’
এ নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় খবর প্রকাশ হলে চিকিৎসক হয়রানির অভিযোগে বিএমএর নেতারা সিভিল সার্জনের হস্তক্ষেপের দাবি করেন। পরে সাতকানিয়ার ইউএনও নজরুল ইসলামকে ওএসডি করা হয়।
এই বিষয়ে কথা বলতে সাতকানিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘উনার মুখে মাস্ক ছিল না, মাথায় হেলমেট ছিল না। তাছাড়া তিনি নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দিলেও তার কোন পরিচয় পত্র দেখাতে পারেননি। তাই ওনাকে আইন মোতাবেক জরিমানা করা হয়েছে। চিকিৎসক নেতারা অভিযোগ করেছে আমি দুর্ব্যবহার করেছি। অথচ কোন প্রকার দুর্ব্যবহার করা হয়নি।’