ইউএনও
সস্ত্রীক করোনা আক্রান্ত সোনাগাজীর ইউএনও
ফেনীর সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ এম জহিরুল হায়াত ও তার স্ত্রী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। বর্তমানে তারা হোম আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার রাতে নোয়াখালীর আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ ল্যাব থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা উৎপল দাশ বলেন, একদিনে উপজেলার ১৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৭ জনের শরীরের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ইউএনও, তার স্ত্রী ও তাদের বাসার এক নারী রয়েছেন।
আরও পড়ুন: হরিপুরে করোনায় ৪ ঘণ্টার ব্যবধানে পিতা-পুত্রের মৃত্যু
ইউএনও এ এম জহিরুল হায়াত জানান, গত শনিবার থেকে হঠাৎ করে তিনিসহ পরিবারের তিনজনের জ্বর অনুভূত হয়। তাদের শরীর ও গলাব্যথাও শুরু হয়। পরে বুধবার করোনা পরীক্ষার জন্য তিনি ও তার স্ত্রীসহ তিনজন নমুনা দেন।
তিনজনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে। বর্তমানে তারা উপজেলা সদরে সরকারি বাসায় আইসোলেশনে রয়েছেন। চিকিৎসকের পরামর্শ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ওষুধ খাচ্ছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এ পর্যন্ত উপজেলায় ১ হাজার ৬৩৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪৮২ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে। এখন পর্যন্ত উপজেলায় এক নারীসহ ১৩ জন করোনায় মারা গেছেন। সুস্থ হয়েছেন ৪১৯ জন।
এদিকে ফেনীতে গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৫৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এই সময়ে করোনায় দুজন মারা গেছেন।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১৮৫টি নমুনা পরীক্ষা করে ৫৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ৩০ দশমিক ৮১ ভাগ। নতুন শনাক্ত ৬৭ জনের মধ্যে সদরে ২৯ জন, পরশুরামে ১০, ছাগলনাইয়ায় ৯, সোনাগাজীতে ৪, দাগনভূঞায় ৩, ফুলগাজীতে ১ ও অন্য জেলা থেকে এসে নমুনা দিয়ে শনাক্ত হন ১ জন। সবমিলিয়ে জেলায় এ পর্যন্ত শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৪ হাজার ৫১২।
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে তৎপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, করোনা আক্রান্ত হয়ে সোনাগাজী উপজেলার চরছান্দিয়া এলাকার দুজন মারা গেছেন। ১ জুলাই পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৪ জনে। এই সময়ে সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৮৩৪ জন।
সিভিল সার্জন ডা. রফিক উস-ছালেহীন বলেন, ‘ফেনীতে করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতি ভয়াবহ হচ্ছে। করোনার ভয়াবহতা নিয়ে সাধারণ মানুষের উদাসীনতার কারণেই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তাই করোনার নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে মাস্ক ব্যবহারসহ যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি নির্দেশনা পালন করতে হবে।’
৩৫০টি বাল্যবিয়ে বন্ধ করে রেকর্ড গড়লেন বেলকুচির ইউএনও
৩৫০টি বাল্যবিয়ে বন্ধ ও জেল-জরিমানা করে রেকর্ড গডেছেন সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আনিছুর রহমান। এমন কৃতিত্ব অর্জনের জন্য সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে তাকে একাধিক সম্মাননাও দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইউএনওর হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা ঠাকুরগাঁওয়ের স্কুলছাত্রীর
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ইউএনও আনিসুর রহমান ২০১৭ সালের শেষের দিকে সিরাজগঞ্জে যোগদান করেন। তিনি সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। এরপর তিনি বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে যোগ দেন। সিরাজগঞ্জে এখন পর্যন্ত দায়িত্ব পালনকালে তিনি ৩৫০টি বাল্যবিয়ে বন্ধসহ জেল জরিমানা করেছেন। এরমধ্যে চৌহালীতে ৩৪টি, সদর উপজেলায় ২১৬টি ও বেলকুচিতে ১০০টি বাল্যবিয়ে বন্ধ এবং জেল জরিমানা করেন। সেইসাথে তার নেতৃত্বে এসব এলাকার বিভিন্ন অবৈধ কর্মকাণ্ডেও জেল জরিমানা করা হয়েছে। বিশেষ করে এই তিন উপজেলার অপ্রাপ্ত বয়স্ক স্কুলছাত্রীদের বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা করে তিনি জেলা প্রশাসনসহ এলাকায় প্রশংসিত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে বাল্যবিয়ে রোধ
ইউএনও আনিসুর রহমান বলেন, বাল্যবিয়ে একটি সামাজিক অভিশাপ। এতে মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু হার বেড়ে যায় এবং নারীর ক্ষমতায়ন কমে যায়। এ অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসতে হবে।
আরও পড়ুন: বাল্যবিয়ে দেয়ার অপরাধে সিরাজগঞ্জে কনের মা-চাচার কারাদণ্ড
এ সময় তিনি শিগগিরই বেলকুচি উপজেলাকে বাল্য বিয়েমুক্ত উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মতলবের ইউএনও মেয়েসহ করোনায় আক্রান্ত
চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাহমিদা হক ও তার সাত বছরের মেয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
বর্তমানে তিনি হোম আইসোলেশনে আছেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করে মতলব স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান চিকিৎসক ডা. গোলাম কাওছার হিমেল জানান, ইউএনও ও তার মেয়ে হোম আইসোলেশনে আছেন। চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং তাদের অবস্থা উন্নতির দিকে।
আরও পড়ুন: শৈলকুপায় দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিলেন ইউএনও
স্থানীয়রা জানান, করোনাকে ভয় না পেয়ে তিনি সবার কাছে ছুটে গেছেন। করোনায় মৃতদের দাফন কাফনেও তিনি পিছ পা হননি। এ জন্য সব মহলে তিনি প্রশংসা কুড়িয়েছেন।
এদিকে, চাঁদপুরে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ১৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছেন।
সিভিল সার্জন ডা. মো. সাখাওয়াত উল্লাহ জানান, নতুন শনাক্তের মধ্যে চাঁদপুর সদর উপজেলার ১২ জন, হাজীগঞ্জ ও ফরিদগঞ্জের দুই জন করে এবং মতলব দক্ষিণ ও কুমিল্লার একজন করে রয়েছেন। একই দিনে ২৩ জনকে করোনামুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এদের মধ্যে চাঁদপুর সদর উপজেলার আট জন, হাইমচরে তিন, হাজীগঞ্জে চার, মতলব দক্ষিণে এক, ফরিদগঞ্জে দুই ও শাহরাস্তির পাঁচ জন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: সেহরি নিয়ে ছিন্নমূল মানুষের মাঝে রূপগঞ্জ ইউএনও
তিনি জানান, নতুন আক্রান্তসহ জেলায় এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪৮৬৭ জন। জেলায় এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১২৩ জন। সুস্থ হয়েছেন ৪৪৯৫ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন ২৪৯জন। আক্রান্তদের মধ্যে চাঁদপুর সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আটজন। বাকীরা হোম আইসোলেশনে আছেন।
৩৩৩-তে সাহায্য চেয়ে রিকশাভ্যান পেলেন হাটহাজারীর প্রদীপ
করোনাকালীন অসহায়, কর্মহীন, হতদরিদ্র মানুষদের ত্রাণ বিতরণের জন্য সরকার ৩৩৩ নম্বরের একটি জাতীয় কলসেন্টার চালু করেছেন। যাতে ফোন করে জরুরি খাদ্য সামগ্রী ও স্বাস্থ্য সেবা পাওয়া যাচ্ছে।
কিন্তু এবার ৩৩৩ নাম্বারে ফোন করে খাদ্য সামগ্রী নয়, একটি রিকশাভ্যান উপহার পেয়েছেন হাটহাজারীর দরিদ্র রিকশাচালক প্রদীপ নাথ।
৩৩৩ নাম্বারে সাহায্য চাওয়া নিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিব্রতকর ও অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার খবর যখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল, সেই মুহূর্তে ত্রাণের বদলে রিকশাভ্যান উপহার পেয়ে রীতিমত হতবাক ও মহাখুশি হতদরিদ্র প্রদীপ নাথ। আর এ উপহার দিয়ে মানবিকতার নজির স্থাপন করলেন হাটহাজারীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমিন।
আরও পড়ুন: ৩৩৩ নম্বরে খবর পেয়ে বাল্যবিয়ে বন্ধ করলেন ইউএনও
হাটহাজারীর প্রশাসন সূত্র জানায়, চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায় মির্জাপুর ইউনিয়নের সরকার হাট এলাকার দরিদ্র রিকশাচালক প্রদীপ নাথ ৩৩৩ নাম্বারে এসএমএস করে সাহায্যের আবেদন করেন সপ্তাহখানেক আগে। এসএমএস পেয়েই উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রদীপের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে প্রদীপ নাথ তার দুঃখ দুর্দশার কথা তুলে ধরে ত্রাণের বদলে তার একমাত্র সম্বল জরাজীর্ণ রিকশাভ্যানটি মেরামত করে দেয়ার অনুরোধ করেন।
ইউএনও মোহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, প্রদীপকে ফোন করে যখন জানতে চাইলাম তার চাল, ডালসহ কোনও ধরনের ত্রাণ লাগবে কিনা। তখন প্রদীপ জানান, আপাতত চাল ডাল আছে। কিন্তু তার সংসার পরিচালনার একমাত্র মাধ্যম রিকশাভ্যানটি বয়সের ভারে নষ্ট হয়ে গেছে। সরকার যদি এটি মেরামত করে দেয় তাহলে তিনি ভ্যান চালিয়ে চাল-ডাল যোগাড় করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: তরুণ প্রকৌশলী জামাল এখন আদর্শ কৃষক
ইউএনও বলেন, ‘তার কথার সত্যতা যাচাই করার জন্য আমি গোপনে খবর নেই। এবং জানতে পারি তিনি সত্য বলেছে এবং তার উপার্জনের একমাত্র বাহন ভ্যানটি চালানোর অনুপযুক্ত হয়ে গেছে। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম প্রদীপকে একটি ভ্যান উপহার দিব।’
তিনি বলেন, ‘প্রদীপ নাথের মন মানসিকতা আমাকে অবাক করেছে। তিনি পরিশ্রম করে আয় করতে চান, কোনও ত্রাণ চান না। তার দূরবস্থা দেখে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে একটি ভ্যানগাড়ি তৈরি করে দেয়া হয়েছে। ভ্যান পেয়ে এখন খুব খুশি প্রদীপ।
সোনামসজিদ দিয়ে প্রবেশ করল ভারতে আটকে পড়া ২৪ বাংলাদেশি
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে বুধবার বিকাল পর্যন্ত ভারতে আটকা পড়া ২৪ জন বাংলাদেশি প্রবেশ করেছে।
সোনামসজিদ ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ইনচার্জ জাফর ইকবাল এ তথ্য জানিয়েছেন।
শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাকিব আল রাব্বি বলেন, বুধবার সোনামসজিদ ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরেছেন ভারতে আটকে পড়া ২৪ জন বাংলাদেশি। এদের মধ্যে ১৪ জনকে সোনামসজিদে জেলা পরিষদের ডাক বাংলায়, একজন ক্যানসারের রোগী ও তার সাথে দুজন এটেন্ডেন্সসহ তিন জনকে ২৫০ শয্যার জেলা সদর হাসপাতালে ও বাকি ৭ জনকে জেলা শহরের আল-নাহিদ হোটেলে রাখা হয়েছে। সেখানে তাদের বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: ভারতকে দ্রুত টিকা পাঠানোর আহ্বান বাংলাদেশের
তিনি বলেন, কোয়ারেন্টাইনে থাকা যাত্রীরা যাতে কেউ পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্য পুলিশি পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সায়েরা খান বলেন, ‘প্রতিটি যাত্রীকে সতর্কতার সাথে রাখা হয়েছে। করোনা আছে কি-না বৃহস্পতিবার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে।'
আরও পড়ুন: ঢাকায় ১৪ দিন পর ফেরার অনুরোধ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের
সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী জানান, ভারত থেকে আসা যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে ১৪ দিন বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। এছাড়া করোনা পজেটিভ শনাক্ত হলে তাদের ২৫০ শয্যার জেলা সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে পাসপোর্টধারীদের যাতায়াত বাড়ছে
কোয়ারেন্টাইন শেষে তারা সবাই নিজ নিজ বাড়ি ফিরে যেতে পারবেন বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন।
রাজশাহীতে আম পাড়া শুরু ১৫ মে থেকে
আমের রাজধানী হিসেবে পরিচিত রাজশাহীতে এবার আম পাড়া শুরু হচ্ছে আগামী ১৫ মে থেকে। ওই দিন থেকে পর্যায়ক্রমে ৭ ধাপে বিভিন্ন জাতের সুস্বাদু পরিপক্ক আম গাছ থেকে পাড়া হবে।
বৃহস্পতিবার রাজশাহী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক বিশেষ সভায় আম পাড়া নিয়ে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল জলিল।
আরও পড়ুন: নাটোরে আম-লিচু সংগ্রহের সময় নির্ধারণ
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ১৫ মে থেকে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন জাতের আম পাড়া শুরু হবে। তবে কোনো আম আগে পাকলে স্ব-স্ব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানাতে হবে।
রাজশাহীতে সাধারণত সবার আগে পাকে গুটি জাতের আম।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় কেমিক্যাল দিয়ে পাকানো ৪৯ ক্যারেট আম বিনষ্ট
জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এবার আগামী ১৫ মে থেকে এই আমটি পাড়তে পারবেন চাষিরা। আর উন্নতজাতের আমগুলোর মধ্যে গোপালভোগ ২০ মে, রানিপছন্দ ২৫ মে, লক্ষণভোগ বা লখনা পাড়া যাবে ২৫ মে থেকে এবং খিরসাপাত বা হিমসাগর ২৮ মে থেকে পাড়া যাবে। এছাড়া ল্যাংড়া আম ৬ জুন, আম্রপালি এবং ফজলি ১৫ জুন থেকে পাড়া যাবে। আর সবার শেষে ১০ জুলাই থেকে পাড়া যাবে আশ্বিনা ও বারি-৪ জাতের আম।
অপরিপক্ব আমের বাজারজাত ঠেকাতে গেল কয়েক বছর ধরেই রাজশাহীতে আম নামানোর তারিখ নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। এবারও সিদ্ধান্ত নিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষ থেকে অনলাইন প্লাটফর্মে জুম মিটিং করা হয়। এতে সংশ্লিষ্ট সব বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে লিচু গাছে আম আকৃতির ফল!
তবে নির্ধারিত সময়ের আগেই যদি কোনো বাগানে আম পেকে যায় তাহলে চাষি তা নামাতে পারবেন। কিন্তু সেক্ষেত্রে বিষয়টি লিখিতভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও’কে জানাতে হবে। তারপর ইউএনও সরেজমিনে বাগান পরিদর্শন করবেন। বাগানে তিনি প্রাকৃতিকভাবে আম পাকা দেখলে তা নামানোর অনুমতি দেবেন। এরপরই আম নামিয়ে বাজারে পাঠাতে পারবেন চাষি ও ব্যবসায়ীরা এমন সিদ্ধান্তই হয় ওই সভা থেকে।
রাজশাহী জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল জলিল বলেন, তিনি খোঁজ নিয়ে দেখেছেন, গত কয়েক বছর থেকে আম নামানোর তারিখ নির্ধারণ করে দেয়ার কারণে ঢাকাসহ সারাদেশের ক্রেতাদের আস্থা অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। তারা নিশ্চিত ছিলেন যে, কোনো রাসায়নিক মিশিয়ে রাজশাহীর আম পাকানো হয়নি, এটা প্রাকৃতিকভাবেই পেকেছে। ফলে রাজশাহীর আমের সুনাম অক্ষুণ্ন ছিল। তাই এবারও থাকবে।
তিনি বলেন, আম পাড়ার তারিখ নির্ধারণ করা না হলে বাগানে প্রশাসনের নজরদারি বৃদ্ধি করা হতো। কেউ যেন আগে ভাগে অপরিপক্ব আম নামাতে না পারেন সেজন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে হতো। কিন্তু এতো জনবলও তাদের নেই। সব দিক বিবেচনায় আম নামানোর ক্ষেত্রে তারিখ নির্ধারণ করে দেয়া হলো। তবে আগে পাকলে অবহিতকরণের মাধ্যমে আম নামানোরও সুযোগ থাকলো।
এদিকে চলতি বছর তাপদাহসহ প্রাকৃতিক বৈরিতায় গাছ থেকে আপনা আপনি ঝরে পড়ছে বাড়ন্ত আম। এতে রাজশাহীর বাগানগুলোতে কমেছে আমের পরিমাণ। তাই উৎপাদনের লক্ষ্য পূরণ নিয়ে সংশয়ে আছেন চাষিরা।
তবে কৃষি বিভাগ বলেছে, বাড়তি ফলন না হলেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কোনো সমস্যা নেই।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্ততর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে রাজশাহীতে ৩৭০ হেক্টর বাড়িয়ে ১৭ হাজার ৯৪৩ হেক্টর জমিতে আম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছর ১৭ হাজার ৫৭৩ হেক্টর জমিতে আম চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। এবার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে হেক্টর প্রতি ১১ দশমিক ৯ মেট্রিক টন।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কোনো সমস্য হবে না বলেও মতামত রাজশাহী কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের।
হবিগঞ্জে ইউএনও'র স্বাক্ষর জাল করে অর্থ আত্মসাৎ, গ্রেপ্তার ১
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) স্বাক্ষর জাল করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মাসুদুল ইসলাম।
শুক্রবার (৩০ মে) রাতে তাকে চুনারুঘাট উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শনিবার আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, আশ্রয়হীনদের বাসস্থান প্রদান প্রকল্পের ১৬ লাখ ৬৭ হাজার টাকা অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ জোহরা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: অর্থ আত্মসাৎ ও দুর্নীতির মামলায় কুষ্টিয়ায় কোর্ট পরিদর্শকের কারাদণ্ড
এ প্রেক্ষিতে ওইদিন রাত ১১টার দিকে উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা মাসুদুল ইসলামকে পার্শ্ববর্তী চুনারুঘাট উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ জোহরা বলেন, বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের নামে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তার যৌথ স্বাক্ষর সম্বলিত একাধিক ব্যাংক একাউন্ট আছে। মামলার এজাহারে একটি প্রকল্পের কথা উল্লেখ করলেও সবকটি একাউন্ট পরীক্ষা জরুরী মনে করছি।
স্বাক্ষর জাল করে অন্যান্য ব্যাংক একাউন্ট থেকে অর্থ লোপাট হয়েছে বলে সন্দেহ করছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। গ্রেপ্তার মাসুদুল ইসলামকে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেয়া হয়।
সেহরি নিয়ে ছিন্নমূল মানুষের মাঝে রূপগঞ্জ ইউএনও
রমজানের শুরু থেকেই নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভাসমান, অসহায়, ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষের মাঝে সেহরি বিতরণ করা হচ্ছে।
রবিবার ভোর রাতে উপজেলার গোলাকান্দাইল,ন ভূলতা, বরপা, তারাবো, রূপসী, মুড়াপাড়া এলাকায় সেহরি বিতরণ করেন রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহ্ নুসরাত ।
উপজেলা প্রশাসনের এই কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে সেহরি নিয়ে এই সব মানুষের কাছে উপস্থিত হচ্ছেন তিনি।
শাহ নুসরাত জাহান বলেন, যারা সমাজে অসহায় ছিন্নমূল তাদের জন্য আমাদের এই ছোট আয়োজন। সামান্য আহারের জন্য অনেকেই রমজানের রোজা রাখতে পারে না তাই আমরা তাদের জন্য এই সামান্য ব্যবস্থা করেছি। আমাদের এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
এ সময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) আফিফা খানসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
ইউএনওর হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা ঠাকুরগাঁওয়ের স্কুলছাত্রীর
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় ইউএনওর হস্তক্ষেপে এক ছাত্রী বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে।
ওই ছাত্রী উপজেলার ভাংবাড়ি গ্রামের এজাবুল হকের মেয়ে ও মীরডাঙ্গী বিএমএস বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণিতে পড়ত।
শুক্রবার বিকালে উপজেলার ভাংবাড়ি গ্রামে ওই ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিয়ে বন্ধ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে বাল্যবিয়ে রোধ
এ বিষয়ে ইউএনও বলেন, গোপন সংবাদে জানতে পারি যে, গোগর গ্রামের এক ছেলের সাথে ভাংবাড়ি গ্রামের নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক মেয়ের বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে। খবর পেয়ে শুক্রবার বিকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। মেয়ের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়ায় বিয়ে বন্ধ করা হয়। আর করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে লোক জমায়েত করে খাওয়ার আয়োজন করার অপরাধে ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধি ২৬৯ ধারায় মেয়ের বাবাকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাল্যবিয়ে দেয়ার অপরাধে সিরাজগঞ্জে কনের মা-চাচার কারাদণ্ড
এ সময় উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আবিদা সুলতানা ও থানা পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।
রাতের আঁধারে অসহায় পরিবারের কাছে সহায়তা নিয়ে ছুটে যান ইউএনও
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) একরামুল সিদ্দিক রাতের আঁধারে এলাকার লকডাউনের কর্মহীন বিভিন্ন অসহায় পরিবারের কাছে সরকারি সহায়তা নিয়ে ছুটে যান।
ইউএনও একরামুল সিদ্দিক যোগদানের পর থেকে তার ব্যতিক্রমী কিছু কর্মকাণ্ডে বেশ সাড়া পড়েছে নবীনগর উপজেলায়।
আরও পড়ুন: কুয়াকাটায় লকডাউন প্রচারণায় হামলার শিকার ইউএনও
লকডাউনের কর্মহীন প্রকৃত হতদরিদ্র ৭০টি অসহায় পরিবারকে খুঁজে খুঁজে তাদের বাড়িতে চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজ, লবণ, চিনি ও ছোলা নিজে সশরীরে উপস্থিত হয়ে পৌঁছে দেন । এই সময়ে এসব পেয়ে খুশি কর্মহীন মানুষগুলো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, এ সহায়তা অব্যাহত থাকবে। আর দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়াতে তিনি বিত্তবানদের প্রতিও আহ্বান জানিয়েছেন।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে সারাদিন কর্মব্যস্থতার পর সন্ধ্যা অথবা গভীর রাতে অসহায় ছিন্নমূল মানুষের বাড়িতে হাজির হন তিনি।
আরও পড়ুন: সেই আলোচিত ইউএনও এবারও লকডাউন বাস্তবায়নে মাঠে
সুশীল সমাজের ব্যক্তিরা বলছেন, এটা অসহায়দের প্রতি তার নিখাদ ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। তাই কেউ কেউ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে গরীব অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষের প্রেমিক বলেও আখ্যায়িত করেছেন।
এছাড়াও বিভিন্ন ইউনিয়নে ঘুরে সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত খুঁজে সাতজন ক্যান্সার আক্রান্ত শয্যাশায়ী রোগীকে আর্থিক অনুদান, ৬ জন প্রতিবন্ধীকে নগদ অর্থ ও এক সপ্তাহের খাবার, কাল বৈশাখী ঝড়ে ফসল নষ্ট হওয়া প্রান্তিক কৃষকদের বাড়িতে গিয়ে তাদের খোঁজ খবর নেয়ার পাশাপাশি তুলে দিলেন এক সপ্তাহের ত্রাণসামগ্রী ও নগদ আর্থিক সহযোগিতা। এভাবে সারাদিনের কর্মব্যস্ততার পরেও মোট ৭০ জন অসহায় পরিবারকে খুঁজে খুঁজে রাতে গিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ালেন নবীনগরের ইউএনও ।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনা পরিদর্শন করলেন পুলিশের আইজিপি
একরামুল ছিদ্দিক বলেন, 'ত্রাণ বিতরণকালে দরিদ্র পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেছি। তারা প্রকৃত অর্থেই খুব কষ্টে আছেন। সামান্য সাহায্য পেয়েও তারা খুশি হয়েছেন।'
তিনি জানান, তারা অনেকে না খেয়ে, আবার অনেকে দু-এক বেলা খেয়ে দিন পার করছেন বলে জানিয়েছেন। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস পেয়ে মহাখুশি কর্মহীন মানুষগুলো।