চাঁপাইনবাবগঞ্জ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের লকডাউন আরও ৭ দিন বাড়ল
করোনা পরিস্থিতি বেশ উদ্বেগজনক হওয়ায় চাঁপাইনবাবগঞ্জে চলমান লকডাউন ১ জুন থেকে আরও এক সপ্তাহ বৃদ্ধি করা হয়েছে।
সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক মো. মঞ্জুরুল হাফিজ এই লকডাউন ঘোষণা করেন।
এ সময় পুলিশ সুপার এ এইচ এম আব্দুর রকিব, সিভিল সার্জন ডাক্তার জাহিদ নজরুল চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জাকিউল ইসলাম, সদর হাসপাতালের আর.এম.ও ডাক্তার জাহাঙ্গীর কবিরসহ স্থানীয় সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
লকডাউন চলাকালে সকল প্রকার যানবাহন বন্ধ থাকবে, তবে রোগী পরিবহনে অ্যাম্বুলেন্স, জরুরি পণ্যবাহী ট্রাক ও জরুরি সেবা দানের ক্ষেত্রে এ আদেশ প্রযোজ্য হবে না।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৭ দিনের লকডাউন শুরু
লকডাউন চলাকালীন কোন প্রকার যানবাহন রাজশাহী-নওগাঁ থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রবেশ করতে পারবে না এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকেও কোনো যানবাহন জেলার বাইরে যাবে না। সকল ধরনের দোকানপাট ও সাপ্তাহিক হাট বন্ধ থাকবে। কাঁচাবাজার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় মুদি দোকান ও ফার্মেসি খোলা থাকবে। তবে প্রয়োজন ছাড়া কেউ এসব স্থানে যেতে পারবে না। আমের আড়ৎ /বাজার পৃথক পৃথক জায়গায় ছড়িয়ে আড়ৎদারের মাধ্যমে বিক্রয় করা যাবে।
এছাড়াও বাগান থেকে আম ট্রাকে করে প্রেরণ করা যাবে। কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আম পরিবহন চালু থাকবে। উপজেলা প্রশাসন এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।
জরুরি প্রয়োজনে চলাচলকারী সকলকে মাস্ক পরিধান করতে হবে। শিল্প-কারখানায় স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চালু থাকবে। তবে শ্রমিকদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নিজস্ব পরিবহনে আনা নেয়া ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে।
আইনশৃঙ্খলা ও জরুরি পরিষেবা যেমন কৃষি উপকরণ সার বীজ কীটনাশক কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি খাদ্যশস্য ও খাদ্য দ্রব্য পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা প্রদান বিদ্যুৎ, পানি, ফায়ার সার্ভিস, স্থলবন্দরের কার্যক্রম টেলিফোন, ইন্টারনেট, সরকারি-বেসরকারি গণমাধ্যমকর্মীদের সরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা ডাকসেবা সহ অন্যান্য অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিস সমূহ তাদের কর্মচারী ও যানবাহন এ নিষেধাজ্ঞা আওতা বহির্ভূত থাকবে।
অতি জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত ওষুধও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য বিক্রয় চিকিৎসাসেবার মৃতদেহ /সৎকার ইত্যাদি কোনভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না। তবে টিকা কার্ড প্রদান সাপেক্ষে টিকা গ্রহণের জন্য যাতায়াত করা যাবে। খাবারের দোকান ও হোটেল-রেস্তোরাঁয় কেবল খাদ্য বিক্রয় সরবরাহ করা যাবে। স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণ করে জুমার নামাজসহ প্রতি ওয়াক্তে নামাজ এর সর্বোচ্চ ২০জন মুসল্লি অংশ গ্রহণ করতে পারবে। অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে সমাসংখ্যক ব্যক্তি উপাসনা করতে পারবে।
এর আগে ১১ দফা নির্দেশনা দিয়ে জেলা জুড়ে ২৪ মে রাত এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে কমছে করোনা সংক্রমণের হার
চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনা সংক্রমণের হার কমেছে বলে জানিয়েছেন জেলার সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী।
তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণের হার কমলেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়ে গেছে বলা যাবে না, এজন্য আরও কয়েকদিন দেখতে হবে।
জাহিদ নজরুল জানান, গতকাল শনিবার রাতে রাজশাহীর পিসিআর ল্যাব থেকে আসা রিপোর্টে ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১০৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। যার সংক্রমণ হার ৫৯ শতাংশ।
সিভিল সার্জন জানান, গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার এই নমুনাগুলো রাশাহীর ল্যাবে পাঠনো হয়েছিল। আর গতকাল শনিবার জেলায় র্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট করা হয়েছে ৪৫৩ জনের, এতে ৫৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। যার শনাক্তের হার ১২ শতাংশ। আর এই দুয়ের গড় সংক্রমণ হার ২৫ শতাংশ।
জেলায় চলমান এক সপ্তাহের লকডাউন আরও বাডানো হবে কিনা তা জেলা করোনা
প্রতিরোধ কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, ঈদের পর চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনা সংক্রমণের হার ৫০ শতাংশের উপরে হলে জেলা জুড়ে মঙ্গলবার থেকে এক সপ্তাহের জন্য সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জে আরও ৪ মৃত্যু, লকডাউন চলছে
এদিকে, লকডাউনের আজ ষষ্ঠ দিন চলছে। লকডাউন কার্যকর করতে পুলিশ মাঠে কাজ করছে।
শহরে পুলিশের ২৭টি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। আজ সকাল থেকে দূরপাল্লা ও অভ্যন্তরীণ রুটে বাস ও ট্রেন চলাচল বন্ধ আছে। ওষুধ, মুদি দোকান ছাড়া অন্যান্য দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।
২৪ ঘণ্টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জে আরও ৪ মৃত্যু, লকডাউন চলছে
চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে চার জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৩২ জনে।
শনিবার জেলা সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী জানান, এ পর্যন্ত জেলায় ১ হাজার ৫৬৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ১১৬ জন।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৭ দিনের লকডাউন শুরু
এদিকে করোনা সংক্রমণ রোধে জেলা প্রশাসন ঘোষিত ৭ দিনের লকডাউনের আজ পঞ্চম দিন চলছে। সকাল থেকে দূরপাল্লা ও অভ্যন্তরীণ রুটে বাসের পাশাপাশি ট্রেন চলাচলও বন্ধ রয়েছে। পণ্যবাহী ট্রাক ছাড়া অন্য যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
লকডাউন কঠোরভাবে কার্যকরে পুলিশ তৎপর রয়েছে। শহরের ২৭ স্থানে পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জ-ঢাকা ম্যাংগো ট্রেনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় মঙ্গলবার থেকে এক সপ্তাহের জন্য সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-ঢাকা ম্যাংগো ট্রেনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-ঢাকা বিশেষ ম্যাংগো ট্রেনের উদ্বোধন করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী এই ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেনের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন।
এ সময় রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন এমপি ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
এদিকে এই ট্রেনের উদ্বোধন উপলক্ষে চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেল স্টেশনকে নতুন সাজে সাজানো হয়। এ সময় রেল স্টেশনে উপস্থিত ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ডা. সামিল উদ্দিন শিমুল, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌসি ইসলাম জেসী, বাংলাদেশ রেলওয়ে রাজশাহী পশ্চিমাঞ্চল জোনের মহাব্যবস্থাপক মিহির কান্তি গুহ, জেলা প্রশাসক মো. মঞ্জুরুল হাফিজ, পুলিশ সুপার এ এইচ এম আবদুর রকিব, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মঈনুদ্দিন মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি মো. আব্দুল ওদুদ।
আরও পড়ুন: ডাক অধিদপ্তরের সদর দপ্তর ‘ডাক ভবন’ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রসঙ্গত, করোনা পরিপ্রেক্ষিতে সুমিষ্ট আমের জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহী অঞ্চলের আম পরিবহনের জন্য বিশেষ এই ট্রেনটি চালুর ঘোষণা দেয় সরকার। আম ব্যবসায়ীদের কথা বিবেচনা করে বিশেষ এই ট্রেনে চাঁপাইনাবগঞ্জ থেকে কেজি প্রতি আম পরিবহনের জন্য ভাড়া নির্ধরণ করা হয়েছে ১ টাকা ৩০ পয়সা।
বিকাল ৪ টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ছেড়ে যায় ট্রেনটি। এতে মোট ৫টি ওয়াগন নিয়ে আম, শাক-সবজিসহ যে কোন ধরনের পার্সেল মালামাল বহন করা যাবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে লকডাউন চলছে: নতুন শনাক্ত ২৪
চাঁপাইনবাবগঞ্জে তৃতীয় দিনের মত লকডাউন চলছে। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আরও ২৪ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া জেলায় করোনা সংক্রমণের হার এখনো ৫০ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী বিষয়টি ইউএনবিকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ৫৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন করে আরও ২৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: এবার ‘লকডাউন’ বাড়লো ৩০ মে পর্যন্ত
এদিকে তৃতীয় দিনের মত চাঁপাইনবাবগঞ্জে লকডাউন চলছে। পণ্যবাহী যানবাহন ও জরুরি দোকানপাট ছাড়া বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লা ও অভ্যন্তরীণ রুটের সব বাস। বন্ধ রয়েছে ট্রেন চলাচলও। লকডাউন কার্যকর করতে পুলিশের ২৭টি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনা সংক্রমণ হার অতিমাত্রায় বেড়ে যাওয়ায় গত মঙ্গলবার থেকে এক সপ্তাহের জন্য এ জেলায় সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে আরও ১৩১ জনের করোনা শনাক্ত, লকডাউন চলছে
করোনা সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় চাঁপাইনবাবগঞ্জে জেলা প্রশাসন ঘোষিত ৭ দিনের লকডাউন চলছে। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৩১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
বুধবার লকডাউনের দ্বিতীয় দিনেও সকাল থেকে দুরপাল্লার কোন বাস ছেড়ে যায়নি। অভ্যান্তরিন রুটেও বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। লকডাউনের কারনে জেলা থেকে কোন ট্রেন ছেড়ে যায়নি। পন্যবাহী ট্রাক ছাড়া অন্য যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘কঠোর লকডাউন’ শুরু টেকনাফসহ ৫ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে
শহরে ওষুধ, মুদি দোকান ছাড়া বিভিন্ন বিপনি বিতানসহ অন্যান্য দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। রাস্তায় সাধারণ মানুষের চলাচল তেমন চোখে পড়ার মত নয়।
আরও পড়ুন: করোনায় একদিনে আরও ৩৮ প্রাণহানি, শনাক্ত ৮.৪১ শতাংশ
এদিকে লকডাউন কঠোরভাবে কার্যকরে জেলা প্রশাসনের ম্যাজিষ্ট্রেট ও পুলিশ মাঠে তৎপর রয়েছে। শহরের ২৭ টি স্থানে পুলিশ চেকপোষ্ট বসানো হয়েছে। শহরে পুলিশের টহল টিমও রয়েছে।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী জানিয়েছেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৩১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ২১২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৩১ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে।
আরও পড়ুন: ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ রোধে জরুরি পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
উল্লেখ্য, চাঁপাইনবাবগঞ্জে দিন দিন করোনার সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় ১১ দফা নির্দেশনা দিয়ে জেলা জুড়ে সোমবার রাত ১২ টা থেকে আগামী এক সপ্তাহের জন্য সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষনা করেছে জেলা প্রশাসন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৭ দিনের লকডাউন শুরু
করোনা সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় চাঁপাইনবাবগঞ্জে জেলা প্রশাসন ঘোষিত ৭দিনের লকডাউন মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে।
লকডাউনের কারনে সকাল থেকে দুরপাল্লার কোন বাস ছেড়ে যায়নি। অভ্যন্তরীণ রুটেও বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। লকডাউনের কারনে জেলা থেকে কোন ট্রেন ছেড়ে যায়নি। পন্যবাহি ট্রাক বা যানবাহন ছাড়া অন্য যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘কঠোর লকডাউন’ শুরু টেকনাফসহ ৫ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে
শহরে ওষুধ, মুদিদোকন ছাড়া বিভিন্ন বিপনিবিতানসহ অন্যান্য দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।
সকাল থেকে মেঘলা আকাশ ও থেমে থেমে হালকা বৃষ্টির করনে রাস্তায় সাধারন মানুষের চলাচল তেমন চোখে পড়ার মত নয়।
এদিকে লকডাউন কঠোরভাবে কার্যকরে সকাল থেকে জেলা প্রশাসনের ম্যাজিষ্ট্রেট ও পুলিশ মাঠে তৎপর রয়েছে। শহরের ২৭টি স্থানে পুলিশ চেকপোষ্ট বসানো হয়েছে। জরুরী কোন কারণ ছাড়া চলাচলকারিদের থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে। শহরে পুলিশের টহল টিমও রয়েছে।
আরও পড়ুন: লকডাউন ২৩ মে পর্যন্ত বাড়ল, প্রজ্ঞাপন জারি
উল্লেখ্য, চাঁপাইনবাবগঞ্জে দিন দিন করোনার সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় ১১ দফা নির্দেশনা দিয়ে জেলা জুড়ে সোমবার রাত ১২টা থেকে আগামী এক সপ্তাহের জন্য সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুন: করোনায় একদিনে আরও ৩৮ প্রাণহানি, শনাক্ত ৮.৪১ শতাংশ
এদিকে জেলা সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে জেলায় ৮২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ২০২ জনের নমুনা পরীক্ষায় এই ফলাফল পাওয়া গেছে। শনাক্তের হার ৪৫ শতাংশ। আর এ নিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্য ১ হাজার ৩৯৩ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৩০ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২৮৬ জন। আর করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা ২৮ জন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে হেরোইন উদ্ধার
চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ২৪ মে (ইউএনবি)-চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভোলাহাট উপজেলার চামুসা সীমান্ত এলাকা থেকে ৯০০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। তবে এ ঘটনায় কেউ আটক হয়নি।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে হেরোইনসহ ‘মাদক ব্যবসায়ী’ আটক
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর খন্দকার শাহরিয়ার আলমের নেতৃত্বে বিজিবির একটি টহল দল রবিবার রাতে চামুসা সীমান্তের ১৯৮ নম্বর সীমান্ত পিলার এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় মালিক বিহীন অবস্থায় ৯০০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ৬৫ লাখ টাকার হেরোইনসহ আটক ২
এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভারতীয় ফেনসিডিল, পাতার বিড়িসহ আটক ৩
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পৃথক দু’টি অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় পাতার বিড়ি ও ফেনসিডিলসহ তিন জনকে আটক করেছে র্যাব।
রবিবার জেলায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে বলে জানিয়েছে র্যাব।
আটককৃতরা হলেন- জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর এলাকার বেলাল উদ্দিনের ছেলে পলাশ (২৪), একই এলাকার মকবুল হোসেনের ছেলে দবির হোসেন (২৫) ও গোমস্তাপুর উপজেলার খোসালপাড়া এলাকার সেলিম রেজার ছেলে সোহেল রানা (২৮)।
র্যাব-৫ এর প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ র্যাব ক্যাম্পের একটি দল রবিবার ভোর পৌনে ৫টার দিকে শিবগঞ্জ উপজেলার রানীবাড়ি চাঁদপুর এলাকায় একটি আমবাগানের পাশে অভিযান চালায়। এসময় ১ লাখ ৯৫ হাজার পিস (শলাকা) ভারতীয় পাতার বিড়িসহ পলাশ ও দবিরকে আটক করা হয়।
এদিকে র্যাবের অপর একটি দল সকাল সাড়ে ৬টার দিকে একই উপজেলার পূর্ব বাঘিতলা বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৮০ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ী অভিযোগে সোহেল নামে একজনকে আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা সবাই দীর্ঘদিন থেকে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত বলে স্বীকার করে বলে জানিয়েছে র্যাব।
এই দুই ঘটনায় শিবগঞ্জ থানায় আলাদা দু’টি মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
সোনামসজিদ দিয়ে প্রবেশ করল ভারতে আটকে পড়া ২৪ বাংলাদেশি
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে বুধবার বিকাল পর্যন্ত ভারতে আটকা পড়া ২৪ জন বাংলাদেশি প্রবেশ করেছে।
সোনামসজিদ ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ইনচার্জ জাফর ইকবাল এ তথ্য জানিয়েছেন।
শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাকিব আল রাব্বি বলেন, বুধবার সোনামসজিদ ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরেছেন ভারতে আটকে পড়া ২৪ জন বাংলাদেশি। এদের মধ্যে ১৪ জনকে সোনামসজিদে জেলা পরিষদের ডাক বাংলায়, একজন ক্যানসারের রোগী ও তার সাথে দুজন এটেন্ডেন্সসহ তিন জনকে ২৫০ শয্যার জেলা সদর হাসপাতালে ও বাকি ৭ জনকে জেলা শহরের আল-নাহিদ হোটেলে রাখা হয়েছে। সেখানে তাদের বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: ভারতকে দ্রুত টিকা পাঠানোর আহ্বান বাংলাদেশের
তিনি বলেন, কোয়ারেন্টাইনে থাকা যাত্রীরা যাতে কেউ পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্য পুলিশি পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সায়েরা খান বলেন, ‘প্রতিটি যাত্রীকে সতর্কতার সাথে রাখা হয়েছে। করোনা আছে কি-না বৃহস্পতিবার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে।'
আরও পড়ুন: ঢাকায় ১৪ দিন পর ফেরার অনুরোধ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের
সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী জানান, ভারত থেকে আসা যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে ১৪ দিন বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। এছাড়া করোনা পজেটিভ শনাক্ত হলে তাদের ২৫০ শয্যার জেলা সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে পাসপোর্টধারীদের যাতায়াত বাড়ছে
কোয়ারেন্টাইন শেষে তারা সবাই নিজ নিজ বাড়ি ফিরে যেতে পারবেন বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন।