পুলিশ
নারায়ণগঞ্জে দুর্বৃত্তদের ট্রেন লাইনচ্যুতির চেষ্টা নস্যাৎ করল পুলিশ
বিএনপি, জামায়াত ও সমমনা বিরোধী দলগুলোর ডাকা ৪৮ ঘণ্টার সড়ক-রেল-নৌপথ অবরোধকে সামনে রেখে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটের ফতুল্লায় একটি ট্রেন লাইনচ্যুত করার চেষ্টা ব্যর্থ করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ফতুল্লার কোতালেরবাগের হক বাজার সংলগ্ন ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটের রেললাইনে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে সারাদেশের সঙ্গে খুলনার ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ
নারায়ণগঞ্জ রেলওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মোখলেছুর রহমান বলেন, দুর্বৃত্তরা ফতুল্লার কোতালেরবাগে রেললাইনে একটি ভারী লোহার পাত লাগিয়ে ট্রেন লাইনচ্যুত করার চেষ্টা করে।
স্থানীয়রা প্রথমে বিষয়টি লক্ষ্য করে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এর মাধ্যমে পুলিশকে খবর দেয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রেললাইন থেকে লোহার পাতটি সরিয়ে ফেলে।
তিনি বলেন, নাশকতার চেষ্টায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেন লাইনচ্যুত: তদন্ত কমিটি গঠন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কন্টেইনার ট্রেন লাইনচ্যুত, চলাচল আংশিক ব্যাহত
সুনামগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ আহত ১০
সুনামগঞ্জে রবিবার (১৯ নভেম্বর) বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষে পুলিশ ও সাংবাদিকসহ ১০ জন আহত হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বেলা সাড়ে ১১টায় পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিএনপি কর্মীরা হরতালের পক্ষে মিছিল বের করে এবং কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে রাস্তায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এসময় পুলিশ বিএনপি নেতাদের অগ্রসর হতে বাধা দিলে সংঘর্ষ বেধে যায়।
সংঘর্ষের একপর্যায়ে পিকেটাররা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে তারা পাল্টা কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। আধা ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে পুলিশ ও সাংবাদিকসহ ১০ জন আহত হয়েছে। পরে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে সংঘর্ষ এলাকা নিয়ন্ত্রণে নেয় পুলিশ।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় আ. লীগ-বিএনপির সংঘর্ষে পুলিশের ওসিসহ আহত ৩১
পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, সড়কে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে পুলিশের উপর আচমকা হামলা চালায় বিএনপি নেতা-কর্মীরা। এসময় পরিস্থিতি শান্ত করতে ফাঁকাগুলি ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজন কুমার দাস জানান, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
তিনি বলেন, সংঘর্ষে তিন পুলিশ সদস্যসহ ১০ জন আহত হয়েছেন।
এ ব্যাপারে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের জন্য মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুইপক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫
বগুড়ায় দু’পক্ষের সংঘর্ষ, ছাত্রলীগের ৬ নেতা-কর্মীকে বহিষ্কার
হবিগঞ্জে বিএনপির কর্মসূচিতে পুলিশের হাতে দুই সাংবাদিক লাঞ্ছিত
হবিগঞ্জে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে দুই সাংবাদিককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে জেলা বিএনপির একটি মশাল মিছিলে ঘটনাটি ঘটে।
ভুক্তভোগী বাংলাদেশ প্রতিদিনের জেলা প্রতিনিধি জাকারিয়া চৌধুরী ও এস এ টিভির প্রতিনিধি আব্দর রউফ সেলিম।
জানা যায়, শনিবার বিএনপির একটি মশাল মিছিল বের করে। এ সময় খবর সংগ্রহ করতে শহরের পোদ্দার বাড়ি এলাকায় যান কয়েকজন সাংবাদিক।
তারা মিছিলের ছবি ও ফুটেজ তোলার সময় ডিবির এক সদস্য তাদের চ্যালেঞ্জ করেন। এ সময় তারা পরিচয় দিলেও তাদেরকে লাটিপেটা ও অকথ্য গালিগালাজ করে গোয়েন্দা অফিসে নিয়ে যান।
আরও পড়ুন: ১০৩ বার পেছালো সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন
আটকরা দাবি করেন, পরিচয় দেওয়া সত্বেও সাদা পোশাকধারী উপপরিদর্শক (এসআই) রিয়াজ এর নেতৃত্বে দেন থাকা পুলিশ সদস্যরা মারমুখী ছিল।
হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলির জানান, বিষয়টি ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে।
ডিবিকে ওই দুই সাংবাদিক ভালভাবে পরিচয় দেননি। তাদেরকে অবিলম্বে ছেড়ে দেওয়ার জন্য বলেছি।
প্রেসক্লাবে বিষয়টি নিয়ে জরুরি বৈঠক করছেন সাংবাদিকরা।
আরও পড়ুন: করোনা টিকা নিয়ে ৩২ মাস ধরে অসুস্থ সাংবাদিক বিষ্ণু প্রসাদ
বিএনপি-পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া: পুলিশের ফাঁকা গুলি, আটক ৩
সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার ঠিক আগমূহূর্তে সিলেট নগরের জিন্দাবাজার এলাকায় মশাল মিছিল বের করেছেন বিএনপি সর্মথকরা।
এসময় পুলিশ তাদের ধাওয়া করলে উত্তেজনা দেখা দেয়।
আরও পড়ুন: আশুলিয়ায় শ্রমিকদের সাথে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, নারীর মৃত্যু
এসময় বিএনপি কর্মীরা সড়কে মশাল ফেলে আগুন জ্বালিয়ে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন। পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে। পরে তিনজনকে আটক করে পুলিশ।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এসময় আতংকে দোকানপাট বন্ধ করে দেন ব্যবসায়ীরা।
বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হওয়ার কথা। তার প্রায় আধঘণ্টা আগে নগরের বারুতখানা এলাকা থেকে মশাল মিছিল বের করেন বিএনপির কর্মী সমর্থকরা। মিছিলটি জিন্দাবাজারের দিকে আসার পর পুলিশ তাদের ধাওয়া করে। এসময় মশাল দিয়ে সড়কেই আগুন ধরিয়ে দেন বিএনপি কর্মীরা।
সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিঘ্ন ঘটাতে একদল লোক মশাল মিছিল বের করে আংতকের সৃষ্টি করে। পুলিশ জানমালের নিরাপত্তায় তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এসময় দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পুলিশ।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির মিছিল থেকে একজনকে ও পরে সন্দেহভাজন আরও দুজনকে আটক করা হয়েছে। যেকোনো ধরনের নাশকতা প্রতিরোধে পুলিশ সতর্ক রয়েছে।
আরও পড়ুন: ইবির নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশ-বিএনপি ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, বিএনপি নেতা আটক
বগুড়ায় আ. লীগ-বিএনপির সংঘর্ষে পুলিশের ওসিসহ আহত ৩১
বিরোধীদলের ডাকা দুই দিনের অবরোধ চলাকালে বগুড়ার শেরপুরে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মাঝে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশ টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে পুলিশের ওসিসহ দুটি দলের অন্তত ৩১ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) দুপুর পৌনে ১২টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ হলে। এই সংঘর্ষে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের ৪ জনকে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নারী পোশাক শ্রমিক নিহত
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অবরোধের সমর্থনে বগুড়া জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের নেতৃত্বে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে শেরপুর উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে শেরপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে একটি মিছিল বের হয়।
মিছিলটি এগিয়ে যাওয়ার সময় পেছনে আওয়ামী লীগের উপজেলা কমিটির সহসভাপতি শাহ জামাল সিরাজীর নেতৃত্বে অবরোধবিরোধী অপর একটি মিছিল থেকে প্রথমে ধাওয়া দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে তারা দুইপক্ষ ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এর পরই দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষ বাধে।
এ সময় মহাসড়কের আশ-পাশের বেশ কিছু দোকানে ভাঙচুর করা হয়। পরে পুলিশ টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছুঁড়ে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পরে শেরপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম বাবলু দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, তাদের মিছিলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বিনা উসকানিতে হামলা চালায়। এতে বিএনপির ১৫ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
এদিকে শেরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ জানান, তাদের দলের নেতা-কর্মীরা শান্তির পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। কিন্তু বিএনপি নেতা-কর্মীরা ইট-পাটকেল এবং ককটেল নিয়ে আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। তাদের হামলায় দলের ১১ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবু কুমার সাহা সাংবাদিকদের জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে অবরোধ সমর্থকদের নিক্ষেপ করা ইট-পাটকেলের আঘাতে তিনিসহ পুলিশ বাহিনীর ৫ সদস্য আহত হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি পুরোপুরি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুইপক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫
পুলিশ ও পোশাক শ্রমিকদের সংঘর্ষে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ
পুলিশ ও পোশাক শ্রমিকদের সংঘর্ষে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ
মূল বেতন বৃদ্ধির দাবিতে গাজীপুরের নাওজোড় এলাকায় পুলিশ ও পোশাক কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষের পর আজ বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে এক ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে চান্দনা চৌরাস্তায় লিবাস নিটওয়্যার, হাসান তানভীর ফ্যাশনসহ বেশ কয়েকটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা রাস্তায় নেমে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়।
এক পর্যায়ে তারা গাছের গুঁড়ি ফেলে মহাসড়কে ব্যারিকেড বসানোর চেষ্টা করেন।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নারী পোশাক শ্রমিক নিহত
পরে র্যাবসহ পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে টিয়ার শেল ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে।
বিক্ষোভ চলাকালে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম বলেন, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এদিকে অস্থিরতা ও বুধবার এক নারী পোশাক কর্মীর মৃত্যুর পর আজ বেশ কয়েকটি পোশাক কারখানা বন্ধ রয়েছে।
পোশাক কারখানার শ্রমিকরা তাদের মূল বেতন ২৩ হাজার টাকা করার দাবিতে ২৩ অক্টোবর থেকে আন্দোলন করছেন।
তাদের ন্যূনতম বেতন ১২ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার।
আরও পড়ুন: পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা নির্ধারণ
গাজীপুরে এপিসি কারে বিস্ফোরণ, ৫ পুলিশ আহত
শ্রমিক আন্দোলন দমন করতে গিয়ে গাজীপুরে এপিসি কার বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন ৫ পুলিশ সদস্য। তাদের একজনের হাতের কব্জি প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
বুধবার (৮ নভেম্বর) বিকালে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, বেতন বাড়ানোর দাবিতে বিকালে নগরের নাওজোড় এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে শ্রমিকরা। এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। শ্রমিক বিক্ষোভ দমন করতে গিয়ে পুলিশের এপিসি কারে একটি বিস্ফোরণ ঘটে। এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন।
আহত একজনের হাতের কব্জি প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আহত সব পুলিশ সদস্যকে প্রথমে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে তাদের তিনজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে শ্রমিক বিক্ষোভ, পোশাক কারখানা বন্ধ ঘোষণা
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, এপিসি কারের ভেতরে পুলিশ সদস্যদের অসাবধানতায় বিস্ফোরণ ঘটে। এতে সেখানে থাকা পুলিশ সদস্যরা আহত হন। একজনের হাতের কব্জি মারত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয় ওই বিস্ফোরণে।
গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম জানান, আহত অবস্থায় পাঁচজন পুলিশ সদস্যকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত পুলিশ সদস্য প্রবীর (৩০), ফুয়াদ (২৮) ও খোরশেদকে (৩০) উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আশিকুল (২৭) ও বিপুলকে (২৪) হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এদের মধ্যে ফুয়াদের অবস্থা বেশি গুরুতর, তিনি ডান হাতের আঙুল ও কব্জির নিচের অংশে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে বলে জানান চিকিৎসক।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে সোয়েটার কারখানায় শ্রমিক বিক্ষোভ, অন্য কারখানায় হামলা
কুড়িগ্রামে পুলিশ সেজে পুলিশের সঙ্গেই প্রতারণা, গ্রেপ্তার ১
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলায় পুলিশ ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে আতানুর রহমান নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (৮ নভেম্বর) বিকালে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তার আতানুর রহমান নাগেশ্বরী উপজেলার বামনডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার
পুলিশ জানায়, গত ৬ নভেম্বর বিকালের দিকে নাগেশ্বরী থানার ডিউটি অফিসারের সরকারি মোবাইল ফোনে আতানুর রহমান নিজেকে পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে থানার সার্বিক অবস্থা জানতে চান। থানায় কতটি অভিযোগ সকাল থেকে দায়ের হয়েছে সে বিষয়ে তথ্য চান।
একপর্যায়ে অভিযোগকারীদের নাম ও মোবাইল নম্বর জানতে চাইলে দ্বায়িত্বরত থানার এএসআই সরল বিশ্বাসে সব দিয়ে দেন।
একই দিন সন্ধ্যার দিকে একজন অভিযোগকারী নাগেশ্বরী থানার মুন্সির কাছে এসে বলে ওসি স্যার ফোন করেছিল খরচের টাকার জন্য। একবার ২ হাজার টাকা বিকাশ করলাম আবার টাকা চাচ্ছেন।
পুলিশ আরও জানায়, বিষয়টি মুন্সির সন্দেহ হওয়ায় মুন্সি নম্বর সংগ্রহ করে যে নম্বর থেকে কল করা হয়েছিল সেই নম্বরে কল দিতে থাকে। অপর প্রান্ত থেকে বারবার কল কেটে দেয় প্রতারক ব্যক্তি।
একপর্যায়ে কল ব্যাক করে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কণ্ঠে মুন্সিকে বলেন, ‘এই মুন্সি বারবার কেটে দিচ্ছি তবু কল দিচ্ছ কেন, রেখে দাও।’ কণ্ঠ শুনে মুন্সি ও বিপাকে পড়ে যান।
কিছুক্ষণের মধ্যেই ওসি থানায় এলে মুন্সি ওসিকে ঘটনাটি জানান। এরপর পুরো ঘটনা শুনে ওসি বুঝতে পেরে ওই রাতে থানায় সব অভিযোগকারীর মোবাইল নম্বরে কল দিতে বলেন।
তিনজন অভিযোগকারী একই ঘটনার বর্ণনা দেন এবং একইভাবে কল ও একই বিকাশে টাকা দিয়েছেন জানান। পরে মোবাইল নম্বর ও বিকাশ নম্বরের সূত্র ধরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
কুড়িগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) মো. রুহুল আমীন বলেন, ওই ফোন করে কয়েকজনের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে টাকা নিয়েছিল। পরে নাগেশ্বরী থানা পুলিশ প্রতারক চক্রটির মূলহোতাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। এর সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কি না- এই বিষয়ে তদন্ত ও অভিযান চলমান।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ১১২ মামলায় ১০ দিনে গ্রেপ্তার ১৬৩৬ জন: ডিএমপি
পুলিশ কনস্টেবল হত্যা মামলায় ছাত্রদল নেতা আমান গ্রেপ্তার
আইনশৃঙ্খলা পুরোপুরি ভেঙে ফেলতেই পুলিশের উপর হামলা: সজীব ওয়াজেদ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বিএনপি-জামায়াত জোটকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ আখ্যা দিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপর হামলার কথা উল্লেখ করে বলেন, এসব হামলা আইনশৃঙ্খলা পুরোপুরি ভেঙে ফেলার উদ্দেশ্যে।
সজীব ওয়াজেদ জয় সম্প্রতি বিএনপির এক নেতার প্রকাশ্যে মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন, যিনি ২৮ অক্টোবর বিএনপির ক্যাডারদের হাতে এক পুলিশ কর্মকর্তাকে নৃশংসভাবে হত্যার 'প্রকাশ্যে প্রশংসা' করেছিলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপিতে নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তি ও ষড়যন্ত্র স্পষ্ট: সজীব ওয়াজেদ
সজীব ওয়াজেদ জয় ২৮ অক্টোবর বিএনপির ক্যাডারদের হাতে এক পুলিশ কর্মকর্তার হত্যার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান এবং বিএনপির এক নেতা পুলিশ কর্মকর্তাকে নৃশংসভাবে হত্যার ‘প্রকাশ্যে প্রশংসা’ করে সাম্প্রতিক জনসমক্ষে দেওয়া মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন।
নিজের ভেরিফাইড এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্ট থেকে তিনি লিখেছেন, ‘সন্ত্রাসী সংগঠনের মতো @বিএপি৭৮ (বিএনপির) ছাত্রসংগঠনের পিকেটাররা তাদের চলমান অবরোধ' সফল করতে পুলিশের একটি ভ্যানে ককটেল নিক্ষেপ করেছে।
তিনি লিখেছেন, কয়েকদিন আগে উচ্ছৃঙ্খল ক্যাডাররা এক পুলিশ কর্মকর্তাকে পিটিয়ে হত্যা করে, একটি পুলিশ হাসপাতালে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং শতাধিক কর্মকর্তাকে আহত করে।
সজীব ওয়াজেদের টুইটে বলা হয়, ‘পুলিশ কর্মকর্তার নৃশংস হত্যাকাণ্ডকে স্বাগত জানিয়ে বিএপির একজন জ্যেষ্ঠ নেতা প্রকাশ্যে দাবি করেছেন, এই হত্যাকাণ্ড তাদের অনুষ্ঠানকে সফল করেছে।’
পুলিশ কর্মকর্তাদের উপর নৃশংস হামলার সংবাদ সংকলন করে একটি সংক্ষিপ্ত ভিডিও ক্লিপ পোস্ট করা হয়েছে।
সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত আট মাস ধরে দেশব্যাপী অগ্নিসংযোগ ও অবরোধে বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডাররা অন্তত ৯০ জন পুলিশ সদস্যকে হত্যা করেছে।
আরও পড়ুন: এই দুর্গাপূজা অশুভ শক্তির অবসান ঘটাক, অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজে মানুষের সমৃদ্ধি হোক: সজীব ওয়াজেদ
বাংলার মানুষকে ১৫ আগস্টের নির্মম প্রতিদান দিয়েছে মোশতাক-জিয়াসহ অন্যান্যরা: সজীব ওয়াজেদ
উত্তরায় পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা হামলা, ছাত্রদলকর্মী গ্রেপ্তার
রাজধানীর উত্তরার হাউজ বিল্ডিং এলাকায় রবিবার (৫ নভেম্বর) সকালে পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে দুটি বোমা ছোঁড়ার অভিযোগে এক ছাত্রদলকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার কর্মীর নাম জিএম হাসান। তিনি ছাত্রদলের গাজীপুর নগর শাখার সাবেক সহসভাপতি।
উত্তরার হাউজ বিল্ডিং এলাকার পূবালী ব্যাংকের সামনে সকাল সাড়ে ৭টায় এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: খিলগাঁওয়ে বাসে আগুন, যাত্রী দগ্ধ
উত্তরা পশ্চিম থানার পরিদর্শক (অপারেশন) পার্থ প্রতীম ব্রহ্মচারি বলেন, যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় ওই এলাকায় মোতায়েন করা পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে দুটি বোমা ছুঁড়েছিল দুর্বৃত্তরা। একটি বোমা বিস্ফোরিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এরপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে ধাওয়া করে গ্রেপ্তার করে।
পার্থ বলেন, অবিস্ফোরিত বোমাটি ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
সারাদেশে বিএনপি, জামায়াত ও সমমনা বিরোধী দলগুলোর ডাকা ৪৮ ঘণ্টার সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধের মধ্যে আজ সকাল থেকে রাজধানীজুড়ে পিকেটিং ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে হরতালে বাসে আগুন
বিএনপি-জামায়াতের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার দেশব্যাপী অবরোধ চলছে