পুলিশ
মানুষের নির্বিঘ্নে চলাফেরা নিশ্চিত করবে পুলিশ: আইজিপি
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, বিএনপি-জামায়াতের হরতাল-অবরোধ চলাকালে প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সঙ্গে যারা এর আগেও সারা দেশে সহিংসতা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িত ছিল তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।
দেশকে অস্থিতিশীল করার প্রচেষ্টায় স্বার্থান্বেষী একটি মহল জড়িত দাবি করে পুলিশ প্রধান বলেন, ‘কেউ যদি কোনো কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে চায়, সে অধিকার তার রয়েছে। তবে মানুষেরও অবাধে রাস্তায় চলাচল করার অধিকার রয়েছে। সুতরাং, মানুষ যাতে অবাধে চলাফেরা করতে পারে তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজায় হিন্দু সম্প্রদায়কে নিরাপত্তা দেওয়ার আশ্বাস আইজিপি’র
২৮ অক্টোবর বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে আহত পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে যান আইজিপি। পরিদর্শন শেষে বুধবার (১ নভেম্বর) সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থার কোনো ঘাটতি ছিল না।
তিনি বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি। এদিকে কোনো প্ররোচনা ছাড়াই পিকেটাররা একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং আরেকটি বাসে হামলা চালায়। তারা ইচ্ছাকৃত মানুষের ওপর হামলা চালিয়েছে।’
গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপি নেতা-কর্মীদের নৃশংস হামলায় পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম নিহত হন।
এ ছাড়া ওই দিন রাজধানীর মতিঝিল কাকরাইল ও নয়াপল্টনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বিএনপি-জামায়াতের সংঘর্ষে ৪১ পুলিশ সদস্য আহত হন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (মিডিয়া) ফারুক হোসেন জানান, আহত ২২ পুলিশ সদস্য রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে এবং ১৯ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিজেকে ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপদেষ্টা’ হিসেবে পরিচয় দেওয়া মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফি ও বিএনপি কার্যালয়ে আনা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ প্রধান বলেন, ‘তদন্তের স্বার্থে আমরা এখনও কিছু প্রকাশ করতে চাই না।’
মঙ্গলবার সাভার থেকে সারওয়ার্দীকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। এর আগে রবিবার ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আরেফিকে আটক করা হয়।
সোমবার ডিবি কার্যালয়ে ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপদেষ্টা’ হিসেবে দাবি করা মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফি বলেন, ‘লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী আমাকে বিকাল ৩টার দিকে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে নিয়ে আসেন। তারা আমাকে বক্তৃতা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিল।’
আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বাংলাদেশ: আইজিপি
দেশপ্রেমের চেতনায় দায়িত্ব পালন করুন: ক্যাডেট উপরিদর্শকদের উদ্দেশে আইজিপি
সিলেটে ‘পুলিশের ধাওয়ায়’ যুবদল নেতার মৃত্যুর অভিযোগ
সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় অবরোধ চলাকালে পুলিশের ধাওয়ায় এক যুবদল নেতার মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
বিএনপির দাবি, পুলিশের গাড়িচাপায় আহত হয়ে পুলিশ হেফাজতেই তার মৃত্যু হয়েছে।
তবে পুলিশ বলছে, দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে কনস্টেবলের মিস ফায়ারে ওসি আহত
নিহত জিল্লুর রহমান দিলু গোলাপগঞ্জ উপজেলার ইলাইগঞ্জ গ্রামের মৃত ইলিয়াস মিয়ার ছেলে এবং গোলাপগঞ্জ যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।
এদিকে, পুলিশের ধাওয়া খেয়ে এক কর্মী নিহতের জেরে বুধবার সিলেটে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে সিলেট জেলা ও মহানগর যুবদল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ হরতালের ডাক দেওয়া হয়।
হরতালের তথ্য নিশ্চিত করে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, পুলিশ হেফাজতে যুবদল কর্মী জিল্লুর রহমান নিহতের জেরে যুবদল বুধবার সিলেটে হরতাল ডেকেছে। আমরা এতে নৈতিক সমর্থন জানিয়েছি। এছাড়া হরতালের পাশপাশি বিএনপির ডাকা তিনদিনের অবরোধ কর্মসূচিও চলমান থাকবে।
সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী জানান, অবরোধ কর্মসূচি পালন করতে সকালে মোটরসাইকেল নিয়ে দক্ষিণ সুরমার লালাবাজার যান গোলাপগঞ্জ যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জিল্লুর রহমান। এ সময় পুলিশের একটি গাড়ি ধাওয়া দেয়। এতে ঘটনাস্থলে গুরুতর আহত হন দুজন। পরে জিলুকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আনা হয়। বেলা দুইটার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যুর খবর আসে।
সিলেট জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মকসুদ আহমদ জানান, জিল্লুরকে গুরুতর আহত অবস্থায় পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়। এরপর তার মৃত্যুর খবর এসেছে।
জিল্লুরকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
তবে তাকে আটকের অভিযোগ অস্বীকার করে সিলেট মহানগর পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, সকালে জিল্লুরসহ কয়েকজন লালাবাজার এলাকায় পিকেটিং করছিলেন। এসময় পুলিশ তাদের ধাওয়া দেয়। ধাওয়া খেয়ে দ্রুত পালানোর সময় জিল্লুরের মোটরসাইকেল একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে দুজন আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জিল্লুর মারা যান।
আরও পড়ুন: সিলেটে বিএনপি-জামায়াতের ৭ কর্মী আটক, আহত ৫ পুলিশ সদস্য
সিলেটে ৩ শিবিরকর্মী গ্রেপ্তার
মাতুয়াইলে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে ৪ পুলিশ আহত, আটক ৩০
ঢাকার মাতুয়াইলে বিএনপি-জামায়াত ও সহযোগী দলের তিন দিনের অবরোধ চলাকালে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে অন্তত চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
ডেমরা থানার ডিউটি অফিসার মো. রফিক জানান, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দেশব্যাপী অবরোধের সমর্থনে বাদশা মিয়া রোডে বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিএনপি নেতা-কর্মীরা।
আরও পড়ুন: গোপালগঞ্জে দু্ই পক্ষের সংঘর্ষে সাবেক সেনা সদস্য নিহত, আহত ২০
তিনি জানান, পুলিশ বাধা দিলে তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপর হামলা করে। এতে চার পুলিশ সদস্য আহত হন।
পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া করা হয় এবং ঘটনার সময় কিছু দেশীয় বোমা বিস্ফোরিত হয়।
ডিএমপির ডেমরা জোনের সহকারী কমিশনার মধুসূদন দাস জানান, পরে তামিরুল মিল্লাত ও মিন্টু চত্বর এলাকা থেকে ৩০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে বিএনপি-আ. লীগ-পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত ২
মানিকগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে আহত ১০, আটক ৫
সাভারে গার্মেন্টস শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে আহত ১০
বেতন বৃদ্ধির দাবিতে সাভারে গার্মেন্টস শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০ জন শ্রমিক আহত হয়েছেন। রবিবার (২৯ অক্টোবর) সকালে সাভারের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের হেমায়েতপুরের পদ্মারমোড় ও নাজিমনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকালে একদল শ্রমিক ২৩ হাজার টাকা মুজুরি বৃদ্ধির দাবিতে ব্যাবিলন ও একে এইচ স্টিচ লিমিটেড গার্মেন্টসে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়।
আরও পড়ুন: সাভারে টিকাকেন্দ্রে পদদলিত হয়ে আহত ৩০
পরে শ্রমিকরা পদ্মারমোড় ও নাজিমনগর এলাকায় রাস্তা অবরোধ করতে চাইলে শিল্প পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এরপরই শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে ১০ জন শ্রমিক আহত হয়।
সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা জানান, এ ঘটনায় ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ওই এলাকার ৬টি গার্মেন্টস কতৃপক্ষ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
তিনি আরও জানান, শিল্প পুলিশের পাশাপাশি সাভার মডেল থানা পুলিশ যেকোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মোতায়েন রয়েছে। এদিকে ভাঙচুরের হাত থেকে রক্ষা পেতে অন্য গার্মেন্টসের শ্রমিকরা কারখানা পাহারায় রয়েছেন।
আরও পড়ুন: সাভারে ছাত্রলীগ নেতার স্ত্রী পরিচয়ে হাসপাতালে মারামারি, আহত ৪
সাভারে পলাতক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী গ্রেপ্তার
ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশ-বিএনপি ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, বিএনপি নেতা আটক
বিএনপির মহাসচিবকে আটকের প্রতিবাদে ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় বিএনপির ঠাকুরগাঁও পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাহাবুবুর রহমানকে আটক করেছে পুলিশ৷
রবিবার (২৯ অক্টোবর) দুপুর ১টার দিকে শহরের কালিবাড়ি থেকে বিএনপি নেতা-কর্মীরা একটি মিছিল বের করে শহরের চৌরাস্তার দিকে যেতে চাইলে পুলিশ মিছিলটি বাধা দেয়। এক পর্যায়ে মিছিলকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ ফাঁকা গুলি ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। এতে বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ ধরায় ৩৫ জেলে আটক
পরে তারা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সামনে অবস্থান নেয়। এরপর মিছিলকারীদের সঙ্গে কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। তবে এ ঘটনায় হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবির জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ও মিছিলকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে বিএনপি-জামায়াতের ৭ কর্মী আটক, আহত ৫ পুলিশ সদস্য
ফখরুলকে আটকের নিন্দা জানিয়েছে বিএনপি
গাইবান্ধায় পুলিশের উপর হামলা করে ৩ বিএনপি নেতাকে ছিনতাই
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জে পুলিশের উপর হামলা করে ৩ বিএনপি নেতাকে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদিকে এই ঘটনা সামাল দিতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে।
গোবিন্দগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জহুরুল ইসলাম জানান, মহিমাগঞ্জে বিএনপির ডাকা হরতাল সফল করতে মহিমাগঞ্জ সুগার মিল এলাকায় বিএনপি নেতা-কর্মীরা জড়ো হয়ে পিকেটিং করতে থাকে। এ সময় বিএনপি নেতা আবু সুফিয়ান সুজাসহ ৩ বিএনপির নেতাকে আটক করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় শিশু হত্যার আসামিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
তিনি আরও জানান, এসময় বিক্ষুদ্ধ বিএনপি কর্মীরা আটকদের ছেড়ে দেওয়ার দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে এবং পুলিশের গাড়িতে হামলা চালিয়ে আটক বিএনপির তিন নেতাকে পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নেয়।
তিনি বলেন, পরিস্থিতি সামাল দিতে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ কয়েক রাউন্ড শটগানের গুলি ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এঘটনার পর ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
এব্যাপারে গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আলম শাহ বলেন, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যারা পুলিশের উপর হামলা করে ৩ জনকে ছিনিয়ে নিয়েছে তাদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় ট্রেনের ধাক্কায় যুবক নিহত
গাইবান্ধায় মানুষের মাথার খুলি জব্দ, কবিরাজ আটক
আহত পুলিশ ও সাংবাদিকদের খোঁজ নিতে হাসপাতালে যান আ.লীগের প্রতিনিধি দল
বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে আহত পুলিশ সদস্য ও সাংবাদিকদের খোঁজখবর নিতে শনিবার হাসপাতালে যান আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল।
প্রতিনিধি দলে ছিলেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এস এম কামাল, দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, দক্ষিণের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মহি।
শনিবার রাত ৮টার দিকে তারা প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। পরে রাত ৯টার দিকে তারা রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে গিয়ে আহত পুলিশ সদস্যদের খোঁজখবর নেন।
আরও পড়ুন: পুলিশকে পিটিয়ে হত্যার ছাত্রদল নেতার ভিডিও আছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
এ সময় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ শনিবার বিকালে সংঘর্ষে নিহত কনস্টেবল আমিনুল পারভেজের পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দেন এবং হত্যার ন্যায়বিচারের আশ্বাস দেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী আইনজীবী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আন্দোলনের নামে বিএনপির সন্ত্রাসীরা রাজধানীতে হামলা চালিয়েছে। তারা পুলিশের দু’টি অ্যাম্বুলেন্স পুড়িয়ে দেয়, একটি হাসপাতালে আগুন ধরিয়ে দেয়।
প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। শুধু তাই নয়, সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রেহাই পাননি আমাদের ৪ নেত্রী। আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের অন্তত ৩০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানান তিনি।
এই সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে এবং কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
আরও পড়ুন: রবিবার সারাদেশে শান্তি সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ
দেশে গণতন্ত্রের অভিযাত্রাকে নস্যাৎ করতে দেওয়া হবে না: তথ্যমন্ত্রী
পুলিশকে পিটিয়ে হত্যার ছাত্রদল নেতার ভিডিও আছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
রাজধানীতে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চলাকালে কর্তব্যরত এক পুলিশ সদস্যকে ছাত্রদল নেতা পিটিয়ে হত্যার ভিডিও তাদের কাছে আছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
শনিবার(২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে গিয়ে তিনি বলেন, 'আমাদের কাছে হত্যাকাণ্ডের ফুটেজ রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সবাই দেখেছে কিভাবে তারা একজন পুলিশ সদস্যকে হত্যা করেছে। পুলিশ পড়ে যাওয়ার পরও ছাত্রদলের এক নেতা তাকে পেটায় এবং মাথায় আঘাত করে। আমাদের কাছে এর ফুটেজ আছে। পুলিশ মারা গেছে। এই দৃশ্য সবার হৃদয় ছুঁয়ে গেছে।’
আরও পড়ুন: শান্তি সমাবেশে যোগ দিতে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে জড়ো হচ্ছেন আ. লীগের নেতা-কর্মীরা
তিনি বলেন, 'বিএনপির নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছে যেন বৃষ্টি হচ্ছে। তারা ২০১৪ সালের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি করার চেষ্টা করেছে।
তিনি বলেন, 'বিএনপি ঘোষণা দিয়েছিল, তারা আজ সমাবেশে ১০ লাখ মানুষকে নিয়ে আসবে। তাদের (বিএনপি) সমাবেশ প্রধান বিচারপতির বাসভবন পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে আওয়ামী লীগের সমাবেশে বিএনপি হামলা চালালে সহিংসতা শুরু হয়। হামলার পরও তারা থেমে থাকেনি, তারা দুটি পিকআপ ভ্যানে আগুন ধরিয়ে দেয়। এরপর তারা প্রধান বিচারপতির বাসভবনে প্রবেশ করে।’
আরও পড়ুন: রবিবার সারাদেশে শান্তি সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এমন পরিস্থিতিতে পুলিশ নিষ্ক্রিয় থাকতে পারে না। পুলিশ আইন অনুযায়ী তাদের দায়িত্ব পালন করেছে। তারা তাদের সরিয়ে দিয়েছে।’
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি কর্মীরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় এবং তারা সমাবেশে লাঠি নিয়ে আসে। তারা তিনটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, পুলিশ অত্যন্ত ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে। বিএনপির নেতাকর্মীরা রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে আগুন দিয়েছে।
আসাদুজ্জামান বলেন, তারা অ্যাম্বুলেন্স ও পুলিশ স্থাপনায় আগুন ধরিয়ে দেয়। কয়েকটি সরকারি ভবনেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তারা জজ কমপ্লেক্সেও আগুন ধরিয়ে দেয়।
তিনি বলেন, যারা যানবাহনে আগুন দিয়েছে এবং গাড়ি ভাঙচুর করেছে তাদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নেবে।
আরও পড়ুন: দেশে গণতন্ত্রের অভিযাত্রাকে নস্যাৎ করতে দেওয়া হবে না: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি-জামায়াতের সংঘর্ষে ১ পুলিশ নিহত, ৪০ জনের বেশি আহত
রাজধানীর মতিঝিল, কাকরাইল ও নয়াপল্টন এলাকায় শনিবার (২৮ অক্টোবর) পুলিশের সঙ্গে বিএনপি-জামায়াতের সংঘর্ষে এক পুলিশ সদস্য নিহত এবং কমপক্ষে ৪১ পুলিশ আহত হয়েছেন।
তাৎক্ষণিকভাবে নিহতের পরিচয় জানা যায়নি।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, আহত এক পুলিশ সদস্য ঢামেক হাসপাতালে মারা যান।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার (মিডিয়া) ফারুক হোসেন জানান, আহত ২২ পুলিশ সদস্য রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে এবং ১৯ জন ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ফারুক হোসেন জানান, মতিঝিল, কাকরাইল ও নয়াপল্টন এলাকায় কর্তব্যরত অবস্থায় তারা আহত হয়েছেন।
এর আগে, গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার হারুন-অর-রশিদ বলেছিলেন যে শনিবার (২৮ অক্টোবর) ঢাকার কাকরাইলের জাজেস রেসিডেন্স কমপ্লেক্সের সামনে বিএনপির কয়েকজন কর্মী পুলিশের ওপর হামলা চালায়।
আরও পড়ুন: রবিবার সারাদেশে হরতালের ডাক দিল বিএনপি
তিনি কাকরাইল চার্চের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, ‘কয়েকজন পুলিশ আহত হয়েছে। এ ছাড়াও, তারা কাকরাইলের আইডিবি ভবনের সামনে হামলা, ভাঙচুর ও কয়েকটি গাড়িতে আগুন দিয়েছে।’
বর্তমানে কাকরাইল চার্চ ক্রসিংয়ে বিজিবি সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
তিনি বলেন, ঘটনার ভিডিও ফুটেজ পুলিশের কাছে রয়েছে। আমরা জড়িতদের চিহ্নিত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।
তিনি আরও বলেন, সহিংসতায় লিপ্ত হওয়া বিএনপি কর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেছে এবং পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এর আগে ঢাকার কাকরাইল এলাকায় পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর ১টার দিকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা কাকরাইল এলাকায় মিছিল বের করে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের দিকে যেতে থাকে।
একপর্যায়ে পুলিশ তাদের বাধা দিলে বিএনপি নেতা-কর্মীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে।
পরে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে।
নির্দলীয় সরকারের অধীনে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের এক দফা দাবিতে দল ও সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মীর অংশগ্রহণে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির মহাসমাবেশ শুরু হয়েছিল।
আরও পড়ুন: রাজধানীর কাকরাইলে পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুর করেছে বিএনপি নেতা-কর্মীরা: ডিবি
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিএনপির সংঘর্ষে রণক্ষেত্র নয়াপল্টন
বাংলা টিভির সাংবাদিককে মারধরের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে
বাংলা টিভির স্থানীয় সাংবাদিক আরিফুল ইসলামকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আনোয়ার হোসেন নামে এক পুলিশ পরিদর্শকের বিরুদ্ধে। বুধবার (১৮ অক্টোবর) ঘটনাটি ঘটে।
রসাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় আশুলিয়া থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আটক
পুলিশের এ ধরনের আচরণে ঢাকা জেলা প্রেস ক্লাব, কেরানীগঞ্জ প্রেস ক্লাব, নবাবগঞ্জ ও দোহার প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকরা তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন। এ ছাড়া ওই পুলিশ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সাংবাদিকরা।
এদিকে এ ঘটনার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন কবীর পুলিশের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করে জানান, এরই মধ্যে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে অভিযুক্ত জাজিরা পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আনোয়ার হোসেনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বিভাগীয় তদন্ত করে অভিযুক্ত পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া আহত সাংবাদিককে চিকিৎসার জন্য ইবনে সিনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জাবি ছাত্রাবাসে সাংবাদিককে মারধর
গণধর্ষণের সংবাদ প্রকাশ, কুমিল্লায় ২ সাংবাদিককে মারধর