পুলিশ
‘কঠোর লকডাউন’ পালনে সেনাবাহিনী থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সরকার ঘোষিত আগামী ১ জুলাই (বৃহস্পতিবার) থেকে কঠোর লকডাউন পালনে সেনাবাহিনী মাঠে থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ‘সামনের লকডাউনে পুলিশ থাকবে, বিজিবি থাকবে, সেনাবাহিনীর সদস্যরাও এবার থাকবে। যাতে লকডাউনটা সুন্দরভাবে পালিত হয়। যাতে ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণটা রোধ হয়, মৃত্যুর সংখ্যাও কমিয়ে আনতে পারি।’
রবিববার (২৭ জুন) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের আওতাধীন দফতর/সংস্থার সঙ্গে ২০২১-’২২ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: দেশব্যাপী লকডাউনে মাঠে থাকতে পারে সেনাবাহিনী
আসন্ন লকডাউনে স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের কাজের চাপ আরও বাড়বে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ‘সামনে লকডাউন আসছে। সোমবার থেকে আংশিক লকডাউন যেটা বলা হচ্ছে, বৃহস্পতিবার থেকে পূর্ণ লকডাউন। আমরা জানি আমাদের কোন লকডাউন নেই। আমাদের দরজা তো বন্ধ হবেই না, জানালাও খুলে দিতে হবে। যেহেতু কিনা আমাদের রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করব যে যেখানে আছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন, মাস্ক পরবেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখবেন। স্যানিটাইজ করবেন এবং লকডাউনটা আপনারা মেনে চলবেন। যদি আমরা না মানি আমাদের মৃত্যুর সংখ্যা বাড়বে, আক্রান্তের সংখ্যা বাড়বে। হাসপাতালে চিকিৎসা দিতেও মুশকিল হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের আমের ব্যবসা করতে দিতে হয়েছে, আমাদের গাড়ি চালাতে দিতে হয়েছে। বিদেশ থেকে যারা আসছে তাদের ভ্যাকসিনেট করতে হচ্ছে, তাদেরকে কোয়ারেন্টাইন করতে হয়েছে। সব কাজই আমাদের একসঙ্গে করে যেতে হচ্ছে। আমাদের ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমও বজায় রাখতে হচ্ছে। রোগী বাড়ছে তাদেরকে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। আমাদের কাজের কোনই কমতি নেই।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে বাংলাদেশে ৫ থেকে ৬ হাজার বেড অলরেডি রোগীতে ভর্তি হয়ে গেছে। কাজেই আমাদের সেই দিকেই খেয়াল রাখতে হবে।’
আরও পড়ুন: গোপালগঞ্জে করোনার টিকা তৈরি হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আমাদের জনসংখ্যা অনেক বেশি, সেই জনসংখ্যাকে যদি সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে হয়, আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করতে হবে। তবেই দেশ সুরক্ষিত থাকবে। আমরা যদি করোনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারি তবে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিদেশে যারা যায় সেই জায়গাটা ব্যাহত হবে। অন্যদেশ আমাদের ভিসা দিতে চাইবে না।
খুলনায় করোনাভাইরাসে পুলিশ কনস্টেবলের মৃত্যু
খুলনায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন পুলিশ কনস্টেবল মো. আজিজুর রহমান (৫১)। তিনি খুলনা জেলা পুলিশের পাইকগাছা কোর্টে কর্মরত ছিলেন।
বুধবার বিকাল সাড়ে চারটায় খুলনা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
আরও পড়ুনঃ করোনায় বিশ্বব্যাপী মৃত্যু প্রায় ৩৯ লাখ
খুলনার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান বলেন, পুলিশ কনস্টেবল আজিজুর রহমানের জ্বর, সর্দি হলে মঙ্গলবার পাইকগাছাতে তার এন্টিজেন টেস্ট করা হয়। তাতে তার করোনা পজেটিভ আসে। বুধবার বিকালে খুলনা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
আরও পড়ুনঃ ভারতে করোনা রোগীর সংখ্যা তিন কোটি ছাড়াল
বাংলাদেশ পুলিশের ব্যবস্থাপনায় মরদেহ মরহুমের গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। সেখানে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
উল্লেখ্য করোনাকালে জনগণকে সুরক্ষা সেবা দিতে গিয়ে এ পর্যন্ত ৯৭ জন পুলিশ সদস্য মৃত্যুবরণ করেছেন।
চট্টগ্রামে মাইক্রোবাস চাপায় পুলিশ হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩
চট্টগ্রাম নগরীতে মাদক পরিবহনের মাইক্রোবাস চাপায় সিএমপির এএসআই কাজী মো. সালহউদ্দিন নিহতের ঘটনায় জড়িত ৩ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- মাইক্রোবাস চালক মো. বেলাল (৩৪), মো. রাশেদ প্রকাশ রাসেল (২৬) ও সামশুল আলম (৬০)।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় স্ত্রীসহ ৩ জনকে গুলি করে হত্যা, এএসআই আটক
শনিবার (১৯ জুন) বিকেলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ ডিসি উত্তরের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে গত, ১১ জুন চান্দগাঁও থানাধীন মৌলভী পুকুরপাড় থেকে সিঅ্যান্ডবি ও আশপাশ এলাকায় রাত্রিকালীন ডিউটিতে থাকাকালে মাদক বহনকারী একটি মাইক্রোবাস চাপায় নিহত হন এএসআই সালাউদ্দিন।
আরও পড়ুন: খুলনায় কোয়ারেন্টিনে তরুণী ধর্ষণের দায়ে এএসআই গ্রেপ্তার
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তিনি জানতে পারেন, একটি কালো মাইক্রোবাসে করে (রেজিস্ট্রেশন নম্বর ঢাকা মেট্রো-চ-১৫-৩৬৬৫) পার্বত্য এলাকা থেকে চোলাই মদ চট্টগ্রাম শহরে নেওয়া হচ্ছে। এএসআই সালাউদ্দিন ও চালক কনস্টেবল মো. মাসুম চান্দগাঁও থানাধীন মেহেরাজ খান ঘাটা পাম্পের সামনে ওই গাড়িটিকে থামার জন্য সংকেত দেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশের এএসআই নিহত
চালক থামানোর মতো করে গাড়ির গতি কমিয়ে আনলে ওই দুই পুলিশ সদস্য গাড়ির সামনে যান। কিন্তু গাড়ির চালক আবারও গতি বাড়িয়ে দেন। এতে সালাউদ্দীন ধাক্কা খেয়ে সড়কে ছিটকে পড়ে মাথায়, কোমরে ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত পান। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে ছিলেন আবু ত্ব-হা : পুলিশ
গাইবান্ধায় বন্ধু বাসায় ব্যক্তিগত কারণে আত্মগোপনে ছিলেন আবু ত্ব-হা মোহাম্মদ আদনানসহ নিখোঁজ চারজন। বন্ধু বাসায় না থাকলেও তার মায়ের কাছে ছিলেন তারা। ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণে ত্ব-হা আত্মগোপনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
শুক্রবার বিকেলে রংপুর মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস বিফিংয়ে এসব কথা জানান উপপুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন।
আরও পড়ুন: আবু ত্ব হা আদনানের ক্লু বের করবো: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
এর আগে বেলা ৩টার দিকে ত্ব-হাকে তার প্রথম স্ত্রীর বাবার বাসা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়।
আবু মারুফ হোসেন জানান, ত্ব-হা ও তার সফরসঙ্গীরা ১০ জুন রাতে ঢাকার গাবতলী থেকে রংপুরের পথে রওনা হয়। এরপর গাইবান্ধা ত্রিমোহনীতে তাদের পূর্ব পরিচিত বন্ধু সিয়ামের বাড়িতে অব¯’ান করেন। সেখানে তার সঙ্গে আবদুল মুহিত, ফিরোজ আলম ও গাড়িচালক আমির উদ্দিন ছিলেন। সেখানে অব¯’ানকালে সকলেই তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ করে ত্ব-হার কাছে রেখে দেন।
মূলত পারিবারিক ও ব্যক্তিগত বিভিন্ন সমস্যার কারণেই তারা স্বে”ছায় আত্মগোপনে ছিলেন বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, রংপুর থেকে ঢাকা যাওয়ার সময় ত্ব-হা তার সফরসঙ্গীদের জানান, তিনি ব্যক্তিগত সমস্যায় ভুগছেন। এরপর তাদের সাথে পরামর্শ করে আত্মগোপনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তবে তাদের এই আত্মগোপনে থাকার দাবি রাষ্ট্র বা সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলার জন্য কোনো ষড়যন্ত্র কিনা তাও খতিয়ে দেখবে পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে মারুফ হোসেন বলেন, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তিনি বর্তমানে আমাদের হেফাজতে রয়েছেন।
ত্ব-হার উদ্ধৃতি দিয়ে উপ-পুলিশ কমিশনার বলেন, ত্ব-হা আমাদেরকে তার ব্যক্তিগত কিছু সমস্যার কথা জানিয়েছেন। আমরা সেগুলো যাচাই-বাছাই করছি। আমরা তাকে রাতে রংপুর কোতোয়ালি থানায় সোপর্দ করব। খানা কর্তৃপক্ষ যদি মনে করে তাকে আদালতে নেয়া প্রয়োজন তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পিকআপচাপায় এসআই নিহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় দায়িত্ব পালনকালে দ্রুতগামী পিকআপ ভ্যানের চাপে পুলিশের এক উপপরিদর্শক (এসআই) নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে তিনি মারা যান।
নিহত মোস্তফা কামাল ফেনী জেলার ফুলগাজী উপজেলার পৈহারা গ্রামের মৃত হাজী আলী আজমের ছেলে।
আরও পড়ুন: মাগুরা ফরিদপুর সড়কে বাসের ধাক্কায় শ্রমিক নিহত
এর আগে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের কুটির কালামুড়ি এলাকায় পিকআপ ভ্যান তাকে চাপা দিলে গুরুতর আহত হন তিনি।
জেলা পুলিশ বিভাগ জানায়, কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়নের কালামুড়িয়ায় কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের উপর ফোর্স নিয়ে দায়িত্ব পালন করছিলেন মোস্তফা কামাল। এসময় কুমিল্লাগামী একটি অজ্ঞাতনামা পিকআপ এসআই মোস্তফা কামালকে পেছন থেকে ধাক্কা দিলে মাথায় ও শরীরে মারাত্মক আঘাত প্রাপ্ত হন তিনি। পরে তার সাথে থাকা কনস্টেবলরা তাকে উদ্ধার করে কসবা উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠান। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১২ টার দিকে তিনি মারা যান।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর ভূঞা জানান, নিহত এসআইয়ের লাশ জেলা সদর হাসপাতালে আছে। সংবাদ পেয়ে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকতারা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে আসেন।
সিলেটে অটোরিকশায় যুবতীকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’, গ্রেপ্তার ২
সিলেটে বিয়ের কেনাকাটার কথা বলে সিএনজি অটোরিকশায় এক যুবতীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার এ ঘটনায় যুবতী নিজে জালালাবাদ থানায় মামলা (নং-১০) দায়ের করেন। একই দিন আটক আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার রাত ১০ টার দিকে সিলেটের জালালাবাদ থানাধীন কান্দিগাঁও ইউনিয়নের নীলগাঁও পুঁটিকাটা ব্রিজে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: পরীমণিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা: প্রধান আসামি নাসির গ্রেপ্তার
সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) মিডিয়া শাখা জানায়, ঘটনার ৩ দিন আগে জালালাবাদ থানার ইসলামপুর মানসিনগর গ্রামের কাপ্তান মিয়ার ছেলে তাজ উদ্দিনের (২২) মোবাইল ফোনে পরিচয় হয় ওই যুবতীর (৩১)। পরে সেই যুবতীকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তাজ উদ্দিন সোমবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে বিয়ের কেনাকাটা করবে বলে বাড়ি থেকে বের হতে বলেন। তাজ উদ্দিনের কথা মতো ওই যুবতী বাড়ি থেকে বের হয়ে তাজ উদ্দিনের সঙ্গে দেখা করেন। পরে তাজ উদ্দিন ওই যুবতীকে সিএনজি অটোরিকশাযোগে জালালাবাদ থানাধীন কান্দিগাঁও ইউনিয়নের নীলগাঁও পুঁটিকাটা ব্রিজে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ‘ধর্ষণে’ ব্যর্থ হয়ে শিশুর হাড় ভেঙে দেয়ার অভিযোগ
সেখানে অটোরিকশার ভেতরেই যুবতীকে ধর্ষণ করেন তাজ উদ্দিন। এসময় তাজ উদ্দিনের দুই সহযোগী জালালাবাদ থানার ইসলামপুর মানসিনগর গ্রামের রজন মিয়ার ছেলে এখলাছুর রহমান (২৭) ও একই থানার নলকট গ্রামের ফুল মিয়াও (২৭) ওই যুবতীকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগে বলা হয়।
আরও পড়ুন: ‘ধর্ষণ-হত্যাচেষ্টার’ অভিযোগের পর সাংবাদিকদের যা বললেন পরীমণি
তিনি আরও জানান, ধর্ষণের পরে অভিযুক্তরা অটোরিকশাযোগে যুবতীকে সিলেট নগরীর দিকে নিয়ে আসতে থাকে। এসময় ওই যুবতীর কান্না শুনে নীলগাঁওয়ের স্থানীয়রা সিএনজি অটোরিকশা আটকে যুবতীর মুখ থেকে ঘটনার বর্ণনা শুনে তাজ উদ্দিন ও এখলাছুর রহমানকে আটক করেন। তবে অটোরিকশা চালক ফুল মিয়া পালিয়ে যান।
পরে স্থানীয়রা জালালাবাদ থানায় খবর দিলে এক দল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে এবং তাজ উদ্দিন ও এখলাছুর রহমানকে আটক করে।
ভুক্তভোগীকে চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিসি সেন্টারে পাঠায় পুলিশ।
সিলেটে চোরাই মোবাইল বিক্রি চক্রের ৭ সদস্য আটক
সিলেট, ১৩ জুন (ইউএনবি)- সিলেটে ছিনতাইকৃত মোবাইল-টাকা উদ্ধার করতে গিয়ে অনলাইন চোরাই চক্রের সন্ধান পেয়েছে চক্রের সাত সদস্যকে পুলিশ আটক করেছে পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন- মৌলভীবাজারের সদর থানার আমতৈল এলাকার চলকাপন গ্রামের মৃত নীল মিয়ার ছেলে আইয়ুব আলী (২২), হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার শাকপা টুকেরবাজার এলাকার মৃত চান মিয়ার ছেলে আইনুল হক (২০) ও সিলেটের দক্ষিণ সুমরা উপজেলার শিববাড়ি এলাকার জৈনপুর গ্রামের মৃত সিকান্দর আলীর ছেলে বেলাল আহমদ (২২), জালালাবাদ থানার চরুগাও এলাকার ইমাম হোসেনের ছেলে মো. শামীম মিয়া (২২), চুনারুঘাটের সাটিয়াজুরি গ্রামের মৃত নূর হোসেনের ছেলে সোলেমান (২২), মোগলাবাজার থানাধীন কুচাই গ্রামের মো. খলকু মিয়ার ছেলে রুবেল (২৪), নবীগঞ্জ সাকুয়া গ্রামের মৃত আব্দুল্লাহর ছেলে ছাইদ উল্লাহ (২১)। এদের মধ্যে আইয়ুব আলী এই চোর চক্রের মূল হোতা। তবে তার আপন বড় ভাই আব্দুস শহীদকে এখনো ধরতে পারেনি পুলিশ।
আরও পড়ুন: মহেশপুর সীমান্তে নারী, শিশুসহ আটক ৬
রবিবার বিকালে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার অতিরিক্ত উপকমিশনার বি এম আশরাফ উল্যাহ তাহের এই তথ্যটি জানিয়েছেন।
তিনি জানান, গত জানুয়ারি মাসে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার কুচাইয়ে একজন আইনজীবীর মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনার পর চাঞ্চল্যকর এই তথ্যটি পুলিশের কাছে ধরা পড়ে। দীর্ঘ ৫ মাস অনুসন্ধান শেষে ১২ জুন শনিবার সিলেটের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এই চক্রের মূল হোতাসহ তার দুই সহযোগীকে আটক করে মোগলাবাজার থানা পুলিশ।
পুলিশ জানায়, এ চক্রটি ফেসবুকে ভুয়া আইডি খুলে কম দামে মোবাইল ফোন বিক্রির জন্য বিজ্ঞাপন দেয়। তবে এক আইডি বেশিদিন ব্যবহার করে না। কিছু মোবাইল বিক্রির পর সেই আইডি ডিঅ্যাক্টিভ করে নতুন আরেকটি আইডি খুলে। সিলেটে চোরাই ও ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোনগুলো কম দামে বিক্রি করে। এ চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে এভাবে অনলাইনে অপরাধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কিশোর গ্যাংয়ের সাথে সংঘর্ষে যুবক খুন: আটক ২৪
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা জানান, সিলেটের ছিনতাইকারীসহ বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে প্রতিদিন মোবাইল ফোন ক্রয় করে তারা। পরে সেগুলো অনলাইনে বিক্রি করে।
এ ব্যাপারে মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামসুদ্দোহা জানান, এই চক্রের মূল হোতা শিববাড়ীর আব্দুস শহিদ ও মৌলভীবাজারের আমতৈল এলাকার আইয়ুব আলী। আটকদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আরেক মূল হোতা আব্দুস শহিদসহ এ চক্রের অপর সদস্যদের আটকের জন্য পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
আশুলিয়ায় শ্রমিকদের সাথে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, নারীর মৃত্যু
সাভারের আশুলিয়ায় বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভে পুলিশের ছোড়া কাঁদানে গ্যাসে ছত্রভঙ্গ হয়ে দৌড়ে গিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটির সাথে ধাক্কায় নারী পোশাক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আসাদুজ্জামান।
আরও পড়ুন: ইবির নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
শ্রমিকরা জানায়, লেনী ফ্যাশন কারখানার মালিক একজন ভারতীয়। করোনার কারণে অনেকদিন ধরে তিনি কারখানায় আসছেন না। এই মালিকের দু'টি কারখানায় কাজ করেন প্রায় ৬০০ শ্রমিক। চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারখানা দুটি বন্ধ। জানুয়ারি মাসের বেতনও তারা পাননি। তাদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকাও আটকে আছে। তাই বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নেমেছেন তারা।
আরও পড়ুন: পোশাক শ্রমিকদের বেতন ও ঈদ বোনাস ১০ মে’র মধ্যে পরিশোধের দাবি
আসাদুজ্জামান বলেন, রবিবার সকালে বেতন-ভাতার দাবিতে লেনী ফ্যাশনের কয়েক'শ শ্রমিক নতুন ইপিজেডের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এতে ব্যস্ততম এই সড়কটিতে যানচলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। শ্রমিকদের সড়ক ছেড়ে দেয়ার জন্য বোঝালেও তারা বিক্ষোভ করতে থাকেন। পরে জলকামান নিক্ষেপ করে তাদের সরিয়ে দিলে স্বাভাবিক হয় যান চলাচল।
আরও পড়ুন: খুলনায় নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিক নিহত
তিনি বলেন, আন্দোলনরত শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ ধাওয়া করলে বৈদ্যুতিক খুঁটির সাথে ধাক্কা লেগে পার্শ্ববর্তী অন্য একটি কারখানায় কর্মরত জেসমিন নামে এক শ্রমিক গুরুতর আহত হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
নাটোরে অন্তঃসত্বা নারীর ‘হত্যাকারী’ আটক
নাটোরের বড়াইগ্রামে ৯ মাসের অন্তঃসত্বা নারী শাহিনুরকে গলা ও হাত পায়ের রগ কেটে হত্যার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। হত্যার অভিযোগে আটক করা হয়েছে প্রতিবেশী মতিউর রহমানকে।
শুক্রবার দুপুরে নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক জুবায়ের নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: নাটোরে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর হাত-পায়ের রগ কেটে হত্যার অভিযোগ
তারেক জুবায়ের জানান, বড়াইগ্রাম উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের মতিউর রহমানের স্ত্রী আছমাকে নিয়ে পালিয়ে যায় শাহিনুরের স্বামী রাশিদুল। এই ঘটনার প্রতিশোধ নিতে ৩ জুন মধ্য রাতে মতিউর রাশিদুলের স্ত্রী শাহিনুরের ঘরে আসে। ঘুমিয়ে থাকা অন্তঃসত্বা শাহিনুরের গলা ও হাত পায়ের রগ কেটে নির্মম ভাবে হত্যা করে পালিয়ে যায় মতিউর।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় যুবলীগ নেতার হাত-পায়ের রগ কেটে হত্যা
তিনি বলেন, ‘এ ঘটনার পর নাটোর জেলা পুলিশের একাধিক টিম গোয়েন্দা তৎপরতা ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে বৃহস্পতিবার রাতে মতিউরকে তার নিজ বাড়ি থেকে আটক করে। এসময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি পুরাতন হাসুয়া উদ্ধার করা হয়।’
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় যুবককে কুপিয়ে হত্যা
কুষ্টিয়ায় মাংস নষ্ট করা নিয়ে বর-কনেপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৭
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর বিয়ে বাড়িতে মাংস নষ্ট করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বর ও কনে পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে দুপক্ষের অন্তত ৭ জন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
সোমবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামে বিয়ে বাড়িতে বরপক্ষের অতিরিক্ত মাংস নষ্ট করাকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় বিয়ের প্যান্ডেল, আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, প্রায় দেড় মাস আগে জামালপুর গ্রামের গোলাম মোস্তফার মেয়ে চুমকির সাথে গাংনী উপজেলার শহিদুলের ছেলে জনির বিয়ে হয়। সোমবার ছেলে পক্ষের লোকজন মেয়ের বাড়িতে আসে বউকে নিয়ে যেতে। দুপুরে খাওয়া-দাওয়ার সময় বরের পক্ষের লোকজনের অতিরিক্ত মাংস নষ্ট করার ঘটনায় উভয়পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এসময়ে দুপক্ষের অন্তত ৭ জন আহত হন। গুরুতর আহতদের বরের গাড়িতে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: বিয়ে বাড়িতে মেয়েদের উত্ত্যক্ত করা নিয়ে সংঘর্ষে কুমিল্লায় নিহত ২
এ বিষয়ে পিরোজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আশরাফুজ্জামান জানান, দুপুর বেলায় গোলামের বাড়িতে বর ও কনে পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ইউপি সদস্য আসলাম হোসেন বলেন, গোলাম মোস্তফার বাড়ির বিয়ের অনুষ্ঠানে তারও দাওয়াত ছিল। যখন ঘটনা ঘটে তখন তিনি খাচ্ছিলেন। বড় পক্ষ এবং কনেপক্ষের খাবারের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করা হয়। তিনি কনেপক্ষের নির্ধারিত স্থানে খাচ্ছিলেন। এমন সময় বরপক্ষের লোকজন খাবার সময় অতিরিক্ত মাংস নষ্ট করলে দুই পক্ষের এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
অভিযোগ পেলে এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।