হত্যাকাণ্ড
২১ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের জন্য বিএনপি-জামায়াত সরকার দায়ী: প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বকে নিশ্চিহ্ন করতে বিএনপি-জামায়াত সরকারের সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতায় ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘কোনো সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা না থাকলে এ ধরনের জঘন্য হামলা হতে পারত না। লক্ষ্য ছিল আমাকে মেরে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করা।’
রবিবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগ আয়োজিত সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে গ্রেনেড হামলা উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
হামলায় দলের তৎকালীন মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন প্রাণ হারান। অল্পের জন্য ওই হামলা থেকে বতর্মান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেঁচে ফিরলেও, তার শ্রবণশক্তি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া হত্যাকাণ্ডের পর দুই খুনিকে দেশ ছাড়তে সহায়তা করেছিলেন। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে জঘন্য রাজনৈতিক সহিংসতার একটি।
তিনি বলেন, ‘এটাই বাস্তবতা। অনেকেই জানেন ডালিম ও রশিদ ঢাকায় ছিলেন। আমি জানি না সবাই এই বিষয়ে জানতেন কি না। তাদের আত্মীয়স্বজন আছে, আপনারা তা সহজেই জানতে পারেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা যখন জানতে পারে যে হামলায় আমি মারা যাইনি, তখন তারা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়।
তৎকালীন বিএনপি সরকার উদ্যোগ না নিলে তাদের এখানে কে নিয়ে এসেছে? তারা এসেছিল এবং তারা চলে গেছে।
পড়ুন: ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ১৮তম বার্ষিকী আজ
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, হত্যা করা বিএনপির চরিত্র এবং এখন আমাদের তাদের সাথে বসতে হবে এবং তাদের আতিথেয়তা দিতে হবে যাতে তারা নির্বাচনে আসে। কেন? আমি বুঝতে পারছি না। বাংলাদেশে কি আর কোনো মানুষ নেই?
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণকে এখনই সন্ত্রাসের রাজনীতি ও উন্নয়নের মধ্যে থেকে বেছে নিতে হবে।
সরকারপ্রধান বলেন, জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা সন্ত্রাসের যুগে ফিরে যেতে চায় নাকি বর্তমান উন্নয়নের পথে থাকতে চায়।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থলে নির্মিত অস্থায়ী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
এরপর তিনি ওই হামলায় আহত ও নিহতদের স্বজনদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া শেষে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
পড়ুন: ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা: রায় কার্যকর দেখে মরতে চান রেনু
১৫ আগস্টে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ না করায় আ.লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের প্রধানমন্ত্রীর তিরস্কার
জাতির জনক ও তার পরিবারের অন্য সদস্যদের নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদ না করায় আওয়ামী লীগের তৎকালীন সম্মুখ সারির নেতাদের তীব্র নিন্দা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি প্রশ্ন তুলে বলেছেন, ‘তখন অনেক স্লোগান ছিল। কোথায় গেল সেই সব মানুষ? এমন একজনও ছিল না যিনি এই রক্তপাতের প্রতিবাদ করার সাহস দেখিয়েছেন। কেন তারা তা করতে পারেননি?’
মঙ্গলবার জাতীয় শোক দিবস ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক স্মরণসভায় ভাষণ দেয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী এসব প্রশ্ন তুলেন।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) অনুষ্ঠিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ একটি বিশাল দল যার এত সমর্থক ও নেতা ছিল, কিন্তু একজন মানুষও এই হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পায়নি।
তিনি উল্লেখ করেন, ১৫ আগস্ট থেকে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়ির মেঝেতে বঙ্গবন্ধুর লাশ পড়ে ছিল।
আরও পড়ুন: টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
‘তিনি (বঙ্গবন্ধু) তাঁর সঙ্গে কিছু নেননি, তিনি তাঁর জনগণের জন্য সবকিছু রেখে গেছেন। তিনি জনগণের জন্য একটি দেশ, একটি জাতি, পরিচয় এবং আত্মপরিচয় রেখে গেছেন,’ বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন।
জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ সন্তান শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর কাফন (দাফনের কাফন) ত্রাণ বস্ত্র দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল যা দরিদ্র মানুষকে দেয়ার কথা ছিল।
আবেগঘন কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আমার বাবা, মা, ভাইরা তাদের সঙ্গে কিছুই নেননি।এমনকি তাদের নামাজে জানাজাও করা হয়নি।’
‘আমার একটা প্রশ্ন আছে, অনেক নেতা এখানে (বিআইসিসিতে) আছেন। জাতির পিতা তাদের অনেককে ফোন করেছিলেন, তারা কী করেছিলেন,’ তিনি জিজ্ঞাসা করেন।
তিনি উল্লেখ করেন যে একজন মানুষ বেঁচে থাকতে সবাই পাশে থাকে, কিন্তু মৃত ব্যক্তির পাশে কেউ থাকে না। ‘এটি বেদনাদায়ক বাস্তবতা...আমি কিছুই আশা করি না...’।
আরও পড়ুন: জাতীয় শোক দিবস: বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
বঙ্গবন্ধু সৌভাগ্যবান যে তিনি বঙ্গমাতাকে জীবনসঙ্গিনী হিসেবে পেয়েছিলেন: প্রধানমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড পূর্বপরিকল্পিত ও ষড়যন্ত্রমূলক: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু অবিচ্ছেদ্য। বঙ্গবন্ধুকে যারা সপরিবারে হত্যা করেছে, তারা বুঝতে পেরেছিল বঙ্গবন্ধু পরিবারের এক ফোঁটা রক্ত বেঁচে থাকলে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করা যাবে না। এ থেকেই বোঝা যায় এটি পূর্বপরিকল্পিত, ষড়যন্ত্রমূলক হত্যাকাণ্ড।মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত ‘বাঙালির শোকের শ্রাবণ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।আইনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু নিজেকে খুব সাধারণ মানুষ মনে করতেন। কিন্তু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দৃষ্টিকোণ থেকে তিনি মোটেও একজন সাধারণ মানুষ ছিলেন না। তিনি সারা বিশ্বের দুঃখী মানুষের নেতৃত্ব দেয়ার পর্যায়ে চলে গিয়েছিলেন। এ কারণে তার শত্রু বেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু সেই শত্রুরা দেশে একটি ষড়যন্ত্র করে তাকে হত্যা করবে, এটা কখনও ভাবা হয়নি।মন্ত্রী বলেন, ‘জিয়াউর রহমান তো শুরুই করেছিল শাহ আজিজুর রহমানকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে। তিনি (শাহ আজিজুর) ছিলেন রাজাকার নম্বর ওয়ান। এছাড়াও তার (জিয়াউর রহমানের) মন্ত্রিসভার অনেকেই আইয়ুব খানের মন্ত্রী ছিলেন। এ থেকে তো পরিস্কারভাবে বুঝা যায়, মুক্তিযুদ্ধের ধারাকে সম্পূর্ণভাবে বা ৩৬০ ডিগ্রী পরিবর্তন করার জন্যই জিয়াউর রহমান এই হত্যাকাণ্ড ঘটানোর পর দেশ শাসন শুরু করেছিলেন। তার মানে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে তারা বাংলাদেশকে সম্পূর্ণভাবে হত্যা করতে চেয়েছিল।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজতে কমিশনের রূপরেখা প্রস্তুত: আইনমন্ত্রীআইনমন্ত্রী মনে করেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হওয়ার পর এখন এদেরকে চিহ্নিত না করলে আমরা কিন্তু এই শত্রুদের তাদের নিজেদের লালন-পালন করার অবকাশ দিবো। আমি বলছি না যে তাদের সকলকে জেলখানায় ঢুকাতে হবে, হয়তো অনেকেই মরে গেছেন। তারা জেলখানায় যাওয়ার অনেক দূর চলে গেছেন। কিন্তু এদেরকে এবং এই গোষ্ঠীটাকে যদি আমরা চিহ্নিত করতে পারি এবং তাদের সম্বন্ধে সাবধান থাকতে পারি তাহলে আমরা ২০৪১ সালে যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা নিয়েছি, সেই জায়গায় পৌঁছাতে পারবো।’বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তদন্ত কমিশন গঠন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কমিশনের রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে। প্রথমে করোনা ভাইরাসের অতিমারি ও পরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে কমিশন গঠন একটু দেরি হয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, কমিশন কয় সদস্য বিশিষ্ট হবে, কমিশনের উদ্দেশ্য ও কাজ কী হবে, কিভাবে কাজ করবে তা কমিশনের রূপরেখায় আছে। কমিশনের কাজ হবে অনেকটাই গবেষণামূলক। এই কমিশন গঠনের সঙ্গে জননেত্রী শেখ হাসিনা ওতোপ্রতভাবে জড়িত। তার অভিমত এখানে শিরোধার্য। সেই ক্ষেত্রে তার সঙ্গে আলাপ না করে এটা প্রকাশ করা হবে না। কারণ প্রধানমন্ত্রী এটা সংশোধন, পরিমার্জন, পরিবর্ধন করার কথা বলতে পারেন। তিনি যেটা চূড়ান্ত করে দিবেন সেটাকেই জনগণের সামনে উপস্থাপন করা হবে।সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্ব ও সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দীন চৌধুরী মানিক, সাবেক রাষ্ট্রদূত ও সচিব এ কে এম আতিকুর রহমান এবং রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আলী শিকদার প্রমুখ।
আরও পড়ুন: জনগণকে দ্রুত ন্যায়বিচার দিন: বিচারকদের প্রতি আইনমন্ত্রী
আইনি সহায়তা কার্যক্রমকে আরও গতিশীল ও সেবাবান্ধব করা হবে: আইনমন্ত্রী
১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড গণহত্যার শামিল: শেখ পরশ
যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেছেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড গণহত্যার শামিল। কারণ সেদিন নারী-শিশু নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছিল। এই হত্যাকাণ্ড ছিল সুদূরপ্রসারী এক পরিকল্পিত।
সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে যুবলীগ আয়োজিত কোরআন খতম, দোয়া ও অসহায়-দুঃস্থদের মধ্যে রান্না করা খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে শেখ পরশ এসব কথা বলেন। শোকের মাস আগস্ট উপলক্ষে যুবলীগ ঘোষিত মাসব্যাপী কর্মসূচির প্রথম দিনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সভাপতির বক্তব্যে পরশ আরও বলেন, আমরা বিশ্বাস করি ষড়যন্ত্রকারীরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। কিন্তু তারা তার নাম বাঙালি জাতির অন্তর থেকে মুছে ফেলতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুই বলেছেন- ‘নেতার মৃত্যু হতে পারে, কিন্তু আদর্শের মৃত্যু নেই।’ বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ ও রাজনৈতিক দর্শন, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ে চির অম্লান হয়ে থাকবেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য মঞ্জুর আলম শাহীন, খালেদ শওকত আলী, সাজ্জাদ হায়দার লিটন, মোয়াজ্জেম হোসেন, মৃনাল কান্তি জোয়াদ্দার, তাজউদ্দিন আহমেদ, বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, সুব্রত পাল, বদিউল আলম, শেখ ফজলে নাঈম, কাজী মাজহারুল ইসলাম, সাইফুর রহমান সোহাগ, জহির উদ্দিন খসরু, মাইন উদ্দিন রানা, জয়দেব নন্দী, মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতরা।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু সকল যুগেই প্রাসঙ্গিক ও সমকালীন: শেখ পরশ
শেখ হাসিনার কারণে উত্তরবঙ্গে 'মঙ্গা' শব্দটি নিশ্চিহ্ন: পরশ
চট্টগ্রামে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে কুপিয়ে হত্যা
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
মঙ্গলবার রাতে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাছা মিয়া সওদাগর বাড়িতে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত মোহাম্মদ মুছা (৪২) ওই এলাকার সোনা মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা
হাটহাজারী মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ জাবেদ বলেন, স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি জমি নিয়ে বিরোধের জেরে এ হত্যাকাণ্ড। নিহত মুছার ভাগিনার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে এ নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ সংক্রান্ত একাধিক মামলাও রয়েছে।
এসআই জানান, রাতে ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশের শরীরে বেশ কিছু আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
তিনি বলেন, সুরতহাল রিপোর্ট শেষে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: যশোরে ২ ভাইকে কুপিয়ে হত্যা
কুষ্টিয়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (০৫ মার্চ) রাতে প্রাগপুর ইউনিয়নের বিলগাথুয়া সীমান্তবর্তী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত লিটন বিশ্বাস (৩৫) উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের বিলগাথুয়া মাঠপাড়া গ্রামের আকবর বিশ্বাসের ছেলে।
প্রাগপুর (ইউপি) চেয়ারম্যান আশরাফুজ্জামান জানান, লিটনসহ কয়েকজন ভারত থেকে মালামাল নিয়ে বিলগাথুয়া এলাকার সীমান্ত দিয়ে রাতে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় টহলরত বিএসএফ তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে লিটন বিশ্বাস নিহত হয় এবং অন্যরা বাংলাদেশ সীমানায় পালিয়ে আসে।
তবে দৌলতপুর থানার (ওসি) জাবীদ হাসান জানান, নিহতের লাশ হোগলবাড়িয়া থানায় রাখা হয়েছে এবং হত্যাকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: নওগাঁর হাপানিয়া সীমান্তে বিএসএফ’র গুলিতে ১ বাংলাদেশি নিহত
সিলেট সীমান্তে বাংলাদেশি যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার
বিশ্বনাথে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
সিলেটের বিশ্বনাথে এক যুবককে রাতের আধারে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার (১৭ নভেম্বর) সকালে নিজ বাড়ির সামনের সড়কে নিহতের লাশ পাওয়া যায়।নিহত মো. এনামুল হক (৩৫) উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের বাউসী গ্রামের মো. ইসহাক আলীর ছেলে।নিহতের ছোট ভাই নাজমুল হক জানান, পেশায় গাড়ি চালক এনাম দীর্ঘদিন ধরে কর্মহীন হয়ে বাড়িতে বসবাস করছিলেন। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হয়ে রাতে আর ঘরে ফিরেননি। পরে আজ বুধবার ভোরে বাড়ির রাস্তায় তার লাশ পাওয়া যায়।বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী আতাউর রহমান বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
মাগুরায় নির্বাচনী সহিংসতায় ৪ খুন: ঢাকায় গ্রেপ্তার ৫
মাগুরার জগদল গ্রামে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে বিরোধের জেরে চার হত্যাকাণ্ডের ঘটনার মূল আসামি নজরুল মেম্বারসহ পাঁচজনকে রবিবার গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঢাকার গাবতলী এলাকায় একটি আবাসিক হোটেল থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার অপর আসামিরা হলেন জালাল শেখ, তুহিন হোসেন, রিয়াজ হোসেন এবং ইয়ামিন হোসেন। আজ মঙ্গলবার তাদেরকে মাগুরা আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
মাগুরার পুলিশ সুপার জহিরুল ইসলাম এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: কাপ্তাইয়ে নির্বাচনী সহিংসতায় ইউপি সদস্য নিহত
পুলিশ সুপার জানান, গত ১৫ অক্টোবর বিকালে মাগুরায় সদর উপজেলার জগদল গ্রামে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে বিরোধের জেরে প্রকাশ্য দিবালোকে একই পরিবারের কবির মোল্যা, সবুর মোল্যা, রহমান মোল্যা এবং পাশের গ্রামের ইমরান নামে এক যুবক নিহত হয়। এ ঘটনার তিনদিন পর সদর থানায় জগদল ইউনিয়নের বর্তমান মেম্বার নজরুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে নিহতদের অপর ভাই আনোয়ার হোসেন ৬৮ জনের নামে মামলা করেন। এ ঘটনার পর রবিবার ভোরে ঢাকার গাবতলী এলাকার মহম্মাদিয়া আবাসিক হোটেল অভিযান চালিয়ে মামলার মূল আসামি নজরুল মেম্বারসহ বাকি চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ঘটনার দুদিন আগে নজরুল মেম্বরের বাড়িতে এই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা নেয়া হয়। আসামিদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রামদা, ছ্যানদা ও সড়কি উদ্ধার করেছে।
আরও পড়ুন: মোংলায় নির্বাচনী সহিংসতায় নারী নিহত, আহত ৪
লিসবনে শেখ রাসেল দিবস উদযাপিত
লিসবনে বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযথ মর্যাদায় সোমবার ‘শেখ রাসেল দিবস’ উদযাপন করেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর কনিষ্ঠ পুত্র শহিদ শেখ রাসেল-এর ৫৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এক উৎসবমুখর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দূতাবাস দিবসটি উদযাপন করেছে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পর্তুগালে নিযুক্ত বাংলাদেশের মান্যবর রাষ্ট্রদূত জনাব তারিক আহসান, দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ এবং পর্তুগালের বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যবৃন্দ শহিদ শেখ রাসেল-এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পনের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে শেখ রাসেল দিবস উদযাপিত
পরবর্তীতে দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণে শহিদ শেখ রাসেল-এর জীবনের উপর এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এতে আলোচকগণ মত প্রকাশ করেন যদি শেখ রাসেল বেঁচে থাকতেন তবে জাতি একজন দূরদর্শী নেতা পেত। বক্তারা স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি কর্তৃক শেখ রাসেল-এর নৃশংস ও বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেন।
রাষ্ট্রদূত জনাব তারিক আহসান তাঁর বক্তব্যের শুরুতেই শেখ রাসেলের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন বলেন, পরিবারের সবচেয়ে আদরের কনিষ্ঠ সন্তান হওয়া সত্ত্বেও শেখ রাসেল তার শৈশবের অধিকাংশ সময় পিতার সান্নিধ্য হতে বঞ্চিত হয়েছেন, কারণ বঙ্গবন্ধু বেশিরভাগ সময়ই পাকিস্তানি শাসকচক্র কর্তৃক কারাবন্দী থাকতেন।
আরও পড়ুন: কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে শেখ রাসেলের জন্মদিন উদযাপিত
রাষ্ট্রদূত গভীর দুঃখের সাথে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে পরিবারের অনান্য সদস্যদের সাথে শেখ রাসেল-এর শহিদ হবার কথা স্মরণ করে বলেন, ১০ বছর বয়সী একটি বালককে হত্যা করতে যাদের হাত কাপলো না তাতেই বোঝা যায় স্বাধীনতাবিরোধী প্রতিক্রিয়াশীল সেই খুনি চক্রটি কতটা নির্মম ও বর্বর ছিল। সেই একই প্রতিক্রিয়াশীল চক্র এখনও দেশবিরোধী নানাবিধ ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চাচ্ছে বলে রাষ্ট্রদূত সকলকে সতর্ক করেন এবং সবাইকে একসাথে তাদের প্রতিরোধের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, শেখ রাসেল বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং জাতি চিরদিন তাকে ভালোবাসার সাথে স্মরণ করবে।
আলোচনা সভা শেষে শেখ রাসেল-এর জীবনের উপর নির্মিত প্রামান্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
আরও পড়ুন: শেখ রাসেল: অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষার প্রতীকী নিশান
সবশেষে, শহিদ শেখ রাসেলসহ জাতির পিতা, তাঁর পরিবারের অন্যান্য শহিদ সদস্য ও শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং দেশের অব্যাহত উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
মুহিবুল্লাহ হত্যা: আরও তিন জনের ৩ দিনের রিমান্ড
উখিয়ার লম্বাশিয়ায় রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার পাঁচ আসামির মধ্যে বাকি তিনজনেরও তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (০৬ অক্টোবর) দুপুরে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ এ আদেশ দেন।
রিমান্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, আব্দুস সালাম,মোহম্মদ জিয়াউর ও মো. ছালাম।
আরও পড়ুন: শিগগিরই মুহিবুল্লাহর হত্যাকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
এর আগে গত রবিবার একই মামলায় অভিযুক্ত অন্য দুই আসামি ছলিম উল্লাহ ও শওকত উল্লাহকে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
উল্লেখ্য, ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে উখিয়ার লম্বাশিয়ায় আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের অফিসে একদল অস্ত্রধারী গুলি করে রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে হত্যা করে। এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: মুহিবুল্লাহ হত্যা: ২ জনের ৩ দিনের রিমান্ড