আন্তর্জাতিক
আন্তর্জাতিক বিমান ভ্রমণের ওপর কোভিড-১৯ নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে বেবিচক
বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ(বেবিচক) অবিলম্বে কার্যকর আন্তর্জাতিক বিমান ভ্রমণের জন্য কোভিড-১৯ নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে।
বেবিচক’র একটি সার্কুলার অনুসারে, বাংলাদেশের বাইরে থেকে আগত যাত্রীদের একটি অনলাইন স্বাস্থ্য ঘোষণা ফর্ম (এইচডিএফ) পূরণ করতে হবে না এবং আরটি-পিসিআর পরীক্ষার রিপোর্ট বা একটি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন কার্ড/প্রশংসাপত্র প্রদান করতে হবে না।
আরও পড়ুন: দেশের ৩ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পিসিআর পরীক্ষা হবে
এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে অন্য দেশে ভ্রমণকারী যাত্রীদের গন্তব্য দেশগুলোর নির্ধারিত শর্ত অনুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
এছাড়াও, মাস্ক পরা সম্পর্কিত বিধিনিষেধ, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং কোভিড-১৯ এর বিস্তার সম্পর্কিত অন্যান্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাগুলোও শিথিল করার বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
তবে, উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ স্থান/জোনে (যেমন হাসপাতাল, ক্লিনিক ইত্যাদি) কর্মরত ভ্রমণকারীরা এবং কম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসহ অত্যন্ত সংবেদনশীল ভ্রমণকারীদের সতর্কতা হিসাবে মাস্ক পরতে হবে।
এটি আরও বলেছে, হজ যাত্রীদের অবশ্যই সৌদি আরবের নির্ধারিত শর্তগুলো মেনে চলতে হবে এবং মার্স ভাইরাসের বিস্তার রোধ করতে উট থেকে নিজেদের দূরে রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: বিমানবন্দরে মঙ্গলবার থেকে আরটি-পিসিআর টেস্ট শুরু
‘আইওসি-২০২৩’ আয়োজন আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশের অবস্থানকে সুসংহত করেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, পরিবর্তনশীল ভূ-রাজনৈতিক এবং ভূ-অর্থনৈতিক বাস্তবতার নিরীখে ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্স (আইওসি)-২০২৩ আয়োজনের অংশীদার হিসেবে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশের অবস্থান সুসংহত হয়েছে।
‘পিস প্রোসপারিটি অ্যান্ড পার্টনারশিপ ফর এ রেজিল্যান্ট ফিউচার’ প্রতিপাদ্য নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ইন্ডিয়ান ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে ঢাকায় হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে দুই দিনব্যাপী (১২ ও ১৩ মে) অনুষ্ঠিত ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্স শেষে শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শুক্রবার (১২ মে) সন্ধ্যায় সম্মেলনটির উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন মরিশাসের রাষ্ট্রপতি, মালদ্বীপের উপ-রাষ্ট্রপতি এবং ১৭টি মন্ত্রী পর্যায়ের প্রতিনিধি দলসহ মোট ২৫টি দেশের সরকারি প্রতিনিধি দল। এছাড়া তিনটি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থা- সার্ক, ডি-৮ এবং বিমসটেক এর মহাসচিব এবং আরও কয়েকটি দেশের ঢাকাস্থ কূটনৈতিক মিশন ভার্চুয়াল মাধ্যমে অংশগ্রহণ করেন। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শিক্ষাবিদ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ আরও ১৫০ জন বিদেশি অতিথিও সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন।
মোমেন বলেন, এই আয়োজনের মাধ্যমে আঞ্চলিক রাজনৈতিক পরিমন্ডলে ভারত মহাসাগর উপকূলবর্তী দেশসমূহসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব সুদৃঢ় হয়েছে।
আরও পড়ুন: এ অঞ্চলের দেশগুলোর সমস্যা সমাধান করে একসঙ্গে চলতে চায় বাংলাদেশ: শাহরিয়ার
মন্ত্রী বলেন, সম্মেলনটি ভারত মহাসাগরের উপকূলবর্তী দেশসমূহকে নিয়ে আয়োজন করা হলেও এই ফোরামে সাম্প্রতিক বৈশ্বিক পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি আলোচিত হয়েছে। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সমস্যা ও চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধিদের আলোচনায় অনেক সুপারিশ ও মতামত উঠে এসেছে। দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির বিভিন্ন ক্ষেত্র- নিরাপত্তা, বাণিজ্য, কানেক্টিভিটি, সামুদ্রিক সম্পদ, সুনীল অর্থনীতি, পর্যটন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং পরিবেশগত ভারসাম্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের কেন্দ্রে বাংলাদেশ অবস্থিত হওয়ায় এটি এই অঞ্চলের শান্তি, নিরাপত্তা সহযোগিতা এবং প্রবৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেও জানান মন্ত্রী।
উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ পুর্নগঠনের কার্যক্রম শুরু করে সাগর ও সামুদ্রিক অর্থনীতির উপর জোর দেন। তিনি ‘টেরিটোরিয়াল ওয়াটারস অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট-১৯৭৪ প্রণয়ন করেন, যা ছিল দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম সামুদ্রিক আইন।
আরও পড়ুন: ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্স: 'মুক্ত, নিরাপদ, অন্তর্ভুক্তিমূলক অঞ্চলের' সুপারিশ মাসুদ মোমেনের
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণ উদ্বৃত করে মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী এ অঞ্চলের স্থিতিশীল ভবিষ্যৎ এবং উত্তোরত্তর অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য ছয়টি বিষয়ের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন-সামুদ্রিক কূটনীতি; জলবায়ু পরিবর্তন এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা; অংশীদারিত্ব জোরদার করা; সামুদ্রিক নিরাপত্তা ও নিরাপত্তার জন্য ব্যবস্থা জোরদার করা; শান্তির সংস্কৃতির প্রসার; এবং ন্যায়সঙ্গত এবং সমতাভিত্তিক ভারসাম্যপূর্ণ উন্নয়ন নিশ্চিত করা।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি আধুনিক, জ্ঞানভিত্তিক উন্নত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য প্রণীত ‘রূপকল্প ২০৪১’ বাস্তবায়নের জন্য ভারত মহাসাগরের স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করেছেন। সকলের সমৃদ্ধি নিশ্চিতে তিনি অবাধ, উন্মুক্ত, শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ভারত মহাসাগরের উপর জোর দেন।
সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন, মরিশাসের রাষ্ট্রপতি, মালদ্বীপের উপ-রাষ্ট্রপতি ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, তৃতীয় প্লেনারি অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এবং সমাপনী বক্তব্য দেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব।
সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ছাড়াও ১২ মে চারটি প্রাক-সম্মেলন অধিবেশন ও সম্মেলনের দ্বিতীয় ও শেষ দিনে আরও চারটি প্লেনারি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে আমন্ত্রিত মন্ত্রী ও মন্ত্রী পর্যায়ের প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন।
সফররত মন্ত্রীরা ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন ও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আরও পড়ুন: পৃথিবীর বর্ধিষ্ণু অর্থনৈতিক অঞ্চল হলো এশিয়া: শাহরিয়ার আলম
পঞ্চগড়ে আন্তর্জাতিক মানের মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল নির্মিত হচ্ছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ও প্রতিবেশি দেশগুলোর মানুষকে উন্নতমানের সেবা প্রদানের লক্ষ্যে পঞ্চগড়ে নির্মিত হচ্ছে এক হাজার শয্যাবিশিষ্ট আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ।
শনিবার (৮ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলার দাড়িয়াপাড়া এলাকায় আন্তর্জাতিক মানের নর্থ পয়েন্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও নির্মাণকাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানী থেকে তৃণমূল পর্যায় অর্থাৎ, গ্রাম পর্যন্ত স্বাস্থ্যসেবাকে বিস্তৃত করেছেন। এখন দেশের অনেক জেলায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল রয়েছে এবং নতুন করে নির্মিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ার হাইকমিশনারের সঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রীর বৈঠক
এছাড়া সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ও দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়নে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা ও সংশ্লিষ্ট সকলে মেডিকেল শিক্ষা, চিকিৎসা, সেবাদান ও গবেষণা কার্যক্রমে আরও গতিশীল ও উন্নতকরণের মাধ্যমে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখার আহ্বান জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যবস্থাকে তথ্যপ্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে, যা জাতীয় পর্যায়ের হাসপাতাল থেকে কমিউনিটি ক্লিনিক ও গ্রামীণ স্বাস্থ্যকর্মী পর্যন্ত বিস্তৃত।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও জানান, উপজেলা ও উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতাল থেকে মোবাইল ফোন ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা চালু করা হয়েছে। ফলে দেশের আপামর জনগণের প্রয়োজনীয় মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তি সহজতর হয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, দেশে ও বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে ইতোমধ্যে সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বিনিয়োগের প্রধান বাধাগুলো চিহ্নিতকরণ এবং দূর করে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানো চেষ্টা করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে জাতীয় শিল্পনীতিও বিনিয়োগবান্ধব করা হয়েছে।
এছাড়া বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল সংরক্ষণ করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলো কৃষিপ্রধান হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় কৃষিভিত্তিক শিল্প-কারখানা গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এ অঞ্চলে বিদেশি বিনিয়োগের অন্যতম গন্তব্যস্থল হতে পারে জানিয়ে এ লক্ষ্যে সকলের সহযোগিতা কামনা করে বলেন, এসব জেলায় উৎপাদিত খাদ্যপণ্য সারাদেশে সরবরাহ করার পাশাপাশি রপ্তানি করা হয়।
এছাড়া পঞ্চগড়ে এখন প্রচুর চা উৎপাদন হচ্ছে এবং বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে।
তিনি আরও বলেন, সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে বাংলাদেশ ও প্রতিবেশি দেশগুলোর জনসাধারণের উন্নত মানের সেবা দেয়ার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক মানের টারশিয়ারি কেয়ার এক হাজার শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটি ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।
এছাড়া এই অঞ্চলে এতো বড় একটি হাসপাতালে নির্মাণ করায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান টিপু মুনশি।
আরও পড়ুন: টিসিবির কাজের অসঙ্গতি দূর করতে ১ কোটি পরিবারকে স্মার্ট কার্ড দেওয়া হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশ-ইন্দোনেশিয়া অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি শিগগিরই: বাণিজ্যমন্ত্রী
আন্তর্জাতিক রেটিং দাবাতে শীর্ষস্থানে ৪ খেলোয়ার
চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচের পর চারটি করে পয়েন্ট নিয়ে ওয়ালটন ইন্টারন্যাশনাল রেটিং দাবা টুর্নামেন্টে যৌথভাবে চারজন খেলোয়াড় শীর্ষস্থান দখলে নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের হলরুমে এই খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
খেলোয়াড়রা হলেন জিএম জিয়াউর রহমান, সিএম মানন রেজা নীর, এফএম মেহেদী হাসান পরাগ ও এফএম সুব্রত বিশ্বাস।
আইএম মোহাম্মদ মিনহাজ উদ্দিন, এফএম তাহসিন তাজওয়ার জিয়া, এফএম খন্দকার আমিনুল ইসলাম, সিএম নাঈম হক, শ. রাশেদুল হাসান, মো. নাসির উদ্দিন এবং মো. শরীয়তুল্লাহ সাড়ে ৩ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: শেখ রাসেল যুব র্যাপিড দাবা শুক্রবার থেকে শুরু
আজকের খেলায় জিএম জিয়াউর রহমান এফএম মোহাম্মদ জাভেদকে, সিএম মানন রেজা নীরকে মো. মাসুম হোসেনকে, এফএম খন্দকার আমিনুল ইসলামকে আইএম মোহাম্মদ মিনহাজ উদ্দিন, এফএম মেহেদী হাসান পরাগ রুবেল হোসেনকে, এফএম সুব্রত বিশ্বাস মো. আবু হানিফকে, এফএম তাহেল হোসেনকে পরাজিত করেন। তাজওয়ার জিয়া মোহাম্মদ ও এনায়েত হোসেন, মো. নাসির উদ্দিন ও সিএম চঞ্চল কুমার ঘোষ, সিএম মাহতাবউদ্দিন আহমেদ ও ডব্লিউসিএম আহমেদ ওয়ালিজার সঙ্গে ড্র করেন এবং মো. মাহবুবুর রহমানকে পরাজিত করেন মো. শরীয়তুল্লাহ।
শুক্রবার একই ভেন্যুতে দুপুর ২টা থেকে পঞ্চম রাউন্ডের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ‘প্রথম আন্তর্জাতিক বীচ র্যাপিড দাবা প্রতিযোগিতা-২৩’ শুরু শুক্রবার
আন্তর্জাতিক নারী দিবস: আমেনার দায় নিবে কে
বিশ্বে ঘটা করে যখন পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস। তখন দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে ৩২টি বছর ধরে রাস্তা-ঘাট, দোকান, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের বারান্দা ও শহীদ মিনারের ময়লা-আবর্জনা পরিস্কার করে চলেছেন মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারী।
এতদিনেও তার পরিচয় বা ঠিকানা জানতে পারেননি কেউ। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জীবনযুদ্ধে সংগ্রামী এই বৃদ্ধ নারীর নাম দিয়েছেন আমেনা। সবাই তাকে আমেনা নামেই চেনেন-জানেন। অন্যের দেয়া খাবার খেয়ে জীবন নির্বাহ করেন তিনি। এখন বয়সের ভাড়ে ন্যুয়েপড়া এই নারী কোনো দোকান কিংবা কোন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের বারান্দায় শীত, গরম আর বৃষ্টিতে পার করছেন দিনরাত। কিন্তু আজও তার ভাগ্যে জুটেনি মাথা গোঁজার ঠাই। মেলেনি অন্য কোন সুযোগ-সুবিধা। পাননি পরিবারের খোঁজ।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক নারী দিবসের কর্মসূচি বিস্তারিত জানালেন প্রতিমন্ত্রী
কবি লিখেছেন ধু-ধু জ্বলে উঠো ধূমায়িত অগ্নি/ জাগো মাতা, কন্যা, বধূ জায়া ভগ্নি এই কবিতায় নারীরা তাদের চিন্তা, চেতনায়, কর্মে, মননে, শিক্ষায়, সংস্কৃতিতে জেগে উঠবে- কবি হয়ত সেটাই বুঝাতে চেয়েছেন। হয়ত কেউ পেরেছেন নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে, কেউ বা অন্যের সহযোগিতা না পেয়ে হেরে গেছেন নিজের কাছে। তাদের এমনই একজন আমেনা পাগলি। অনেকে তাকে আমেনা পাগলি নামেও ডাকেন।
নবাবগঞ্জ শহরের ব্যবসায়ীরা জানান, ১৯৯০-৯১ সালের কথা। শহরের ফুটপাত, রাস্তা, দোকান-পাটের সামনে মাঝবয়সী অপরিচিত এক নারীকে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। সে কারও কাছে ভিক্ষা চায় না। যদি কেউ ইচ্ছা করে কিছু দেয় সেটি গ্রহণ করে। না দিলে চায় না। সে শহরের এমাথা থেকে ওমাথা পর্যন্ত ঘোরাঘুরি করে। হঠাৎ একদিন আমরা দেখি কাকডাকা ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই নারী শহরের ফুটপাত, রাস্তা, দোকানের সামনে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বারান্দা, শহীদ মিনার, উপজেলা পরিষদের চত্বরে জমে থাকা ধূলা, ময়লা, আবর্জনার স্তুপ পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করছে।
ব্যবসায়ীরা আরও জানান, সে পরিচ্ছন্নতা কর্মী না। কিন্তু বিনা পয়সায় এই কাজ করছে। তার এই কাজ দেখে আমাদের মধ্যে কৌতূহল জাগে। আমরা তার নাম, ঠিকানা জানতে চাইলে সে কোনো কথাও বলে না। শুধু ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে থাকে। তখন আমরা তার নাম দেই আমেনা। সে এখন সবার কাছে প্রিয়মুখ হয়ে উঠেছে।
স্থানীয় দোকানদার আব্দুল খালেক ও ফরিদুল ইসলাম জানান, সে দোকানের বারান্দা ঝাড়ু দেয়ার পাশপাশি কাঁদা দিয়ে লেপে দেয়। নিষেধ করলে শুনে না। বরং সে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। দীর্ঘ ৩২টি বছর এভাবে কোলাহলমুক্ত ছোট্ট শহরের মানুষের হৃদয়ে সে ঠাই করে নিয়েছে। যা কিছু করে তা আপন খেয়ালেই করে। তার একটি পছন্দের কুকুর আছে। আমেনা তিন বেলা খেলে তার কুকুরকে তিনবেলা খেতে দেয়। পাশাপাশি একসঙ্গে ঘুমায়ও।
নবাবগঞ্জের স্থানীয় সাংবাদিক সুলতান মাহমুদ জানান, আমেনার থাকার কোন ঘর নেই। রোদ- বৃষ্টি, শীত কি? যখন মনে চায় কোন এক দোকানের বারান্দা বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বারান্দায় সে রাত কাটায়। আমেনা দীর্ঘ ৩২ বছর ধরে এখানে বসবাস করছে। সে কথা বলতে পারে না। সে কি যেন মনে মনে বলে। কিন্তু সেই কথা বা ভাষা বোঝা যায় না। আমরা তার পরিবারের কোন খোঁজ পায়নি।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক নারী দিবস আজ
নবাবগঞ্জ কেন্দ্রীয় ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম জানান, আমেনাকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে একটি ঘর সহ সরকারের সুবিধাগুলো দেয়া দরকার। তাহলে হয়ত আমেনা শেষ বয়সে হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারবে। যে নারী তার সারাজীবনে অন্যের ভালো করছে, সেই নারীর শেষ জীবনে কোথায় ঠাঁই হবে। শেষ জীবনে কে নিবে তার দায়িত্ব? এজন্য কাউকে না কাউকে এগিয়ে আসতে হবে।
নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম আশিক রেজা জানান, আমেনার বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। সে সরকারের সুবিধা যেন পায় সেটা ভেবে দেখছি।
নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান জানান, তাকে আমরা একটি ঘর করে দিব। সে ওই ঘরে থাকবে কিনা বলতে পারব না। কারণ সে দোকান বা শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের বারান্দায় থাকতে পছন্দ করে। তারপরেও আমেনার বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে।
এদিকে সরকার নারী উদ্যোক্তা তৈরি এবং নারীর ক্ষমতায়নে নানা উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু পিছিয়ে পড়া এই নারীদের ব্যাপারে উদ্যোগ নিবে সরকার এই প্রত্যাশা করছেন অনেকে।
আরও পড়ুন: ইউএনবিতে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন
জাতিসংঘে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন
জাতিসংঘ সদর দপ্তরে টানা ৭ম বারের মতো বুধবার যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করা হয়।
জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের যৌথ অংশীদারিত্বে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে ডেনমার্ক, গুয়াতেমালা, হাঙ্গেরি, ভারত, মরক্কো ও পূর্ব তিমুর।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনের সভাপতি সাবা কোরেশি।
বিগত বছরের ন্যায় এ বছরও জাতিসংঘের ছয়টি দাপ্তরিক ভাষায় গোটা অনুষ্ঠানটি অনুবাদের সুব্যবস্থা রাখা হয়। নিউইয়র্কভিত্তিক সাংস্কৃতিক সংগঠন শ্রী চিন্ময় কর্তৃক আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের থিম সঙ্গীত ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। এরপর ১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারিতে মাতৃভাষা বাংলার অধিকার আদায়ে জীবন উৎসর্গকারী শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
আরও পড়ুন: শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৩ উপলক্ষ্যে ব্যাংককে শিশু-কিশোরদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা
অনুষ্ঠানটির আলোচনা পর্বে সকল সহযোগী দেশগুলোর স্থায়ী প্রতিনিধি, জাতিসংঘের জেনারেল অ্যাসেম্বলি ও কনফারেন্স ব্যবস্থাপনাবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল, নীতিবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল, ইউনেস্কো’র নিউইয়র্ক অফিসের প্রতিনিধি এবং নিউইয়র্ক শহরের মেয়রের প্রতিনিধি বক্তব্য রাখেন। তাছাড়া, স্প্যানিশ ভাষাভাষী ফ্রেন্ডস গ্রুপের পক্ষ থেকে জাতিসংঘে নিযুক্ত কিউবার উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি এবং ভাষাবিষয়ক এনজিও কমিটির সভাপতি বক্তব্য রাখেন।
উদ্বোধনী বক্তব্যে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল মুহিত ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারির ভাষা শহীদগণ এবং ভাষা আন্দোলনের পথিকৃত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, ভাষা আন্দোলনের পথ ধরেই জাতির পিতার নেতৃত্বে শুরু হয় বাঙালি জাতির মুক্তিসংগ্রাম, যার চূড়ান্ত পরিণতি পায় ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে আমাদের বিজয়ের মাধ্যমে। মহান একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি লাভের জন্য প্রবাসী কয়েকজন বাংলাদেশির উদ্যোগকে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের পূর্ণ স্বীকৃতি আদায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কথা স্মরণ করেন রাষ্ট্রদূত মুহিত।
রাজধানী ঢাকায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটের প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগ ও অবদানের কথা স্মরণ করেন তিনি। এবারের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বাংলাকে সম্মান জানিয়ে নতুন বাংলা ইউনিকোড ফন্ট প্রকাশ করার জন্য ইউএনডিপিকে (জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচী) বিশেষ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন স্থায়ী প্রতিনিধি।
দিল্লিতে ৪র্থ বাংলা-ভারত আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব শুরু
দিল্লির সিরি ফোর্ট মিলনায়তনে শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে চতুর্থ বাংলা-ভারত আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব।
ভারতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রেস মিনিস্টার শাবান মাহমুদ প্রধান অতিথি হিসাবে এ উৎসবের উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: প্রীতিলতাকে ধারণ করা চ্যালেঞ্জের ছিল: তিশা
জনপ্রিয় চলচ্চিত্র নির্মাতা আশীষ রঞ্জন দাসের সঞ্চালনায় ও আলোচনায় শাবান মাহমুদ বক্তব্য দেন এবং বলেন, এই ধরনের অনুষ্ঠান মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ বাড়ায় এবং একে অপরের সঙ্গে আরও ভালো বোঝাপড়ার সূচনা করে।
২০১৭ সালে শুরু হওয়া চলচ্চিত্র উৎসবটি কয়েক বছর ধরে মহামারি দ্বারা বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, তিন দিনব্যাপী চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে।
সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া বাংলাদেশের জনপ্রিয় সিনেমা ‘হাওয়া’ প্রদর্শিত হবে ৫ ফেব্রুয়ারি।
এছাড়াও প্রশংসিত পরিচালক গৌতম ঘোষের দুটি ফিচার ফিল্মও উৎসবে প্রদর্শিত হবে।
আরও পড়ুন: রটারড্যাম ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রশংসিত নুহাশের ‘পেট কাটা ষ’
তিন বছর পর শুরু হতে যাচ্ছে ঢাকা আর্ট সামিট
নমনীয় কাজের সময়সূচি সবার জন্য লাভজনক: জাতিসংঘের প্রতিবেদন
নমনীয় কর্মঘণ্টা যখন কর্মচারী এবং পরিবারকে আরও ভাল কর্ম-জীবনের ভারসাম্য অর্জনে সহায়তা করে, তখন তা অর্থনীতি এবং ব্যবসাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।
শুক্রবার জাতিসংঘের শ্রম সংস্থার একটি নতুন প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার(আইএলও) ইনওয়ার্ক-এর প্রধান ফিলিপ মার্কাডেন্ট ‘পৃথিবীজুড়ে কাজের সময় এবং কর্ম-জীবনের ভারসাম্য’-বিষয়ে বলেছেন, কর্মঘণ্টা এবং অবস্থার আশেপাশের সমস্যাগুলো আজ বিশ্বের বেশিরভাগ শ্রমবাজার সংস্কার এবং বিবর্তনের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।’
‘কর্ম ঘন্টার সংখ্যা, সেগুলো যেভাবে সংগঠিত হয় এবং বিশ্রামের সময়কালের প্রাপ্যতা শুধুমাত্র কাজের মানকেই নয়, কর্মক্ষেত্রের বাইরের জীবনকেও উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করতে পারে।’
কর্ম-জীবনের ভারসাম্যের ওপর প্রথম পরিচালিত এই গবেষণাটি ব্যবসা এবং তাদের কর্মীদের কর্মক্ষমতার ওপর কাজের সময় এবং সময়সূচির প্রভাবগুলো পরীক্ষা করে।
কোভিডের আগে এবং চলাকালীন সময়গুলোকে অন্তর্ভুক্ত করে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে। যে সমস্ত কর্মচারীদের এক তৃতীয়াংশেরও বেশি নিয়মিতভাবে প্রতি সপ্তাহে ৪৮ ঘন্টার বেশি কাজ করছে, যেখানে বিশ্বব্যাপী কর্মশক্তির এক পঞ্চমাংশ প্রতি সপ্তাহে খণ্ডকালীন ভিত্তিক সময়ে ৩৫ ঘন্টারও কম কাজ করছে।
প্রতিবেদনটির প্রধান লেখক জন মেসেঞ্জার বলেছেন, ‘তথাকথিত 'মহান পদত্যাগ' ঘটনাটি মহামারি-পরবর্তী বিশ্বে সামাজিক এবং শ্রমবাজারের সমস্যাগুলোর অগ্রভাগে কর্ম-জীবনের ভারসাম্য বজায় রেখেছে।’
প্রতিবেদনটি বিভিন্ন কাজের সময়সূচি এবং কাজের-জীবনের ভারসাম্যের ওপর তাদের প্রভাব বিশ্লেষণ করে, যার মধ্যে স্থানান্তর, কলে থাকার ব্যবস্থা, সংকুচিত ঘন্টা এবং ঘন্টা-গড় সূচিসমূহ রয়েছে।
মেসেঞ্জার বলেছেন যে উদ্ভাবনী কাজের সময় ব্যবস্থা, যেমন কোভিড সংকটের সময় প্রবর্তিত, বৃহত্তর উৎপাদনশীলতা এবং উন্নত কর্ম-জীবনের ভারসাম্যসহ দুর্দান্ত সুবিধা আনতে পারে।
আরও পড়ুন: শ্রমজীবীদের অধিকার রক্ষায় আইএলও’র সহযোগিতা কামনা আইনমন্ত্রীর
তিনি আরও বলেন, ‘এই প্রতিবেদনটি দেখায় যে আমরা যদি কোভিড সংকটের কিছু শিক্ষা প্রয়োগ করি এবং কাজের সময়গুলো কীভাবে গঠন করা হয়, সেইসঙ্গে তাদের সামগ্রিক দৈর্ঘ্যের দিকে খুব যত্ন সহকারে দেখি, আমরা উভয় ব্যবসার উন্নতি এবং একটি সন্তোষজনক কর্মক্ষমতা এবং কর্মজীবনের ভারসাম্য (সকলের জন্য) তৈরি করতে পারি।’
কোভিড সঙ্কটের ব্যবস্থাগুলো শক্তিশালী নতুন প্রমাণও দিয়েছে। এতে দেখা যায় যে শ্রমিকরা কীভাবে, কোথায় এবং কখন কাজ করে সে সম্পর্কে আরও নমনীয়তা দেয়া এবং তাদের উল্লেখযোগ্য উৎপাদনশীলতা লাভের সঙ্গে ব্যবসা উভয়ের জন্যই ইতিবাচক হতে পারে।’
বিপরীতভাবে, নমনীয়তা সীমাবদ্ধ করার ফলে উচ্চ কর্মীদের চলে যাওয়াসহ যথেষ্ট খরচ হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘প্রচুর পরিমাণে প্রমাণ রয়েছে যে কর্ম-জীবনের ভারসাম্য নীতিগুলো এন্টারপ্রাইজগুলোতে উল্লেখযোগ্য সুবিধা প্রদান করে, এই যুক্তিকে সমর্থন করে যে এই ধরনের নীতিগুলো নিয়োগকর্তা এবং কর্মচারী উভয়ের জন্যই একটি 'লাভজনক’।
এতে বলা হয়েছে, আইন ও প্রবিধান যা কাজের ঘন্টা এবং বিধিবদ্ধ বিশ্রামের সময়সীমার একটি উচ্চ সীমা নির্ধারণ করে। সমাজের দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য এবং মঙ্গলে অবদান রাখে।
আরও পড়ুন: আইএলওর কোভিড-১৯ সংক্রান্ত টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ার নির্বাচিত বাংলাদেশ
কাজের সময় অনুসারে, দেশগুলোকে মহামারি যুগের উদ্যোগগুলোকে সমর্থন করা উচিত। যেমন অন্তর্ভুক্তিমূলক স্বল্প-সময়ের কাজের স্কিমগুলো, যা কেবল চাকরিই বাঁচায়নি বরং ক্রয় ক্ষমতাও বাড়িয়েছে এবং অর্থনৈতিক সঙ্কটের প্রভাবগুলোকে উপশম করতে সহায়তা করেছে।
এটি অনেক দেশে কাজের ঘন্টার সংখ্যা কমাতে এবং একটি স্বাস্থ্যকর কর্ম-জীবনের ভারসাম্যকে উন্নীত করার জন্য একটি জননীতি পরিবর্তনের পক্ষেও সমর্থন করে।
এছাড়াও, প্রতিবেদনটি কর্মসংস্থান বজায় রাখতে এবং কর্মীদের আরও এজেন্সি দেয়ার জন্য টেলিওয়ার্কিংকে উৎসাহিত করে।
আরও পড়ুন: আইএলও’র পরিচালনা পরিষদের উপ সদস্য নির্বাচিত বাংলাদেশ
২০২৩ সালে আমরা আরও ভালোভাবে প্রস্তুত: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, ২০২৩ সালে লক্ষ্য অর্জনে সরকার দেশীয় ও আন্তর্জাতিক উভয় ক্ষেত্রেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ভালোভাবে প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি বলেন, যদি এটি আরও চ্যালেঞ্জিং বলে মনে হয় তবে আমরা আরও ভালভাবে প্রস্তুত রয়েছি।
আরও পড়ুন: ইরানের উপমন্ত্রী ও শাহরিয়ার আলমের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা
রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী ২০২২ সালকে নতুন বাজার খোলায় আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে জড়িত থাকার পরিপ্রেক্ষিতে একটি অত্যন্ত সফল বছর হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন এখনও শুরু হয়নি, এটা ব্যর্থতা।
এক প্রশ্নের জবাবে শাহরিয়ার বলেন, সরকার অন্তত একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে র্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে।
তিনি বলেন, বেদনাদায়ক, এটি একটি ধীর প্রক্রিয়া। আমরা আমাদের প্রচেষ্টা জোরদার করব।
তিনি বলেন, ভুল তথ্য ও অন্যান্য সমস্যা মোকাবিলায় একটি আইনের প্রয়োজন রয়েছে। তবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সাংবাদিকদের হয়রানির জন্য নয়।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রদূতদের প্রকাশ্য বিবৃতি দেয়ার আগে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস বুঝতে হবে: মার্কিন ডেপুটি সেক্রেটারিকে শাহরিয়ার আলম
শিগগিরই প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফর অনুষ্ঠিত হবে: শাহরিয়ার আলম
আন্তর্জাতিক ম্যাথ চ্যালেঞ্জে শাবিপ্রবির ৯ শিক্ষার্থীর সিলভার ও ব্রোঞ্জ পদক অর্জন
আন্তর্জাতিক ম্যাথ চ্যালেঞ্জ-২০২২ প্রতিযোগিতায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) গণিত বিভাগের ৯ শিক্ষার্থী সিলভার ও ব্রোঞ্জ পদক অর্জন করেছেন।
বৃহস্পতিবার সকালে আন্তর্জাতিক ম্যাথ চ্যালেঞ্জ'২২ এর শাবিপ্রবির তত্ত্বাবধায়ক গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস এম সাইদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘প্রতিবছর একটি নির্দিষ্ট সময়ে আন্তর্জাতিক ইয়ুথ ম্যাথ চ্যালেঞ্জ অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। আমার তত্ত্বাবধানে গতবছর দুইজন অংশগ্রহণ করে পদক পেয়েছিলেন, এবার ৯জন; যা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অনেক বড় অর্জন। আগামীতে আশা করি ছাত্র-ছাত্রীদের এই অর্জন আরও বৃদ্ধি পাবে। যার মাধ্যমে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম আর ও বাড়বে বলে আমি মনে করি।’
আরও পড়ুন: আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ে শাবিপ্রবিতে সমর্থকদের বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাস
শাবিপ্রবি থেকে সিলভার পদক প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন- গণিত বিভাগের ২০১৮-১৯ বর্ষের শিক্ষার্থী রুহুল আমিন মারুফ, ২০২০-২১ সেশনের মো. রায়হান আহমেদ রাফি।
ব্রোঞ্জ পদক প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন- গণিত বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের মিনিহাজ আহমেদ সামি, হাবিবুর রহমান এবং ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী ওয়াসেক আল আজাদ অভি, রায়হান ইকবাল, শুভ পাল, নাজমুন নাহার ও আবু শহীদ সালমান।
প্রসঙ্গত, এবারের আন্তর্জাতিক গণিত চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতায় ৯৮ টি দেশের সাড়ে পাঁচ হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
এতে তত্ত্বাধায়ক হিসেবে ছিলেন এক হাজার ৩০০ শিক্ষক। এ প্রতিযোগিতাটি কোয়ালিফিকেশন রাউন্ড, প্রি-ফাইনাল, ফাইনাল এ তিন পর্বে সম্পন্ন হয়। প্রথম দুই রাউন্ড শেষে ফাইনালে মোট এক হাজার ৮০০ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়। ফাইনালে ২০টি প্রশ্ন ছিল। প্রত্যেক প্রশ্নের জন্য এক পয়েন্ট নির্ধারিত থাকে। এ থেকে সর্বোচ্চ পয়েন্টের ভিত্তিতে গোল্ড-সিলভার-ব্রোঞ্জ পদক দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে ১০দিনব্যাপী 'কিনে'র বইমেলা
মানসিক রোগ সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৫% শিক্ষার্থী সচেতন: শাবিপ্রবির গবেষণা