ঢাকা
টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাস ঢাকার
এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ২৮৬ স্কোর নিয়ে সোমবার(১২ ফেব্রুয়ারি) বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহর হিসেবে ঢাকাকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
গতকাল ঢাকার একিউআই স্কোর ছিল ২৫৭।
এই উদ্বেগজনক অবস্থাটি নগরীর বাসিন্দাদের সামনে মারাত্মক পরিবেশগত চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরে। একই সঙ্গে বায়ু দূষণ উল্লেখযোগ্য স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
ভারতের কলকাতা ও মুম্বাই এবং পাকিস্তানের লাহোর যথাক্রমে ২৬৯, ২৪০ এবং ২১১ একিউআই স্কোর নিয়ে ঢাকার ঠিক পরেই অবস্থান করছে। এই সূচকটি দক্ষিণ এশিয়ার বেশ কয়েকটি বড় শহরে ব্যাপক বায়ু মানের সংকটের ইঙ্গিত দেয়।
১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর', ১৫০ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’, বিশ্ব তালিকায় তৃতীয়
২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলা হয়, ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’, বিশ্ব তালিকায় শীর্ষে
ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো ‘এক্সক্লিউসিভ অস্ট্রেলিয়ান এডুকেশন এক্সপো ২০২৪’
বিদেশে উচ্চশিক্ষা বিষয়ক ‘এক্সক্লিউসিভ অস্ট্রেলিয়ান এডুকেশন এক্সপো ২০২৪’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর গুলশানের লেকশোর হাইটস এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
এক্সপোটির আয়োজক ছিল অস্ট্রেলিয়ান এডুকেশন টেকনোলজি কোম্পানি স্টাডিনেট।
এক্সপোতে অ্যাডিলেড ইউনিভার্সিটি, ম্যাককুয়ারি ইউনিভার্সিটি, লা ট্রোব ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব তাসমানিয়া, ইউনিভার্সিটি অব উলংগং, ফ্লিন্ডারস ইউনিভার্সিটি, সুইনবার্ন ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি, ইসিইউ, আপ এডুকেশন, নেভিটাসের মতো আরও বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় ও এডুকেশন প্রভাইডাররা এক্সপোতে যোগ দেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কথা বলে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি, কোর্স বাছাই, স্কলারশিপসহ তাদের প্রয়োজনীয় সব তথ্য সংগ্রহ করতে পেরেছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মনিরুজ্জামান এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে নর্দান ইউনিভার্সিটির উপউপাচার্য ড. নজরুল ইসলাম এবং স্কুল অব বিজনেস, ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ফ্যাকাল্টি মেম্বার কানতারা খান।
এছাড়াও স্টাডিনেটের পক্ষে বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান (অবসরপ্রাপ্ত) মেজর সিরাজুল আনোয়ার, সিনিয়র কান্ট্রি ম্যানেজার তানজিউল হক এবং সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং ম্যানেজার মইনুল হাসান।
অতিথিরা বাংলাদেশের উন্নয়নে শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার গুরুত্ব নিয়ে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
ঢাকার নাগরিক সমস্যা সমাধানে ধাপে ধাপে কাজ করতে হবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম পর্যায়ক্রমে ঢাকার নাগরিক সমস্যা সমাধানের উপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, ঢাকা পৃথিবীর জনবহুল শহরগুলোর অন্যতম এবং প্রতিবর্গ কিলোমিটারে সবচেয়ে বেশি মানুষ বসবাস করে।
তিনি বলেন, অপরিকল্পিত নগরায়ণের ফলে এ শহরে নাগরিক সুযোগ-সুবিধা দিন দিন নানা চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ঢাকাকে আধুনিক শহরে পরিণত করতে ক্রমান্বয়ে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। এরই ফলশ্রুতিতে আজ আমরা ঢাকায় মেট্রোরেল, এক্সপ্রেসওয়ের মতো দ্রুতগতি সম্পন্ন দ্বার উন্মোচিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: নাইজেরিয়ার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের অভিষেক অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘ঢাকার যানজট: মেট্রোরেল ও এক্সপ্রেস ওয়ের প্রভাব’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকার সব সমস্যা রাতারাতি সমাধান সম্ভব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ধীরে ধীরে সব সমস্যা সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান করা হবে।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির কথা উল্লেখ করে বলেন, মানুষের সামর্থ্য বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে যানবাহনের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
মন্ত্রী দখলমুক্ত ফুটপাতের উপর জোর দিয়ে বলেন, হাঁটার পরিবেশ পেলে নাগরিকরা স্বল্প দূরত্বে হেঁটে গেলে তা পরিবেশের জন্য এবং নাগরিকদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। তবে সেক্ষেত্রে হকারদের পুনর্বাসন অথবা তাদের একটি নির্দিষ্ট সময়ে ব্যবসা-বাণিজ্য করার সুযোগ দেওয়ার মতো পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।
আরও পড়ুন: আমাদের এখন লক্ষ্য ডালে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া: কৃষিমন্ত্রী
যানজটের সমস্যা চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, একই পরিবারের একাধিক গাড়ির রেজিস্ট্রেশনের বিষয়ে আমাদের চিন্তা করার সময় এসেছে। আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও জবাবদিহির উপর জোর দিয়ে ঢাকা শহরে পার্কিং ব্যবস্থা ও শৃঙ্খলা আনা জরুরি হয়ে পড়েছে।
খেলাধূলার উপর গুরুত্বারোপ করে মন্ত্রী বলেন, খেলাধূলা শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ এবং এ কারণে উন্নত বিশ্বে খেলাধূলার উপর অনেক গুরুত্বারোপ করা হয়।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী এ সময় খেলাধুলা মানুষের মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক চেতনা তৈরি করে উল্লেখ করে বলেন, এ বোধ যে মানুষের মধ্যে কাজ করে তারা দেশ ও সমাজকে উন্নত করতে বেশি সক্রিয় থাকে। তাই খেলাধুলার গুরুত্ব আমাদের ব্যক্তিগত, সামাজিক ও জাতীয় জীবনে অপরিহার্য।
আরও পড়ুন: জাতীয় লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দৃঢ় প্রত্যয় স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর
খেলাধুলা শুধু স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী তাই নয়, খেলাধুলার ফলে মানুষের মধ্যে সৃজনশীলতার বিকাশ হয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
ঢাকায় বাংলাভাষী কূটনীতিকদের পেয়ে গর্বিত: রুশ রাষ্ট্রদূত
ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মানতিৎস্কি বলেছেন, রাশিয়ায় শেখানো হয় এমন অন্যান্য এশীয় ভাষার মধ্যে বাংলা একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে। এটি দক্ষিণ এশিয়ায় কাজ করতে ইচ্ছুকদের আকর্ষণ করে।
তিনি বলেন, ঢাকাস্থ রুশ দূতাবাস বাংলাভাষী কয়েকজন কূটনীতিককে নিয়ে গর্বিত।
রাষ্ট্রদূত বলেন, তাদের দক্ষতা শুধু কূটনৈতিক মিশনের দৈনন্দিন কার্যক্রমেই অপরিহার্য নয়, বরং বিভিন্ন প্রটোকল অনুষ্ঠানেও এর চাহিদা অনেক বেশি প্রয়োজন হয়।
আরও পড়ুন: উজবেকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও তাসখন্দ স্টেট ইউনিভার্সিটি অব ওরিয়েন্টাল স্টাডিজের রেক্টরের বৈঠক
তিনি বলেন, এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ হলো ২০২৩ সালের ৫ অক্টোবর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে পারমাণবিক জ্বালানি সরবরাহ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ভাষণটি মস্কো স্টেট ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনসের একজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী রিয়েল-টাইম মোডে বাংলায় অনুবাদ করা। বর্তমানে তিনি ঢাকায় কর্মরত।
শুক্রবার(৯ ফেব্রুয়ারি) এক বার্তায় রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, '১০ ফেব্রুয়ারি পেশাদার ছুটি উদযাপনের এই দিনে রুশ কূটনীতিকদের কাজকে অর্থবহ ও আনন্দময় করার জন্য বাংলাদেশের অতিথিপরায়ণ ও বন্ধুপ্রতীম জনগণকে ঢাকাস্থ রাশিয়ান দূতাবাস উষ্ণ শুভেচ্ছা জানাচ্ছে’
১০ ফেব্রুয়ারি কূটনৈতিক কর্মী দিবস - একটি পেশাদার ছুটির দিন। এদিন মস্কো এবং বিদেশে অনেক মিশনে কর্মরত সমস্ত কর্মচারীকে একত্রিত করে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের।
যদিও ছুটির দিনটি বেশ সম্প্রতি ২০০২ সালেআনুষ্ঠানিকভাবে পালন শুরু করলেও তারিখের পছন্দটি বিরাট ঐতিহাসিক তাৎপর্য বহন করে। কারণ এটি ১৫৪৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার বৈদেশিক সম্পর্কের দায়িত্বে থাকা প্রথম রাষ্ট্রদূত প্রিকাজের প্রাচীনতম নথিভুক্ত করাকে তুলে ধরে।
রাষ্ট্রদূত মানতিৎস্কি বলেছেন, এই ছুটির দিনটি রাশিয়ার কূটনৈতিক পরিষেবার ধারাবাহিকতার প্রতীক। এর পেশাদার ঐক্য এবং মহৎ পথনির্দেশক নীতি ও আদর্শ প্রদর্শন করে।
আরও পড়ুন: বাইরের হস্তক্ষেপের বিরোধিতায় বাংলাদেশকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে চীন: রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন
তিনি বলেন, শত শত বছরের ইতিহাস জুড়ে রুশ কূটনীতিকরা যেসব দেশে সেবা প্রদান করেন, সেসব দেশের ভাষা শেখার ওপর অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে আসছেন।
মানতিৎস্কি বলেছেন, জাতীয় ঐতিহ্য এবং অভ্যাস, আকাঙ্ক্ষা এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষার প্রতি বোঝাপড়া এবং শ্রদ্ধা সর্বদা রাশিয়ান কূটনৈতিক পরিষেবার ঘোষিত মৌলিক মূল্যবোধ।
সপ্তদশ শতাব্দীর শুরুর দিকে রাশিয়ার সম্রাট পিটার দ্য গ্রেটের শাসনামলে এশীয় দেশগুলো রাশিয়ার সঙ্গে বৈদেশিক সম্পর্ক স্থাপন করে।
বাণিজ্য ও রাজনৈতিক যোগাযোগের ক্রমবর্ধমান সংখ্যার জন্য স্বাভাবিকভাবেই ভাষাগত এবং যোগাযোগ দক্ষতাসম্পন্ন বিশেষজ্ঞদের প্রয়োজন ছিল।
তিনি বলেন,‘এই প্রয়োজনীয়তা রাশিয়ায় প্রাসঙ্গিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার দিকে ধাবিত করে।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, আজ প্রাচ্য গবেষণায় গভীর শিক্ষা প্রদান করে এমন অনেক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- এশিয়ান ও আফ্রিকান দেশগুলোর ইনস্টিটিউট এবং মস্কোর এমজিআইএমও বিশ্ববিদ্যালয়, সেন্ট-পিটার্সবার্গ স্টেট ইউনিভার্সিটির ওরিয়েন্টাল অনুষদ, ভ্লাদিভোস্টকের ফার ইস্টার্ন ফেডারেল বিশ্ববিদ্যালয় সহ আরও অনেক প্রতিষ্ঠান।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত এবং বিমসটেক মহাসচিবের সাক্ষাৎ
ঢাকা রোড ট্রাফিক সেফটির যৌথ সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত
রাজধানীতে নিরাপদ ট্রাফিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে ঢাকা রোড ট্রাফিক সেফটি প্রজেক্টের (ডিআরএসপি) চতুর্থ যৌথ সমন্বয় কমিটির (জেসিসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ঢাকায় সড়ক নিরাপত্তা কর্মসূচি বাস্তবায়নে পুলিশের সক্ষমতা জোরদার করতে ২০২২ সালের মার্চ থেকে ডিআরএসপি বাস্তবায়ন করছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। এ প্রকল্পে ডিএমপিকে সহায়তা করছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)।
আরও পড়ুন: সেবা সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের অভাবে ঢাকায় জলাবদ্ধতার ভয়ংকর রূপ
ডিআরএসপি প্রকল্প পরিচালক ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় জাইকা বিশেষজ্ঞ দলের (জেইটি) প্রকল্প নেতা ইয়োশিহিসা আসাদা প্রকল্পের রূপরেখা ও বর্তমান অবস্থা তুলে ধরেন। রাজধানীতে নিরাপদ ট্রাফিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সিটি কর্পোরেশন এবং সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষসহ যৌথ সমন্বয় কমিটির সব সদস্যদের সহযোগিতার ওপর জোর দেন তিনি।
এ সময় মুনিবুর রহমান বলেন, ঢাকাবাসীদের জন্য যানজট পরিস্থিতি সহনীয় করাই এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য। আমাদের ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে কাজ করতে হবে যাতে আমরা জনগণকে আশার আলো দেখাতে পারি।
জেসিসি সভায় ডিএমপির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও জাইকা বিশেষজ্ঞ দলের সদস্যরা গত ছয় মাসের অগ্রগতি তুলে ধরেন। এছাড়াও ডিআরএসপির তিনটি আউটপুট- ট্রাফিক নিরাপত্তা শিক্ষা, ট্রাফিক দুর্ঘটনা প্রতিবেদন ও ট্রাফিক আইন ও প্রয়োগের বিষয়টি নিয়েও আলোচনা করেন তারা।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (ট্রাফিক অ্যাডমিন অ্যান্ড রিসার্চ) কাজী রোমানা নাসরিন বলেন, ট্রাফিক নিরাপত্তা শিক্ষা নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে এরই মধ্যে তিনটি বিদ্যালয়ে ব্যবহারিক ও অংশগ্রহণমূলক শিক্ষা কর্মসূচি (পিপিইপি) চালু করা হয়েছে। এছাড়াও ঢাকার সব ট্রাফিক বিভাগগুলোর বিদ্যালয়গুলোতেও এই কর্মসূচি শুরু করা হবে বলে জানান তিনি।
রোমানা আরও জানান, সড়ক নিরাপত্তা সচেতনতা বৃদ্ধিতে একসঙ্গে কাজ করতে ডিএমপি ও সিসিমপুর (এসডব্লিউবি) একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে।
ডিআরএসপির দ্বিতীয় আউটপুট ট্রাফিক দুর্ঘটনা প্রতিবেদনের বিষয়ে ডিএমপির সিস্টেম অ্যানালিস্ট শারমিন আফরোজ বলেন, দুর্ঘটনার তথ্য সংগ্রহে ব্যবহৃত ডাটাবেজ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস অব রোড ক্র্যাশ (ডিএআরসি) সফটওয়্যারটি আরও উন্নত করা হয়েছে। রেসপন্ডিং অফিসার্স অবজারভেশন ফর্ম (আরওওএফ) কাজটিকে আরও সহজ করে তুলেছে । ডিএআরসির মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ক্র্যাশ সাইটে এই ফর্মটি পূরণ করা যায়। এছাড়াও জিপিএস থেকে নেওয়া তথ্য ও ছবি সংগ্রহ করার সুযোগও রয়েছে।
আরও পড়ুন: মূল্যায়ন পদ্ধতি ও কারিকুলাম সংক্রান্ত সমন্বয় কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত
এছাড়াও ডিআরএসপির আউটপুট ৩-এর অধীনে বাস চালক ও বাসযাত্রীদের ট্রাফিক আইন মেনে চলার গুরুত্ব বুঝাতে রাজধানীর কাকলীতে বাস থামার স্থানে একটি পাইলট প্রকল্প চালানো হয় বলে জানান যুগ্ম কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তর) আবু রায়হান মুহাম্মদ সালেহ।
এই প্রকল্পে দেখা যায় ৯৭ শতাংশ বাস চালক স্বীকার করেছে এই স্থানে ট্রাফিক নিরাপত্তা বেড়েছে এবং তারা এই ট্রাফিক আইন মেনে চলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। এবার নিরাপদ পথচারী পারাপারে সচেতনতা তৈরিতে আরেকটি প্রকল্প শুরুর কথা ভাবছে ডিআরএসপি।
সভায় সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে একটি মিডিয়া ফেলোশিপ প্রোগ্রাম শুরু করার ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে ডিআরএসপির জনসংযোগ কার্যক্রম তুলে ধরেন জেলা প্রশাসক (মিডিয়া ও জনসংযোগ) মোহাম্মদ ফারুক হোসেন। এ সময় তেজগাঁওয়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর আলম ভারতের হায়দ্রাবাদে প্রশিক্ষণের ফলাফল তুলে ধরেন।
জাইকা সদর দপ্তরের অবকাঠামো ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালক ইয়াসুহিরো সুহারা জাপানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ডিএমপি ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ঢাকার সড়কে জাপানের ট্রাফিক পদ্ধতিগুলোর কার্যকরভাবে ব্যবহার করবেন বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
গৃহীত উদ্যোগগুলো নাগরিকদের উপকারে আসবে আশা প্রকাশ করে ছয় মাস পর জেসিসির পরবর্তী সভায় পরিকল্পনাগুলোর অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করা হবে জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য সময়টা ভালো নয়: জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী
ভ্যালেন্টাইন’স ডে উদযাপনের সেরা গন্তব্য: ঢাকার কাছেই ১০ রিসোর্ট
হোক সে আপন নিবাস কিংবা ভিনদেশী অচেনা জায়গা, সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত মানুষটি পাশে থাকাটা আশেপাশের সবকিছুকেই যেন ঝাপসা করে দেয়। এরপরেও প্রত্যেকেই তার ভ্যালেন্টাইনের সঙ্গে কাটানো সময়টাকে ভালো লাগা দিয়ে ভরিয়ে তোলার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন। পরিণয়টা নিরঙ্কুশ সিদ্ধি লাভ করে যখন তাতে যোগ হয় প্রকৃতিপ্রেম, রোমাঞ্চ ও মুক্তির উচ্ছ্বাস। কিন্তু ব্যস্ত জীবনে ফিরে আসার শাসনটা এই স্বাধীনতাকে বাধ ভেঙে যেতে দেয় না। তখনি আসে কাছে কোথাও নিরিবিলিতে ঘুরতে যাওয়ার পায়তারা। আর ঠিক এই চাহিদাটিকে পূরণ করতেই ঢাকার অদূরে গড়ে উঠেছে দৃষ্টিনন্দন রিসোর্টগুলো। শহুরে যুগলবন্দিদের প্রতি এক অভূতপূর্ব ভালবাসা দিবসের অভিজ্ঞতার নিবেদন করে এই নৈসর্গিক স্থানগুলো। চলুন, সেগুলোর মধ্যে থেকে ঢাকার নিকটবর্তী মনোরম ১০টি রিসোর্টের ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
ভ্যালেন্টাইন’স ডে উদযাপনের জন্য ঢাকার কাছেই ১০টি রিসোর্ট
জলেশ্বরী রিসোর্ট, গাজীপুর
সবুজ গাছ-গাছালি ঘেরা প্রায় ১০০ বিঘা জায়গার জলেশ্বরী রিসোর্টের অবস্থান গাজীপুর জেলার রাজেন্দ্রপুরের ফাউগান গ্রামে। অতিথিদের জন্য এখানে রয়েছে তিনটি সুসজ্জিত ভবন, সুইমিংপুল, রেস্টুরেন্ট এবং বিশাল খেলার মাঠ।
সাপ্তাহিক ছুটিসহ অন্যান্য সরকারি ছুটি দিন বাদে সপ্তাহের বাকি দিনগুলোতে কাপল ডে লং প্যাকেজের মূল্য ৬ হাজার টাকা। ছুটির দিনগুলোতে এর দাম রাখা হয় ৬ হাজার ৫০০ টাকা। এর বাইরে মান ভেদে রাত্রিযাপনের জন্য রুম ভাড়া নেওয়া হয় ৮ থেকে ৯ হাজার টাকা।
রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তা দিয়ে রাজেন্দ্রপুর বাজারে তারপর ফাউগান বাজার পার হয়ে একটু সামনে গেলেই জলেশ্বরী রিসোর্ট।
আরও পড়ুন: স্বল্প বাজেটে ভ্যালেন্টাইন’স ডে উপহার: অনুপম নিবেদনে প্রিয়জনের মুগ্ধতা
ছুটি রিসোর্ট, গাজীপুর
গাজীপুরের ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান ঘেঁষা জনপ্রিয় ছুটি রিসোর্টের জায়গা প্রায় ৫০ বিঘা। যেখানে রয়েছে স্পোর্টস জোন, সুইমিংপুল, রেস্তোরাঁ এবং ক্যাম্পিংয়ের জায়গা। ২১টি কটেজের পাশাপাশি এখানকার ছনের ঘর, মাছ ধরার সুযোগ, নৌকা ভ্রমণ, পিঠাপুলী এবং সবজি ও ফুল-ফলের বাগান আকৃষ্ট করে দর্শনার্থীদের। তবে সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হচ্ছে পাখির কলকাকলী, বাঁদুড় ও শিয়ালের হাঁক, ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক এবং জোনাকি আলো।
সীমান্তে উত্তেজনা: মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে যা বলল ঢাকা
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে যা ঘটছে তা 'পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য' বলে মন্তব্য করেছে ঢাকা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে আজ তলব করা হয়েছে এবং বাংলাদেশ এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে।’
তিনি বলেন, মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের উদ্বেগ ও প্রতিবাদ তার সরকারের কাছে জানাবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে বাংলাদেশিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং তাদের মর্টার শেল বাংলাদেশের ভূখণ্ডে আসছে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমার সীমান্তে উত্তেজনা, বান্দরবানে ৭ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের জলপাইতলীতে মর্টার একটি বাড়িতে শেলের আঘাত হানলে এক নারীসহ দুইজন নিহত হয়েছেন।
আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘর্ষের মধ্যে নিজেদের বাঁচাতে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে ঢুকে পড়া বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে মিয়ানমার।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত (মঙ্গলবার সকালে) ২২৯ জন বিজিপি সদস্য ও সেনা সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে এবং তাদের মধ্যে কয়েকজন আহত হয়েছেন।
আহত বিজিপি সদস্যদের কক্সবাজারে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রামে নেওয়া হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ যখন রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, তখন এ ধরনের ঘটনা গ্রহণযোগ্য নয়।
এর আগে আজ সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিয়াও মোয়েকে তলব করে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের ঘটনার কড়া প্রতিবাদ জানায়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (মিয়ানমার উইং) মিয়া মো. মইনুল কবির রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এক বৈঠকে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতের কাছে এই প্রতিবাদলিপি হস্তান্তর করেন।
আরও পড়ুন: সীমান্তে উত্তেজনা কমাতে একমত মোদি-শি জিনপিং
তরুণ সাংবাদিকদের নিয়ে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের টেক ক্যাম্প
ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস তিন দিনের টেকক্যাম্প কর্মশালার আয়োজন করেছে। ৬-৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য এই কর্মশালার লক্ষ্য ৫০ জন উদ্যমী সাংবাদিককে ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে লড়াই, তথ্য যাচাই এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সর্বোত্তম অনুশীলনগুলো শেখানো।
গ্লোবাল ইয়ুথ লিডারশিপ সেন্টার (জিওয়াইএলসি) ইনকর্পোরেটেডের সঙ্গে অংশীদারিত্বে টেকক্যাম্পের আয়োজন করে যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব স্টেটের এডুকেশনাল অ্যান্ড কালচারাল অ্যাফেয়ার্স ব্যুরো। এই আয়োজন প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করে এবং বাস্তববাদী সমাধানের মাধ্যমে বিভিন্ন বাধা মোকাবিলায় ভবিষ্যতের নেতাদের ক্ষমতায়ন করে।
আরও পড়ুন: সোমবার দেশি-বিদেশি সাংবাদিকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন শেখ হাসিনা
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগদানের পর, মার্কিন দূতাবাসের পাবলিক ডিপ্লোম্যাসি কাউন্সেলর স্টিভেন ইবেলি বলেন, ‘প্রতিদিন, আমরা এত বেশি তথ্যের মধ্যে ডুবে থাকি যে খুব কম বিষয়েই মনোযোগ রাখতে পারি। প্রায়ই আমরা সত্য ও প্রকৃত তথ্যের সঙ্গে মিথ্যা ও অসত্য তথ্য মিশিয়ে ফেলি। বিভ্রান্ত হওয়া সত্যিই খুব সহজ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য আমাদের নিজেদের জটিল বিষয় ও অসত্য তথ্য শনাক্ত করা শিখতে হবে।’
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস বাংলাদেশের সুশীল সমাজের সমর্থনে, ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর সুরক্ষায় এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের প্রচারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই প্রতিশ্রুতির অংশ হলো ইয়ুথ ভোট ম্যাটারস, ইংরেজি ভাষা শেখা, এসটিইএএম শিক্ষা, ইন্টারনেট সুরক্ষা এবং প্রাক্তন শিক্ষার্থী এবং সুশীল সমাজের সঙ্গে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে ভুল তথ্যের সমাধানের মতো কর্মসূচি।
আরও পড়ুন: মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের ব্রিফিং: সাংবাদিকতার আড়ালে আবারও গণমাধ্যমের স্বীকৃতির অপব্যবহার
প্রবীণ সাংবাদিক আব্দুল ওয়াহেদ খান আর নেই
ঢাকায় ‘নিনইয়ো- আর্ট অ্যান্ড বিউটি অব জাপানিজ ডলস’ প্রদর্শনী ২ ফেব্রুয়ারি
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে ‘নিনইয়ো- আর্ট অ্যান্ড বিউটি অব জাপানিজ ডলস’ শীর্ষক জাপানি পুতুল প্রদর্শনী।
বাংলাদেশে জাপান দূতাবাসের সহযোগিতায় জাপান ফাউন্ডেশন আয়োজিত এই অনুষ্ঠান সোমবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
আরও পড়ুন: কাঁসা, পিতল ও তামার তৈজসপত্র ব্যবহার কতটুকু স্বাস্থ্যসম্মত, বিজ্ঞান কী বলে?
এই প্রদর্শনীতে থিমগুলো চারটি বিভাগে বিভক্ত-
‘শিশুদের বেড়ে উঠার জন্য প্রার্থনা করবেন নিনইয়ো’, ‘চারুকলা হিসেবে নিনইয়ো’, ‘লোকশিল্প হিসেবে নিনইয়ো’ ও ‘নিনইয়ো সংস্কৃতির বিস্তার’।
জাপানি ভাষায় ‘নিনইয়ো’ মানে পুতুল।
এই প্রদর্শনী জাপানের ইতিহাস ও লোকসংস্কৃতিতে লালিত জাপানি পুতুল ও এর সংস্কৃতি তুলে ধরে। মৌসুমি উৎসবগুলোতে ব্যবহৃত হয় ‘শিশুদের বৃদ্ধির জন্য প্রার্থনারত নিনইয়ো’। এ ছাড়া প্রশংসার জন্য ‘সূক্ষ্ম শিল্প হিসেবে নিনইয়ো’ বিভিন্ন কৌশল, প্রযুক্তি ও শৈলীর মাধ্যমে চিহ্নিত করা হয়। লোক শিল্প হিসেবে নিনইয়ো স্থানীয় বৈচিত্র্য ও সাধারণ সৌন্দর্যের প্রতীক এবং ‘নিনইয়ো সংস্কৃতির বিস্তার’ আজও পুতুলের বৈচিত্র্যকে অব্যাহত রেখেছে তারই প্রতিফলন।
জাপান দূতাবাস আশা করছে, জাপানি পুতুলের সুন্দর উপস্থাপনায় বাংলাদেশের মানুষ মুগ্ধ হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের মানুষ আমাকে কলকাতার চেয়ে বেশি ভালোবাসে: স্বস্তিকা
তীব্র শীতে পোষা প্রাণীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় করণীয়
ঢাকার উন্নয়নে সহায়তা অব্যাহত রাখার আশ্বাস ফরাসি-জার্মানির
বাংলাদেশের সঙ্গে পৃথকভাবে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক সম্প্রসারণে সম্মত হয়েছে ফ্রান্স ও জার্মানি। একই সঙ্গে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে এ দুই দেশ।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দপ্তরে জার্মান রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রস্টার ও ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মেরি মাসদুপুইয়ের সঙ্গে পৃথক বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এ কথা বলেন।
ইউরোপের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুই রাষ্ট্রদূত বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, জলবায়ু পরিবর্তন, নিরাপত্তা সহযোগিতা এবং বিমান চলাচল ও শিক্ষা খাতে সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেন।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটি অবশ্যই বাংলাদেশ সরকারের অগ্রাধিকারের বিষয় এবং এ বিষয়ে ফ্রান্সের সঙ্গে আলোচনায় আরও অগ্রগতি হবে।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসকে নিয়ে 'লবিস্ট সমর্থিত' বিবৃতি বিদেশি বিনিয়োগে প্রভাব ফেলবে না: হাছান মাহমুদ
ইউরোপীয় এভিয়েশন জায়ান্ট এয়ারবাস থেকে উড়োজাহাজ কেনার বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনীতি যখন পারমিট করবে তখনই বাংলাদেশ কিনবে।
বিমান কেনার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত কি না- জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, ক্রয়ের বিষয়ে এ ধরনের 'চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত' পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নেওয়া হয় না।
দুই রাষ্ট্রদূত নিজ নিজ সরকার প্রধানের অভিনন্দনপত্র হস্তান্তর করেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, এ দুটি দেশই বাংলাদেশের প্রধান উন্নয়ন ও বাণিজ্য অংশীদার। আগামী দিনগুলোতে সম্পর্ক আরও জোরদার করার বিষয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
ফরাসি রাষ্ট্রদূত মেরি মাসদুপুই সাংবাদিকদের বলেন, ফ্রান্স বাংলাদেশের সঙ্গে তরুণ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নতুন এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম শুরু করতে চায়।
তিনি বলেন, ফ্রান্স ও বাংলাদেশের মধ্যে এরই মধ্যে একটি চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে এবং আগামী দিনগুলোতে দুই দেশ এই সম্পর্ক আরও গভীর করতে চায়।
সাক্ষাৎকালে তারা বাণিজ্য, জলবায়ু পরিবর্তন, সংস্কৃতিসহ সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে পর্যালোচনা করেন।
মেরি মাসদুপুই আরও বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানে বাংলাদেশ ও ফ্রান্স একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, ফ্রান্স ও জার্মানি বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক গভীর করতে সম্মত হয়েছে এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় সহায়ক ভূমিকা পালনের আশ্বাস দিয়েছে।
আরও পড়ুন: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের হাইকমিশনার ও রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
নির্বাচন পরবর্তী প্রথম সরকারি সফর হিসেবে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী