ঢাকা
কেরানীগঞ্জে কেমিক্যালের গোডাউনে আগুন
ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানার আব্দুল্লাহপুরের পলাশপুর এলাকায় একটি কেমিক্যালের গোডাউনে আগুন লেগেছে।
আগুন নেভাতে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট।
আরও পড়ুন: সিলেটের গোলাপগঞ্জে কাভার্ডভ্যানে আগুন
শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় গোডাউনটিতে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
কেন্দ্রীয় ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণকক্ষের দায়িত্বে থাকা এরশাদ হোসাইন জানান, কেরানীগঞ্জ পোস্তগোলা ও ফুলবাড়িয়াসহ আটটি ইউনি আগুন নেভাতে কাজ করছেন।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুবুল আলম সুমন জানান, ঘটনাস্থল সহ আশপাশে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছেন।
তিনি আরও জানান, এলাকাবাসী ও প্রত্যাক্ষদর্শিরা জানান অবৈধ কেমিক্যাল ড্রাম বিস্ফারণের পরপর আগুণ আশপাশ এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: রেললাইন কাটা, গাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষ পোড়ানো- এ কোন রাজনীতি: তথ্যমন্ত্রী
বুধবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৪ গাড়িতে আগুন
গ্যালারি অন হুইলস: ইউনেস্কোর ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় রিকশা পেইন্টারদের কসমস ফাউন্ডেশনের সংবর্ধনা
ঢাকার রিকশা পেইন্টারদের একটি দলকে সম্মান জানিয়ে 'গ্যালারি অন হুইলস' শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে কসমস ফাউন্ডেশন।
বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর বারিধারার ব্যক্তিগত জাদুঘরে কসমস ফাউন্ডেশনের শিল্প শাখা গ্যালারি কসমসে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
চলতি মাসের শুরুতে রিকশা ও রিকশা চিত্রগুলোকে ইউনেস্কো তার ইনট্যাঞ্জিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতউল্লাহ খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত লিও টিটো এল আউসান জুনিয়র, কসমস ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী এবং কূটনৈতিক ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, সুশীল সমাজ, সাংস্কৃতিক ও বুদ্ধিজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
মোহাম্মদ হানিফ পাপ্পু, সৈয়দ আহমেদ হোসেন, এস এ নূর আলী, মো. মনির হোসেন ও মোহাম্মদ সোলেমানসহ বিভিন্ন রিকশা চিত্রশিল্পী ও দেশি-বিদেশি গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘‘ইউনেস্কোর ইনট্যাঞ্জিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটি ঐতিহ্যের তালিকায় এই উল্লেখযোগ্য অন্তর্ভুক্তিকে সম্মান জানাতে এই অনুষ্ঠান আয়োজন করার জন্য রিকশা চিত্রশিল্পীদের এবং কসমস ফাউন্ডেশনকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। এই বছর আমরা ঢাকায় আমাদের ঐতিহ্যবাহী (স্বাধীনতা) কুচকাওয়াজের অংশ হিসেবে 'অ্যাডর্ন-এ-রিকশা'- শিরোনামের একটি অনন্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলাম। যা ছিল আমাদের দেশের আইকনিক বাহনের প্রতি শ্রদ্ধা এবং আমাদের সমৃদ্ধি ও ফিলিপিনো উৎসবের রং।’’
অনুষ্ঠানটি যে অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছে এবং ফিলিপাইনের ‘আতি আতিহান’ উৎসবের মতো বিশ্বব্যাপী ঐতিহ্যবাহী উৎসবগুলোর কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত লিও বলেন, এই অর্জন উদযাপনের জন্য বাংলাদেশেরও একটি রিকশা-থিমভিত্তিক বার্ষিক উৎসব হওয়া উচিত।
কসমস ফাউন্ডেশনের সভাপতি ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘‘যখন আমরা বড় হয়েছি, আমরা পেছনে প্রাণবন্ত ও অর্থবহ চিত্রকর্ম সম্বলিত রিকশা দেখেছি– এবং সবসময় উপলব্ধি করেছি যে এই কাজের উল্লেখযোগ্য শৈল্পিক মূল্য রয়েছে। আমি এনায়েতউল্লাহ খান ও কসমসকে অভিনন্দন জানাতে চাই এটি উপলব্ধি করার জন্য এবং আজ রাতে আমাদের সামনে এর গুরুত্ব তুলে ধরার জন্য। এই শিল্প আমাদের জীবদ্দশায় বহুদূরে এগিয়ে যাবে। কারণ রিকশা ও রিকশাচিত্র যানবাহনের চেয়ে বেশি, ঢাকা ও এর জনগণের সঙ্গে এর এক ধরনের অনন্য ও চিরায়ত বন্ধন রয়েছে। এটি সেই সম্পর্কের সারমর্ম, যা সহজাতভাবে কখনই ফিকে হওয়ার নয়, ইউনেস্কো একেই স্বীকৃতি দিয়েছে এবং আমরা আজ এখানে তা উদযাপন করছি।’’
আরও পড়ুন: ‘বিজয়’: বিজয় দিবস উপলক্ষে বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী-মুক্তিযোদ্ধা বীরেন সোম ও শিশু শিল্পীদের নিয়ে গ্যালারি কসমসের দিনব্যাপী আর্ট ইভেন্ট
ঢাকায় রাশিয়ান হাউসের উদ্যোগে ৮৪ মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা
ঢাকার রাশিয়ান হাউস, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এবং মুক্তিযুদ্ধ একাডেমি ট্রাস্টের যৌথ আয়োজনে বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবসের ৫২তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বিশেষ আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা জানানো হয়েছে।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরে এই আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় আয়োজকেরা ৫২ জন মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের নেপথ্য শিল্পী সৈনিকসহ মোট ৮৪ মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা জানান।
রাশিয়ান হাউস ইন ঢাকার পরিচালক পাভেল দভয়চেনকভ, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান, মুক্তিযুদ্ধ একাডেমি ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ড. আবুল কালাম আজাদ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব তাজ মোহাম্মদ, ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল হক এবং ইউনিভার্সিটি অব গ্লোবাল ভিলেজের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম খান অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
সবার জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
রাশিয়ান হাউস ইন ঢাকার পরিচালক পাভেল দভয়চেনকভ অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন করেন।
সবাইকে বিজয়ের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবস আমাদের উভয় দেশের জন্যই একটি গৌরবের দিন। এই দিনটি আমাদেরকে আমাদের ঐতিহাসিক বিজয়ের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। বাংলাদেশ-রাশিয়ার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ঐতিহাসিক। ১৯৭১ সালের বিপ্লবের দিনে সোভিয়েত ইউনিয়ন বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশকে সমর্থন দিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। এরপর থেকে রাশিয়া বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। রাশিয়া বৃহৎ শিল্প ও বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে সহায়তা করেছিল।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭২ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নে সরকারি সফরের মধ্য দিয়ে এই ঐতিহাসিক সম্পর্কের যাত্রা শুরু হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ঢাকায় জাতীয় গণ ঐক্য দিবস পালন করল রাশিয়ানরা
বঙ্গবন্ধুর সফরে অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহযোগিতা, বাণিজ্য প্রতিনিধিত্ব, সাংস্কৃতিক, শিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক সহযোগিতার বিষয়ে আন্তঃসরকারি চুক্তি সই হয়।
বঙ্গবন্ধুর অনুরোধে তৎকালীন সোভিয়েত সরকারের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় সোভিয়েত নৌবাহিনী চট্টগ্রাম বন্দর নিষ্ক্রিয় করে এবং বন্দরটিকে সম্পূর্ণরূপে চালু করে।
সফরকালে বঙ্গবন্ধুর বিশেষ অনুরোধে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নে বাংলাদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী পূর্ণ সরকারি বৃত্তি নিয়ে রাশিয়ায় পড়তে যায়। পরে তারা দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গঠনে সক্রিয় হন। তাদের মধ্যে, ৬০০০ জনেরও বেশি সোভিয়েত ও রাশিয়ান গ্র্যাজুয়েট বর্তমানে বাংলাদেশ এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উচ্চ পদে কর্মরত ও অধিষ্ঠিত।
তিনি আরও বলেন, রাশিয়ায় উচ্চশিক্ষা গ্রহণে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বৃদ্ধির কারণে রুশ সরকার ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তির সংখ্যা বাড়িয়ে ১২৪ করেছে।
তিনি এই বৃত্তির সংখ্যা ভবিষ্যতে আরও বৃদ্ধির জন্য তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবেন বলে ও আশ্বাস দেন।
ঢাকার রাশিয়ান হাউস রাশিয়ায় উচ্চশিক্ষার সুযোগের পাশাপাশি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য রাশিয়ান ভাষা কোর্সের প্রচারের জন্য কঠোর পরিশ্রম করছে।
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান বলেন, মুক্তিযুদ্ধ আমাদের জাতির ইতিহাসে একটি স্মরণীয় অধ্যায়। এই যুদ্ধে আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধারা অসামান্য বীরত্বের পরিচয় দিয়েছেন। তাদের অবদানের জন্য আমরা তাদের নিকট চিরকৃতজ্ঞ।
মুক্তিযুদ্ধ একাডেমি ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ড. আবুল আজাদ বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাদের সম্মান করা আমাদের সবার কর্তব্য। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমরা আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই।
আলোচনা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের গান ও কবিতা পরিবেশন করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধারা তাদের অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি শেয়ার করেন।
আরও পড়ুন: রাশিয়ান মুদ্রায় বাণিজ্যের অনুমতিপ্রাপ্তদের তালিকায় বাংলাদেশ: রুশ দূতাবাস
আন্তঃজেলা বাস ঢাকার বাইরের আর নগর পরিবহন ঢাকার অভ্যন্তরের টার্মিনাল ব্যবহার করবে: শেখ তাপস
আন্তঃজেলা বাসগুলো কাঁচপুর আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালসহ ঢাকার অদূরে নির্মাণ হতে যাওয়া টার্মিনালগুলো এবং ঢাকার অভ্যন্তরে পরিচালিত নগর পরিবহনগুলো সায়েদাবাদ, মহাখালী ও গাবতলী বাস টার্মিনাল ব্যবহার করবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে কাঁচপুরে ঢাকা নগর আন্তঃজেলা বাস প্রান্ত (টার্মিনাল) নির্মাণের চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তাপস এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: এডিস নিয়ন্ত্রণে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে: শেখ তাপস
শেখ তাপস বলেন, আমাদের যে বাস টার্মিনালগুলো আছে সেগুলো ৮০’র দশকে করা হয়েছে। তখন শুধু টার্মিনাল হিসেবে করা হয়েছিল। দ্বিতীয়ত ওই টার্মিনালগুলোকে ঘিরেই আন্তঃজেলা এবং সিটি বাস সব এক জায়গায় রাখা হতো।
তিনি আরও বলেন, আমরা মনে করি যে, বাংলাদেশের যে অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা সে প্রেক্ষাপটে এখন তা আর কার্যকর নয়। তাই বাস রুট রেশনালইজেশন কমিটির মাধ্যমে আমরা পরিকল্পনা নিয়েছি, আন্তঃজেলা বাসগুলোকে ঢাকার বাইরে রাখতে হবে। আর ঢাকার মধ্যে যে টার্মিনালগুলো রয়েছে সেখানে শুধু নগর বাসগুলো তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
প্রাথমিকভাবে কাঁচপুর আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল চালুর এসব কার্যক্রম নিজস্ব অর্থায়নেই বাস্তবায়ন করা হচ্ছে জানিয়ে মেয়র তাপস বলেন, ভূমি উন্নয়নের পাশাপাশি আমরা এখানে আরও কিছু কাজ শুরু করব। যেমন- সীমানা প্রাচীর দিতে হবে। কিছু অবকাঠামো নির্মাণ করতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসব। কী ধরনের অবকাঠামো নির্মাণ করলে তারা সুষ্ঠুভাবে এখানে তাদের কার্যক্রম শুরু করতে পারবে, সে বিষয় নিয়ে আলাপ করে আমরা অবকাঠামো নির্মাণের উদ্যোগ দেব।
তিনি বলেন, এই পুরো কাজ আমাদের নিজস্ব অর্থায়নেই এখন পর্যন্ত আমরা চালিয়ে যাচ্ছি। পরে দীর্ঘমেয়াদে যাতে করে আমরা একটি আধুনিক বাস টার্মিনাল নির্মাণ করতে পারি, এরই মধ্যে আমরা সেসব পরিকল্পনা শুরু করেছি।
তাপস বলেন, আমাদের দুটো টার্মিনাল- একটি বাঘাইড়ে আরেকটি এই কাঁচপুর বাস টার্মিনাল। এই দুটো বাস টার্মিনালের জন্য আমরা পরামর্শক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছি। পরামর্শকের মাধ্যমে আমরা পূর্ণভাবে এই টার্মিনালগুলোর নকশা প্রণয়ন করব। পরে পূর্ণভাবে আমরা সেটা নির্মাণ কার্যক্রম শুরু করব।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, শুধু কাঁচপুরে বাস টার্মিনালই নয় সমন্বিত অনেক কার্যক্রম একসঙ্গে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আমরা যেমন বাস রুট রেশনালাইজেশনের কার্যক্রমের আওতায় যাত্রাপথগুলোকে নির্ধারণ করছি তেমনি সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালকে আরও আধুনিক করছি এবং সেটার পরিসর বৃদ্ধি করেছি।
মেয়র আরও বলেন, আগামী বছর এটা চালু হয়ে গেলে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ১৬ জেলার বাস আর সায়েদাবাদ, মহাখালী, গাবতলী টার্মিনাল ব্যবহার করতে পারবে না। সেগুলো কাঁচপুরে চলে আসবে এবং তারা ঢাকা শহরের ভেতরে আর প্রবেশ করবে না।
তিনি বলেন, তখন স্বাভাবিকভাবেই ঢাকার যানজট একটা সহনশীল পর্যায়ে চলে আসবে। আর সুশৃঙ্খল যাত্রী সেবা নিশ্চিত করতে আমরা বাস রুট রেশনালাইজেশনের আওতায় যে ঢাকা নগর পরিবহন চালু করেছি, সেসব বাসে এই কাঁচপুর হতে ঢাকাগামী যাত্রীদের পরিবহন করবে। ফলে গণপরিবহন পূর্ণ রূপে শৃঙ্খলায় চলে আসবে।
মেয়র এ সময় চলমান ভূমি উন্নয়ন কাজ প্রায় ৫০ শতাংশ শেষ এবং বাকি কাজ আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে শেষ হবে বলে জানান।
এছাড়াও সীমানা প্রাচীরসহ অন্যান্য প্রাথমিক অবকাঠামো নির্মাণকাজ আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে শেষ হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় ঈদগাহে ঢাকাবাসীকে অভ্যর্থনা জানাতে আমরা প্রস্তুত: শেখ তাপস
ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী জনগণের আইনজীবী ছিলেন: শেখ তাপস
ঢাকার আশুলিয়ায় বাসে আগুন
ঢাকা আশুলিয়ায় একটি বাসে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। এতে বাসের পেছনের বেশ কয়েকটি সিট পুড়ে গেলেও কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে আশুলিয়ার নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বাড়ইপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকাগামী ইতিহাস পরিবহন নামে বাসটি বাড়ইপাড়া বাসস্ট্যান্ডে যাত্রী উঠানামা করানোর সময় এর পেছন অংশ থেকে ধোঁয়া ও আগুন দেখতে পাওয়া যায়।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান জানান, স্থানীয়রা নিজেরাই পানি ঢেলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে কাভার্ডভ্যানে আগুন
রাজধানীর খিলগাঁওয়ে অগ্রণী ব্যাংকের স্টাফ বাসে আগুন
ঢাকার খাল-বিল ও নদীগুলো দ্রুত সংস্কারের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
রাজধানী ঢাকা ও এর আশেপাশের এলাকার সব খাল এবং বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, তুরাগ ও বালু নদী যত দ্রুত সম্ভব পুনরুদ্ধার করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) তিনি তার কার্যালয়ের মন্ত্রিসভা কক্ষে ঢাকার চারপাশের নদ-নদীর নাব্য রক্ষা ও দূষণ রোধে প্রণীত মহাপরিকল্পনার আলোকে সমীক্ষা প্রতিবেদন উপস্থাপন এবং সংশ্লিষ্ট প্রকল্প গ্রহণের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়ে এক সভায় এ নির্দেশনা দেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
বৈঠকে ঢাকা ও আশপাশের নদী ও খাল পুনরুদ্ধারের জন্য সাতটি হটস্পট চিহ্নিত করা হয়েছে।
এগুলো হলো- গাজীপুর, গড়চটবাড়ী, সাভার, পূর্বাচল, কল্যাণপুর, নারায়ণগঞ্জ ও কামরাঙ্গীরচর।
আরও পড়ুন: উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণের সময় পরিবেশের বিষয় মাথায় রাখতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী এই সাতটি চিহ্নিত হটস্পটে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সমন্বিত প্রকল্প গ্রহণের নির্দেশ দেন এবং পর্যায়ক্রমে সারাদেশে এই হটস্পট কৌশল বাস্তবায়নের পরামর্শ দেন।
বৈঠকে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া।
এর আগে বৈঠকে শেখ হাসিনা নদী দূষণ বন্ধের নির্দেশনা দিয়ে বলেন, দেশকে রক্ষা করতে হলে নদী বাঁচাতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে আমাদের নদীগুলোকে বাঁচাতে হবে।
তিনি আরও বলেন, নদ-নদীগুলো বাংলাদেশের জন্য রক্ত সঞ্চালনের জন্য শরীরের শিরার মতো।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের টিকে থাকাও এই নদীর ওপর নির্ভরশীল।
বিগত বছরগুলোতে নদী দূষণ, দখল ও নাব্য পুনরুদ্ধারে তার সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষমতায় আসার পর তারা সব সময় নদী রক্ষা ও নাব্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছে।
তিনি বলেন, অপরিকল্পিত নিচু সেতু নৌ চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘...সেই সেতুগুলো মানুষের জন্য উপকারী হয়েছে। কিন্তু নির্মাণের সময় নৌযান চলাচলের বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। এ কারণেই আমরা নদীগুলো ড্রেজিং শুরু করার পর নৌ চলাচলের সমস্যা দেখা দেয় এবং এই সেতুগুলো বাধা হয়ে দাঁড়ায়।’
আরও পড়ুন: জলবায়ু বাস্তুচ্যুতি মানবিক সংকটে পরিণত হওয়ার আগে বিশ্বকে পদক্ষেপ নিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
অগ্নিসংযোগকারীদের ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই: প্রধানমন্ত্রী
মিয়ানমারের চলমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে ঢাকা: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
মিয়ানমারের চলমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ এবং রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূর্ণভাবে প্রত্যাবাসন শুরু করার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিকল্প মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্য বর্তমানে বাংলাদেশ-মিয়ানমার-চীনের ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগ চলছে।
মিয়ানমারে পরিস্থিতির উন্নতি হলে শিগগিরই রাখাইনে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু হবে বলে তিনি সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে বলেন।
তিনি বলেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ, টেকসই ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন শুরু করতে রোহিঙ্গারা রাখাইনে ফিরে যাওয়ার পর তারা কী কী সুবিধা ভোগ করবে সে সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন শুরুর প্রস্তুতি অব্যাহত থাকবে: পররাষ্ট্র সচিব
এই বছরের আগস্টে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছিলেন, সরকার এই বছর প্রাথমিকভাবে প্রায় এক হাজার শরণার্থী নিয়ে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন শুরু করতে চায়।
সম্প্রতি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, নিরাপদ, স্বেচ্ছামূলক ও টেকসই প্রত্যাবাসন শুরু করতে আরও বিলম্ব ও মানবিক সহায়তার ঘাটতি সমগ্র অঞ্চলকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে।
মন্ত্রণালয় বলেছে, তাদের টেকসই প্রত্যাবাসন না হওয়া পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তা দেওয়া চালিয়ে যেতে হবে।
কোনো সমাধান ছাড়াই সপ্তম বছরে পা দিয়েছে রোহিঙ্গা সংকট।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের দীর্ঘায়িত উপস্থিতির কোনো সুযোগ নেই: জাতিসংঘে বাংলাদেশ
রোহিঙ্গা সংকটে ‘নিজেদের সমর্থন অব্যাহত রাখছে’ ইইউ: রাষ্ট্রদূত হোয়াইটলি
ঢাকায় রাশিয়ান হাউসে রাশিয়ান গ্র্যাজুয়েটস ডে পালিত
ঢাকায় সোভিয়েত অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের (এসএএবি) সঙ্গে যৌথভাবে সোভিয়েত/রাশিয়ান গ্র্যাজুয়েটস ডে আয়োজন করেছে রাশিয়ান হাউস।
অনুষ্ঠানে সোভিয়েত ইউনিয়ন ও রাশিয়ার গ্র্যাজুয়েটরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকার রাশিয়ান হাউসের পরিচালক পাভেল দভয়চেনকভ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন। তিনি অনুষ্ঠানে যোগদানকারী গ্র্যাজুয়েটদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ৫ টাকায় ব্যাগ ভর্তি সবজির বাজার চালু
পাভেল দভয়চেনকভ তার বক্তৃতায় বলেন, ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোভিয়েত ইউনিয়ন সফরের পর থেকে বাংলাদেশ থেকে অনেক বাংলাদেশি ছাত্র সরকারি বৃত্তি নিয়ে সোভিয়েত ইউনিয়নে গিয়েছিলেন। পরে বাংলাদেশে ফিরে আসেন এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে উচ্চ পদে অধিষ্ঠিত হন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আগ্রহের কারণে রাশিয়া সরকার দিন দিন শিক্ষা বৃত্তির সংখ্যা বাড়াচ্ছে। ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে বৃত্তির সংখ্যা ছিল ১১০ জন এবং ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ১২৪ জনকে বৃত্তি বরাদ্দ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ঢাকায় রাশিয়ান হাউস সবসময় তৎপর রয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্রহ্মপুত্র নদে জেলের জালে ধরা পড়ল ৮৫ কেজির বাঘাইড় মাছ!
বাংলাদেশে রুশ দূতাবাসের মিনিস্টার-কাউন্সেলর একেতেরিনা সেমেনোভা সবাইকে অভিনন্দন জানান।
ঢাকায় রাশিয়ান হাউসের উদ্যোগে রুশ ঔপন্যাসিক ইভান তুর্গেনেভের ২০৫তম জন্মবার্ষিকী পালিত
ঢাকায় রাশিয়ান হাউসের উদ্যোগে রুশ ঔপন্যাসিক, কবি ও নাট্যকার ইভান তুর্গেনেভের ২০৫তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) ইভান তুর্গেনেভের ২০৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশের প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঢাকা কলেজের প্রধান মিলনায়তনে একটি রুশ সাহিত্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল তুর্গেনেভের জীবন ও সাহিত্য নিয়ে একটি বর্ণাঢ্য উপস্থাপনা, বাংলাদেশি বিশ্ববিদ্যালয় এবং রুশ ভাষা কোর্সের শিক্ষার্থীরা তার কবিতা থেকে বেশ কয়েকটি আবৃত্তি এবং সাহিত্যকর্ম ‘প্রথম প্রেম’ এর একটি ছোট নাটক উপস্থাপন করেন।
ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ ইউসুফ তার স্বাগত বক্তব্যে কলেজটিতে অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য রাশিয়ান হাউজের পরিচালক পাভেল দভয়চেনকভকে ধন্যবাদ জানান এবং ভবিষ্যতে আরও অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দেন।
তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধোত্তর শিক্ষাসহ বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে সোভিয়েত ইউনিয়ন ও রাশিয়ার মানবিক সহায়তা ও অবদানের কথাও কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন।
রাশিয়ান হাউসের পরিচালক পাভেল দভয়চেনকভ তার বক্তৃতায় ইভান তুর্গেনেভের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং তার জীবন ও সাহিত্যকর্মের বিস্তারিত তথ্য এবং রুশ ও বিশ্ব সাহিত্যে তার মূল্যবান অবদানের কথা তুলে ধরেন।
তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকল শিক্ষার্থীদের রাশিয়ায় উচ্চ শিক্ষার জন্য বৃত্তির সুযোগ পেতে এবং রাশিয়ার সমৃদ্ধ শিক্ষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কে তাদের জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করতে রাশিয়ান হাউসে রাশিয়ান ভাষা কোর্সে ভর্তির জন্য আমন্ত্রণ জানান।
এ সময় অনুষ্ঠান শেষে সকল অংশগ্রহণকারীকে সনদপত্র ও স্মারক উপহার প্রদান করা হয়।
পুরো অনুষ্ঠানটি কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত আগ্রহের সঙ্গে উপভোগ করেন এবং রুশ সাহিত্য সম্পর্কে তাদের জ্ঞানকে আলোকিত করার জন্য অন্যান্য বিখ্যাত রুশ সাহিত্যিক ব্যক্তিত্ব যেমন ফিওদর দস্তয়েভস্কি, আলেকজান্ডার পুশকিন, মিখাইল লেরমন্তভসহ অন্যান্যদের নিয়ে এই ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বিশ্বের তৃতীয় দূষিত বাতাস ঢাকার
বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকার অবস্থান তৃতীয়। সকাল ৮টা ৫৬ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৮০ নিয়ে রাজধানীর বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় রয়েছে।
ভারতের দিল্লি এবং পাকিস্তানের করাচি যথাক্রমে ৪২৩ এবং ১৮৭ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।
১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই 'অস্বাস্থ্যকর' হিসাবে বিবেচিত হয়। একিউআই স্কোর ২০১-৩০০ 'খুব অস্বাস্থ্যকর' এবং ৩০১+ 'বিপজ্জনক', যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
আরও পড়ুন: শুক্রবার বিশ্বে বায়ু দূষণে পঞ্চম ঢাকা
দৈনন্দিন বায়ুর গুণমান নির্ণয়ের জন্য একিউআই একটি সূচক, যা জানায়- একটি নির্দিষ্ট শহরের বায়ু কতটা পরিষ্কার বা দূষিত। একই সঙ্গে এর সম্পর্কিত স্বাস্থ্যের প্রভাবগুলো তাদের জন্য কতটা উদ্বেগের কারণ হতে পারে।
বাংলাদেশে একিউআই পাঁচটি দূষণকারীর উপর ভিত্তি করে তৈরি: পার্টিকুলেট ম্যাটার (পিএম ১০ এবং পিএম ২.৫), এনও ২, সিও, এসও ২ এবং ওজোন।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
আরও পড়ুন: টানা ৫ দিন ঢাকার বাতাস 'অস্বাস্থ্যকর'